নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীকে যেমন দেখার প্রত্যাশা করি, সে প্রত্যাশার আগে নিজেকে তেমন গড়তে চাই। বিশ্বাস ও কর্মে মিল স্থাপন করতে আজীবন যুদ্ধ করতে চাই নিজের সাথেই।

হিমন

ভিন্নমত সহ্য করতে পারা এক বিরাট গুণ। সকল ভিন্নমত উদার দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টায় আছি।

হিমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পঞ্চাশ বছরের বাংলাদেশকে নিয়ে তিনটি ভবিষ্যদ্‌বাণী

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০৪


গ্রহ তারা নক্ষত্র দেখে জ্যোতিষী ভবিষ্যৎ বলে দেয়, হাত দেখে গণক বলে দেয় মানুষের ভবিতব্য, কিন্তু আমি কোন আক্কেলে পুরো একটি দেশ নিয়ে ভবিষ্যৎবাণী করতে এসেছি? স্বাভাবিক চাকরি ছেড়ে তবে কি আমি জ্যোতিষগিরিকে পেশা হিসেবে নিতে যাচ্ছি? ঘটনা তেমন কিছু নয়, যেহেতু রাজনীতি আমার একটি আগ্রহের জায়গা, এবং নিজ মত প্রকাশের চর্চা আমি হামেশাই করি, সেই দিক বিবেচনায় আমি আমার মত প্রকাশের স্বাধীনতার স্বদ্ব্যবহার করলাম। আমার নিম্নোক্ত প্রতিটি মতামত তো অবশ্যই, প্রতিটি অক্ষর আপনারা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করার অধিকার রাখেন।

মূল কথায় যাওয়ার আগে ভূমিকা না দিলে লেখার গতিধারা ঠিক থাকে না। তাই কিছু বলা দরকার। বাংলাদেশ তো স্বাধীন হল একাত্তরে, এ দেশেরই প্রায় ২৫ শতাংশ মানুষের মতামতের বিরুদ্ধে গিয়ে। এবছর দেশের পঞ্চাশবছর পূর্ণ হল। স্বাধীন হওয়ার পর যারা ক্ষমতায় এলেন, তারা পৃথিবীর অন্যতম আধুনিক একটি সংবিধান উপহার দিলেন। কিন্তু নেতারা পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যতখানি সিদ্ধহস্ত ছিলেন, ঠিক ততখানি আনাড়ি ছিলেন রাষ্ট্রপরিচালনায়। সংবিধানে সাম্যের কথা লেখা, কিন্তু বাস্তবে সমাজ পুরোপুরি ন্যায়নীতিহীন। সরকার আর দল একাকার, রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গে অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপ। দুর্নীতির কথা আপাত উহ্যই রাখি। সাথে ছিল আন্তর্জাতিক অপতৎপরতা। আমাদের মনে রাখতে হবে, দেশটি স্বাধীন হয়েছিল বড় বড় দেশগুলোকে রাগিয়ে, বিশেষ করে আমেরিকা আর মুসলিম দেশগুলো। যুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু দেশের নাম দিলেন গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ, অথচ এদেশের পাকিস্তানপন্থী আর মুসলিম দেশগুলোর আশা ছিল দেশটির নাম হোক “ইসলামি প্রজাতন্ত্র”। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কর্ণেল ফারুক রেডিওতে গিয়ে ভাষণে বললেন, আজ হতে বাংলাদেশ “ইসলামি প্রজাতন্ত্র”। হত্যাকাণ্ডের পরদিন ১৬ই আগস্ট মুসলিম দেশগুলো আমাদের একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল, যেন বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর জন্য তাঁরা অপেক্ষাই করছিল। এরপর এলেন এক জেনারেল। পৃথিবীর সব জেনারেলের মতই, যারা হঠাৎ করে ক্ষমতা দখল করে, মানুষ যাঁদের শুরুতে চেনেই না, তাঁদের প্রথম কাজ থাকে চমকদার কিছু ঘটানো। তিনি সংবিধানকে কাটাকুটি করে একটা ইসলামী রূপ দিলেন, তিনি বলতে চাইলেন “দেখ আমিই একমাত্র ইসলামকে রক্ষা করতে পারি”, যেন এই দেশটাতে আর কোন ধর্মের আর কোন সংস্কৃতির মানুষ নেই। বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের রাজনীতি আইন করে নিষিদ্ধ করেছিলেন, কালো চশমা পরা এই সেনাশাসক তাঁদের রাজনীতির অধিকার ফিরিয়ে দিলেন।
মৃত্যুর প্রায় আগের দিন পর্যন্ত জরুরী অবস্থা দিয়ে দেশ চালিয়ে তিনিও হত্যার শিকার হলেন। এরপর এরশাদ, একাধারে যিনি কবি রাজনীতিক জেনারেল এবং প্রেমিক। আগের জেনারেলের দেখানো পথে হেঁটে তিনিও নীতিগতভাবে বাংলাদেশের কিছুটা সর্বনাশ করেই বিদায় নিলেন।



