নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাস্তিক ও রাজাকার মুক্ত ব্লগ

আমি তুমি আমরা

লেখার সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

আমি তুমি আমরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ কবে হবে কাল, ফুটবে সকাল

১৮ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪




-ভাইয়া।
মাইশা কি ডাকছে আমাকে?মনে হচ্ছে যেন ওর কন্ঠ।কিন্তু ওকেতো ঘুম পাড়িয়েই আব্বু-আম্মু বের হয়েছিল।এত তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে গেল? নাকি আমার অডিটরী হ্যালুসিনেশন হচ্ছে?
-এই ভাইয়া।
হ্যা, মাইশারই কন্ঠ।ঘুম ভেঙ্গে গেছে হয়ত।
পড়ার টেবিল থেকে উঠে দাড়ালাম।রুমে ঢুকে দেখি বিছানায় শুয়ে আছে মাইশা, মুখটা দরজার দিকে ফেরানো। হয়ত অপেক্ষা করছিল কখন ওর ডাক শুনে আমি আসব।
-কিরে, ঘুম ভেঙ্গে গেল? আমি হাসার চেষ্টা করি।
মাইশা কিছু বলে না, মাথা উচুনিচু করে হ্যা-সূচক জবাব দেয়।
-আব্বু-আম্মু কোথায়? মাইশা জানতে চায়।
-বাইরে গেছে।
-কেন?
-কাজ ছিল যে।
-কখন গেছে?
আমি ঘড়ির দিকে তাকাই।চল্লিশ-পয়তাল্লিশ মিনিটের মত হয়েছে। যাওয়ার আগে মাইশাকে কড়া ডোজের ঘুমের ওষুধ খাইয়ে গেছে দুজনে মিলে। তারপরও ওর এক ঘন্টা ঘুম হল না?
-কি হল? কথা বল না কেন?
-এইতো কিছুক্ষণ হয়েছে। চলে আসবে একটু পরেই।
মাইশা কিছু বলতে গিয়েও চুপ করে যায়।
-ডাকলি কেন? কিছু লাগবে?
আবার হ্যা-সূচক মাথা নাড়ে।
-বল।
মাইশা মুখ খোলে, কিন্তু ওর মুখ দিয়ে কোন শব্দ বের হয় না।
-কি?
আবার কথা বলার চেষ্টা করে মাইশা, এবারও কোন শব্দ বের হয় না।
আমি ওর মুখের কাছে কান নিয়ে আসি।
-ঠাআআ…ন…ডা…। কোন রকমে ভাঙ্গা ভাঙ্গা শব্দ বের হয় ওর মুখ দিয়ে।
-ঠান্ডা লাগছে?
মাথা নাড়ায় মাইশা।হ্যা, ওর ঠান্ডা লাগছে।
ওর পায়ের নীচে কাথাটা ভাজ করে রেখে গেছে আম্মু, কিন্তু সেটা টেনে নিয়ে নিজের গায়ে জড়ানোর মত শক্তিও এখন আর ওর গায়ে নেই।
আমি কাথাটা টেনে দেই।
-ঠিক আছে?
মাথা নাড়ে ও। হ্যা, এখন সব ঠিক আছে।
-কিছু খাবি?
ডানে বামে মাথা নাড়ে আমার ছোট্ট বোনটা। ওর ক্ষুধা নেই।
-আমি তাহলে রুমে যাই?
-আচ…চ…ছা। কোনরকমে বলে ওঠে মাইশা।
আমি সুইচ বোর্ডের কাছে যাই, বাতিটা নিভিয়ে দিতে হবে। এমন সময় হঠাৎ করেই ঠান্ডা বাতাস একটা ঝাপটা দিয়ে যায়। কাথা গায়েও আমার বোনটা কেঁপে ওঠে ঠাণ্ডায়।
জানালাটা টেনে দেই আমি।
খোলা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে মাইশা।
-কিরে, ঘুম আসে না?
মাথা নেড়ে না বলে মাইশা।
-চোখ বন্ধ করে একটু ঘুমানোর চেষ্টা কর। বলতে বলতে ওর মাথার কাছে বসে পড়ি আমি। মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি আমি।


