নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখার সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।
প্রিয় নবনী,
জানতে চেয়েছিস আমি কোথায়? আমি এখন বসে আছি গৌরীপুর জংশন নামক ছোট্ট ইষ্টিশন-এ।আমার আশেপাশে কোথাও কেউ নেই, আশ্চর্য এক ভুতুড়ে পরিবেশ।তার ওপর হু হু করে বইছে মাতাল হাওয়া। মনে হচ্ছে এই হাওয়ার তোড়ে স্টেশনের দেয়াল আর ছাদ-দুটোই ভেঙ্গে পড়বে।
জায়গাটা আমার জন্য অচিনপুর হতে পারে, কিন্তু তোরতো খুব ভাল করেই চেনা।তুই এখানে আগেও এসেছিস, এখানেই তোর বান্ধবী মীরার গ্রামের বাড়ি।মীরার সাথে দেখা হয়নি, তবে তোদের স্মৃতিবিজড়িত জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুল-এ গিয়েছিলাম। ভালই লেগেছে।
এখন যদিও সন্ধ্যা, কিন্তু আকাশে মেঘ করে একেবারে কৃষ্ণপক্ষ এর মত চারপাশ আঁধার করে তুলেছে।কিছুক্ষণ আগে এখানে কারেন্টও চলে গেছে।আমার কাছে না আছে বলপয়েন্ট, না আছে ফাউন্টেন পেন।তুই লিখতে বলেছিলি, তাই একটা কাঠপেন্সিল যোগাড় করে কোন রকমে তোকে লিখছি।
আমি হুট করে এখানে কেন এসেছি জানিস? এখানে আজ চিত্রার বিয়ে।চিত্রাকে চিনেছিস? তোকে মাঝে মাঝে এক মায়াবতীর গল্প বলতাম না? চিত্রাই আমার একজন মায়াবতী।
চিত্রার বাবা নলিনী বাবু বিএসসি একটা অমানুষ। লোকটা মনে হয় নিজেকে বাদশাহ নামদার ভাবে।চিত্রা ওর বাবাকে প্রচন্ড ভয় পায়। সেই ভয় ভেঙ্গে এতবার বলল সে তার ভালবাসার ছেলেটা ছাড়া আর কাউকেই বিয়ে করবে না, লোকটা মানলই না। চিত্রার মা, লীলাবতী দেবীও মেয়ের পক্ষ নিলেন, কিন্তু কিছুতেই কিছু হল না।
উপায় না দেখে আমিই ট্রেনে চড়ে বসলাম।পুরো জার্নিতে পোকার কামড় খেয়ে যখন পৌছালাম, তখন মধ্যাহ্ন পেরিয়ে গেছে। মনে মনে লোকটার সাথে দ্বৈরথ করার প্রস্তুতি নিয়ে গেছি আর সে আমার সাথে দেখাই করল না।সাফ জানিয়ে দিল,আজ রবিবার, আজ আমি কোথাও যাব না।আরে বাবা, উঠোন পেরিয়ে দুই পা এলেই হয়। তোমার মেয়ে যাকে ভালবাসে তার চেহারা একবারও দেখবে না? আমিতো আর ম্যাজিক মুন্সী নই, আমাকে দেখলেইতো আর চোখের পলকে সব বদলে যাবে না।
লোকটা দেখা করবে না শুনেই মাথাটা এলেবেলে হয়ে গিয়েছিল। চিৎকার করে বললাম, দেখা করবে না কেন? লোকটা কি বৃহন্নলা নাকি? নিজেকে ছাড়া মেয়ের জীবনে দ্বিতীয় মানব সহ্য হয় না? জানি, দরজার ওপাশে-ই দাঁড়িয়ে আছেন, সামনে আসতে সমস্যা কি?
আমার চিৎকার চেঁচামেচি শুনে চিত্রা বেরিয়ে এল। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, এতক্ষন সাজঘর-এ ছিল।ওকে দেখেই বললাম, পাখি আমার একলা পাখি, চল উড়ালপংক্ষী হয়ে উড়ে যাই।
চিত্রা বলল, এ কি কান্ড করছ?
