নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখার সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।
-আরে, জাকির না?
হেডফোনটা মাত্র কান থেকে সরিয়েছি, শুনতে পেলাম কেউ নাম ধরে ডাকছে। তাকিয়ে দেখি রাশিক, ছোটবেলার বন্ধু।
-আরে, রাশিক মামা নাকি?
-কি খবর দোস্ত? রাশিক দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরল।
-আলহামদুলিল্লাহ, ভাল আছি। তোর কি খবর?
-এইতো, চলে যাচ্ছে। দেশে এসছিস কবে?
-এইতো, একুশ তারিখে।
-পাঁচদিন হয়ে গেল, কোন খবর দেয়ার প্রয়োজনবোধ করলি না?
-আসলে দোস্ত, প্ল্যানড ছুটি না। আব্বা হঠাত অসুস্থা হয়ে পড়ল, হসপিটালাইজ করা লাগল, আম্মা প্রতিদিন ফোনে কান্নাকাটি করে, না এসে আর পারলাম না।
-আংকেল হাসপাতালে? বলিস কি? জানি না তো।
-অথচ এই তুই একসময় প্রতিদিন আমাদের বাসায় আসতি।
-খোঁচা দিয়ে লাভ কি বল? এখন সবাই নিজের জীবন নিয়েই ব্যস্ত। তোর ভাইটাও অসামাজিক। বিপদ আপদে আমাদের মনে করলে আমারাও কিছু করতে পারি।
-সাকি একটু অন্যরকম। ছোটকাল থেকেইতো দেখছিস।
-তা দেখছি। সাকিকে আর দোষ দিয়ে কি হবে বল? গত দশ বছরে ফেসবুকে লাইক দেয়া ছাড়া তুই নিজে কোন সামাজিকতা পালন করেছিস?
-বাব্বা, সাকিকে ছেড়ে এখন আমার আমলনামা নিয়ে পড়েছিস? আমি আবার খোঁচাই।
-বাদ দে। ভাবীর খবর কি?দেশে নিয়ে আসছিস? রাশিক জানতে চায়।
-ওর অফিস থেকে ছুটি পাওয়া গেল না। তাছাড়া বাচ্চাদের স্কুলও খোলা।
-ওহ।
হঠাত দুজনেই চুপ হয়ে যাই। নীরবে পাশাপাশি হাটতে থাকি।
-জাকির।
-বল।
-চল, ওখানে একটু বসি।
-কোথায়?
-ওখানে। রাশিক আঙুল উঁচিয়ে দেখায়।
আমি তাকাই। একটা মাল্টি স্টোরিড বিল্ডিং এর কন্সট্রাকশন চলছে।নীচে থরে থরে ইট সাজিয়ে রাখা আছে।
-ওখানে বসবি?
-হ্যা।
-আরে হাটতে থাক। সকালের এই ফ্রেশ আবহাওয়া হাটতে ভালই লাগে।
-ভাই, আমি হাটতে হাটতে টায়ার্ড। এবার একটু বসা দরকার।
-আমিতো বসতেই পারি। কিন্তু কার না কার কন্সট্রাকশান সাইট, ঢুকতে দেবে।
-দেবে না মানে, আমার কন্সট্রাকশান সাইট। আমি ঢুকব, বের হব, বসে থাকব, শুয়ে থাকব, যা ইচ্ছা করব। কোন বাপের ব্যাটা থামাবে আমাকে?
-বাব্বা, তোর কনফিডেন্স লেভেল দেখি অনেক বেড়েছে।
গেট পেরিয়ে আমরা ভেতরে ঢুকে যাই, সাজানো ইটের ওপর পা ছড়িয়ে বসে পড়ি।
রাশিক কোনরকমে বসে পরে দুটো ইটের ওপর, হাপাতে থাকে বিশ্রীভাবে।
আমি এই প্রথম ভালভাবে রাশিকের দিকে তাকাই। অহংকার করছি না, তবে আমি নিশ্চিত অপরিচিত কেউ এখন আমাদের দুজনকে দেখলে ব্যাচমেট বলে বিশ্বাস করবে না। রাশিকের গালের চামড়া ঝুলে গেছে, জুলফির দুপাশে পাক ধরেছে। চশমাও দেখি লাগিয়েছে একটা। তবে সবচেয়ে বাজেভাবে বেড়িয়ে আছে ভূড়িটা, লাল রঙের স্কীন টাইট টিশার্টে বিশ্রী লাগছে। এমন কাপড় পড়ে মর্নিং ওয়াক করার রুচি হয় কি করে?