এরপরের ঘটনা আমরা সবাই জানি। সংক্ষেপে বলছি লেখার ধারাবাহিকতার স্বার্থে। মোটামুটি একটা সুষ্ঠু নির্বাচনে বেগম জিয়া প্রধানমন্ত্রী হলেন। মেয়াদ শেষ হতে হতে অতদিনে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল উনার বিরুদ্ধে চলে গেছে, তাঁর অধীনে কেউ নির্বাচনে যাবে না। তবু তিনি নির্বাচন করে তিনশ আসনেই জিতলেন, কিন্তু আন্দোলনের মুখে, অনেক রক্ত ঝরিয়ে পনেরো দিনের মাথায় পদত্যাগ করতে হল। এরপর শেখ হাসিনার পালা। পাঁচ বছর দেশ চালিয়ে কোন ধরণের রক্তারক্তি ছাড়াই নিয়মমাফিক তত্বাবধায়কের কাছে ক্ষমতা দিয়ে তিনি সরে গেলেন। এখানে রক্তারক্তি ছাড়াই কথাটি উল্লেখ করার কারণ হল বাংলাদেশের ইতিহাসের সেবারই প্রথম কোন ধরণের ঝামেলা ছাড়াই ক্ষমতার পালাবদল ঘটে। পরের নির্বাচনে ২০০১ সালে আবার বেগম জিয়া আসলেন। পাঁচ বছর ক্ষমতায় থেকে তিনি আবারো ক্ষমতা ফিরতে চাইলেন, নিজের লোককে তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বানাতে চাইলেন। অনেক রক্ত ঝরল। এরপর আসল তিন উদ্দিনের (ইয়াজউদ্দিন মঈনুদ্দীন ফখরুদ্দীন) সেনা সমর্থিত সরকার। দুই বছর পর তারা নির্বাচন দিলেন, শেখ হাসিনা আবার আসলেন। সেই যে আসলেন, জগদ্দল পাথরের মত তাঁর আর যাবার খবর এখন পর্যন্ত শোনা যাচ্ছে না।

