নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীকে যেমন দেখার প্রত্যাশা করি, সে প্রত্যাশার আগে নিজেকে তেমন গড়তে চাই। বিশ্বাস ও কর্মে মিল স্থাপন করতে আজীবন যুদ্ধ করতে চাই নিজের সাথেই।

হিমন

ভিন্নমত সহ্য করতে পারা এক বিরাট গুণ। সকল ভিন্নমত উদার দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টায় আছি।

হিমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীর পোশাকের আগুনে দু’ফোটা ঘি

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:৩৯

নৃতাত্ত্বিকদের মাধ্যমে আমরা জানি বিববর্তনের মাধ্যমে মানুষ যখন শিম্পাঞ্জি হতে আলাদা হওয়া শুরু করে, সেই প্রায় সত্তর হাজার বছর আগে, তখন মানুষের পোশাক বলতে কিছু ছিল না, তখন থেকেই মূলত বৃক্ষের ছাল-বাঁকল বা পশুর চামড়া দিয়ে লজ্জাস্থান ঢাকার সংস্কৃতি মানুষের মাঝে শুরু হয়। আজকের মানুষের পোশাক এই সেই দিনও আজকের মত ছিল না, সাংস্কৃতিক বিববর্তনের মধ্য দিয়ে ওর ভাষা পোশাক সবই পাল্টেছে।

পুরাকালে বাঙ্গালির পোশাক কি ছিল জানিনা। তবে নানাপ্রকার ভাষ্কর্য্য, পাণ্ডুলিপি থেকে দেখা যায় নারী পুরুষ উভয়ের দেহের উর্ধ্বাংশ উদাম। তারা সেলাইবিহীন ধুতি আর শাড়ি পড়তো। বাঙ্গালি নারী ব্লাউজ ছাড়া “এক প্যাঁচ” দিয়ে শাড়ি পড়ে অন্তত দেড় হাজার বছর কাটিয়েছে। ব্লাউজকে বলা যায় এই সেদিনের সংযোজন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অগ্রজ সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী জ্ঞানদানন্দিনী দেবী ছিলেন জ্ঞানে গুনে অনন্যা। পতির ব্যবসাসংক্রান্ত কারণে জ্ঞানদানন্দিনীর উঠাবসা ছিল ইংরেজ মেমসাহেবদের সাথে। মেমদের নকল করে তিনি ঠাকুর পরিবারে প্রচলন করেন ব্লাউজের। সেকালে এই পরিবার বাঙ্গালি সমাজের সংস্কার, ধর্মসংস্কার আন্দোলন, সাহিত্য, শিল্পকলা ও সংগীতে খ্যাতনামা। তখন থেকেই ধীরে ধীরে শাড়ির সাথে স্তন ঢাকতে ব্লাউজের চল শুরু হয়।

এই ঘটনা থেকে দুটি বিষয় লক্ষ্য করা যায়। বিষয় একঃ সংস্কৃতি, পোশাক, আচার এসব শুরু হয় সমাজের উপর তলায়, ধনে মানে খাটো মানুষ তাইই শ্রেষ্ঠ ভাবে আর অনুকরণ করতে থাকে। আজকের পৃথিবীতেও আমরা দেখি টিভি সিনেমায় অভিজাত অভিনেতারা যা পরিধান করে, আমজনতা তাই অনুকরণ করে। পাখি ড্রেসের জন্য আত্মহত্যা- উচ্চবিত্ত হতে নিম্নবিত্তে সংস্কৃতির এই প্রবাহমানতাকে প্রমাণ করে।
বিষয় দুইঃ বাংলায় ব্লাউজ ব্যবহারের বহু আগেই আরব থেকে ভারতে ইসলাম আসলেও পর্দার ব্যাপারটিকে মানুষের মাঝে প্রচলিত করা যায়নি। মানুষের ধর্মবিশ্বাস, পুরনো ধারণা, সংস্কার-কুসংস্কার, মনোভাব, ইত্যাদি বদলায় ধীরে। বাংলাদেশের গ্রাম বাংলায় আজও ব্লাউজবিহীন নারী বেশ দেখা যায়। মোগল আমলে ইসলামের ব্যাপক প্রসারের ফলে পর্দার ধারণা ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে। ১৯০৬ সালে নিখিল ভারত মুসলিম লীগ গঠিত হলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পর্দাকে ইসলামের প্রধান অনুষঙ্গ হিসেবে বিশ্বাস করতে মানুষকে উদ্ধুব্ধ করা হয়।

