নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করব,মানবতার সমাজ গড়বো ইনশাআল্লাহ।

মোঃ হৃদয় মোল্লা

বিএসসি অনার্স(রসায়ন)নরসিংদী সরকারি কলেজ

মোঃ হৃদয় মোল্লা › বিস্তারিত পোস্টঃ

"আমরা" সম্বোধন!

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫১

কুরআনে কেন আল্লাহ নিজেকে "আমরা" বলে সম্বোধন
করেছেন?
________________________________
শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়্যা (রঃ) এর ব্যাখ্যয় বলেছেন,"আরবি সাহিত্যের একটি বৈশিষ্ট্য হলো, কোন ব্যক্তি নিজের সম্মান বা গৌরব বুঝাতে নিজেকে নাহনু (আমরা) সর্বনাম দিয়ে প্রকাশ করতে পারেন আবার তিনি একত্ব বুঝাতে আনা (আমি) অথবা তৃতীয় পুরুষ হুয়া (সে) সর্বনামগুলোও ব্যবহার করতে পারেন।

আল্লাহ আরবদের যখন তাদের ভাষাতেই সম্বোধন করেছেন, তিনি কুরআনে এই তিন ধরনের স্টাইলই ব্যবহার করেছেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা নিজেকে কিংবা নিজের নাম এবং গুণসমূহ প্রকাশ করার জন্য কখনো একবচন আবার কখনো বহুবচন ব্যবহার করেছেন।যেমন, "নিশ্চয়ই আমরা আপনাকে এক সুস্পষ্ট বিজয় দান করেছি।" [সূরা ফাতহ্ ৪৮:১] বা এধরনের আরো অনেক আয়াত। কিন্তু আল্লাহ কখনোই দ্বৈত বা দ্বিবচন ব্যবহার করেননি। কারণ বহুবচন যেখানে আল্লাহর মর্যাদা, তাঁর নাম এবং গুণসমূহের মাহাত্ম্যকে প্রকাশ করে, দ্বিবচনাত্মক শব্দ সেখানে শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট সংখ্যাকেই (দুই) নির্দেশ করে, যা থেকে তিনি অনেক উর্ধ্বে।
[আল আকিদাহ আল তাদমুরিয়্যা,
পৃষ্ঠা ৭৫]

ইমাম ইবনে তাইমিয়্যা (রঃ) আরো বলেন,
"ইন্না (নিশ্চয়ই আমরা) বা নাহনু (আমরা) এবং বহুবচনাত্মক অন্যান্য শব্দগুলোর বিভিন্ন রূপ
যেমন একটি দল বা সমষ্টির পক্ষে একজনের বক্তব্যের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় তেমনি কোন ব্যক্তির সম্মান এবং মর্যাদা প্রকাশেও ব্যবহৃত হয়। যেমন কোন সম্রাট যখন কোন আদেশ জারি করেন, তখন সেখানে বলা হয়,'আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ... ...'এক্ষেত্রে যদিও একজন মানুষই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিন্তু তার সম্মানার্থে বহুবচন ব্যবহার করা হচ্ছে। যিনি সবার চেয়ে বেশি সম্মানিত হবার যোগ্য, তিনি হলেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। তাই তিনি যখন কুরআনে ইন্না বা নাহনু
ব্যবহার করেন তা তাঁর সম্মান আর মর্যাদাকেই প্রকাশ করে,সংখ্যাধিক্যকে নয়।যদি এধরনের কোন আয়াত কারো মনে সন্দেহ সৃষ্টি করে তাহলে তার উচিত হবে অন্যান্য স্পষ্ট এবং পরিষ্কার আয়াতগুলোর দিকে দৃষ্টি দেয়া। যেমন একজন খৃষ্টান যদি উদাহরণস্বরূপ
কুরআনের এই আয়াত সামনে নিয়ে আসে যে, "আমরাই উপদেশ (সম্বলিত কুরআন) নাজিল করেছি এবং আমরাই তার সংরক্ষণকারী।" [সূরা হিজর ১৫:৯]

এখানে বহুবচন ব্যবহার করা হয়েছে। তাহলে আমরা "বলবো,
তিনি আল্লাহ, এক ও অদ্বিতীয়।" [সূরা ইখলাস ১১২:১]
এবং এধরনের আরো যেসব সুস্পষ্ট আয়াত রয়েছে সেগুলো দ্বারা এসব যুক্তি খন্ডন করবো,
যে আয়াতগুলোর অন্য কোন ব্যাখ্যা সম্ভব নয়। এর ফলে যে আসলেই সত্যের সন্ধান করছে তার মনের সব সন্দেহ দূর হয়ে যাবে। প্রতিবার আল্লাহ যখন বহুবচন ব্যবহার করেন, তা তাঁর মহান মর্যাদা আর তাঁর অসংখ্য নাম এবং গুণকেই বুঝায়।" [আল আকিদাহ আল
তাদমুরিয়্যা, পৃষ্ঠা ১০৯]

আমরা এই সম্মানসূচক বহুবচন কিন্ত অন্যান্য ভাষায়ও দেখতে পাই। যেমন বৃটেনের রাণী এলিজাবেথের লিখিত বক্তব্যগুলোতে সবসময় We এর ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়।
ইংরেজিতে একে Royal We বলা হয়। এছাড়া অন্যান্য দেশের প্রধানদের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তগুলো জানানোর সময়ও বহুবচন ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

আল্লাহই সর্বজ্ঞানী এবং তিনিই সবচেয়ে ভালো জানেন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.