নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধর্মপুত্রযুধিষ্ঠিররা সাবধান

ইমরোজ

হমপগ্র

আমার আমি।

হমপগ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা বানান রীতি-২ ("বুঝা" এবং "বোঝা" বিশ্লেষণ)

২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৪৫

"বুঝা" এবং "বোঝা" শব্দ দুইটি নিয়ে আমাদের মধ্যে যথেষ্ট বিতর্ক আছে। আমরা অনেকেই "বুঝা" এর জায়গায় "বোঝা" লিখি। আমি এ পর্যন্ত একতরফা ভুল দেখেছি। অর্থাৎ, কখনও দেখিনি কেউ "বোঝা" এর স্থানে "বুঝা" ব্যবহার করেছেন।



বুঝ(১)- বোধ; বিচার; জ্ঞান। যেমন, কী বলেছেন, তার কিছুই বুঝতে পারিনি। বুঝা গেল তুমি একটা ভুল করেছ। খেয়াল করবেন দ্বিতীয় বাক্যটির "বুঝা" শব্দটি অনেকে ভুল করে "বোঝা" লিখে থাকেন।



"বুঝ" একটা নাম শব্দ। এর সাথে "আ" প্রত্যয় যোগে গঠিত হয় "বুঝা" শব্দটি। "বুঝা" ধাতু হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে এক অর্থে যে এর সাথে ক্রিয়া বিভক্তি ইতেছেন (বুঝা+ইতেছেন) যোগ করে "বুঝাইতেছেন" একটি অর্থবোধক শব্দ হয়। কিন্তু তা ব্যাকরণের নিয়ম অনুসারে অশুদ্ধ।



বুঝ(২)- প্রবোধ; সান্ত্বনা। যেমন, তাকে বুঝ দিয়ে লাভ নাই। তিনি অনেক বুঝানোর(এখানে বোঝানোর হবে না) চেষ্টা করেছেন, লাভ হয়নি।



বোঝা(১)- ভার; মোট। যেমন, তার বোঝা টানার শক্তি ছিলো না। সংসারের বোঝা টানতে টানতে আমি হয়রান। , দায়িত্ব। যেমন, না জেনে এত বড় বোঝা নিতে গেলে কেন? বোঝাই- পূর্ণ বা ভর্তি। যেমন, মাল বোঝাই ট্রাকটিকে পুলিশ আটক করলো।



(সূত্রঃ বাংলা একাডেমি)





মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৪৯

মুনশী বলেছেন:



+ ইমেরাজ দি গ্রেট!

২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:২২

হমপগ্র বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৫৭

হাসিব বলেছেন:
লেখা আর লিখা - কোন্টা কারেক্ত ?

২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:২২

হমপগ্র বলেছেন: হাসিব ভাই,

হো ঠিকই ধরছেন। আমার লগে এইরম করেন কেন? আমি ছোট মানুষ :(

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৫৮

প্রশ্নোত্তর বলেছেন:
পেডোফাইল সাইমুমের কতা মনে করায়া দিলেন।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৮

হমপগ্র বলেছেন: হুম...শব্দের পোস্টমর্টেম। মনে আছে।

৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:০০

প্রচেত্য বলেছেন: হুমম !
অতিব জ্ঞানগর্ভ পোষ্ট
ভাল লাগল

২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৯

হমপগ্র বলেছেন: ধন্যবাদ প্রচেত্য ভাই। ভাল থাকবেন।

৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:১৮

মানুষ বলেছেন: বুঝা গেল মাথায় জ্ঞানের বোঝা বইয়ে বেড়াইতেছো।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:২৫

