নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীকে যেমন দেখার প্রত্যাশা করি, সে প্রত্যাশার আগে নিজেকে তেমন গড়তে চাই। বিশ্বাস ও কর্মে মিল স্থাপন করতে আজীবন যুদ্ধ করতে চাই নিজের সাথেই।

হিমন

ভিন্নমত সহ্য করতে পারা এক বিরাট গুণ। সকল ভিন্নমত উদার দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টায় আছি।

হিমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিবর্তনবাদ সত্যি হলে ধর্মতন্ত্রীরা কোথায় যাবে?

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১৭

১৮৫৯ সালে বিবর্তনবাদের জনক চার্লস ডারউইন যখন বিশ্ব ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেয়া বই অরিজিন অব স্পেসিস প্রকাশ করলেন, সেই সময়ে পৃথিবী এখন থেকে বহু বেশি ধার্মিক ছিল। অপরদিকে বিবর্তনবাদের বিষয়ে আজকে যে অকাট্য সব প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে তার প্রায় কোন কিছুই সেই বইয়ে ছিলনা। কিন্তু দেখা যায় বইটি প্রকাশের পর ১০-১৫ বছরের মধ্যেই বিবর্তনবাদ নিয়ে প্রায় সকল তর্কের সমাপ্তি ঘটে। আন্তর্জাতিকভাবে সব বিজ্ঞানীই বিবর্তনবাদকে সত্য বলে মেনে নেয় ১৮৭০’ এর দশকেই (সূত্রঃ John van Wyhe-বিজ্ঞানের ইতিহাসবিদ)।

আজকের পৃথিবীর মানুষ ১৮৭০’ দশকের তুলনার অনেক বেশি মুক্তচিন্তার, ধর্মচর্চা থেকেও দূরে। তাছাড়া বিবর্তনের পক্ষে আজ লাখো প্রমাণ থাকার পরেও কিছু মানুষকে এটি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যাচ্ছে। প্রায় দেড়শ বছর আগে মানুষ যেটি প্রায় মেনে নিয়েছিল, সেটি নিয়ে এই আধুনিক যুগে কেন এত সন্দেহ?

শত শত বছর ধরে মানুষ বিশ্বাস করে এসেছে যে আসমানী কোন বায়বীয় কল্যাণী শক্তি এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড, মানুষ, প্রাণি সৃষ্টি করেছে। সপ্তদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি আইরিশ আর্চবিশপ জেমস উশার গুনে গুনে পৃথিবীর বয়স বের করেন। তিনি বলেন পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে খৃষ্টপূর্ব ৪০০৪ সালে। শুধু তাই নয়, দিনক্ষণ ছিল ২২ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬ টা। তাঁর হিসেবে পৃথিবীর বয়স এখন ছয় হাজার ছাব্বিশ বছর। এই হিসাব তিনি করেছিলেন কোরানপূর্বক সব ধর্মগ্রন্থগুলোতে বর্ণিত আদম-হাওয়া থেকে শুধু করে যে সমস্ত প্রজন্মের(Generation) কথা বলা হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে। ধর্মগন্থগুলোর উপর যাঁদের বিশ্বাস আছে সকল ধর্ম নির্বিশেষে তাঁরা সবাই মোটামুটি পৃথিবীর এই বয়স মেনে নেয়(কেউ কেউ অবশ্য এটিকে দশ হাজার বছরও বলে থাকে)।



বিশ্বাসীদের জন্য যেমন আছে ধর্মগ্রন্থ, বিজ্ঞানীদের জন্য আছে ফসিল (Fossil বা জীবাশ্ম)। ফসিল হল কোটি কোটি বছরে প্রাণী বা উদ্ভিদ মাটির সাথে মিশে পাথরে পরিণত হয়েছে এমন ধরনের পদার্থ কে বোঝায়। বিজ্ঞানীরা প্রাগৈতিহাসিক যুগের উদ্ভিদ ও প্রাণীর ধ্বংসাবশেষের চিহ্ন ভূগর্ভের স্তরে স্তরে খুঁজে পেয়েছেন এবং এখনো পেয়ে চলেছেন। উইকিপিডিয়া বলছে, অধিকাংশ জীবিত প্রাণীকুলেরই জীবাশ্ম সংগৃহীত হয়েছে। এছাড়াও, অনেক প্রজাতিরই জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছে যারা পৃথিবীতে বর্তমানে বিলুপ্ত। ৩৪০ কোটি বছর থেকে দশ হাজার বছর পূর্বেকার তুষার যুগের প্রাণী ও উদ্ভিদদেহের ধ্বংসাবশেষ জীবাশ্মরূপে বিজ্ঞানীদের কাছে সংরক্ষিত আছে। ফলে দেখা যাচ্ছে, ধর্মগ্রন্থগুলো থেকে পৃথিবীর বয়সের যে ধারণা পাওয়া যায়, প্রকৃতপক্ষে এর বয়স তা থেকে শুধু বেশিই নয়, সেটি বিলিয়নের ঘরে।