খোলা চোখ খানা কর বন্ধ,
বাতাসের ঠান্ডা গন্ধ,
বয়ে বেড়ায় ঘরেরও বাহিরে।


-ভাইয়া। হঠাৎ মাইশা ডাকে।
ওর মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে মনে হয় আমার নিজেরও তন্দ্রার মত চলে এসেছিল, হঠাৎ ওর কন্ঠ শুনে সোজা হয়ে বসার চেষ্টা করি আমি।
-কিছু লাগবে? আমি জানতে চাই।
মাইশা মাথা নেড়ে না বলে।
-তাহলে?
-ঘুম আসে না।
-কেন?
-জানিনা।
আমি হাসার চেষ্টা করি।–চেষ্টা কর, ঘুম চলে আসবে।
চোখ বন্ধ করে মাইশা।–ভাইয়া।
-বল।
-তোমার কি মনে আছে, যখন আমি ছোট ছিলাম, তখন তুমি আমাকে গান শুনিয়ে ঘুম পাড়াতে।একটা গান ধর না।
আমি মাইশার দিকে তাকাই।আমাদের বয়সের ব্যবধান ছয় বছর। বেশিদিন আগে না, হয়ত পাঁচ-ছয় বছর আগের কথা। আমি তখন ফাইভ কিংবা সিক্সে পড়ি, মাইশা হয়ত নার্সারী কিংবা কেজিতে পড়ে। আব্বু-আম্মুর সাথে ও ঘুমাতে চাইত না, প্রতিরাতে আমার কাছে চলে আসত। বেসুরো গলায় গান গেয়ে তখন ঘুম পাড়াতে হত পিচ্চিটাকে।
-কি হল? মাইশা একটু বিরক্ত হয় যেন।
বহু বছর পর আমি আবার বেসুরো গলায় গেয়ে উঠিঃ


আসো ছোট্ট একটা গান করি
যাতে ঘুম পাড়ানি মাসি এসে
পাশে বসে
হাতখানা দেবে কপাল ভরে।


মাইশা পাশ ফিরে শোয়। বালিশ থেকে মাথাটা তুলে এনে আমার কোলে রাখে অনেক কষ্টে।
-ভাইয়, কয়টা বাজে?
-দশটা। আমি দেয়াল ঘড়িটার দিকে তাকাই। কেন?

-আম্মু কখন আসবে?
-চলে আসবে। টেনশান করিস না।তাছাড়া আব্বু আছে সাথে। সমস্যা হবে না ইন শা আল্লাহ।
-তুমি পড়তে যাবে না?
-যাব আর কি।
-তোমার না টেস্ট পরীক্ষা?
এত দুঃখের ভেতরও আমি কোনভাবেই হাসি আটকাতে পারি না। টেস্ট মানেইতো পরীক্ষা। তাহলে টেস্ট পরীক্ষার মানে কি? পরীক্ষা পরীক্ষা?
-কি হল? হাস কেন?
-কিছু না। তুই ঘুম দে। তুই ঘুমিয়ে গেলেই আমি পড়তে যাব।
-ঘুমতো আসে না।
-কেন?
-ভয় লাগে। মনে হয় কে যেন দরজার পেছনে লুকিয়ে আছে। আমি একা হলেই আমাকে মেরে ফেলবে।
-এত ভয় কিসের? তোর ভাই এখনও বেঁচে আছে।
-তুমি কি আমাকে ক্যান্সার থেকে বাঁচাতে পারবে?
মাইশার এই প্রশ্নের কোন জবাব আমি খুঁজে পাইনা। আমার কোলে মুখ গুঁজে মাইশা নীরবে ফোপাতে থাকে, আমার হাত দুটো ওর চুলে বিলি কেটে যায়। মাথায় শুধু একটাই প্রশ্ন ঘুরতে থাকে, ছোট্ট বোনটাকে ধরে রাখার মত শক্তি কি এই দুটো হাতে আছে?


ভয় নেই আছি আমি পাশে,
হাতখানা ধরে আছি হেসে,
কোলে তে আমার মাথা তোমার।


সময় বয়ে যায়। কাল আমার ফিজিক্স পরীক্ষা, কিন্তু আমার মাথায় এখন পদার্থবিদ্যার কোন সূত্র কিংবা থিওরী নেই। মাথায় শুধু একটা প্রশ্নই ঘুরতে থাকেঃ আমার ছোটবোনটাই কেন? আর আমার ছোটবোনটাই যদি হবে, তবে ওর চিকিৎসার সামর্থ আমাদের নেই কেন?
মাইশা এখনও নীরবে ফুপিয়ে চলেছে। ওকে সান্ত্বনা দেয়ার কোন ভাষা আমি খুঁজে পাই না।
আব্বু-আম্মু কি আসছে?
আমি জানালা দিয়ে বাইরে তাকাই।
ডিসেম্বরের এই শীতের রাত কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে। ল্যাম্পপোস্টের সাদা আলোর সাথে কুয়াশা মিশে অদ্ভুত এক পরিবেশ ধারণ করেছে। মনে হয় কেউ যেন পুরো শহরটাকে সাদা কাফনে মুড়িয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে বেল বাজিয়ে খালি রাস্তার বুক চিড়ে একটা রিকশা উড়ে যায়।


