নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে চিনো

সাধারনত্বের মাঝে আমি। সাধারন ভাবেই ভাবতে চাই সবকিছু

আহির মাহাসিন

সাধারনত্বের মাঝে আমি। সাধারন ভাবেই ভাবতে চাই সবকিছু

আহির মাহাসিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কে এবং কেন ধর্ষণ করে: নিজস্ব চিন্তাভাবনা (রি-পোষ্ট)

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯

ধর্ষণ নিয়ে ব্লগে বেশ কয়েকদিন ধরেই অনেক আলোচনা হচ্ছে। কেহ বলছেন, যারা ধর্ষণ করে তারা পশুর থেকেও খারাপ। কেহ বলছেন, ধর্ষণের কারণ, কোন কোন নারী সংক্ষিপ্ত এবং আটশাট পোষাক পড়ছে তাই ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। ব্লগে বিভিন্ন জনের লেখা পড়তে পড়তে কেন ধর্ষণের মত ঘৃণ্য ঘটনা ঘটছে এ সম্পর্কে একটা চিন্তা আমার মাথায় উকি দিচ্ছে। আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করবেন।



ধর্ষণ কি?

ধর্ষণ বলতে আমরা বুঝি, একজন নারীকে (জোড় পূর্বক) তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করা।



কেন ধর্ষণ করে?

প্রতিটি মানুষের মাঝেই শারীরিক চাহিদার তাড়ণা আছে। কেহ কেহ এই চাহিদার তরিৎ বাস্তবায়ন করতে গিয়েই ধর্ষণের আশ্রয় নেন।



কারা ধর্ষণ করে?

১। পত্রিকায় প্রকাশিত ধর্ষণের ঘটনাবলী দেখে অনুমান করা যায় যারা ধর্ষক তাদের বয়স মোটামুটি ২০ থেকে ৪০ এর মাঝে।

২। যারা ধর্ষক তারা (যে কোন ভাবে) ধর্ষণের শিকার নারীর পরিচিত এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিন্ম মধ্যবিত্ত ও নিন্মবিত্ত শ্রেণীর মানুষ।

৩। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধর্ষক বিবাহিত।

৪। সাধারণ ধারণা অনুযায়ী বলা যায়, যারা ধর্ষক তারা মানসিক বিকারগ্রস্থ।



কথা হল, কেন তারা মানসিক বিকারগ্রস্থ?। এর কারন অনেকটা এইরকম:

৪.১। পারিবারিক অশান্তি

৪.২। ধর্ষক যে সমাজে/পরিবারে বেড়ে উঠেছেন সেখানে পর্যাপ্ত নৈতিক শিক্ষার অভাব ছিল।

৪.৩। ধর্ষক যে পরিবারে বেড়ে উঠেছেন সেই পরিবারের সবার মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিলনা।

৪.৪। ধর্ষক ব্যক্তির সাথে তার মায়ের সাথে ভাল সম্পর্ক ছিল না।

৪.৫। ধর্ষক নেশাগ্রস্ত/মাদকাসক্ত।

৪.৬। পর্ণো সিনেমার ব্যাপক প্রসার।

৪.৭। পর্ণো ম্যাগাজিনের ব্যাপক প্রসার।

৪.৮। স্বামী-স্ত্রীর মধুর সম্পর্ক না থাকা।

৪.৯। বিয়ের পরে বৌয়ের থেকে অনেক দিন আলাদা থাকা।

৪.১০। ধর্ষণের অপরাধ প্রমানে জটিলতা, এবং আদালতে জামিনের ব্যবস্থা থাকা।



উপরে যেসব ধর্ষকের কথা বলা হয়েছে এদের বাইরেও আরেক শ্রেণীর ধর্ষক আছে যারা নিজেদেরকে প্রেমিক হিসেবে পরিচয় দেয়। এ শ্রেণির ধর্ষকেরা তার উপরে অগাধ বিশ্বাস করা নারীর সাথে বিয়ে বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক করে এবং তা ভিডিও করে। পরবর্তীতে সেই ভিডিওর উপর ভর করে নারীকে বিভিন্নভাবে ব্লাকমেইল করে এবং পরবর্তীতে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়।



এদের বাইরে আরও এক শ্রেণীর ধর্ষক আছে আমাদের সমাজে। এরা বিভিন্ন প্রয়োজনে ঘরের বাইরে আসা নারীর শরীরে হাত বুলিয়ে বেড়ায়। এরা নারীকে শারীরিকভাবে ধর্ষণ করেনা কিন্তু নারীর শরীরে এমনভাবে চোখ বুলিয়ে যায় যেন সে চোখ দিয়েই নারীকে ধর্ষণ করছে। এরাই সমাজে সবচেয়ে ভয়ংকর।



সর্বোপরি, ধর্ষণ সকল সমাজেই ঘৃণ্য এবং অগ্রহণযোগ্য ঘটনা। মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যারা এই সকল ঘৃণ্য এবং অগ্রহণযোগ্য কাজ করেন তাদের আপনি হেদায়েত দান করুন অথবা ধ্বংশ করে দিন।



উল্লেখ্য, এই লেখাটি সন্ধায় পোস্ট করা হয়েছিল। কিছুক্ষণ পরে বিশেষ কারনে মুছে ফেলা হয়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

পুংটা বলেছেন: এত জানলেন ক্যামনে... করছেন কখনও..??? B-))

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

আহির মাহাসিন বলেছেন: হে হে হে... জব্বর বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.