কার্বন ও তেজস্ক্রিয় পরীক্ষার মাধ্যমে যেকোন ফসিলের বয়স প্রায় নির্ভুলভাবে বের করা যায়। সেটি করতে গিয়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, পৃথিবী, মানুষ বা প্রাণী সৃষ্টির যে ধারণা এতকাল মানুষ জেনে এসেছে ধর্মগ্রন্থের সহায়তায়, তার কোন কিছুই প্রাপ্ত ফসিলের বয়সের সাথে মিলছে না। যেমন ধরুন, মানুষের মাথার খুলি, মেরুদণ্ড বা অন্যান্য হাড়গোড় পাওয়া গেছে কিন্তু সেগুলো ঠিক বর্তমান মানুষের গঠনপ্রকৃতির সাথে সঙ্গতপূর্ণ নয়। হয়ত মুখের চোয়াল একটু বড়, বা মষ্কিষ্কের আকার একটু ছোট, অথচ ডিএনএ-র গঠন প্রায় একই। আজকের মানুষই যদি একমাত্র মানুষ হয়ে, তাহলে এই ফসিলগুলো কার? এ থেকে প্রমাণিত হয়, মানুষের বহু প্রজাতি এসেছে, আবার বিলীন হয়ে গেছে, বর্তমান মানুষের আদিরূপ কিছুটা ভিন্ন আকারে লাখো বছর আগে এই পৃথিবীতে বিচরণ করেছে। এবং এসব একেবারে প্রমাণিত সত্য।

অসুখ বিসুখ হলে ডাক্তারের কাছে যেতেই হয়, কারণ আমাদের রোগশোকের বিষয়ে সুদীর্ঘ পড়ালেখার পর ডিগ্রী নেই। সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, অধিকাংশ বিজ্ঞানীরই গবেষণার বিষয় বিবর্তন নয়। এ নিয়ে গবেষকের সংখ্যা খুবই কম। কিন্তু বিবর্তন মেনে নেওয়া নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে তেমন দ্বিমত নেই। একারণে বিবর্তন নিয়ে এটির গবেষকেরা যা বলছে সেটা মেনে নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে, কারণ বিষয়টি নিয়ে তাঁরাই জেনেছে-বুঝেছে। এখন বিবর্তন সত্য হলে ধর্মগ্রন্থগুলো আরব্য রজনীর সেই গল্পের মত কাল্পনিক আর বানোয়াট হয়ে যায়। তাহলে ধার্মিকরা কী বিশ্বাস করবেন?

সেকথা বলার আগে শিরোনামে ধার্মিক না বলে ধর্মতন্ত্রী বলেছি কেন সেটি বলে নিই। ময়মনসিংহের মত মফস্বল শহরের এক ভুলে যাওয়া বিদগ্ধ বুদ্ধিজীবী যতীন সরকার ধার্মিক আর ধর্মতন্ত্রীর পার্থক্য করে বলেছিলেন, ধর্মে বিশ্বাসী মাত্রই ধার্মিক কিন্তু এটি নিয়ে যারা রাজনীতি করে তাঁরাই ধর্মতন্ত্রী। বিবর্তন নিয়ে সাধারণ ধার্মিকদের কোন সমস্যা নেই। কিন্তু গত হপ্তা কয়েক ধরে প্রতি শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর বিবি বাচ্চাদের সাথে খানা খাওয়া বাদ দিয়ে বায়তুল মোকারমের সামনে বুলবুলি মোল্লাদের মত সফেদ পোশাক পরে যারা হৃদয়ের সমস্ত অনল উগরে দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থায় বিবর্তন তত্ত্ব বাদ দেয়ার হুমকি দিয়ে চলেছেন তাঁরাই ধর্মতন্ত্রী। ওঁদের জন্যে একটা পরামর্শ আছে। নব্বই দশকের শেষের দিকে ভাটিকানের পোপও বিবর্তন মেনে নিয়ে বলেছেন যে সৃষ্টিকর্তাই বিবর্তনের মাধ্যমে আজকের মানুষ সৃষ্টি করেছেন। বাংলার মোল্লারাও একই কথা বলে ধর্মসেবা করতে পারেন। আজ থেকেই বলা শুরু করে দিন যে, বিবর্তন অবশ্যই সত্য, এর মাধ্যমেই এক কোষী প্রাণি থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন বছরে সৃষ্টিকর্তাই মানুষ সৃষ্টি করেছেন। তাঁদের তো প্রমাণের দরকার নেই, তাঁদের শুধু বিশ্বাস করা দরকার। আদম-হাওয়া ধপাস করে আকাশ থেকে পড়েছে, সেটি বিশ্বাস করতে কি কোন প্রমাণের দরকার পড়েছিল?


