![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"সৌন্দর্য্য দেখতে কাউকে নিমন্ত্রণ করতে হয় না...." ওয়েব সাইট : (http://www.facebook.com/Sumontography ) ইমেল আইডি :-( [email protected] )
০০: পরাধীনতার শেকল পায়ে
স্বাধীনতার সূর্যটা আজ অনুজ্জ্বল
কুয়াশার চাদের পেড়েছ ঢাকা
তুমি কাদের আমন্ত্রন করছো
ওরা তোমায় সাড়া দেবে না
ওদের ডেকে লাভ হবে না
অকারণে হরতাল হলে
যে দেশে মানুষ বেরিয়ে পথে
করে দেশটাকে রণক্ষেত্র
অথচ বিজয় প্রহরেও রাজপথ থাকে ফাঁকা
লক্ষ প্রানের বিনিয়মে অর্জিত স্বাধীনতা
আজ মনে হয় যেন অচল
যে দেশের মানুষ ভুলে যায় সব কীর্তি
নির্ভিক মুক্তিসেনাদের
বুকের রক্ত দিয়ে ছিনিয়ে এনেছে যারা
ঐ লাল সবুজের পাতাকা
যে দেশের মানুষ দিতে জানেনা সম্মান
সেই সব বীরাঙ্গনাদের
সতীত্বের বিনিময়ে যারা ফিরিয়ে এনেছে
এই বাংলা মায়ের সম্মান
সে দেশের মানুষ বুঝবে না
সৃষ্টি সুখের উল্লাসে মাতা বিজয়ের মর্ম
ওরা আজ পরিনত হয়েছে
একটি নির্জীব নিষ্কর্মা ঘুমন্ত জাতিতে
দেখবে একদিন ওরা আবার জেগে উঠবে
নতুন আলোর ঝলকানি দেখে
হয়তো পরাধীনতার নতুন
কোন শেকল পায়ে
==
০১: চাওয়া
কতদিন আসনি তুমি যে
স্বপ্ন নিয়ে স্বপ্নেরই খেয়াই....।
কতদিন ভাসিনি দুজনে
স্বপ্নলোকের স্বপ্নেরই সীমায়....
কতদিন দেখিনি তোমায়
মুগ্ধ চোখে নিবিড় মৌনতায়....
কতদিন বলিনি কথা
প্রেমের সুরের মিষ্টি ব্যঞ্জনায়....
কতদিন আঁকিনি তোমায়
আমার মনের সাত রং এর ছোঁয়ায়....
কতদিন ভাবিনি তোমায়
মধ্যরাতের স্তব্ধ নীরবতায়....
কতদিন উড়িনি স্বপ্নে
তোমায় নিয়ে দুর নীলিমায়..।।।
কতদিন ভিজিনি দুজনে
রুপালি চাঁদের মিষ্টি জোছনায়....
কতদিন চাইনি তোমার
অপরূপ ঐ চোখের তারায়....
কতদিন হাঁটিনি দুজনে
শস্য ক্ষেতের হলুদের মায়ায়....
আমি জানি.......
এসবই তোমার একান্ত চাওয়া....।
আর আমার .......
না পাওয়া.........।।।
==
০২: ভাবতে শেখ...
মেঘ দেখে কাঁদতে শেখ...
বৃষ্টি দেখে ভিজতে শেখ...
সূর্য যদি নাই ওঠে...
চাঁদটা দেখে হাসতে শেখ...
নদীর মত চলতে শেখ...
সাগরের মত দুর্বার...
ঝর্নার জলে নাইতে শেখ...
জীবনটা নয় খেলনা তোমার...
কষ্ট পেলে সইতে শেখ...
আকাশ ভরা তারার আলোয়...
একা একা হাটতে শেখ...
একলা বসে গোধূলি বেলায়...
নিজের মনে গাইতে শেখ...
সময়টা খুব কঠিন তাই...
নিজেকে নিয়ে ভাবতে শেখ...
==
০৩: বৃষ্টি এবং কান্না..
কাঁদছে দেখ আকাশটাও...
তোমার কান্না দেখে...
বল মেয়ে এত দুঃখ...
কোথায় তুমি পেলে...
বৃষ্টি এলে সবার মনে ভালবাসা জাগে...
তোমার মনে কেন তবে...
বিষের বাঁশি বাজে...
বৃষ্টিতে আজ ভেজ মেয়ে...
থামাও তোমার কান্না...
এমন দিনে তোমার চোখে...
অশ্রু মানায় না...
কান্না শেষে দুঃখ গুলো...
যাও তুমি সব ভুলে...
জীবনটাকে আবার রাঙাও...
রংধনুর সাত রং এ......।
==
০৪: প্রতিক্ষার প্রহর ..
বৃষ্টি ভেজা রাত
চারিদিকে নিস্তব্ধতা...
নিয়ন আলোয় হাঁটছি আমি
রাজপথ ফাঁকা....
গতিময় জীবন আমার
বড় গতিহীন লাগে
তোমার স্মৃতিগুলো আজ
খুব বেশি মনে জাগে
বৃষ্টি শেষের হিমেল বাতাস
ছুঁয়ে যায় আমায়
তোমার প্রথম উষ্ণ ছোঁয়া
মনের জানালায় উকি দিয়ে যায়া
কতদিন বয়ে গেল
কত শ্রাবন চলে গেল
তবু তুমি আসলে না ফিরে
সেই চেনা পথটি ধরে
আজও শেষ হল না আমার
প্রতিক্ষার প্রহর......
==
০৫: অতঃপর হতাশা ...
আমি তোমাকে ভালবাসলাম...
ধোঁকা দিলে...।
রোদ আমাকে ধোঁকা দিল...
জোসনা হয়ে ফিরে এসে...।
সুখ গুলো ধোঁকা দিয়ে ...
চোখে নামাল বর্ষা ধারা...।
আর, মেঘেরা ধোঁকা দিয়ে ...
ভিজিয়ে দিল বৃষ্টি দিয়ে...।
তবুও ভাল...
কান্না তো ঢাকা গেল...।
গভীর রাতে স্তব্ধতা যখন ...
আধারের সাথে মিতালী করে...
আমি তখন তোমার উপর অভিমান করি...
হতাশা বাড়ে...।
রঙ্গীন স্বপ্নগুলো ধূসর হয়...
তোমার নামে...।
তাতে কি...!
ধোঁয়া আর কুয়াশার পার্থক্য তো বোঝা গেল..।
তুমি তারা হয়ে জ্বলছ এ মনের আকাশে...।
কিভাবে পাব তোমার স্পর্শ...?
ভাবনার ডানা ছুঁয়ে ...
