নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভিন্নমত সহ্য করতে পারা এক বিরাট গুণ। সকল ভিন্নমত উদার দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টায় আছি।
৩ হাজার ৮'শ বছর আগে খৃষ্টপূর্ব ১৭৬৩ সালে ব্যবিলন শহর, আজকের বাগদাদ শাসন করতেন হামুরাবি। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্যে তিনি ২৮২টি আইন করেন। তাঁর আমলে মানুষ ছিল তিন প্রকার, অভিজাত, সাধারণ ও দাস। হামুরাবির কিছু আইন এমন-
-যদি কোন অভিজাত আরেক অভিজাতকে আঘাত করে অন্ধ করে দেয়, শাস্তিস্বরূপ তাকেও অন্ধ করে দিতে হবে
-যদি কোন অভিজাত আরেক সাধারণ মানুষকে আঘাত করে অন্ধ করে দেয়, শাস্তিস্বরূপ তাকে ৬০টি রুপার মুদ্রা দিলেই হবে
-কোন অভিজাত যদি আরেক অভিজাত নারীকে আঘাত করে তাঁর গর্ভস্থ ভ্রূণ নষ্ট করে দেয় তাহলে ১০টি রুপার মুদ্রা দিতে হবে, কিন্তু ওই নারীর মৃত্যু হলে আঘাতকারীর কন্যা সন্তানকে হত্যা করতে হবে, পুত্রসন্তানকে হত্যা করা যাবে না
-কোন অভিজাত যদি আরেক অভিজাত মানুষের দাসীকে আঘাত করে তাঁর গর্ভস্থ ভ্রূণ নষ্ট করে দেয় তাহলে ২টি রুপার মুদ্রা দিলেই হবে।
এরকম প্রায় ২৮২টি আইন করে হামুরাবি লেখেন, “এগুলুই হল সত্য ও সঠিক পথে চলার জন্য প্রতিষ্ঠিত ন্যায়সঙ্গত সিদ্ধান্ত”। সেকালে সৃষ্টিকর্তা ছিলেন তিনজন- আনু, এনলিল ও মারডুক। তাঁদের নাম নিয়ে হামুরাবি আরো লেখেন, আমি সাধারণ মানুষের প্রতি উদাসীন নই, যাঁদের দায়িত্ব দেবতারা আমাকে দিয়েছেন।
আমরা যারা এই যুগে সাম্য সুবিচার আর ন্যায়ের কথা হরদম উচ্চারিত দেখি তাঁদের নিশ্চয়ই হামুরাবির এই অসম আইন দেখে বমনেচ্ছা হচ্ছে। কিন্তু আপনি কি জানেন, এই সেদিন, আজকের বেগম জিয়ার স্বামী সেনাশাসক জিয়া, হঠাৎ একদিন ক্ষমতা দখল করে সংসদে আইন করে দিলেন যে, একাত্তুরের গণহত্যা, ১৫ই আগস্ট বঙ্গবধু হত্যা আর ৩রা নভেম্বরে যে জেলহত্যা সংগঠিত হয়েছে তাঁর কোন বিচার এই বাংলাদেশে হওয়া যাবে না। আজ থেকে এটা একটা আইন। যারা ইসলামি ভাবধারা থেকে বিএনপির প্রতি প্রেমবোধ করেন, তাঁদের কাছে আমার প্রশ্ন, জিয়ার এই আইন প্রায় চার হাজার বছর আগের হামুরাবির আইনের থেকে কতখানি ন্যায়ানুগ?
জিয়া কি এটুকু করেই থেমেছিল? আত্মস্বীকৃত সব খুনীকে নিরাপদে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দূতাবাসে চাকরি দিয়ে রুটিরুজির ব্যবস্থা করেছিল। তারই ধারাবাহিকতায়, বেগম জিয়ার বয়স যেদিন ৫০ হল, সেই ১৯৯৬ সালে, হঠাৎ তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, আজ হতে আর ৫ই সেপ্টেম্বর নয়, তিনি জন্মদিন পালন করবেন ১৫ই আগস্ট। গেল কয়েক বছর হল থেমেছেন যদিও, কিন্তু প্রায় বিশবছর ধরে কী কুৎসিত কী কদাকার আনন্দে মেতে উঠতেন বাঙ্গালি মুসলিমদের এই নেত্রী!