সম্প্রতি ফেসবুকে দুটি ছবি বেশ আলোড়ন তুলল। প্রথমটি হোন্ডা চালিয়ে বিয়ের আসরে যাওয়া নারী, অপরটি বোরকা পরে ক্রিকেট খেলুড়ে নারী। নারীর হোন্ডা চালিয়ে বিয়ের আসরে যাওয়াকে যারা মানতে পারেনি তাঁরা বোরকা পরে ক্রিকেট খেলুড়ে নারীকে সেলুট দিয়ে নিজেদের কিছুটা হলেও উদারমনা হিসেবে প্রমাণ করতে চাইছেন। সচরাচর আমরা তাঁদের জামাতি হিসেবেই চিনি। স্কুল কলেজের বই আর মোকছেদুল মুমেনিন পর্যন্ত এদের দৌড়। বেশ্যারা যেমন ঘণ্টায় ঘণ্টায় খদ্দের পাল্টায়, এই জামাতিরা তেমন দেশভেদে আদর্শ পাল্টায়। এরা বাংলাদেশে চায় একটি ধর্মবাদী সরকার, আমেরিকা ভারতে চায় ধর্মনিরপেক্ষ সরকার, অন্যদিকে সৌদি, মিশর বা তুরষ্কে চায় ধর্মভিত্তিক শরিয়া সরকার, মুসলিম সংখ্যালঘু ইউরোপের দেশগুলোতে এরা চায় ধর্মনিরপেক্ষ সরকার। এদের অনেকে নিজভূমি ছেড়ে ইহুদি নাছাড়া নাস্তিক দেশে এসেও স্বপ্নে মরুভূমির খেজুর খায়। উত্তপ্ত গ্রীষ্মে প্রায় উলঙ্গ মেয়েলোক দেখে চোখের জেনা হওয়ার এবং ইসলামী কায়দায় সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনা থাকা সত্বেও মরুরবুকে অন্যায্য অসমতার সমাজে না গিয়ে এরা এসেছে এমন দেশে যেখানে ঠিকঠাক নামাজেরও উপায় নাই, আজান নাই, চারিদিকে শুরা-মদ।



এই দৃশ্যের বিপরীতে একটি দল দেখলাম যারা হোন্ডা চালানো মেয়েটিকেই বাঙ্গালি নারীর অগ্রদূত বেগম রোকেয়া বানিয়ে দিল, আর বোরকা পরে ক্রিকেট খেলা সেই মাকে বানালেন আফগানিস্তানের নারী। অথচ আমরা জানি এই ঝর্না আক্তারের শুধু নিজের জন্মই এই বঙ্গভুমিতে নয়, তাঁর চৌদ্দগোষ্ঠীর কেউই আফগান নন। এই দলটি স্বঘোষিত মুক্তমনা। নতুন নতুন বাল উঠলে নাকি মানুষ আয়না দিয়ে দেখে। না পড়াশোনা করা এই নতুন নাস্কিকদের অবস্থা সেইরকম। এদের আচরণ আগুণের পরশমণি সিনেমার সেই কিশোরী কাজের মেয়ে বিন্তির মতো চঞ্চলা, যার মুখে শুধু বিবাহের কথা, আবার তাঁর গোপন ইচ্ছা যেন কেউ বুঝতে না পারে সেজন্য ছলাকলা করা। ফেসবুক দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার পরাকাষ্ঠা স্থাপনকারী এই বস্তুরা বড় বিচিত্র। এই গ্রুপের নারীরা কপালে সিঁদুর মেখে, কাশ্মীর থেকে আনা বালুচরি শাড়ী পরে, পুরুষেরা ধুতি, গলায় তুলসী ডালের মালা জড়িয়ে নমঃ নমঃ করতে করতে দেবীদূর্গার চরণে পুষ্পমাল্য অর্পণে এদের দ্বিধা নাই, অথচ মোহাম্মদের (সাঃ) জন্ম বা মৃত্যু দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে যেতে বলেন, অথবা শবে মেরাজ শবে কদরের মজলিশে যেতে বলেন তখন দেখবেন এদের ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, সাম্য, বস্তুবাদীতা, নাস্তিকতা নব্বই বছর আগে তুরষ্কের কামাল আতার্তুকের চেয়েও ঢের বেশি উপচেপড়া।

