নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চমকিয়া উঠে মোর ধ্যানের কৈলাসে মহামৌন যোগীন্দ্র শিব
মিছিলে গেছিলেন কাকা।
বুঝে হোক না বুঝে হোক উনি বিশ্বাস করেছিলেন এরাই আসল লোক।
মিছিলে ক্লান্ত কাকা ফেরার পথে বসে পরলো একটা বড়সড় বট গাছের নিচে। বট ছায়াদায়ী বৃক্ষ।
পেছনেই ঘন বাঁশ বাগান।
কাকা ঠিক করে ফেলল এখানে একটু ঝিম মারবেন, তার পরে বাড়ি যাওয়া।
মাছি ভন ভন করছে। এই একটাই সমস্যা। বছরের এই সময় টাতে মাছি খুব জ্বালাতন করে।
এখানে এত্ত মাছির কারন এক শিয়াল এখানে হেগে থুয়ে গেছে। খুব বিরক্তিকর বিষয়।
এখানে থাকুম ক্যাম্বা?
শেষমেশ পাওয়া গেল এক লোক। হাতে চটের তৈরি বাজারের ঝোলা।
কি আছে গো বাবাজী তোমার ব্যাগে?
এই সদায় নিলাম কাহা।
চাল, ডাল আর তরকারি!
কাকা আগন্তুকের কাছ থেকে দু তিন মুঠি চাল আর ডাল আদায় করে নিলেন খিচুড়ি খাবেন বলে।
আগুন্তুক ভাবলো বৃদ্ধ মানুস! কিছু তরকারি দিলে ভালো হত।
কিছু লাল শাক, কচুর লতি, আর দুটি করে পেয়াজ আর রসুন যোগ করে দিলো আগন্তুক।
বৃদ্ধ নির্দিধায় শিয়ালের গু'য়ের উপর ঢেলে দিল চাল, ডাল, কচুর লতি, লাল শাক আর পেয়াজ রসুন।
দুপুরের নামাজ পরতে যেয়ে মসজিদ থেকে বুড়া নিতে আসলো আগরবাতি। অরিজিনাল আগরবাতি নাকি মশা তারানোর মক্ষম যমদূত।
আসরের পরে হাট থেকে ফেরা মানুস দেখলো চাল,ডাল আর কচুর লতি,র সাথে আগরবাতি জ্বলছে।
পাশেই ঘুমন্ত বৃদ্ধ, সাদা শুভ্র দাড়ির ফাঁকেফাঁকে দু একটা আধাপাকা দাড়ি চিলিক দিচ্ছে।
বাজারের খলিফা এক টুকরা কাপর দিয়ে বৃদ্ধ কে ঢেকে দিল।
সন্ধা ঘনিয়ে আসছে।
দূর পথের পথিকেরা ঘড়ে ফিরছে।
অসহায় ধরে নিয়ে কেও দিয়ে গেল আরো কিছু চাল, আটা, শশা,গাজর, ভেন্ডি এই সব।
রাতের ভেতর শিয়ালের গু ঢাকা পরে গেল খাদ্য দ্রব্যের স্তুপে।
বৃদ্ধ বিশ্রাম শেষে বাড়ি ফিরে গেল। কিছুই সাথে নিলো না।
সকালে পৌরসভার ম্যাথর আগরবাতি আর ধুপছায়া দেখে বিচলিত হয়ে পরলো।
ম্যাথর গরিব মানুস, তার দেবার কিছু নাই। তাই মাথার লাল রুমাল টা রেখে গেল।
এর পরে সূর্য উঠলো কড়া। লোক জন সব ভিড় করলো।
ইহা কি! কি ইহা ?
মাজার? মাজার আসলো কোথা থেকে?
কার মাজার?
খোদার কোন নেক বান্দা,র কবর এখানে।
জগলুর বউ বাজা। এবার বাচ্চা না হলে সে গলাই দড়ি দেবে বলে ঠিক করেছে মনে মনে।
নয়া মাজারের কথা শুনে জগলুর বউ মানত করে ফেললো।
বিকাল বেলা যখন মুত্র পরিক্ষার রিপর্ট আসলো জানা গেল এবার বাচ্চা হবে।
জগলু আর তার বউ ছুটলো মাজারে।
বউ কই মাজার?
এই যে এখানে।
জগলু দেখলো তার দেওয়া সেই কচুরলতি উকি মারছে মাজার থেকে।
বুঝলে বাবা আচানক কাজ। রাতে রাতেই মাজার। এটা যে কার মাজার বাবা ক্যমনে বুঝি। মাতব্বর সাহেবের প্রশ্ন।
চাচা আমি কিন্তু জানি এটা কার মাজার!
কার বাবা কার মাজার!
চাচা এটা মাওলানা শিয়াল শাহ্' মাইছভান্ডারী, র মাজার। আমি সপ্নে দেখেছি।
এর পরে সেই মাজার জমে উঠলো।
মাজার কমিটি ভোট করলো
৮৬ সালে নির্বাচন করলো তারপরে
আরো অনেক ভোট করলো।
একবার তারা সংসদে তিন টা আসনও পেলো।
এবার নাকি মাজারের ব্যাবসা ভালো হয়েছে ; ১০০ আসন পাওয়া যাবেই যাবে।
শুধু একটু গ্যাঁট হয়ে বসে থাকতে হবে।।
©somewhere in net ltd.