![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরিবর্তনের জন্য দেশপ্রেমিক সুস্থ রাজনীতি প্রয়োজন।
বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস রপ্তানী করছে আমেরিকা
সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধের নামে ধোয়া তুলে মাকিনীরা সারা পৃথিবীতে যে তান্ডব পরিচালনা করতেছে তা অকল্পনীয়।কারণ বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসের তৈরি, উদ্ভাবন ও আমদানী-রপ্তানীর নাটের গুরু একমাত্র তারাই। নিজেরা সন্ত্রাস তৈরি করে আবার সেটাকে উপলক্ষ বানিয়ে দেশে দেশে আগ্রাসনের সুযোগ তৈরি করছে মাকিনীরা। মাকিন সাম্রাজ্যবাদ যে, বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস রপ্তানী করছে তার প্রামান্য সিআইএর গোপন দলিল ফাঁস করে আবারো বিশ্বব্যাপী আলোচনার ঝড় তুলেছে উইকিলিকস। নতুন প্রকাশিত এ দলিলে আমেরিকাকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। ‘বিদেশিরা আমেরিকাকে যদি সন্ত্রাস রপ্তানিকারক হিসেবে জানে তাহলে কেমন হবে?’... শিরোনামে ২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তৈরি তিন পাতার ওই রিপোর্টে উল্লেখ আছে, সারা বিশ্বে সংঘটিত সন্ত্রাসবাদী ঘটনার সঙ্গে আমেরিকানদের অংশগ্রহণ নতুন কোনো ঘটনা নয়। রিপোর্টে একাধিক সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গে আমেরিকান নাগরিকের জড়িত থাকার কথা উল্লেখ রয়েছে। বিশ্বব্যাপী ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’র নামে আমেরিকার আগ্রাসন বরাবরই সমালোচিত। কিন্তু এবার সে সমালোচনার আগুনে ঘি ঢেলে দিয়ে তাকে সত্যিতে পরিণত করেছে উইকিলিকস। এরআগে ২৩ জুলাই পৃথিবীর ইতিহাসে আমেরিকার সবচেয়ে বড় সামরিক গোপন তথ্য প্রকাশ করে বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগায় ওয়েবসাইটটি।
বিশ্বের শান্তিকামী মানুষের মাঝে তখনই নিন্দার ঝড় ওঠে। আর ইমেজ সঙ্কটে পড়ে ওবামা প্রশাসন ও আমেরিকার সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ। তাই আমেরিকার স্বার্থে আঘাত হানে এমন কোনো তথ্য না প্রকাশের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে উইকিলিকসকে অনুরোধ করেছিল পেন্টাগন। কিন্তু কাজ হয়নি বরং এবার সিআইএর এমন একটি গোপন দলিল প্রকাশ করেছে উইকিলিকস যা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে আমেরিকার অবস্থান নড়বড়ে করে তুলবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
সিআইএর ওই গোপন দলিলে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে, ‘আমেরিকা নিজেই বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস রপ্তানি করছে।’ প্রকাশিত প্রতিবেদনে লেখা রয়েছে, সারা বিশ্বে সংঘটিত সন্ত্রাসবাদী ঘটনার সঙ্গে আমেরিকানদের অংশগ্রহণ নতুন কোনো ঘটনা নয়। বিবরণীতে একাধিক সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গে আমেরিকান নাগরিকের জড়িত থাকার কথা উল্লেখ রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, সিআইএর বিশেষ বিভাগ ‘রেড সেল’ থেকে পাওয়া দলিলপত্রগুলো তেমন আহামরি কিছুই না।
এ ব্যাপারে সিআইএর ওয়েবসাইটে বলা হয়, রেড সেল বিভাগটি নাইন ইলেভেনের পর আলাদাভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর কাজ ছিল, এমন কিছু বিবরণী তৈরি করা যা সাধারণ মানুষের ভাবনাকে প্ররোচিত করতে পারে। ঘটনা মূল্যায়নের কোনো দায়দায়িত্ব তাদের দেয়া হয়নি। সিআইএ মুখপাত্র জর্জ লিটল বলেন, বিশ্লেষণধর্মী বিবরণীগুলো নিঃসন্দেহে রেড সেল সংস্থা থেকেই নেয়া হয়েছে। আর তথ্যগুলো তৈরি করা হয়েছে সাধারণভাবে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করতে এবং ঘটনাকে বিভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপন করতে। এ যেন ভূতের মুখে রাম রাম!
