নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ

স্তব্ধ হোমোসিপিয়েন্স

আমি অতি সাধারন ভদ্র ভালো পোলা,তাতে আপনাদের কোনো সন্দেহ আছে।।।

স্তব্ধ হোমোসিপিয়েন্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্যরকম ভালোবাসা

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩


জীবনটা খুবই ভালো কাটছিল ।
সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রাইবেট তারপর স্কুল তারপর আবার প্রাইবেট তারপর খেলাধুলা । এর মধ্যেই বন্ধুদের সাথে ফাইজলামি, বান্দরামি ।কিছুদিনের মধ্যেই স্কুলের সবচেয়ে দুষ্টু ছেলের খ্যতি পেলাম ।
তারপর বাবার কাছ থেকে নতুন মোবাইল ফোন ।খুবই ভালো যাচ্ছিল দিনকাল ।
কিন্তু একদিন পুরো লাইফ স্টাইল চেইন্জ হয়ইয়া গেল ।
আমাদের ক্লাসেই পড়ে এক মেয়ে নাম 'হিমু'। দেখতে খুব সুন্দর । আমার থেকে ২" লম্বা ছিল ।বয়সে ৩ মাসের বড় । এইটা কোন সমস্যা ছিল না ।কারন এখনকার দিনে হাইট আর বয়স কোনোটাই সমস্যা করে না ।
তাই মেয়ের পিছনে উঠে পরে লাগলাম । হিমু যেখানে প্রাইবেটে পড়ে ওই প্রাইবেটে যেতে শুরু করলাম । হিমু যেদিক দিয়ে স্কুলে যায় ওই রাস্তা দিয়ে যেতাম পিছুপিছু ।
দিনে রাতে শুধুই হিমুর কথা ভাবতাম ।এক ধরনের পাগল হয়েগেছিলাম তার জন্য । বন্ধুরা বলত তুই প্রপোজ কর আমরা তর সঙ্গে থাকব । তাই বাড়ি অনেক প্রেকটিজ করতাম কিভাবে প্রপোজ করলে ভালো হয় । একদিন বাড়ি থেকে সিদ্দান্ত নিলাম আজকে প্রপোজ করবই । সব ঠিক করে নিলাম স্কুল ছুটি হবার পর কাঠবাগানে প্রপোজ করব ।
স্কুল ছুটি হবার পর হিমুর পিছু নিলাম । তার সাথে তার বেষ্ট ফ্রেন্ড নিলা ছিল । আমার সাথে পল্টু,বল্টু,মন্টু আরও অনেকে ছিল । তারপর যখন কাঠবাগান আসল তখন সব বন্ধুরা আমাকে উৎসাহ দিতেছে যা বলে দে -- যা 'মুহি যা । আমি অনেকটাই ভিতু ছিলাম মেয়েদের বেপারে । তাকে তার নাম ধরে ডাক দেবার মত শক্তি আমার ছিল না । তাই ওই দিন আর বলা হল না ।
প্রাই অনেকদিন এইভাবে চেষ্টা করলাম কিন্তু প্রত্যক বার আমার ভয়ের কাছে পরাজিত হতাম । ভয়টা ছিল যে- আমি যদি থাকে প্রপোজ করি কিন্তু সে যদি মানা করে দেয় ,এইটা আমি সয্য করতে পারব না ।
'হিমু' জানত আমি তাকে পছন্দ করি ।একদিন এক গুপনসূত্রে জানতে পারলাম হিমু ও আমায় পছন্দ করে । তাই বন্দুরা বলল এখন ত কোনোকিছুর ভয় নাই এইবার বলে দে ।আমিও এইবার পুরোপুরি প্রস্তুত । কাল প্রপোজ করবই । কিন্তু ভাবলাম কিছুদিন পর এস.এস.সি পরীক্ষা এখন করা আমাদের উভয়ের পক্ষে ঠিক হবে না ।
তাই ঠিক করলাম এস.এস.সি পরীক্ষার পর প্রপোজ করব ।লেখাপরায় মনোযোগ দিলাম । এমনিতেই অনেকদিন যাবৎ পড়ালেখা হয় না।
এস.এস.সি পরীক্ষা দিলাম ।ঢাকা গেলাম ঘুরতে । বাড়িতে এসে শুনি হিমুর নাকি বিয়ে ঠিক হয়েছে ।আর দশ দিন পর বিয়ে । তবুও আমি হাল ছাড়িনি , ঠিক করলাম হিমু রাজি থাকলে আমরা পালায় যাব । কিন্তু একদিন দেখলাম অনেক হাসি খুশি হয়েই তার বিয়ের কেনাকেটা করছে । তার মুখে হাসি খুশি দেখে আমার হ্রদয়টা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল । কিছুদিন পর তার বিয়ে হয়ে গেল । কিছুদিন পর রেজাল্ট দিল তারপর কলেজে ভতি হলাম । সব কিছু নরমাল হয়ে গেল । কলেজে যেতে শুরু করলাম । হঠাৎ একদিন দেখি 'হিমু' এই কলেজে একই সেকশনে ।দেখতে আরও অনেক সুন্দর হয়েছে । এখন সে আমার থেকে ৪" ছোট । কারন আমি হঠাৎ লম্বা হয়েগেছি ।আমি তাকে দেখে একটু না দেখার অভিনয় করলাম ,হিমু এইটা লক্ষ করল ।
তার কিছুদিন পর জানতে পারলাম তার বিয়েটা জোর করে করানো হয়েছে এবং সে এই বিয়েতে একদম খুশি না । তাই তার প্রতি আমার ভালোবাসা আরও বেড়ে গেল । কিছুদিন পর তাকে একটা চিঠি লিখি ।ওই চিঠিতে আমি তাকে প্রপোজ করি ।

