![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের সম্পর্কে বলার মত তেমন কোনো যোগ্যতা এখন পর্যন্ত অর্জন করতে পারি নি। যদি কখনো পারি তখন ভেবে দেখব।যেহেতু আমি কোন নিয়মিত লেখক নই কাজেই লেখায় ভুলত্রুটি থাকতেই পারে। সেক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা কাম্য।
গত বেশ কিছুদিন ধরেই মিডিয়া পাড়ায় বিশেষ করে ব্লগ, ফেসবুকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে এক রকম তোলপাড় বয়ে যাচ্ছে। কি রকম সেটা আশা করি একটি উদাহরণ দিলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। এইতো মাত্রই ব্লগে লগইন করে দেখতে পেলাম একজন ব্লগার (সংগত কারণেই নাম দিচ্ছি না) পোস্ট করেছেন-
"হিজাব পরার কারণে রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হতে হয়েছে এক ছাত্রীকে। গত ১২ই সেপ্টেম্বর ইউনিভার্সিটির হাফসা ইসলাম নামে এক ছাত্রীকে হিজাব পরায় ড্রেসকোড ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়। এর আগে গত ২২শে জানুয়ারি ড্রেস কোড ও নিরাপত্তার অজুহাতে ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের হিজাব পরা নিষিদ্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এরপরও যেসকল ছাত্রী হিজাব পরিধান করতো তাদেরকে ২৮ মে শোকজ করা হয়। শোকজ কারার পরও হিজাব পরা অব্যাহত রাখায় গত ১২ই সেপ্টেম্বর হাফসাকে বহিষ্কার করা হয়। সনাক্তকরণ সমস্যা ও নিরাপত্তা ঝুকিকে হিজাব নিষিদ্ধের পক্ষে যুক্তি হিসেবে দেখিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।"
লেখার শিরোনামটিও ছিল চোখে পড়ার মত। আমার কাছে লেখাটিকে নিছক কপি পেস্ট ছাড়া কিছুই মনে হয় নি যেহেতু সে কোন সঠিক লিঙ্ক দেখাতে পারে নি। ব্যাপারটি বাড়াবাড়ি ঠেকেছে যখন দেখলাম এটিকে নির্বাচিত পোস্ট করা হয়েছে! বলাবাহুল্য, ফেসবুকে বিতর্কিত নাম, সম্প্রতি ইমামকে হত্যার হুমকিদাতা থলের বিড়াল ফারাবিও বিষয়টিকে রঙ লাগিয়ে নিজের স্ট্যাটাস আপডেট করে এবং সেখানেও যথারীতি কোন লিঙ্ক ছাড়াই!! আর সেটিকে তার একঝাঁক ফলোয়ার্স বেশ ভালোই খেয়েছে।
এবার আসা যাক প্রকৃত ঘটনায়। নাহ হিজাব না। ভার্সিটির ড্রেসকোড অমান্য করে নেকাব পরিধান করার জন্যই হাফসাকে এই সেমিস্টারে রেজিস্ট্রেশান করতে দেয়া হয়নি (বের করে দিয়েছে খবরটি মিথ্যা)। বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রেসকোডে শুধুমাত্র নেকাব জাতীয় মুখোশ ব্যবহারের উপরেই নিষেধাজ্ঞা নেই, সেখানে মিনি স্কার্ট বা থ্রি-কোয়াটার প্যান্ট পরার ব্যাপারেও স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা আছে।
অথচ অনেক ছিদ্রান্বেষী মহল এবং কিছু অসাধু মিডিয়াও ঢালাওভাবে প্রচার করছে বোরকা বা হিজাবের কারণে বহিষ্কার করা হয়েছে ছাত্রীটিকে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রেসকোডের কোথাও বোরকা বা হিজাবের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা নেই। নিষেধাজ্ঞা আছে কেবল নেকাবের ব্যাপারে। যেহেতু নেকাবের জন্য ব্যবহারকারী ছাত্রীটির আইডিকার্ড জাস্টিফাই করা সম্ভবপর হয়ে উঠে না। এবার দেখা যাক ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নেকাবের ব্যাপারে কি বলা আছে,
‘হে নবী! আপনার স্ত্রীগণ, কন্যাগণ, এবং মুমিন মহিলাদেরকে বলে দিন, তারা যেন নিজেদের ওপর নিজেদের চাদরের আঁচল ঝুলিয়ে দেয়, এটা তাদের জন্য ভালো নিয়ম ও রীতি, যেন তাদের চিনতে পারা যায় ও তাদের উত্ত্যক্ত করা না হয়' (সূরা আল আহজাব : ৫৯)।
‘হে বনি আদম, আমি তোমাদের জন্য পোশাকের বিধান পাঠিয়েছি, যাতে করে এর দ্বারা তোমরা তোমাদের গোপন অঙ্গ বা লজ্জাস্থানসমূহ ঢেকে রাখতে পার এবং নিজেদের সৌন্দর্যও ফুটিয়ে তুলতে পার, তবে আসল পোশাক হচ্ছে তাকওয়ার, আর এটাই হচ্ছে উত্তম পোশাক এবং এটা আল্লাহর নিদর্শনসমূহেরও একটি' (সূরা আল আরাফ : ২৬)।
সালাত, সিয়াম, হজ ও জাকাত যেমন ফরজ পর্দাও তেমন ফরজ। কারণ পর্দা করার কথা সরাসরি কোর-আনে বর্ণনা করা আছে। সম্পূর্ণ শরীর আবৃত রেখেই পর্দা করার কথা বলা হয়েছে কিন্তু পর্দা এমন হতে হবে যেন "তাদের চিনতে পারা যায়" এই জন্য বিভিন্ন আলেম-ওলামারা পর্দা করার যে নিয়ম বের করেছেন তা হল, "পুরুষদের জন্য নাভি থেকে হাটু পর্যন্ত ঢাকতে হবে, নারীদের জন্য পুরো শরীরটাই ঢাকতে হবে, তবে যে অংশটুকু অনাবৃত থাকতে পারে তা তাদের মুখ আর হাতের কব্জি, যদি সেটাও ঢাকতে চায় ঢেকে রাখতে পারে, তবে এটা আবশ্যিক না যে ঢাকতেই হবে।" কিন্তু যাতে "তাদের চিনতে পারা যায়" তা খেয়াল রাখতে হবে।
আরেকটি বিষয় হজ্ব যাত্রীরা তাদের পাসপোর্টের ছবিতে নেকাব ব্যাবহার করতে পারেনা। এমন কি হজ্বের সময় নারী-পুরুষ উভয়েরই মুখমণ্ডল অনাবৃত রাখা বাধ্যতামূলক। সুতরাং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের ক্ষেত্রেই নেকাববিহীন ড্রেসকোড ব্যবহার করতে হয় মুসলিমদের।
সবশেষ সবার অবগতির জন্য বলব ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছুদিন আগেই বোমা হামলার হুমকি দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির সামনে ককটেল ফুটিয়েছে একদল দুর্বৃত্তরা। প্রসঙ্গতই তাদেরকে নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদারকি করতে হচ্ছে। এখন সবার সামনে প্রশ্ন রাখতে চাই, হিজাব আর নেকাব কি এক জিনিস হল? কেন সঠিক খবরটি না জেনে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন জানতে পারি? আশা করব বিবেকের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সবাই সঠিক ঘটনাটি লিখবেন আদারওয়াইজ পোস্ট ডিলিট করবেন। আর ওয়ান থিং আমরা ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা কিন্তু বসে নেই। ভার্সিটি অথোরিটি পরিস্থিতির সুন্দর সুরাহার জন্য কোন গ্রহণযোগ্য পন্থায় না আগালে আমরাও আন্দোলনে যাবার সব প্রস্তুতি নিচ্ছি। ধন্যবাদ সবাইকে।
বিস্তারিত দেখুন এখানে Click This Link
আরো দেখুন http://studentbd24.com/?p=12993
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৯
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: লিঙ্কসহ অনেকগুলো কোট করার পরও কোন সন্দেহের অবকাশ দেখি না মোম ভাই। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৬
খেয়া ঘাট বলেছেন: আমিও সেটাই চিন্তা করছিলাম। এভাবে হুট করে বহিষ্কার করে দেয়া,ব্যাপারটা কেমন যেন ঘোলাটে। আর এতো সহজেই ইসলাম চলে যায় কীভাবে?