বার্লিন থেকে
জাহিদ কবীর হিমন
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৩৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এখন ধর্মতন্ত্রীদের কাজ হচ্ছে নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থ গবেষণা করে বিবর্তনের পক্ষে প্রমাণ খুঁজে বের করা।

২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআনে পৃথিবী বা বিশ্বজগতের সৃষ্টি কত আগে হয়েছে এই ব্যাপারে কিছু বলা নাই। মুলত বাইবেল বা অন্য ধর্মগ্রন্থ থেকে গবেষকরা এই তথ্য পেতে পারেন।

বিবর্তনবাদ সত্য হলেও আদম হাওয়া ধপাস করে আকাশ থেকে পড়তে পারেন। যেমন আল্লাহ এখন চাইলে বর্তমান মানুষের পরবর্তী সংস্করণের সাথে মিল রেখে আরেক জোড়া আদম হাওয়া ধপাস করে ফেলতে পারেন। এখন থেকে ৫০ হাজার কোটি বছর পরের বিজ্ঞানীরা ভাববে বর্তমান মানুষ থেকেই এই নতুন সংস্করণ এসেছে কারণ বিবর্তনের সূত্র অনুযায়ী কিছু মিল পাওয়া যাচ্ছে। বিবর্তনবাদ বিশ্বাসীদের জন্য কোন সমস্যা না। কারণ আল্লাহতালা বিবর্তনের সাথে সঙ্গতি রেখেও আদম হাওয়াকে আকাশ থেকে ধপাস করে ফেলতে পারেন।

৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৫৯

ঈশ্বরকণা বলেছেন: হিমন,
আপনি আর ব্লগের বিবর্তনবাদী স্পেশালিস্টরা কিন্তু কখনো ভাবেননি যে বিবর্তনবাদ আর মনোলিথিক ধর্মগুলোর মানুষ সৃষ্টির ইন্টারপ্রিটেশনটা একই সাথে সত্যি হতে পারে তাই না? মেইনাস্ট্রিম বিজ্ঞানীদের কাজ আছে এই বিষয়ে।সমস্যাটা হলো আপনারা বিজ্ঞান জানেন বলে দাবি করেন কিন্তু এই বিষয়ে বিজ্ঞানের আধুনিক ইন্টারপ্রিটেশনগুলো কখনোই জানেন না বা জানতে চান না।আগে সেগুলো একটু পড়ুন ।আগে তারপর না হয় এই লেখা রিভাইজ করুন কোনো অসুবিধে নেই । ইসলাম বা মনোথিইস্ট অন্য ধর্মগুলো আদমের (আঃ)সৃষ্টি আর মানব সভ্যতার শুরু নিয়ে যা বলছে সেটা খুবই সম্ভব আর সেটা সত্যি হতে কোনই বাধা নেই। অন্তত এই ইন্টারপ্রিটেশনে বিজ্ঞান আর ধর্মের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব তো আমি দেখি না।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৪৪

হিমন বলেছেন: বিবর্তনবাদ আসলে কি, সহজ ভাষায় আপনি যদি সেটি নিয়ে পড়েন আর জানেন, দেখবেন মানুষ সৃষ্টির যে কাহিনি আমরা ধর্ম থেকে জেনে এসেছি তার সাথে কোন মিলই নেই। কিন্তু আমার আগ্রহ হচ্ছে জানতে যে আপনি বিবর্তনের মাধ্যমে এই জগতের সকলকিছুর সৃষ্টি, আর আদম হাওয়ার মাধ্যমেই মানবজাতির শুরুর মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখছেন না কেন? মিলটা কোথায়?

৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

জীববিজ্ঞান চিকিৎসা বিজ্ঞান তথা বিজ্ঞানের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে ব্যবহার করেও একদল মানুষ বিজ্ঞানকে অস্বীকার করে বিজ্ঞানমনস্ক ব্যক্তিদের ঘৃনা করে।

৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৫০

আঁধার রাত বলেছেন: আমি আপনার কথা চিন্তা করছি। আপনি যে বানরের বংশধর হয়ে যাবেন।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৪৫

হিমন বলেছেন: :D

৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: খুবই সুন্দর একটা লেখা লিখেছেন।

৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:২৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আদমের (আ) সাথে বিবর্তনের সম্পর্ক কি? আদম (আ) তো পৃথিবীর বাসিন্দা ছিল না। আদম (আ) তো অন্য স্থান থেকে এসেছেন। আমি বিশ্বাস করি আমি আদমের (আ) বংশধর। আপনি যদি আদমের বংশধর না হয়ে থাকেন তাহলে আপনার সাথে আমার জাতিগত ভিন্নতা রয়েছে। আর বিবর্তনবাদ পৃথিবীর কোন কাজে লাগে? অপ্রয়োজনীয় একটি বিষয় নিয়ে এত মাতামাতির কি আছে?

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৫০

হিমন বলেছেন: আদম হাওয়া থেকে মানবজাতির শুরু এটা জানাটা পৃথিবীর কী কাজে লাগে? কিছুই না। অপরদিকে যুগ যুগ গবেষণা করে, নানা তত্ত্ব ও তথ্যের সম্মিলন ঘটিয়ে, পুনরায় সেগুলো ভুল প্রমাণ করে নতুন তত্ত্ব হাজির করার মাধ্যেম বিজ্ঞান মানুষকে মানুষের ইতিহাস জানতে সাহায্য করছে, লক্ষ কোটি বছর আগের পৃথিবীর পরিবেশ-প্রতিবেশ সম্পর্কে জানাচ্ছে, এতে মানবজাতির জন্যে শুধু কল্যাণই রয়েছে, কোন অকল্যাণ নেই।

৮| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বিবর্তনকে ধর্মের সাথে কম্বাইন করা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আর কয়েক বছর পর ধার্মিকরা আর বিবর্তনকে অস্বীকার করবে না।

৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৪৬

ঈশ্বরকণা বলেছেন: নূর আলম হিরণ,
আদমের (আঃ) 'ডি নুয়েভো ক্রিয়েশন' বা ঐশ্বরিক সৃষ্টি আর বিবর্তন একই সাথে সত্যি হতে পারে ।এ'রকম খুব সাম্প্রতিক ইন্টারপ্রিটেশন কিন্তু আছে মেইনস্ট্রিম বায়োলোজিস্টদের মধ্যে থেকেই । কম্পিউটেশনাল বায়োলোজিস্টরা এই সিমুলেশনও করেছেন যেখানে দেখানো হয়েছে এক আদম (আঃ)আর হাওয়া (আঃ) থেকেই ইসলাম আর অন্য মনোথিইস্ট ধর্মগুলো যেমন বলছে তেমন আধুনিক মানুষদের উদ্ভব সম্ভব । এর মধ্যে খুব সামান্যই এডজাস্টমেন্টের বাকম্বাইন করার ব্যাপার আছে।এ ব্যাপারে কি কিছু কখনো পড়েছেন না শুধু বিবর্তন বইয়ে পড়েছেন বলেই সব সময় বিবর্তন সত্যি আর ইসলাম আর অন্য মনোথিইস্ট ধর্মগুলোর মানব সৃষ্টির ধারণা মিথ্যে সেটা বলছেন ? আপনাদের ডারউইনিয়ান থিওরির ব্যাপারটা একটু এক্সটেন্সিভলি চিন্তা করা দরকার।মুশকিল হচ্ছে আপনারা সেটা করছেন না,ভাবছেনও না, আর পড়ছেন তো নাই । সেই একই প্রাচীন কথা বলে যাচ্ছেন বিবর্তন সত্যি আর ধর্ম মিথ্যে !

