![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের সম্পর্কে বলার মত তেমন কোনো যোগ্যতা এখন পর্যন্ত অর্জন করতে পারি নি। যদি কখনো পারি তখন ভেবে দেখব।যেহেতু আমি কোন নিয়মিত লেখক নই কাজেই লেখায় ভুলত্রুটি থাকতেই পারে। সেক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা কাম্য।
ভাল খারাপের সন্ধিক্ষণে এক অদ্ভুত রকম জীবন কাটাচ্ছি। যে জীবনে সুখ জিনিসটাকে কিছুটা ফিল করার আগেই উবে যায়। মনের ঈশানকোণে নতুন করে এঁকে দিয়ে যায় আরেকটি ক্ষত চিহ্ন। দিন যায়..বয়স বাড়ে আর আমার উচ্ছন্নে যাওয়ার মানসিকতা তীব্র থেকে আরও তীব্রতর হয়।
নাহ একটু বেশিই বোধ হয় হয়ে যাচ্ছে। আমিতো কোন কবি সাহিত্যিক নই। তবে কেন তাদের ভাষায় মিছেমিছি এত বড় বড় বুলি কপচাচ্ছি!! আমি হতাশাবাদীদের একজন। আমার কাজ হচ্ছে নিজের ভাষায় রোজকার ঘটে যাওয়া হতাশার গল্পগুলো মুচকি হাসিতে নির্বিকার বলে যাওয়া। তবে তাই হোক।
অনিচ্ছা স্বত্বেও আজ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ক্লাসে গেলাম। ওহ সরি আমি উঠিনি মোবাইল ফোনের বাজখাই Alarm টাই আমাকে উঠিয়েছে। ক্লাস শেষে লিফট্ থেকে নেমেই যখন দেখতে পেলাম বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে তখনই ঢের বুঝতে পারলাম আজকে বেরুনোর সিদ্ধান্তটা কত বড় ভুল ছিল! সে যাই হোক এরকম ভুল আমার জন্য নতুন কিছু না। না হয় হতাশাবাদি হতে পারব না যে। দাঁতে দাঁত খিচে লাস্ট ক্লাসটার তোয়াক্কা না করেই বৃষ্টির মধ্যে বেরিয়ে পরলাম। আশেপাশের মানুষজন কৌতুহলী দৃষ্টিতে আমার চলে যাওয়া দেখছে। আমি নিশ্চিত তাদের অধিকাংশই হয়ত আমাকে পাগল ছাগল ভেবে বসেছে! ভাবুক। তারা ভাবতেই পারে...তাতে আমার কি? হতাশাবাদীরা এত কিছু বাছবিচার করে চলতে পারে না।
বেশ কয়েক ডজন হাঁচি দিতে দিতে দরজা খুলে ঘরে ঢুকলাম। যাহ্ দেখি পুরো ফ্ল্যাট খালি! আরে আরেরে আজব তো!! আমি অবাক হচ্ছি কেন?? আমার খেয়েদেয়ে কাজ নেই বলে কি আর সবারো তাই হবে নাকি! ওদের অনেক তাড়া। ওভারটাইম করতে করতে সলতের তেল ফুঁড়োয় অবস্থা। যাকগে এসব কথা। ভেজা কাপড়ে বেশিক্ষণ থাকাটা ঠিক হবে না। ঝটপট কাপড় পাল্টে নিয়ে এখন কি করা যায় তাই ভাবছি।