-কান্ড টান্ড বুঝি না। এসব বিয়ে ফিয়ে বাদ দিয়ে তুমি আমার সাথে চল।
আর চিত্রা কিনা আমার গালে চড় বসিয়ে দিল! আংগুল উচিয়ে বলল, খবরদার, আমার বাবা সম্পর্কে কোন আজে বাজে কথা বলবে না।
চিত্রার আচরনে সত্যিই অবাক হয়েছি। ফিহা সমীকরণ তবু সমাধান করা সম্ভব, কিন্তু মেয়েদের মন বোঝা সম্ভব নয়।
চিত্রার এই আচরনের পর ওদের দারোয়ান আঙুল কাটা জগলু আমাকে ধাক্কা মেরে বের করে দিল। আমার আর ঘরে ফেরার ইচ্ছা নেই, তোমাদের এই নগরে হয়ত আর কখনোই ফিরব না। কোথায় যাব তাও জানি না, কেবল এই স্টেশনে একা বসে অপেক্ষা করছি ট্রেনের জন্য।
হঠাৎ কার কন্ঠ শুনতে পেলাম। এই জনমানব শূন্য স্টেশনে আবার কে কথা কয়? পেছন ফিরে দেখি মৃন্ময়ী, চিত্রার ছোটবোন।মেয়েটা আমার পাশে এসে বসল। এই অন্ধকারেও স্পষ্ট দেখতে পেলাম ওর চোখ পানিতে টলটল করছে। তবে কি মৃন্ময়ীর মন ভাল নেই?
মৃন্ময়ী জানতে চাইল, কোথায় যাচ্ছেন?
বললাম, নির্বাসন-এ।
-মানে?
-মানে একা একা চলে যাব দূরে কোথায়।
-আর ফিরবেন না?
আমি 'না' বলতে চাইছিলাম, অতি আবেগে কন্ঠ দিয়ে বেরোল নী!
-কেন?
আমি নিশ্চুপ।
-আমাকে সাথে নেবেন?
-না।
-আমার আছে জল। ওটা কি নেবেন?
আমি বিরক্ত হয়ে মৃন্ময়ীর দিকে তাকালাম।এই অল্পবয়সী মেয়েটার সমস্যা কি?
আমি প্রসঙ্গ পাল্টানোর জন্য বললাম, চিত্রার বরের নাম কি?
-হিমু।
-কি করে?
-বর্ডারের কাছে লোকজনকে ময়ূরাক্ষী নদী পারাপারকরায়।
-মানে মানবপাচার?
মৃন্ময়ী জবাব দিল না।আমিও চুপ করে আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলাম।যেকোন মুহূর্তে বৃষ্টি নামতে পারে। অন্যসময় হলে বৃষ্টি ও মেঘমালা শিরোনাম দিয়ে ব্লগে একটা ফাটাফাটি পোস্ট দিতাম, কিন্তু এখন কিছুই ইচ্ছা করছে না।এমন বৃষ্টির দিনে আমি আর চিত্রা কত বৃষ্টিবিলাস করেছি-ভাবতেই মন খারাপ হয়ে গেল।
দেখতে দেখতে ঝুম বৃষ্টি নামল।মৃন্ময়ী বৃষ্টি ছুয়ে বলল, কি বৃষ্টি দেখেছেন? মনে হচ্ছে যেন শ্রাবন মেঘের দিন।মনে আছে,শ্রাবনের এক দুপুরে আপনার সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল আপু।আপনি আমাকে শুনিয়েছিলেন অদ্ভুত সব গল্প আর আপুর জন্য এনেছিলেন বাদল দিনের দ্বিতীয় কদম ফুল।
-মনে আছে।সেদিন ঐ রেস্টুরেন্টে বসে আমি তোমাকে হরতন ইশকাপনচিনিয়েছিলাম।
-সেদিন চক্ষে আমার তৃষ্ণা ছিল, আজও আছে। দেখতে পান?
আমার সত্যিই এবার খুব বিরক্ত লাগছিল। অল্পবয়সী মেয়েগুলো নিয়ে এই এক সমস্যা, একসাথে বসে মিষ্টি দুটো কথা বললেই ভাবে প্রেম হয়ে গেছে।আমি প্রসঙ্গ পাল্টানোর জন্য আবার বললাম, চিত্রার সাথে আমার প্রথম দেখা কবে জানো?
-কিভাবে?