বারবার ভাঙছে স্বপ্ন...।
ভাবছি তোমাকে মুক্তি দেব...
কারণ আমি বাঁচতে চাই...
সাথে নিয়ে আমার ধূসর স্বপ্ন ...
নষ্ট মন... ভাঙ্গা হৃদয় ...
আর...
তোমার উপহার দেওয়া...
একরাশ হতাশা...।
==
০৬ : আধুনিক পর্ব ...[/su
সুর নেই তাল নেই গানে কোন কথা নেই
মনে হয় এই গান শুনে যে বোকা সেই......
যাদের মনেতে নেই কোন রুচি
শিক্ষিত সমাজ বলে তাদের মুচি......
নাম শুনে মরি হায় ফুয়াদের বন্য
এই সব গান শুধু গাধা-দের জন্য......
আজকাল পোলাপান গায় যে নতুন গান
কেন এত ছলনা.......
এটাই নাকি হৃদয় খানের
নতুন অ্যালবাম বলনা.......
আরে বাবা গান কি খোকা খুকির খেলনা.?
বাংলা হিন্দি আর ইংরেজি মিশিয়ে
বানিয়ে দিচ্ছে ওরা আজ মুড়কি .......
আমজনতার তাই গিলতে বাধা নাই
যতই থাক না তাতে
গুড় বাদে সুরকি.....
এই সব অবিচার আর কত সইবো
আমরা এ জাতির বোঝা হয়ে রইবো......
যে সংস্কৃতি নিয়ে ছিল বড় গর্ব
তার সেই সম্মান করে আজ খর্ব
শুরু তো করেছি আমরাই
আধুনিক পর্ব.......।
==
০৭: নতুন রাজা ...
এই সময়ে দেখনা চেয়ে
রাজা অনেক শক্ত...।
প্রজার মনে ভয় ঢুকেছে
তবুও রাজার ভক্ত...।
সোনার এ দেশ কলুষিত
দুর্নীতিবাজের দাপটে...।
নতুন রাজা খুঁজছে তাদের
ধরছে তাদের ঝাপটে...।
আনছে ধরে পাপী লোকদের
দিচ্ছে তাদের শাস্তি...।
কাল টাকার দেশে এখন
সবাই পাচ্ছে সস্তি...।
এমন রাজা কবে আসবে
আমাদের এই রাজ্যে...।
ধরবে পাপী ছোট বড়
দেশটা হবে মুক্ত...।
==
০৮: মধুময় অপরূপ ...
শুভ্রতায় ভরা মেঘ শরতের আকাশে..
অনেকবার হেসেছে গান গেয়েছে..
ঢেউ তোলা নীলের বুকে..
দূরের আকাশ..
প্রকৃতিতে বসেছে সবুজের পসরা..
কখনো বা ঊষর ধূসর..
মাঝে মাঝে বৃষ্টির স্নিগ্ধ পরশ..
আবার কোথাও গোধূলির রং এ রঙ্গিন..
সাঁঝের মায়া মেখে
নীড়ে ফেরা পাখিদের মত
শত শত স্বপ্নের বাসর সাজাতে..
কোন এক রাত্রির প্রতিক্ষায়..
হয়তো তোমার মুখ তোমার চোখ..
বা তোমার যা কিছু সুন্দর সবই..
আনন্দে ভয়ে কিংবা শিহরণে..
অদ্ভুত সুরে গাওয়া গানের মত..
হবে মধুময় অপরূপ..
==
০৯: অসীম শূন্যতা দেখি
বিমূর্ত এক রাত্রি শেষে...
আবার উঠেছে ভোরের রবি...
পাখিদের কলতান আর ফুলের সুরভি...
চারিদিকে কত সুখ কত প্রশান্তির ছোয়া...
তবুও মনের অজান্তে ভেসে ওঠে...
পুরোনো সেই স্মৃতি ধোয়া ধোয়া...
কালের খেয়ায় চেপে...
সুখের সে দিন গুলি মোর...
চলে গেছে বহু দুরে...
এ বুকের খাতায় হতাশার...
কাব্য লিখে রেখে...
আমারও যে ছিল এক সুখের সারথী...
যার ছবি আজও এ মনের...
রং হীন ক্যানভাসে একে রাখি...
জানি সে ফিরবে না আর...
ভেড়াবে না তরী সে আমার...
মনের এই ভাঙা বন্দরে এসে...
যতই করুক সে অবহেলা...
যতই দিক না কষ্ট ব্যাথা জ্বালা...
তবুও সে একটাই তারা...
আমার এ মনের আকাশে...
তার বিহনে আজ...
এই অশ্রু সজল চোখে...
অসীম শূন্যতা দেখি..।
==
১০: হার জিত ...
সবাই কেন জিততে চায়..
এই দুনিয়ার পরে..
কেন যে তারা বোঝে না হায়..
কেউ না কেউ তো হারে..
সবাই যদি জিতবো তবে..
হারটা হবে কার..
আমাদের এই মানুষিকতার..
পরিবর্তন দরকার..
জিতছ যে জন বেজাই খুশি..
ভাবছ হয়তো হারবে না..
একটা কথা মনে রেখো..
মরণ তোমায় ছাড়বে না..
আজ যারা জিতছ ও ভাই..
কালকে যখন হারবে..
তখন তোমার লজ্জাটা কে..
কোন কাপড়ে ঢাকবে..
হারতে হারতে যখন কেউ..
শেষ দানেতে জিতবে ..
তার আনন্দ পরবে না ভাই..
কোনো শেকলে বাঁধতে..
জিততে হলে হারও আগে..
গুণী জনে কয় ..
জিততে যেয়ে হচ্ছে সবার..
মনুষ্যত্বের ক্ষয়..
অনেকেই আজ জেতার জন্য..
হচ্ছে অনেক নিচু ..
হারার পরেও কিছু মানুষের..
মাথাটা থাকে উচু ..।
==
১১: আমি স্বপ্ন দেখি...
আমি স্বপ্ন দেখি..
ভোরের শিশিরের মত..
যখন সূর্যি মামা..
নীল আকাশে ভেলা ভাসায়..
আমি স্বপ্ন দেখি..
সকালের শুভ্রতার মত..
যখন পাখিরা গান শোনায়..
ফুলেরা গন্ধ বিলায়..
আমি স্বপ্ন দেখি..
তপ্ত দুপুরে বট-বৃক্ষের ছাঁয়ার মত..
যখন নতুন ধানের ছোঁয়ায়..
কৃষকের মুখে তৃপ্তির হাসি..
আমি স্বপ্ন দেখি..
পড়ন্ত বিকালের কোলাহলের মত..
যখন দুরন্ত বালকেরা..
