![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলুন, মহান আল্লাহ পাক উনার ফযল ও রহমত মুবারক অর্থাৎ আমাকে পাওয়ার কারণে তোমাদের উচিত ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা।’ সুবহানাল্লাহ!
অর্থাৎ যেদিন আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যমীনে মুবারক তাশরীফ আনেন-
তাই সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দিন উনার নামকরণ করা হয়েছে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ!
যা সংক্ষেপে নামকরণ করা হয়েছে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ।
অর্থাৎ সেই মহাসম্মানিত, মহামর্যাদাবান, সুমহান, অশেষ বরকতময় ও বেমেছাল ফযীলতপূর্ণ মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফই হচ্ছেন- কুল-কায়িনাতের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ উনার দিন। সুবহানাল্লাহ!
যা আসতে আর মাত্র ৩০১ দিন বাকি।
আর এ কারণেই পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফই হচ্ছেন- সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহূর, শাহরুল আ’যম। সুবহানাল্লাহ!
অতএব, সেই মহাসম্মানিত দিন উনাকে তা’যীম-তাকরীম ও মুহব্বত এর সাথে পালন করাও ফরয এবং ইহকাল ও পরকাল উভয়কালের জন্যই নাজাত লাভের কারণ। সুবহানাল্লাহ!
আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল শান-মান, মর্যাদা-মর্তবা ও ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক , মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ উনার ৫৮ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলুন, মহান আল্লাহ পাক উনার ফযল ও রহমত অর্থাৎ আমাকে পাওয়ার কারণে তোমাদের উচিত ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা। অর্থাৎ পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা।” এ পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারা আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে তাশরীফ মুবারক আনার পবিত্র দিনটিই মূল ঈদের দিন বা খুশির দিন হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছে। শুধুমাত্র ঈদের বা খুশির দিন নয়; বরং সমস্ত ঈদেরও ঈদ অর্থাৎ সমস্ত ঈদের সাইয়্যিদ যা সাইয়্যিদু ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদু ঈদে আকবর উনার মুবারক দিন। সুবহানাল্লাহ! যা পালন করা সকলের জন্যই ফরয।
‘শরহুয্ যারকানী’ কিতাব উনার ১ম খন্ডের ২৬১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “হযরত ইবনুল জাযরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, “আবু লাহাবের মতো কাট্টা কাফির যার নিন্দায় পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র সূরা শরীফ পর্যন্ত নাযিল হয়েছে, তাকে যদি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ গ্রহণের রাত্রিতে আনন্দিত হয়ে খুশি প্রকাশ করার কারণে জাহান্নামেও তার পুরস্কার দেয়া হয়ে থাকে তবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতের মধ্যে কোনো মুসলমান যদি পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে খুশি প্রকাশ করে তার সাধ্যানুযায়ী টাকা-পয়সা ইত্যাদি খরচ করে তাহলে তাদের অবস্থা কিরূপ হবে? নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তায়ালা উনার ফযল ও করমে অবশ্যই অবশ্যই তাকে নিয়ামতপূর্ণ জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।” সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উনার সংবাদ শ্রবণ করে আবু লাহাব সে ঈদ অর্থাৎ খুশি প্রকাশ করেছিল আর পরবর্তী সারাজীবন সে কুফরী করেছে। তাই পবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশকে তার জীবনের সমস্ত কুফরী শিরিকীও মিটাতে পারেনি। বরং আবু লাহাব জাহান্নামের মধ্যেও বিশেষ ব্যবস্থায় নিয়ামত পাচ্ছে। তাহলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উনার সম্মানার্থে ঈদ তথা খুশি প্রকাশ করার ফায়দা যে কত তা ফিকির ও চিন্তার বিষয়।
মূলকথা হলো- মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলুন, মহান আল্লাহ পাক উনার ফযল ও রহমত অর্থাৎ আমাকে পাওয়ার কারণে তোমাদের উচিত- ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা। অর্থাৎ পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা।’ অর্থাৎ যেদিন আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যমীনে তাশরীফ মুবারক আনেন- সেদিনই হচ্ছেন পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ যা মহাসম্মানিত, মহামর্যাদাবান, সুমহান, অশেষ বরকতময় বেমেছাল ফযীলতপূর্ণ মুবারক দিন। অর্থাৎ পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফই হচ্ছেন কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ যা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিসেবে মশহুর।যা পালন করা মুসলমান তো অবশ্যই জিন-ইনসানসহ সমস্ত কায়িনাতের জন্য ফরয এবং নাজাত লাভেরও কারণ। যা আসতে আর মাত্র ৩০১ দিন বাকি। আর এ কারণেই পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফই হচ্ছেন- সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহুর, শাহরুল আ’যম।
©somewhere in net ltd.