রিপোর্টে বলা হয়, আমেরিকার প্রত্যক্ষ মদদে অথবা দেশের বাইরে আমেরিকান অর্থায়নে ইহুদি, মুসলিম এবং আইরিশ-আমেরিকান সন্ত্রাসীদের দিয়ে অনেক সন্ত্রাসী ঘটনা ঘাটানো হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রিপোর্টের একটা বিষয় খুব গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে, চলমান বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলার ব্যাপারে এখন আমেরিকা সম্পর্কে বিশ্ববাসীর ধারণা পাল্টে যেতে পারে।
আলোচিত এ রিপোর্টে; বিশেষ করে আমেরিকার ভেতরেই আমেরিকান বংশোদ্ভূত মুসলিম জঙ্গিদের ক্রমবর্ধমান হামলার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়েছে। সেই সঙ্গে আমেরিকার অভ্যন্তরে উদ্ভূত সন্ত্রাস দেশটির সীমানার বাইরে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে, যারা আমেরিকান নয় তাদের হামলা করছে। আবার এসব সন্ত্রাসীর মধ্যে শুধু মুসলিমই নয়, অন্য ধর্মাবলম্বীও আছে।
রিপোর্টের উপসংহারে বলা হয়েছে, নিজেই সন্ত্রাস রপ্তানি করছে আমেরিকা। বিশ্বের অন্যান্য দেশের যদি আমেরিকা সম্পর্কে এমন ধারণা তৈরি হয়, তাহলে তারা সন্ত্রাসী আটক, বিনিময় অথবা সন্ত্রাসী সন্দেহে আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে আমেরিকাকে সহায়তা করতে অনীহা প্রকাশ করবে, যা আমেরিকার জন্য সুখকর নয়। এটা নতুন কিছু নয়। যুগে যুগে দেশে দেশে আগ্রাসনের পরিবেশ তৈরি করার জন্য হেন কোন সন্ত্রাসবাদী কাজ নেই যা তারা করে না।কারণ মাকি©নীরা বিশ্ব সন্ত্রাসের প্রতিভূ। আজ বিভিন্ন নারকীয় সন্ত্রাসবাদী কম©কান্ডের মাধ্যমে মাকি©ন সাম্রাজ্যবাদ বিশ্ব শান্তির একমাত্র হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে।
বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের প্রজননদাতা মাকিন সাম্রাজ্যবাদ
বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যে কোন পন্যের গায়ে তা কোন দেশের লেখা থাকে। মেইড ইন বলে দেশের নাম লেখা থাকে। ঠিক সে রকম বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের একমাত্র উৎপত্তিকারণ হিসাবে মাকি©ন সাম্রাজ্যবাদের নামই বার বার ওঠে আসে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্ব সন্ত্রাসের প্রজননদাতা। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ফিরিস্তি অনেক। রেড ইন্ডিয়ানতের উপর গণহত্যা ও সন্ত্রাসের ব্যাপক প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর মাকি©নীরা এবার বিশ্বব্যাপী সেই সন্ত্রাসবাদকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আত্ম নিয়োগ করল।