![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তুমি বলো, আমাদের আত্মার মধ্যে মিল ছিল!
কি চমৎকার বুলি! শুনলে মনে হয় যেন মহাবিশ্বের দুটি তারা মিলে গেছে!
আসলে তুমি এতটাই ব্যতিক্রমী একজন মানুষ, যাকে দেখে মানুষের আত্মা তো দূরের কথা—চোখেরও দৃষ্টি ধাঁধিয়ে যায়।
তুমি হয়তো ভাবো, তুমি কারও হৃদয় ভেঙে চলে গেলে সেটা কবিতার মতো শোনায়, আর সবাই তোমার অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে হাততালি দেবে?
দুঃখিত! আমি তোমার মঞ্চের দর্শক নই।
আমি সেই মানুষ, যে সত্যি ভালোবেসেছিল, মায়ায় নয়—মন দিয়ে, আত্মা দিয়ে।
তুমি বুঝতে পারোনি বলেই তো এত সহজে ভুলে গেলে, আর আজ এসে দার্শনিক সাজো—“আত্মার মিল ছিল” বলে।
আত্মার মিল তো হয় তখন, যখন দুটি মানুষ একে অন্যকে বুঝতে শেখে, শ্রদ্ধা করে, পাশে দাঁড়ায়।
তুমি কী করেছিলে?
তুমি বুঝেছিলে, আমি দুর্বল, সরল—তাই আমার বিশ্বাসটাকে পুঁজি বানিয়ে খেলেছিলে স্বার্থের খেলা।
তুমি চাইছিলে একটা মানুষ, যে তোমার ছায়া হবে; আমি চাইছিলাম একজন, যে পাশে থাকবে।
এই দুই চাওয়ার ফারাকটাই তো প্রমাণ করে—কোনো আত্মার মিল ছিল না, ছিল কেবল তোমার সুবিধার চতুর ছলনা।
আর আজ যখন তোমার সেই মুখোশ খুলে পড়েছে, তখন তুমি এসেছো “বাস্তব প্রমাণ” দেখাতে?
কি দুঃসাহস!
এটা কি দুঃখের নাটক, নাকি কল্পনার কৌতুক?
তোমার আত্মা যদি সত্যিই আমার আত্মার মতো হতো, তাহলে এতদিনে বুঝতে পারতে—ভালোবাসা কোনো দর কষাকষি নয়।
ভালোবাসা মানে, কাউকে নিজের মধ্যে জায়গা করে দেওয়া—যেখানে ফাঁকি, মিথ্যে আর সুবিধাবাদ জায়গা পায় না।
কিন্তু তুমি তো ভালোবাসাকে একটা ছেলেখেলা ভাবলে, আর আমাকে ভাবলে তোমার খেলার পুতুল।
তবে শুনে রাখো—আমি এখন আর সেই মানুষ নই, যে তোমার একটুখানি হাসির আশায় দিন কাটায়।
আমি নিজেকে চিনেছি, নিজের মূল্য বুঝেছি।
তোমার মতো আত্মাহীন সম্পর্ক আমার প্রয়োজন নেই।
তুমি যেটাকে “আত্মার মিল” বলেছিলে, সেটাকে আমি এখন বলি—“ভুল মানুষের সঙ্গে সময় নষ্ট করার কঠিন শিক্ষা।”
তোমার “বাস্তব প্রমাণ” হলো, তুমি প্রমাণ করেছো—সবাইকে বিশ্বাস করা যায় না, এবং মিথ্যেও একসময় নিজেকে ফাঁসিয়ে ফেলে।
সুতরাং, অভিনন্দন! তুমি সফল হয়েছো—নিজেকে চেনাতে।
আর আমি কৃতজ্ঞ, কারণ তোমার প্রতারণাই আমাকে আজ শক্ত করে তুলেছে।
©somewhere in net ltd.