নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করব,মানবতার সমাজ গড়বো ইনশাআল্লাহ।

মোঃ হৃদয় মোল্লা

বিএসসি অনার্স(রসায়ন)নরসিংদী সরকারি কলেজ

মোঃ হৃদয় মোল্লা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যম পন্থা

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৩

দ্বীনের ভিতরে মধ্যম পন্থা বলতে কি বুঝায়?

➡দ্বীনের ভিতরে মধ্যম পন্থা অবলম্বনের অর্থ এই যে,মানুষ দ্বীনের মধ্যে কিছু বাড়াবে না।যাতে সে আল্লাহর নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে ফেলে। এমনিভাবে দ্বীনের কোন অংশ কমাবে না।যাতে সে আল্লাহর নির্ধারিত দ্বীনের কিছু অংশ বিলুপ্ত করে দেয়।

নবী (সা) এর জীবনীর অনুসরণ করাও দ্বীনের মধ্যে মধ্যম পন্থা অবলম্বনের অন্তর্ভুক্ত। তাঁর জীবনাদর্শ অতিক্রম করা দ্বীনের ভিতরে অতিরঞ্জনের শামিল। তাঁর জীবন চরিতের অনুসরণ না করা তাঁকে অবহেলা করার অন্তর্ভুক্ত। উদাহরণ স্বরুপ বলা যায় যে,একজন লোক বললো আমি সারা জীবন রাত্রি বেলা তাহাজ্জুদের সালাত পড়বো।রাত্রিতে কখনোই নিদ্রা যাব না।কারণ সালাত সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত। তাই আমি নামাজের মাধ্যমে বাকি জীবনের রাত্রি গুলো জাগরণ করতে চাই। আমরা তার উত্তরে বলব যে,এই ব্যক্তি দ্বীনের মধ্যে অতিরঞ্জিতকারী। সে হকের উপর নয়।নবী(সা) এর যুগে এরকম হয়েছিল।তিনজন লোক একত্রিত হয়ে একজন বললো, আমি সারা রাত সালাত আদায় করবো।আরেক জন বললো আমি সারা বছর সিয়াম পালন করবো বিরতিহীনভাবে।তৃতীয় জন বললো আমি স্ত্রী সহবাস করবো না।নবী(সা) এর কাছে এই সংবাদ পৌঁছলে তিনি বললেন, একদল লোকের কি হলো তারা এরকম কথা বলে থাকে? অথচ আমি রোজা রাখি এবং কখনো রোজা থেকে বিরত থাকি।রাতে ঘুমাই এবং আল্লাহর ইবাদত করি।স্ত্রীদের সাথে ও মিলিত হই।এটি আমার সুন্নাত।সুতরাং যে ব্যক্তি আমার সুন্নাহ থেকে বিমুখ থাকবে সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।এই লোকেরা দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করার কারণে রাসুল (সা) তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্নতার ঘোষণা করলেন। কেননা তারা রোজা রাখা না রাখা, রাত্রি জাগরণ করা, ঘুমানো এবং স্ত্রী সহবাস করার ক্ষেত্রে তাঁর সুন্নাতকে প্রত্যাখ্যান করতে চেয়েছিল।

দ্বীনী বিষয়ে যে ব্যক্তি অবহেলা করে বলবে যে,আমার নফল ইবাদতের দরকার নেই। শুধু ফরজ ইবাদত গুলো পালন করবো। আসলে সে ব্যক্তি ফরজ আমলেও অবহেলা করে থাকে।

সঠিক পথের অনুসারী হলো সেই ব্যক্তি যে রাসুল (সা) এবং খোলাফায়ে রাশেদার সুন্নাহর উপর চলবে।

অন্য একটি দৃষ্টান্ত হলো, মনে করুন তিন জন ভালো লোকের পাশে রয়েছে একজন ফাসেক ব্যক্তি।তিনজনের একজন বলল আমি এই ফাসেককে সালাম দিব না।তার থেকে দূরে থাকব এবং তার সাথে কথা বলব না।অপরজন বলল, আমি এর সাথে চলব,সালাম দিব,হাসিমুখে তার সাথে কথা বলব, তাকে দাওয়াত দিব,এবং দাওয়াতে আমি ও শরিক হব।আমার নিকট সে অন্যান্য সৎ লোকের মতোই। তৃতীয় জন বলল, আমি এই ফাসেক ব্যক্তিকে তার পাপাচারিতার কারণে ঘৃণা করি। তার ভিতরে ইমান থাকার কারণে তাকে ভালোবাসি। তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করব না।তবে তাকে সংশোধনের কারণে বর্জন করা হলে তা ভিন্ন কথা।তাকে বর্জন করলে যদি তার পাপাচারিতা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা হয়,তবে আমি তাকে বর্জন করব না।এই তিনজনের ১ম ব্যক্তি বেশি বাড়াবাড়ি করল।২য় জন ত্রুটি করল এবং ৩য় জন মধ্যম পন্থা এবং সঠিক পথের অনুসরণ করল।