রাজ্য বিস্তার, প্রাকৃতিক সম্পদ লুন্ঠন, মাদক বাণিজ্য আর আর নিষ্ঠুর দাস ব্যবসার জন্য দেশে দেশে এরা সন্ত্রাসের জন্ম দিয়েছে।বৃটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর আমেরিকা ২১৬ বছর ধরে বিভিন্ন দেশে সৈন্য মোতায়েন করেছে এবং অভিযান পরিচালনা করেছে। আর এসব সন্ত্রাসী কম©কান্ডের সুবিধার জন্য তারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ৭০০টি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করেছে। এসব ঘাঁটি থেকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী কায©ক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।এরই প্রেক্ষিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমেরিকান বাহিনী শত শত বারের বেশি হামলা ও হস্তক্ষেপ করেছে। শুধুমাত্র ১৯৪৫ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তৃতীয় বিশ্বের ৬৯টি দেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সামরিক যুদ্ধ পরিচালিত করেছে বা সামরিক হামলা চালিয়েছে। তার অংশ বিশেষ উল্লেখ করা হলো-
* যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ১৮৯০ সালে ৩০০ ‘লাকোটা’ কে হত্যা করেছে।
* ১৯৫৪ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ৫০ টির বেশি দেশে হস্তপে করেছে।
* দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২৩টি দেশে বোমা নিপে করেছে।
দেশগুলো হল :
চীন-১৯৪৫-৪৬, কোরিয়া-১৯৫০-৫৩, চীন-১৯৫০-৫৩, গুয়েতামালা-১৯৫৪, ইন্দোনেশিয়া-১৯৫৮, কিউবা-১৯৫৯-৬০, গুয়েতামালা-১৯৬০ ,কঙ্গো-১৯৬৪, পেরু-১৯৬৫, লাওস-১৯৬৪-৭৩ ,ভিয়েতনাম-১৯৬১-৭৩, কম্বোডিয়া-১৯৬৯-৭০, গুয়েতামালা-১৯৬৭-৬৯, গ্রানাডা-১৯৮৩, লেবানন-১৯৮৪, লিবিয়া-১৯৮৬, এলসালভেদর-১৯৮০, নিকারাগুয়া-১৯৮০, পানামা-১৯৮৯, ইরাক-১৯৯১-৯৯, সুদান-১৯৯৮ ,আফগানিস্তান-১৯৯৮, যুগোশ্লাভিয়া-১৯৯৯, আফগানিস্তান-২০০৩, ইরাক-২০০৫, লিবিয়া-২০১০,সিরিয়া-২০১২,
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র ২৫টির বেশি দেশে সরকার পরিবতর্নের লক্ষে গণঅভ্যুথ্থানে সহায়তা করেছে। মাকিন গোয়েন্দা সংস্থা সি আই এ আধা ডজন দেশের রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী হত্যার দায়ে জড়িত ছিল। গত শতাব্দীতে বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্র তিনটি সাম্রাজ্যবাদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যে সব দেশে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করেছে সে দেশ গুলো হলোঃ-
আজেন্টিনা-১৮৯০ সালে বাণিজ্যিক স্বাথ রক্ষা করতে বুয়েনাস আয়াসে সৈন্য প্রেরণ।
