নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভিন্নমত সহ্য করতে পারা এক বিরাট গুণ। সকল ভিন্নমত উদার দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টায় আছি।
বৈশাখের এই আনন্দঘন সময়ে ‘কাইজ্যা’ নিয়ে কথা বলতে এসেছি বলে দুঃখিত। তবে এর কারণ আছে। নৈরাজ্য বাংলাদেশে নৈমিত্তিক ঘটনা। সে আজকের কথা নয়, হাজার বছরের ঐতিহ্য আমাদের হিংসা মারামারি পরশ্রীকাতরতা। সপ্তম অষ্টম শতাব্দীতে বাংলা অঞ্চলের অবস্থাকে বলা হত মাৎস্যন্যায়, অর্থাৎ মাছের জগতের মত অস্থিতিশীল ও ত্রাসে ভরা। সম্রাট বাবর তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, “বাংলাদেশে যে কেউ রাজাকে হত্যা করে নিজেকে রাজা ঘোষণা করলে আমির, সৈনিক ও কৃষকেরা তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে মেনে নেয়– তাঁর বশ্যতা স্বীকার করে এবং পূর্ববর্তী রাজার মতই তাঁর অধিকার মেনে নেয় এবং তাঁর হুকুম তামিল করে।” সতেরো শতকে শাহ নিয়ামত ফিরোজপুরী লিখেছেন,
“বাংলা হচ্ছে একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত ও বেদনাকুল দেশ
কালবিলম্ব না করে, যাও, মৃতদের কাছে দোয়া চাও,
মাটিতে পানিতে কোথাও শানি নেই, নেই স্বস্তি
আছে শুধু বাঘের থাবা আর কুমিরের হাঁ।”
(অনুবাদ– ডঃ আকবর আলি খান, অবাক বাংলাদেশ–বিচিত্র ছলনাজালে রাজনীতি )
শুধু উপমহাদেশের ঐতিহাসিকেরাই বাঙ্গালিদের নামে খিতাবী করেনি, করেছে বহু বিদেশীও। ষোড়শ শতাব্দীতে পর্তুগীজ থেকে বাংলা অঞ্চলে গিয়ে পর্যটক টম পিয়োরেস লিখেছেন, “দূর প্রাচ্যের লোকেরা বিশ্বাস করে বাঙ্গালিরা বিশ্বাসঘাতক”। মেকলে লিখেছেন, “মোষের যেমন শিং আছে, মৌমাছির হুল, সঙ্গীতে যেমন মেয়েদের সৌন্দর্য, তেমনি বাঙ্গালিদের বিশেষত্ব প্রতারণা।”
উপরের এই সূচনা থেকে বোঝা যায়, অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা, মারামারি হুড়োহুড়ি বাঙ্গালি সংস্কৃতিরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রসঙ্গত, উপরের এই তথ্যসমূহ আমি পেয়েছি আকবর আলি খানের উক্ত বইয়ে। জ্ঞান না ফলিয়ে আসল কথায় চলে আসা যাক।
শোনা কথা, ইতালিতে বাঙ্গালিরা মিলেমিশে একটি মসজিদ করেছে। সেটির দেখভালে দরকার একটি কমিটি। কমিটি হবে অথচ দুই চারজনের মাথা ফাটবে না তা হয় না। সেই কমিটি নিয়ে শান্তিপুর্ণ পরিবেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হল। মসজিদের উন্নয়নের টাকা খরচা করে একশ ইউরো ঘণ্টায় সেখানে ভাড়া করে আনা হল সিকিউরিটি। বোঝেন অবস্থা। জার্মানির এক শহরে একবার ৭/৮ মাসের এক অন্ত:সত্ত্বা মেয়ে আসল পড়তে বাংলাদেশ থেকে। এ অবস্থায় মেয়েটি কাজ করে পড়ালেখা করতো। মেয়েটির এলাকার এক ছেলে আগে থেকেই ওই শহরে থাকত। স্বাভাবিকভাবেই ছেলেটি তাঁকে মাঝেমধ্যে হেল্প করতো, বিশেষ করে বাচ্চা হওয়ার সময়। এ নিয়ে সেখানে নানা কথা। পরকীয়ার মিষ্টি কাহিনী ছড়িয়ে দিল কেউ কেউ। এসব শুনে দেশ থেকে তাঁর স্বামী