তাহলে নারীর পোশাক কেমন হবে, ওরা কীভাবে কথা বলবে, ওদের আচরণই বা কি হবে, সেসব কে ঠিক করে দেবে? আর যেই হোক, অন্তত ধর্মগ্রন্থে বিবেকবন্দক রাখা জামাতি বা দুই পাতা পড়ে স্বঘোষিত মুক্তমনারা নয়, আপনার আমার মতো কদ্দুসরা তো নয়ই। নাক মুখ ঢেকে জীবন্ত তাঁবু সেজে থাকাই যেমন আটপৌরে আদিমতা নয়, তেমনি বেপর্দা বা ইচ্ছাস্বাধীন ছোট কাপড় পরাই সভ্যতা নয়। সভ্যতা হল এমন একটা সমাজ বিনির্মাণ করা যেখানে নারীরা ইচ্ছামত পোশাক পরতে পারবে, হোক তা বিকিনি হোক তা সর্বাঙ্গ ঢেকে বোরকা। সত্যবাদী নীতিবাদী শুভবাদী মানুষ হিসেবে আমাদের এমন একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ নির্মাণে ভূমিকা রাখা জরুরী যেখানে বর্ণে-লিঙ্গে-ধনী-দরিদ্রে-ধর্মে-অধর্মে-নারী-পুরুষে, জীবনের সকল ক্ষেত্রে পুঙ্খানু সমতা, বৈষম্যহীনতা, স্বাধীনতা আর সম-অধিকার সোনার মতো জ্বলজ্বল করবে।


২৯ ভাদ্র ১৪২৭
ধন্যবাদান্তে
জাহিদ কবীর হিমন, বার্লিন থেকে
সম্পাদক, জার্মান প্রবাসে
www.germanprobashe.com

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৫৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মোহাম্মদ (সাঃ) এর জন্ম ও মৃত্যু দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠান কোথায় হয়।সেখানে হিন্দুরা গেলেতো আলোচনা অনুষ্ঠানই অপবিত্র হয়ে যাবে।

আপনার শেষ প্যারাটা স্ববিরোধী।সবমিলিয়ে বক্তব্য পরিস্কার হয় নি।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:০৬

হিমন বলেছেন: হতে পারে, তবে আমি অন্তত এমন কাউকে ওসবে যেতেই দেখিনি যারা নিজেদের আগ বাড়িয়ে অপ্রাসঙ্গিকভাবে নাস্তিক বা মুক্তমনা বলে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করে। ধার্মিকরা ছিঃ ছিঃ করবে কিনা তা তো পরের কথা

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ম্যাঁওপ্যাঁও

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:২৪

স্থিতধী বলেছেন: শেষের প্যারার তৃতীয় বাক্যে আপনি বোধ করি 'সভ্যতা' র জায়গায় ' অসভ্যতা' কথাটি লিখতে চেয়েছিলেন। তা যদি না হয় তাহলে সেটি ঠিক পরের চতুর্থ বাক্যেটির বক্তব্যের সাথে বেমানান ও সাংঘর্ষিক। ধরে নিচ্ছি এটা এডিটিং এর ভুল ।

শেষ প্যারার শেষ দুটি বাক্যকেই আমি লেখাতার মূলভাব ধরে নিয়ে লেখাটির মূল বক্তব্যের সাথে সহমত পোষণ করছি। আপনাকে ধন্যবাদ।

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নির্মোহ বিশ্লেষন।

স্থিতধী ভায়ার সাথে সহমত।

৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৪

নতুন বলেছেন: নারীরা কি পোশাক পরবে সেদিকে পুরুষের নাক না গলানোই উচিত।

আমাদের সমাজের বড় সমস্যা কাজ কম তাই অন্যের বিষয়ে নাক গলায় বেশি।

আবহাওয়া মানুষের পোষাক প্রচলনে প্রভাব রাখে বেশি।

আমাদের দেশে কোন নারীই অস্বালীন পোশাক পরেনা। কিন্তু তার পরেও সবাই নারীর পোষাকের দিকেই আঙ্গুল তুলে কথা বলে।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:১৩

হিমন বলেছেন: আপনার সাথে পরিপূর্ণ একমত হলাম। ধন্যবাদ

৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার নিজের অবস্থান নিয়েই মনে হয় খানিকটা দোদুল্যমান আছেন!