চিলি-১৮৯১ সালে মেরিন সৈন্য প্রেরণ এবং জাতীয়তাবাদী বিদ্রোহীদের সাথে সংঘষ।
হাইতি-১৮৯১ সালে নাভানা দ্বীপের স্বাধীনতাকামী দমনে আমেরিকার সৈন্য প্রেরণ।
হাওয়াই-১৮৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের দখল করা এই দ্বীপের স্বাধীনতা রক্ষায় নৌসেনা প্রেরণ।
নিকারাগুয়া-১৮৯৪ সালে আমেরিকান সৈন্য এক মাসের ক্যারিবিয়ান সাগরের পাড়ে কুদিল্ড দখল করে।
চীন-১৮৯৪-৯৫ সালে চীন জাপান যুদ্ধের সময় নৌ বাহিনী ও মেরিন সৈন্য প্রেরণ।
পানামা-১৮৯৫ সালে বাণিজ্যিক শহর কোরিন্টোতে নৌ ও মেরিন সৈন্য অবতরণ করে।
চীন-১৮৯৪-১৯০০ সালে বকার বিদ্রোহীদের মাকিন সৈন্যদের চীন দখল।
ফিলিপাইন-১৮৯৮-১৯১০ সাল পযন্ত স্প্যানিশ-আমেরিকান যুদ্ধের সময় মাকিন নৌ ও সেনাবাহিনীর অবতরণ। কিউবা-১৯৯৮-১৯৩২ সাল পযন্ত স্প্যানিশ আমেরিকান যদ্ধের সময় মাকিন সৈন্যরা কিউবা দখল করেছিল। অদ্যাবদী মাকিন যুক্তরাষ্ট্র গুয়েতামালা সাগরে সৈন্য মোতায়েন রেখেছে।পুয়েটোরিকা-১৮৯৮ সাল থেকে বতমান সময় পযন্ত স্প্যানিশ আমেরিকা যুদ্ধের সময় মাকিন যুক্তরাষ্ট্র পুয়েটোরিকা দখল করে নেয়। যা এখনো পযন্ত দখল করে রেখেছে। নিকারাগুয়া-১৮৯৮ সালে বাণিজ্যিক শহর সান জুয়ান ডেলসুরে মেরিন সৈন্য প্রেরণ। সামোয়া-১৮৯৯ সালে সিংহাসন দখল করতে সৈন্য প্রেরণ। পানামা-১৯০১-১৪ সাল পযন্ত কলম্বিয়া থেকে পানামার স্বাধীনতা দাবীর সমথনে বিদ্রোহীদের পক্ষে নৌসেনা সহায়তা দেন। ১৯০১ সাল থেকে আমেরিকান সৈন্য পানামা দখল করে রাখে। হন্ডুরাস-১৯০৩ সালে বিপ্লবে হস্তক্ষেপ করার জন্য মেরিন সেনাদের অবতরণ।ডোমিনিকান রিপাবলিক ১৯০৩-৪ সালে বিপ্লবকালে মাকিন স্বাথ রক্ষায় সৈন্য প্রেরণ। কোরিয়া-১৯০৪-৫ সালে রুশ-জাপান যুদ্ধের মেরিন সৈন্য প্রেরণ। কিউবা-১৯০৬-৯ সালে নিবাচনের সময় সৈন্য প্রেরণ।
নিকারাগুয়া-১৯০৭ সালে সরকার পরিবতনের দূরভিসন্ধিতে সৈন্য প্রেরণ। হন্ডুরাস-১৯০৭ সালে নিকারাগুয়ার সাথে হন্ডুরাসের যুদ্ধ চলাকালে মেরিন সৈন্য প্রেরণ। চীন-১৯১১-৪১ অব্যাহত দাঙ্গা-হাঙ্গামার সময়ে নৌ ও সেনাবাহিনী প্রেরণ। কিউবা-১৯১২ সালে হাভানায় আমেরিকান স্বাথ রক্ষায় সৈন্য প্রেরণ। হন্ডুরাস-১৯১২ সালে আমেরিকান স্বাথ রক্ষায় সৈন্য প্রেরণ। নিকারাগুয়া-১৯১২-৩৩ সাল পযন্ত মাকিন সৈন্যরা নিকারাগুয়া দখল করে রাখে। এবং ২০ বছর যাবৎ যুদ্ধরত গেরিলাদের সাথে সংঘষে লিপ্ত। মেক্সিকো-১৯১৩ সালে বিপ্লবের সময় আমেরিকানদের রক্ষাথে নৌ সেনা প্রেরণ। ডোমেনিকান রিপাবলিক-১৯১৪ সালে মাকিন নৌ সেনারা ও দেশের বিদ্রোহদের সাথে সংঘষে জড়িয়ে পড়ে।