এসে পিটিয়ে তাঁকে আহত করলো, তাঁদের বিচ্ছেদ হল। সংগ্রামী এই মেয়েটি এখন উন্নত একটি দেশের নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞানে পিএইচডি করছে। নব্বই দশকের শুরুতে হ্যানোভারে বাঙ্গালি রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের অনেকে রাতের বেলা গোলাপ ফুল বিক্রি করতো। ফুল বিক্রির দ্বন্দ্বে কয়েকজন মিলে একজনকে জবাই করে মেরেই ফেলল। সে ইতিহাস আরেকদিন শোনাব। এমন নানান নোংরামির কথা বলে শেষ করা যাবে না।
দুইজন বাঙ্গালির মাঝে আরেকজন যোগ দিলে সেখানে বিবাদ হবে না সে এক অসম্ভব ঘটনা। গত পাঁচ হাজার বছরে প্রতিটি বাঙ্গালির জীবনে এমন একটি দিন বিরল যেদিন তাঁর জীবনে অন্যের সাথে দু’কথা হয়নি। মারামারি কাটাকাটি রেষারেষি যেখানে নিত্য ঘটনা, সেখানে সুদূর বিদেশ বিভূঁইয়ে এসেও প্রাগৈতিহাসিক এই বৈশিষ্ট্য চর্চা বন্ধ রাখার মত বোকা বাঙ্গালি জাতি নয়। একারণেই দেশে দেশে যেকোন কাজে যেকোন উদ্যোগে অতি সহজেই বাঙ্গালির মাঝে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে ইতরামিতে মেতে উঠতে দেখা যায়। আজকের এই লেখা জার্মানিতে বাঙ্গালি কমিউনিটিতে নানাপ্রকার দ্বন্দ্ব বিভেদ আর সেসবের কারণ নিয়ে। এর কারণও আছে। প্রতিবার কোন পহেলা বৈশাখ, ঈদ, স্বাধীনতা বা বিজয় দিবস–কেন্দ্রীক অনুস্থানগুলিতে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। অনেকে জার্মান প্রবাসের মাধ্যমে আমাদের সেসব জানায়। সেসব দ্বন্দ্বের কারণ আমাদের সবার জানা। চলুন আরেকবার রিভাইস করে আসি।
কোটনামি
এ অনন্য বৈশিষ্ট সব জাতির মাঝেই কম বেশি দেখা যায়, কিন্তু বাঙ্গালি এটিকে শিল্পের পর্যায়ে তুলেছে। আমরা এমন সব মানুষকে নিয়ে কোটনামি করি যাঁদের চিনিও না। পথ চলতে ট্রেনে বসে পাশের যাত্রীকে নিয়ে পর্যন্ত কোটনামি করি। কাউকে পছন্দ হলেও কোটনামি করি, অপছন্দ হলে তো কথাই নেই। যাকে পছন্দ নয়, তাঁকে কিভাবে বাকিদের থেকে আলাদা করা যায় সেজন্যে অন্যদের কাছে গিয়ে বানিয়ে বানিয়ে বলি। একই ঘরে পার্টী হচ্ছে, আড়ালে দাঁড়িয়ে একজনের নামে দুকথা কোটনামি করে আসলাম। পরক্ষণেই আরেক ঘরে গিয়ে আগের জনের নামেও দুকথা বলে আসতে আমাদের ভুল হয় না। বাই দ্য ওয়ে, লেখক হিসেবে আমার স্বীকারোক্তি দিতে ভয় নেই যে এই কাজ লেখক নিজেও করে।
কর্তৃত্ব
কিছু মানুষ বা বড় ভাই আমাদের থাকে তাঁদের ধারণা নতুন যারা দেশ থেকে আসে তারা তাঁদের চাকর। কমিউনিটির সকল কাজ, সকল অনষ্ঠান সব জুনিয়রদের করতে হবে, সিনিয়রদের বিশেষ সম্মান দিতে হবে। তাঁদের জন্য চেয়ার ছেড়ে দিতে হবে, কথা বলার মাঝে কথা বলা যাবে না, দ্বিমত করা যাবে না, ডাকলেই হাজির হতে হবে। এতে ধীরে ধীরে ছোটদের সাথে সেই ভাবধারী বড়দের সম্পর্ক নষ্ট হয়। অপরদিকে জুনিয়র যারা আসে তাঁদের অনেকের মাঝে এমন একটা ভাব যে ধরাকে সরা জ্ঞান করতেও দ্বিধা করে না। প্রয়োজনে অন্যদের পায়ে ধরে, প্রয়োজন ফুরালে আর দেখা নাই।
রাজনীতি