-কি দেখিস? রাশিক হাপাতে হাপাতে প্রশ্ন করে।
-তোকে।
-আমাকে দেখার কি আছে? চিড়িয়াখানারর বাদর নাকি আমি?
-বাদরেরতো ভুড়ি থাকে না।
-ওহ, এটা। রাশিক নিজের ভুড়িতে হাত বুলিয়ে নেয়।
-জ্বি, জনাব ওটা।
-সবাই কি আর তোর মত স্পোর্টসম্যান? আমরা কি আর খেলার জন্য টাকা পাই?
-কিসের মধ্যে কি টানছিস? আমি পেশাদারী খেলাধুলা ছেড়েছি দশ বছর আগে। তবুও এখনো নিজের ফিটনেস ধরে রেখেছি।
-ভাই, আমি থাকি বাংলাদেশে। আমাকে কাজ করে কামাই করতে হয়। আর তুই থাকিস আমেরিকায়।
-তো? আমেরিকায় কি আমাকে ফ্রী খাওয়ায়? আমিও কাজ করেই খাই।
-ওখানেতো গলির মোড়ে মোড়ে জিম।
-তাই নাকি? দেখলাম না তো।
-এত বছর পর দেখলাম তোকে। তুই কি এখন আমার সাথে ঝগড়া করবি?
-ঝগড়া নারে ভাই, তোকে নিয়ে আমি কনসার্নড।
-কেন?
-তোর কি ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে? কিংবা হার্ট প্রবলেম?
-তুই আমার বন্ধু না শত্রু? আমাকে শুধু রোগবালাই দিতে চাস।
-ভাই, তুই কখনোই ভোরের পাখি ছিলি না। এই ভুড়িটাও প্রমান করে তোর স্বাস্থ্যসচেতনতা কতটুকু।তাহলে তুই মর্নিং ওয়াকে বের হলি কেন?
-ডায়াবেটিস।গতবছর ধরা পড়েছে। রাশিক আস্তে করে জবাব দেয়।
-তারপর থেকেই সকালে হাটাহাটি ধরেছিস?
-হু।
-রাশিক।
-বল।
-আমাদের চল্লিশ পেরলো কবে বলতো।
-তোরটা জানিনা, আমার গত বছর পার হল।
-তোর কি মনে আছে স্কুলে থাকতে আমরা প্ল্যান করেছিলাম অন্তত তিন শতাব্দী বেচে থাকব?
-হ্যা। বিংশ শতাব্দীর শেষভাগ থেকে দ্বাবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগ।রাশিক হাসতে হাসতে জবাব দেয়।কি যে বেকুব ছিলাম আমরা।
-কেন?
-এই ফিটনেস হবে বলে মনে হয়ে তোর?
-তবে?
-এজন্যই জানপ্রান দিয়ে খাটি। মরার আগে ছেলেপেলের জন্য কিছু রেখে যাওয়া দরকার।
আমি চুপ করে শুনতে থাকি।
-এটা ছাড়াও আরো তিনটা সাইটে আমার কোম্পানি কাজ করছে। ফ্ল্যাটগুলো সব বিক্রি হয়ে গেলে পায়ের নিচে শক্ত মাটি পেয়ে যাব।
-তারপর?
-তারপর আর কি? তখন আরো বড় লোন প্ল্যান আছে। ব্যবসাটা বাড়াতে হবে না?একটু ধর।রাশিক হাত বাড়িয়ে দেয়।
-কি হল? আমি জানতে চাই।
-অনেক বেলা হয়েছে।
আমি ঘড়ির দিকে তাকাই। সাড়ে সাতটা মাত্র।
-আরে ভাই, এখন বাসায় গিয়ে গোসল করব, তারপর নাশতা। আর এই শহরের জ্যাম পেরিয়ে অফিসে পৌছাতে লাগবে অন্তত ঘন্টাখানিক। আল্টিমেটলি নয়টা পেরিয়েই যায়।
-বলিস কি? পনের মিনিটের রাস্তা এক ঘন্টা লাগে?
-এখন সাথে স্কুল টাইম আর অফিস টাইম।জ্যাম না গুনলে হবে?
-চল তাহলে।
আমি হাত বাড়িয়ে দেই, রাশিক উঠে পড়ে।আমরা দুজন হাটতে শুরু করি।
তখনই হঠাত মনে পড়ে যায় আমার। রাশিক।
-বল।
-যেখানে এতক্ষন আমরা বসেছিলাম ওখানেই ছোটবেলায় নিয়মিত খেলতাম আমরা। তাই না?