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৩
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: ধন্যবাদ আরিফ ভাই। দেখেন কি ঘটনারে কি বানাইছে!! মানুষ এগুলো বিশ্বাস করে এমন আচুদা হয় কিভাবে বুঝি না। ভাল থাকবেন ভাই।
৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৬
নিকষ বলেছেন: বাঙ্গালের স্ট্যাটাসঃ ঢাকাইয়া সেক্যুলার বিদ্যাখানায় মিনিস্কার্ট-ধুতি-লুঙ্গি-নেকাব বাতিল করসে। পরিস্কার ইউরোপিয়ান পোষাক আশাক না পড়লে আজকাল আর সেক্যুলার মোল্লা সাজা যাইতেছে না। মিতা হকরা সমাজের উচ্চপদে ম্যাট্রিক্সের এজেন্ট স্মিথের মতো বাড়তেছে। ওহো, এইটা ম্যাট্রিক্স না। তাইলে বলি উনারা সংকীর্ণ মাথা নিয়া তেলাপোকার মতো বংশবিস্তার করতেছেন।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৬
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম আপনাকে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৬
বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: where is BRAC university authority? They are not making a sound even. How can we be sure of your info? This is just a common sense to response from respective authority?
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ব্লগে স্বাগতম। ব্র্যাক রেসপন্স করছে না সেটা কিভাবে বলছেন? ব্র্যাক অথোরিটি নিশ্চই মিডিয়া সেলে বক্তব্য দিয়ে তাদের অবস্থান ক্লিয়ার করবে না তাই না? আজকের মিডিয়া টাইমস এর রিপোর্টটা কি তারা অথোরিটির সাথে কন্টাক্ট না করে করেছে বলে মনে হয় আপনার? মনে সন্দেহ থাকলে ব্যক্তিগতভাবে খোঁজ করে দেখতে পারেন।
৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০২
সরলপাঠ বলেছেন: হিট খাওয়ার আশায় সম্ভবত আপনিই বিভ্রান্তি চড়াচ্ছেন। মানব জমিনের আজকের রিপোর্ট দেখুন, যেখানে হাফসা ছাড়াও শুধু হিজাব পরার কারনে আরও কয়েকজনকে নিষিদ্ধ করেছে যা ইউজিসি বলছে বেআইনি। এখানে দেখুন: Click This Link
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১০
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমার হিট খাওয়া প্রসঙ্গে যে প্রশ্ন তুলেছেন প্রথমেই তা আমি বিনয়ের সাথে প্রত্যাখান করছি। আমার কাছে আমার ভার্সিটির সম্মান সবার আগে। আই এম রিকুয়েস্টিং ইউ প্লিজ গো থ্রো দ্যিস লিঙ্ক
Click This Link
তারপরও যদি আপনার কোন ডাউট থাকে তবে ভার্সিটি থেকে একদিন ঘুরে যান। চা খেতে খেতে সব ক্লিয়ার হবেন। ভাল থাকবেন।
৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মুখ ঢাকা বোরকা পড়ে আসলে বড় সমস্যা।
নিরাপত্তা সমস্যা,
আইডেন্টিফিকেশন সমস্যা।
cctv তে চেনা সমস্যা।
বোর্খা না পরেও সালিন ভাবে প্রচলিত পোষাক পরে ধর্ম করা যায়।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৩
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাইকে। ব্লগে স্বাগতম। বোরখা পরাটায় দোষের কিছু দেখি না। নেকাব কিন্তু ইসলাম ধর্মে বাধ্যতামূলক না। তবে ব্যবহার করলে ক্ষতি নেই। এখন কথা হচ্ছে যেসব ক্ষেত্রে সিকিউরিটির মত এমন স্পর্শকাতর ব্যাপারটি জড়িত সেখানে অবশ্যই একটু কন্সিডার করা উচিত মনে করি। তাছাড়া এখানে ঘটনা এমন না যে মেয়েটিকে কিছু না জানিয়ে হুট করেই সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে তাই না! এই সাধারণ বিষয়টি মানুষ বুঝতেছে না।
ভাল থাকবেন ভাই।
৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৪
ব্লগার রানা বলেছেন: যারা হিজাব পড়ে তাদের কাছে ইসলাম কিরূপ বুঝি না। '
THANKS FOR YOUR POST
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৯
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: রানা ভাইকে ধন্যবাদ। হিজাব আর নেকাব দুইটা দুই জিনিস। হিজাব নারীকে পরপুরুষের কাছে দেহ প্রদর্শন থেকে বিরত রাখে যেটার অবশ্যই ইসলামিক ভিত্তি আছে। সো সেক্ষেত্রে ভিন্ন কিছু বলার সুযোগ নেই। ভাল থাকবেন।
৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৮
ভোরের সূর্য বলেছেন: ধন্যবাদ।আমাদের কাজই হচ্ছে কোনকিছু শোনার পর সেই তথ্য যাচাই বাছাই না করেই মন্তব্য শুরু করে দেয়া।আমি আপনার লেখার বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করবোনা তবে আশা করবো আপনার খবরটা যাতে সঠিক হয়।আর ভাল হত যদি ব্র্যাক অথোরিটি সব প্রিন্ট মিডিয়াতে একটা প্রেস রিলিজ পাঠাতো।আর হ্যা বেশিরভাগ মানুষ নেকাব এবং হিজাবের পার্থক্য বোঝেনা।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪১
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম ভাই। আপনার চিন্তাশীল সুন্দর মন্তব্যে ভাললাগা। আশা রাখি ব্র্যাক শিঘ্রই ব্যাপারটি নিয়ে ধোঁয়াশা দূর করবে। ভাল থাকবেন সবসময়।
৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২২
সেফানুয়েল বলেছেন: আগেই কইসিলাম নিশ্চই তিল কে তাল বানানোর চেষ্টা করছে স্বার্থন্নেসী মহল। যাউক গা আপনার বক্তব্যে পরিস্কার হইলাম.... ধন্যবাদ..
