|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 আমি তুমি আমরা
আমি তুমি আমরা
	লেখার সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।
♣♣♣♣SHE WHO WAS DEAF♣♣♣♣
অনেককাল আগে এক ধনী লোক বাস করত। লোকটার স্ত্রী ছিল অসম্ভব সুন্দরী, কিন্তু বধির  
 
এক সকালে দুজন একসাথে নাশতা করছিলেন, হঠাৎ স্ত্রী বলে উঠলেন, এই শোন, গতকাল আমি মার্কেটে গিয়েছিলাম।সেখানে দেখলাম অসাধারন সব জিনিস এসেছে।দামেস্কের সিল্ক, ভারতের চাদর, পারস্যের হার আর ইয়েমেনের নুপূর। ওগুলো মার্কেটে বেশিদিন থাকবে না। তোমারতো টাকা পয়সার কোন অভাব নেই। শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই ওগুলো আমার চাই। 
কফিতে চুমুক দিতে দিতে লোকটা বলল, প্রিয়তমা, তোমার যা যা চাই, সব তুমি কিনে নাও। ইচ্ছে হলে এখনই মার্কেটে যেতে পার।
বধির মহিলাটি বলল, না, না, তুমি আমাকে সবকিছুতেই 'না' বল। তোমার কি মনে হয় না যখন আমাদের বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়স্বজনের দেখা হয়, তখন তোমার স্ট্যাটাস অনুযায়ী আমার গায়ে কাপড় আর গয়নাগাটি থাকা উচিত?
শুনে লোকটা বলল, আমি তোমাকে একবারও 'না' বলিনি।তোমার ইচ্ছা হলেই মার্কেটে যেতে পার। শহরের সেরা সব পোশাক আর গয়না আমি তোমার গায়ে দেখতে চাই।
কিন্তু তার স্ত্রী এবারো লিপ রিডিং করতে ভুল করল। রেগে গিয়ে জবাব দিল, আমার জীবনে তোমার মত কৃপণ লোক দেখিনি। তুমি আমার সব সুন্দর আর ভাল জিনিস থেকে বঞ্চিত কর, অথচ দেখ শহরে আমার বয়সী বাকি মেয়েরা কত সুন্দর পোশাক পরে ঘুরে বেড়ায়।বলতে বলতে তার চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল।আমি যখনই কিছু চাই, তখনই তুমি 'না' বল।
লোকটা এবার উঠে দাড়াল, স্ত্রীর সামনে এক মুঠো স্বর্নমুদ্রা রাখলেন, তার কপালে চুমু খেয়ে বললেন, কেদো না।তোমার মন যা চায়, সব নিয়ে এসো।
সেদিন থেকে কিছু পছন্দ হলেই স্ত্রীটি চোখে অশ্রু নিয়ে উপস্থিত হতেন স্বামীর সামনে আর লোকটি নিঃশব্দে স্ত্রীর কোলে স্বর্নমুদ্রা রেখে দিতেন।
এভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্ত্রীটি একদিন এক বাউন্ডুলের প্রেমে পড়ে গেলেন। ছেলেটি বেশিদিন একটানা ঘরে থাকতে পারত না, চলে যেত দূরদূরান্তে।ছেলেটি যখনই শহরে থাকত না, তখন মহিলাটি একা একা কাঁদত। 
স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে লোকটা ভাবত,নিশ্চয়ই মার্কেটে নতুন কোন পোশাক বা গয়না এসেছে।এই ভেবে সে নিঃশব্দে স্ত্রীর কোলে এক মুঠো স্বর্নমুদ্রা রেখে দিত। 
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
আমার অনুবাদ করা কাহলিল জিবরানের আরো কিছু গল্পঃ
১.অনুবাদ গল্পঃ কাহলিল জিবরানের গল্প-১: The Field of Zaad
২.অনুবাদ গল্পঃ কাহলিল জিবরানের গল্প-২: The Eagle and the Skylark
৩.অনুবাদ গল্পঃ কাহলিল জিবরানের গল্প-৩: The King
৪.অনুবাদ গল্পঃ কাহলিল জিবরানের গল্প-৪: History and the Nation
৫.অনুবাদ গল্পঃ কাহলিল জিবরানের গল্প-৫: She Who Was Deaf 
৬.অনুবাদ গল্পঃ কাহলিল জিবরানের গল্প-৬: Lady Ruth
৭.অনুবাদ গল্পঃ কাহলিল জিবরানের গল্প-৭: SATAN
৮.অনুবাদ গল্পঃ কাহলিল জিবরানের গল্প-৮: THE KING OF ARADUS
৯.অনুবাদ গল্পঃ কাহলিল জিবরানের দুইটি গল্প
১০.অনুবাদ গল্পঃ কাহলিল জিবরানের তিনটি গল্প-১
১১.অনুবাদ গল্পঃ কাহলিল জিবরানের তিনটি গল্প-২
১২.অনুবাদ গল্পঃ কাহলিল জিবরানের তিনটি গল্প-৩
১৩.অনুবাদ গল্পঃ কাহলিল জিবরানের তিনটি গল্প-৪
১৪.অনুবাদ গল্পঃ কাহলিল জিবরানের চারটি গল্প
১৫.অনুবাদ গল্পঃ কাহলিল জিবরানের পাঁচটি গল্প-১
১৬.অনুবাদ গল্পঃ কাহলিল জিবরানের পাঁচটি গল্প-২
১৭.অনুবাদ গল্পঃ কাহলিল জিবরানের পাঁচটি গল্প-৩
১৮.অনুবাদ গল্পঃ কাহলিল জিবরানের পাঁচটি গল্প-৪
 ৩২ টি
    	৩২ টি    	 +১০/-০
    	+১০/-০  ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫  বিকাল ৩:৫০
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫  বিকাল ৩:৫০
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ সুমাইয়া। অনেকদিন পর ব্লগে দেখলাম আপনাকে।
২|  ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫  বিকাল ৩:৫৩
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫  বিকাল ৩:৫৩
সুমাইয়া আলো বলেছেন: একচুয়ালি বিভিন্ন কাজে বিজি হওয়ায় এর অন্যতম কারণ।  
  ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫  বিকাল ৩:৫৫
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫  বিকাল ৩:৫৫
আমি তুমি আমরা বলেছেন: হুম্ম। আমাদের সবারই ব্যস্ততা বেড়ে চলেছে  
 
