নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুল করবার অধিকার।; দ্যা রাইট টু মেক ব্লান্ডার্স।

হিজ মাস্টার ভয়েস

চমকিয়া উঠে মোর ধ্যানের কৈলাসে মহামৌন যোগীন্দ্র শিব

হিজ মাস্টার ভয়েস › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাম্প্রদায়িক ঋষী

২৩ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬






মানুস যখন জাতে ওঠে তখন তার নাম ধাম জাত পরিবর্তনের প্রয়োজন পরে ।

নতুন জাতের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য এই নাম পরিবর্তন একটি মৌলিক পিলার ।

যেমন

রহিমা যখন ক্লাবে যায় তখন সে মিস রাহি হয়ে যায় । শামসু হয়ে যায় শামস্‌ । আদম আলি হয়ে যায় এ্যডাম । রুখশানা হয়ে রুক্সি !

রানি যখন হিথ্রো এয়ার পোর্টে ল্যান্ড করবে ; তার বন্ধুরা তাকে ডাকবে কুইন নামে ।

হাজাম ব্যাপারি সিসিলী যাবার টিকেট কাটতে ট্রাভেল এজেন্টের অফিসে যাবার পরে তার নিক বলে হ্যাজী ।

রহমান ভাই যখন অ্যামেরিকা যাবার জন্য লটারির আবেদন করলো সেই দিন থেকেই তিনি নতুন নাম বলার প্র্যক্টিস শুরু করে দিলেন ।

হ্যালো ব্রো আইজ তো হামার ঈড ।

কেন রহমান ভাই কি হলো ?

ব্রো আমি টো আজকে আম্রেরিকার ডীভী করছি ; পীর সাব কইছে ভিসা লাগবোই ।

ভাই একখান কথা বলি মাইন্ড খাইয়েন না ; আমারে আর রহমান রহমান বইলেন না । নাম তো এফিডেফিট করে ফেলেছি ।

রহমান এখন রেহ্‌মান ।।

ময়মনসিং থেকে জুলেখা বেগম যেদিন প্রথম বেইলী রোডে আসলো নাটক দেখতে ; নাটক দেখে খালাতো ভাইয়ের সাথে বাড়ি ফেরার সময় হটাত খালাতো ভাই তার হাত ধরে বলে উঠলো "লেখা আমি তুমারে ভালাবাসি ।

যেহেতু নাটক ফাটক দেখা হয়েছে অতএব জুলেখা'র থেকে "লেখা" ।

গোপালগঞ্জে ছিল আরেক জুলেখা ; তার গন্তব্য ছিল ঢাকা থেকে একটু দূরে

C/o শামিম ওসমান

টান বাজার

নারায়ণ গঞ্জ

সেখনে আসার পর ওসমান কশাই আদর করে তার নাম রাখলো জুলি ।জুলেখা থেকে জুলি ।

স্থান কাল পাত্র ভেদে নামের জাত পাত পরিবর্তন জায়েজ আছে !

বড় বাজারের মৎস ব্যাবসায়ি আলাউদ্দিন" যখন লুঙ্গী কাছা মেরে ঢাকা শহরে যেয়ে থিতু হল তার নাম হয়ে গেল আলা চৌধুরী ।

বাঙলার মসনদে বসেছিলেন একবার "মা কালি"

বসার পরের রাতেই তিনি হয়ে গিয়েছিলেন "পুস্প কলি " । একদিন সেই পুস্প কলি'র ছবি ছাপা হলো পত্রিকাতে । তিনি পুস্প বেষ্টিত বাগানে এক অনাথ পিতৃ পরিচয় বিহীন ছেলের সাথে মাতৃ স্নেহে ব্যাডমিন্টন খেলছেন ।

চারি দিকে রব উঠে গেল "বাহারে বাহারে বাহ " !

সুদূর স্বপ্নের দেশ আমেরিকা'র ধোলাই খালে এক ফটকা ব্যাবসায়ির দোকানের নাম ছিল DELL ;

যেই না সে বাংলাদেশের নাম শুনলো ওমনি হয়ে গেল এক ফুর ফুরে পাখির মতো "দোয়েল" ।

এই বাঙলার প্রথম খলিফা একবার যুদ্ধের জন্য এক বিশেষ লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি করলেন । তারা ঢাক ঢোল পিটিয়ে , লাল ঘোড়া দাবড়ায়ে খাজনা আদায় করতো । সেই দলের প্রধান ছিলেন যিনি তার নাম তোফায়েল । সেই অবহেলিত তোফায়েলই ২০১৪ সালে এসে জানান দিলেন তিনি আসলেই ছিলেন স্যার টোফায়েল !!

তবে যে শুধু মাইগ্রেসন করলেই বা সময়ের সাথে সাথেই নামধাম জাত পাল্টাতে হয় তা কিন্তু না ।

প্রভু পরিবর্তন হলেও নাম টাইটেল , জাত পাত পরিবর্তন হতেই পারে । এতে দোষের কিচ্ছু নাই ।

১২ আওলিয়া দের দল যখন এই বাঙলার বুকে নামলো তখন অনেকেই বাপ, দাদা , বড়দাদা'র জাতের নিকুচি করে করে অন্য জাতে , অন্য ধর্মে মাইগ্রেসন করেছিলেন ।তাকে দোষ দেখার কিছু কিচ্ছু নেই।

ইংলিস'রা যখন কৃষ্ণ নগর , হুগলী তে আসলো অনেকেই সেই সময় নগদ নারায়ণ আর নগদ বানিজ্যের আশাতে যীশু খৃষ্টের পথ খুজে নিয়ে ছিলো ।

এই বাঙলার বিক্রম সিংহ শ্রীলংকা যেয়ে ধারণ করেছিলেন গৌতম বুদ্ধের মতো মৌনোভাব ।

তবে এই ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটিয়ে ছিলেন আমাদের এক ঋষি কবি ; তিনিও লালায়িতো ছিলেন তোফায়েল স্যারের মতো একটা স্যার উপাধির জন্য ।

সেই ঊছিলাতে পাওয়া নাইট উপাধি গ্রহণ করে তিনি বাংগালি জাতির মান বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ।

শুনেছি তিনি উপাধি নিলেও উপাধি খচিত উপ টোকন গ্রহন করেন নি ।

তাই তো ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ঋষি কবি ঠাকুর হয়ে গিয়েছিলেন " ট্যেগর" ।।

ট্যাগর আমাদের সাম্প্রদায়িক ঠাকুর'দাঁ ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫

বাইল বলেছেন: ভাইরে এইটা কি লিখছেন? প্যাচ খাইয়া গেলুম

২৫ শে মে, ২০১৫ রাত ১:৫৩

হিজ মাস্টার ভয়েস বলেছেন: :D

২৫ শে মে, ২০১৫ রাত ১:৫৩

হিজ মাস্টার ভয়েস বলেছেন: :D

২| ২৩ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:৫৬

কিউপিড রিটার্নস বলেছেন: সাম্প্রদায়িকতার ভূত ঘাড়ে চড়ে আছে, নামানো আর সম্ভব নাহ, হালের গণতন্ত্র খোর মাইনুদ্দিন আহমেদরা হয়েছে মইন ইউ আহমেদ, গনতন্ত্রের াঁড় মেরে গেলেও নামে আধুনিকতায় তারা ডিজিটাল দেশের প্রথম যোদ্ধা!

২৫ শে মে, ২০১৫ রাত ১:৫৩

হিজ মাস্টার ভয়েস বলেছেন: ঠিক বলেছেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.