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪৪
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম বস। কাহিনী কিন্তু ঠিক এটাই ঘটছে। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তিলকে তাল বানানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সবার সচেতনতা কাম্য। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
১০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৭
নষ্ট ছেলে বলেছেন: ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রেসকোডের কোথাও বোরকা বা হিজাবের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা নেই। নিষেধাজ্ঞা আছে কেবল নেকাবের ব্যাপারে।
বোরকা নিষিদ্ধ না হলে নেকাব নিষিদ্ধ হয় কিভাবে?
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪৮
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমাদের ভার্সিটিতে কিন্তু আমি ঢুকার সময় থেকেই বোরখা পরা মেয়ে দেখে আসছি ঠিক আছে? ড্রেসকোডে না থাকলে আরও আগেই নাটক, সিনেমা সব হয়ে যেত বৈকি?? ভাল থাকবেন।
১১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪৭
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমাদের ভার্সিটিতে কিন্তু আমি ঢুকার সময় থেকেই বোরখা পরা মেয়ে দেখে আসছি ঠিক আছে? ড্রেসকোডে না থাকলে আরও আগেই নাটক, সিনেমা সব হয়ে যেত বৈকি?? ভাল থাকবেন।
১২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫০
নষ্ট ছেলে বলেছেন: আরে ভাই যে কারণে নেকাব নিষিদ্ধ ঐ কারণে তো বোরকা আরো আগে নিষিদ্ধ হওয়ার কথা। নেকাব আর বোরকার পার্থক্য বুঝেন তো?
এখন তো মনে হচ্ছে আপনি মিথ্যাচার করছেন!!
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০১
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: আবারও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার মনে হওয়ায় আমার বিশেষ কিছু আসে যায় না। আর পার্থক্যটা আপনার ভাল জানা থাকলেই চলবে বোধ করি। বলে রাখা ভাল আমি কিন্তু মোটেও ঝগড়ায় যাচ্ছি না। আমার লেখা বুঝতে আর কারো ততটা প্রবলেম হয় নাই যতটা না আপনার হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আবারও বলব গোঁ থ্রু দ্যিস লিঙ্ক Click This Link
ভালো থাকবেন।
১৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:১৬
নষ্ট ছেলে বলেছেন: ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রেসকোডের কোথাও বোরকা বা হিজাবের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা নেই। নিষেধাজ্ঞা আছে কেবল নেকাবের ব্যাপারে। যেহেতু নেকাবের জন্য ব্যবহারকারী ছাত্রীটির আইডিকার্ড জাস্টিফাই করা সম্ভবপর হয়ে উঠে না।
আপনার পোস্টেই বলেছেন বোরকার বেলায় নিষেধাজ্ঞা নাই। শুধু নেকাবের বেলায় আছে। কারণ হিসাবে আইডিকার্ড জাস্টিফাইয়ের কথা বললেন।
নেকাব পড়লে শুধু চোখ খোলা থাকে আর বোরকা পড়লে চোখও খোলা থাকে না। এবার বলুন বোরকা পড়লে কিভাবে আইডিকার্ড জাস্টিফাই করে?
হয় আপনি নেকাব আর বোরকার পার্থক্য না বুঝে জোশের ঠেলায় পোস্ট দিছেন। না হয় মিথ্যাচার করছেন।
আমি তো আপনার সাথে ঝগড়ায় যাচ্ছি না। প্রশ্ন করেছি মাত্র।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:২৭
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: জি আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্লিজ হার্ট হবেন না। আপনি ঠিক কি কারনে নিজেকে বেকুব প্রমাণে এভাবে উঠেপড়ে লেগেছেন তার কারণটা আসলেই আমার কাছে বোধগম্য হচ্ছে না। বোরখা জিনিসটা যে মুখে পড়ে না সেটা জানেন?? গোগোলে জাস্ট বোরখা লিখে সার্চ দেন হাজারটা আর্টিকেল পাবেন আশা করি। আমারতো মনে হচ্ছে আপনি গোগলকেও "তুই কিছু জানিস না" বলে গালাগাল করতে থাকবেন! এই জিনিসটা যে গলা থেকে পায়ের গড়ালির (হাঁটু না) নিচ পর্যন্ত ঢেকে রাখে আর একটা ওড়না মাথায় পড়ে তা আপনি জানেন না দেখে যতটা না বিস্মিত হচ্ছি তার চেয়ে বেশি অবাক হচ্ছি একটা জিনিস নিজে তো জানেন না আবার আরেকজনকে কোন লজিকের থোড়াই কেয়ার না করেই ভুল প্রমাণের জন্য আপনার বাতিকব্যস্ততা দেখে। বোরখার বিষয়টা যেখানে মুখমণ্ডল ঢাকা থাকে না আমি আবারো বলছি মুখমণ্ডল উন্মুক্ত থাকে (মুখমণ্ডল কিন্তু শুধু চোখ না ওকে?) সেখানে আইডি কার্ড জাস্টিফাই না করতে পারার কারণ বলতে পারবেন???
ভাল থাকবেন। আশা করি আপনার ভুল বুঝতে পেরেছেন।
১৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৪৭
রাজীব দে সরকার বলেছেন: ভালো পোস্ট
আশা করি সবার বিভ্রান্তি দূর হবে
কিন্তু কিছু ছাগলকে আপনি কোনভাবেই বোঝাতে পারবেন না
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:২৯
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই। ব্লগে স্বাগতম। এক্কেবারে ঠিক কথা কইছেন ভাই। তার কিছু নমুনা তো এইখানেই দেখতে পাচ্ছি! ভাল থাকবেন সবসময়।
১৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৪০
ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: যথার্থ পোস্ট। নেকাবের আড়ালে জোর শয়তান জোচ্চরও ঘুরে বেড়ায়। সেটাও দেখা দরকার। আর শালীনতার সংজ্ঞা তো একেক জনের কাছে একেক রকম।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৫৪
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা। সহমত আপনার সাথে। ব্লগে স্বাগতম।
১৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৪২
ঢাকাবাসী বলেছেন: খুব ভাল পোষ্ট, আমারও কেমন জানি সন্দেহ হচ্ছিল ব্র্যাক এরকম করতে পারেনা। হতে পারে জেলাসি পোষ্ট। ধন্যবাদ আপনাকে সঠিক তথ্যটি জানাবার জন্য।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৪৬
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা। আমি বুঝতেসি না এগুলো জাস্টিফাই না করেই সামু কেন নির্বাচিত পোস্ট করছে!!! এই মাত্র দেখলাম আরেকজন ব্লগার ব্র্যাক হিজাব নিষিদ্ধ করেছে বলে ব্র্যাকের সব পণ্য বরজনের আহবান জানিয়ে পোস্ট দিয়েছে। শিউর থাকেন এটাও নির্বাচিত হবে। কিছু বলার নাই। সত্যি শকড।
ভাল থাকবেন সবসময়।
১৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩০
পেইচিং বলেছেন: যে নিউজ যেভাবে পাবলিক খায়, সেভাবে প্রকাশ করাই মিডিয়ার কাজ। মিডিয়ার কাছে জবাবদিহিতা চাইলে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়। মিডিয়ার কন্ঠরোধ করা সম্ভব নয় যদি সে গালাগালিও করে!!!