গাঁয়ের মাঠে খেলায় মত্ত..
আমি স্বপ্ন দেখি..
সাঁঝের মায়ায় আলো আঁধারির..
লুকোচুরির মত..
যখন রাখাল ছেলে গরু নিয়ে ঘরে ফেরে..
আমি স্বপ্ন দেখি..
রুপালী আলোর চাদর বিছিয়ে..
রাতের কালিমা ঢেকে দেওয়া চাঁদের মত..
যখন নকশী কাঁথায় আঁকা ফুলের মত..
রাতের আকাশে ফুটে থাকে তারা..
আমি স্বপ্ন দেখি..
মধ্য রাতের নিস্তব্ধতার মত..
যখন ফেলে আশা অতীতের স্মৃতি..
কড়া নাড়ে মনের দরজায়.।
==
১২: আমি ...
আমি একটা মানুষ বটে..
জীবন নিয়ে ভাবি না মোটেই..
খাই-দাই আর ঘুরি ফিরি..
অসময়েই ঘুমিয়ে পড়ি..
অদ্ভুত এক জীবন আমার..
অকাজেতেই সময় কাবার..
ছাত্র ছিলাম বেজাই ভাল..
রেজাল্টেই সব বোঝা গেল..
হা হা হা হা হা হা হা হা..
একটাও যে হয়নি ভাল..
বাবা-মা ও ভাবলে শেষে..
টাকা পয়সাই ঢালছি মিছে..
ওতো একটা অকর্মা..
পড়িয়ে কোন লাভ হবে না..
শেষমেষ সব শান্ত হল..
এবারের মত মাফ করলো..
সবাই কে একটু বুঝিয়ে..
পড়বো ভেবে ছিলাম বি.বি.এ
ব্যর্থ হলাম ম্যানেজ করতে
বাধ্য হলাম ম্যানেজমেন্টে পড়তে
এখন আমি ন্যাশনালের
নিয়মিত ছাত্র
যেখানে সবাই বই খাতা ফেলে
রাজনীতি আর মারামারি নিয়ে ব্যস্ত
টেস্ট পরীক্ষা শেষ হয়েছে
সেই মস ছয় আগে
আচ্ছা ভাই বলেন তো
ফাইনালটা হবে কবে.।
==
১৩: ব্যাকুল মন ...
উদ্ভট সব চিন্তা এসে
মনের মাঝে করছে ভিড় ...।
রাত তো অনেক গভীর হল
তবুও চোখে বিঁধছে না আজ
ছন্নছাড়া ঘুমের তীর...।
ইচ্ছে হচ্ছে ডানা ছাড়ায়
উড়তে আকাশে...।
পা না ছুঁয়ে হাওয়ায় ভেসে
হাটতে বাতাসে...।
এমন ইচ্ছে হচ্ছে কেন
জানি না তো আমি...।
এটাই বুঝি আমার মনের
নতুন পাগলামি...।
সব কিছুই তো বুঝি আমি
আমার মনের সব কথা...।
তবুও যেন যাচ্ছে ছুটে
মনের দুষ্টু লাগামটা...।
কি করি হায় বুঝি না ছাই
পাচ্ছি না তো কোন কূল...।
মনটা আমার কেন যে আজ
হতে চাইছে এমন ব্যাকুল...।
???
==
১৪: আমার বন্ধু বাবু ...
আমার বন্ধু বাবু
দেহটা তার কাবু
ছেলেটা সে খুবই পাকা
প্রেম করেছে সাতটা একা
খালি এখন তার প্রেমের ঝুলি
মিথ্যা যে তার মুখের বুলি
সুমন তার প্রিয় গায়ক
নেই কোন তার প্রিয় নায়ক
নিজেকে ভাবে খুব বুদ্ধিমান
কাজ করে সে হাতে নিয়ে জান
অলিগলি তার সবই চেনা
কাঁধে রয়েছে অনেক দেনা
তার কথা বলব কি আর
বড় কথা সে বন্ধু আমার
==
১৫: ভালবাসি ...
ক্লান্তি ভরা দেহটা তোম
ভাব হৃদয়ের বেসে
নিঝুম রাতের মাঝেও তুমি
সহসা উঠিছো হেসে
আবেগ ভরা নয়ন তুলে
দেখেছি তোমায় ভুলে
আত্মহারা পাগলপারা
তাই গেছি সব ভুলে
রূপটি তোমার আব্রু মোড়ানো
মুখে মায়াময় হাসি
রূপের জালে বেধেছ আমায়
তাই এতো ভালবাসি.
==
১৬: ভালবাসি বলে ...
পাখি কেন ডাকে জান?
তোমার ঘুম ভাঙ্গাবে বলে.
ফুল কেন ফোটে জান?
তোমাকে গন্ধ দেবে বলে.
সুর্য কেন ওঠে জান?
তোমাকে আলো দেবে বলে.
চাঁদ কেন হাসে জান?
তোমাকে জোছনা দেবে বলে.
তোমাকে সবাই ভালবাসে কেন জান?
আমি তোমাকে ভালবাসি বলে.
==
১৭: আমার বিয়ে ...
ঘুমের মাঝে স্বপ্নে এসে
বলবো আমি তোমায়
সবার থেকে বেশি আমি
ভালবাসি আমায়.......।
চমকে উঠে হঠাৎ করে
উঠবে তুমি জেগে
দেখবে পাশে তোমার স্বামী
ঘুমাচ্ছে নাক ডেকে.......।
সত্যি বলছি তোমায় আমি
ভুলতে পারিনি
তোমাকে ছাড়া অন্য কাউকে
ভালও বাসিনি.......।
তখন আমি বেকার ছিলাম
ভবঘুরে জীবন
এটাই ছিল তোমার বাবার
মাথা ব্যাথার কারণ......।
তাই তো তোমায় দিল বিয়ে
বড়লোকের ঘরে
তুমি এখন রাত কাটাও
সোনায় মোড়া খাটে.......।
আমিও এখন চাকরি করি
বেতনও বেশ ভাল
এবার বুঝি আমার মনেও
জলবে নতুন আলো.......।
বাবা মা দেখছে মেয়ে
কদিন পরেই আমার বিয়ে
এইটা ভেবে এখন আমার
লাগছে আনেক ভাল.......।
==
১৮: বুঝেন আমার অবস্থা...
ইচ্ছে ছিল আজ রাতে
বলব কথা তোমার সাথে.....
রাত ১২টাই কল দিলাম
তোমার ফোন বন্ধ পেলাম....
তুমি তো বেশ মজায় আছো
ঘুমাচ্ছ নাক ডেকে....
তারপর কি হল জান..?
