নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Writing for Beauty

A passionate writer

হোসাইন আব্দুল হাই

Working as journalist and development activist in Germany

হোসাইন আব্দুল হাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

'পায়ে হাটার পথ'

০৩ রা মে, ২০১৩ ভোর ৫:২১

------------হোসাইন আব্দুল হাই

১.

প্রত্যয় মনির। গ্রাম বাংলার আলো-ছায়ায় মানুষ। সেই ছোট্ট থেকে চারিদিকে দেখে অভ্যস্ত নিয়ম ভাঙার প্রতিযোগিতা। অনিয়ম আর অন্যায় করতে দেখেছে সেই বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরুনোর সবটা সময়। তাই বৃত্তি নিয়ে মধ্য ইউরোপের দেশ জার্মানিতে পড়তে এসে মানুষের সততা আর নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধা দেখে সবসময়ই মাথা হেট হয়েছে প্রত্যয়ের।



দেখতে দেখতে দু'টো বছর কেটে গেছে জার্মানির একাংশের সাবেক রাজধানী বন শহরে। বন শহরের বাসিন্দারা এটিকে নগরী হিসেবে দাবি করলেও আসলে এটি সবুজ ঘন গাছ-গাছালিতে ঘেরা একটি নিবিড় ছায়াময় গ্রাম। তবে এটিকে নাগরিক সুবিধার দিক থেকে যতোটাই উন্নত করা হোক না কেন পরিবেশের দিকে কড় নজর দিতে গিয়েই নগর কর্তৃপক্ষ আরো বেশি করে গ্রাম বানিয়ে তুলছে। পরিবেশ সুরক্ষায় আরো কি করা যায় সেই দিকে নগর পিতা থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিকদেরও সমান দৃষ্টি। তাই আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ঝকঝকে পাকা দালান তৈরি করা হলেই তার আশেপাশে সাজিয়ে দেয়া হয় মনোরম সবুজ বাগান। তার সাথে রয়েছে পরিবেশ বান্ধব যানবাহনের ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ এবং রাস্তা-ঘাট, বন-বাদাড় সবকিছু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখার সযত্ন চেষ্টা। রয়েছে ময়লা-আবর্জনার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য কাগজ, প্লাস্টিক ও জৈব বর্জ্য পদার্থের পৃথক পৃথক ডাস্টবিন। প্রত্যয় এমন সচেতনতা আর আন্তরিক উদ্যোগ খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করে আর মনে মনে ভাবতে থাকে এমন সুন্দর ব্যবস্থা ঠিক কবে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে চালু করা সম্ভব হবে?



এছাড়া পরিবেশের জন্য সবচেয়ে উপযোগী বাহন হিসেবে সাইকেলের জনপ্রিয়তা এবং সাইকেল ব্যবহারের জন্য বলতে সারা জার্মানি জুড়েই রয়েছে নানা উদ্যোগ। প্রত্যয় খুব আশ্চর্য হয়ে ভাবে, এখানে সাইকেল কোন দারিদ্র্যের প্রতীক নয়। বরং নারী-পুরুষ, ছোট-বড় সবাই সাইকেল ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশের উপকার করছে বলে গর্ব বোধ করে। প্রতিটি ভবনের সাথে সাইকেল রাখার জন্য বিশেষ জায়গা বরাদ্দ থাকলেও একটি ভবনের দেয়ালে দৃষ্টি থেমে যায় প্রত্যয়ের। কারণ সেখানে সাইকেল রাখার নির্ধারিত জায়গায় বেশ বড়সড় করে লেখা - পরিবেশ বীরদের জন্য বরাদ্দ।