-সেদিন চৈত্রমাস।শীতের সকালে আমি তাড়াহুড়ো করে ক্লাসে যাচ্ছি, হঠাৎ দেখি কুয়াশা ভেদ এক অনিন্দ্য সুন্দরী আমার দিকে এগিয়ে আসছে।মানবী নয়, যেন পেন্সিলে আঁকা পরী।তাই দেখে হয়ত কবি বলেছিলেনঃ
প্রহর শেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস
তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ ।
-তারপর?
-তারপর ওকে একদিন দেখলাম ওদের হলের বারান্দায় তোয়ালে হাতে।সেটা অবশ্য ওর ছিল না, ছিল তিথির নীল তোয়ালে। এভাবেই চলে যায় বসন্তের দিন আর আমার প্রতিদিনই মনে হয় এই মেয়েটিকেই আমি বিয়ে করব।
-আর ভেবে দেখুন কোন এক নীল হাতীর পিঠে চড়ে আসা হিমুর সাথে আয়না ঘর-এ রূপার পালঙ্ক-এ বসে আপু এখন বাসরকরছে।
-কি সমস্যা তোমার? ইচ্ছা করে আমার কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিচ্ছ?
-একটা কথা বলি?
-কি?
-আব্বু কিন্তু মানুষ খারাপ না। আমার বাবার মত নীল মানুষ হয় না।
-তাই? তাহলে তোমার বোনকে জোর করে বিয়ে দিচ্ছে কেন?
-আজ না, অন্যদিন বলব। আজ আমার কথা বোঝার মত মানসিক অবস্থা আপনার নেই।
আমি আর কিছু বলি না। হয়ত সত্যিই ওর কথা বোঝার মত মানসিক অবস্থা আমার নেই।
হঠাৎ চেয়ে দেখি বৃষ্টি থেমে গেছে।আকাশে অনন্ত নক্ষত্রবীথি, সেই সাথে গৃহত্যাগী জোছনা।বৃষ্টির শেষে ভেজা আকাশে এই জোছনাকেই কি বলে জল জোছনা?
-কি ভাবেন? মৃন্ময়ী জানতে চায়।
-জান, এমনই এক জোছনা রাতে যখন সবাই গেছে বনে, ইচ্ছা ছিল তখন তোমার বোনকে পাশে নিয়ে আমি নিশিকাব্য লিখব।
-সেই কাব্য কি লেখা হয়েছে?
-না।এখন আর কাব্য লিখব না। গান লিখব। অন্ধকারের গান।অন্ধকারে বিলীন হয়ে হয়ে যাওয়া একজন মানুষ আর কিইবা করতে পারে?
মৃন্ময়ী খুব শক্ত করে আমার হাত চেপে ধরে। খবরদার, এসব বাজে কথা আর কখনো বলবেন না। একদম না।
-ভালবেসে যদি সুখ নাহি পাই তবে আর কি বলব?
মৃন্ময়ী জবাব দেয় না,অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।আমার বিরহগাথা শুনতে ও বোধহয় আগ্রহী নয়।
আমার সামনে দিয়ে কয়েকটা প্রজাপতি উড়ে যায়। আমি হাত ছাড়িয়ে নিয়ে প্রজাপতিগুলো ধরার চেষ্টা করি।এই মুহূর্তে আমি এবং কয়েকটি প্রজাপতি ছাড়া আর সবার অস্তিত্বই আমার কাছে মূল্যহীন মনে হয়।
হঠাৎ চেয়ে দেখি একটা মধ্যবয়স্ক লোক স্টেশনের দিকে দৌড়ে আসছে।আমি আর মৃন্ময়ী চেয়ে থাকি, লোকটা আমাদের সামনে এসে দাঁড়ায়।
-ট্রেন কখন আসবে?লোকটা জানতে চায়।
-অপেক্ষাকরুন কিছুক্ষন, চলে আসবে। আমি জবাব দেই।
লোকটা মৃন্ময়ীর দিকে তাকিয়ে বলে, তুমি মৃন্ময়ী না? চিত্রার ছোটবোন?
-হ্যা, আপনি কে? মৃন্ময়ী অস্বস্তি নিয়ে জবাব দেয়।
-আমি সানাউল্লাহ, তোমার বোনের বিয়ের সম্বন্ধ আমিই নিয়ে এসেছি।
-তা বিয়ে বাড়ি ছেড়ে আপনি এখানে কি করছেন? আমি জানতে চাই।
-আরে রাখ বিয়ে বাড়ি। আমার মাথার ওপর নয় নম্বর বিপদ সংকেত। পরিচিত কোথাও এখন সানাউল্লাহর মহাবিপদ।
-কেন? কি হয়েছে?