৩|  ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫  বিকাল ৪:৪৯
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫  বিকাল ৪:৪৯
আরজু পনি  বলেছেন: 
বাহ পড়তে ভালো লাগলো অনুবাদ ।
শুভকামনা রইল ...তুমি...।।
  ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫  রাত ১১:৪৪
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫  রাত ১১:৪৪
আমি তুমি আমরা বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে আমার ব্লগে দেখলাম। অনুবাদ ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। শুভকামনা  
 
৪|  ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫  রাত ১০:৪৯
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫  রাত ১০:৪৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: 
এবারেরটিও ভালো লেগেছে.... অনুবাদ ভালো হয়েছে।
এমন উদার স্বামী আর এমন উড়নচণ্ডে বধির স্ত্রী না হোক 
  ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫  রাত ১১:৪৬
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫  রাত ১১:৪৬
আমি তুমি আমরা বলেছেন: এমন উদার স্বামী আর এমন উড়নচণ্ডে বধির স্ত্রী না হোক  
  
   
 
৫|  ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫  রাত ১১:৪৫
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫  রাত ১১:৪৫
লাশকাটা ডোম বলেছেন: ভালো লেগেছে!! +++
  ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫  রাত ১১:৪৭
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫  রাত ১১:৪৭
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ লাশকাটা ডোম  
 
৬|  ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫  রাত ১১:৫৪
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫  রাত ১১:৫৪
একলা ফড়িং বলেছেন: অনুবাদ গল্প ভালো লেগেছে। 
অনেকগুলো গল্প দেখছি! সবগুলো পড়া হয়নি! সময় করে সব পড়ে নেব  
 
  ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫  রাত ১২:০০
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫  রাত ১২:০০
আমি তুমি আমরা বলেছেন: পড়ে নিন। বাকি গল্পগুলোতেও আপনার প্রতিক্রিয়া আশা করছি  
 