বন আসার প্রায় বছর খানেক পর হঠাৎ একদিন অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় প্রত্যয়। অপারেশনের আগে পরে মিলিয়ে কয়েকদিন হাসপাতালে কাটাতে হয় তাকে। হাসপাতালের অলস সময়গুলো কাটতে চাইতো না বলে বেশ সকালেই ঘুম ভেঙে যেতো। একদিন সকালে হাসপাতালের জানালা দিয়ে বাইরে চেয়ে আছে সে। দেখল সামনেই গাড়ি রাখার নির্ধারিত জায়গাগুলো ধীরে ধীরে দখল হয়ে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ ধরে একটি গাড়ির চালক ফাঁকা জায়গার খোঁজে গাড়ি নিয়ে ঘোরাঘুরি করছে। শেষে যুবক চালক দেখতে পেল একটি গাড়ি বের হবে বলে মনে হচ্ছে। ফলে সেখানে নিজের গাড়িটি রাখার পরিকল্পনা করেছে যুবক চালকটি। কিন্তু আগেই গাড়িটিকে বের হতে দেওয়ার জন্য জায়গা দিতে একটু দূরে গেলে অপর একটি গাড়ি নিয়ে এসে এক বৃদ্ধ চালক সেই জায়গাটি দখল করে নেন। এতে বেশ আগে থেকে অপেক্ষমান যুবক চালকটি বেশ রেগে যায়। যুবক ও বৃদ্ধ চালকের মধ্যে একটু উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হলো। তবে সেপর্যন্তই। এছাড়া পথে-ঘাটে এমন কিছু ভুল-বোঝাবুঝির ঘটনা মাঝে মাঝেই দেখতে পায় প্রত্যয়। তবে কাউকে কখনও হাতাহাতি করতে দেখার মতো সুযোগ হয়নি। এমনকি কোন রক্ত টগবগে থাকা কিশোর-তরুণ কিংবা যুবককেও না।

২.

এমন পরিবেশে পথ চলা বলতে গেলে কিছুটা কঠিনই মনে হয় প্রত্যয়ের কাছে। কারণ কিন্তু নিয়ম মেনে চলা নয়। বরং যেখানে মানুষ একে অপরকে এতোটা শ্রদ্ধা করে চলে সেখানে কখন না জানি কেউ কষ্ট পায় সেব্যাপারে সবসময় খেয়াল রাখাটা। যেমন বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী কিংবা দুর্বল কেউ আসলে তার জন্য বাস-ট্রেনের আসন ছেড়ে দেওয়া, সারিতে তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া কিংবা কোনভাবে যেন কারো পথে বাধা হয়ে না দাঁড়িয়ে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখার মতো খুব ছোটখাটো বিষয়গুলোর দিকেও তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হয়।



এদিকে, প্রত্যয়ের হলে প্রায় দু'বছর ধরে এক ইরানি ছাত্র ছিল। তার গবেষণার কাজ শেষ হওয়ায় সে দেশে ফিরে গেছে গত সপ্তাহে। দেশে ফিরে যাওয়ার সময় তাকে অনেক কিছুই ফেলে দিতে হয়েছে। তবে সাইকেলটা ফেলে দেওয়ার চাইতে প্রত্যয়কে দিয়ে যাওয়ায় ভালো-এমনটি ভেবে প্রত্যয় মনির। গ্রাম বাংলার আলো-ছায়ায় মানুষ। সেই ছোট্ট থেকে চারিদিকে দেখে অভ্যস্ত নিয়ম ভাঙার প্রতিযোগিতা। অনিয়ম আর অন্যায় করতে দেখেছে সেই বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরুনোর সবটা সময়। তাই বৃত্তি নিয়ে মধ্য ইউরোপের দেশ জার্মানিতে পড়তে এসে মানুষের সততা আর নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধা দেখে সবসময়ই মাথা হেট হয়েছে প্রত্যয়ের।



দেখতে দেখতে দু'টো বছর কেটে গেছে জার্মানির একাংশের সাবেক রাজধানী বন শহরে। বন শহরের বাসিন্দারা এটিকে নগরী হিসেবে দাবি করলেও আসলে এটি সবুজ ঘন গাছ-গাছালিতে ঘেরা একটি নিবিড় ছায়াময় গ্রাম। তবে এটিকে নাগরিক সুবিধার দিক থেকে যতোটাই উন্নত করা হোক না কেন পরিবেশের দিকে কড় নজর দিতে গিয়েই নগর কর্তৃপক্ষ আরো বেশি করে গ্রাম বানিয়ে তুলছে। পরিবেশ সুরক্ষায় আরো কি করা যায় সেই দিকে নগর পিতা থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিকদেরও সমান দৃষ্টি। তাই আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ঝকঝকে পাকা দালান তৈরি করা হলেই তার আশেপাশে সাজিয়ে দেয়া হয় মনোরম সবুজ বাগান। তার সাথে রয়েছে পরিবেশ বান্ধব যানবাহনের ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ এবং রাস্তা-ঘাট, বন-বাদাড় সবকিছু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখার সযত্ন চেষ্টা। রয়েছে ময়লা-আবর্জনার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য কাগজ, প্লাস্টিক ও জৈব বর্জ্য পদার্থের পৃথক পৃথক ডাস্টবিন। প্রত্যয় এমন সচেতনতা আর আন্তরিক উদ্যোগ খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করে আর মনে মনে ভাবতে থাকে এমন সুন্দর ব্যবস্থা ঠিক কবে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে চালু করা সম্ভব হবে?