-আরে, আমি কি আর জানি হিমু মানব পাচার করে বর্ডারে? আসমানীরা তিন বোন, ওদেরকেও হিমু পাশের দেশে পাচার করে দিয়েছে।তাই নিয়ে লাগছে এক বিশাল গিরিঙ্গি।
-তা হিমু এখন কোথায়?
-কোথায় আবার? হিমু রিমান্ডে। হলুদ হিমু কালো র্যাব-এর খপ্পরে।যেকোন মুহূর্তে ক্রসফায়ারে পরে অন্যভূবন-এ চলে যেতে পারে।
-তাই নাকি? হিমু মামার তাহলে এখন বিশাল বিপদ।তা হিমুর একান্ত সাক্ষাতকার মানে রিমান্ডের কথা আপনি এসব জানলেন কিভাবে?
-হিমুর বাবা, মিসির আলী ফোন করেছিল।বললাম, কে? বলে, আমিই মিসির আলী।জানতে চাইলাম, মিসির আলী!আপনি কোথায়? লোকটা কোন জবাব দিল না।বললাম, কি খবর? তখনই সে এসব কাহিনী শোনাল।বাঘবন্দী মিসির আলীআরো বলল, র্যাবের দারোগা কুটু মিয়া নাকি আমাকেও খুঁজছে। হিমুর বাবার কথামালা শুনে আমার পুরাই আক্কেল গুড়ুম।কোথায় পালাব বুঝতে পারছি না।
-তাহলে বিয়ে বাড়িতে বর আসেনি?
-আর বর আসবে? পুরা বাড়িতে এখন শোকের মাতম লাগছে।
পরিস্থিতির এই হঠাৎ পরিবর্তনে আমার হাসি পায়। নলিনী বাবুর মুখটা খুব দেখতে ইচ্ছা করছে।
হঠাৎ খেয়াল করে দেখি চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে।ওরা আমার সামনে এসে দাঁড়ায়। আমি বলি, তোমরা কারা?
ওদের একজন জবাব দেয়, আমি এবং আমরা আপনাকে চিত্রার কাছে নিয়ে যেতে চাই। নলিনী বাবু চিত্রার সাথে আপনার বিয়ে দিতে রাজি হয়েছেন।
আমি ওদের মানা করে দেই। মুখে রূপার চামচ নিয়ে জন্মাইনি সত্যি, তাই বলে কারো জীবনে আমি দ্বিতীয় মানব হতে চাই না।
তারা তিনজন চলে যায়। আমি দাঁড়িয়ে ওদের চলে যাওয়া দেখি।
এই নক্ষত্রের রাত, বয়ে চলেছে লিলুয়া বাতাসএসবই আমার কাছে অর্থহীন মনে হয়।আমার সামনে অর্থ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এক মানবী-মৃন্ময়ী তার নাম।
মৃন্ময়ী তখনও আমার হাত ধরে রেখেছে, কেঁদে চলেছে ফুঁপিয়ে।
আমি মৃন্ময়ীর চোখ মুছে দেই। এক গুচ্ছ নীল অপরাজিতা ওর কোলে রেখে বলি, ছায়াসঙ্গী হয়ে জনম জনম তোমার চোখের জল মুছে দিতে চাই। আমার সাথে থাকবে?
ইতি,
শুভ্র
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ফান পোস্ট নয় ব্রাদার, এটা ফ্যান পোস্ট
২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:০২
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ব্লগার বোকা মানুষ বলতে চায় এর পোস্টে মন্তব্য হিসেবে লেখাটা শুরু করেছিলাম। পরে লেখার আকার বড় হয়ে যাচ্ছে বলে একেবারে আলাদা গল্প হিসেবেই পোস্ট করলাম। আইডিয়ার জন্য কৃতজ্ঞ রইলাম ব্লগার বোকা মানুষ বলতে চায় এর কাছে।
৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:০৬
লেখোয়াড়. বলেছেন:
প্রথম ++++++
ভাল হয়েছে।
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:১২
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় লেখোয়াড়।
আপনার পুরনো নিকটার কি হয়েছে? এখন আবার লেখোয়ারের এর পর ডট(.) কেন?
৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:০৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: খুব ভাল লাগল্ । অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে নিশ্চই। ধন্যবাদ।
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪
আমি তুমি আমরা বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে জেনেই আপনার পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার
৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:১৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার হয়েছে ভ্রাতা, পোস্টে +++
আমার পোস্টে কমেন্টে প্রবাসী পাঠক একটি কমেন্টে এমন একটি লেখা দিয়েছিলেন। সবগুলোকে একসাথে রাখলে ভালই হবে। তাই কপি পেস্ট করে দিলাম সেই মন্তব্যটি (কিছু মনে করবেন না যেন)
মিসির আলী সাহেব, একটি মাত্র চিঠিতে সব কথা বলা হয়ে যায়। মনের কথা তো আর 'ফিহা সমীকরণ' এর মত সহজ সরল না। 'দেয়াল' এর বুকেও কত কথা জমা থাকে। 'দৌলত শাহ এর অদ্ভুত কাহিনি' শুনেছেন হয়ত। আমি 'কিছুক্ষণ' আগে শুনলাম। 'মধ্যাহ্ন' বিরতিতে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম তখনই 'লীলাবতী' এসে বলে গেল। লীলাকে চিনেছেন তো? ঐ যে, যাকে দেখে আপনি বলেছিলেন একি অপ্সরী নাকি 'মানবী'! লীলার জন্য দুঃখ হয়। ওর এখন থাকার কথা ছিল 'বাসর' ঘরে 'রুপার পালঙ্ক' এর উপর। কিন্তু ভাগ্যের বিরাম্বনায় সে আজ 'ইমা' এর মত দুঃখী। 'দেখা না দেখা' ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তায় দু জনই। কারণ ' সেও নর্তকী'। এদিকে আবার 'সানাউল্লার মহা বিপদ' । 'মিরার গ্রামের বাড়ি' তাই পুরোপুরি জনমানব 'শূন্য'। 'আসমানিরা তিন বোন' 'দুই দুয়ারী' ঘরটাতে কিছুদিন ছিল। তারাও 'সৌরভ' এর সাথে 'সাজঘর' চলে গেছে। 'রুমালির' মাথার 'পোকা' আবার ফিরে এসেছে। সে এখন সারাদিন 'রস কশ সিঙ্গারা বুলবুলি মস্তক' খেলেই বেড়ায়। এই নির্জন পরিবেশে 'চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক' শুধু বসে থাকে। হয়ত তারাও বলে " আমার আছে জল"।
'শঙ্খনীল কারাগার' থেকে 'নিষাদ"
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:২৩
আমি তুমি আমরা বলেছেন: প্রবাসী পাঠকের মন্তব্যটা আপনার পোস্টেই দেখেছি। এখানে দেয়ায় ভালই হল-সবগুলো লেখা এক জায়গায় চলে এল।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার। সেই সাথে আপনার আইডিয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা
৬| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:২০
লেখোয়াড়. বলেছেন:
এটা নতুন নিক, একটু বদলিয়ে। নতুন নিক খুলতে আমি বাধ্য হয়েছি। আগের নিকে লগইন হতে গেলে নিচের মেসেজ আসে। আমি সেই মত অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু কোন লাভ হয়নি। তাই আর কি করা, অনেক অপেক্ষা করে, না পেরে শেষে নতুন করে আসা।
প্রিয় ব্লগার,
১৬ই নভেম্বর, বিকেল ৪ টার পর থেকে আমরা কিছু সময়ের জন্য আমাদের সার্ভার সংক্রান্ত কিছু অসঙ্গতির সম্মুখীন হয়েছি। যার ফলে ঐ নির্দিষ্ট সময়ে সামহোয়্যার ইন ব্লগে লগইন করতে গিয়ে কয়েকজন ব্লগার সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। একটি সাধারণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা আপনারটি সহ সেইসব ব্লগারদের ব্লগ পাসওয়ার্ড পুনস্থাপন করেছি। এই সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আপনার নতুন পাসওয়ার্ডটি পুনস্থাপন করতে নিম্নোক্ত লিংকটি অনুসরণ করুন। click here to reset password.
সংশ্লিষ্ট যেকোন সমস্যায় আমাদের [email protected] এ অথবা [email protected] মেইল করুন।
বিনীত, সামহোয়্যার ইন ব্লগটিম।
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪
আমি তুমি আমরা বলেছেন: পাসওয়ার্ড আর রিসেটের চেষ্টা করেন নি? ফীডব্যাকে যোগাযোগ করেছেন? ওরা কি বলে?