১০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:২২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: তবে বিবর্তন নিয়ে কিন্তু ডারউইনের বহু বছর আগেই মুসলিম বিজ্ঞানীরা ধারণা দিয়ে গিয়েছিলেন।
বিবর্তন তত্বে মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদান

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৫৬

হিমন বলেছেন: খুবই ইন্টারেস্টিং। তবে লেখাটি লিংকে ভরা, তবু ভাল লাগলো

১১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:২৫

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: কোথাও যাবে না, ঠিক যেমন গতকালের বিজ্ঞান আজকে ভুল হলেও লম্ফজম্ফকারী বিজ্ঞানতন্ত্রীরা কোথাও চলে যায় না। বিবর্তন এক লাইনের বা দ্বিমিক কোনো ধারণা না, পরিবেশ এবং সময়ের সাথে গায়ের রঙের পরিবর্তন আর বানরের লেজ খসে মানুষের আগমন একই জিনিস না। কাউকে জেনারেলাইজড মার্জিনালাইজ করার দরকার নেই।

১২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৪

বিটপি বলেছেন: কথা সত্যি হয়, কোন থিওরী সত্য বা মিথ্যা হয়না। থিওরী বা তত্ত্ব হয় সঠিক অথবা ভুল। আপনার শিরোনাম হওয়া উচিৎ ছিল "বিবর্তনবাদ সঠিক হলে........"

বিবর্তনবাদকে কেউই অস্বীকার করেনা। এটি নিউটনের মাধ্যাকর্ষন সূত্র আবিষ্কারের মতই প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব। কিন্তু এই তত্ত্ব উপস্থাপনে কিছু ভুল ভ্রান্তি আছে - মূলত সেটি নিয়েই বিজ্ঞানীদের মধ্যে দ্বিমত আছে।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৫৭

হিমন বলেছেন: ধন্যবাদ

১৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২৩

রানার ব্লগ বলেছেন: মজাদার কিছু কমেন্ট আসছে । নজরে রাখছি দেখি আর কি কি কমেন্ট প্রসব হয় !!

বিবর্তনবাদ নিয়ে আমার ব্যাক্তিগত কোন সমস্যা নাই আর সৃস্টিকর্তা যদি আদম কে পৃথিবীতে কোন পডে করে পাঠায় তাতেও সমস্যা নাই ।

১৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৫০

বিষাদ সময় বলেছেন: ভাল লিখেছেন। বিবর্তনবাদ বা ধর্ম কোন কিছু নিয়েই আমার কোন এলার্জি নাই। বিবর্তনবাদ যদি সত্যও হয় তারপরও তার দ্বারা সৃষ্টিকর্তা আছেন বা নাই তার কিছুই প্রমাণিত হয় না। আমার জানামতে কোন এককোষী প্রাণী থেকে আজ পৃথিবীতে এত ধরণের প্রাণী সৃষ্টি হয়েছে বলে বিবর্তনবাদে ধারণা করা হয় এবং এই কোষী প্রাণীটি সৃষ্টি হয়েছিল আদি পৃথিবীর নানা প্রাকৃতিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ায়। কিন্তু বিজ্ঞানীরা অনেক চেষ্টা করেও ল্যাবরেটরিতে কোন এক কোষী প্রাণী সৃষ্টি করতে পারেননি। কাজেই আমি যতটুকু জানি প্রাথমিক প্রাণ সৃষ্টির রহস্যটা বিজ্ঞানীদের কাছে এখনও অজানাই রয়ে গেছে। ধন্যবাদ।

১৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

১৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:১০

কামাল১৮ বলেছেন: জেনেসিসি থেকে এই আদম হাওয়ার বিষয়টা প্রথম লিখিত আকারে পাওয়া যায়।অন্য কোন সভ্যতা থেকে এটা জানা যায় না।এই ঘটনাটা টেনে টুনে ছয় সাত বছরের বেশি হবে না। চৈনিক সভ্যতা ছিল মায়া সভ্যতা ছিলো তাদের তো আদম হাওয়া নাই।তারা আসলো কোথা থেকে।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৫৮

হিমন বলেছেন: খুবই ইন্টারেস্টিং প্রশ্ন আপনার! ধন্যবাদ

১৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:১২

কামাল১৮ বলেছেন: জেমেসিস হবে।

১৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৫০

অনামিকাসুলতানা বলেছেন: ধর্মতন্ত্রী রা যখন বিজ্ঞা ন বিষয়ে ক থা বলতে আসে তখন খুবই অবাক হয়।

১৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: বিবর্তনতন্ত্রীদের জালিয়াতি চক্রে পড়ে প্রকৃত বিবর্তন পথভ্রষ্ট হচ্ছে। এই যেমন লুসি। মানুষের মিসিং লিংক। লুসি ডিএনএ টেস্ট করেতে চেয়েছিলো বিবর্তন বিরোধী বিজ্ঞানীরা। কিন্তু ডিএনএ টেষ্ট করা হয় নাই। এমন অসংখ্য জালিয়াতি বিবর্তনবাদকে মিথ্যার বেসাতি দিয়ে ঢেকে দিয়েছে প্রকৃত সত্য থেকে দুরে রেখেছে। মােইক্রো এ্যাভুলেশন ঘটে কিন্তু ম্যাক্রো এ্যাভুলেশন ঘটার সম্ভাবনা খু্বই কম। বিবর্তনবাদ এখনও ফ্যাক্ট হতে পারে নাই। কারন ম্যাক্রো এ্যাভিলুশেন সম্ভব নয়। ম্যাক্রো এ্যাভুলেশন ঘটতে গেলে প্রোগ্রামিং পরিবতর্নের প্রয়োজন পড়ে। কোন মিউটেশন প্রোগ্রামিং পরিবর্তন করে না। বির্বতনের ধারাকে অব্যাহত রাখে মাত্র। এটা অনুমানকৃত। যার কোন এভিডেন্স নেই। একজন ডিজাইনারই তার ডিজাইন চেঞ্জিং এর জন্য প্রোগ্রামিং পরিবর্তন করতে পারে সৃষ্টি সময়ের নির্দীষ্ট সময় পর পর। হাত থেকে পাখা হতে পারে না। হাত বড় বা ছোট হতে পারে। একজন প্রোগ্রামারই কেবলমাত্র জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা প্রোগামিং পরিবর্ত ন করে হাত কে পাখা বানাতে পারে। এমন এভিডেন্স অনেক আছে।একটি ছবি তুলে ধরলাম। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে বিবর্তনের মাধ্যমে কিভাবে ডাইনোসর থেকে পাখির উদ্ভব হতে পারে!!!!!!!!! এই বিবর্তন যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে কেন লক্ষ লক্ষ ফসিল আবিষ্কারের পরও আজ পর্যন্ত এমন কোন ডাইনোসরের ফসিল পাওয়া যায় নি যার দেহে পাখির মত ডানার লক্ষণ প্রকাশ পায়??????? বিবর্তন লক্ষ লক্ষ বছর সময় ধরে চলে। তাই একটি প্রানি থেকে আরেকটি প্রানিতে বিবর্তনের মাঝামাঝি সময়টাতে এমন অনেক প্রানির অস্তিত্য এর প্রমান পাওয়া উচিত যেগুলোর মাঝে বিবর্তন পূর্ববর্তী এবং বিবর্তন পরবর্তী উভয় সময়ের প্রানিদেরই কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য পাওয়া যাবে।

কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ পর্যন্ত নাস্তিক্যবাদ বিজ্ঞান এমন কোন ফসিলেরই সন্ধান দিতে পারে নাই যা বিবর্তন প্রমান করে। তাই নাস্তিকরা বাধ্য হয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন সময়ে।

বিবর্তনবাদ সত্য কিন্তু এটার গভীরের বিষয়গুলো অনুপস্থিত বলেই এত সমালোচনা। আর ডারউইন প্রথম বিবর্তনবাদ প্রতিষ্ঠিত করে নাই। ডারউইনের ১০০০ বছর পূর্বে আল জাহির বিবর্তনের সম্ভবনার কথা আল কোরআন থেকে তুলে ধরেছিলেন। অসংখ্য আয়াত ও হাদীস তুলে ধরেছিলেন।