-হ্যা।
-বাবর চাচার জমি না? কেমন আছেন চাচা?
-গতবছর মারা গেছেন।চাচার ছেলেটা বাইরে থাকে, বাবার মৃত্যুর সময় দেশে এসেছিল। তখনই ডিলটা ফাইনাল করি।
-বাবর চাচা থাকলে তুই জীবনেও জমিটা পেতি না।
-তা ঠিক। চাচার ওই এক কথা, এই মাঠটা না থাকলে বাচ্চারা খেলবে কোথায়?
-রাশিক।
-বল।
-একটু আগে পাশ দিয়ে যে গাড়িটা গেল ওটা তোর ছিল না?
-হ্যা, ড্রাইভারের পাশে বসা বাচ্চাটাই আমার ছেলে। স্কুল টাইম।
-পুরাই তোর মত।
-পজেটিভলি বললি না নেগেটিভলি?
-মানে?
- মানে আমার মত মোটা?না আমার মত কিউট?
-তার মানে তুই বাচ্চার স্বাস্থ্য নিয়ে কনসার্নড?
-হব না? এত করে বলি, বাইরে যা, একটু খেলাধুলা কর। তা না, সারাক্ষণ খালি মোবাইলের স্ক্রীন আর কম্পিটারের মনিটরে তাকিয়ে থাকবে।এই বয়সে একটু না খেললে হয়?
-খেলবে কোথায়? ওদের খেলার মাঠটাতো তুই দখল করে নিয়েছিস।
আমার জবাব শুনে রাশিক হঠাত চুপ হয়ে যায়। দুজন নীরবে হাটতে থাকি।ইঁদুর দৌড়ে থাকা আরো একজন হর্ন বাজিয়ে ছুটে যায় আমাদের পাশ দিয়ে।
___________________
আমার লেখা আরও কিছু গল্পঃ
==================
গল্পঃ যে কারণে ভালবাসি বলা হয় না
গল্পঃ ভালবাসার বৃষ্টি
গল্পঃ কুয়াশায় ঢাকা গল্প যত
গল্পঃ প্রিয়তমা, তোমার জন্য... ...
গল্পঃ তোমার বসন্ত দিনে ... ...
গল্পঃ তামাশা
গল্পঃ অতিথি
আমার লেখা সব ভৌতিক গল্প পড়ার জন্য ক্লিকান এখানে
কাহলিল জিবরানের গল্প পড়ার জন্য ক্লিকান এখানে
মার্কিন সাহিত্যের সেরা সব গল্প পড়ার জন্য ক্লিকান এখানে
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০১
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ঠিক এই কথাগুলোই বলতে চেয়েছি। আজ আমরা সবাই নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত, শিশুদের সুস্থ সুন্দরভাবে বিকাশিত হওয়া নিয়ে আমাদের কোন মাথাব্যথা নেই
২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪৭
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: খুব সুন্দর গল্প ।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০১
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ হাসু মামা
৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:০৩
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: নব্য রিয়েল ইষ্টেট ব্যবসায়ীদের বাস্তব চিত্র
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০৩
আমি তুমি আমরা বলেছেন: শুধুমাত্রভ রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী না, আমাদের অধিকাংশেরই বাস্তব চিত্র এটা। জীবনের প্রয়োজনে আমরা শুধু ছুটে চলেছি, অথচ পেছনে ফেলে যাচ্ছি কত মূল্যবান কিছু
৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:০৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সামাজিব নির্ম ম বাস্তব চিত্র!!!!
লেখায় ++++++++++
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০৬
আমি তুমি আমরা বলেছেন: সেটাই।সমাজের এই চিত্র আমরা কেউ দেখতে চাই না, অথচ নিজেরাই প্রতিনিয়ত এইসব দৃশ্য মঞ্চায়িত করে চলেছি।
অ টঃ আপনি আছেন কেমন?
৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩
ব্লগ মাস্টার বলেছেন: ভালো লিখেছেন গল্প।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০৭
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগ মাস্টার
৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:১৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আলহামদুলিল্রাহ ভাই।
ভালই আছি। আপন কেমন আছেন?