সবকিছুর যেমন শেষ থাকে, বর্তমান সরকারেরও শেষ থেকে থাকবে হয়ত। কিন্তু তারপর কি? আমার ভবিষ্যদ্‌বাণী তারপরের কাহিনি নিয়েই। আপাতদৃষ্টিতে দেখা যাচ্ছে শেখ হাসিনার নিরঙ্কুশ ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা এই মুহুর্তে কারো নেই। যদি থাকে তাহলে তিনটি উপায়ে শেখ হাসিনার পতন হতে পারে। কি কি সেই উপায়?
১। বর্তমান শাসনে তিতিবিরক্ত হয়ে জনগণ রাস্তায় নেমে আসলো, অতীতে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এরশাদ এবং খালেদা জিয়ার এভাবে পতন হয়েছে। কিন্তু ২০২১ সালের শেষ অবদি পর্যন্ত এমন কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। হতে পারে সরকার সাংঘাতিক নিপীড়নমূলক হওয়ায় জনগণ ভয়ে রাজপথে নামছে না। কিন্তু এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, উনসত্তুরের আইয়ূবশাহী, নব্বইয়ে এরশাদ বা ছিয়ানব্বইয়ে খালেদা জিয়া রাজপথে গোলাপফুল বিলোয়নি। সবাই নানাপ্রকার বাহিনী দিয়ে ক্ষমতা প্রলম্বিত করতে চেয়েছে এবং জনগণ রক্ত দিয়ে অধিকার আদায় করে নিয়েছে। সমাজবিজ্ঞানীরা বলতে পারবেন বর্তমানে কেন সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে না।
২। দ্বিতীয় যে পদ্ধতিতে শেখ হাসিনার পতন হতে পারে সেটি হল সেনা অভ্যুত্থান। কিন্তু সেটির কতখানি সম্ভাবনা? লোকমুখে শুনেছি, সেনাবাহিনীর অন্তত বিয়াল্লিশ পর্যায় পর্যন্ত আওয়ামী চিন্তাধারার লোকজন নিয়োগ করা আছে। সেটি সত্য হয়ে থাকলে তাঁরা কোনভাবেই নিজেদের ক্ষমতাকে হাতছাড়া করতে শেখ হাসিনার পতন ঘটাবে না। অপরদিকে প্রায় এক যুগ আগেই সংবিধান পরিবর্তন করে অবৈধপন্থায়, অগতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা দখলের সাজা মৃত্যুদণ্ড করা হয়েছে। সুতরাং অদূর ভবিষ্যতে “উদ্দিন"দের মত কেউ দেশসেবা করতে এগিয়ে আসবে তার কোন লক্ষণ এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না।

৩। যদি ভারতসহ অন্যান্য প্রায় সবদেশ শেখ হাসিনার মাথা থেকে ছাতা সরিয়ে নেয় এবং ইরানের মত নানাবিধ অবরোধ দিয়ে বাংলাদেশকে ভাতে মারতে চায়, অর্থনীতি বর্তমান আফগানিস্তানের মত ভেঙ্গে পড়ে তাহলে জনজীবনে তার যে প্রভাব পড়বে তাতে জনগণই সরকারকে হটিয়ে দিবে বাধ্য হয়ে। সম্প্রতি আমেরিকা দুই একটি পদক্ষেপ নিলেও মোটাদাগে বলা যায় আন্তর্জাতিকভাবে শেখ হাসিনাতেই সবাই আস্থা রাখছে। এটার সবচেয়ে বড় কারণ ইসলামী জঙ্গি দমনে হাসিনার সাফল্য। ২০০১ সালে মোল্লাদের নিয়ে খালেদা জিয়া যে খলিফা শাসন কায়েম করেছিলেন, এবং জঙ্গিবাদের যে বিস্তার ঘটেছিল, তার এমপিরা যেভাবে ঢাকার রাজপথে বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানানোর স্লোগান দিতেন, খইয়ের মত যেভাবে বোমা ফুটত, এমনকি আত্মঘাতী হামলা পর্যন্ত- তাতে করে গত তেরো বছরে, হলি আর্টিজান হামলা বাদ দিলে, শেখ হাসিনার আমলে অন্তত এই ধর্মীয় সন্ত্রাস বন্ধ হয়েছে। বিশ্বনেতারা এটি বুঝেই চূড়ান্ত ভোটচুরি করার পরও শেখ হাসিনার উপর থেকে রহমতের ছাতা সরিয়ে নেয়নি।

উপরের তিন কারণে যদি হাসিনার পতন না হয় তাহলে একটি মাত্র কারণই বাকি থাকে, তা হল তাঁর স্বাভাবিক মৃত্যু। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম তিনি ৮৫ বছর বয়স পর্যন্ত এভাবেই ক্ষমতায় থাকবেন। এরপর হয় বার্ধক্য, নয়তো মৃত্যু, তাঁকে সরে যেতেই হবে। বর্তমানে তাঁর বয়স ৭৫। তাহলে আর দশ বছর। তারপর কি?

