![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অণুমাত্র ছাড় নেই
(হুমায়ুন কবির)
ধ্বংসের তীব্র দহনে পোড়া দেহ
গলে যাওয়া লাশ- অসহনীয়, ভয়ংকর
যারা ছিল বাংলা মায়ের সন্তান এতদিন;
নিষ্ঠুরতা, হিংস্রতা, নীচতা আর পাশবিকতায়
তাঁরা আজ শুধুই মানবতার বহনাতীত ভারী,
বীভৎস লাশ।
হারানোর হাহাকারের এই প্রচণ্ডতা ফুরাতে
কত প্রজন্মের দরকার-
এক, দুই, তিন অথবা শত প্রজন্ম পরের বিস্মরণ?
হৃদপিণ্ড থেকে ক্ষরিত রক্তের দাগ কি এতো পরেও শুকাবে,
জন্মের শুরু থেকে উষ্ণ প্রস্রবণ
ক্লান্তিহীন, অবিরাম, অন্তহীন?
সোনার বাংলার রক্তত্থিত প্রজন্ম
যতদিন রইবে এই বাংলার মাটিতে
ম্লান হবে না শহীদের রক্তের তাজা লাল রং।
মা, বোন, প্রিয়জনের আর্তচিৎকার
হবে না বিলীন
বুনো অথবা মাতাল হাওয়ার ঘূর্ণিপাকে।
ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হতে থাকবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।
বুকের পাঁজর ভাঙ্গা চিৎকারে আমৃত্যু শোক আর ঘৃণা
বয়ে বেড়াব নিরন্তর।
অনেক কষ্ট, অনেক সাধনায়
ধ্বংসস্তূপ থেকে শুরু করেছি নতুন জীবনের স্পন্দন।
শেকড় নামিয়ে দিয়েছি জীবনের মাটিতে,
প্রস্ফুটিত করে যাচ্ছি পত্র-পল্লব আর পুষ্প নয়নাভিরাম।
স্বাধীন বাংলায় জন্ম দিয়েছি টলমল পায়ে হেঁটে বেড়ানো
নিরুদ্বিঘ্ন, তন্ময়, হাসিমাখা মায়াবি আত্মজকে।
অণুমাত্র ছাড় নেই আত্মজের ক্ষুদ্র কষ্ট দেওয়া
হায়েনার দলকে।
প্রতিরোধ নয়, প্রতিঘাতের প্রচণ্ড আঘাতে
পোড়া মাটির গর্ভে খুঁড়বো ওদের কবর
ওদেরই ওখানে। যদি-
আর কখনও ধ্বংসের লীলায় মত্ত পিশাচেরা
জেগে উঠে ঘনঘোর অন্ধকারে।
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫
আলমগির কবির বলেছেন: অপূর্ব, অসাধারন
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭
হুয়ায়ুন কবির বলেছেন: অণুমাত্র ছাড় নেই