![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু না বলাটাই শ্রেয় মনে করি
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরন : আমার এই ব্লগটি বিষন্নতায় ভুগছেন যারা, তাদের জন্য ক্ষতিকর (হয়তো)।
একাকিত্বে থাকা মানুষগুলো বা আমার একাকিত্ব নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছিলাম গুছিয়ে, কিন্তু কিবোর্ডের স্পর্শ পেয়ে অনুভূতিগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো। তাই শিরোনামটাই পাল্টে গেলো।
মানুষ হিসেবে যদিও আমরা শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে গন্য করি নিজেদের, কিন্তু আমরাই নিজেদের নর্দমার কীট ভাবি যখন বিষন্নতা থেকে একাকিত্বে ভুগে বা একাকিত্ব থেকে বিষন্নতায় ভুগে। তবে বিষন্নতা আজকে আমার আলোচনার বিষয় না।
একাকিত্ব নিয়েই কথা বলবো, কেননা “সামহোইয়্যারইন ব্লগ” সাইট টি দাবি করে তারা বাধ ভাংগার আওয়াজ এর প্লাটফরম নিয়ে এসেছে। তাই বাস্তবতার জগৎ ছেড়ে এই ভার্চুয়াল জগতেই বাধ ভাংবো। কেননা,
১- আমরা শুধুই উপভোগে আগ্রহী, দায় নিতে না।
২- কেউ পাত্তাই দেবে না।
৩- এখানে বিরোধিতা করার কেউ নাই।
যাইহোক,
প্রসঙ্গে আসি, একাকিত্ব হচ্ছে খুবই অবহেলার একটি বিষয় যা বিজ্ঞানের ভাষায় মোটেও অবহেলার না। আমরা বিজ্ঞান কে এতোটাই প্রাধান্য দেই কিন্তু মানসিক কোনো ব্যাপারকেই আমার বৃদ্ধাঙ্গুলটাও দেখাই না।
বিষয়টা এতোটাই অবহেলিত যে এটা নিয়ে আমরা প্রচন্ড বিষন্নতায় থাকি যে এটা নিয়ে কথা বলতেও প্রচন্ড বেগ পেতে হয়। কেননা বলতে গেলেই শুনিয়ে দেওয়া হয় “এটাই জীবন”, “এতো ব্যাস্ততার ভীড়ে এতো সময় কৈ?”, “উত্থান পতন হবেই”, “আরে এডজাষ্ট করতে হবে”, “লাইফ ইজ নট আ বেড অব রোজেস”, “কেউই কারো না”, “নিজেকে নিজেই সময় দাও”, “এখনই এই অবস্থা?? বাকি জীবন তো পড়েই আছে!!”, “চিল্লায় যাও/তাবলীগে যাও”, “ট্যুরে যাও”………… ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা………………………
তাদের কথা অনুযায়ী যদি এটাই যদি জীবন হয় তাহলে পরিবারের, সমাজের প্রয়োজনীয়তা টা কোথায়?? একাকিত্বই যদি জীবন হয় তাহলে “একতাই বল/শক্তি” কথাটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায় না!!
তাদের কথা অনুযায়ী, এতো ব্যাস্ততার ভীড়ে এতো সময় কৈ?............... তাহলে এতো ব্যাস্ততার মানে টা কি?? তারা ব্যাস্ত আছেই বা কি জন্যে?? উত্তর আসবে আমাদের কল্যান স্বার্থে। উফফফফফফ………… কি কথা!!!!!
