নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গল্প

ইসমাইলহোসেন০০৭

লেখক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

ইসমাইলহোসেন০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সম্পর্ক

২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৪

মাঝেমাঝে লিখতে ইচ্ছা করে। লিখার বিষয় অনেক ধরনের। মনের কথাগুলো কলমে লিখতে গেলে সাজানো হয়ে উঠে না। আবার কখনো মনের ভিতরের কথাগুলো ভুলে যাই। আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া ছোট বড় অনেক ঘটনা মনের ভিতর স্থান করে নেয়। ঘটনাগুলোর মধ্যে অল্প কিছু মনে থাকে। কিছু ঘটনা কুয়াশা বা মেঘের মত। বাকিগুলো সময় বা ব্যস্ততার কারনে হারিয়ে যায়।

একটা মানুষ আর একটা মানুষকে অনেক উপকার করার পরও যদি একটা ভুল করে মা পায় না। কিন্তু একটা মানুষ আর একটা মানুষের সাথে শতভুল করেও দোষের ভাগটা উপকারী ব্যক্তির উপর চাপিয়ে দেয়। যাতে আরও বেশি উপকার পেতে পারে এবং দোষী করে চাপের মধ্যে রাখতে পারে। যে মন থেকে উপকার করে সে অধিকাংশ সময় চুপ থাকে। তবুও সম্পূর্ণ দোষের ভাগ দিতে থাকে। কোন লাভ হয় না। সে এমনি বলে (উপকারী ব্যক্তিকে) হালকা করে দিতে চায়। কিন্তু উপকারী ব্যক্তি নিরবে কষ্টগুলো নিয়ে সৃষ্টিকর্তাকে বিচার দিয়ে রাখে। যদি ধরে নেই- বিনা কারনে পানি নড়ে না। তবুও যার সম্মান যায় সে জানে তার মন ও মস্তিষ্কে কি রকম লাগে। জীবনে হাজার সুখের স্মৃতি থাকলেও একটা কষ্টকে মুছে ফেলতে পারে না। কিন্তু একটা কষ্ট হাজার সুখের স্মৃতি মুছে ফেলতে পারে।

বাবা, মা, ভাই, বোন, সন্তান, আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু ছাড়াও অনেক সম্পর্ক থাকে। যারা অনেক সময় বিপদে এগিয়ে আসে। তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক সত্যিকারের উপকারে আসে। কিছু সংখ্যক সুযোগের আশায় এগিয়ে আসে। আবার কিছু সংখ্যক চুপ করে থাকে। যাতে বাধ্য হয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়। বিনিময়ে সুবিধা নেওয়ার আশায়। এসব আমরা কম-বেশি সকলে জানি।

ড্রাইভার গাড়ি চালানোর সময় নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছার পূর্ব পর্যন্ত রাস্তা দেখে গাড়ি চালায় এবং গাড়ির যন্ত্রপাতি আগে থেকে চেক করে নেয়। অন্যথায় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। মানুষকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত সময় সঠিক লক্ষ্য নিয়ে বুঝে চলতে হয়। রাস্তা থেকে নেমে গেলেই দুর্ঘটনা। তারপর দুর্ঘটনার ধরন অনুযায়ী ব্যবস্থা। প্পঞ্চম শ্রেণিতে প্রথম ভাবসম্প্রসারন-এ পড়েছি “ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে”। প্রত্যেকটি শিশু একদিন বাবা বা মা হবে। একজন শিশু আগামী দিনের বিশ্বের সম্পদ। শিশুরা বন্ধুদেরকে আদর্শ মনে করে। বন্ধুর যেভাবে কথা বললে ভাল শুনায়, সে একইভাবে কথা বলতে চায়। বন্ধুর জুতা বা কাপড় দেখে ভাল লাগলে, সে এমনটা কিনতে চায়। সম্পর্ক শব্দটা যখন বন্ধু হয় (হতে পারে সহপাঠি বা অন্য কোন পরিচয়ে)। তখন বন্ধু নির্বাচন-এ ভুল করে অনেক তরুন প্রান নষ্ট হয়ে যায়। কখনো বুঝে। কখনো না বুঝে, কখন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে নিজেই বুঝতে পারে না। নষ্ট হওয়ার কারন-
১। বাবা বা মাকে না জানিয়ে বন্ধুত্ব তৈরি করা।
২। বাবা বা মাকে না জানিয়ে কোথাও যাওয়া।
৩। সঠিক তথ্য না জেনে কোন কাজ করা।
৪। সামর্থ্যের অধিক কোন কাজ করা।
৫। জীবনের ল্য সঠিক না হলে।
এছাড়াও অনেক কারণ আছে। সবাই জানি, বাবা অথবা মায়ের সাথে কথা বলে অগ্রসর হলে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা কম। বাবা, মা, ভাই, বোন বা কাছের আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যেই ভাল বন্ধু পাবে। প্রতি বছরে বা দশ বছরে পঞ্চাশটা বন্ধুত্ব অর্জন করা, অর্জন নয়। বরং একশ বছরে বন্ধুর মত একটা বন্ধুই অর্জন।