৭| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:২৯
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: চমৎকার! +++
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৩৫
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ মাঘের নীল আকাশ
৮| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৮
লেখোয়াড়. বলেছেন:
করেছিলাম, হয়নি। ওরাও পারেনি।
কি আর করা। নতুন করে পুরানো নিকে।
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৪০
আমি তুমি আমরা বলেছেন: হায় হায়, দুঃখজনক ব্যাপার।
৯| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৪
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ভাইরে ভাই, অনবদ্য। প্রিও লেখকের প্রতি আপনাদের অনুরাগ বোঝা যায়। ভালোলাগা রইলো।
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৪২
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ শতদ্রু একটি নদীর নাম। লেখা আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম
১০| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৩৯
রমিত বলেছেন: "ফিহা সমীকরণ তবু সমাধান করা সম্ভব, কিন্তু মেয়েদের মন বোঝা সম্ভব নয়। "
ভাই খুব সুন্দর লিখেছেন। হুমায়ুন আহমেদ আমার প্রিয় লেখকদের একজন। উনাকে নিয়ে পোস্ট দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৪৪
আমি তুমি আমরা বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ আমারও অসম্ভব প্রিয় লেখক। নিজের লেখনী দিয়ে প্রিয় লেখককে স্মরণ করার আমার এটা ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা
১১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৪২
রমিত বলেছেন: হুমায়ুন স্যারের আরেকটি কথা আমার মনে খুব দাগ কেটেছে, "এই পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষই সাথে করে একটি আলাদিনের আশ্চর্য্য প্রদীপ নিয়ে আসে। তবে প্রদীপে ঘষে সেই দৈত্যের ঘুম ভাঙাতে পারে খুব অল্প কয়েকজন।"
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৪৮
আমি তুমি আমরা বলেছেন: চমৎকার
১২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:০৯
ফ্লাইং সসার বলেছেন: অনবদ্য হইছে!
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৪৯
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ ফ্লাইং সসার
১৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৫৩
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: বাহ! দারুণ হইছে ভাই।
২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪০
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার
১৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:০০
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: মুল গল্পটিই মন ছুয়ে গেল। "এই নক্ষত্রের রাত, বয়ে চলেছে লিলুয়া বাতাসএসবই আমার কাছে অর্থহীন মনে হয়।আমার সামনে অর্থ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এক মানবী-মৃন্ময়ী তার নাম" অনবদ্য ফিলিংস হচ্ছে।
২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২
আমি তুমি আমরা বলেছেন: এটাই চাইছিলাম।কেউ আমার মূল গল্পটা পড়ুক।আপনার মন্তব্যে ভাল লাগা রইল
১৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৪৫
আলী আকবার লিটন বলেছেন: যেমন ওস্তাদ তেমনি তার সাগ্রেত ... দারুন হয়েছে...
০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ আলী আকবার লিটন
১৬| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৪৪
সুমন কর বলেছেন: এর আগে ব্লগার বোকা মানুষ বলতে চায়-এর এ ধরনের একটি পোস্ট পড়ে ছিলাম। এবার তোমারটা।
চমৎকার হয়েছে।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬
আমি তুমি আমরা বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল। ধন্যবাদ সুমন ভাই
১৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
অসাধারণ!!!!!
প্রিয়তে
০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬
আমি তুমি আমরা বলেছেন: আমার লেখা প্রিয়তে?
সম্মানিতবোধ করছি
১৮| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৬:১৯
মহান অতন্দ্র বলেছেন: এত পুরা বইয়ের সঙ্কলন দেখছি। অসাধারণ। ভাল লেগেছে অনেক অনেক।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ মহান অতন্দ্র
১৯| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০২
শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক অনেক মজার!!!
০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭
আমি তুমি আমরা বলেছেন:
২০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:২৯
এম এম করিম বলেছেন: ভালোবাসার চমৎকার প্রকাশ।
ভাল লাগল।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:২২
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ এম এম করিম
২১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:২২
এহসান সাবির বলেছেন: দারুন।
++++++
০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:২৫
আমি তুমি আমরা বলেছেন: আপনার দারুণ লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার
২২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৩২
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন:
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১০
আমি তুমি আমরা বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:০২
প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার ফান পোষ্ট।