নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গল্প

ইসমাইলহোসেন০০৭

লেখক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

ইসমাইলহোসেন০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার প্রথম কবিতা লেখা এবং অন্যান্য কিছু কথা

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৫

আজকের দিনের সাথে আমার প্রথম কবিতা লেখার সম্পর্ক আছে। আমি ছোট থাকতে গল্পের প্রতি আগ্রহী ছিলাম। দাদার কাছ থেকে গল্প শুনে প্রথম গল্পের প্রতি আগ্রহ জন্মে। একটা গল্প শুনার পর নিজের ভিতরকার কত বিচিত্র ভাবনার জন্ম নিত-ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা। গল্পের রাজার মত বা রাণীর মত বা রাজার ছেলে অথবা রাজার মেয়ের মত মনের ভিতরটা আলোড়িত করত। এছাড়াও বিভিন্ন চরিত্র ও ঘটনা মনের মাঝে দুঃখ, কষ্ট, কান্না, হতাশা, সন্দেহ, ভদ্রতা, সম্মান, স্নেহ, হাসি বা বিভিন্ন ধরনের অনুভূতির জন্ম দিত। যা হয়ত অনেকর সাথে মিলে যেতে পারে। ছোট বেলা দাদার সাথে গল্পে কাটানো ঝকঝকে নিষ্পাপ সময় ভুলার মত নয়। সেই সময় ও পরিবেশ কতটা আপন ছিল- ভাষায় লিখে ও বলে শেষ করা যাবে না। সেই সময়ের স্মৃতি সবার মনে অনেক ছোট এবং বড় ঘটনা মনে করে দেয়। যাইহোক, সেই প্রসঙ্গ আপাদত বাদ দেই।

দাদার কাছে গল্প শুনে নাটকের প্রতি আগ্রহ জন্মে। কতটা গল্প শুনার পর নাটকের প্রতি আগ্রহী হই বলতে পারবনা। ছোট একটা ঘটনা মনে পড়ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় আমাকে একটা নাটকে অভিনয় করার জন্য বলে। কয়েক দিন অভিনয় করলাম। কিন্তু সংলাপ বলার সময় মাথা নিচু করে রাখি। এতে শিকক্ষগণ বলে মাথা উচু করে সংলাপ বলার জন্য। কিন্তু কতক্ষণ মাথা সোজা করে সংলাপ বললেও আবার মাথা নিচু করে সংলাপ বলি। এক সময় সংলাপ বলা ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু পূর্বের অবস্থার কারনে নাটক করে আমি বিরক্ত হই। মনে মনে সিদ্ধান্ত নেই কখনো নাটক করবনা। এখানেই আমার নাটক করা শেষ হয়। অবশ্য নাটক পড়া বা শুনা শেষ হয়না। বিশেষ করে বাংলাদেশ বেতার এর নিশুতি অধিবেশন-এ নাটক শুনতাম এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন এর নাটক দেখতাম।

আমার কবিতা লেখা শুরু ২১শে ফেব্রুয়ারীতে আবৃত্তি করার জন্য। আগের বছরগুলোতে ২১শে ফেব্রুয়ারীর দিন কোন সাহিত্য সাময়িকীতে প্রকাশিত কবিতা আবৃত্তি করতাম। আমি অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময় প্রথম নিজের লেখা কবিতা আবৃত্তি করেছি। একই শ্রেণীতে পড়ার সময় ২৬শে মার্চ আমার নিজের লেখা দ্বিতীয় কবিতা আবৃত্তি করি। কিন্তু ভাল লাগেনি। এর কারণ হচ্ছে- কবিতাগুলো অন্য এক বা একাধিক কবিতার সাথে কিছুটা মিল ছিল। যা আমার কাছে ভাল লাগেনি। পরের বছর কবিতা লেখার জন্য মনের সাড়া ছিলনা। কিন্তু বছরের শেষে আবার লেখা শুরু করলাম। তারপর দশম শ্রেণীতে পড়ার সময় অনেক কবিতা লিখেছি।