হমপগ্র বলেছেন: বোঝা কই দেখলা? এইটা তো পটলা।

৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:১৯

বিহঙ্গ বলেছেন:
সুন্দর পোস্ট।
তবে দেখুন, বাংলা একাডেমি আবার "বুঝা" এবং "বোঝা" র উদাহরনে কেমন জট লাগিয়েছে। কয়েকটি উদাহরনঃ
১।আমি তার মন বুঝি
২।সে আগে বুঝেনি
৩।তার মন বোঝার চেষ্টা করো
৪।তুমি কি তার কথা কিছু বুঝলে?
৫।তাকে কতো বোঝালাম
৬।আসুন ,ব্যাপারটা নিয়ে বোঝাপড়া করি।
তাই, দেখা যায়, বুঝাটাই বোঝা হয়ে গেছে।
ভালো থাকবেন।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:২৭

হমপগ্র বলেছেন: বিহংগদা,

ধইরা ফেলাইছেন। এই ঝটলা খুলবো, দেখি।

আমিও কনফিউজড একটু। তাই আরেকটু জেনে নেই।

৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:২৪

পলাশমিঞা বলেছেন: বিগংগভাই, হাচা কইচনই। বানানর সমস্যাট যে কোনদিন সমাদান ওইব? বুঝাত গেলে বুঝ বুঝ ওই যায়।

হমপগ্র, আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখছি। ঢং করছিনা তিন সত্য করে বলছি। ৩ পড়ার জন্য অপেক্ষামন।

আপনাকে ধন্যবাদ+

২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৭

হমপগ্র বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:২৮

শেখ জলিল বলেছেন: সাধুবাদ। অমর একুশের আগে এরকম একটি সিরিজ পোস্ট উপকারে দেবে সবারই।
...তবে বোঝা অথবা বুঝা দু'টোই ব্যবহৃত হচ্ছে আজকাল। দু'টোই সঠিক। তাই বুঝাপড়া বা বোঝাপড়া-তে কোনো পার্থক্য নেই। ( বাংলা একাডেমি প্রণীত ব্যবহারিক বাংলা অভিধানে এর উল্লেখ আছে)

২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৬

হমপগ্র বলেছেন: ধন্যবাদ শেখ জলিল।

এই ব্যাপারে আমার বক্তব্য ভিন্ন। "বুঝ" শব্দটির উৎপত্তি বিচার করলে দেখা যায় সেটা বুজ ধাতু থেকে এসেছে। যার অর্থ আছে। এটাকে বোঝা বলতে বলতে বাংলায় তার প্রবেশ হতেই পারে। কিন্তু প্রণেতারা এর ব্যাখ্যা কোথাও দেন নাই। এর সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়াটা আগে দরকয়ার ছিলো।

এখন এর ব্যাখ্যা দিতে হলে আমাদের ধ্বনি পরিবর্তনের ভেতরে ফেলতে হবে। প্রগত স্বরসঙ্গতি অথবা স্বরাগমের মধ্যে ফেলে এর ব্যাখ্যা দেওয়া দরকার।

৯| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:২৭

কালপুরুষ বলেছেন: "বুঝা" এবং "বোঝা" ক্ষেত্র বিশেষে এবং প্রয়োগ সাপেক্ষে দুটোই সঠিক। গান ও কবিতা আবৃত্তির ক্ষেত্রে "বুঝানো"র চাইতে "বোঝানো" শব্দটা বেশী ব্যবহৃত হয়।
যেমনঃ
"তারে বোঝানো গেলনা কিছুতেই......"
"বোঝনা কেন যে তুমি, কি যে আমি চাই..."

আমরা কথায় কথায় যেমন বলি, "তুই কি আমার কথা বুঝতে পারছিস"? পরে বুঝবি কী ঝামেলা তুই পাকিয়েছিস।"

আবার এভাবেও বলি, "তোমাকে বোঝা মুশকিল। এই একটা কথা তোকে আমি কিছুতেই বোঝাতে পারছি না।"

ভিন্ন অর্থে, "বোঝা" বহন করা কি যে কষ্টের সেটা আমি বুঝি। আবার এভাবেও বলা যায়, "বুঝতে পারছি আমি এখন তোমার "বোঝা" হয়ে গেছি। এটাও সঠিক, "আমার যা বোঝার আমি ঠিকই বুঝেছি।"