মেক্সিকো-১৯১০-১৮ সাল পযন্ত জাতীয়াবাদের দমনে নৌ ও সেনা সদস্য প্রেরণ। হাইতি-১৯১৪-৩৪ সাল পযন্ত বিপ্লবের পর আমেরিকান সৈন্য দেশটি দখল করে করে নেয় এবং ১৯ বছর ধরে দখলদারিত্ব অব্যাহত রাখে। ডোমিরিকান রিপাবলিক-১৯১৬-২৪ সাল পযন্ত আট বছর যাবৎ দেশটি দখল করে রাখে। কিউবা-১৯১৭-৩৩ সাল পযন্ত আমেরিকান সৈন্যরা ১৬ বছর যাবৎ কিউবা দখল করে রাখে যখন ওই দেশ একটি অথনৈতিক শক্তি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ-১৯১৭-১৮ সাল পযন্ত অক্ষশক্তির সাথে যুদ্ধের জন্য ইউরোপে নৌ ও সেনা সদস্য প্রেরণ। রাশিয়া-১৯১৮-২২ সাল পযন্ত বলশেভিক বিপ্লবের পর পূব রাশিয়ার নৌ ও সেনা সৈন্য বাহিনী প্রেরণ। হন্ডুরাস-১৯১৯ সালে জাতীয় নিবাচনে মাকিন মেরিন সৈন্য প্রেরণ। গুয়েতামালা-১৯১৯ সালে দেশে একটি ধমঘট চলার সময়ে মাকিন সৈন্যরা দুই সপ্তাহের জন্য দেশটি দখল করে রাখে। তুরস্ক-১৯১২ সালে মাকিন সৈন্যরা তুরস্কের সিরনা জাতীয়তাবাদীদের সাথে সংঘষে জড়িয়ে পারে। চীন-১৯২২-২৭ সাল পযন্ত জাতীয়বাদী বিদ্রোহীদের দমনে মাকিন নৌবাহিনী ও স্থলবাহিনী মোতায়েন করা হয়। হন্ডুরাস-১৯২৪-২৫ সাল পযন্ত মাকিন সৈন্যরা দু্বার এদেশের জাতীয় নিবাচনের সময় আসা যাওয়া করে। পানামা-১৯২৫ সালে এ দেশের ধমঘট দমনের মাকিন সৈন্যরা অবতরণ করে। চীন-১৯২৭-৩৪ সাল পযন্ত চীনের সবত্র মেরিন সেনারা অবস্থান করে। এলসালভেদর-১৯৩২ সালে মাকিন অধীনে এফ এম এল এন বিদ্রোহীদের দমনে মাকিন নৌ বাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ প্রেরণ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-১৯৪১-৪৫ সাল পযন্ত মাকিন যুক্তরাষ্ট্রে, অক্ষশক্তি জাপান, জামানি ও ইতালির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।যুগোস্লোভিয়া-১৯৪৬ সালে আমেরিকান বিমান ভূপাতিত করার প্রতিশোধ হিসাবে মাকিন সৈন্যরা যুগোস্লোভিয়ার কোস্টগাড বাহিনী ধ্বংস করে দেয়। উরুগুয়ে-১৯৪৭ সালে সামরিক শক্তি প্রদশন করতে গিয়ে উরুগুয়েতে বোমা নিক্ষেপ করে।
গ্রিক-১৯৪৭-৪৯ সাল পযন্ত সে দেশের জাতীয় নিবাচনে বিজয়ী দলকে নিজেদের পছন্দ না হওয়ার অভিযান পরিচালনা করে। জামানী-১৯৪৮ সাল বালিন প্রতিরোধের বিরুদ্ধে মাকিন সৈন্যরা অভিযান চালায়। ফিলিপাইন-১৯৪৮-৫৪ সাল পযন্ত ফিলিপাইনের হুক বিপ্লবের বিরুদ্ধে এক গৃহযুদ্ধে মাকিন গোয়েন্দ সংস্থা সি আই এ কাজ করে। পুয়েটোরিকা-১৯৫০ সালে স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহীদের জন্য সামরিক সাহায্য প্রদান। কোরিয়া যুদ্ধ-১৯৫১-৫৩ সাল পযন্ত যুদ্ধের সময় মাকিন সৈন্য প্রেরণ। ইরান-১৯৫৩ সালে গনতান্ত্রিকভাবে নিবাচিত প্রধানমন্ত্রী ডাঃ মোসাদ্দেগকে ক্ষমতায় বাধা প্রদান এবং পরাজিত শক্তিকে ক্ষমতায় বসায় মাকিন