নাহ ঘুম আসছে না। অনেকক্ষণ তো চেষ্টা করলাম। আমাদের মত মানুষদের কাছে আসলে কোন কিছুই সহজে ধরা দিতে চায় না। ব্যাপারটা বুঝতে হবে। ইশ...হঠাতই মনে পরল ফোনটা ভেজা প্যান্টের পকেটে!! দৌড়ে গিয়ে বাথরুমের বালতি থেকে বের করলাম। নাহ এ যাত্রায় মনে হয় বেঁচে গেছি। কেবল ডিসপ্লে তে জলীয়বাষ্পের মত ধোঁয়াটে একটা আস্তরণ দেখা যাচ্ছে বাকি সব ঠিক আছে। ডায়াল লিস্ট ঘাটতে ঘাটতে পরীর নম্বরটা চোখে পরল। গত দুই দিন আগে লাস্ট ডায়াল করা হয়েছিল!! পাগলীটা নিশ্চই খুব রেগে আছে। মেয়েটার জন্য মাঝে মাঝে খুব কষ্ট হয়। বুঝি না কেন যে সবকিছু জেনেশুনে আমার মত একটা ভবঘুরে কুপমুন্ডুকের সাথে রিলেশান করতে গেল! ভাল মেয়েদের কপালে যে সবসময় খারাপ কিছুই জুটে কথাটির সত্যতা তখন তীব্রভাবে অনুভব করি। সাতপাঁচ না ভেবেই চোখ বুঝে সবুজ বাটন চাপলাম। এবারেও আমাকে হতাশ করে বাংলালিঙ্ক গ্রাহকদের বেহায়া গণপ্রেমিকা ছ্যাকা দিয়ে সুরেলা কণ্ঠে বলে উঠল "এই কলটির সর্বনিম্ন মুল্য আপনার বর্তমান ব্যালেন্সকে অতিক্রম করবে" হে হে হে এবার নিজেই নিজেকে শুধালাম 'মামা এসব প্রেম ভালবাসা তোমার মত হতাশাবাদীদের জন্য নয়। যাহ্ বেটা রাস্তা মাপ'
নাহ একটুও টাশকি খাই নি। এমনটাই তো হওয়ার ছিল অন্যথায় নিজের দেয়া উপাধিটির প্রতি অবিচার করা হয় যে। তবুও সর্বশেষ চেষ্টাস্বরূপ মোটা মানিব্যাগটা হাতড়ে হন্যে হয়ে একটা বিশ টাকার কার্ড খুঁজতে লাগলাম। কার্ড না পেলেও অনেক কিছুই পেলাম_
(১) কিশোরগঞ্জগামী অনন্যা পরিবহনের ১৬ টি ছেঁড়া টিকিট
(২) ঢাকা টু কিশোরগঞ্জ বিআরটিসি বাসের ৩ টি টিকিট
(৩) আমার অন্যতম প্রধান সম্বল বাংলালায়নের ২ টি বিল পে রিসিপ্ট
(৪) ভার্সিটির ৩ টি মানি রিসিপ্ট
(৫) ব্র্যাক ব্যাংক এর এটিএম বুথের ৫১ টি লেখা মুছে যাওয়া টুকরো কাগজ (বেশিরভাগই ব্যালেন্স চেক করতে গিয়ে পাওয়া)
(৬) ১ টি পঞ্চাশ ও ২ টি দুই টাকার নোট
(৭) আর প্রেমিকার একটি চিঠি!