অন্ধকার রাত, নিশ্চুপ সব,
জোনাকির দল আজো জেগে আছে,
তারা হয়তো অপেক্ষায় তোমার ঘুমের।


আমার ফোনটা বেজে ওঠে। আম্মু।
-হ্যা, আম্মু।
-তুই কোথায়?
-এইতো, মাইশার পাশে।
-ওর পাশে কেন? পড়ছিস না?
-ওর ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছিল। ঠান্ডা লাগছিল, তাই জানালা বন্ধ করতে এসেছিলাম।
-ওকেতো ওষুধ খাইয়ে এসেছিলাম। তারপরও ঘুম ভেঙ্গে গেল?
-তাইতো দেখলাম।
-এখনো জেগে আছে?
আমি মাইশার দিকে তাকাই। ওর নিঃশ্বাসের শব্দ গাঢ় হয়ে এসেছে।
-হ্যা, ও ঘুমিয়ে পড়েছে।তোমাদের কাজ হয়েছে?
আম্মু কোন জবাব দেয় না।
-কি হল? চাচ্চু টাকা দেয়নি?
-মুনতাসীর, এখন কি হবে? আম্মু হঠাৎ কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। তোর চাচা বলে দিয়েছে তোর চাচা কোন টাকা পয়সা দিতে পারবে না। এখন আমার মাইশার কি হবে? ওর অপারেশন কি আমরা করাতে পারব না?
আমি কোন জবাব দিতে পারি না, ফোনটা আস্তে করে নামিয়ে রাখি।চাচ্চু এভাবে আব্বুর উপকারগুলো কথা ভুলে গিয়ে মুখের ওপর না করে দিতে পারল?
-কি হল? চাচ্চু না বলে দিয়েছে? আমি আগে থেকেই জানতাম লোকটা এমন করবে। আব্বু-আম্মু শুধু শধু লোকটার কাছে গেল। মাইশা হঠাৎ বলে ওঠে।
-সেকি, তুই ঘুমাস নি? আমি কোনরকমে চোখ মুছতে মুছতে বলি।
-ভাইয়া।
-হু।
-আমি কি আর একটা নতুন ভোর দেখতে পারব?
আমি আস্তে করে মাইশার হাত ধরে বসে থাকি, কোন জবাব দেই না।কিংবা দিতে পারি না। উত্তর জানা না থাকলে জীবনের খাতায় শূন্য পাওয়া ছাড়া উপায় থাকে না।


হাতে রেখে হাত দেখে ঘড়ি,
বসে অপেক্ষা করি,
কবে হবে কাল,
ফুটবে সকাল।


=====================================================================

কৃতজ্ঞতা স্বীকার-১/ গতকাল হঠাৎ করেই ইউটিউবে মুনতাসীর রাকিবের একটা গানের সাজেশান আসে। ঘুম(https://www.youtube.com/watch?v=mli5roiIW-s)। গানের পটভূমি সম্পর্কে তিনি লিখেছেনঃ সালটা ছিল ২০১৪৷ স্কুলের কোনো এক বোরিং ক্লাসে লেখা একটা কবিতা৷ হ্যা শখের বশে লেখা কবিতা গুলোর মধ্যেই একটি ছিল "ঘুম"৷ নিজের মনের মধ্যে একটি ছবিকে ছন্দে রূপ দেওয়া মাত্র। যার কদর টা নানান কারনে নিজের কাছে ছিল একটু বেশিই৷ "ঘুম" এর প্লট কে অনেকে রোমান্টিক ধরে বসে থাকলেও "ঘুম" এর গল্পটি ক্যান্সারে আক্রান্ত মৃত্যুশয্যায় থাকা ছোট বোনের গান শোনার ইচ্ছে পূরণের জন্য বড় ভাইয়ের মুখ থেকে আসা কিছু বুলি মাত্র৷ যা শোনার সৌভাগ্য ছোট্ট বোনটির আর হয় নি।