মাঝে হালকা ব্যস্ততায় মাস দেড়েক একটু দূরে ছিলাম।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:১৩
আমি তুমি আমরা বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ ভাই, আমিও বেশ ভাল আছি।
আমিও প্রায় মাস তিনেক পর ব্লগে ফিরলাম। যতটা না ব্যস্ততা, তার চেয়ে অনেক বেশি দায়ী অলসতা
৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: ভালোই তো।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:১৩
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নূর
৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২০
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গল্পটি ভাল লেগেছে।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:১৫
আমি তুমি আমরা বলেছেন: গল্পটা আপনার ভাল লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২২
কানিজ ফাতেমা বলেছেন: আমরা প্রতিদিন যা অর্জন করছি তার চাইতে হারাচ্ছি অনেক বেশী । এক অসুস্থ প্রতিযোগীতা আমাদের গ্রাস করছে প্রতিনিয়ত ।
শেষ লাইনটা না পড়া অবধি বোঝা যাচ্ছিল না মেসেজটা । গল্পে একরাশ ভাললাগা ।
অশেষ শুভ কামনা ।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:১৭
আমি তুমি আমরা বলেছেন: আমরা প্রতিদিন যা অর্জন করছি তার চাইতে হারাচ্ছি অনেক বেশী । এক অসুস্থ প্রতিযোগীতা আমাদের গ্রাস করছে প্রতিনিয়ত
চমৎকার দুটো লাইনে পুরো গল্পের সারাংশ তুলে ধরেছেন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ কানিজ ফাতেমা
১০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: বাস্তবের প্রতিচ্ছবি । ভাল লেগেছে ।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:১৮
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কথাকথিকেথিকথন।শুভকামনা সবসময়
১১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৩
সালমান মাহফুজ বলেছেন: গল্পের বিষয়বস্তু চমৎকার ।
কিছু ডায়ালগ যেমন সৌজন্যমূলক কথাবার্তা বার বার প্রশ্ন-- এসব কমিয়ে ডিটেইলিং বাড়ালে গল্পের গাঁথুনি মজবুত হতো কলেবেরও কমে যেত । কাহিনীর আকর্ষণ তেমন না থাকলেও পড়ন্ত সময় ও যান্ত্রিক জীবনের টানপোড়নই পাঠককে এগিয়ে নিয়ে গেছে গল্পের সমাপ্তি পর্যন্ত ।
আপনার আরো গল্প পড়ার প্রত্যাশা করি ।
শুভকামনা জানবেন ।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২৫
আমি তুমি আমরা বলেছেন: আপনাকে একটা বড়সড় ধন্যবাদ দিতে চাই মনযোগী পাঠ ও বিশ্লেষণমূলক মন্তব্যের জন্য।
মূলত আমি একজন প্রবাসীর চোখে আমাদের শহুরে শিক্ষিত সমাজকে দেখতে চেয়েছি। এজন্যই মূলত সৌজন্যমূলক সংলাপগুলো এসছে। আর আরো ডিটেইলিং-এ যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে মনে হয়েছে এতে অযথাই গল্পের কলেবর বাড়বে। এ কারণে শুধুমাত্র কয়েকটা সংলাপের মধ্য দিয়ে কিছু বিষয়ের দিকে ইংগিত করে গল্পটা শেষ করেছি।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য
১২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৩
সুমন কর বলেছেন: মোটামুটি লাগল।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২৬
আমি তুমি আমরা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সুমন ভাই। কেমন আছেন?
১৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪০
মাহমুদ রুবেল বলেছেন: দারুন গল্প
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদ রুবেল
১৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৩০
সাকিব ইফতেখার বলেছেন: শেষের ধাক্কাটা ভালো লাগে সবসময়....