এলোমেলো সব ভাবনা চিন্তাই
মনটা যেন ডুবে গেল....
রাতও অনেক গভীর হল
চোখ ২টিতে ঘুম নামল....
হঠাৎ কি এক শব্দ শুনে
ধরমড়িয়ে উঠেছি বসে.....
ধ্যাত্তেরি কা,
ঘুমের বুঝি বাজলো ১৩টা.....
কিসের যেন শব্দ হল..?
সেদিক পানে চোখ পড়লো......
তাকিয়ে দেখি দেয়াল ঘড়িটাই
বাজলো সকাল ১০টা......
মশারিটা সরিয়ে চুলগুলো নাড়িয়ে
পা ফেলছি মেজেতে.....
তখনি বেশ শব্দ করে
বেজে উঠলো ফোন টা.....
ঘুমের ঘোরেই রিসিভ করে
সালাম দিলাম আস্তে করে....
ওপাশ থেকে মিষ্টি সুরে
বললে তুমি রাগ করে.....
এই:
আজ না তোমার পরীক্ষা....???
তখন ,,
বুঝেন আমার অবস্থা...!!!
১৯: ভালবাসি তোমায় ...
তুমি আমার প্রথম দেখার
প্রথম ভালবাসা.....
তুমি আমার বুকের মাঝে
হাজার স্বপ্ন আশা.......
তুমি আমার মনের মাঝে
কালবৈশাখীর ঝড়.....
তুমি আমার হৃদয়ে গড়া
ভালবাসার ঘর.....
তুমি আমার সকল চাওয়ার
ছোট্ট একটু সুখ.......
তুমি আমার সব না পাওয়ার
পাহাড় সম দুঃখ......
তুমি আমার স্মৃতির মাঝে
একটা সবুজ দ্বীপ......
তুমি আমার জীবন আলো করা
একটাই প্রদীপ......
তুমি আমার চলার সাথি
অন্ধকারে আলো........
সারাজীবন তোমায় শুধু
বাসব আমি ভাল......।
==
২০: এই পৃথিবী ছেড়ে গেলেই....
আমি বাঁচতে চায় তেমন করে
তোমরা যেমন বেঁচে আছো ...
নেই কি কেউ এই ধরার বুকে
যে আমাকে বাঁচাতে পারে...
কেউ কি বোঝে না আমার
কি অসুখ এ পাগল প্রানে
মনে এই নিদারুণ কষ্ট পুষে
কাটাবো আমি আর কতদিন
আমারও তো ইচ্ছে করে
জীবনটা কে সাজাতে রঙে
আমি তো ভালবাসতে জানি
তবে কেন আজ এই নিয়তি
ব্যথাতুর এই বুকে যে আর
সইতে পারি না দুঃখের পাহাড়
তোমরা তো বেশ সুখেই আছো
কাটছে তো দিন হেসে খেলেই
তোমাদের তো সবাই চেনে
কথা বলারও সুযোগ মেলে
আমি যে এক একলা পথিক
হাঁটছি পথে একা একাই
হোচট খেয়ে পোড়ে গেলেও
উঠিয়ে দেবার মানুষ যে নাই
তাই তো ভাবি বসে একা
নদীর ঘাটে গোধূলি বেলাই
আমার কষ্ট মুছে যাবে
এই পৃথিবী ছেড়ে গেলেই
==
২১: এটাই নাকি বাস্তবতা
ইচ্ছে করে ফিরে যেতে আজ
সবুজে ঘেরা আমার সেই
ছোট্ট সোনার গাঁয়ে
নদীর জ্বলে ঘুরে বেড়াতে
করিম মাঝির নায়ে
ইচ্ছে করে চুরি করে
পরের গাছে ঢেলা মেরে
আম জাম লিচু আর
পিয়ারা পেড়ে খেতে
ইচ্ছে করে রাতের বেলায়
পাশের বাড়ির মুরগি এনে
বড় বাগানে রাতের বেলা
বোন ভজনে মাততে ..
কত মজায় ছিল যে সেই
গাঁয়ের উশৃঙ্খল জীবন
বড় ভাইয়ের প্যাঁদানি
তবু থামতে চায় না মন
ইট কাঠের এই শহরে
আজ বন্ধ হয়ে আমি
ঘরের মধ্যে বসেই কাটাই
দিবা কিংবা রাতি
বুকের মাঝে চাপা কষ্ট
ডুকরে ডুকরে কাঁদে
গাঁয়ের সেই দুষ্ট মন কি
ইটের খাঁচায় বন্দি
থাকতে পারে
কাউকে এটা বোজাতে গেলেই
হই যে আমি গাধা
সবাই বলে বড় হয়েছো
আর এটাই বাস্তবতা
ধুত্তুরি ছাই ভাল লাগে না
গোল্লায় যাক সবই
তোমাদের এই বাস্তবতার
গুষ্টি কিলায় আমি.।
==
২২: বাবা হব
অনেক কিছুতেই ইচ্ছে আমার..
অনেক কিছুই হতে চাই..
সবার চোখেই নিজেকে আজ..
ভাল মানুষ হিসেবে গড়তে চাই..
সবাই যখন বলে আমায়..
ছেলেটা তো খুব ভাল..
তখন তোমরাই ভেবে দেখ..
লাগে কেমন ভাল..
অনেকেই তো অনেক কিছু..
বলে আমায় হতে..
কারও মতই মেলে না আজ..
আমার মতের সাথে..
যা আছে মোর মনের ভেতর..
হবই একদিন জানি..
হতে যদি কিছু নাও পারি..
তবু বাবা হবই আমি..
==
২৩:নির্ঘুম রাত্রি শেষে
যেখানেই যাও তুমি ফেলে আমায়
আমি পারবো না ভুলতে তোমায়
সেই বৃষ্টি ভেজা রাতে
তুমি হাত রেখে হাতে বলেছিলে
কোন দিনে যাবে না চলে
আমায় একা রেখে
তবে কেন আজ এমন হল
সবই যে হয়েছে এলোমেলো
অচেনা এক দমকা হাওয়ায়
তোমার স্মৃতি আজও আমায় কাদায়
শ্রাবন ধারায় জলের ছোঁয়ায়
মনে পড়ে সেই দিনের কথা
আমি আর তুমি ভিজে একাকার
পাশে পড়ে আছে তোমার
ছোট্ট রঙিন ছাতা
জড়িয়ে ধরে দুহাতে আমায়
কাটিয়ে দিতে সেই বৃষ্টি বেলা
তোমার কি মনে পড়ে না এখন.