তবে ঠিক,স্বাধীনতা সবখানেই সবার সমান হওয়া প্রয়োজন।
কেউ তার মত সল্প বসনে ঘুরলেন -আর আমার মধ্যের কু-ইচ্ছাগুলো কিলবিল করল, অসুবিধে কি? শুধু কারো শারিরিক বা মানসিক অনিষ্টের কারন না হলেই হয়।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:১৪

হিমন বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আপনি যা বললেন সেটিই আমার অবস্থান।

৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: তাড়াহুড়া করে পড়তে গিয়ে কিছুই বুঝলামনা।

৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২২

সাগর শরীফ বলেছেন: নারীর পোশাক নির্বাচনে আমার আপনার হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। কিন্তু সমাজ সংস্কার আপনার আমার দায়িত্ব! আর অপসংস্কৃতি অশ্লীলতা চর্চা কোন আধুনিকতা নয়। ব্যক্তিস্বাধীনতার নামে ভাওতাবাজী বন্ধ করতে হবে।

৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: যার কাছে যা ভালো লাগে তাই পরবে এতে অন্যের এত মাথা ব্যথা ,উফ! শুধু উলঙ্গ না থাকলেই হলো।

১০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।

১১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩

রাশিয়া বলেছেন: নারী পুরুষ সকলেরই পোষাক নির্ধারণে দুটি বিষয় খেয়াল রাখা উচিতঃ
১। পোষাক যেন আরামদায়ক হয়।
২। পোষাক যেন এলাকার সাথে মানানসই হয়।

তুন্দ্রা অঞ্চলে গেঞ্জি গায়ে হাঁটলে যেমন অদ্ভুত লাগে, মরু অঞ্চলে ওভারকোট গায়ে দিলেও খারাপ লাগে। ইটালিতে কেউ বিকিনি পড়ে হাটলেও তাকাবেনা, কিন্তু বঙ্গদেশে জিন্স ফতুয়া পড়লেও চোখে লাগে।

১২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ইসলাম কি নারী ও পুরুষের পোষাক (লেবাস) সম্পর্কে সুস্পষ্ট বিধান প্রদান করি নি ?
তা হলে কেন এ নিয়ে বিতর্কের অবতারণা।
আল্লাহতায়ালা লেবাস সম্পর্কে সূরা আরাফের ২৬-২৭ আয়াতে আদম-সন্তানদের লেবাস সম্পর্কে
অবগত করেছেন। লেবাস-পোশাক শুধু মুসলিমদের জন্যই যে প্রয়োজন তা নয়, বরং প্রত্যেক
মানুষেরই প্রয়োজন।
লেবাস সম্পর্কে বেশকিছু শর্ত কোরআন ও হাদিসে বলা হয়েছেঃ
মহিলাদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে যে, তারা হচ্ছে আওরাতুন। অর্থাৎ নারী জাতি হচ্ছে ঢেকে রাখার বস্তু।
তারা নামাজের সময় শুধু চেহারা খুলবে, অন্য পুরুষের সামনে চেহারাও খুলবে না। এমনকি তাদের
অলঙ্কারও যেন প্রকাশ না পায়। পোশাক অবশ্যই ঢিলা হতে হবে, যাতে তা টাইট বা সংকীর্ণ না হয়
এবং শরীরের অবয়ব বোঝা না যায়। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে দুই শ্রেণির লোক
জাহান্নামি হবে যাদের আমি কখনো দেখিনি। তার মধ্যে একশ্রেণি হচ্ছে সেসব মহিলা যারা পোশাক পরিধান
করেও উলঙ্গ থাকবে। এরা পরবর্তীতে দুনিয়ায় আসবে। তাদের এ অবস্থার কারণ হলো তারা এমন পাতলা
পোশাক পরবে যেন সে পোশাকই পরেনি। নারীর পোশাক পুরুষের সাদৃশ্য হওয়া যাবে না এবং পুরুষের
পোশাকও যেন নারীর সাদৃশ্য না হয়। যাতে তাদের পোশাক দেখে নারী-পুরুষের পার্থক্য অনুমান করা যায়।
রসুল (সা.) বলেন, মহিলাদের মধ্য থেকে যারা পুরুষের সাদৃশ্যতা অবলম্বন করে এবং পুরুষের মধ্য থেকে
যারা মহিলাদের সাদৃশ্যতা অবলম্বন করে তাদের ওপর তিনি আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিশাপ
দিয়েছেন। নারীর জন্য সব রঙের পোশাক পরা জায়েজ। মহিলাদের পোশাকের দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে তাদের
পোশাক এমন হতে হবে যা অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ না করে।