একটা কথা না বলে পারছিনা। পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ার সময়- বছরের শুরুতে ডায়েরী লেখার প্রতি প্রচন্ড আগ্রহ তৈরি হল। শুধু ডায়েরী লেখা না। অনেক কিছুতে আমার মাঝে বিরাট পরিবর্তন ল্য করি। কারণ ঐ সময়ের ইংরেজি বই এবং বইয়ের প্রতিটি গল্প আমাকে আকৃষ্ট করে। এমনকি বইয়ের উপরে ছাপ দেওয়া ছাত্রের গায়ের শার্ট এবং পরনের হাফপ্যান্ট অনেক সুন্দর লাগে।

আমার কবিতা লেখার জন্য ডায়েরী লেখার অভ্যাস এবং কবিতা আবৃত্তি করা খুব কাজে দিয়েছে। দশম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় অনেক কবিতা লিখেছি। কবিতার পাশাপাশি গল্প লিখতাম। গল্প দীর্ঘ হওয়ার কারণে অর্ধেক বা অল্প লেখার পর শেষ করতে পারতামনা। মাত্র কয়েকটা গল্প লেখা হয়েছিল। এস.এস.সি পাশ করার পর প্রবন্ধের প্রতি আগ্রহী হই-ডা. লুৎফর রহমান এর “যুবক জীবন” প্রবন্ধটি পড়ার মাধ্যমে। এর আগে বিশেষ করে ‘সাহিত্যে খেলা’ এবং ‘বই পড়া’ প্রবন্ধ দুটি আমার খুব ভাল লাগে। কিন্তু ‘যুবক জীবন’ প্রবন্ধটি আমার কাছে ব্যতিক্রম মনে হয়। এই প্রবন্ধের অনেক কথা ভুলার মত না। তখন থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিটি মানুষের কাছে এই প্রবন্ধটি বিরাট গুরুত্ব বহন করে। এই প্রবন্ধটি পড়ার পর আমি নতুন অনেক কিছু শিখতে পারি। এই প্রবন্ধ না পড়লে ঐ সময় আমার অনেক কিছু অজানা থেকে যেত।

আবার কবিতা লেখা প্রসঙ্গে ফিরে আসি। বাংলাদেশ বেতার এর ‘যুব তরঙ্গ’ নামে একটি অনুষ্ঠান হত। এই অনুষ্ঠানে নতুন লেখকদের কয়েকটি লেখা পড়া হত। এই অনুষ্ঠানে আমি একটি কবিতা পাঠাই। আমার প্রথম পাঠানো কবিতাটি আবৃত্তি করা হয়। অনুষ্ষ্ঠানে নতুন লেখকদের লেখা সম্পর্কে ‘রবিশঙ্কর মৈত্রী’ পরামর্শ দিতেন। আমার লেখা সম্পর্কে একটি জায়গায় পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাঁকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। বাংলাদেশ বেতার এর বিজ্ঞাপন তরঙ্গের একটি অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠানোর জন্য শিরোনাম দেওয়া হয়। সেখানেও আমার কবিতা আবৃত্তি করা হয়। এইভাবে আমার লেখালেখির পথ চলা শুরু।

আমার এক মামাত ভাই লেখালেখির কথা জানত। সে ২০০৮ সালে এই ব্লগে একটি আই.ডি করে দেয়। ই-মেইল চেক না করার কারণে ঐ আই.ডি চালানো সম্ভব হয়নি। তারপর আবার মামাত ভাইয়ের সাহায্য নিয়ে ২০১০ সালে আবার নতুন আই.ডি চালু করা হয়।

আমার ভাল কিছুর জন্য মামাত ভাই এর অবদান অনেক। আমি ছোট থাকতে এই ভাইকে যদি না দেখতাম- তবে অনেক কিছু জানতে পারতামনা। নিজেকে বলি- ভাইয়া, তোমাকে যেন মনে রাখতে পারি।

প্রথম লেখা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত যারা সহযোগিতা করেছে- সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। সকলে যেন ভাল থাকে। সুখে ও শান্তিতে থাকে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৬

মহা সমন্বয় বলেছেন: শুনে ভাল লাগল।
কিন্তু আমি কোন কবিতা লিখতে পাড়ি না। :(

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৩

ইসমাইলহোসেন০০৭ বলেছেন: আপনার শুনে ভাল লাগল জেনে আমারও ভাল লাগল। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.