বেগম জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনি কর্নেল রশিদকে বিরোধীদলীয় নেতা করেছিলেন ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে, কারণ অন্য কোন দল সেই একতরফা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। জানলে অবাক হবেন, ২০০১ সালে বেগম জিয়া ক্ষমতায় এসে ১৫ই আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করে খুনি খায়রুজ্জামানকে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে সরাসরি মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেন। এমনকি আরেক খুনি আজিজ পাশাকে মরণোত্তর প্রমোশন দেওয়ার অবিশ্বাস্য নজির গড়েছিলেন তিনি।
ইতিহাসের এই সময় পর্যন্ত, জিয়া পরিবারের এই সীমাহীন নির্দয় নিষ্ঠুরতার পরও জিয়া পরিবারের প্রতি শেখ হাসিনার প্রতিহিংসামূলক কোন আচরণ চোখে পড়ে না। কিন্তু এই দুটি পরিবারের এক হওয়ার দূরতম কোন সম্ভাবনাও চিরকালের জন্যে শেষ করে দিয়েছে যে ঘটনা সেটি ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা। হাসিনা প্রায় পনেরো বছর ক্ষমতায় থেকেও বেগম জিয়ার উপর গ্রেনেড-বোমা তো দূরের কথা, একটি ককটেলও ফুটলো না। আর্জেস গ্রেনেডের তুলনায় জেল জরিমানা যদি অধিক নিষ্ঠুরতা হয়ে থাকে, তবে হাসিনা নিষ্ঠুরই।
বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন শুধুমাত্র নীতিগত দিক থেকে বিবেচনা করলে হবে না, কারণ বাংলাদেশে নীতিকথা শুধু বইয়ে, বাস্তবে নাই। এখানে তাই জোর করে যে টিকে থাকতে পারবে সেই জিতবে। এদেশে কেউ ক্ষমতায় এলে কেউ সেখান থেকে নড়তে চায় না। যেমন বেগম জিয়া দুইবার ক্ষমতায় এসেছেন, এসেই আর সেখান থেকে সরবেন না। কিন্তু দুইবারই জনগণ তাকে নামিয়েছে। কিন্তু এর ব্যতিক্রমও আছে। যেমন প্রথমবার শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসলেন, সংবিধান অনুযায়ী যাকে ক্ষমতা দেয়া দরকার তাকে দিয়ে হাসিনা সরে গেলেন, নির্বাচন হোল, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসলেন। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনার আমলেই রক্তপাতহীন ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া ২বার ক্ষমতায় এসেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার মত সুস্থ গণতন্ত্রচর্চায় ব্যর্থ হলেন কেন? বাংলাদেশে যারা আজকে সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়ে মরছেন, তাঁদের অবশ্যই এই ইতিহাস জানতে হবে। সোজা কথা হল, ক্ষমতায় থাকার যে অপচেষ্টা করে খালেদা জিয়া দুইবার ব্যর্থ হয়েছেন, একই কাজ করে শেখ হাসিনা গত দুই টার্ম টিকে আছেন।