নেকাব আর হিজাবের মধ্যে তো পার্থক্য আছে। ডাকাতের মতো মুখোশ পরে সন্ত্রাসীও ঢুকে যেতে পারে। মুখ নিশ্চই লজ্জাস্থান নয়! একজন দেখলাম লিখছে, কাপড় কম পড়লে দোষ নাই, বেশি পড়লেই দোষ। ওরে মুমিনের দল, ফার্মগেট সিনেমা হলের সামনে সন্ধ্যার পর গিয়ে একটু দেখে আসিস, নেকাবওয়লাদের কর্মকান্ড....
আপনার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৩
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। মিডিয়ার লাগামহীন প্রশ্রয়ে ঠিক এই ব্যাপার গুলোই কিন্তু ঘটছে। আর কিছু আবাল আগা মাথা না বুঝেই সেগুলোর পক্ষে সাফাই গাইছে। জানি না এর প্রতিকার কোথায়! আজ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সব কিছুই তাদের হাতে জিম্মি।
সাধুবাদ জানবেন। আর ভালো থাকবেন সবসময়।
১৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৭
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: সতর ঢাকাটাই হল পর্দা। পুরুষদের ক্ষেত্রে নাভী থেকে হাটু পর্যন্ত হল সতর।
নারীদের ক্ষেত্রে মুখমণ্ডল, হাতের কব্জি এবং পায়ের কব্জি থেকে হাত ও পা বাদে বাকি পুরো শরীর হল সতর।
এই সতর ঢাকা রাখাটাই হল পর্দা।
অনেক মহিলা হাতে পায়ে মোজা পরে, মুখমণ্ডল পুরো বন্ধ করে নেকাব পরে। এটা দরকার নাই। ইসলাম এটা করতে বলে নাই। বরং ইসলামে ছদ্মবেশ ধারণ করা নিষিদ্ধ। এমন কোন পোশাক পরা নিষিদ্ধ যাতে করে মানুষ তাকে চিনতে না পারে। কর্মক্ষেত্রে মুখমণ্ডল না খোলা রাখলে কাজকর্ম করা মুশকিল।
পর্দা প্রথা নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি আছে। মুখমণ্ডল, হাতের কব্জি ও পায়ের কব্জি থেকে খোলা রাখার বিধান থাকলে অনেক মেয়ে নেকাব পরে। নেকাব পরার কোন বিধান ইসলামে নাই।
উদারহণস্বরূপ বলা যেতে পারে, ইরানী মেয়েরা পর্দা মেনে চলে। কিন্তু তারা মুখমণ্ডল ঢেকে রাখে না। ইসলামে মুখমণ্ডলকে সতরের বাইরে রাখা হয়েছে।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩০
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: আপনার গুরুত্বপূর্ণ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য অশেষ ধন্যবাদ শামীম ভাই। এই জিনিসটাই কিন্তু মানুষ বুঝতে চাইছে না। আর তার সুযোগ নিচ্ছে কিছু স্বার্থান্নেসী মহল। মানুষ যতদিন না এসব কুচক্রী মহল সম্পর্কে সচেতন হবে ততদিন পর্যন্ত কিন্তু আমরা ভিকটিম হতেই থাকব।
ভালো থাকবেন।
১৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৯
কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: "অনেক মহিলা হাতে পায়ে মোজা পরে, মুখমণ্ডল পুরো বন্ধ করে নেকাব পরে। এটা দরকার নাই। ইসলাম এটা করতে বলে নাই।"
লেখাজোকা শামীম, আপনি ভুল বলছেন, প্রচারও করছেন। মুফতি না হয়ে ফতোয়া দিবেন না।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৮
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: আমি নেকাবের ব্যাপারটা জানি। ইসলামে নেকাব নিয়ে কোনো বাধ্য বাধকতা নেই। তাই যেখানে সিকিউরিটির মত স্পর্শকাতর বিষয় জড়িত সেখানে একটু কনসিডার করাই উচিত বৈকি? আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৫
কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: হৃদয় রিয়াজা, সিকিউরিটি একটা অযুহাত মাত্র, কয়টা ইউনি আপনি দেখেছেন, জানি না, বিশ্বের কোথাও এমন নিয়ম নেই পোশাকের জন্য, যারাই করতে চেয়েছে একটা খারাপ উদ্দেশ্য নিয়াই করেছে।
কোনো ইউনিতে কেউ বোমাবাজি করতে যায় না, ব্যতিক্রম বাংলাদেশি কিছু পাবলিক ইউনি। আর বাংলাদেশি মেয়েরা বোমাবাজি করবে এমন ধারণা হারামজাদা ছাড়া আর কারও মাথা থেকে আসতে পারে না।
সিকিউরিটি জন্য মেয়ে সিকিউরিটি অফিসার রাখা যেতে পারে, যেটা নর্থ-সাউথ ইউনিতে আছে, মেটাল ডিটেক্টর গেটও আছে।
আর বাইরের ইউনি গুলাতে আছে সুইপ কার্ড, পরিচয় পত্রের সাথে চিপ আছে, সুইপ করলেই গেট খোলে। যার কাছে পরিচয় পত্র থাকবে সেই ঢুকতে পারবে।
আমার বউ বাইরে পিএইচডি করছে, বোরকা আর নেকাব নিয়াই, কোন বিদেশি লোক কখনও বলে নাই তুমি এটা কেনো করো।
বাংগালী মুনাফিকের দল এত বাড় বেড়েছে, যে এরা এখন এই ধরণের কাজ করার সাহস পাইতেছে।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: 'চলতি নিয়ম' ভাইয়ের উত্তর দ্রষ্টব্য। ভাল থাকবেন।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: 'চলতি নিয়ম' ভাইয়ের উত্তর দ্রষ্টব্য। ভাল থাকবেন।
২১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫১
রাজীব দে সরকার বলেছেন: নর্থ সাউথ এর কথা কেউ বইলেন না রে ভাই, ঐখানেও তো জংগী পাওয়া গেছে
লোল
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: ভাল বলেছেন রাজীব ভাই
ধন্যবাদ আবারও।
২২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭
কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: রাজীব দে সরকার- মাথায় ঘিলু কি কম, ১৬ কোটি মানুষের দেশে দু চারটা ক্রিমিনাল থাকবে না, এটা কি করে আশা করেন।
নর্থ সাউথ এর চেয়ে বেশি বোমাবাজ, ছিনতাইকারী, অস্ত্রধারী ঢাবিতে আছে, মানেন কিনা?
২৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২০
মেগামেন বলেছেন: ব্যাপক হারে "ফাওয়া সপিং" শুরু হয়ে গেছে। ফাতয়ার বাজারে সব ধরণের ফাতয়া চাইলেই এখন পাওয়া যায়। নিজের পছন্দ মত ফাতয়া বাছাই করাই "ফাতয়া সপিং"।
#নিকাব ব্যান ইস্যু নিয়ে এখন একটি ইউনিভার্সিটির জঘন্য সিদ্ধান্তকে ডিফেন্ড করার জন্য যারা কোনদিনও কোন ব্যাপারে ফাতয়াকে পাত্তা দেননা, তারাও এখন ফাতয়ার মার্কেটে। নিকাব ফরয না এই ফাতয়া খুঁজে খুঁজে বেড়াচ্ছে। আর বিজ্ঞ আলেমের ভাব নিয়ে বলে বেড়াচ্ছে নিকাব ফরয না, কুরআনে নেই ইত্যাদি ইত্যাদি। আর যারা নিকাবকে ফরয মনে করে তাদের উপর এই ফাতয়া চাপিয়ে দিচ্ছে। এখন ধর্মীয় বিধান কে কার উপর চাপায় স্পষ্ট হচ্ছে।
http://www.islamqa.com/en/11774
http://www.youtube.com/watch?v=-eevSabe-do
http://www.youtube.com/watch?v=oZD4Tst-a8U
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: ‘হে নবী! আপনার স্ত্রীগণ, কন্যাগণ, এবং মুমিন মহিলাদেরকে বলে দিন, তারা যেন নিজেদের ওপর নিজেদের চাদরের আঁচল ঝুলিয়ে দেয়, এটা তাদের জন্য ভালো নিয়ম ও রীতি, যেন তাদের চিনতে পারা যায় ও তাদের উত্ত্যক্ত করা না হয়' (সূরা আল আহজাব : ৫৯)।
‘হে বনি আদম, আমি তোমাদের জন্য পোশাকের বিধান পাঠিয়েছি, যাতে করে এর দ্বারা তোমরা তোমাদের গোপন অঙ্গ বা লজ্জাস্থানসমূহ ঢেকে রাখতে পার এবং নিজেদের সৌন্দর্যও ফুটিয়ে তুলতে পার, তবে আসল পোশাক হচ্ছে তাকওয়ার, আর এটাই হচ্ছে উত্তম পোশাক এবং এটা আল্লাহর নিদর্শনসমূহেরও একটি' (সূরা আল আরাফ : ২৬)।
সালাত, সিয়াম, হজ ও জাকাত যেমন ফরজ পর্দাও তেমন ফরজ। কারণ পর্দা করার কথা সরাসরি কোর-আনে বর্ণনা করা আছে। সম্পূর্ণ শরীর আবৃত রেখেই পর্দা করার কথা বলা হয়েছে কিন্তু পর্দা এমন হতে হবে যেন "তাদের চিনতে পারা যায়" এই জন্য বিভিন্ন আলেম-ওলামারা পর্দা করার যে নিয়ম বের করেছেন তা হল, "পুরুষদের জন্য নাভি থেকে হাটু পর্যন্ত ঢাকতে হবে, নারীদের জন্য পুরো শরীরটাই ঢাকতে হবে, তবে যে অংশটুকু অনাবৃত থাকতে পারে তা তাদের মুখ আর হাতের কব্জি, যদি সেটাও ঢাকতে চায় ঢেকে রাখতে পারে, তবে এটা আবশ্যিক না যে ঢাকতেই হবে।" কিন্তু যাতে "তাদের চিনতে পারা যায়" তা খেয়াল রাখতে হবে।
এগুলো কি ভুল??? আগে কুরআন ঘাটেন তারপর ইউটুব আর আইটুব। ঠিকাসসে ভাইয়া? মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২১
নষ্ট ছেলে বলেছেন: না জাইনা ছাগনের তিন নাম্বার বাচ্চার মত লাফাইতাছেন!
দেখেন উইকিপেডিয়াতে কি লেখা আছে,
A burqa is an enveloping outer garment worn by women in some Islamic traditions to cover their bodies when in public.
The face-veiling portion is usually a rectangular piece of semi-transparent cloth with its top edge attached to a portion of the head-scarf so that the veil hangs down covering the face and can be turned up if the woman wishes to reveal her face. In other styles, the niqāb of the veil is attached by one side, and covers the face only below the eyes, allowing the eyes to be seen.
http://en.wikipedia.org/wiki/Burqa
The terms niqab and burqa are often incorrectly used interchangeably; a niqab covers the face while a burqa covers the whole body from the top of the head to the ground.
http://en.wikipedia.org/wiki/NiqÄb
গুগলে একটা ইমেজ সার্চ দিয়া দেখেন।ঘুমিয়ে থাকলে জাগানো যায়, জেগে থেকে ঘুমের ভান করলে জাগানো যায় না।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: হে হে হে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা কে তা সবাই বেশ ভালোই বুঝতেছে।
"The terms niqab and burqa are often incorrectly used interchangeably; a niqab covers the face while a burqa covers the whole body from the top of the head to the ground."
এই লাইনগুলোর মানে কি আর আমি কি বলছি?? আসলে আবাল তো আর গাছে ধরে না!!
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: হে হে হে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা কে তা সবাই বেশ ভালোই বুঝতেছে।
"The terms niqab and burqa are often incorrectly used interchangeably; a niqab covers the face while a burqa covers the whole body from the top of the head to the ground."
এই লাইনগুলোর মানে কি আর আমি কি বলছি?? আসলে আবাল তো আর গাছে ধরে না!!
২৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: আপনাদের কোরাণ তো উইকি !
ধর্ম তো সেকুলার !
আর এখন এসেছেন মুসলমানডের ধর্ম শেখাতে !!
