![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামুতে যা প্রকাশযোগ্য নয় তা আমার ব্যক্তিগত ব্লগে লিখে রাখি যেমন আত্মজীবনি,কবিতা ইত্যাদি https://hridoyeralo.blogspot.com/
যারা আমার লেখা পাঠ করে নিয়মিত তাদেরকে আমি কল্যানের নিয়তে কিছু উপদেশ দিচ্ছি---
১।পাচ ওয়াক্ত নামাজকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিবেন।
২।জীবনে যত পরিক্ষাই আসুক ধৈর্যহারা হবেন না,নিরাশ হবেন না,আপনি নিজে আপনার কল্যান অকল্যান জানেন না।কিসে আপনার কল্যান হবে আর কিসে অকল্যান এটা আপনার থেকে আপনাকে যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনি বেশি ভালো জানেন।
৩।অসাধ্য বিষয় সাধন করতে যাবেননা,যেমন অন্তরের ওয়াসওয়াসা দূর করা,শয়তানকে চিরতরে বিতারিত করা,এগুলো সাধ্যাতিত ব্যাপার।সৃষ্টিকর্তা শয়তানকে ক্ষমতা দিয়ে দিয়েছেন,সে মানুষের রগে রগে চলতে পারবে,সুতরাং সে মানুষকে বিভিন্ন সন্দেহ সংশয়ে ভুগাবে,কষ্ট দিবে।আসলে এগুলোর কোনো পরোয়া করতে নেই।শয়তান শয়তানের কাজ করতে থাকুক আর আমি আমার কাজ করতে থাকি,যা হওয়ার তা হবেই,এই মনোভাব নিয়ে চলা উচিত।
আমি নিজের কথাই বলি,আমাকে শয়তান অনেক ভাবে ধোকা দেওয়ার চেষ্টা করে,যেমন--
সুলাইমান!এত ইবাদত করে কি লাভ হবে, হয়ত আ্ল্লাহ তায়ালা তোমার জন্য জাহান্নামই রেডি রেখেছেন,তখন তো এই ইবাদত গুলো বিফল হয়ে যাবে।তোমার কষ্টই বেকার যাবে।
এরকমভাবে মনের মধ্যে বিভিন্নভাবে ধোকা দিতে থাকে।আমি ওসবের দিকে কোনো ভ্রক্ষেপও করিনা।শয়তানের ওয়াসওয়াসার কোনো উত্তরও না দেওয়ার চেষ্টা করি,আবার যুক্তিসংগত উত্তরও দিয়ে দেই।শয়তান সেই উত্তর মেনেও নেয়।আবার ভিন্নভাবে ধোকা দেওয়ার ফন্দি আঁটে। আসলে শয়তান সুযোগের অপেক্ষায় থাকে,যখনই সুযোগ পায় তখনই ধোকা দেওয়ার চেষ্টা করে।
৪।সকাল বিকাল কিছু তাছবিহ পাঠ করবেন,তিন তাছবিহ ও পড়া যায়,কিন্তু আমি তিন তাছবিহ পড়িনা।আমি ছোট ছোট কিছু সূরা পাঠ করি।
৫।অন্তরে যদি কোনো ওয়াস ওয়াছা, সন্দেহ সংশয় আসে,তাহলে সেদিকে ভ্রক্ষেপ করবেননা,নিজের গুরুত্বপূর্ন এবং জুরুরি কাজগুলো করতে থাকবেন।
৬।অসাধ্য,অসম্ভব বিষয় অর্জন করার চেষ্টা করবেন না,যেগুলো নিজ ক্ষমতার মধ্যে আছে সেগুলো করতে থাকবেন।
৭।জান্নাতের আশা -জাহান্নামের ভয় ভাল,কিন্তু আ্ল্লাহকে পাওয়া এবং তার ভালবাসা অর্জন করা,উল্লেখিত দুটি বস্তু থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ন।সুতরাং জান্নাত জাহান্নামকে একজায়গায় রেখে দিয়ে খালেছ আ্ল্লাহর জন্য কষ্ট করতে থাকবেন।
৮।যেকোনো পরিস্থিতি সামনে আসুক ধৈর্য সহকারে মোকাবেলা করবেন।এবং নিরাশ হবেন না।
৯।আত্মশুদ্ধির পথে মানুষের সবচেয়ে কঠিন কঠিন পরিক্ষা হয়,যে যেই পর্যায়ের তার পরিক্ষাও তত কঠিন হয়।এবং পরিক্ষার পরে চক্ষু শীতল করা সব পুরুষ্কার পাওয়া যায়,যেমন,মানষিক প্রশান্তি যাকে সাকিনা বলা হয় ইত্যাদি। ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুন, ২০২৫ রাত ৮:১৬
Sulaiman hossain বলেছেন: আগে ভাঙো পরে গড়ো :নামাজের বাতেনি রহস্য(৬ষ্ট পর্ব)
নামাজকে পৃথিবীতে কেন নাজিল করা হয়েছে?
উত্তর:প্রাচীনকাল থেকেই মানুষকে একটি কথা ভাবিয়ে তুলত,
আমার কি কোনো সৃষ্টিকর্তা নেই।যদি থেকে থাকেন,তাহলে তাকে পাওয়া যায় কিভাবে?তাকে পাওয়ার কোনো পথ কি নেই?
এই ধরনের প্রশ্ন মানুষকে ভাবিয়ে তুলত।এবং নিজের ভিতরে ভিতরে একটা শুন্যতা অনুভব করত।সবকিছু আছে,সুখ সমৃদ্ধি আছে,তারপরও কি যেন একটা নেই।
অবস্য সবার এই ভাবনা হয়না,মানুষের মধ্য একটা দলের,এই ভাবনাগুলো মনে উদয় হত,এবং এখনকার জমানায়ও অনেকের মনে এই ভাবনাগুলো উদয় হয়।
চিরন্তন সত্য একটা ব্যাপার হল,সৃষ্টিকর্তাকে মানুষ কোনোদিনও পাবেনা,যতক্ষন না সৃষ্টিকর্তা নিজেই তাকে ধরা দেন,অথবা দেখিয়ে দেন।
এটা একটা সমস্যা ছিল।সৃষ্টিকর্তাকে পাওয়ার একটা বাসনা,অথবা তীব্র ক্ষুধা অনেক মানুষের মধ্যেই থাকে অনেকেই আবার কৌতুহল নিবারনের জন্যও সৃষ্টিকর্তাকে পেতে চায়।
মানুষ কেন মুর্তি পুজা শুরু করেছিল? সৃষ্টিকর্তাকে পাওয়ার ক্ষুধা মিটানোর জন্যই মানুষ মনগড়া মুর্তিপুজা শুরু করে।কিন্তু মুর্তিপুজা করে তাঁদের ক্ষুধা মিটেনি।
কারন মুত্রিপুজা সৃষ্টিকর্তা থেকে মোহর মারা কোনো জিনিস ছিলনা।