![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারনত্বের মাঝে আমি। সাধারন ভাবেই ভাবতে চাই সবকিছু
জন্মের পর থেকে কেউ আমাকে বলে নি, আল্লাহ বলতে কেউ আছেন। তবুও আমি আল্লাহর কথা ভাবি। আল্লাহর কথা চিন্তা করে আমি ভীত হয়ে যাই। জানিনা কেন আমি আল্লাহকে ভয় পাই। আমার কাছে মনে হয়, আল্লাহর ধারণা আমার সহজাত ধারণা। প্রশ্ন আল্লাহর ধারণা নিয়ে নয়, আল্লাহর অস্তিত্ব নিয়ে। সত্যি কি আল্লাহ বলে কেউ আছেন। কেন আমরা আল্লার ধারণা পোষণ করি। আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণে আমার ক্ষুদ্র চিন্তা দিয়ে কিছু কথা বলব।
মুসলমান মাত্রই তিনি আল্লাহর অস্তিত্ব স্বীকার করেন। আমার ধারণা, আমরা অনেকেই হয়ত এমন, আল্লাহর কথা ভাবলে একটা অবয়ব চিন্তা করার চেষ্টা করি। এর কারন হল, আমরা তাকেই শক্তিমান বলি যার প্রাণ আছে এবং তাকে আমরা প্রাণী বলি। প্রাণ সম্পন্ন কিছু যখন আমরা চিন্তা করি তখন আমরা তার একটি অবয়ব কল্পনা করি। তার মাথা থাকবে, চোখ থাকবে, পা থাকবে, হাত থাকবে, সে ঘুমাবে, সে নড়াচড়া করবে, তার ক্ষুধা লাগবে। সর্বশেষ তাকে আমরা চর্মচোখে দেখব। কিন্তু আল্লাহে ক্ষেত্রে এর কোনটাই আমরা দেখতে পাই না। তাহলে আল্লাহ কি? সহজ এবং ছোট উত্তর, আল্লাহ একটা শক্তি।
আল্লাহ কেমন শক্তি? তিনি এমন শক্তি যা সবকিছুর শুরু। এই শক্তিকে মুসলমানরা বলে আল্লাহ, সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা বলে ভগবান, ইহুদীরা বলে জেহোবা, খৃস্টানরা বলে গড। সংস্কৃতি ও ভাষাগত পার্থক্যের কারনে নামের পরিবর্তন মাত্র। প্রশ্ন হতে পারে, আল্লাহ/ভগবান/জেহোবা/গড এর কোনো অস্তিত্ব আছে কিনা? আমার উত্তর, আছে।
কিভাবে আল্লাহর অস্তিত্ব আছে? আমাদের সবার বিচার-বুদ্ধি আছে। আমরা যদি আমাদের সেই বিচার-বুদ্ধির কাছে প্রশ্ন করি, এমন কিছু কি আছে যার কোনো উৎস নাই? অবশ্যই প্রতিটি বিষয়ের একটি উৎস আছে এবং তার শুরু আছে। সেই উৎস এবং শুরু অবশ্যই একটি শক্তি। সেই শক্তিকেই মুসলমানরা বলে আল্লাহ, সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা বলে ভগবান, ইহুদীরা বলে জেহোবা, খৃস্টানরা বলে গড।
যদি আল্লাহ থেকেই থাকে তবে তার অস্তিত্ব প্রমাণ করা যায় না কেন? আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণ করতে যাওয়া নিঃসন্দেহে বোকামি। কারন, যে বিষয় আপনাকে গ্রহণ করতে হবে বিশ্বাসের সাথে তা কখনই প্রমাণ করা সম্ভব নয়। বিশ্বাস সবসময় অন্ধ। আপনি প্রশ্ন করতে পারেন, তাহলে আল্লাহকে বিশ্বাস করার দরকার কি? আপনি যদি আপনার যদি আপনার মূল সম্পর্কে ধারণা না থাকে তবে আপনি কি করে আপনার নিজেকে বিচার করবেন।