শেষে কোনো ধাক্কা না দিলে গল্পকে গল্প মনে হয়না।
ভালো লাগলো গল্পটা।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮
আমি তুমি আমরা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সাকিব
১৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:৫৫
আসিফ রহমান আসিফ বলেছেন: ভালো লেগেছে
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮
আমি তুমি আমরা বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমারও ভাল লাগল
১৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২৩
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ম্যাসেজটা সুন্দর।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ হাতুড়ে লেখক
১৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:১৩
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: প্রিয়তে রেখে দিলাম। সময় করে পড়ে নেবো।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০
আমি তুমি আমরা বলেছেন: আপনার প্রতিক্রিয়ার জানার অপেক্ষায় রইলাম
১৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩
নিভা ইয়ামা বলেছেন: গোছান গল্প।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ নিভা
১৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩
শান্তির দেবদূত বলেছেন: গল্পের বার্তাটা সুন্দর, তবে ছোট গল্প হিসাবে বেশিই সাদামাটা আর গতানুগতিক টাইপ হয়ে গেছে।
০১ লা মে, ২০১৭ রাত ১:২৭
আমি তুমি আমরা বলেছেন: গল্পের প্লটটাই এমন-চমক বা টুইস্ট দেয়ার সুযোগ ছিল না।
অনেকদিন পর আপনাকে সামুতে দেখলাম। আশা করি ভাল আছেন।
২০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:১৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি তুমি আমরা ,
ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী, সঙ্কুচিত হয়ে আসছে খেলার মাঠও । তারও চেয়ে দ্রুত ছোট হয়ে গেছে আমাদের বোধ-বুদ্ধি ।
ভালো একটি মেসেজ দিয়েছেন ।
০১ লা মে, ২০১৭ রাত ১:৩১
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী, সঙ্কুচিত হয়ে আসছে খেলার মাঠও । তারও চেয়ে দ্রুত ছোট হয়ে গেছে আমাদের বোধ-বুদ্ধি ।
সামুতে আমার সবচেয়ে প্রিয় মন্তব্যকারীদের মধ্যে আপনি একজন। ধন্যবাদ চমৎকার এই মন্তব্যটির জন্য।
২১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০১
ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: গল্পটি মন দিয়ে পড়লাম। বেশ ভাল লেগেছে।
অনেক অনেক শুভ কামনা।
০১ লা মে, ২০১৭ রাত ১:৩৩
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ ফকির আবদুল মালেক। শুভকামনা আপনার জন্যও
২২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৪১
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মোক্ষম একটি কথা, খেলবে কোথায়? ওদের খেলার মাঠটাতো তুই দখল করে নিয়েছিস।
রাশিকের মতই কেউ না কেউ আমাদের উক্তরাধিকারীদের খেলা আর ছুটোছুটির পথ বন্ধ করে চলেছে, অহরহ
০১ লা মে, ২০১৭ রাত ১:৩৫
আমি তুমি আমরা বলেছেন: রাশিকের মতই কেউ না কেউ আমাদের উক্তরাধিকারীদের খেলা আর ছুটোছুটির পথ বন্ধ করে চলেছে, অহরহ
২৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:১২
এস এম জহিরুল ইসলাম স্যার বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো। আপনার কাছ থেকে এরকম আরো শিক্ষণীয় গল্পের প্রত্যাশায় আছি।
০১ লা মে, ২০১৭ রাত ১:৪০
আমি তুমি আমরা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ এস এম জহিরুল ইসলাম স্যার
২৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩১
ডি মুন বলেছেন: শান্তির দেবদূত ভাইয়ের কমেন্টের সাথে একমত।
ছোট গল্প হিসেবে গতানুগতিক হলেও গল্পের বার্তা নিঃসন্দেহে চমৎকার। পাঠককে ভাবিত করার পক্ষে যথেষ্ট।
০১ লা মে, ২০১৭ রাত ১:৪৩
আমি তুমি আমরা বলেছেন: গল্পের প্লটটাই এমন-চমক বা টুইস্ট দেয়ার সুযোগ ছিল না।
শুভকামনা রইল সাধকের জন্য
২৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: +++
০১ লা মে, ২০১৭ রাত ১:৪৪
আমি তুমি আমরা বলেছেন: পিলাসের লাইগা এক টিরাক ধইন্যা
২৬| ০১ লা মে, ২০১৭ রাত ১০:২৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর +
০৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:০০
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম ভাল ভাই।
কেমন আছেন?
২৭| ০৫ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:১৪
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
সমাজের নির্মম বাস্তব চিত্র।
দিনে দিনে বাচ্চাদের খেলার মাঠ ছোট হয়ে যাচ্ছে। তারা প্রযুক্তির দিকে ঝুকছে।
প্রযুক্তি সীমিত ব্যবহার যেমন আর্শিবাদ, তেমন অপরিমিত ব্যবহার বয়ে আনে অভিশাপ।
শুভকামনা ভাই।
০৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:০২
আমি তুমি আমরা বলেছেন: প্রযুক্তি সীমিত ব্যবহার যেমন আর্শিবাদ, তেমন অপরিমিত ব্যবহার বয়ে আনে অভিশাপ।
দারুণ বলেছেন।আশা করি আবার নিয়মিত ব্লগে দেখা হবে
২৮| ২৫ শে মে, ২০১৭ রাত ২:১১
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: বেশ ভাল লাগল
০২ রা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:২০
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ। আশা করি ভাল আছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব সুন্দর গল্পটি আমাদের চারপাশের বাস্তবতায় তুলে ধরেছেন।
আজকাল শিশুরা মাঠে খেলে বেড়াবে এই চিন্তা কেউ করে। সবাই সবার আখের গোছাতে ব্যস্ত।
বাচ্চারা যে সুস্থ ভাবে বিকশিত হয়ে বেড়ে উঠবে তার জন্য আমাদের কোন চিন্তা নেই।