এখানে আমি তিনটি সম্ভাবনার কথা বলতে চাই।

১। শেখ হাসিনার পর আওয়ামীলীগই কিছুকাল ক্ষমতায় থাকবে বা থাকার চেষ্টা করবে। কিন্তু বিরোধীরা তা হতে দিতে চাইবে না। হাসিনার আওয়ামীলীগ আর হাসিনাবিহীন আওয়ামীগ এক কথা নয়। তাঁরা বিরোধীদলকে বা জনগণকে আন্দোলন করা থেকে কৌশল কাজে লাগিয়ে বিরত রাখতে সক্ষম হবে না। হাসিনাবিহীন এই দল হবে সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসহীন। অপরদিকে, দীর্ঘকাল ক্ষমতায় থাকার ফলে যে চাটার দল গড়ে উঠেছে, যারা অসম্ভব বিত্তশালী হয়েছে, শরীরে যে তেল জমে গেছে, তাঁরা দলের বিপদের দিনে দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করবে, বাঙ্গালির চরিত্র সম্পর্কে যাঁদের ধারণা আছে তাঁরা অন্তত সেকথা বিশ্বাস করবে না। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, বন্ধুবন্ধুর লাশ বত্রিশ নাম্বারের সিঁড়িতে রেখেই তাঁর মন্ত্রীরা মোশতাকের পায়ে সেজদা দিয়েছিল। 
কিন্তু আওয়ামীলীগ দুর্বল হলেও সহজে ক্ষমতা ছাড়তে চাইবে না, ফলে দুই পক্ষে সংঘর্ষ আবশ্যক হয়ে দাঁড়াবে। এই সুযোগে দেশ দীর্ঘকালের জন্য সেনাশাসনের অধীনে চলে যাবে। সংবিধানে যতই মৃত্যুদণ্ডের কথা বলা থাকনা কেন, জনগণের চাপেই সেনাবাহিনী এগিয়ে আসবে এবং তাঁরা সংবিধান পরিবর্তন করবে।

২। কিন্তু সেনাবাহিনী সরাসরি ক্ষমতা দখল না করলেও তাঁরা এমন একটি সরকার বসাবে, ফখরুদ্দীনের মত যারা সেনাদের কথা উঠাবসা করবে। উচ্চাভিলাসী উর্দীধারী কোন সেনানায়কের নেতৃত্বে লোক দেখানো নির্বাচন হবে সত্য, কিন্তু সেনাবাহিনী যাকে চাইবে তাঁরাই সরকার গঠন করবে। পাকিস্তানে যেমনটা হয় আর কি। এতে করে বাইরের পৃথিবীকে বলা যাবে, দেশে গণতন্ত্রের জোয়ার বইছে।