৭|  ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫  ভোর ৪:৩৭
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫  ভোর ৪:৩৭
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: স্বামী স্ত্রীর মধ্যে যদি ভালোবাসা থাকে, পরস্পরের প্রতি যদি বিশ্বাস থাকে, তবে তারা কিংবা তাদের যে কেউ একজন যদি বধিরও হয়, তবে অন্যজন ঠিকই তার মনের কথা বুঝে উঠতে পারে। এটা সম্ভব হয় ভালোবাসা ও বিশ্বাসের কারণে। এই অনুবাদ গল্প পড়ে মনে হল স্বামী তার বউকে এখনো ঠিকভাবে ভালবাসতে পারে নাই। তাই স্ত্রী সামান্য ভালোবাসার ছোঁয়া পেতে এক বাউন্ডুলের প্রেমে পড়ে গেছে মনে হয়। অনুবাদ ভালো হয়েছে আমি তুমি আমরা।
  ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫  সকাল ১১:৩৬
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫  সকাল ১১:৩৬
আমি তুমি আমরা বলেছেন: স্বামী স্ত্রীর মধ্যে যদি ভালোবাসা থাকে, পরস্পরের প্রতি যদি বিশ্বাস থাকে, তবে তারা কিংবা তাদের যে কেউ একজন যদি বধিরও হয়, তবে অন্যজন ঠিকই তার মনের কথা বুঝে উঠতে পারে। 
একদম ঠিক বলেছেন। আমার মনে হয়েছে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ভালই কমিনিকেশন গ্যাপ ছিল।স্বামী বেচারা শপিং এর জন্য স্বর্নমুদ্রা দিয়ে সেই গ্যাপ দূর করতে চেয়েছেন, কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। 
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ বিদ্রোহী বাংগালী  
 
৮|  ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫  সকাল ৮:৫৬
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫  সকাল ৮:৫৬
জাফরুল মবীন বলেছেন: গল্প ও অনুবাদ দু’টোই ভাল লাগল 
ধন্যবাদ আপনাকে।
  ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫  সকাল ১১:৩৭
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫  সকাল ১১:৩৭
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার  
 
৯|  ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫  সকাল ১১:৩০
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫  সকাল ১১:৩০
তুষার কাব্য বলেছেন: চমত্কার অনুবাদ বরাবরের মতই ।
শুভকামনা আতুআ   
 
  ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫  সকাল ১১:৩৭
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫  সকাল ১১:৩৭
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ তুষার কাব্য।শুভকামনা সবসময়  
 
১০|  ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫  দুপুর ১২:০৯
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫  দুপুর ১২:০৯
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভালো লাগলো 
চলুক 
  ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫  দুপুর ১২:৪৩
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫  দুপুর ১২:৪৩
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।
১১|  ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫  দুপুর ১২:৩০
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫  দুপুর ১২:৩০
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: 
দারুণ লিখা++++
  ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫  দুপুর ১২:৪৪
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫  দুপুর ১২:৪৪
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায়  
 
১২|  ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫  দুপুর ২:০৯
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫  দুপুর ২:০৯
আমার আমিত্ব বলেছেন: আমি কাহলিল জিবরান এর লেখা অল্প কিছু পড়েছি।
আপনার অনুবাদ ভালো লেগেছে।
  ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫  দুপুর ২:১৭
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫  দুপুর ২:১৭
আমি তুমি আমরা বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম  
 
১৩|  ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫  বিকাল ৩:২১
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫  বিকাল ৩:২১
আবু শাকিল বলেছেন:  ভাল লাগল ভাইয়া ।
শুভেচ্ছা জানবেন   
 
  ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫  বিকাল ৩:৩৪
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫  বিকাল ৩:৩৪
আমি তুমি আমরা বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। শুভকামনা 
১৪|  ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫  রাত ১২:৪২
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫  রাত ১২:৪২
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: খুব সুন্দর গল্প। স্বামীটি ভেবেছিল স্ত্রীর চাহিদাগুলো শুধু সোনার খন্ড দিয়েই কিনে নেয়া যায়। ভালোবাসা আসলে এত সস্তা নয়।
  ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫  রাত ১:০০
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫  রাত ১:০০
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ভালোবাসা আসলে এত সস্তা নয়।  
সহমত  
 
১৫|  ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫  দুপুর ২:১৩
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫  দুপুর ২:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো বরাবরের মতোই।
  ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫  রাত ৮:৩৫
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫  রাত ৮:৩৫
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ  
 
১৬|  ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫  রাত ১০:৪৩
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫  রাত ১০:৪৩
সুমন কর বলেছেন: গল্পের আভ্যন্তরিক অর্থটি শিক্ষণীয়। +
ছবিগুলো না দিলেও হতো। যদিও বর্ণনার সাথে মিলিয়ে দিয়েছো। 
 
অনুবাদ ভাল হয়েছে। 
  ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫  রাত ৯:৪৭
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫  রাত ৯:৪৭
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ছবিগুলো এমনিই দেয়া।
অনুবাদ ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম  
 
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫  বিকাল ৩:৪৯
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫  বিকাল ৩:৪৯
সুমাইয়া আলো বলেছেন: অসাধারণ লিখা