গোয়েন্দা সংস্থা সি আই এ। ভিয়েতনাম-১৯৫৪ সালে ভিয়েতনামের হো সিন মিন এবং ভিয়েত মিত্রের বিরুদ্ধে ফান্সকে অস্ত্র সরবরাহ করে। গুয়েতেমালা-১৯৫৪ সালে গনতন্ত্রিকভাবে নিবাচিত আরেক জনকে অপসারণ করে এবং আরামাসকে ক্ষমতায় বসায়। মিসর-১৯৫৬ সালে প্রেসিডেন্ট নাসের সুয়েজ খাল জাতীয় করণের পর মাকিন সেনারা বিদেশীদের উপর আক্রমন করে। লেবানন-১৯৫৮ সালে মাকিন নৌবাহিনী লেবাননে সেনা নিয়ন্ত্রাধীন এক গৃহযুদ্ধে সহায়তা করে। পানামা-১৯৫৮ সালে পানামায় এক বিক্ষোভ সমাবেশে মাকিন সৈন্যরা হামলা করে। ভিয়েতনাম-১৯৫০-৭৫ সালে মাকিন বাহিনী ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশ নেয়। কিউবা-১৯৬১ সালে মাকিন গোয়েন্দা সংস্থা সি আই এ ক্যাস্ট্রো সরকারে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করে। কিউবা-১৯৬২ সালে মাকিন নৌ সেনারা কিউবায় অবস্থান নেয়। লাউস-১৯৬২ সালে গৃহযুদ্ধে চলাকালে মাকিন সৈন্যরা লাউস দখল করে নেয়। পানামা-১৯৬৪ সালে পানামা খালে মাকিন বাহিনীর উপস্থিতির প্রতিবাদ করায় পানামাবাসীর ওপর গুলিবষন। ইন্দোনেশিয়া-১৯৬৫ সালে সি আই এ ইন্দোনেশিয়ায় সামরিক অভ্যুথ্থানে ইন্ধন যোগায়। ডোমিনিকান রিপাবলিক-১৯৬৫-৬৬ সালে জাতীয় নিবাচনে মাকিন বাহিনী হস্তক্ষেপ করে। গুয়েতেমালা-১৯৬৬-৬৭ সালে মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রীন বেরেট গুয়েতেমালায় প্রেরন করা হয়। কম্বোডিয়া-১৯৬৯-৭৫ সাল ভিয়েতনাম যুদ্ধ কম্বোডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর মাকিন সৈন্য পাঠানো হয়। ওমান-১৯৭০ সালে ইরানে সরাসরি আক্রমনের লক্ষে মাকিন মেরিন সেনা প্রেরণ। লাওস-১৯৭১-৭৫ সালে লাওসে গৃহযুদ্ধের সময়ে সারা দেশে মাকিন যুক্তরাষ্ট্র কাপেট বোমা নিক্ষেপ করে। চিলি-১৯৭৩ সালে সি আই এ চিলিতে গনতান্ত্রিকভাবে নিবাচিত প্রেসিডেন্ট আলেমন্দেকে হত্যা করে এবং সামরিক সহযোগিতায় জেনারেল পিনাচেটকে ক্ষমতায় বসায়। কম্বোডিয়া-১৯৭৫ সালে দখলকৃত আয়া কুয়েজ জাহাজের নাবিকদের উদ্ধার অভিযানে ২৮ জন নাবিক নিহত হয়। এঙ্গোলা-১৯৭৬-৯২ সাল পযন্ত মাকসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদ্রোহীদের পৃষ্টপোষকতা প্রদান করা হয়। ইরান-১৯৮০ সালে তেহেরান দূতাবাসে ৫২ জিম্মিকে উদ্ধারের অজুহাতে মাকিন বাহিনী ইরানে হামলা করে। লিবিয়া-১৯৮১ সালে মাকিন বাহিনী ২টি লিবিয়ান বিমান ভূপাতিত করে। এলসালভেদর-১৯৮১-৯২ সাল পযন্ত এফ এম এল এনের বিরুদ্ধে মাকিন বাহিনী এবং সি আই এ ঐ দেশে গমন করে। নিকারাগুয়া-১৯৮১-৯০ সাল পযন্ত যুদ্ধে সি আই এ এম এস সি কে দিক নিদেশনা