৩। সুস্থ গণতান্ত্রিক চর্চা আর রুচিশীল সাংস্কৃতিক পরিবেশের অভাবে সবার অলক্ষ্যেই একটি উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠীর ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। একথা কেউ স্বীকার করুক আর না করুক, দেশকে পাকিস্তানের ধারায় জঙ্গিবাদের দিকে পরিচালিত করার মানসিকতা দিন দিন বেড়েছে। মোটাদাগে তাদেরকে আমরা হেফাজতে ইসলাম বলতে পারি। এখন পর্যন্ত এই গোষ্ঠীটি ক্ষমতায় যাবে তার লক্ষণ নেই। কারণ তাঁরা এখন পর্যন্ত যত বড় বড় আন্দোলন করেছে তার কোনটাই জনগণের সার্থসংশ্লিষ্ট নয়। যেমন, ভাষ্কর্য সরাতে হবে অথবা আহমদিয়াদের অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। এসব আন্দোলনে অংশ নিয়ে মানুষের দুমোঠো অন্ন জোগাড় হবে না, দেশের ভালো-মন্দ কোনকিছুই হবে না। একারণেই দেখা যায় তাঁদের আন্দোলনে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছাড়া সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণ নেই। কিন্তু সংখ্যায় এত কম হয়েও সবাই তাঁদের ভয় পায় কারণ তাঁরা সহিংস হতে পারে, আর তাঁদের ইসলামী ব্যাখ্যাই অনেক মানুষ সহি ইসলামী বলে ধরে নেয়। তাই বলা যায় ধীরে ধীরে জনগণের মানসপটে ইসলামীগোষ্ঠীর প্রভাব বাড়ছে। অদূরভবিষ্যতে যদি তাঁরা দেশের অর্থনীতি, দারিদ্রতা, দুর্নীতি নিয়ে গণমানুষের মাঝে যে সীমাহীন ক্ষোভ-আক্রোশ আছে, সেটি ধরতে পারে, তাহলে এই হেফাজতে ইসলামের কথায় মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে। হতে পারে শাপলা চত্বরের মত রক্তাক্ত পথে তাঁদের ক্ষমতা দখল করতে হবে না, তাঁরা স্বাভাবিক রাজনৈতিক দল গঠন করে মানুষের ভোটেই ক্ষমতায় আসবে। সেক্ষেত্রে, ১৯৭৯ সালে ইরানে খোমেনিরা ক্ষমতায় আসার পর পারস্য আর ইসলামী সংস্কৃতির মিশেলে যে শরিয়া সরকার চালু করেছে, সেভাবে বাঙ্গালি আর ইসলামী সংস্কৃতির সম্মিলনে হেফাজত শরিয়া শাসন চালু করতে পারে। বলা বাহুল্য, শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ মাত্রই জানে, সেটি দেশের কোন মঙ্গল বয়ে আনবে না।

উপরের তিনটি অনুমানই সত্য হবে এমন নয়, কিন্তু এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি দেখে এর থেকে ভালো কিছু অনুমান করা সম্ভব হচ্ছে না। নতুন বছরে এবং পরবর্তীতে রাজনীতির গতিপ্রকৃতি কোন দিকে ধাবিত হয়, রাজনীতি আর সমাজ বিশ্লেষকরা সেসব কিভাবে বিশ্লেষণ করেন তা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে বসে আছি। সবাইকে নতুন বছরের অশেষ শুভেচ্ছা!

বিদ্রঃ ভবিষ্যদ্‌বাণী বানানটি অন্যরকম লাগতে পারে, কিন্তু আমি এই বানানটি নিয়েছি “বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান” থেকে। পৃষ্ঠা ১০৩৫


৩১শে ডিসেম্বর ২০২১
জাহিদ কবীর হিমন, বার্লিন থেকে

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:



মোটামুটি

২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


পড়ালেখা ও চাকুরী কোন বিষয়ে?

০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২১

হিমন বলেছেন: গাজী ভাই আমি কম্পিউটার সায়েন্সে পড়েছি, কাজ করছি রোবটিক্স অটোমেশনে।

৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৩

সোবুজ বলেছেন: নতুন বর্ষে অনেক গনকের বই বের হবে।একজন যদি বলে ভাল কাটবে আরেক জন যদি বলে খারাপ কাটবে।৫০% সত্যি হবে।

৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৩

সাসুম বলেছেন: অনেক দিন পর ব্লগে বলদ প্রজাতির বাইরে কাউকে পাওয়া গেল সঠিক চিন্তা করতে।

লজিকাল এবং সত্য ভাবনা। আমার মত ও অল্মোস্ট ৯০% মিলে আপনার সাথে।

ভালোলাগা জানাইলাম।

০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২২

হিমন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাসুম ভাই!

৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০৩

সেডরিক বলেছেন: শেখ হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশের কি হবে বলা মুশকিল। তবে শেখ হাসিনা পরবর্তী আওয়ামী লীগের পরিণতি সহজে অনুমেয়।
শেখ হাসিনা পরবর্তী আওয়ামী লীগ হবে বর্তমান জাতীয় পার্টির মতো। কয়েক ভাগে বিভক্ত। একভাগ সিনিয়র নেতারা কন্ট্রোল করবে, এক ভাগ শেখ পরিবার। এর ভেতরও কয়েক ভাগ হতে পারে।

শেখ পরিবারের অন্য কেউ যোগ্য নেতা হবে না, কারন দলে কারো তেমন প্রভাব নেই, কন্ট্রোল করতে পারবে না। শেখ হাসিনার উচিৎ ভবিষ্যৎ পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে দলের পারিবারিক প্রভাব মুক্ত রাখা, ভারতের বিজেপি বা যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রাট/রিপাবলিকান মডেল অনুসরন করা।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে গেলে কি হবে?
আর যাই হোক, বিএনপিকে ক্ষমতায় দেখতে পারছি না। কারন দলের নেতা বিদেশে পলাতক, আরেক নেতা মুমুর্ষ রোগী। দল বাচাতে হলে বিএনপিকেও পারিবারিক মডেল ত্যাগ করতে হবে। তাছাড়া জামাত-শিবিরের কোনঠাসা পরিস্থিতি বিএনপির পেশী শক্তি ও অর্থনৈতিক শক্তি দূর্বল করে দিয়েছে।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এই দুই দলেই পরিবারের বাইরে থেকে কেউকে নেতৃত্বে আসতে হবে। কারন শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়ার মতো কন্ট্রোল তাদের পরিবারের আর কেউ করতে পারবে না।

দেশে নতুন নেতৃত্ব আসার সম্ভাবনা নেই। দেশে বলার মতো কোন ছাত্র নেতা ছিলো না, যারা ছিলো তারা সরকারী ও বিরোধী দলের ছাত্রবেশী গুন্ডা। যারা দলের সিদ্ধান্তে মাস্তানি করতো। নুরুল হক নুরু বা ইমরান এইচ সরকার চাইলে নতুন কিছু করতে পারতো, কিন্তু আদর্শ না থাকায়, পরিকল্পনা ও সততা না থাকায় তারা পারে নাই।

আওয়ামী লীগ বা বিএনপি যদি কোন মিরাকল ঘটিয়ে না ফেলে তবে দেশে সেনাবাহিনী আসতে পারে কিংবা আম আদমী পার্টির মতো কোন নতুন দল চলে আসবে।

-----------

শুভ নববর্ষ

০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২৯

হিমন বলেছেন: প্রথমেই আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ! দল ভাঙ্গা নিয়ে আপনার সাথে দ্বিমত করছি না, সার্থই যেখানে মূল কথা সেখানে দল ভাঙ্গা অবাক হওয়ার মত কিছু না। অতীতে অনেক দলই ভেঙ্গেছে। তবে শেষের দিকের কথাগুলোতে পরস্পরবিরোধীতা আছে। আপনি বলছেন দেশে নতুন নেতৃত্ব আসার সম্ভাবনা নেই। নুরু বা ইমরানরা পারতো কিন্তু আদর্শ না থাকায় সফল হয়নি। হয়তো সত্য, কিন্তু দেশের জনগণও কি নতুন নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত? ইচ্ছে করে তো কেউ নেতা হতে পারেনা, মানুষ নেতা বানায়। ভালো নেতা বেছে নিতে জনগণকেও যোগ্য হয়ে উঠতে হয়।
আর বললেন আদমী পার্টির মতো কোন নতুন দল চলে আসতে পারে, তাহলে তো তাঁরা নতুন নেতৃত্বই। ধন্যবাদ আবারো

৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০৭

সোবুজ বলেছেন: প্রথম মন্তব্যটা হেডিং এর জন্য।অনেক বিষয়ের সাথেই একমত।পরিসংখ্যান এর বিষয়ে নিশ্চিত না।আমার মনে হয় অনেক কম হবে।অনেকে নিরপেক্ষ ছিল।এরা যেদিকে জয় দেখে সে দিকে যায়।এমন লোকের সংখ্যা বেশি।এদের কে আপনি কোন পক্ষেরই ধরতে পারেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.