তাই ভুল বা শুদ্ধ এখানে নিজের "বুঝ" বা বোঝার জটিলতা।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫০

হমপগ্র বলেছেন: উচ্চারণের ফলে শব্দ দুইটি এক হয়ে গ্যাছে।

কিন্তু ব্যাকরণের দিক থেকে তা ভুল। এরকম আরেকটি শব্দ আছে। "অবোদ্ধ"। ব্যবহার হতে হতে তা ভাষায় ঢুকে পড়লেও বাংলা একাডেমিতে "নির্বোধ্য" ই আছে। "অবোদ্ধ" নেই।

"বুঝ" শব্দটি উৎপত্তি বিচারে এক রকম। "বুঝ" বুজ ধাতু থেকে এসেছে। এটাকে "বোঝা" বানানো একেবারেই ঠিক না। তবে উচ্চারণ করা যায়। এখন উচ্চারণেই ভাষা চলে সেই দিক থেকে বাংলা একাডেমি এটাকে গ্রহণ করেছে। কিন্তু এর ব্যাখ্যা তারা কেমন করে দেবেন? সেটা না দিয়েই শব্দটিকে অন্তর্ভূক্ত করাটা আমার কাছে সঙ্গত নয়।

আমরা লিখতে পারি "বুঝা" কিন্তু উচ্চারণ করবো "বোঝা" তাইলে হয়তো ঠিক হত।

১০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৩১

সাতিয়া মুনতাহা নিশা বলেছেন: বুঝলাম!!!

২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০৩

হমপগ্র বলেছেন: ধন্যবাদ।

১১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:১৪

রোবোট বলেছেন: বোঝা- চলিত, ভাযা, বুঝা-সাধু; এবং বোঝা- ভার (সাধু ও চলিত ),
তাহার ভাষা বুঝিবার অবকাশ নাই।
তার ভাষা বোঝার অবকাশ নেই।



নাকি ভুল কৈলাম?

১২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৮

মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৩| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০৫

বিসাম বলেছেন: বোঝাবুঝির বোঝা / Sumanta Barman
posted by Dr. Mohammed Amin on May 11, 2015