এ এক বিস্ময়কর অনুঘটক কমিউনিটিতে দ্বন্দ্ব তৈরির। যেকোন ইস্যুতে চোখের পলকে দুইভাগ হয়ে যাওয়ার এক অসাধারণ গুণ আমাদের আছে। তবে এটি স্বাভাবিক। কিন্তু যা স্বাভাবিক নয় তা হল এর জের ধরে কথা বলা বন্ধ, আড়ালে আবডালে নানা কথা বলে বেড়ানো। বহু শহরে ঈদ, পূজা, বৈশাখ, জাতীয় দিবস সবই দুটি করে হয়। কারণ সেখানে দুটি রাজনৈতিক দলের কমিটি আছে এবং তারা একে অপরকে ঘৃণা করতে ভালবাসে।
অর্থকড়ি
কিছু কিছু মানুষের অভ্যাস মন চাইলেই হাত পাতা। কারো কারো ক্ষেত্রে এটি ক্রণিক ডিজিজের মত, হাত না পেতে উপায় নাই। অনেকের অনেক বিপদ হয়, এটি সত্য এবং একে অপরের বিপদে এগিয়ে আসা আমাদের কর্তব্য। তবু আমরা কিছু মানুষ মন চাইলেই ধার করি, ধার করেই প্রথমে যা করি সেটি হল ভুলে যাই, যোগাযোগ বন্ধ করে দেই। হাত পাতা ছোট কাজ, কিন্তু উপায়ান্তর না দেখে ধার করলেও খুবই সচেষ্ট থাকা দরকার যে দ্রুত তা ফেরত দিতে হবে। এখানে আমরা কেউ জমিদার না, সবাই বিপদে আছি। অর্থ ধার নিয়ে অনন্তকাল শোধ না করে কীভাবে মানুষ ঘুমায় আমার জানা নাই।
দাওয়াত
অনেকে কমিউনিটিতে অঘোষিত প্রথা চালু করে যে, কাউকে রেখে কেউ আলাদা করে একবেলা রান্না করে খেতে পারবে না। কেনরে ভাই? সবসময় সবাইকে বলে কয়ে দাওয়াত করে খাওয়াতে হবে সে দিব্যি কে দিল! যার যখন যার সাথে মন চায় তখন সে তাকে ডেকে নিয়ে খাওয়াক, আপনাকে বললে বলবে না বললে নাই। এটি সহজভাবে মেনে না নিয়ে অনেকে আমরা গ্রুপিং এর গন্ধ খুঁজে বেড়াই। এর বাইরেও কথা আছে। সবার সাথে সবার যায় না। যে যাকে ডেকে খাইয়ে আরাম পায় পাক! এমন নেগেটিভ চিন্তার মানুষের কারণে অনেকেই কারো বাসায় দাওয়াত খেয়ে তা চেপে রাখে, কিন্তু সে কি আর চাপা থাকে। একদিন তা ঠিকই জানাজানি হয়ে কুৎসিত ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।
অনুষ্ঠান
পরিবার পরিজন ছেড়ে বিদেশে আসার পর এখানকার বাঙ্গালিরাই আমাদের পরিবার। তাঁদের নিয়ে নানা পালা পার্বণে আমাদের নানা প্রোগ্রাম থাকে। সেসব প্রোগ্রামে আনন্দের পাশাপাশি দ্বন্দ্ব–বিভেদের সীমা নাই। কেউ চাঁদার টাকা দেয় না, কেউ আবার কোন কাজে থাকে না, কেউ আবার শুধু খেয়ে স্বার্থপরের মত চলে যায়, কেউ কেউ গান জানলেও গাইতে চায়না, কেউ আবার মাইক পেলে ছাড়ে না। ওকে রেখে তাঁকে কেন মঞ্চে তোলা হল, আমার বউয়ের শাড়িটা আপনের বউয়ের শাড়ি থেকে অধিক দামী, ওর পাঞ্জাবী লাল কেন, ও কেন তরকারি রান্না করলো, আমাকে কেন ওর আগে দাওয়াত দেয়া হল না, ইভেন্ট নিয়ে ফেসবুকের পেইজে হোষ্ট হিসেবে ওরে কেন রাখা হল, আমাকে কেন নয়, অনুষ্ঠানের কথা কেন আমাকে ওর থেকে শুনলে হল, আগে থেকে কেন জানলাম না– মূলত এইসব অতি ‘গুরুত্বপূর্ণ‘ বিষয় হল মূল্যহীন রাগারাগির কারণ।
দোষ খোঁজার চৌকিদার