এছাড়া পরিবেশের জন্য সবচেয়ে উপযোগী বাহন হিসেবে সাইকেলের জনপ্রিয়তা এবং সাইকেল ব্যবহারের জন্য বলতে সারা জার্মানি জুড়েই রয়েছে নানা উদ্যোগ। প্রত্যয় খুব আশ্চর্য হয়ে ভাবে, এখানে সাইকেল কোন দারিদ্র্যের প্রতীক নয়। বরং নারী-পুরুষ, ছোট-বড় সবাই সাইকেল ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশের উপকার করছে বলে গর্ব বোধ করে। প্রতিটি ভবনের সাথে সাইকেল রাখার জন্য বিশেষ জায়গা বরাদ্দ থাকলেও একটি ভবনের দেয়ালে দৃষ্টি থেমে যায় প্রত্যয়ের। কারণ সেখানে সাইকেল রাখার নির্ধারিত জায়গায় বেশ বড়সড় করে লেখা - পরিবেশ বীরদের জন্য বরাদ্দ।



৩.

বন আসার প্রায় বছর খানেক পর হঠাৎ একদিন অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় প্রত্যয়। অপারেশনের আগে পরে মিলিয়ে কয়েকদিন হাসপাতালে কাটাতে হয় তাকে। হাসপাতালের অলস সময়গুলো কাটতে চাইতো না বলে বেশ সকালেই ঘুম ভেঙে যেতো। একদিন সকালে হাসপাতালের জানালা দিয়ে বাইরে চেয়ে আছে সে। দেখল সামনেই গাড়ি রাখার নির্ধারিত জায়গাগুলো ধীরে ধীরে দখল হয়ে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ ধরে একটি গাড়ির চালক ফাঁকা জায়গার খোঁজে গাড়ি নিয়ে ঘোরাঘুরি করছে। শেষে যুবক চালক দেখতে পেল একটি গাড়ি বের হবে বলে মনে হচ্ছে। ফলে সেখানে নিজের গাড়িটি রাখার পরিকল্পনা করেছে যুবক চালকটি। কিন্তু আগেই গাড়িটিকে বের হতে দেওয়ার জন্য জায়গা দিতে একটু দূরে গেলে অপর একটি গাড়ি নিয়ে এসে এক বৃদ্ধ চালক সেই জায়গাটি দখল করে নেন। এতে বেশ আগে থেকে অপেক্ষমান যুবক চালকটি বেশ রেগে যায়। যুবক ও বৃদ্ধ চালকের মধ্যে একটু উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হলো। তবে সেপর্যন্তই। এছাড়া পথে-ঘাটে এমন কিছু ভুল-বোঝাবুঝির ঘটনা মাঝে মাঝেই দেখতে পায় প্রত্যয়। তবে কাউকে কখনও হাতাহাতি করতে দেখার মতো সুযোগ হয়নি। এমনকি কোন রক্ত টগবগে থাকা কিশোর-তরুণ কিংবা যুবককেও না।



এমন পরিবেশে পথ চলা বলতে গেলে কিছুটা কঠিনই মনে হয় প্রত্যয়ের কাছে। কারণ কিন্তু নিয়ম মেনে চলা নয়। বরং যেখানে মানুষ একে অপরকে এতোটা শ্রদ্ধা করে চলে সেখানে কখন না জানি কেউ কষ্ট পায় সেব্যাপারে সবসময় খেয়াল রাখাটা। যেমন বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী কিংবা দুর্বল কেউ আসলে তার জন্য বাস-ট্রেনের আসন ছেড়ে দেওয়া, সারিতে তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া কিংবা কোনভাবে যেন কারো পথে বাধা হয়ে না দাঁড়িয়ে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখার মতো খুব ছোটখাটো বিষয়গুলোর দিকেও তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হয়।



৪.