গানটা শুনে আর বর্ণনা পড়ে কেন যেন মনে হল এই পটভূমিতে একটা গল্প লেখা যায়। গল্পে ব্যবহৃত কবিতার লাইনগুলো গানেরই অংশ, যার রচয়িতা মুনতাসীর রাকিব।অনুমতি ছাড়া তার লেখা লাইনগুলো গল্পে ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চাইছি তার কাছে এই পোস্টের মাধ্যমে। পাঠকের জন্য পুরো গানের লিরিক্স যোগ করে দিচ্ছি এখানেঃ


গানঃ ঘুম
কথা ও কন্ঠঃ মুনতাসীর রাকিব


খোলা চোখ খানা কর বন্ধ,
বাতাসের ঠান্ডা গন্ধ,
বয়ে বেড়ায় ঘরেরও বাহিরে।
আসো ছোট্ট একটা গান করি
যাতে ঘুম পাড়ানি মাসি এসে পাশে
বসে হাতখানা দেবে কপাল ভরে।
ভয় নেই আছি আমি পাশে,
হাতখানা ধরে আছি হেসে,
কোলে তে আমার মাথা তোমার।
অন্ধকার রাত, নিশ্চুপ সব,
জোনাকির দল আজো জেগে আছে,
তারা হয়তো অপেক্ষায় তোমার ঘুমের।

হাতে রেখে হাত দেখে ঘড়ি,
বসে অপেক্ষা করি,
কবে হবে কাল, ফুটবে সকাল।

আয় ঘুম চুম্বন দে
তার সারা কপালে
যাতে ঘুম আসে সব নিশ্চুপ হয়ে যায়,
আয় চাঁদমামা কাছে আয়,
যাতে অন্ধকার না হয়,
আলোমাখা কপালেতে, টিপ টা দে যাতে, কিছু আলোকিত হয়,
সে যাতে ভয় না পায়।

পরী আয় তার দুই হাত ধরে
নিয়ে যা স্বপ্নের খেলাঘরে
যেথা মিলবে তার সুখের ঠিকানা।
তারাদল ছুটে আয় এখানে
তার ঘুমখানা যাতে না ভাঙে
তাই নিয়ে যা তাকে স্বর্গের বিছানায়।
যদি দেখো সেথা আমায়,
বসে গান তোমায় শোনায়
তুমি মিষ্টি এক চুমু খেয়ো মোর গালে।
অন্ধকার রাত নিশ্চুপ সব
জোনাকির দল আজো জেগে আছে।
তারা হয়তো অপেক্ষায় তোমার ঘুমের।

হাতে রেখে হাত দেখে ঘড়ি,
বসে অপেক্ষা করি,
কবে হবে কাল, ফুটবে সকাল।

আয় ঘুম চুম্বন দে
তার সারা কপালে
যাতে ঘুম আসে সব নিশ্চুপ হয়ে যায়,
আয় চাঁদমামা কাছে আয়,
যাতে অন্ধকার না হয়,
আলোমাখা কপালেতে, টিপ টা দে যাতে, কিছু আলোকিত হয়,
সে যাতে ভয় না পায়।


কৃতজ্ঞতা স্বীকার-২/ গান থেকে আইডিয়া নিয়ে এই ব্লগে প্রথম গল্প যাকে লিখতে দেখেছি তিনি ব্লগার বোকা মানুষ বলতে চায়। এই পোস্টের মাধ্যমে চমৎকার একটি আইডিয়ার সাথে আমাকে পরিচিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি।


-আমি তুমি আমরা
১৮.০৭.২০২০

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: A cold, touchy story in a melancholic, mellifluous flow. Keep writing for us.

১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৯

আমি তুমি আমরা বলেছেন: গল্পপাঠ ও চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । ভাল থাকুন। শুভকামনা সবসময়।

২| ১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



অকারণে, কাউকে ক্যান্সারের রোগী বানায়ে হাউখাউ গল্প লেকার কি দরকার? কার এসব ম্যাঁওপ্যাঁও গান শোনেন?