একথা ঠিক ২০১৪ ও ২০১৮ সালের তুলনায় হাসিনা সরকার এইবার বেশ চাপে আছে। আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় দিক থেকেই। আভ্যন্তরীণ চাপকে বিএনপির মত বুর্জোয়া দল কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় যেতে পারবে একথা দুগ্ধপোষ্য শিশুও বিশ্বাস করেনা। আন্দোলন করে কিছু অর্জনের ইতিহাস অন্তত বিএনপির নেই। আমেরিকা অনেক কথাই বলছে, বলতেই থাকবে, কিন্তু একটা দেশের সংবিধান পরিবর্তন করে তত্বাবধায়ক সরকার আনার প্রস্তাব তাঁরা কখনো দিবেনা। সুতরাং হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে। আমি সম্প্রতি দেশ থেকে ঘুরে এসেছি, চলতি পথে উবার ড্রাইভার, চায়ের দোকানে যেচে আলাপ করেছি। বহু মানুষ সরকারের উপর ক্ষুব্ধ কিন্তু একটা মানুষও পাইনি যিনি বিশ্বাস করেন এই সরকারকে হঠানো সম্ভব। দেশে সরকার পরিবর্তনের কোন হাওয়াই নেই। কিন্তু জামাতিদের কতিপয় পেইড লেখক সকালে একবার বিকেলে একবার সরকার ফেলে দিচ্ছে। সেদিন দেখলাম মির্জা ফখরুলের মেয়ের জামাই মানুষকে শুয়োরের বাচ্চা বলে গালি দিচ্ছে, কারণ সাধারণ মানুষ বিএনপির সাথে আন্দোলন করতে রাস্তায় নামছে না।
এদের লেখাজোখা দেখে রবীন্দ্রনাথের একটা কাহিনি মনে পড়ে। দ্বিজেন্দ্রলাল রায় যিনি ধনধান্যে পুষ্পেভরাসহ বহু অসাধারণ গান লিখেছেন, তিনি কবিগুরুর জনপ্রিয়তায় সাংঘাতিক হিংসাতুর হয়ে কবির বিরুদ্ধে প্রচুর লেখালেখি করেন। শুধু তাই নয়, কবিকে চিঠি লিখেও জানান যে তাঁর রচনা কিছুই হচ্ছে না, সব ভুল আর তরুণদের পথভ্রষ্ট করার তাল। জবাবে কবিগুরু বিরাট চিঠি লেখেন, সেখানে বলেন, আপনার লেখায় সত্য নির্ণয়ের আকাংখ্যা নেই, আছে ঔদ্ধত্যের অহংকার। ফেসবুকীয় পরজীবীদের লেখাতেও সত্য আর ন্যায় প্রতিষ্ঠার তাড়না নেই, আছে প্রতিক্রিয়াশীলদের ক্ষমতায় বসাবার বাসনা। যদি থাকে তবে তাঁরা যেন উপড়ে উল্লেখিত ইতিহাসটা মাথায় রাখেন।
ব্যক্তিগতভাবে আমি কি চাই? আমি চাই বাংলাদেশে একটা অবাধ নির্বাচন। এতে যদি শেখ হাসিনার চিরকালের জন্যেও পরাজয় ঘটে তবুও চাই। সত্য আর ন্যায়ের প্রতি পক্ষপাত থাকলে আপনাকেও সেটা চাইতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন আবারো, বাংলাদেশে কি সত্য আর ন্যায়ের ভাত আছে? জিয়া পরিবার শেখ পরিবারের সাথে হামুরাবির মত যে অসম অন্যায় করেছে, হাসিনার পক্ষে কি অতখানি ন্যায়সঙ্গত আচরণ করা সম্ভব যাতে করে তাঁর ক্ষমতা সরে গিয়ে তারই প্রতিপক্ষের হাতে গিয়ে পড়ে? আমার মতে সেটি সম্ভব নয়। তাই যা হওয়ার তাই হবে। রক্তারক্তি হবে, মেরে কেটে যে জিতবে সেই ক্ষমতায় যাবে। এখানে কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ সেই প্রশ্ন অবান্তর।
২৪ আগস্ট ২০২৩
বার্লিন থেকে
জাহিদ কবীর হিমন
২| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৮:৩৩
কামাল১৮ বলেছেন: শেষ লাইনটি বাস্তবতার প্রকাশ।এমনটাই হবে মনে হয়।ভারত চীন রাশিয়া সমর্থন দিবে।আমেরিকা ইউরোপ দিবে না।
৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৩৬
আমি নই বলেছেন: আমি সম্প্রতি দেশ থেকে ঘুরে এসেছি, চলতি পথে উবার ড্রাইভার, চায়ের দোকানে যেচে আলাপ করেছি। বহু মানুষ সরকারের উপর ক্ষুব্ধ কিন্তু একটা মানুষও পাইনি যিনি বিশ্বাস করেন এই সরকারকে হঠানো সম্ভব।