হাত তালি হাত তালি হাত তালি হাত তালি হাত তালি হাত তালি হাত তালি হাত তালি
একাকীত্ব আর বিষন্নতায় কুড়ে কুড়ে মরছি, এটাই বুঝি কল্যান !! এটাই কি? নিঃসঙ্গতায় থেকে যখন আপনাদের কেই বিরক্তিকর ভাবা শুরু করবো তখন কি এটা আপনারা কল্যানকর বলে মেনে নিবেন?? নাকি নিজেদের মতের বিরুদ্ধে যাওয়ার দরুন বেয়াদব, অসমাজিক, মানসিক বিকারগ্রস্ত বলে নিজেদের দায়িত্ববান অবিভাবক তালিকায় আরো ইকটু উপরে উঠাবেন? এটা আর নতুন কি? বড় হচ্ছি খালা বা বুয়াদের কোলে পিঠে, কথাও শিখছি তাদে কাছ থেকে, সময় কাটাচ্ছি জানালার গ্রীল ধরে………… লালন পালন এর মূল উদ্দেশ্য তাদের ভাষ্যমতে আমাদের কল্যান প্রতিষ্ঠিত করা কিন্তু তাদের কর্মকান্ডে বরাবরই প্রমানিত হচ্ছে যে আসলে এগুলা কথার কথা।মূখ্য বিষয় না, বরঞ্চ গৌন বিষয়। তাদের মুল চাহিদাই হচ্ছে আমাদের তাদের সাইনবোর্ড বানানো। যাতে মানুষের সামনে বড় বড় কথা আর গর্ব করা যায়। মাঝখান দিয়ে আমাদের ইয়েটা একদম ইয়ে হয়েই যায়। এতোটাই যদি ভালোই চাইতেন তাহলে আমাদের কে সময় দিচ্ছেন না কেনো তারা? তাদের খামখেয়ালিপনার কারনে আমরা ভুক্তভোগী হচ্ছি কেন?
সামাজিক চাপ, একাকীত্ব আর হতাশার চাপে যদি কেউ উচ্ছন্নে যায় তথা মাদকাসক্ত, বখাটেপনা ইত্যাদিতে জড়িয়ে যায় তখন পুড়ো তরুন প্রজন্ম হয়ে দোষী । অথচ নেপথ্যের কারন কেউই দেখবেনা।
বাকি কথা গুলার উত্তর নাইবা দিলাম। সেগুলা তো আসলে পারমানবিক বোমা বিষ্ফোরনের চেইন রিয়্যাকশন এর মতো।
সবাই নেয়। তারাও নেয়। আমাদেরও নিতে বলে। বাংলালিংক এর ওই এ্যাড টার মতোই। নিচে দিয়ে দিলাম। দেখে স্মৃতিচারন করে নিন।
অথচ আমাদের অগ্রবর্তি যুবসমাজরা আবার কথায় কথায় বলে আমরা অলস, আমাদের মধ্যে পটেনশিয়ালিটি নাই, ইনোভেটিভ থিংকিং নাই। কিন্তু, কিছু করতে গেলে বা বলতে গেলেই আমরা হয়ে যাই বেয়াদব আর অকৃতজ্ঞ সমাজছাড়া টাইপ জন্তু জানোয়ার বিশেষ।
তারা পথও দেখাবে না, আবার তিরস্কারও করবে। আবার তারা নিজেরাও যন্ত্রনায় ভুগবে। তারা নিজেরাও তাদের সিনিয়র দ্বারা ইয়েতে লাত্থি খাবেন। ওইযে বললাম না চেইন রিয়্যাকশন……
আর একটা কমন উত্তর………… বিয়ে করে ফেলো……… তাই নাকি!!! বাহ…… নিজের মানষিক অবস্থারই ভালো না, আরেকটা মেয়েকে বা ছেলেকে নিজের বিভিষীকায় জড়িয়ে নেই? বাহহহহ
তালি হবে আবার……………
ছেলেটা/মেয়েটা যখন একাকীত্ব এর কারনে একটা পর্যায়ে একেবারে নিস্তেজ হয়ে যায় বা ইন্ট্রোভার্ট হয়, কখনো কখনো এম্বিভার্ট হইয় তখন তার নিজের মধ্যেই একপ্রকার জটিলতার সূচনা হয় যার কারনে সকল কিছুর প্রতিই নেতিবাচক ধারনার জন্ম নিতে থাকে। ঠিক এরকম অবস্থায় সবাই পারবে না আর বুঝবেও না ভিকটিমের মানসিক অবস্থা। আর এই দাদূল্যমান অবস্থাতেই আপনারা আরেকটা মানুষের দায়িত্ব নিতে বলতেছেন!!!
কেন !! আপনারাও এমন টা করেছেন বা দেখেছেন বলে??
বাংলালিংক এর এ্যাড টা বা চেইন রিয়্যাকশন টা আবার চলে আসতেছে না??
এই মানুষ গুলা প্রেম করতেও পারে না। নিজেকে নিয়েই হিমশিম খেয়ে যায়। সঙ্গী বা সঙ্গীনির মন যোগাবেই বা কিভাবে!! একপর্যায়ে পার্টনারও ভুল বুঝবে।
এসব বলার শুরু আছে ………………… তবে শেষ কি আদৌ পাবো বা হবে??
প্রশ্ন টা আপনাদের বা জাতির কাছেই রইলো।
©somewhere in net ltd.