১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১২

আমি তুমি আমরা বলেছেন: আমি সবসময় গল্প লিখলে শিরোনামে গল্প শব্দটা মেনশান করে দেই। এরপর যার ইচ্ছা তিনি পড়বেন, যার ইচ্ছা তিনি এড়িয়ে যাবেন।

আপনি অবশ্য এসব বুঝবেন না। গ্রে ম্যাটারের অভাব থাকলে অনেক কিছু বোঝা যায় না।

৩| ১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি বলেছেন, "আপনি অবশ্য এসব বুঝবেন না। গ্রে ম্যাটারের অভাব থাকলে অনেক কিছু বোঝা যায় না। "

-আপনার পাকস্হলি থেকে গ্রে-মেটার নীচের দিকে না গিয়ে, উপরে উঠে, টারমিনালে স্হান করে নিয়েছে!

১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৫

আমি তুমি আমরা বলেছেন: হাইপোথাইরয়েডের ঐন্যতমো কারণ আয়োডিন ডেফিসিয়েন্সি-- এইডা জানেন্তো?
আগে বচ্ছোর পাঁচেক চাইর্ব্যালা মুল্লা সল্ট খান; লগে কম্প্ল্যান খান-- টলার, স্ট্রঙ্গার, শার্পার হন; তার্পর কপচায়েন, ভাইডি...
খালিপ্যাটে কোঁতাকুঁতি কৈরা কোষ্ঠগরিমা জাহির না কোর্লে চলেনা?

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: গানটা শুনতে পারলে আরো ভালো লাগতো ।

১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫০

আমি তুমি আমরা বলেছেন: কৃতজ্ঞতা স্বীকার-১ এ গানের লিংক দেয়া আছে। শুনে দেখতে পারেন।

৫| ১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি তুমি আমরা,




ঘুমের মধ্যে দেখা সুন্দর একটা স্বপ্নের মতো গল্পখানা।

মাইশার মতো আমাদের স্বপ্ন মাখা ঘুমচোখও যেন বলে - "কবে হবে কাল , ফুটবে সকাল................ "

১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৯

আমি তুমি আমরা বলেছেন: কোন একদিন কাল আসবে, সকাল হবে ... ...

কে জানে মাইশা সেই সকাল দেখতে পাবে কিনা... ...

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।
ভাল থাকুন।শুভকামনা রইল।

৬| ১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: ভাল লিখেছেন- আমিতো ভেবেছিলাম সত্যি ঘটনা

১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১২

আমি তুমি আমরা বলেছেন: নাহ, এটা কেবল একটা গান থেকে অনুপ্রানিত হয়ে লেখা গল্প।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।ভাল থাকুন। :)

৭| ১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি লিখেছেন, "খালিপ্যাটে কোঁতাকুঁতি কৈরা কোষ্ঠগরিমা জাহির না কোর্লে চলেনা? "

-আপনি আপনার ভরাপেট ব্লগে খালি করেছেন।

১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৩

আমি তুমি আমরা বলেছেন: তাও ভাল 'কোষ্ঠগরিমা' শব্দটা আপনার কমন পড়েছে। আগের কমেন্টেতো 'গ্রে ম্যাটার' চিনতেই পারেন নি। পাকস্থলীর মধ্যে খোঁজাখুঁজি শুরু করে দিয়েছিলেন।

মনে হচ্ছে 'কমপ্ল্যান' তার কাজ করা শুরু করে দিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে একদিন ঠিকই 'টলার, স্ট্রংগার, শার্পার' হতে পারবেন।

৮| ১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: গল্পে আকর্ষন করার মতো উপাদান নাই।

১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৫

আমি তুমি আমরা বলেছেন: আচ্ছা, ঠিক আছে।

৯| ১৯ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৩৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কবে হবে কাল ফুটবে সকাল বেশতো :)

২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪০

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম ভাই :)

১০| ১৯ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি বলেছেন, "মনে হচ্ছে 'কমপ্ল্যান' তার কাজ করা শুরু করে দিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে একদিন ঠিকই 'টলার, স্ট্রংগার, শার্পার' হতে পারবেন। "

-সেটা মনে য় ভালো হবে, তখন এসব ম্যাঁওপ্যাঁও পোষ্টকেও গল্পের মতো মনে হবে আমার কাছে।

২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪২

আমি তুমি আমরা বলেছেন: তাহলে এখন থেকে নিয়মিত কমপ্ল্যান খান। এরপর থেকে লিলিপুটিয়ান ব্রেন হয়ত গল্প, কবিতার মত সৃজনশীল জিনিসপত্র চিনতে পারবে, পাকস্থলীতে আর গ্রে ম্যাটার খুঁজে বেড়াবে না।