সাধারন মানুষ ভয়ে আছে, আপনার কাছে কেন মনে হল সবাই আপনাকে মনের কথা খুলে বলবে? মানুষ অপেক্ষায় আছে একটা সুযোগের, সুযোগটা পাইলেই বুঝায়া দিবে। সাধারন মানুষতো আর সন্ত্রাসী নয় তাই তাদের সুযোগ ভোট।
আর লাস্ট ১০ বছর ধরে অলিখিত ভাবে আপনার সেই হামুরাবির আইনই এই দেশে চলছে, সতর্কতার সাথে চোখ-কান খোলা রাখলেই বুঝতে পারতেন।
২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০০
হিমন বলেছেন: আপনার কথা অস্বীকার করছি না, হামুরাবির আইনই চলছে। কিন্তু এই দেশে কবে কার আমলে সুশাসন ছিল? যাই হোক, আমার লেখার বিষয় কোন সরকার কতখানি সুশাসন দিয়েছে সেটি ছিল না। একেবারেই ব্যক্তিগত পর্যায়ে হাসিনা ও খালেদা কে কার প্রতি কতখানি জিঘাংসা দেখিয়েছে সেটাই আমার লেখার মূল বক্তব্য। আমি যে অভিযোগগুলো তুলেছি খালেদার বিরুদ্ধে, সেটির সমান হতে হবে না, এর কাছাকাছি একটা অভিযোগ হাসিনার বিরুদ্ধে দেখাতে পারবেন যা সে খালেদার প্রতি করেছে?
৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:১২
রাসেল বলেছেন: সরকার সৎ হলে আন্তর্জাতিক চাপের কথা বিবেচনা করছেন কেন?
৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৪৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: শিরোনামটা এমন দিলে মনে হয় ভালো হতো- যে কারণে আওয়ামীলীগ আবারও ক্ষমতায় থাকছে
দারুণ যুক্তিপূর্ণ পোস্ট, আসলে রাজনীতে জয়লাভই হচ্ছে শেষ কথা, জয়টা কিভাবে আসলো তা কোন কাজের কথা নয়।
আমিও বিশ্বাস করি এই দেশের জনগণ আওয়ামীলগকেই আবাও ক্ষমতায় রাখবে।
৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৫৪
কলাবাগান১ বলেছেন: জামাতি-রাজাকার রা এখন সুশাসন সুশাসন বলে মুখে ফেনা তুলছে........তারা যখন 'ক্ষমতায়' ছিল সুশাসন মানেই ছিল ৬৪ জেলায় একযোগে বোমা হামলা
৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:১৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ সঠিক বলেই মনে হয়।
৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: শেখ হাসিনা ক্ষমতা ভালোবাসেন। তার কছে দেশের চেয়ে বেশি প্রিয় ক্ষমতা।
২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৬
হিমন বলেছেন: ক্ষমতাঘৃণা কবে কার ছিল। কিন্তু ইতিহাসে একবার মাত্র রক্তপাতহীন ক্ষমতা হস্তান্তরিত হয়েছিল, তা হাসিনার হাত ধরেই। বেগম জিয়া দুইবার ক্ষমতায় এসে দুইবারই কেন ঝামেলা করলো সে প্রশ্ন কিন্তু সচেতন জনগণ করে।
৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৬
রানার ব্লগ বলেছেন: পর্যবেক্ষণ সঠিক । জনগন এখন আর কোন দলের হৈচৈয়ের মধ্যে নাই । সেইদিন দেখলা ফখরুল আফসোস করে বলছে কেনো সাধারন মানুষ রাজপথে নামছে না । ফখরুল সাহেবের এই আফসোসের একটাই উত্তর মানুষ আর জ্বলন্ত উনন থেকে ফুটন্ত তেলে পরতে চায় না। ক্ষমতার প্রশ্নে যাহা লীগ তাহাই দল ।
