নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুল করবার অধিকার।; দ্যা রাইট টু মেক ব্লান্ডার্স।

হিজ মাস্টার ভয়েস

চমকিয়া উঠে মোর ধ্যানের কৈলাসে মহামৌন যোগীন্দ্র শিব

হিজ মাস্টার ভয়েস › বিস্তারিত পোস্টঃ

Why Zia ?

২৩ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৬




বিধবা বিবাহের বিরুদ্ধদের বিরুদ্ধে কথা বললেন, নিজের ছেলেকে বিধবার সাথে বিয়ে দিলে।

ঈশ্বরচন্দ্র গেঁথে গেলেন মানুষের মনে , সমাজ সংস্কারের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তিনি ।



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলিত নিয়ম ভেঙ্গে ভর্তি হলেন বিপ্লবী লীলা নাগ..
প্রথম ছাত্রী তিনিই.. তিনি প্রশাসন কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং একজন শিক্ষক তাঁর নিজের কোয়ার্টারে তাকে মেস হিসাবে ব্যবহার করতে দেন... এই সূত্র ধরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কো-এডুকেশন শুরু হয়...


ভারতীয় উপমহাদেশে বৃটিশ বিরোধী আন্দালনের সময় মোহন দাস করম চাঁদ গান্ধী,র ভেজিটেরিয়ান অহিংস সুবিধাবাদী নীতির বিরোধীতা করে ফুঁসে উঠেন নেতাজী সুভাস চন্দ্র বসু ,ভগত সিং প্রমুখ ।


আজ ইতিসাসের ব্যাবচ্ছেদে গান্ধীজী অজস্র সমালোচনার মুখোমুখি হলেও মানুষের হৃদয়ে অবিনশ্বর আসন করে নিয়েছেন সুভাস বোস এবং ভগত সিং ।


জাতপাত ,ধর্মের গণ্ডি ভেঙ্গে মানবতার গান নিয়ে , মানবতার বানী নিয়ে বাংলার ধুলী উঠা প্রান্তরে মানবতার ইশতেহার নিয়ে হাজীর হন লালন সাই ।লালনের এই সংস্কার আজীবন গ্রথীত থাকবে বিশ্ব মানবতার কল্যানে ।


অর্নেস্ট চে গুয়েভা ;
সাম্য ভিত্তিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার জন্য ঘর ছেড়েছিলেন , বিপ্লবের ব্লুজ সুরে মন্ত্রিত্ব , ক্ষমতা , প্রতাপকে পায়ে পিষে বেড়িয়ে পরেছিলেন ...



কিংবদন্তী বক্সার মোহাম্মদ আলী ; ভিয়েতনাম যুদ্ধে যেতে অস্বীকার করেন যেহেতু সেই যুদ্ধ ছিল অপ্রয়জনীয় এবং মানবতা বিরোধী । আলীর এই মানবতাবাদী বোধ তাঁর বক্সার পরিচয়ের চেয়েও উজ্জ্বল অনেকের কাছে ।

সমাজের ভ্রান্ত নীতি ভেঙ্গে যারা সমাজের কল্যাণের জন্য নতুন নিয়ম গড়ে তাদেরই তো বলে সমাজ সংস্কারক।

তাহলে জিয়া কেন সংস্কারক নয়?




নজরুল বলেন

" নরককুন্ড বলিয়া কে তোমা’ করে নারী হেয়-জ্ঞান?
তারে বলো, আদি পাপ নারী নহে, সে যে নর-শয়তান।
অথবা পাপ যে-শয়তান যে-নর নহে নারী নহে,
ক্লীব সে, তাই সে নর ও নারীতে সমান মিশিয়া রহে"

নিজের পুরুষ স্বত্বাকে পরোয়া না করেই মানবতার কথা বললেন কাজীদা ...

জিয়াও এই কথায় বিশ্বাস করতেন কাঠ মোল্লাদের আপত্তি স্বত্তেও পুশিস সহ বিভিন্ন বাহিনীতে নারীর অংশ গ্রহন নিশ্চিত করেন....

পরিবার পরিকল্পনার কথা এই দেশে যেন ভাবাই যেতো না। অথচ জিয়া আগামীর সমস্যা সবাইকে বুঝিয়ে এই দেশে পরিবার পরিকল্পনা প্রকল্প হাতে নেন...


শিশুদের জন্য নতুন কুড়ি আর যুক্তিবাদী প্রজন্মের জন্য উন্মুক্ত বিতর্ক এসব জিয়ার দেখানো পথ...


Bottom less basket , সাহায্যের আশাতে হাভাতের মতো চেয়ে থাকা বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানির মাধ্যমে কার্যকর শ্রম শক্তি গড়ে তোলেন এই জিয়া । বাংলাদেশের মুণ্ডু যখন পিন্ডি VS দিল্লীর পারস্পারিক ফুটবল খেলার রাফ ট্যাকেলে রক্তার্ত তখন এই সব অযোগ্য পররাষ্ট্র নীতি থেকে দেশ কে মাথা তুলে দাঁড়াবার পথ দেখিয়েছিলেন এই মুক্তিযোদ্ধা জিয়া ... এই জিয়াকে মাথায় তুলে নাচবেন নাকি উন্নয়নের পথ রুদ্ধ করে নিজের চুরি যাওয়া কম্বলের সন্ধানে রক্ষী বাহিনী নামানো ওলাদের সন্ধান করবেন সেটা একান্তই আপনার দেশপ্রেমবোধের ব্যাপার ।

স্বনির্ভর বাংলাদেশ জিন্দাবাদ

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:১৮

চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: জিয়া কোন বাকশাল প্রবর্তন করেনি, জিয়া কোন কম্বল চুরি, লুটপাট করেনি, জিয়া কোন রক্ষী বাহিনী নামায়নি জনগন এবং বিরুদ্ধ মতকে দমনের স্বার্থে। একজন নিখাদ দেশ প্রেমিক প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আর জনসংখ্যা যে সমস্যা এইটা কি ঘর ভর্তি সন্তানের বাবা হয়ে ভাবা যায়? জিয়াই প্রথম এই সমস্যার গুরুত্ব অনুভব করে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা নেয়। সবাই চায় মিডিল ইস্টের ভিক্ষা, আর জিয়া চেয়েছিল কর্মসংস্থান।
জিয়া গাল ভরা বুলি দিয়ে নেতা হয়নি যে সাধারণ মানুষ দুই দিন পরে অভিশাপ দিবে। খাদ্য উৎপাদন করে খাদ্য আমদানি অর্ধেকে নামিয়ে এনেছিল, দেশ থেকে বাকশালী দুর্ভিক্ষের বিলোপ করেছিল।
এই কারণেই জিয়া। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর পোষ্টটির জন্য।

২| ২৩ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫

হিজ মাস্টার ভয়েস বলেছেন: দারুন মন্তব্য ।ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.