বোঝাবুঝির বোঝা কমলেও কমতে পারে—
শুবাচে 'বোঝা' আর 'বুঝি' নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনা চলছে ৷ 'বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ' পুস্তকটির কিছু অংশ পড়ে 'বোঝাবুঝি' বিষয়ে আমি যা বুঝলাম—
কী সমাপিকা ক্রিয়া, কী অসমাপিকা ক্রিয়া— দুয়েরই বিভক্তি বর্জিত মূল অংশই হলো ধাতু ৷ ধাতুতে বিভক্তি যুক্ত হয়ে ক্রিয়াপদ তৈরি হয় ৷ বিভক্তি যুক্ত হলে, ধাতুর শরীরে অল্প-বিস্তর পরিবর্তনও আবার ঘটতে পারে ৷ 'খা' ধাতুটির 'খাই' শব্দটিতে দেখা যায় বিভক্তি 'ই' যুক্ত হলেও ধাতুর কোনো পরিরর্তন হয় নি, অর্থাৎ অপরিবর্তিত ধাতুরূপটি 'খা' ৷ কিন্তু 'খা' ধাতুটির 'খেলাম' শব্দটিতে দেখা যাচ্ছে বিভক্তি 'লাম' যুক্ত হওয়ায় 'খা' পরিবর্তিত হযেছে, আর পরিবর্তিত ধাতুরূপটি 'খে' ৷ অর্থাৎ 'খা' ধাতুটির দুটি রূপ 'খা' ও 'খে' দেখতে পাওয়া যায় ৷ 'খা' রূপের কিছু ক্রিয়াপদ- খাচ্ছিস, খাবেন, খায়,.....৷ 'খে' রূপের কিছু ক্রিয়াপদ- খেতে, খেয়ে, খেলেন,...৷
তেমনি, 'বুঝ্' ধাতুর শব্দগুলোতে 'বুঝ্' ও 'বোঝ' দুটি রূপ আসে—
যেমন-
*তিনি বুঝতে পারছেন না ৷(বুঝ্)
*তুমি তাকে বোঝাও ৷(বোঝ্)
*তিনি বেশ বোঝেন ৷(বোঝ্)
*বুঝলে-ও, বোঝাও ৷(বুঝ্, বোঝ্)
বাক্যগুলোর ক্রিয়াপদগুলোতে কখনও 'বুঝ্', আবার কখনও 'বোঝ্' – এই দুটি রূপ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে ৷
বাংলা রূপতত্ত্বের মার্কিন আলোচক ফার্গুসন (Ferguson,1945) ধাতুর এই পরিবর্তিত বা অপরিবর্তিত রূপের নাম দিয়েছেন 'কাণ্ড' ৷ কাণ্ড দুটির একটিকে 'উচ্চ কাণ্ড' ও আরেকটিকে 'নিম্ন কাণ্ড' বলেছেন ৷ এখানে নিম্ন কাণ্ড 'বোঝ্' আর উচ্চ কাণ্ড 'বুঝ্' ৷
কোথায় উচ্চ কাণ্ড বা বুঝ্ আর কোথায় নিম্ন কাণ্ড বা বোঝ্ ব্যবহৃত হয়ে থাকে–তা-ই আলোচনার বিষয় ৷
সাধারণত ক্রিয়াপদগুলো এভাবে গঠিত হয়—
নিম্ন কাণ্ড+আ-বিভক্তি এবং
উচ্চ কাণ্ড+ই,উ-বিভক্তি ৷
অর্থাৎ আ-কার(বিভক্তি) যুক্ত হলে 'বোঝ্' কাণ্ডের সাথে যুক্ত হবে ৷ যেমন, বোঝা, বোঝান, বোঝাও ইত্যাদি ৷
আবার ই,উ বা ই,উ-কার (বিভক্তি) যুক্ত হবে 'বুঝ্' কাণ্ডের সাথে ৷ যেমন, বুঝি, বুঝুন, বুঝুক ইত্যাদি ৷
এখন 'বুঝতে', 'বুঝে'(অসমাপিকা), 'বুঝছি' শব্দগুলো লক্ষ করি ৷ শব্দগুলোতে ই,উ বা ই, উ-কার(বিভক্তি) যুক্ত নেই, তবু 'বুঝ্' কাণ্ডটি আসবার কী কারণ? কারণ এই যে, তে, এ, ছি বিভক্তিগুলো বস্তুত ইতে, ইয়া, ইতেছি বিভক্তির সংক্ষিপ্ত রূপ ৷ এখানে বুঝ্+ইতে(বিভক্তি)=বুঝিতে< বুঝতে, বুঝ+ইয়া(বিভক্তি)=বুঝিয়া< বুঝে, বুঝ্+ইতেছি(বিভক্তি)=বুঝিতেছি< বুঝছি ইত্যাদি ৷ অর্থাৎ এখানেও ই,উ বা ই,উ-কার(বিভক্তি)-এর ফলেই 'বুঝ্' কাণ্ডের ব্যবহার ৷