আবেগের বসে চিৎকার করে
বলেছিলে ভালবাসি ভালবাসি
শুধু তোমায় নিজের থেকেও বেশি
তবে কেন আজ নেই তুমি আমার পাশে
তারা হয়ে চলে গেছো ঐ দূর আকাশে
সারা রাত দেখি বসে আছ তুমি
রুপালী ঐ চাঁদের পাশে
আর আমি তখনও নির্ঘুম
জেগে থাকি রাত্রি শেষে..।
==
২৪: সুখের আশায়
আরও একটি নির্ঘুম রাত
অযাচিত ভাবনার সাথে যুদ্ধে মেতে
চলে গেল ক্লান্তির ছাপ রেখে
আমার এ রাত জাগা দুটি চোখের পাতায়
কতদিন আর আমি সইব এ যাতনা
বইবো আর কতদিন এ বুক ভরা বেদনা
কেন যে আজ এই অনিয়মের খেলা
এলোমেলো মন ভাবে সারা বেলা
অসীম শূন্যতার পানে চেয়ে থেকে
যে যাবার সে চলে গেছে
ভাবনা কেন মিছে তারে নিয়ে
মনকে বোঝায় প্রতিদিন
মন যে আমার পাগল পারা
সারাক্ষণ শুধু নিজের সাথেই কথা বলা
জীবনের এই গন্তব্যহীন পথে
হেটে চলেছি একা দিকভ্রান্ত পথিকের বেশে
দুঃখের পরেই নাকি সুখের হাওয়া
একদিন ঠিকই দেবেই ধরা
আজ তবে এখানেই সমাপ্তি
জীবনের রাত জাগা সে ব্যাধির
নিরাশা কে দুরে ঠেলে বুক বেধে আশায়
আজ বসে থাকি অপেক্ষায়
কখন আসবে সুখ আমার দরজায়
হাসি আর আনন্দের জোয়ারে ভেসে ..।
==
২৫ : *** ষড়ঋতু মন ***
গ্রীষ্মের ক্ষরতাপে শুষ্ক এ হৃদয়ের মাঠে
ভুল করে অসময়ে আবেগের বীজ বুনে
শুরু করা ভালবাসার চাষ .....
জানি তা হবেই অঙ্কুরে বিনষ্ট
চোখের জলে ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে মন
কিছুতেই আর ভাল লাগে না এখন
বর্ষার অঝর ধারায় ভেজা
নীড় হারা এক শালিকের মতন...
শরতের আগমনে আকাশে বাতাসে
কাশফুলের শুভ্রতার আভা
অস্থির এ মনে জড়িয়ে আছে
ঝিঁঝি ডাকা অমাবস্যা রাতের মায়া ...
চারিদিকে শুধু সাজ সাজ রব
হেমন্তের আগমনে উৎসবের ভাব
আনন্দের যেন নেই কোন সীমা
তবুও কেন চোখে জল বুঝি না...
হৃদয়ে বইছে আজ শীতের বাতাস
সবখানেই শুধু শুষ্কতার আভাস
ফাটল ধরেছে যেন সুখের দেওয়ালে
বিশ্বাসও ভয়ে লুকিয়েছে আড়ালে ...
বসন্তের ভেলায় চড়ে গোধূলীর আকাশে
জমেছে আজ নানা রং এর মেলা
পাখিদের গান প্রজাপতি আর ফুলের খেলা
তবুও যে একা একা কাটে না এ বেলা ...
==
২৬ : সবার থেকে দামি
কেন যে আজ এত পড়ছে মনে
মাগো তোমার কথা
সকাল থেকেই বুকের মাঝে
চিনচিনে এক ব্যাথা
ছোট্ট বেলার দিন গুলো মা
কতই না মজা ছিল
কেমন করে সময়টা যে
কোথায় চলে গেল
সকাল হলেই ডাকতে তুমি
ওঠরে খোকা বেলা হল
স্কুলে যাবি না
দেরি করলেই পরে কিন্তু আর
সামনের সিটে বসতে পারবি না
কাঠ ফাটা সেই দুপুর রোদে
ফিরতো ঘরে তোমার ছেলে
কাজগুলো সব ফেলে রেখে
ছুটে এসে কোলে নিতে
আদর করে আচল দিয়ে
মুছিয়ে দিতে মুখ
আর কোথাও কি আছে মাগো
এমন দারুন সুখ
রাতের বেলায় পড়া শেষে
ছুটে যেতাম তোমার কোলে
আমার মাথায় হাত বুলিয়ে
ঘুম পাড়ানি গান শুনিয়ে
মন ভরাতে প্রতি রাতে
মাগো তোমার হাতের
নিবিড় ছোঁয়াই
এক নিমিষেই ঘুমের দেশে
হারিয়ে যেতাম আমি
মাগো তুমি সবার থেকে দামি ....
==
২৭ : .!. অলস মনের ভাবনা .!.
অলস মনে একা ভাবি আমি বসে
যদি যেতে পারতাম সেই না ফেরার দেশে
সাঙ্গ করে এই ভবের খেলা
ভেঙ্গে যেত সব সময়ের ভুলে
এ বুকে জমাট বাঁধা বরফশীতল
দুঃখ বেদনা আর কষ্টের মেলা
প্রতিদিনই ভাবি চলে যাব আজই
অজানা সেই অচিন দেশে
তখনই মনে কিসের যেন বাঁধা আসে
যাব যাব করি তবু হয় না সেথায় যাওয়া
অলস মনের এই ভাবনা শেষে
ইচ্ছেটা চাপা পড়ে যেন করুণ দীর্ঘশ্বাসে
মাঝে মাঝে ভাবি যখন
"আমি কেন যেতে পারি না" ?
মন টা তখন বলে হেসে
"তুমি তো মায়ার শক্ত বাঁধনটা
এখনও ছিঁড়তে জান না" .
সত্যিই তো !
মায়ার বাঁধন কেউ কি ছিঁড়তে পারে ..
তাই তো সবাই ভুল করে বারে বারে
এই মায়ার জালেই আটকা পড়ে ..