কমিউনিটিতে কিছু আয়োজন করতে গেলে কিছু মানুষের উচ্ছ্বাস প্রচণ্ড, তাঁরা প্রচুর সময় দেয়। আবার কেউ দূর থেকে বসে মিটি মিটি হাসে আর মজা নেয়, আর খালি দোষ খোঁজে। কে ভাল করে বাজার করেনি, কেন পোলাও সিদ্ধ হয় নাই, আমাকে ইলিশের লেজ কেন, আমার বউকে পেছনের চেয়ারে কেন বসতে হল, গান এত কম কেন, নাচ নাই কেন ইত্যাদি ইত্যাদি। অথচ কাজের সময় এই বসন্তের কোকিলদের পাওয়া যায় না।
এমন বলতে গেলে সাত খণ্ড রামায়ণেও কুলোবে না। বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। তাঁরা ঠিকমত কথা বলতে পারেনা দশজনের সামনে, স্মার্টনেস দেখাতে দেখাতে লেদিয়ে দেয়, নিজের থেকে জ্ঞানে-গুনে, আকারে-আকৃতিতে, বর্ণে পিছিয়ে পড়াদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে, অহংকার দেখাতে দেখাতে অমানুষ হয়ে যায়, তাঁরা খায় চপচপ শব্দ করে, বড় বড় ঢেকুর তোলে, হাঁটে গা–ছাড়া দিয়ে, দশজনের সামনে ভটভট করে পাদ মারে, কৌতুক করতে গিয়ে ভাঁড়ামো করে, বিদেশি বন্ধু পেলে তেল মারতে মারতে দেশি ভাইকে আর চিনতেই পারে না, বিদেশিনী হলে তো ধরাকে সরা জ্ঞান করে, সবসময় অন্যের থেকে সিগারেট চেয়ে খায়, কৃপণতা, চামচামি এসব তো অবশ্যই করে। তদুপরি বাংলাদেশের মানুষের কলিজা পৃথিবীর যেকোন দেশের মানুষের চেয়ে বড়। কোথাকার কোন সুজন মারা গেলে মুহুর্তের মধ্যে তাঁরা টাকা যোগাড় করে ফেলে, কোথাও কারো রুম নাই বলে মাসের পর মাস রুম শেয়ার করে, কোথাও কোন কাজের সুযোগ থাকলে বন্ধুদের জানিয়ে দেয়, প্রতি সপ্তাহান্তেই সবাই মিলে রান্না করে, আড্ডা দেয়, ক্রিকেট খেলে। তাঁরা বাংলাদেশের যেকোন দুর্যোগে কমিউনিটি থেকে সাহায্যের হাত বাড়ায়, দেশের জন্য ভাল এমন যেকোন আন্দোলনে শরিক হয়ে বিদেশে বসে মানববন্ধন করে।
দিনশেষে নিজের রুমে এরা ফিরে আসে একা। মধ্যরাতে এরা দাঁড়ায় খোলা জানালার সামনে। শীতল হাওয়া এসে সারা শরীর ঠাণ্ডা করে দেয়। তখন কখনো সখনো আকাশে থাকে বিরাট চাঁদ। চাঁদের অসহ্য আলোয় চারিদিকে হাহাকার। তড়িৎ গতিতে তাঁরা ফিরে যায় শৈশবে, সেই বৃষ্টিভেজা দিনে বন্ধুদের নিয়ে আম কুড়ানো, সারা এলাকায় দস্যুগিরি করা, যখন তখন নদীতে–পুকুরে ঝাঁপ, একসাথে খেলাধুলা, স্কুলে যাওয়া, স্যারের হাতের কানমলা, প্রথম প্রেমে পড়া সেই কিশোরী মেয়েটির মুখ, স্কুলের সবচেয়ে কাছের বন্ধু যে এখন হয়তো বাজারে একটি দোকান চালায়, বা বড় কোন প্রতিষ্ঠানের কর্তা, দেখা হয় না প্রায় এক যুগ। কুহেলিকাচ্ছন্ন এই মায়াবী সময়ে হঠাৎ সে দেখে ওই চাঁদের ঠিক মধ্যিখানে তাঁর মায়ের মুখ। এরপর আচমকা সে হুহু করে কেঁদে উঠে, তাঁর বুকের পাঁজর ভেঙ্গে যায়।
যে দেশের মানুষের মন কাদামাটির মত নরম তাঁদের কি সাজে এই দ্বন্দ্বের দৈন্যতা? তবু কেন এমন হয়। তবে কি উইনস্টন চার্চিলের সে কথাই সত্যি যা তিনি বলেছিলেন ২য় বিশ্বযুদ্ধকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নকে নিয়ে ওদের অনিশ্চিত আচরণ নিয়ে– “একটি রহস্যঘেরা প্রহেলিকাচ্ছন্ন হেঁয়ালি (a riddle wrapped in mystery inside an enigma)।”
জাহিদ কবীর হিমন
বার্লিন, জার্মানি
©somewhere in net ltd.