তাঁর নাম أبو عثمان عمرو بن بحر بن محبوب بن فزارة الليثي الكناني البصري (159 هـ-255 هـ) আবু ওচমান আমর ইবনে বাহার ইবনে মাহবুব ইবনে ফাজারা আল বছরি আল কিনানি আল লাইচি। তিনি প্রায় দুইশতের মত কিতাব লিখেছেন। এর মধ্যে কিতাবুল হাইওয়ান নামে অনেক বড় একটি কিতাব আছে। যেই কিতাবের উদ্ধৃতি বিবিসি বাংলাতেও দেয়া হয়েছে। সেই কিতাবে তিনি প্রায় সাড়ে তিনশতটির মত প্রাণীর জীবনরীতি ও স্বভাব-চরিত্র বর্ণনা করেছেন। অনেকগুলো কোরান হাদিসের উদ্ধৃতিও এনেছেন। তার সেই কিতাবকে উদ্ধৃত করে ১৯৮৩ সালে এক তুর্কি গবেষক মেহমিত বিরকদার Mehmet bayrakdar কিছু প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন al-jahiz and the rise of biological evolution নামে। সেখানে তিনি দাবী করেছিলেন যে,আল জাহিজ ডারউইনেরও এক হাজার বছর আগে বিবর্তনবাদের প্রবর্তন করেছিলেন। আল জাহিজ তাঁর রচিত কিতাবুল হাইওয়ানে একটি অধ্যায় এনেছেন دلالة المخلوق على الخالق নামে। অর্থাৎ সৃষ্টি তার স্রস্টার প্রমাণ বহন করে। এতে প্রমাণিত হয় তিনি সেই বিবর্তনবাদে বিশ্বাস করতেন না যা সৃষ্টিকর্তাকে অস্বীকার করে। তবে তার রচনায় এমন কিছু আছে যা পশ্চিমা বিবর্তনবাদের সমর্থক না হলেও মোটামুটি ধরণের বিবর্তনের ইংগিত বহন করে। তাঁর কিবাগুলোর উপর আরো বেশি গবেষণা হওয়া দরকার।
তিনি বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের শারীরিক গঠনের পার্থক্যের জন্য ভূপ্রকৃতিকে দায়ী করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, পরিবেশের প্রভাবে মানুষ কিছুটা আল-মাস্কে পরিণত হচ্ছে। আল-মাস্ক শব্দের প্রকৃত অর্থ ‘ব্যক্তির বাহ্যিক গড়নে পরিবর্তন ‘। মানুষের বানর ও শূকরে পরিণত হওয়া নিয়ে কুরআন-হাদিসে এই শব্দ বহুবার ব্যবহৃত হয়েছে। আল-মাস্খ শব্দটি নেতিবাচক অর্থ প্রকাশ করে। যেমনঃ distort, disfigure। অর্থাৎ এমন পরিবর্তন বুঝায়, যা খারাপ। আমার মতে, আল-মাস্খ শব্দটি devolution অর্থে মিউটেশন শব্দের সমার্থক। আল জাহিজ মনে করতেন যে,পরিবেশের প্রভাবে মানুষের মুখ কিছুটা বানরের মত হয়ে যেতে পারে, অথবা নাক শূকরের মত হয়ে যেতে পারে। কিন্তু বানর এক সময়ে মানুষ হয়ে যেতে পারে, এটা তিনি বলেন নি। কারন হিসাবে সহজে অনুমান করা যায়। আর তিনি একথাও বলেন নি যে, মানুষ বানর জাতীয় প্রাণী থেকে এসেছে।

Without doubt, we have seen that some nabatheen navigators resembled the ape in some geographical environment, likely we have also seen some’ people from Morocco and have found, them as like as aI-maskh, except for a little difference.. . And it is possible that the polluted air and water, and dust made this change in the character of these Moroccans. .. if this effect goes on more and more in them, those changes in their bristles, ears, colours, and form (similar to the ape) increase more
সুতরাং, আল জাহিজ মূলত আধুনিক ‘নিপুণ নকশা’ তত্ত্বের প্রবর্তক।

এবার আসি আল কোরানে। আল কোরানের সাথে বিবর্তনের কোন সংঘাত নেই। সূরা আম্বিয়ার তিরিশ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, "প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম।" আবার বলা হচ্ছে “ (২৪ : ৪৫) অর্থ:- আল্লাহ্ সকল প্রকার প্রাণীকে সৃষ্টি করেছেন পানি থেকে। তাদের কতক বুকে ভয় দিয়ে চলে, কতক দুই পায়ে ভর দিয়ে চলে এবং কতক চার পায়ে ভর দিয়ে চলে; আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম। - এই আয়াতটি লক্ষ্য করুন বিবর্তনের প্রকৃতি তুলে ধরেছেন। পানি থেকে প্রান এর সৃষ্টি। তারপর উভচর জাতীয় বুকে ভর দেওয়া প্রাণি। তারপর দু পায়ে ভর দেওয়া প্রানি বা ডাইনোসর জাতীয় প্রানি। তারপর চার পায়ে ভর দেওয়া প্রাণি। এই চার পায়ে ভর দেওয়া প্রানির মধ্য থেকে একটি শ্রেনি মানুষ। কিন্তু এই বিষয়টি উল্লেখ করা হয় নাই। পানি থেকে যখন পা বিহীন বুকে ভর দেওয়া প্রানিরা ডাঙ্গায় উঠতে শুরু করলো। ধীরে ধীরে নতুন রুহু সমাগত করা হলো। নতুন ডিজাইন। শুরু হলো দুই পায়র প্রানি বা ডাইনোসর। এখান থেকেই পাখীর উদ্ভব বলা যেতে পারে কিন্তু কোন এভিডেন্স নেই। পরবর্তীতে মহা প্রলয় ডাইনোসর যুগ শেষ হলো সৃষ্টি হলো চার পায়া প্রানির যুগ। এমন কোন মিউটেশন ব রুহু চেন্জ সৃষ্টি হলো নতুন নতুন ডিজাইন।