তখন সাথে সাথে সে আমাকে বলে -
হিমু (মেয়ে) :- এখন এইটার মানে কি ?যখন বলার দরকার ছিল তখন ত কিছুই বলনি।এখন এইটা কোনো ভাবেই সম্ভব না ।
মুহি (আমি) :- আমি এখনও তোমার জন্য সব কিছু করতে রাজি আছি ।
হিমু কিছু না বলেই চলে গেল ।কলেজেও আসে না ।কালকে তার জন্মদিন । কিন্তু তার কোন খোজ নেই।
তখন তার এক ফ্রেন্ড তার ফেইসবুক আইডি দিল । তারপর
আমি ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট না পাঠিয়ে মেসেজ দিলাম 'শুভ জন্মদিন '
সাথে সাথে রিপ্লাই ধন্যবাদ ।তারপর থেকে প্রতিদিন চেট করতাম এবং বুঝতে পারলাম সেও আমার প্রতি অনেকটা দূরবল হয়ে গেছে । কলেজে ক্লাস ফাকি দিয়ে কমন রুমে কথা বলতাম ।
একদিন আমাকে প্রশ্ন করল -
হিমু :- আমাদের এই রিলেশনের ভবিষৎ কি?আমরা কি এইভাবেই সুখে থাকতে পারব?

আমি কিছুই বলতে পারলাম না ।
আমি তাকে নিয়ে পালায় যাব,সেও এক পায়ে রাজি ।
কিন্তু আমি ভাবলাম তার স্বামী পুলিশ অফিসার, মাইনে পায় ভালো ।তাকে অনেক কিছু দিতে পারবে ,তাতে হিমু সুখেই থাকবে।
যার কোনোকিছু আমি তাকে দিতে পারব না।

এরপর থেকে তার থেকে দূরে থাকতে লাগলাম । তার সাথো যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ করে দিলাম ।
অনেক বন্ধু অনেক খারাপ কথা বলতে লাগল- এই তর ভালোবাসা কয়েকদিন প্রেম করে মজা মাইরা,এখন শেষ তর ভালোবাসা ।
আরও অনেক কিছু- তুই মেয়েটারে এভাবে কাদাঁয়লি তুই জীবনে সুখি হতে পারবি না ।


আমি তাদের কথায় কান না দিয়ে হিমুর জীবন থেকে অনেক দূরে সরে গেলাম ।কলেজ চেইন্জ করলাম ।ফেইসবুক আইডি । মোবাইল নাম্বার ।শুরু করলাম এক নতুন জীবন।
কিন্তু প্রতিজ্ঞা করে ছিলাম হিমু ছাড়া অন্য কোনো মেয়ে আমার জীবনে আসবে না ।
যদি কোনদিন প্রতিষ্ঠিত হতে পারি তাহলে আবার তার কাছে ফিরে যাব ।।।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৫

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: সত্যি গল্পটা না অসাধারণ ছিল কিন্তু হিমু মেয়েটা না খুব অভিমানী ছিল ...।

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩১

রাইসুল ইসলাম রাণা বলেছেন: পল্টু,মন্টু,বল্টু এই তিনজন একজনের বন্ধু হয়না।

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮

স্তব্ধ হোমোসিপিয়েন্স বলেছেন: ধন্যবাদ #কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ

৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪০

স্তব্ধ হোমোসিপিয়েন্স বলেছেন: এখানে সব গুলো ছদ্দ নাম ব্যবহার করা হয়েছে #রাইসুল ইসলাম রানা

৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৬

সুমন কর বলেছেন: আপনি যখন অন্য কারো'র মন্তব্যের প্রতি উত্তর দিবেন। তখন নিচের ছবির মতো সর্ববাম পাশের এ্যারোতে ক্লিক করে জবাবটির উত্তর দিবেন। তাহলে উনি জানতে পারবেন।



শুভ ব্লগিং...... !:#P

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৩

স্তব্ধ হোমোসিপিয়েন্স বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: যাক, যা গেছে তা যাক। নতুন পথে হাঁটুন।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১১

স্তব্ধ হোমোসিপিয়েন্স বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.