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ব্লগে স্বাগতম। যদিও বুঝতে পারছি না মন্তব্যটি ঠিক কাকে করেছেন। উপরের কমেন্টকারীকে না আমাকে! বাই দ্যা ওয়ে ভাল থাকবেন।
২৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: মেগামেন বলেছেন: ব্যাপক হারে "ফাওয়া সপিং" শুরু হয়ে গেছে। ফাতয়ার বাজারে সব ধরণের ফাতয়া চাইলেই এখন পাওয়া যায়। নিজের পছন্দ মত ফাতয়া বাছাই করাই "ফাতয়া সপিং"।
#নিকাব ব্যান ইস্যু নিয়ে এখন একটি ইউনিভার্সিটির জঘন্য সিদ্ধান্তকে ডিফেন্ড করার জন্য যারা কোনদিনও কোন ব্যাপারে ফাতয়াকে পাত্তা দেননা, তারাও এখন ফাতয়ার মার্কেটে। নিকাব ফরয না এই ফাতয়া খুঁজে খুঁজে বেড়াচ্ছে। আর বিজ্ঞ আলেমের ভাব নিয়ে বলে বেড়াচ্ছে নিকাব ফরয না, কুরআনে নেই ইত্যাদি ইত্যাদি। আর যারা নিকাবকে ফরয মনে করে তাদের উপর এই ফাতয়া চাপিয়ে দিচ্ছে। এখন ধর্মীয় বিধান কে কার উপর চাপায় স্পষ্ট হচ্ছে।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: ‘হে নবী! আপনার স্ত্রীগণ, কন্যাগণ, এবং মুমিন মহিলাদেরকে বলে দিন, তারা যেন নিজেদের ওপর নিজেদের চাদরের আঁচল ঝুলিয়ে দেয়, এটা তাদের জন্য ভালো নিয়ম ও রীতি, যেন তাদের চিনতে পারা যায় ও তাদের উত্ত্যক্ত করা না হয়' (সূরা আল আহজাব : ৫৯)।
‘হে বনি আদম, আমি তোমাদের জন্য পোশাকের বিধান পাঠিয়েছি, যাতে করে এর দ্বারা তোমরা তোমাদের গোপন অঙ্গ বা লজ্জাস্থানসমূহ ঢেকে রাখতে পার এবং নিজেদের সৌন্দর্যও ফুটিয়ে তুলতে পার, তবে আসল পোশাক হচ্ছে তাকওয়ার, আর এটাই হচ্ছে উত্তম পোশাক এবং এটা আল্লাহর নিদর্শনসমূহেরও একটি' (সূরা আল আরাফ : ২৬)।
সালাত, সিয়াম, হজ ও জাকাত যেমন ফরজ পর্দাও তেমন ফরজ। কারণ পর্দা করার কথা সরাসরি কোর-আনে বর্ণনা করা আছে। সম্পূর্ণ শরীর আবৃত রেখেই পর্দা করার কথা বলা হয়েছে কিন্তু পর্দা এমন হতে হবে যেন "তাদের চিনতে পারা যায়" এই জন্য বিভিন্ন আলেম-ওলামারা পর্দা করার যে নিয়ম বের করেছেন তা হল, "পুরুষদের জন্য নাভি থেকে হাটু পর্যন্ত ঢাকতে হবে, নারীদের জন্য পুরো শরীরটাই ঢাকতে হবে, তবে যে অংশটুকু অনাবৃত থাকতে পারে তা তাদের মুখ আর হাতের কব্জি, যদি সেটাও ঢাকতে চায় ঢেকে রাখতে পারে, তবে এটা আবশ্যিক না যে ঢাকতেই হবে।" কিন্তু যাতে "তাদের চিনতে পারা যায়" তা খেয়াল রাখতে হবে।
এগুলো কি ভুল ভাই??? ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ।
২৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০
চলতি নিয়ম বলেছেন: পোস্টের জন্য লেখক কে ধন্যবাদ। সামুর উচিত এই পোস্ট টা স্টিকি করা। কালকে থেকে একটা বিশেষ গোষ্ঠী এই ইস্যুতে সামু গরম করে ফেলেছে। কোনো পোস্টে কমেন্ট করিনাই কারন তাদের বোঝানো কোনো মানুষের সাধ্য নাই প্লাস এই সব পোস্টে আলোচনায় শেষ পর্যন্ত খাজ কাটা খাজ কাটা গল্পটাই চলে আসে।
এক এবং একমাত্র সিকিউরিটি ইস্যুতেই আমি চোখ-মুখ ঢেকে রাখা কে সমর্থন করি না। আপনি সব কিছু ঢেকে রাখেন চোখ আর মুখমন্ডল খোলা রাখতেই হবে কারন মুখ না দেখে কাউকে সহজেই আইডেন্টিফাই করা যায় না। (কখনো কখনো করা যায় তবে সেক্ষেত্রে খাজনার চাইতে বাজনা বেশী) সকল পরীক্ষাতেই ছবি দেখে পরীক্ষার্থী সনাক্ত করা হয়, সেটাতে কারো সমস্যা হয় না? আরো বেশী কিছু বললে খারাপ শোনাবে তাই থাক। ভালো মন্দ বিচার বুদ্ধি সবার হোক।
@অসামাজিক, আপনার বউ মানে আমাদের ভাবি বাইরে পিএইচডি করছে, বোরকা আর নেকাব নিয়াই, কোন বিদেশি লোক কখনও বলে নাই তুমি এটা কেনো করো। এটা খুবই ভালো খবর খুশির খবর। আগে মিষ্টি খাওয়ান ভাই।
তা, ভাবি কি নেকাব নিয়েই বাইরে গেছে? মানে ইমিগ্রেশন পার হৈছে আর নেকাব নিয়েই কি পিএইচডি ডিফেন্স দিতে পারবে কিনা একটু জানতে চাইছিলাম।
বাইরের একটা উদাহরণ দেই "কর্মস্থল থেকে ২১ হাজার পাউন্ড চুরির দায়ে নেকাব পরা এক মুসলিম নারীকে এক বছরের জেলদণ্ড দিয়েছে ব্রিটেনের একটি আদালত।" শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০৫ আশ্বিন ১৪২০, ১৩ জিলক্বদ ১৪৩৪
অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। সবসময় সহজ সমাধান খোজা উচিত।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের আপনি কখনই বুঝিয়ে পারবেন না। লক্ষ করে দেখুন অসামাজিক এর লাস্ট দুইটা লাইন
"বাংগালী মুনাফিকের দল এত বাড় বেড়েছে, যে এরা এখন এই ধরণের কাজ করার সাহস পাইতেছে।"
উনার সম্পর্কে কি আরও নতুন করে কিছু বলা উচিত?? নিজের জাতিসত্তাকে যেলোক এভাবে ছোট করতে পারে তার সম্পর্কে অন্তত আমি কোন রকম করুনা অনুভব করি না।
ভাল থাকবেন ভাই।
২৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: এ ধরনের পোস্ট দরকার ছিল একটা....তাদের থামাতে।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন বর্ষণ ভাই। ভাল থাকবেন।
২৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩
অন্ধকারে একজন বলেছেন: আপনার পোষ্টের সাথে সহমত। কিন্তু এত বড় একটা গুজবের পরও কেন ব্র্যাক ইউনি কর্তৃপক্ষ কোন সংবাদ সম্মেলন করলো না??????