এই সকল কিছু ঘটোছে রুহু বা ইনফোরমেশন পরিবর্তনের মধ্যে বা জেনিটিক চেঞ্জের মাধ্যমে।

পরিশেষে বলি ডারউইনের বিবর্তনবাদের বিরোধীতা ন করলেই নয়। আপনা আপনি সৃষ্টির বিরোধীতা না করলে হয় না। বিবর্তন আল কোরআনই মানবজাতিকে শিখিয়েছে। শিখিয়েছে আল জাহিরের মাধ্যমে। ডারউইনের বিবর্তনে কৃতিত্বের কিছু নেই। চুরি করা বক্তব্য। শুধু প্রৃাকৃতিক নির্বাচনটাই নতুন কিন্তু এটা গ্রহণযোগ্য নয় বিবর্তন ঘটেছে স্রশ্টার নির্দশনায়।

২০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:০৫

হিমন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই আপানর মন্তব্যের জন্যে। অনেককিছু জানতে পারলাম

২১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:১০

ঈশ্বরকণা বলেছেন: হিমন,
মিলটা কোথায় দেখলাম ? মিলটা আছে। বিবর্তন আর ইসলামের আদম স্রষ্টি আর মানব সৃষ্টির বর্ণনাতে পুরোই মিল আছে । এ নিয়ে আমার দরকারি পড়াশোনাও আছে ।সেটা আর বেশি করার দরকার আছে বলে মনে হয় না ।কারণ আমি এ নিয়ে মেইনস্ট্রিম বায়োলোজিস্টদের রিসেন্ট রিসার্চগুলো খুব ভালোই জানি ।রিসেন্ট মেইনস্ট্রিম বায়োলোজিস্টদের রিসার্চের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণেই এই মিলগুলোর কথা আছে। যারা আদমের সৃষ্টি থেকে আধুনিক মানুষের উদ্ভবের কুরআনিক ব্যাখ্যা আর বিবর্তনকে সাংঘর্ষিক বলছেন তাদের বিশ্লেষণের সীমাবদ্ধতা অসাধারণ ! সে জন্যই এরা একটা ক্লোজড ভিশণ থেকে সেই মিলটা দেখতে পায়নি অরিজিন অফ স্পিসিসের পাবলিকেশনের পর থেকেই । এই নিয়ে এই ব্লগের শুরু থেকেই ইসলামে বিদ্বেষী কিছু ব্লগারের ইসলাম বিরোধী লাগামহীন অবস্থান খুবই ইডিয়োটিক ।এরা যে পড়াশুনা কিছু করে না সেটাই এদের কথাবার্তা থেকে পরিষ্কার । আমি এই ব্যাপারটাই দেখতে চাইছি যে মনোথিইস্ট ধর্মগুলোর আদম সৃষ্টির ব্যাখ্যা আর মডার্ন সাইন্সের বিবর্তনের বিষয়ে যে কোনো দ্বন্দ্বই নেই এই ব্যাপারটা আমাদের ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগাররা কটুকু জানেন বা বোঝেন ।সেজন্যই এ নিয়ে এখন কিছু বলছি না । বুঝতে পারছি এ বিষয়ে বায়োলোজিস্টদের রিসেন্ট রিসার্চগুলো নিয়ে আমাদের ব্লগারদের কোনোই জ্ঞান নেই কিন্তু ব্লগ শুরু দিন থেকেই এরা চেঁচামেচি করেই যাচ্ছে কুরআনের (এই ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগারগুলো বেশির ভাগ সময়ে তোরার ক্রনিকল বা হিব্রু বাইবেলের জেনেসিসের কথা বলেও না যে এগুলো এ'বিষয়ে কি বলছে) আদম সৃষ্টির ব্যাখ্যা ভুল আর বিবর্তনই সত্যি । হোয়াট এ পিটি ।

২২| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:০৫

কোডার বলেছেন: বিবর্তনবাদ সত্যি না হলে নাস্তিক রা কোথায় যাবে ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.