প্রত্যয়ের হলে প্রায় দু'বছর ধরে এক ইরানি ছাত্র ছিল। তার গবেষণার কাজ শেষ হওয়ায় সে দেশে ফিরে গেছে গত সপ্তাহে। দেশে ফিরে যাওয়ার সময় তাকে অনেক কিছুই ফেলে দিতে হয়েছে। তবে সাইকেলটা ফেলে দেওয়ার চাইতে প্রত্যয়কে দিয়ে যাওয়ায় ভালো-এমনটি ভেবে সে প্রত্যয়কে জিজ্ঞেস করল - সে ওটা চালাতে আগ্রহী কি না। প্রত্যয় বেশ খুশি হয়েই সেটা নিল। ইরানি ছেলেটা চলে যাওয়ার পর কাছাকাছি বাজারে কিছু খাবার-দাবার কেনার জন্য সাইকেলটা চালিয়ে গেল প্রত্যয়। জার্মানিতে প্রথম দিন সাইকেল চালিয়ে বেশ উত্তেজিত সে। দু'দিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাশ করতে যাওয়ার সময় ভাবল আজ সাইকেল নিয়ে যাবে। যদিও বাসে এবং ট্রেনে করে সে খুব আরামেই বিশ্ববিদ্যালয় যেতে পারে, তবুও সাইকেল একটা পেয়েছে বলে এখন প্রতিদিনই কিছুসময় তার সাইকেল চালাতে মন চায়। প্রত্যয় বেশ সতর্কতার সাথে ছাত্রাবাস থেকে রওয়ানা করে। তবে বড় রাস্তার সাইকেল চিহ্নিত অংশ দিয়ে বেশ জোরেই সাইকেল চালায় সে। ঠিকমতো ট্রাফিক সিগন্যাল না মানলে মানুষ আবার খুব খারাপভাবে নেবে ব্যাপারটা। তাই ঠিকঠাকমতো সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকে। সবুজ বাতি জ্বলার পর পেছনে থাকা বাস এবং কার এগিয়ে গেলে প্রত্যয়ও তার সাইকেল নিয়ে এগিয়ে যায়।



কিছুক্ষণের মধ্যেই বন ট্রেন স্টেশনে পৌঁছে যায় প্রত্যয়। হাট-বাজারের অন্যান্য সব জায়গার মতো ট্রেন স্টেশনেও হুইল চেয়ার, শিশুদের ঠেলা গাড়ি নিয়ে চলাচলকারী এবং সাইকেল ব্যবহারকারীদের জন্য ঢালাও করা আছে সিঁড়ির পাশাপাশি। সেখানেও মাত্র দু'একজন মানুষ দেখে প্রত্যয় খুব ধীরে ধীরে সাইকেল চালিয়েই এগিয়ে যায়। এমনকি পথ ফাঁকা দেখে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে পর্যন্ত সাইকেলে চড়ে যেতে থাকে সে। মনে মনে ভাবছে, পথিক বেশি থাকলেই সে নেমে হেটে যাবে। কিন্তু সেই সুযোগ পায় না সে। পাশ দিয়ে এক বৃদ্ধবয়সি সুঠাম জার্মান প্রত্যয়ের কাঁধে বেশ জোরেই থাবা বসিয়ে দেয়। আর মুখে শুধু বলে 'ফুসগেঙার জোন', যার অর্থ 'পায়ে হাটার পথ'। বৃদ্ধের থাবা খেয়ে শরীরে কোন ব্যথা না পেলেও ঘটনার আকস্মিকতায় খুব ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় প্রত্যয়। সাইকেল থেকে নেমে পায়ে হেটে এগিয়ে ট্রেনে ওঠে। তবে সারাক্ষণই যেন মনের গহীনে বাজতে থাকে সেই বৃদ্ধের কণ্ঠস্বর 'ফুসগেঙার জোন'।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:১৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: ++++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.