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
"ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জানালেন বোরকা কিংবা হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে এমন কোন ঘটনাই তার প্রতিষ্ঠানে ঘটেনি ।তিনি বলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় বরাবরই ধর্মীয় বিধি পালন করতে তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সহায়তা করেছে।সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই প্রতিষ্ঠানটিতে একটি ড্রেস কোড আরোপ করা হয়েছে যেখানে মুখায়ব আবৃত থাকে এমন যেকোনো কিছুই পরতে বারণ আছে,যা ব্র্যাকের ছেলে এবং মেয়ে উভয় শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
তিনি জানান, ব্র্যাকে একজন শিক্ষার্থীকে নেকাবের জন্য সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এবং এই সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডিতে গৃহীত হয়েছে।
নেকাব নিষিদ্ধ ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত করলো কিনা জানতে চাইলে বলেন-“ইসলাম ধর্মের কোথাও নেকাব সম্পর্কে কিছুই বলা নেই অতএব ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাতের প্রশ্নই আসে না।"
http://studentbd24.com/?p=12993 লিঙ্কটি ভিজিট করুন। আজকের স্টুডেন্টবিডি২৪ কে দেয়া।
ভাল থাকবেন।
৩০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৭
মেগামেন বলেছেন: এইতো যেটাই বলছিলাম আগে, ফাতয়া সপিং। নিজের মত প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে ফাতয়া দরকার সেটা খুজে বের করা আর অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়া।
আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে নেকাব বাংলাদেশেই আবিষ্কার হয়েছে। ইসলামে নেকাবের কথা আসেই নাই কোন জায়গায়। ইসলামের ইতিহাসে নেকাবের অস্তিত্ব নেই মনে হচ্ছে আপনার কথা শুনে। আর কোন দেশে নেকাবের প্রচলন নেই খালি বাংলাদেশেই আছে।
ভিডিও দেখার সাহস করলেন না এই জন্য যে যদি আপনার মতের বিপক্ষে চলে যায়?!! ব্রাক ইউনিভার্সিটিকে কেমনে বাঁচাবেন?? দেখেন এইরকম অনেক ব্রাক আসে যাবে। সামান্য এক ব্রাক কে বাচানোর জন্য এই রকম ইসলাম বিক্রি করে এই ক্ষুদ্র জীবনে কি লাভ হবে আরেকবার চিন্তা করেন। যাই হোক ভিডিও যেহেতু দেখলে না বলি,
নেকাব নিয়ে ইসলামি আলেমের দু'ধরণের মত আছে । একদল বলে জরুরী না আর এক দল বলে জরুরী। উভয় পক্ষের যথেষ্ঠ দলীল আছে। ইসলামের এই রকম ব্যাপারে যদি বৈধ্য মতপার্থক্য থাকে তাহলে যে কেউ যে কোন একটি মত অনুসরণ করতে পারে। কিন্তু কেউ কারও মত চাপিয়ে দিতে পারবে না। কেউ যদি মনে করে পড়াশুনা করে মনে করে শুধু হিজাবই যথেষ্ঠ মুখ ঢাকা জরুরী না ফাইন, তাকে কেউ চাপিয়ে দিতে পারবে না মুখ ঢাকতে। আর কেউ যদি পড়াশুনা করে মনে মুখ ঢাকা জরুরী মনে করে তাহলে কেউ তাকে চাপিয়ে দিতে পারবে না মুখ খুলতে।
আমি জানি আপনি দু পক্ষেরই মতামত পড়েছেন কিনা নাকি শুরু ব্রাককে জাস্টিফাই করার জন্য প্রথম বারের মত নেকাব ইস্যু নিয়ে পড়েছেন, আপনি যেটা করছেন আপনার মত অন্যের উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন।
৩১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬
মেগামেন বলেছেন: আর বলে রাখি আমার কাছে দু পক্ষের কথা পড়ে মনে হয়েছে শুধু হিজাবই যথেষ্ঠ। কিন্তু যারা নেকাব পড়ে তাদের কেউ আমি সন্মান করি। তাদের সম্পূর্ণ অধিকার আছে নেকাব পড়ার আর তাদের এই অবস্থানের জন্য ইসলামের যথেষ্ঠ দলীল আছে।
ক্লাসিকাল ইসলামিক স্কলার এমন একজনের ও নাম দেখাতে পারবে না যারা বলেননি নেকাব উত্তম পোশাক এমনকি ঐসব স্কলার ও যারা নেকাব জরুরী না বলেছে তারাও।
আর ব্রাক কে ডিফেন্ড করার জন্য অনুরোধ আহলে কুরআন হয়ে যায়েন না। আহলে কুরআন হল যারা শুরু কুরআন থেকে আইন বের করে হাদীস সুন্নাহ বাদ দিয়ে। কুরআনে আপনি পাবেন না নামায ৫ ওয়াক্ত পড়তে হবে। কুরআনে আপনি পাবেন না যাকাত কি পরিমান দিতে হবে। কুরআনে নামায কখন কখন পড়তে হবে তাও বলা নেই। এই সব বিস্তারিত হাদীস এ আছে। রাসূল (স) কিভাবে করেছেন তাই আইন। যেমন কিছু আহলে কুরআন আছে ৩ ওয়াক্ত নামায পড়ে কারন কুরআনে ৩ টি সময়ের কথা বলা আছে নামাযের জন্য। আহলে কুরআনরা রাতের অন্ধকারে ইফতারি করে কারণ তাদের মতে কুরআনে রাত হলে ইফতারি করার কথা বলা আছে। কুরআনে সব কিছুর বিস্তারিত বলা নেই। এইজন্য হাদীস, ইজমা কিয়াসের বিধান আছে ইসলামে। ইসলামের বহু বিধান আছে যা কুরআনে নেই কিন্তু হাদীসে আছে।
এখন কেউ যদি বলে নিকাব কুরআনে নেই বলে কি ইসলামে কি নেই? হাদীস, ইজমা কিয়াস বাদ দিলেন?
এইভাবেই মানুষ বিভ্রান্ত হয়।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩১
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: আপনার জ্ঞানগর্ব মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনাকে আরও জ্ঞান দান করুন। ভাল থাকবেন।
৩২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭
আমি তুমি আমরা বলেছেন: দোষ যে পক্ষেরই থাকুক না কেন মেয়েটিকে এক সেমিস্টার রেজিস্ট্রেশন করতে দেয়া হয় নি মানে সে তার ব্যাচমেটদের থেকে এক সেমিস্টার পিছিয়ে পড়ল? ব্র্যাক কর্তৃপক্ষ তার ক্ষতি কিভাবে পুষিয়ে দেবে? তারা কি তাকে এই এক সেমিস্টার (ব্র্যাকে সেমিস্টার চার মাসে হয় না ছয় মাসে হয় তা আমার জানা নেই) সময় ফেরত দিতে পারবে? (মাথায় রাখতে হবে নিজের ব্যাচ থেকে কোন কারনে পিছিয়ে পড়লে জুনিয়রদের সাথে কন্টিনিউ করাটা অনেক কঠিন হয়ে দাড়ায়)।
আর একজন মানুষ কি ধরনের পোশাক পড়বে সেটা তার নিজের রুচির ওপর নির্ভর করে।মেয়েদের জিন্স-টপস-টাইটাসে কর্তৃপক্ষের সমস্যা না থাকলে হিজাব-নেকাব নিয়ে সমস্যা থাকার কোন কারন দেখি না।
সবশেষে একটা প্রশ্নঃ গেটে সিকিউরিটি গার্ড কি আপনাদের আইডি কার্ডের ছবি মিলিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেয়? না হলে এই চেহারা ঢাকা থাকলে আইডেন্টিফাই করা যায় না- এই যুক্তিতে রেজিস্ট্রেশন করতে না দেয়া ইসলাম নিয়ে চুলকানীই প্রমান করে।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৯