অন্যান্য সকল ইবাদত ও মানুষের মুআমালাতের[১] ক্ষেত্রে ও অনুরূপ। মানুষ এতে ত্রুটি,বাড়াবাড়ি এবং মধ্যম পন্থা অবলম্বন করে থাকে।

আরও একটি উদাহরণ ভালো করে শ্রবণ করুন। মনে করুন একজন লোক তার স্ত্রীর কথায় চলে। তার স্ত্রী যেখানে পাঠায় সেখানে যায়। সে তার স্ত্রীকে অন্যায় কাজ হতে বাধা প্রদান করে না এবং ভালো কাজে উৎসাহ দেয় না।সকল ক্ষেত্রেই স্ত্রী তার উপর কর্তৃত্ব করছে এবং তার মালিক হয়ে বসেছে।

আরেক ব্যক্তি তার স্ত্রীর কোনো ব্যাপারেই গুরুত্ব দেয় না। তার স্ত্রীর সাথে অহংকার করে চলে।যেন তার স্ত্রী তার কাছে চাকরানীর চেয়ে অবহেলিত। অন্য ব্যক্তি মধ্যম পন্থা অবলম্বন করে এবং আল্লাহ ও রাসুল (সা) প্রদত্ত সীমা অনুযায়ী স্ত্রীর সাথে আচরণ করে থাকে।
আল্লাহ বলেন, "তাদের (স্ত্রীদের) জন্য তোমাদের উপর হক রয়েছে, যেমন তাদের উপর তোমাদের হক রয়েছে।"
[সুরা বাকারা-২২৮]

কোনো পুরুষ তার স্ত্রীকে হেয় প্রতিপন্ন করবে না।স্ত্রীর কোনো একটি চরিত্রকে অপছন্দ করলে হয়তো অন্য একটি গুণ দেখে সে সন্তুষ্ট হয়ে যাবে।[২].
শেষ ব্যক্তি মধ্যম পন্থা অবলম্বনকারী,প্রথম ব্যক্তি স্ত্রীর সাথে ব্যবহারের ক্ষেত্রে অতিমাত্রায় শিথিল এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি ত্রুটিকারী(অবহেলাকারী ও অবজ্ঞাকারী)।
হে পাঠক! আপনি সকল ইবাদত ও আচার-আচরণকে উক্ত উদাহরণ গুলোর উপরে অনুমান করুন।

ফুটনোট :

১.মানুষ পরস্পরে যে লেনদেন, বেচাকেনা, চুক্তি, ওয়াদা-অঙ্গীকার ও পার্থিব ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অন্যান্য দুনিয়াবি কাজকর্ম করে থাকে,তাকে ইসলামের পরিভাষায় মুআমালাত বলা হয়।এসবের সাথে ইবাদতের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে এগুলো যদি ইসলামি নীতিমালার ভিতর হয় এবং তাতে আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করা হয়, তবে তাও ইবাদতে পরিণত হয়।
২.মুসলিম, অধ্যায়:কিতাবুর রাদা

শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন(রহ)

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৩

ইসিয়াক বলেছেন: আপনার পোষ্টগুলো বিরক্তিকর ।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০০

মোঃ হৃদয় মোল্লা বলেছেন: কেন?

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: ইসিয়াক বলেছেন: আপনার পোষ্টগুলো বিরক্তিকর ।

ধর্মীয় পোষ্ট বিরক্ত লাগার কারন কি?

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৬

মা.হাসান বলেছেন: ভালো লেগেছে। সরল কথায় ব্যাখ্যা করেছেন।

৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালো লিখেছেন। ইসলাম মধ্যম পন্থার উপর গুরুত্ব দিয়াছে। সাধ্যের অতিরিক্ত কোনও বোঝা আল্লাহ কারও উপর দেন না। অনেক সময় ধর্মীয় অপ ব্যাখ্যার কারণে আমরা বাড়াবাড়ি করে ফেলি।

৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:৩৩

জগতারন বলেছেন:
এইখানে আমার একটি মন্তব্য ছিল এখন এসে দেখি সেটি উধাও !
কারন কি ?
এই ব্লগ লেখকের আঁতে ঘা লাগল নাকি ?

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০১

মোঃ হৃদয় মোল্লা বলেছেন: মনোযোগ দিয়ে না পড়ে মন্তব্য করলে তা মুছে দেওয়া হবে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.