একটু দুষ্টুমি করা যাক। আমাদের সবার বাবা আছে। কিন্তু, যাকে আপনি বাবা বলে ডাকেন তিনি আসলেই আপনার বাবা কিনা এটা কি কখোনো প্রমাণ করে দেখেছেন? দেখেন নাই। তারমানে, আমরা সবাই আমাদের বাবার প্রশ্নে বিশ্বাসের আশ্রয় নেই। বাবার ক্ষেত্রে বিশ্বাসের আশ্রয় নিতে আমাদের কারো কোনো সমস্যা নেই। কেবলমাত্র আল্লাহর ক্ষেত্রে বিশ্বাসের আশ্রয় নিতে আমাদের সমস্যা।
একটা পুরনো ধাধা বলেই আমার লেখা শেষ করব। "মুরগী আগে না ডিম আগে?" আপনি কখনই উপসংহারে পৌছাইতে পারবেন না যদি আপনি মুরগী এবং ডিমের মাঝে একটাকে শুরু ধরে না নেন। সবকিছুর একটা শুরু আছে। এই মহাবিশ্বের সবকিছুর শুরু যে শক্তি থেকে সেই শক্তি আমার আল্লাহ।
২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৩
শিক কাবাব বলেছেন: রশ্ন হতে পারে, আল্লাহ/ভগবান/জেহোবা/গড এর কোনো অস্তিত্ব আছে কিনা? আমার উত্তর, আছে।
১০০% ভুল।
আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণ করতে যাওয়া নিঃসন্দেহে বোকামি। কারন, যে বিষয় আপনাকে গ্রহণ করতে হবে বিশ্বাসের সাথে তা কখনই প্রমাণ করা সম্ভব নয়। বিশ্বাস সবসময় অন্ধ।
আল্লাহ যে আছে এটা বিশ্বাসের ব্যাপার নয়, চোখের দেখা।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৩
আহির মাহাসিন বলেছেন: আল্লাহকে কিভাবে চোখে দেখা সম্ভব ঠিক বুঝতে পারছিনা। একটু বুঝিয়ে বললে আমার জন্য সুবিধা হত বুঝতে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৬
ফ্রিঞ্জ বলেছেন: হুম।
ফিলসফি অনেক পুরাতন জিনিস। এই টাইপ যত কিছু চিন্তা করসি পরে ফিলোসফির বই পড়ে দেখলাম তার চেয়ে ডিটেইল চিন্তা মানুষ আগেই করে গেসে।
বেশি চিন্তা না করে ফিলসফির বই পড়েন। অলরেডি যেগুলা নিয়া এনালাইসিস হইসে ওগুলা পইড়া ফেলেন।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৭
আহির মাহাসিন বলেছেন: ফিলোসফি এ বিষয়ে গড়পড়তা চারটি তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করে। আমার কাছে যা বিরক্তিকর এবং একঘেয়ে লাগে। ফিলোসফি যে চারটি যুক্তি দেয় তার বিপরীতে সহজেই পাল্টা যুক্তি দাড় করানো যায়। সৌভাগ্যবশত পাচ বছর ধর্ম দর্শণ পড়ার সুযোগ হয়েছিল।
৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
সজীব আকিব বলেছেন:
ঈশ্বর মানের কোনো একটি বিশেষ ধর্মের ঈশ্বর - এই চিন্তার মধ্যে সমস্যা আছে।
আল্লাহতে বিশ্বাস সহজাত নয়। এই বিশ্বাস পরিবার ও সমাজ থেকে পেয়েছেন। আল্লাহ আসলে মুহাম্মদের সময়কার ও পূর্ববর্তী মক্কার পৌত্তলিকদের কল্পিত ঈশ্বর যার বাসস্থান ছিল কাবা মন্দিরে।
আল্লাহ সম্পর্কে জানুন -
Click This Link
সকল ধর্মের একই অবস্থা। আপনি চাইলেই জানতে পারেন।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৯
আহির মাহাসিন বলেছেন: ঠিক বলেছেন
৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৫
