নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখার সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।
নিজেই নিজেকে করে আঘাত
নদীতে দিয়ে ঝাপ,
আস্তে করে বস্তায় ঢুকে
ভেসে গেছে চুপচাপ।
ইফতার শেষে ঘরে ফিরে
ডায়রীর পাতা খুলে,
ইচ্ছেমত লেখাজোকা,
দড়ি ধরে গেল ঝুলে।
নিজ ঘরের এক কোণে
ঘুমিয়েছিল আপন মনে।
আর জাগেনি সাগর-রুনি
৪৮ ঘন্টায় ধরা পড়েনি খুনি।
আজব দুনিয়া
ফারদিন থেকে মুনিয়া,
নামগুলো শুনিয়া,
শেষ করতে পারিনা গুণিয়া...
একের পর এক নাম
যোগ হচ্ছে অবিরাম,
যার গেছে সে-ই জানে
এই জীবনে কি হারালাম।
লাশের মিছিল হচ্ছে বড়
বিচার কি হবে না তবু?
বুঝতে কি পার মনু?
এই সোনার বাংলায় No one killed Tonu.
২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫৭
করুণাধারা বলেছেন: ফারদিন আবরারের হত্যাকারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সভা করতে দেয়নি, ওর পরিনতি যা হবার ছিল তাই-ই হয়েছে। প্রথমে মাদকসেবী, তারপর আত্মহত্যাকারীর তকমা লাগলো তার নামের সঙ্গে।
একের পর এক নাম
রোগ হচ্ছে অবিরাম...
আমরা শুধু দেখে যাই
খাই দাই আর ঘুমাই।
দুঃখ জাগানিয়া কবিতা ভালো লাগলো। তবে আজ সবাই মেসিকে নিয়ে ব্যস্ত, ফারদিনের কথা ভাবার কেউ নাই। No one killed Tonu হবে বোধহয়।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৬
আমি তুমি আমরা বলেছেন: হ্যা, ফারদীন সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় যতটুকু আসছে তাতে তাকে বেশ মূল্যবোধসম্পন্ন আর মানসিকভাবে শক্তিশালী বলেই মনে হয়েছে, এরকম চরিত্রের সাথে আত্মহত্যা কোনভাবেই যায় না।
আসল অপরাধীদের আড়াল করার জন্য প্রথমে তাকে একাধিক নারী আসক্ত পুরুষের অপবাদ দেয়া হয়েছে। বলা হল, বুশরা তার গার্লফ্রেন্ড, প্রেম সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জেরে তার মৃত্যু হতে পারে। দেখা গেল, গত দুবছরে বুশরার সাথে তার দেখা হয়েছে মাত্র পাঁঁচবার। ফেসবুকে দুজনের যোগাযোগ চার বছর ধরে, কিন্তু তাদের চ্যাট হিস্ট্রিতে বিতর্ক ছাড়া এমন কোন বিষয় নেই, যাতে কোন রোমান্টিক এংগেল প্রতিষ্ঠিত হয়।
সেই অপপ্রচার হালে পানি না পাওয়ায় বলা হল, মূলত সে মাদকাসক্ত, মাদক কেনার জন্য সারারাত ঢাকা শহর চষে বেড়িয়ে শেষ পর্যন্ত চনপাড়ায় রায়হান গ্যাং-এর কাছে গেছে মাদক কিনতে। তখনই দাম নিয়ে বচসার এক পর্যায়ে সে খুন হয়েছে। বন্ধুরা প্রতিবাদ করে বলল, অন্য কোন প্রকার মাদক দূরে থাক, ফারদীন কখনো ধূমপানও করেনি। এমনকি সিগারেটের গন্ধও নাকি সহ্য করতে পারত না।
এবার শুরু হল নতুন নাটক। ফারদীনকে নাকি পুলিশের সোর্স ভেবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এরই মধ্যে সিটি শাহীন নামের একজনকে ক্রস্ফায়ারেও দেয়া হল, সেদিন রাতে চনপাড়ায় তার গাড়ির একটা সিসি ফুটেজও রিলিজ করা হলো। বলা হল, এই গাড়িতে করেই তখন ফারদীনের লাশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে ফারদীনের লাশ ডাম্প করার জন্য।
এতগুলো অপপ্রচারের পর ভেবেছিলাম এবার হয়ত সত্যটা বের হবে। সে আশায় গুড়েবালি। স্পটলাইট থেকে চনপাড়া-রায়হান গ্যাং পুরাই উধাও এবার। বলা হচ্ছে, ফারদীন আত্মহত্যা করেছে। প্রথমে বাবুবাজার ব্রীজে গিয়েছিল ঝাঁপ দিতে। কিন্তু জায়গাটা জনবহুল হওয়ায় সে চলে আসে সুলতানা কামাল ব্রীজে। তাহলে এই চনপাড়া বস্তি নিয়ে এত কথা হলো কেন? সিটি শাহীনকে ক্রস ফায়ারে দেয়া হল কেন? সাদা গাড়ির যএ সিসি ফুটেজ রিলিজ করা হল, সেটাতে আসলে কি ছিল? কারা ছিল? কেন ছিল?
৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৭
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৬
আমি তুমি আমরা বলেছেন: সম্ভবত ২০১০-২০১১ সালের দিকে(সঠিক সময়টা মনে নেই, স্মৃতি থেকে লিখছি) মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্লগার শামীম শরীফ সুষম একটা গল্প লিখেছিলেন। কবিতার শিরোনামটা সেখান থেকেই নেয়া। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি তার প্রতি।