ধাতুর উচ্চ কাণ্ড ও নিম্ন কাণ্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে সংশয় দেখা দেয়, তা নিচের অংশটুকু মনে রাখলে নিরসন হতে পারে ৷
'নিম্ন কাণ্ড' বা 'বোঝ্' ব্যবহৃত হয়—
☞সাধারণ বর্তমান কালের- ১.'সে', ২.তুমি'', ৩.'আপনি'-এর ক্রিয়াপদে এবং
☞বর্তমান অনুজ্ঞা-য় ৪.'তুমি', ৫.'তুই'-এর ক্রিয়াপদে ৷
যেমন—
☞সাধারণ বর্তমান:
১.সে বোঝে ৷( বোঝ্+ এ)
২.তুমি বোঝো ৷
৩.আপনি বোঝেন ৷
☞বর্তমান অনুজ্ঞা:
৪.তুমি বোঝো ৷
৫.তুই বোঝ্ ৷
অতএব (১),(২),(৩),(৪),(৫) এই পাঁচটি ক্ষেত্র এবং ক্রিয়াপদ গঠনের নিয়ম দুটি "নিম্ন কাণ্ড(বোঝ্)+আ" ও "উচ্চ কাণ্ড(বুঝ)+ই,উ" মনে রাখলে 'বোঝ','বুঝ' -এর ঝামেলা সামাল দেওয়া যেতে পারে ৷
************************
এ অংশটুকু এড়িয়ে গেলেও চলবে—
প্রযোজক/নামধাতুর ক্রিয়া:
"নিম্ন কাণ্ড+আ(বিভক্তি)" অনুসারে-
বোঝাই, বোঝাচ্ছি, বোঝাব, বোঝান, বোঝাতে চাই, বোঝা যাক,.....৷
আবার,
"উচ্চ কাণ্ড +ই,উ-বিভক্তি" অনুযায়ী - বুঝিয়েছি,বুঝিয়েছিলাম,..৷
☞"উচ্চ কাণ্ড(বুঝ্)+ ই,উ" অনুযায়ী অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে অর্থাৎ সকল পুরুষ ও কালের ক্রিয়ায় , ভবিষ্যত অনুজ্ঞায়, অসমাপিকা ক্রিয়ায় ধাতুর 'উচ্চ কাণ্ড' (বুঝ্) ব্যবহৃত হয়ে থাকে ৷
যেমন—
বুঝি, বুঝব,বুঝতে চাই, বুঝছিলেন, বুঝে আয়,তুমি বুঝো(বুঝিও).......৷
****************
'বুঝ্' ধাতুর সাথে একই গণ বা গুচ্ছভুক্ত আরো কিছু ধাতুর উচ্চ কাণ্ড-নিম্ন কাণ্ড তুলে ধরছি:
খুঁজ্-খোঁজ্, খুল-খোল্, শুন্-শোন্, ঘুর্-ঘোর্, উড়্-ওড়, খুঁড়্-খোঁড়্, চুষ্-চোষ্, জুড়্-জোড়্,ঝুঁক-ঝোঁক্, ঠুক্-ঠোক্,ঢুক্-ঢোক্,তুল-তোল্, দুল্-দোল্, উঠ্-ওঠ্, ফুট্-ফোট্, ভুল-ভোল্ ইত্যাদি ৷ এই গুচ্ছটির ধাতুগুলো দ্বারা একই প্রণালীতে ক্রিয়াপদ গঠিত হয়ে থাকে ৷ তাই উঠে,ওঠে কিংবা ঢোকে,ঢুকে ক্রিয়াপদগুলো গঠনের ধারণাও একইভাবে পাওয়া যায় ৷
শুধু 'বুঝা' বা 'বোঝা' নয়; দেখ্(উচ্চ কাণ্ড)—দ্যাখ্( নিম্ন কাণ্ড), লিখ্(উচ্চ কাণ্ড)—লেখ্( নিম্ন কাণ্ড), বোল্ (উচ্চ কাণ্ড)—বল্(নিম্ন কাণ্ড) এ-গুলোর ক্ষেত্রেও প্রায় একই নিয়ম দেখা যায় ৷
সূত্র: বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, সংস্করণ ২০১২ ৷ পৃষ্ঠা ২৫৬ ,ক্রিয়াপদ ( সমাপিকা) ৷
উচ্চ কাণ্ড সৃষ্টির কারণ বা উচ্চ কাণ্ড- নিম্ন কাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বইটি দেখতে পারেন ৷

Comments

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.