শিক কাবাব বলেছেন: লেখক বলেছেন: আল্লাহকে কিভাবে চোখে দেখা সম্ভব ঠিক বুঝতে পারছিনা। একটু বুঝিয়ে বললে আমার জন্য সুবিধা হত বুঝতে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপাতত প্রিয়তে রাখলাম। প্রিয়তে এজন্য নয় যে লেখাটা প্রিয়। প্রিয়তে এজন্য যাতে খুজতে না হয়। প্রিয় থেকে টেনে নিবো। টাই হয়ে গেলে নতুন পোষ্ট দিবো। সেখান থেকে দেখে নিবেন। পরে লিংক পেষ্ট করবো এখানে।
আমি টাইপিং শুর করছি। তার আগে আপনি আপাতত একটু ভাবুন।
সিগারেট খেলে ক্ষতি হয়, কে না জানে। সকলেই জানে। আমি করলাম কি, চা পাতার বদলে, সিগারেটের সুকা (সিগারেটটা ছিড়ে তামাক বের করলাম) দিয়ে ঠিক হুবহু চা-র মত খাই। এটা আমার শরীরে কি কোনো উপকার করবে, নাকি ক্ষতি করবে। উপকার করলে কি কি, ক্ষতি করলে কি কি?
না। আপনাকে উত্তর বের করতে বলছি না। এটার উত্তর পেতে হলে আমাদেরকে কি করতে হবে। বলেন দেখি।
৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৮
শিক কাবাব বলেছেন: এই লিংক দেখুন প্লিজ।
৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪৮
নিষ্কর্মা বলেছেন:
বিশ্বাস করলে অনেক কিছুই পাওয়া যায়, না করলে কিছুই না। সৃষ্টীকর্তা আছেন কি না তা আমরা জানি না। তবে অন্য একটা জগত যে আছে, সেইটা মৃত্যুর মাধ্যমে বোঝা যায়।
৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:০৭
মিল্টনফরইউ বলেছেন: বিশ্বাস সবসময় অন্ধ।
৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫৭
শার্ক বলেছেন: you dont need to believe Allah without proof and Islam didnt tell this. this is your misunderstanding and hindu christian spreaded this as lotta errors there so believe is only the key not the proof.
Read Quran and this is only your proof no doubt. undersand this just not blind reading.
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫
আহির মাহাসিন বলেছেন: "প্রমান এবং বিশ্বাস" এই দুইটা শব্দ দুই মেরুর মত। প্রমান যদি হয় উত্তর মেরু তবে বিশ্বাস দক্ষিণ মেরু। আল্লাহ নিজেই তাকে বিশ্বাস করতে বলেছেন, প্রমাণ করতে নয়। আল্লাহকে যদি প্রমাণ করা যেত তবে আল্লাহ তার সম্পর্কে চিন্তা করতে বলতেন। কিন্তু আল্লাহ তার সম্পর্কে চিন্তা করতে নিষেধ করেছেন বরং তার সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করতে বলেছেন। আর কোরআন পরে যে প্রমাণের কথা বলেছেন তা মূলত একটা অনুভুতি। প্রমান সর্বদাই চর্মচোখের সামনে সামনে ঘটে।
১০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
খেয়া ঘাট বলেছেন: এই লেখাটি পড়েও ভালো লাগলো।
খুব সহজ সরল স্বাভাবিক কথা। অনেক ভালো লেগেছে।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৯
আহির মাহাসিন বলেছেন: নিচের লিংকে ক্লিক করুন। আশা করা যায় এই লেখাটিও আপনার ভাল লাগবে।
Click This Link
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৫
অণুজীব বলেছেন: হুম।