দেয়। লেবানন-১৯৮২-৮৪ সাল পযন্ত মাকিন বাহিনী লেবাননে গৃহযুদ্ধের সুযোগে দেশটি দখল করে নিয়েছিল। তুরস্ক-১৯৮৩-৮৯ সালে এদেশের সীমান্তে ঘাটি করতে মাকিন বাহিনী প্রেরণ। গ্রানাডা-১৯৮৩-৮৪ সালে মরিশ বিশপ সরকারকে হঠাতে মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের হামলা। ইরান-১৯৮৪ সালে আমেরিকান সৈন্যরা দুইটি ইরানী বিমান ভূপাতিত করে। লিবিয়া-১৯৮৬ সালে মাকিন সেনারা রাজধানী ত্রিপলীতে হামলা করে। বলিভিয়া-১৯৮৬ সালে মাকিন সেনারা বলিভিয়া সরকারকে মাদাত এলাকায় তল্লাসিতে সহায়তা করে। ইরান-১৯৮৭-৮৮ সালে ইরাক-ইরান যুদ্ধে মাকিন যুদ্ধে মাকিন সশস্ত্র বাহিনী ইরানের পক্ষে অবস্থান নেয়। লিবিয়া-১৯৮৯ সালে মাকিন নৌবাহিনী ২টি লিবিয়ান জেট বিমান ভূপাতিত করে। ভাজিন দ্বীপ-১৯৮৯ সালে ভাজিন দ্বীপবাসীর মাঝে । অস্থিরতার সময়ে মাকিন বাহিনী অবতরণ করে। ফিলিপাইন-১৯৮৯ সালে এই দেশে গণঅভ্যুথ্থানে সময়ে মাকিন বাহিনী হস্তক্ষেপ করে। পানামা-১৯৮৯-৯০ সালে প্রেসিডেন্ট নোরিকে ক্ষমতা থেকে হঠাতে ২৭ হাজার আমেরিকান সৈন্য অবতরণ করে। এই সময়ে মাকিনীরা পানামার ২ হাজার নাগরিককে হত্যা করে। লাইবেরিয়া-১৯৯০ সালে গৃহযুদ্ধে বিদেশী হঠাও আন্দোলন ঠেকাতে আমেরিকান বাহিনী অবতরণ করে। সৌদি আরব-১৯৯০-৯১ সালে কুয়েতের উপর ইরাক আক্রমনের সময়ে মাকিন বাহিনী সৌদি আরবে অবস্থান নেয়। কুয়েত-১৯৯১ সালে মাকিন বাহিনী কুয়েতে প্রেরণ করা হয় সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতা থেকে সরাতে। সোমালিয়া-১৯৯২-৯৪ সালে এদেশে গৃহযুদ্ধের সময়ে মাকিন বাহিনী সোমালিয়া দখল করে নেয়। বসনিয়া-১৯৯৩-৯৫ সালে যুগোশ্লাভিয়ায় গৃহযুদ্ধের সময়ে মাকিন বাহিনী নো-প্লাই জোনে বিমান হামলা চালায়। হাইতি-১৯৯৪-৯৬ সালে হাইতি সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে মাকিন সৈন্য ও নৌ বাহিনী অভিযান চালায়। এ সময়ে সি আই এ এরিসটাইডকে আবার ক্ষমতায় বসায়। জায়ার-১৯৯৬-৯৭ সালে কঙ্গো বিপ্লবের শুরু হলে মাকিন বাহিনী রুয়ান্ডার হুত উপজাতীয় শরানাথী শিবিরে অবস্থান নেয়। আলবেনিয়া-১৯৯৭ সালে আলবেনিয়া থেকে বিদেশীদের হঠাতে আন্দোলনকারীদের উপর মাকিন বাহিনীর হামলা। আফগানিস্তান-১৯৯৮ সালে কথিত সন্ত্রাসী ক্যাম্প ধ্বংসের নামে হামলা চালায় মিসাইলের সাহায্যে। যুগোশ্লাভিয়া-১৯৯৯ সালে মিলোসেভিচের বিরুদ্ধে ন্যাটোর অভিযানের সময় মাকিন বাহিনী বোমা ও মিসাইল হামলা। ইরাক-১৯৯৮-২০০১ সালে মাকিন মিসাইল ইরাকের বাগদাদ ও অন্যান্য শহরে উপযুপরি হামলা চালায়। আমেরিকান বিমান প্রায় সময় ইরাকে “নো ফ্লাই” জোনে হামলা চালায়।
©somewhere in net ltd.