পুরুষের ক্ষেত্রে নবী (সা.) বলেন, পুরুষের রান হচ্ছে ঢেকে রাখার বস্তু। পুরুষের লজ্জাস্থান হচ্ছে নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত।
পুরুষের লেবাস টাখনু গিরার নিচে যাওয়া হারাম। আর মহিলাদের লেবাস টাখনু গিরা ঢেকে থাকবে। পুরুষের লেবাস
টাখনু গিরার নিচে গেলে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাদের রহমতের দৃষ্টিতে দেখবেন না।
পুরুষের ক্ষেত্রে রেশমের কাপড় পরা জায়েজ নয়। নবী (সা.) বলেন, ‘পুরুষের জন্য রেশমের কাপড় ও সোনা হারাম কিন্তু মহিলাদের জন্য তা হালাল। যেসব পুরুষ রেশমের কাপড় পরবে তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’ পুরুষের জন্য সব রঙের পোশাক পরার অনুমতি নেই। পুরুষের জন্য কুসুম-লাল, হলুদ, জাফরান, গোলাপি রং নিষিদ্ধ। তাদের জন্য সাদা রঙের পোশাকই সর্বোত্তম।

নারীর পোশাক পুরুষের সাদৃশ্য হওয়া যাবে না এবং পুরুষের পোশাকও যেন নারীর সাদৃশ্য না হয়। যাতে তাদের পোশাক দেখে নারী-পুরুষের পার্থক্য অনুমান করা যায়। রসুল (সা.) বলেন, মহিলাদের মধ্য থেকে যারা পুরুষের সাদৃশ্যতা অবলম্বন করে এবং পুরুষের মধ্য থেকে যারা মহিলাদের সাদৃশ্যতা অবলম্বন করে তাদের ওপর তিনি আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিশাপ দিয়েছেন।


১৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৯

স্থিতধী বলেছেন: লেখক বলেছেন: "এখানে আমি বুঝাতে চেয়েছি যে অনেকেই সভ্যতার মানদণ্ড ধরে কম পোশাক পরাকে, বেশি পোশাক পরলেই তা পশ্চাৎপদতা। কিন্তু আমার মতে স্বল্পবসনা সভ্যতার নির্ণায়ক হতে পারে না। বরং সভ্যতা হল এমন একটা পরিবেশ তৈরি করা যেখানে নারী পুরুষ যা ইচ্ছা পরতে পারবে। সেটি বোরকা হলেও চলে, সেটি বিকিনি হলেও চলে।অর্থ্যাৎ নিজেদের পোশাক নিজেদের মতো বাছাই করে নেওয়ার সমাজ যেদিন তৈরি হবে সেটিকে আমার মতে সভ্য সমাজ বলা যেতে পারে।"

সভ্যতার ঐ সাব্জেক্টিভ মানদণ্ডের বিষয়টি মূল লেখা তে পরিষ্কার হয়নি আসলে, যা আপনার এই ব্যাখ্যাটিতে হলো। ফলে মূল লেখায় অনেক পাঠক শেষের দিকটায় এসে একটা মিশ্র বার্তা পায় আপনার সভ্যতার ধারণাটি নিয়ে। হয়তো শেষের প্যারার দিকে কিছুটা সম্পাদনা লেখাটার বার্তাটিকে সাধারণ পাঠকের কাছে আরেকটু বোধগম্য করে তুলতে পারতো।

যাই হোক , আগেই জানিয়েছি মূল বক্তব্যের সাথে আমি একমত। শুভেচ্ছা আপনার প্রতি।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:০৩

হিমন বলেছেন: স্থিতধী, আপনার মতামতটি গুরুত্বপূর্ণ আর পরেরবার লেখার সময় বিষয়ট মাথায় রাখব। যদিও এক বসায় হঠাৎ লেখা তবু আমি এটিকে অজুহাত বলতে চাই না। আর যেহেতু লেখাটি প্রায় তিনদিন হয়ে গেল তাই এখন আর সম্পাদনাও করতে চাই না। আপনাকে আবারো অশেষ ধন্যবাদ আর শুভকামনা।

১৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৩৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সবাইকে কি ধর্ম মানতেই হবে?
ধর্ম না মানলে কি চলবে না?
ধর্ম তো জন্ম সূত্রে অর্জন করা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.