টাকাগুলো মানিব্যাগে রেখে বাকিগুলোকে আমার চাপ সহ্য করা থেকে রেহাই দিলাম। মানিব্যাগখানা যেন মুহূর্তেই লজ্জায় চুপসে গেল। আর সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসটি এখন আমার হাতে। গুটগুটে অক্ষরের হাতের লেখাগুলো ততক্ষনে নিজের সব সামর্থ্য ঢেলে দিয়ে আমার মনের আকাশে আলোছায়ার খেলা দেখাতে শুরু করেছে। ক্ষণিক বাদেই অঝোর শ্রাবণ ঢলে ভিজিয়ে দিয়ে রংধনুর সাতরঙা সাজে পাগলীটা যেন তার চোখের মায়ায় আমাকে ডুবিয়ে দিয়েছে। আমিও অবুঝ শিশুর মতই নতুন আশার ছুতোয় মেঘবালিকার ভালবাসার কাছে নিজেকে সঁপে দিয়েছি।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫০
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: ধন্যবাদ আরিফ ভাই। ওর কথা আর কি বলব...পুরাই পাগলী একটা
ভাল থাকবেন ভাই। দোয়া করবেন।
২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৩
মনে নাই বলেছেন: আহা মানিব্যাগে চিঠিটার পাশাপাশি একটা বিশ টাকার কার্ডও থাকা দরকার ছিল।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০০
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: হা হা হা ভাইরে দুঃখের কথা কি আর বলব! সত্যিই থাকলে মন্দ হত না। মন্তব্যে ভাল লাগা জানবেন ভাই।
৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৩
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
বাহ্...সুন্দর প্রকাশ।
জীবনের নানান এলোমেলোতার মাঝেও সুন্দর কিছু এভাবেই চিঠির মতন ধরা দিক সবার জীবনে।
হতাশাবাদী শব্দটাকে অপছন্দ শুরু করাই ভালো।
আশাবাদীতা জীবনকে আলোকিত করে।
শুভেচ্ছা আর শুভকামনা
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০১
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। ব্লগে স্বাগতম। চেষ্টা করছি দোয়া করবেন আর ভাল থাকবেন সবসময়। শুভ কামনা।
৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৭
এক্সপেরিয়া বলেছেন: আহা.., কার্ডটা থাকা উচিতই ছিল ।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১১
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ এক্সপেরিয়া ভাই। সেই দুঃখের কথা আর মনে করাইয়েন না ভাই আপনেগো পিলিজ লাগে
ভাল থাকবেন সবসময়।
৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৬
নূর আদনান বলেছেন: খুব সুন্দর করে লিখেছেন সারাদিনের কথা।
নারীরা বরাবরই পুরুষদের প্রেরনা যুগিয়ে থাকে।
আচ্ছা কার্ড নাই তো কি হইছে, বাংলালিংক থেকে ৫ টাকা ধার নিতেন। এমন মুহুর্তে ব্যলেন্স থাকলে....
ভাই আমার মনে হয় আমার মতো হতাশায় খুব কম মানুষই ভোগে।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৪
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: ধন্যবাদ আদনান ভাই। ব্লগে স্বাগতম। আপনার এত সুন্দর একটি মন্তব্যে সত্যিই অনেক ভালো লাগা। এত কিছু তখন মাথায় ছিল নারে ভাই। তাছাড়া চিঠিটা আবার রিভাইস দেয়ার লোভ সামলাতে পারছিলাম না।
হতাশা আসলেই কোন সলিউশন না ভাই। আমার মত করে হলেও বেরিয়ে আসার ব্যর্থ চেষ্টাটুকু অন্তত চালিয়ে যান। ভাল থাকবেন সবসময়।
৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫০
রসায়ন বলেছেন: পুষ্ট ভাল্লাগসে
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৬
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: রসায়ন ভাল লাগায় রসায়ন ভাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ
ভাল থাকবেন ভাইয়া।
৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২০
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ভাইয়ের বাড়ি কি কিশোরগঞ্জ নাকি?
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৯
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: ইয়েস বস আমি কিশোরগঞ্জের পোলা। আপনিও কিশোরগঞ্জের নাকি বর্ষণ ভাই???
৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০
টুম্পা মনি বলেছেন: ক্ষণিক বাদেই অঝোর শ্রাবণ ঢলে ভিজিয়ে দিয়ে রংধনুর সাতরঙা সাজে পাগলীটা যেন তার চোখের মায়ায় আমাকে ডুবিয়ে দিয়েছে। আমিও অবুঝ শিশুর মতই নতুন আশার ছুতোয় মেঘবালিকার ভালবাসার কাছে নিজেকে সঁপে দিয়েছি। চমৎকার অভিব্যক্তি। পুরো লেখাটাই ভালো লাগল। অ্যালার্ম ঘড়ির ডাকে ওঠাটা মজা পেলাম। কারণ এর সাথে আমি কিছুটা মিল আছে।
আমি রাতের বেলা কয়েক দফায় ফোনে অ্যালার্ম দিয়ে ঘুমাই। প্রতি ৫ মিনিট পর পর। তবুও একদম লাস্টবার না বাজা পর্যন্ত সকালে আমার ঘুম থেকে ওঠা হয় না। :!> আশা করি আপনি আমার মত কুড়ে নন। অসংখ্য শুভেচ্ছা।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩২
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: হা হা হা আপনার মন্তব্যটি পড়ে সত্যি অনেক হাসলাম। ভাল লাগাতে পেরে নিজেকে কিছুটা হলেও সফল মনে করছি। আর অ্যালার্ম ঘড়ির ব্যাপারটা সত্যি ইন্টারেস্টিং। আপনি তো তবু শেষবারে উঠতে পারেন। কিন্তু আমি যেদিন উঠি সেদিন তো উঠিই। যেদিন না পারি সেদিন একেবারে বেলা বারোটায়। এভাবে যে কত ক্লাস মিস করেছি!
ভাল থাকবেন টুম্পা মনি
৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২০
শ্রাবণধারা বলেছেন: যতদিন আছে গুটিগুটি অক্ষরে মনের আকাশে আলোছায়ার খেলা ততদিন হতাশা থাকলেও বিলাসও আছে। যদি কোনদিন আলোছায়ার খেলাটা নিভে যায়, অন্যসব আলোগুলোর সাথে সাথে তাহলে হয়ত আপনি বুঝবেন সত্যিকার হতাশা কাকে বলে।
লেখাটা ভাল লেগেছে। হতাশা যদি কিছু থাকে তাহলে একটা টিপস দিতে পারি - নিজেকে ফাকি দেয়া বন্ধ করলেই হতাশা কেটে যাবে....।
শুভকামনা...............।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৬
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। সহমত না হয়ে উপায় নেই। যথার্থই বলেছেন। তবে আশা করব সেদিন কখনও আসবে না। বিশ্বাসের জায়গাটুকু এতটুকু স্ট্রং তো হতেই হয়। দোয়া করবেন ভাই। আর টিপসটা ভাল লাগল। যথাসম্ভব চেষ্টা করব।
ভাল থাকবেন....।
১০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯
কক্ষ পথের শেষ ইলেকট্রন বলেছেন: ভালো লাগলো। আপনাদের জন্য শুভ কামনা থাকল।আপনার এই অবস্থার আমার অনেক মিল থাকলেও, অমিল আছে এক জায়গায় আর টা হচ্ছে আপনার মত আমাকে কেও চিঠি লিখে না।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪১
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। একটা সময় আমাকেও কেউ চিঠি লিখত না। কিন্তু এই পাগলীটা যে কোত্থেকে জুটে গেল!
দেখবেন জীবনে চলার পথের কোন এক বাঁকে এসে ঠিক একজন এসে হাতটি ধরে বলবে ভালবাসি। আসলে ব্যাপারটাই তো এমন। বলে কয়ে আসে না
ভাল থাকবেন সবসময়।
১১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ২য় +
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৪
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সেলিম ভাই। নিঃসন্দেহে আপনার ভাললাগা আমাকে আরও প্রেরণা যোগাবে।
ভাল থাকবেন সবসময় ভাইয়া।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৪
খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনার প্রেমিকাকে শ্রদ্ধা। যে প্রেমিকা এখনো চিঠিতে মনের ভাষা বলতে পারে। মুঠোফোন, ম্যাসেজ আর নানা রঙের ডিজিটাল মাধ্যমের ভিতরে হাতে লিখা চিঠির যেন দীর্ঘশ্বাস শুনতে পাই।