১১| ১৯ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩৯

মনসুররবি বলেছেন: খুব ভালো লাগল, পড়তে পড়তে কোথায় যেন হারিয়ে গেছিলাম। সুন্দর হয়েছে। আরও সুন্দর লেখা পাবার আশায় রইলাম। ধন্যবাদ।

২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৪

আমি তুমি আমরা বলেছেন: গল্পটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম মনসুর রবি। আমি তুমি আমরা'র ব্লগে স্বাগতম।

১২| ১৯ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৪৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: গান থেকে গল্প সুন্দর আইডিয়া।

ক্যান্সার মারাত্মক রোগ মরেও যায় মেরেও যায়।

২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৬

আমি তুমি আমরা বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন মাইদুল ভাই। ক্যান্সার শুধু আক্রান্ত ব্যক্তিটিকেই মারে না, পরিবারের বাকিদেরকেও মেরে যায়।

আশা করি ভাল আছেন। শুভকামনা রইল।

১৩| ১৯ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৩৫

মা.হাসান বলেছেন: আমার মা গতকাল আমার নানার বাসার পাশের একজন প্রতিবেশি মহিলার কথা বললেন। খুব গরীব। বয়স অনেক। ছানি পড়ে অন্ধ হয়ে গেছেন। এই মহামারীর সময়ে কিছু করার সুযোগ কম। গত বছর আমাদের গ্রামে একজন গরিব লোক পেট ব্যথা স হ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছিলো, ডাক্তার বলেছিলো ক্যান্সার।


দু একজন সৌভাগ্যবান আছেন, তারা সিঙ্গাপুর যেতে না পারলে সিঙ্গাপুরই তাদের কাছে চলে আসেন। এদের কথা আলাদা। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের কপালই এরকম, চিকিৎসা না পাওয়াটাই স্বাভাবিক।

২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৯

আমি তুমি আমরা বলেছেন: দু একজন সৌভাগ্যবান আছেন, তারা সিঙ্গাপুর যেতে না পারলে সিঙ্গাপুরই তাদের কাছে চলে আসেন। এদের কথা আলাদা। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের কপালই এরকম, চিকিৎসা না পাওয়াটাই স্বাভাবিক।

একদম ঠিক বলেছেন ভাই।এদেশের স্বাস্থ্যখাতকে আমাদের বর্তমান এবং সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী এমন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন যে, আমরা এখন আকাশ ছাড়িয়ে মহাকাশে চলে গেছি, ফেরার আর পথ নেই /:) /:) /:)

১৪| ১৯ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৩৭

মা.হাসান বলেছেন: কমপ্ল্যানের এফেক্টে যে এরকম দূর্গন্ধযুক্ত গ্যাস বের হয় জানা ছিলো না। নাকি কোষ্ঠ পচার গন্ধ? B:-/

২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫১

আমি তুমি আমরা বলেছেন: দুটোর সংমিশ্রণ। যেখানেই যায়, দূর্গন্ধ ছড়িয়ে নিজের সিগনেচার রেখে যায়। পুরাই প্যাথেটিক।

১৫| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৩:৩১

সোহানী বলেছেন: ব্লগার বোকা মানুষ বলতে চাই এর গানের সাথে এ ধরনের লিথাগুলো অসাধারন ছিল।

ভালো লাগলো্।

২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫২

আমি তুমি আমরা বলেছেন: বোমা ভাইয়ের লেখাগুলো সত্যিই অসাধারণ ছিল। আইডিয়াটাও গ্রেট।

ভাল থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৬| ২০ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৪৪

নিঃশব্দ অভিযাত্রী বলেছেন: বেদনার গল্পটা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল। খুব সুন্দর লিখেছেন।

২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৫

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ নিঃশব্দ অভিযাত্রী।

১৭| ২১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২২

ডি মুন বলেছেন:
কষ্টের গল্প।

মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্তদের সাধ্য থাকে না ক্যান্সারের মতো রোগের চিকিৎসা করার।
ধুকে ধুকে মৃত্যুকে বরণ করে নেয়াই যেন নিয়তি।
গল্পের ব্যাপারে আমার অবজার্ভেশন হলো, শুধু ডায়ালগ নির্ভর গল্প হয়েছে। আপনি চাইলে গল্পটাকে আরো বিস্তৃত করতে পারতেন। এতে করে এই পরিবারের অভারওল সিচুয়েশন ও মাইশার মনস্তাত্বিক অবস্থা কিংবা ওর রোগের ব্যাকগ্রাউন্ডটাও বোঝা যেত।