শিল্প বিপ্লব ও সভ্যতার উন্নতি হচ্ছে। সেই সাথে বেড়ে যাচ্ছে প্রযুক্তির ব্যবহার। নিত্য নতুন প্রযুক্তি ও পুরনো প্রযুক্তি ব্যবাহার করে ভাল কিছুর মধ্যে খারাপ ডুকে যাচ্ছে। মোবাইলে কথা বলে কিংবা ফেসবুক ব্যবহার করে অধিকাংশ তরুন-তরুনী এবং যুবক-যুবতী ছাড়াও প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ বিপদের সম্মুখিন হচ্ছে। ধর্মের বাবা, মা, ভাই, বোন, মামা, কাকা এবং নানা ধরনের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে। এখন আসি প্রেমিক ও প্রেমিকার সম্পর্কে। বাড়ির কাউকে না জানিয়ে পরিচিত বা অপরিচিত কারও সাথে মোবাইলে কথা বলে কিংবা ফেসবুকে চ্যাটিং করে। উঠতি বয়সের ছেলে মেয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলে। এক সময় দেখা করা। তারপর বিয়ের প্রস্তাব। বাড়িতে মেনে না নিলে যে কোন প্রকার ভুল করা। এসব সহজেই ঘটছে।

প্রেমিক ও প্রেমিকার বা বিবাহ সম্পর্কে যাওয়ার জন্য সময় নেওয়া প্রয়োজন। আমরা জানিনা সামনে আমাদের জন্য কি অপো করছে। ভবিষ্যতে যদি ভাল হয়- তাহলে ভাল। আর যদি খারাপ হয়- তাহলে পরিস্থিতি কতটা খারাপ হতে পারে তাও আমরা জানি। আমরা জানি- প্রেম, ভালবাসা বা বিয়ে করা দোষের কিছু না। স্বাভাবিক নিয়মে প্রত্যেকটি মানুষ এর বিয়ে দরকার। কিন্তু জানি না, একটা ভুল সম্পর্ক কতটা কষ্ট দিতে পারে। জানি না, কতটা ধবংশাত্বক পরিস্থিতির জন্ম দিতে পারে। সমাজে সন্তানের প্রতিষ্ঠা পাবার কারনে বাবা বা মা চোখ ও মুখ বুঝে সহ্য করলেও ভিতরে কষ্টটা থেকে যায়। একটা মেয়ের সৌন্দর্য দেখে ছেলের মনে কামনা কাছে পাবার বাসনা জাগতে পারে। ঠিক তেমনি মেয়েও ছেলেকে দেখে মনে কামনা কাছে পাবার বাসনা জাগতে পারে। কিন্তু এই সময় আবেগে ভেসে গেলে হবে না। মনের কামনা ও কাছে পাবার বাসনা এসব কুপ্রবৃত্তি হত্যা করতে না পারলে সামনে ধবংসাত্বক পরিস্থিতির জন্ম হবে।

সকল কুপ্রবৃত্তি থেকে বাচতে হলে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে। খাবার গ্রহনে সতর্ক থাকতে হবে। পরিবারে সময় দিতে হবে। ভাল কাজে মনোযোগি হতে হবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ২:১৩

মনে নাই বলেছেন: সত্য কথা বলেছেন।

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩

ইসমাইলহোসেন০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.