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যটির জন্য। প্রবলেম সল্ভড ভাইয়া। হাফসা খুব শিঘ্রই ক্লাসে ফিরছে। ভাল থাকবেন।
৩৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৩
রাহুল বলেছেন: প্রথমত যারা পুষ্টাইতাছে তারা হিজাব আর নেকাব কি তাই জানেনা। সঠিক তথ্য উপস্হাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৭
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: ধন্যবাদ রাহুল ভাইয়া। ব্লগে স্বাগতম। আমার লাস্ট পোস্টটি দেখেন। প্রবলেম সল্ভড।
৩৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৭
ইনফা_অল বলেছেন: যে দেশে মিতা হক ফতোয়া দেয়, সেই দেশে তো মুফতী/শাঈখ এর অভাব হওয়ার কথা নয়। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি নেকাব নিষিদ্দ করেছে। সেটা কে ডিফেন্ড করার জন্য ফতোয়া চ্যান্স করা ধৃষ্ঠতাও বটে।
চেহারাও পর্দার অন্তর্ভুক্ত
এক শ্রেণীর লোক নারীর চেহারাকে পর্দার অন্তর্ভুক্ত মনে করে না । অথচ চেহারা পর্দার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চেহারা পর্দার অন্তর্ভূক্ত না হওয়ার ব্যাপারে সূরা নূরের ৩১ নং আয়াত উল্লেখ করা হয়। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, ‘তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে তবে যা সত্যই প্রকাশমান’। অথচ হিজাবের মূল আয়াত এটি নয়। পর্দার বিষয়ে এই আয়াত দ্বারা দলীল দেওয়া এবং এই আয়াতকেই একমাত্র দলীল মনে করা ভুল । মূলত পর্দার আয়াত হল সূরা আহযাবের ৫৯ নং আয়াত ।
‘হে নবী আপনার স্ত্রী ও অন্যদেরকে এবং মুমিনদের স্ত্রীদেরকে বলুন, তারা যেন চাদর নিজেদের উপর টেনে নেয়’।
ইমাম সূয়ূতী র. বলেন, এটি সকল নারীর জন্য হিজাবের আয়াত । এতে মাথা ও চেহারা ঢাকা ওয়াজিব করা হয়েছে। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. উক্ত আয়াতের তাফসীরে বলেন, আল্লাহ তা’আলা মুমিনদের স্ত্রীদের আদেশ করেছেন তারা যেন প্রয়োজনের মুহূর্তে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় উপর দিয়ে পর্দা ঝুলিয়ে চেহারা ঢেকে রাখে এবং শুধু এক চোখ খোলা রাখে। (তাফসীরে ইবনে কাসীর: ৩/৮২৪)
প্রখ্যাত ফকীহ তাবেয়ী উবাদা আসলামী রা. দেখিয়েছেন, কীভাবে নারীগণ এই আয়াতের উপর আমল করেন। তিনি তাঁর চাদর দিয়ে এমনভাবে মুখমন্ডল আবৃত করলেন যে, নাক ও বাম চোখ আবৃত হয়ে গেল। শুধু ডান চোখ খোলা থাকল। তদ্রƒপ মাথার উপর থেকে কপাল ও চোখের ভ্রুও আবৃত হল । তাফসীরে তাবারী, আদ্দুররুল মানসুর ৫/২২১, আহকামুল কোরআন- জাসসাস: ৩/৩৭১; তাফসীরে কাশশাফ ৩/২৭৪; আহকামুল কোরআন- ইবনুল আরাবী ৩/১৫৮৫-১৫৮৭; যাদুল মাসীর ফী ইলমিত তাফসীর ৬/৪২২; আদ্দুররুল মানসুর ৫/২২১; আনওয়ারুত তানযীল ওয়া আসরারুত তাবীল ২/২৮০; তাফসীওে কুরতুবূ ১৪/২৪৩-২৪৪।
উল্লেখ্য, সূরা নূরের ৩১ নং আয়তে মূলত সতরের সীমারেখা বর্ণনা করা হয়েছে। উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে হাত এবং মুখ খোলা রাখার তথাও বর্ণিত হয়েছে। তবে এ বর্ণনাগুলোর অধিকাংশই নেহায়েত দুর্বল । দু’একটি গ্রহণযোগ্য বর্ণনা রয়েছে। সে হিসাবে এটি এ আয়াতের একটি ব্যাখা ।
আয়াতের অন্য আরেকটি ব্যাখ্যা হল, ‘মা যাহারা মিনহা’ দ্বারা উদ্দেশ্য কাপড় । প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রা. এই ব্যাখ্যাই করেছেন । ইমাম ইবনে কাসীর র. এই মতকে প্রধান্য দিয়ে বলেন, হযরত হাসান, ইবনে সীরিন, আবুল জাওযা, আব্দুর রহীম নাখয়ী, হযরত ইবনে মাসঊদ রা. এর অনুরূপ মত ব্যক্ত করেছেন।
ইবনে জাওযী র. আরো বলেন, ইমাম আহমদ র.ও বলেছেন যে, প্রকাশ্য সৌন্দর্য হল কাপড়, আর নারীরর শরীরের সব কিছু এমনকি নখও পর্দার অন্তর্ভুক্ত । ( যাদুল মাসীর ৬/৩১)
আর ইবনে আব্বাস রা. এর ব্যাখ্যা গ্রহণ করলেও এই আয়াত পরবর্তীতে নাযিলকৃত হিযাবের আয়াত দ্বারা মানসুখ হয়েছে । শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া র. সহ আরো কিছু মনীষীও এই মত পোষণ করেন।
আয়েশা রা. এর ‘ইফক’এর ঘটনায় উল্লেখিত হাদীস নসখেন সুস্পষ্ট প্রমাণ। আম্মাজান হযরত আয়েশা রা. বলেন, আমি যখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তখন সফওয়ান ইবনে মুয়াত্তাল আমার নিকটে এসে আমাকে দেখে চিনে ফেলল। কেননা, সে আমাকে হিজাবের হুকুম নাযিল হওয়ার আগে দেখেছিলেন। সে তখন ইন্নালিল্লাহ বলল । আমি তার ইন্নালিল্লাহ বলার শব্দে জেগে উঠি । তখন আমি ওড়না দিয়ে আমার মুখ ঢেকে ফেলি’। সহীহ বুখারী ৫/৩২০; সহীহ মুসলিম হাদীস ২৭৭০; জামে তিরমিযী হাদীস ৩১৭৯) প্রকাশ থাকে যে, সাহাবায়ে কেরাম হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার পর চেহারায় পর্দা করতেন, যা আম্মাজান আয়েশা রা. এর উক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত । এছাড়া এ সংক্রান্ত আরো প্রমাণ পরবর্তী আলোচনায় আছে।
Click This Link
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ইহরাম অবস্থায় ছিলাম তখন আমাদের পাশ দিয়ে অনেক কাফেলা অতিক্রম করত। তারা যখন আমাদের সামনাসামনি চলে আসত তখন আমাদের সকলেই চেহারার ওপর ওড়না টেনে দিতাম। তারা চলে গেলে আবার তা সরিয়ে নিতাম।-মুসনাদে আহমাদ ৬/৩০; ইবনে মাজাহ,
হাদীস: ২৯৩৫
===============================
পর্দা না মানা আর অস্বীকার করার মধ্যে কিন্তু ভীষন পার্থক্য। ব্যাপারটা বুজতে হবে।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০২
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। বিতর্ক করতে চাইলে আসলে অনেক কিছু নিয়েই করা যায় কিন্তু এতে বিশেষ উপকারে আসবে না বোধ করি বরং আরও বিভ্রান্তিই বাড়বে। এই ধর্মীয় ব্যাপারগুলো আসলেই বিতর্কের বাইরে রাখা উচিত।
ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৪
মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: আপনিও আবার বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন না তো?