==
২৮ : যেদিন থেকে ভালোবেসেছি তোমাকে
তোমাকে আমি ভালোবেসেছিলাম
তুমি ধোঁকা দিয়ে চলে গেলে দুরে
তবুও তো আমি তোমাকে ধোঁকাবাজ বলিনি
আমি তো ধোঁকা দিয়েছি নিজেকেই
যেদিন থেকে ভালোবেসেছি তোমাকে
সুখের আশায় চলে গেছ বাঁধন ছিড়ে
আমার নিস্বার্থ ভালোবাসাকে তুচ্ছ করে
আমি তো তোমাকে স্বার্থপর বলিনি
জীবনের সব সুখ গুলকে কবর দিয়েছি অগোচরে
যেদিন থেকে ভালোবেসেছি তোমাকে
তোমাকে হারিয়েছি জীবনের কঠিন সময়ে
সেই সাথে আমার স্বাভাবিক জীবনটাকে
তবুও তো তোমাকে বলিনি নষ্ট করেছো আমাকে
আমি তো নষ্ট হয়ে গেছি অনেক আগেই
যেদিন থেকে ভালোবেসেছি তোমাকে
তোমাকে আমি কোন দোষ দেব না
আমার ভালোবাসাকে ছোট করবো না
যে আবেগময় ভালোবাসা আজও অনুভব করি
আমার পরিশ্রান্ত হৃদয়ের গভীর থেকে .।
==
২৯ : * আমার ভালবাসা*
আমার ভালবাসা চাঁদের মত
রুপালী আলোয় আলোকিত নিশিদিন..
আমার ভালবাসা নীলচে তারার মত
মিটিমিটি জ্বলে প্রতিদিন..
আমার ভালবাসা প্রস্ফুটিত গোলাপের মত
সুগন্ধ আর সৌন্দর্যে চির অমলিন..
আমার ভালবাসা খরস্রোতা নদীর মত
অজানার পথে ছুটে চলে বাধাহীন..
আমার ভালবাসা মুক্ত বিহঙ্গের মত
উড়ে বেড়ায় গোধূলির আকাশে স্বাধীন..
আমার ভালবাসা সুরেলা গানের মত
সুমধুর সুরে যেন বাজে সারাক্ষণ..
আমার ভালবাসা সাদা ক্যানভাসের মত
যেখানে নানা রঙের স্বপ্ন আঁকে মন ..
আমার ভালবাসা জানি কেমন কেমন
ঠিক যেন আমারই মতন..
==
৩০: আমাকে ভালবাসো
* আমাকে ভালবাস গ্রীষ্মের শুষ্কতায়
গাছের পাতাগুলো যখন বিবর্ণ ধূসর *
* আমাকে ভালবাস বর্ষার অঝর ধারায়
মেঘ বৃষ্টি রোদ যখন মাতে লুকোচুরি খেলায় *
* আমাকে ভালবাস শরৎ এর শুভ্রতায়
নীল আকাশে যখন সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায় *
* আমাকে ভালবাস হেমন্তের উৎসবে
নবান্নের নতুন ধানের সুবাসে যখন ভরে মন *
* আমাকে ভালবাস শীতের তীব্রতায়
কুয়াশার চাদর যখন ঢেকে রাখে চারপাশ *
* আমাকে ভালবাস বসন্ত বেলায়
সবুজের সমারোহে জেগে ওঠে পৃথিবী *
* আমাকে ভালবাস নিজের মত করে
তোমাকে ভালবাসি, যখন বলতে পার অবলীলায় *
* আমাকে ভালবাস বেধে তোমার বাহুডোরে
দুজন যখন গোপন অভিসারে নির্জন কোন বিকেল বেলায় *
==
৩১: *....এলোমেলো ভাবনা ....*
আধখানা চাঁদ আজ আকাশে
দিচ্ছে জোসনা ঢেলে ..
এমন সময় মজা হতো
মনের মানুষ পেলে..
রাত জাগা সব পাখি গুলো
কোথাও যে নেই কেউ..
রাতের গায়ক ঝিঁঝি পোকা
ঘুমিয়ে যেন সেও..
এমন সময় মনের কথা
কার সাথে যে বলি..
সঙ্গী ছাড়া এই জীবনে
কেমন করে চলি..
রাতটা না হয় পার হবে
আজ আপন মনে ভেবে ..
দিনের আলো ফুটলে কি
কেউ সঙ্গী এনে দেবে..
এমন কথা আজকাল খুব
ভাবছি পাজা পাজা..
এখনই তো সময় ভাবার
বয়স টা যে কাঁচা ..
==
৩২: ..রুখে দাঁড়াও নিজে..
চাদের হাসি মেঘে ঢাকা
চোখের কোনে জলের ফোটা ...
কি হয়েছে বলোনা মেয়ে
খারাপ কেন মন ....
তুমি কেমন বদলে গেছো ...
চেনা যায় না ভালো ...
স্বভাবটা ও পাল্টে গেছে ...
মুখটা রাখো কালো ...
কদিন আগেও ছিলে তুমি
চঞ্চলা এক মেয়ে ...
এখন কেন বসে থাকো
মাটির পানে চেয়ে ...
জানি তোমার বাড়ছে বয়স
মন বসে না কাজে...
এমন সময় অনেক কিছুই
ঘটবে তোমার মাঝে...
ছেলেরা সব লাইন দেবে
ঘেঁষতে চাইবে কাছে...
তাই বলে কি থাকবে বসে
ঘরের কোনায় লাজে ...
মেয়ে তুমি পণ্য তো নও
ভাবতে হবে আগে ...
সব সমস্যা জয় করতে
মনের সাহস লাগে ...
মনের জোরে এগিয়ে চল
রুখে দাঁড়াও নিজে ...
বখাটেরা সব সালাম দেবে
তাদের ভুলটি বুঝে...
==
৩৩: আমার স্বপ্নের পৃথিবীতে...
বিস্তীর্ণ মাঠে সরষে ফুলের
হলুদের মায়া
তার মাঝে দাড়িয়ে আছো
মেয়ে তুমি একলা
এলো চুলে করছে খেলা
ঝলমলে রোদ
আর দুচোখের দৃষ্টিতে
দূরের আকাশ
ফেলছে নীলচে ছোপ..
চারিদিকে শুধু যেন
হলুদের শোভা
তারি মাঝে তুমি এক
শুভ্রতার আভা
শিল্পীর তুলিতে যেন
আঁকা কোন ছবি
যাকে দেখে অপলকে
চেয়ে থাকি
বিমহিত এই আমি ...
হঠাৎ সব কিছু হয়ে যায়
আধার কালো...
সুন্দর স্বপ্নটা আজো বুঝি
শুরুতেই ভেঙে গেল...
এবারও যে হলোনা বলা
সেই না বলা কথা..
ঐ অচেনা মেয়েটিকে
প্রতিদিন যাকে দেখি
আমার স্বপ্নের পৃথিবীতে...।
==
কবিতার ক্ষুদ্রাংশ ,,,,,,,
****
জীবনের পথে এলোমেলো ভাবে
এগিয়েছি বহুটা দুর ....
মাঝপথে থেমে পিছু ফিরে চেয়ে দেখি
এ পথ যে বড় অচেনা ....
নিকশ আধারের মাঝে কখন জানি
হয়ে গেছে বড় ভুল....