১০| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:০১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এদেশের আজকের এই নির্বাচন ব্যবস্থার জন্য সবচেয়ে বেশি দেয় বিএনপি। তারা এই দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে সবচেয়ে বেশি কলঙ্কিত করেছে।
১১| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৩৩
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার লেখায় অনেক সত্যকথন আছে। ব্লগে রাজনীতি বিষয়ে তেমন ভালো লেখা চোখে পড়ে না। আপনার লেখাটি ভালো লাগলো।
১২| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৮:২১
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার এই লিখা ৮ টা লাইক পেয়েও আলোচিত পাতা থেকে সরে গেল ২ টা লাইক পাওয়া পোস্ট কে সর্বাধিক লাইক প্রাপ্ত পোস্ট দিয়ে। আপনার পোস্ট আলোচিত পাতায় ছিল যখন বাংলাদেশে গভীর রাত.....
১৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
২৮ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ২:৫২
হিমন বলেছেন: তা কি জানলেন?
১৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৮:৪৭
শার্দূল ২২ বলেছেন: অনেক সুন্দর অল্প কথায় অনেক কিছু উঠে আসছে, তবে এই কথা গুলো যারা বুঝবে তারা বিএনপি জামাতে নেই। এটাই আমাদের দেশের বড় সমস্যা, জন্মের সময় যেন নির্দিষ্ট দলের থাপ্পা পাছায় লাগিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। পরিবর্তন হবেইনা। আপনার লেখায় যুক্তিক নিরপেক্ষতা আছে।আমি আবার এভাবে বলতে পারিনা, আমি সরাসরি বলতে পছন্দ করি ভোট উঠিয়ে আরো ১৫ বছর এই সরকারকে দায়ি্ত্ব দিলে শেখ হাসিনার ভিতের ভালো চিন্তা গুলো কাজে পরিনত করার সুযোগ পাবে। সে জানে তার দলে কারা কারা দুর্নীতি করছে। ওদের সায়েস্তা করতে পারবে। ভোটের ভয়ে শেখ হাসিনা কিছু শাপের লেজে পা দিতে পারছেনা। ব্যবসায়ী এবং পরিবহন মাফিয়াদের কিছু সুযোগ দিয়ে দেশের শরীর তাদের নখের আঘাৎ থেকে বাঁচাতে চাইছে মাত্র।
তবে হাসিনা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে স্যান্টমার্টিন নিয়ে, এটা ইউএসএ চায়, চিনকে ধরতে না, খোদ ভারতকে চাপে রাখতে, আসাম মিজোরাম মনিপুর সম্প্রদায়কে সাপোর্ট দিতে। শেখ হাসিনাকে যদি ভারত পুরো সাপোর্ট দেয় তাহলে এবারও তিনি নিশ্চিৎ।
২৮ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ২:৫১
হিমন বলেছেন: আপনার চিন্তায় যুক্তি আছে বটে কিন্তু অন্যও দলের পারফর্ম্যান্সের কথা ভুলে গিয়ে শুধু যদি হাসিনার গুণগতমান বিচার করেন, তাহলে গত ১৫ বছরে কতখানি দেশ এগিয়েছে, শুধুমাত্র কিছু কংক্রিটের স্থাপনা ছাড়া, তা বোঝা যাবে। অন্য সব কিছু নিয়ে আমার চিন্তা তেমন একটা নেই, কিন্তু শিক্ষাক্ষেত্রে যে ছেলেখেলা হচ্ছে, যার দরুণ একটা হিরো আলম মার্কা প্রজন্ম গড়ে উঠছে- যারা ভিন্নমতের কেউ দুর্ঘটনায় মারা গেলে তো বটেই, সাধারণ অচেনা মানুষের মৃত্যুর খবরেও হা হা রিয়েক্ট দেয়ার মত সক্ষমতা অর্জন করেছে, এই বিপদের ঘানি দেশকে টানতে হবে আরো বহু বছর।
১৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:১৯
শার্দূল ২২ বলেছেন: হিমন ভাই আপনার ভাবনা চিন্তা অনেক চমৎকার । আপনার সাথে কথা বলে খুব একটা খারাপ হবেনা, বোঝাতে না পারলেও কিছুটা বুঝে যেতে পারবো।
হিমন ভাই আমি এই সরকারের ভালো গুলো যেমণ তুলে ধরি খারাপ গুলো তেমন তুলে না ধরলেও সেসব আমার জানার মধ্যে আছে, কিন্তু আমাকে দেখতে হয় যে এর চেয়ে কম ভুল করা সরকার কেউ বানাতে পারবে কিনা।
আরেকটা কথা আপনি বলেছেন যে কংক্রিট ছাড়া আর কিছু আছে কিনা আমাদের দেশে।
দেখুন হিমন ভাই, অভাব মানুষের স্বভাব নষ্ট করে ফেলে, আর স্বভাব নষ্ট হলে অভাব আর কোনদিন যায়না কমেনা, চাহিদা বাড়তেই থাকে। সেই অভাব দুর করতে দেশের গাথুনি ঠিক করতে হয়, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো করতে হয়, বিদেশিদের জন্য দেশটাকে সহজ এবং অভয়ারন্য বানাতে হয়, তাতে সাংস্কৃতির আদান প্রদান হয়, ডলার তো পাশে আছেই, এটা কতটা কার্যকর দেশ বদলের ক্ষেত্রে তার জ্বলন্ত উদাহারণ আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডা, তাদের সাবেক প্রেসিডেন্ট জুভেনাল ২১ বছর এই দেশে শাষন করে কিছুই করতে পারেনি, অনেকটা সামরিক ধাচে দেশ চালাতে গিয়ে গৃহযু্দ্ধে ১৯৯৪ সালে এই দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যায়, এরপর পল ক্ষমতায় এসে দেশের গতি বদলায় । মানুষ কে ক্ষেতে না দিয়ে সে হাত দেয় দেশের রাস্তা ঘাট ইমারত যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়নে সে কোমড় বেধে নেমে পড়ে। আজকে আফ্রিকার ইউরোপ হলো রুয়ান্ডা, যাদের জিডিপি সিঙ্গাপুরে সাথে পাল্লা দেয়ার মত প্রায় ১৪।
এখন সেই দেশে বিদেশিরা বিছানা পেতে শুয়ে থাকে নিশ্চিন্তে । সেই দেশের প্রজন্ম বদলাচ্ছে। উন্নত হচ্ছে। বিনোয়গ বাড়ছে। ইত্যাদি ইত্যাদি
আরো অনেক কিছু বলা যেত পরে আবার আসবো হয়তো।
ভালো থাকবেন
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৪
হিমন বলেছেন: শার্দুল ভাই, আপনার ব্যাখ্যার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। হয়ত এসব কারণে এখন অব্দি নিভু নিভু করে হলেও অসাম্প্রদায়িক ও শুভবোধসম্পন্ন মানুষেরা আওয়ামীলীগকে সমর্থন করে যাচ্ছে। কিন্তু সেটি তাঁরা কতদিন এভাবে গায়ের জোরে, শুধুমাত্র কিছু ইমারত তৈরি করে টিকে থাকতে পারবে, সে চিন্তাও কিন্তু করতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৮:২১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অকাট্য কিছু যুক্তি দিয়েছেন। বিএনপি এবং জিয়া সম্পর্কে অনেকে এগুলি জানে না অথবা জানলেও প্রতিহিংসা বা ধর্মীয় উগ্রতার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। তবে আওয়ামীলীগও বাড়াবাড়ি করছে গায়ের জোরে।