ধন্যবাদ

২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:১৭

আমি তুমি আমরা বলেছেন: প্রিয় ডি মুন, গল্পের ক্ষেত্রে আপনার এবং মাহমুদ ০০৭ এর মূল্যায়ন আমার খুব পছন্দের। আপনার এই গঠনমূলক মন্তব্যটিও তার ব্যতিক্রম নয়। হ্যা, এটা একটা সংলাপ নির্ভর গল্প। আমি মূলত সংলাপ নির্ভর গল্প লিখতেই পছন্দ করি। সংলাপের মাধ্যমেই আমি চরিত্রগুলোর পারিবারিক, আর্থিক বা মানসিক ব্যাকগ্রাউন্ড-যেক্ষেত্রে যেটা প্রয়োজন, সেটা সামান্য পরিমাণে তুলে ধরতে চেষ্টা করি। বাকিটা পাঠকের কল্পনার ওপর ছেড়ে দেই। একই গল্প থেকে যদি ভিন্ন ভিন পাঠকের কাছ থেকে বিভিন্নরকম ফীডব্যাক পাই-সেটা আমার বেশ ভাল লাগে।

অনেকদিন পর আপনাকে আমার ব্লগে দেখলাম। আশা করি ভাল আছেন। শুভকামনা রইল।

১৮| ২১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:১৩

করুণাধারা বলেছেন: শুধু সংলাপ লিখে লিখে একটা কাহিনী বলে যাওয়া বেশ কঠিন কাজ। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের একটা উপন্যাস ছিল প্রায় পুরোটা সংলাপ দিয়ে লেখা, আমি একবার লেখার চেষ্টা করে বিফল হয়েছি।

কাহিনী খুব সাধারণ, মধ্যবিত্ত পরিবারের কারো ক্যান্সার হলে চিকিৎসা করার জন্য এভাবে অর্থের যোগাড়ে সবরকমের চেষ্টা করে, তারপর হার মানে। আমার পরিচিত এক আট বছরের শিশু ক্যান্সারে মারা গেল, চিকিৎসার অভাবে। এই সাধারণ কাহিনীর উপস্থাপন অসাধারণ হয়েছে, ভালো লেগেছে।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৩

আমি তুমি আমরা বলেছেন: সত্যি কথা বলেছেন। শুধুমাত্র সংলাপ দিয়ে চরিত্রগুলোর ব্যাকগ্রাউন্ড, পারস্পরিক সম্পর্ক, চিন্তাভাবনা তুলে ধরা আর কাহিনী এগিয়ে নেয়া বেশ কঠিন কাজ। শীর্ষেন্দুর উপন্যাসটা সম্ভবত আমিও পড়েছিলাম, পুরো উপন্যাসটার কাহিনী এগিয়েছিল নায়ক আর নায়িকার ফোন কথপোকথনের মধ্য দিয়ে। নায়ক সম্ভবত কোন মামলার আসামী ছিলেন, শেষ পর্যন্ত খালাস পান বোধহয়। বেশ উপভোগ্য উপন্যাস ছিল আর আইডিয়াটাও ছিল ইউনিক। আপনাকে আমার দুটো গল্পের লিংক দেয়ার লোভ সামলাতে পারছি না। এই দুটো গল্পও আমি পুরোপুরি সংলাপের ওপর দিয়ে টেনে নেয়ার চেষ্টা করেছি।

পিশাচ কাহিনীঃ রক্তখেকো ডাইনী

গল্পঃ যে কারণে ভালবাসি বলা হয় না

২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৫

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ক্যান্সার আসলেই মারাত্মক একটা রোগ। ক্লাস ফোরে পড়াকালীন সময়ে আমার এক ক্লাসমেট মারা গিয়েছিল। মনে পড়লে এখনও কেমন যেন লাগে।

১৯| ২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৩:১৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপন । কষ্টের গল্প । পড়তে ভালো লেগেছে।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৬

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। অনেকদিন পর আপনাকে ব্লগে দেখলাম। আশা করি ভাল আছেন।

২০| ৩১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৩০

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: চুপচাপ দেখে গেলাম।

৩১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৫

আমি তুমি আমরা বলেছেন: আচ্ছা। আশা করি ভাল লেগেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.