****
আবার জাগবো আমি
রাত্রি যখন হবে শেষ....
পাপড়ি মেলবে ফুলেরা
সূর্যি মামার আবির মেখে....
ডুবে যাবে চাঁদ মামা
নিভে যাবে শুকতারা....
আধার হবে নিঃশেষ
পাখিদের কলতানে .....।
****
"বৃত্ত নয় বিন্দু আমি "
"কথা নয় মৌনতা আমি"
"রংধনু নয় ঘাসফুল আমি"
"পূর্ণ নয় শুন্য আমি"
"আর কিছু নয় বন্ধু আমি"
*****
####
জীবনটা সুন্দর..
কিন্তু বোঝা কষ্ট..
মনটা সুন্দর..
কিন্তু পাওয়া কষ্ট..
****
ভালোবাসা ভাল ..
কিন্তু মাঝে মাঝে না..
সব কিছু চাওয়া যায় ..
কিন্তু পাওয়া যায় না ..
####
জীবনের নাটকটার
শেষ পর্বের আগে
পরিচালক মন আমার
আবেগে কাঁদে...
****
সুখ গুলোকে ধরতে গেলাম
দুঃখের চাঁদর দিয়ে
অতি চালাক সুখ গুলো যে
পালিয়ে গেল দুরে...
১৮ ই জুন, ২০১০ সকাল ১১:৫৯
আর.এইচ.সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ...
আসলে সংগ্রহে রাখার জন্যই দেয়া..।
কবে হয় তো হারিয়ে যাবো... !!!!!!!!!!!!!!!!!!!
২| ১৮ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১২:৫৭
হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগলো। বেশ সতঃস্ফুর্ত ভাষা।
১৮ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৩৩
আর.এইচ.সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ...... ভাই
ভাল থাকবেন...।
৩| ১৮ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:১৯
রাজসোহান বলেছেন:
১৮ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৩২
আর.এইচ.সুমন বলেছেন: সোহান ভাই কি হল....???
৪| ১৮ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৩৬
আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন:
১৮ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৪০
আর.এইচ.সুমন বলেছেন:
৫| ১৮ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৩৯
আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন:
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ...
আসলে সংগ্রহে রাখার জন্যই দেয়া..।
কবে হয় তো হারিয়ে যাবো... !!!!!!!!!!!!!!!!!!!
১৮ ই জুন, ২০১০ দুপুর ২:৪২
আর.এইচ.সুমন বলেছেন: মাঝে মাঝে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে তো......
তাই ......
অবশ্য হারানোর কোন সম্ভাবনা আপাতত নেই.....
৬| ১৮ ই জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৬
হাবিবকুল বলেছেন: ওই মিয়া ফাইজলামি পাইচেন? না হারিয়ে যাবেন মানে? খপর আছে কিন্তু
আর কবিতা গুলান কিন্তু শিরাম হইচে।
তয় ছ্যাকা ট্যাকা খাইচেন কিনা? কন মিয়া আগে। খাইয়া থাকলে কন। আমার ৫-১০ টা বিয়াইন আচে।
১৮ ই জুন, ২০১০ রাত ৮:০৫
আর.এইচ.সুমন বলেছেন: ভাই ছেকা খাওনের চান্সই তো পাই নাই.....
৫-১০ টা না ১টা হইলেই চলবো....
৭| ১৯ শে জুন, ২০১০ রাত ১:৩৪
একলা পাখি বলেছেন: খুব সুন্দর লেখেন তো আপনি.....!!!!!!
আমি এইটা প্রিয় পোস্টে রেখে দিলাম.....।
১৯ শে জুন, ২০১০ রাত ১:৪৫
আর.এইচ.সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ.......
আর সবই আপনাদের দোয়া....।
৮| ১৯ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৫:৪১
তিমির বলেছেন: আমি সুন্দর লিখি কারন আপনার মত মানুষদের খুব সুন্দর লেখা পড়ি বলে ।
১৯ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০০
আর.এইচ.সুমন বলেছেন: কি যে বলেন তিমির ভাই .... আপনার সাথে কি তুলনা হয়..!!!!!
তবে আপনার এই সুন্দর কমেন্ট দেখে খুব ভাল লাগছে.।
৯| ১৯ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৭
শোশমিতা বলেছেন: অনেক সুন্দর প্রিয়তে তুলে রাখলাম +
১৯ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৩
আর.এইচ.সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ শোশমিতা আপু.....
আমি তো আপনাকেই তুলে রেখেছি....
১০| ২০ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৫:১২
নির্ঝর নৈঃশব্দ্য বলেছেন: আপনার কবিতাগুলি খুবি লিরিকাল। সুর দিতে পারলে সবিই গান হবে।
++++
অনেক শুভকামনা।
শুভসন্ধ্যা
২০ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৭
আর.এইচ.সুমন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নির্ঝর ভাই .....
আপনি অনেক ভাল থাকবেন....।
শুভ সন্ধ্যা.....।
১১| ২৩ শে জুন, ২০১০ দুপুর ১২:১০
নিরন্তর পথচলা বলেছেন: অনেক সুন্দর প্রিয়তে
১-১৩ পড়লাম।২,৮,১০ অসাধারন।
২৩ শে জুন, ২০১০ দুপুর ১:০০
আর.এইচ.সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ ..... ভাই...।
ভাল থাকবেন..
আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমারও ভাল লাগছে....
১২| ১৩ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:৩১
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আগামী বই মেলায় বই আসছে তো??
১৩ ই জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০০
আর.এইচ.সুমন বলেছেন: জহির ভাই সঠিক বলতে পারছি না ....
তবে আসলেও তো দোষ নেই তাই না !!!!
ভাল থাকবেন .....।
১৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:২৭
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: বই
০২ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:২৭
আর.এইচ.সুমন বলেছেন: সবাই মসকরা করে ......
১৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৪
হাসান তারেক বলেছেন: Khub vhalo , chaliye jan.
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৯
আর.এইচ.সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই .....
উৎসাহিত হলাম
১৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৪৬
সায়েম মুন বলেছেন: তাড়াতাড়ি বই বাইর করো।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৫৮
আর.এইচ.সুমন বলেছেন: আসছে বছর ট্রাই করমু
১৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৫
পলাশমিঞা বলেছেন: দেখবে একদিন ওরা আবার জেগে উঠবে
নতুন আলোর ঝলকানি দেখে
হয়তো পরাধীনতার নতুন
কোন শেকল পায়ে
কবিতায় অভিশাপ দিতে নেই।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:২৪
আর.এইচ.সুমন বলেছেন: এই কবিতাটা এভাবে লেখার কারণ ছিলো অন্য রকম ,,,,,
১৬ই ডিসেম্বর বিষয় দিবসে সকালে বের হয়ে দেখলাম ঢাকা শহরে মানুষ যেন অলৌকিক ভাবে কমে গেছে ... যার জন্য খুব রাগ হলো.. বিষয় দিবসেও মানুষের কোন অভিব্যাক্তি নেই ,, কোন মূল্যবোধ নেই ....
