![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে লাইনে দাঁড়াতে হয়। কখনো লাইনে দাঁড়িয়ে বিড়ম্বনায় পড়ি। লাইনের মধ্যে অন্য লোক ডুকে। অথবা, পরিচিত থাকার কারনে লাইনে না দাঁড়িয়ে কাজ শেষ করে। আর সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে। কোন সময় বিড়ম্বনার অন্ত নেই। অনেক অজুহাত দিয়ে মানুষ আগে কাজ শেষ করতে চায়। লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে হাতাহাতি হয়। এছাড়া তিক্ত ঘটনা সবারই কম বেশি আছে।
আজ ব্যাংক-এ ডি.পি.এস-এর টাকা জমা দিতে গিয়ে স্বস্তি পেলাম। সেখানে দুপুর এর পরে যাই। স্কুল-এর একজন শিককে দেখতে পাই। তাঁর পাশে একজন দাঁড়ানো। আর একজন টাকা জমা দিচ্ছেন। আমরা মোট চারজন। সবাই পুরুষ মানুষ। স্যার-এর আগের ব্যক্তির টাকা জমা দেওয়ার সময়-আর একজন পুরুষ লোক উপস্থিত হলেন। বয়স সম্ভবত ২৮ থেকে ৩২ এর মধ্যে হবে। গায়ের রং ফর্সা, লম্বা গড়নের এবং স্বাস্থ্য ভাল। একজন বাচ্চা ছেলে কোলে নিয়ে আসছেন। আমাদের পাশে এসে বাচ্চাকে কোল থেকে নামিয়ে দিলেন। লোকটির কোলে উঠার জন্য বাচ্চা আবদার করে। তিনি বাচ্চাকে আবার কোলে তুলে নিলেন।
স্যার এর টাকা জমা দেওয়ার পর-আমার পরে আসা লোকটি-আমাকে টাকা জমা দেওয়ার জন্য বললেন। আমার কাছে অবাক মনে হয়েছে। আমি বললাম, সমস্যা নেই-আপনি আগে জমা দেন। তখন লোকটি বলেন-আপনি আগে আসছেন, আপনি আগে যান। তারপর আমি জমা দিব। আমি আবার বললাম, আমার কোন সমস্যা নেই-আপনি আগে জমা দেন। তারপরও লোকটি বলেন- না, আপনি জমা দেন। এরপর ভদ্রলোককে ধন্যবাদ জানিয়ে টাকা জমা দেওয়ার জন্য বই ক্যাশিয়ারের কাছে দেই। তখন আমাকে দেখিয়ে ভদ্র লোকটি বলেন- উনার টাকা জমা দেওয়া হলে-আমার টাকা এখান থেকে নিয়েন। আমার সামনে বই এবং টাকা রেখে পিছনে গেলেন। হয়ত বাচ্চার কোন কাজে। আমি দেখলাম, উনি চার হাজার টাকা প্রতি মাসে জমা দেন। আমার সামনে বই এবং টাকা রেখে যেতে উনি কোন রকম অস্বস্তি বোধ করেননি। আমার চারটা বই দেখে টাকা দিতে বলেন। আমি টাকা দেওয়ার পর ক্যাশিয়ার টাকা হিসাব করার পর ঐ লোকের বই এবং টাকা নিয়ে উনার কাছে রাখলেন। তারপর ক্যাশিয়ার সিলমোহর, স্বার ও বাকি কাজ শেষ করে আমাকে বইগুলো ফেরত দেন। তখনও ঐ ভদ্রলোকের দেখা পাইনি।
এই পর্যন্ত যত জায়গায় লাইনে দাঁড়িয়েছি, এইভাবে কেউ বলেনি-আপনি আগে আসছেন,আগে যান। বিদ্যুৎ বিল, বাণিজ্য মেলা, কলেজ এর বেতন দেওয়ার জন্য হোক অথবা অন্য যত জায়গায় লাইনে দাঁড়িয়েছি-উনার মত বিনয়ী হয়ে কেউ আগে যাওয়ার জন্য বলেনি। অনেক ভাল লেগেছে। তাঁর জন্য অনেক শুভ কামনা রইল। তিনি যেন সুস্থ থাকেন। তিনি শান্তিতে জীবন-যাপন করুন। আমিন।
১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২০
ইসমাইলহোসেন০০৭ বলেছেন: আমারও হিতে বিপরীত ফল হয়েছে। ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪১
টরপিড বলেছেন: আমরা কত নীচে নেমে গেছি!
আপনার সাথে যা হলো তাতে আপনি আনন্দে আত্বহারা, পোস্ট দিয়ে দিলেন, পড়ে আমারও ভালো লাগছে।
অথচ, বিনয়ী হওয়া, পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা এগুলো হওয়ার কথা আমাদের নিত্যদিনের অভ্যাস।
এখন খারাপটাই স্বাভাবিক, ভালো কিছু দেখলেই ব্যতিক্রম ঠেকে!
আপনাকে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭
ইসমাইলহোসেন০০৭ বলেছেন: আপনি কিছু কথা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
একদিন আমার এক ক্লাসমেট লাইনে দাঁড়িয়েছে টাকা জমা দিতে। কিন্তু লাইনের ফাঁকে একটু পরপর ডুকার কারণে সে লাইন থেকে বের হয়ে আসে। আর একদিন আমরা অনেক ক্লাসমেট এক সাথে লাইনে দাঁড়িয়েছি, সেদিন বিভিন্ন অজুহাতে কয়েকজন লাইনে ডুকে, একবার এ নিয়ে ব্যাংক-এর সামনে হাতাহাতি হয়।
আপনিও ভাল থাকবেন।
৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: পৃথিবীতে সবচাইতে অসভ্য বর্বর লোভী অভদ্র কৃপন করাপটেড মানুষ হল এই বাং....
১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০০
ইসমাইলহোসেন০০৭ বলেছেন: ঠিক বলছেন। ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৪
সুমন কর বলেছেন: ভালো মানুষ এখনো কিছু আছে !!
১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০৪
ইসমাইলহোসেন০০৭ বলেছেন: যথার্থ বলেছেন। এখনো কিছু ভাল মানুষ আছে।
ভাল মানুষদের জন্যই এখনো পৃথিবীটা ধ্বংশ হয়নি।
শুভ কামনা রইল। ধন্যবাদ।
৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২৮
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: এটাই তো স্বাভাবিক।
আমরাও নিয়ম মেনেই চলার চেষ্টা করি।
১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১৩
ইসমাইলহোসেন০০৭ বলেছেন: অাপনার মন্তব্য পড়ে ভাল লাগল। সবাই নিয়ম মেনে চললে আমাদের দেশের আরও অনেক অর্জন হত।
ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: সৌজন্যতা আর শৃঙ্খলা থাকলে আমাদের সমাজটা অনেক বেশী সুন্দর হতো।
১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:০৯
ইসমাইলহোসেন০০৭ বলেছেন: আপনাদের মত মানুষদের জন্যই এখনও সুন্দর সমাজ এর প্রত্যাশা করি। ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৩
বিপরীত বাক বলেছেন: আপনি তাও ভাল। টিপিক্যাল অকৃতজ্ঞ টাইপ নন। এরকম ভব্যতা অনেক দেখিয়েছি। হিতে বিপরীত ফল পেয়েছি।