যার কারনে ওদের ওপর রাগ করে এমন কথা লেখা ........
১৭| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:২৭
পলাশমিঞা বলেছেন: আপনি আমি কি আমাদের কর্তব্য পালন করছি?
এই জন্য আমি কাউকে কিছু বলি না কারণ আমি নিজেই উদাস, দেশের জন্য কিছু করতে পারছি না, যখন কিছু করব তখন, বাঘে যেমন ঘাঢ় মটকায় তেমন করে মটকাব।
বেশী কইয়া ফালাইলাম নাকি
আর হা,
ওরা তোমায় সাড়া দেবে না (তোমার ডাকে সাড়া দেবে না)
ওদের ডেকে লাভ হবে না (ওদেরকে ডেকে লাভ হবে না)
এমন হলে মনে হয় ভালো হবে।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৩৭
আর.এইচ.সুমন বলেছেন: যা বললেন তার উপরে আমার আর কিছু বলার নেই
আর ঐ লাইন দুটো ঠিক করে দেব
১৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:১৪
জন রাসেল বলেছেন: সব পড়িনি। প্রথম কয়েকটা পড়লাম। প্রিয়তে রেখে দিলাম। বাকিগুলোও পড়ে নেব এবং আবার কমেন্ট করব ইনশাল্লাহ। প্রথমটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভাল লাগলো। আমি ফিলোসফি আর রিয়েলিটি নিয়ে লেখা বেশী পছন্দ করি। কারণ রোমান্টিক টাইপ কবিতা যে কেউ লিখতে পারে। সারাদিন সবাই যেভাবে হাবীব, বালাম আর ইন্ডিয়ান "তেরে মাস্ত মাস্ত দো নেয়ন" টাইপ হাবিজাবি গান শোনে এগুলো থেকে দুই একটা করে লাইন নিলেও কবিতা হয়ে যায়। আপনি রোমান্টিকতার বাইরেও লেখার চেষ্টা করেছেন দেখে খুবই ভাল লাগলো। আমার মনে হয় আপনার বই প্রকাশের জন্য প্রকাশকদের সাথে কথা বলা উচিত। কারণ আমার কাছে আপনার লেখার মান বেশ ভাল মনে হল। তাছাড়া এত কষ্ট করে কবিতা সৃষ্টি করবেনই যখন তখন তো কবি হিসেবে আপনার স্বীকৃ্তি থাকাই উচিত। আর আমার ধারনা আপনার কবিতাগুলো সবার কাছেই ভালো লাগবে।
আমি যদিও কবিতা কম লিখি তবে গান লিখি রেগুলার। আমার ব্যান্ড ছাড়াও অন্য কয়েকটা ব্যান্ডদেরকেও মাঝে মাঝে লিখে দেই। তারপরও কিছুদিন আগে আমিও হঠাত একটা রোমান্টিক দেবদাস টাইপ কবিতা লিখে ফেলি। হা হা......আসলে কবিতা লিখতে গেলেই সবার আগে রোমান্টিক ব্যাপারগুলো মাথায় চলে আসে।
আমার কবিতাটি সময় পেলে পড়বেনঃ Click This Link
আর আমাদের বেশ কিছু গান নিয়ে আমরা কাজ করছি এখন সেগুলো শেষ হলে আপনার কবিতাগুলো নিয়ে চেষ্টা করে দেখব, অবশ্য আপনাকে জানিয়ে তারপরই।
আর আপনার যদি উপন্যাস পড়ার ধৈর্য্য থেকে থাকে তাহলে আমার এই দুটি লেখাও ট্রাই করে দেখতে পারেনঃ
১. হলুদ হিমুর সাথে কিছুক্ষনঃ Click This Link
২. তারার আলোয় একজন হিমুঃ Click This Link
লেখালেখিটা কিন্তু ছাড়বেন না কোনদিন। নিজের মনের অনুভুতি প্রকাশের এর চেয়ে ভাল আর কোন মাধ্যম নেই। আর লেখালেখির সবচেয়ে বড় সুবিধা হল আপনার লেখা কোনদিন গালফ্রেন্ডের মত আপনাকে বিপদে একা রেখে চলে যাবে না বরং পাশে থেকে আপনার মনে দরজ়ায় ঘুড়ে দাড়ানোর চেতনায় আলোড়ন তুলবে। আপন সৃষ্ট সৃষ্টি ছাড়া আলোড়ন তোলার এই ক্ষমতা অন্যকারো নেই।
অনেক ধন্যবাদ।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:০৬
আর.এইচ.সুমন বলেছেন: জীবনে প্রথম কেউ এত উৎসাহ দিলো ..... সত্যিই খুশিতে নাচতে ইচ্ছে করছে
আমি আপনার কবিতা পড়লাম ... অসাধারণ ,,
আর উপন্যাস দুটো পরে এক সময় পড়ে নেব সময় করে ..।
আমি লিখবো ,, আবার শুরু করবো...
১৯| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:৫১
জন রাসেল বলেছেন: এটাই চেয়েছিলাম, কে জানে হয়তো আপনার আমার মধ্য থেকেই এমন কেউ বের হয়ে আসবে যে আগামী প্রজন্মের অনুপ্রেরণা হবে। লেখালেখি একমাত্র তার ভেতর থেকেই আসে যার লেখালেখির প্রতিভা আছে। আপনার তো অবশ্যই আছে। নতুন কিছু লিখলে আমার যে কোন পোষ্টে গিয়ে লিংক দিয়ে আসতে ভুলবেন না। কবিতাগুলো পড়ে আবার কমেন্ট দেব।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:০৭
আর.এইচ.সুমন বলেছেন: ঠিক আছে জন ভাই ,, অবশ্যই আমি আপনার পোস্টে লিংক দিয়ে আসবো
অনেক ভাল থাকবেন
২০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:০৯
নীরব 009 বলেছেন: আপনি কবিতাও লিখেন???
প্লাস দিলাম। পড়বো একসময়।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:১১
আর.এইচ.সুমন বলেছেন: এক সময়ের অপচেষ্টা !!!
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জুন, ২০১০ সকাল ১১:৫৬
সেবু মোস্তাফিজ বলেছেন: এতোগুলো লেখা একবারে পোস্ট দিলে পাঠকের সমস্যা হয় ভাই...প্রিয়তে রাখলাম ....