নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিভ্রান্ত পথিক

জাহিদ জুয়েল

নিজের সম্পর্কে তেমন কিছুই জানি না, কারন আমার আমি প্রতিদিনই রং পাল্টায় , ঠিক আকাশের মত একটা জিনিস বলতে পারি বাংলা লেখা যেখানেই পাই পড়া শুরু করি চাই সেটা ঝালমুরির ঠোংগায় লেখা হোক।অল্পতেই রাগ করি আবার পরোক্ষণেই শান্ত হই। খুব জানতে ইচ্ছা করে অজানাকে। সমগ্র বাংলাদেশ ঘুরতে চাই।

জাহিদ জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধ- আমাদের গৌরব আমাদের অহংকার

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪

শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা আর সকল আহত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি লাখো সালাম ও শ্রদ্ধা।



পশ্চিম পাকিস্তানের জুলুম-শোষণ আর অত্যাচার এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের অতিস্ঠ না হওয়ার কোন উপায় ছিল না । জনগণের মধ্যে যদিও আগে থেকেই ধারনা ছিল যেকোন মুহূর্তে দেশে যুদ্ধ শুরু হবে কিন্তু সবাই ছিল ঘোষণার অপেক্ষায়। অবশেষে ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে শুরু হল আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ।

৭১ এর ভয়াল মার্চ, পাকবাহিনীরা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র। । নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমরা ছিনিয়েছিলাম মহান বিজয়। অর্জিত হয়েছে একটি স্বাধীন দেশ নাম তার বাংলাদেশ। আমাদের সপ্নের দেশ লাল সবুজের বাংলাদেশ ।



মার্চ আর ডিসেম্বর মাস আসলেই মুক্তিযুদ্ধের কথা বেশি মনে পড়ে কারন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের পাতায় এই দু মাসের তাৎপর্য অনেক।



সময় পেলেই নানার কাছে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনার আবদার করি। আমাদের গ্রামে এখন হাতে গোনা কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা আছেন। তাদের কাছ থেকে যখন মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনি তখন গাঁ শিউরে উঠে। এদের অনেকেরেই সার্টিফিকেট নেই, কারন তারা কেউ সার্টিফিকেটের আশায় যুদ্ধ করেনি। দেশকে ভালবেসে তারা সেদিন ঝাঁপিয়ে পরেছিল পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে। যার কাছে যাই ছিল তাই নিয়ে।



বীরপ্রতীক খেতাব প্রাপ্ত দুজন মহিলা মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে একজন বীরাঙ্গনা তারামন বিবি। বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুরের কাচারিপারা গ্রামে। যুদ্ধে শেষে ১৯৭৩ সালে তৎকালীন সরকার মুক্তিযুদ্ধে তারামন বিবিকে তার সাহসীকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য “বীর প্রতীক” উপাধিতে ভূষিত করেন। মনে খুব ইচ্ছা জাগল তাঁর সাথে দেখা করার। যুদ্ধ দেখিনি, তাই যোদ্ধাদের সাথে দেখা করা, গল্প করা আমার খুব ইচ্ছা। আর উনি তো আমার জেলার গর্ব।



বছর তিনেক আগে একবার সাক্ষাৎ হয়েছিল তার সাথে। কয়েকজন বন্ধু মিলে গেলাম তাঁর বাড়িতে। সালাম দিয়ে নিজেদের পরিচয় দিলাম। তারপর বললাম আমরা মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনতে এসেছি। বাড়ির উঠানেই গোল হয়ে বসলাম ঠিক অনেকটা গোল টেবিল বৈঠিকের মত। গোলটেবিল বৈঠকে বক্তা থাকে অনেক কিন্তু এখানে বক্তা একজন আর আমরা বাকিরা সবাই শ্রোতা। অধীর আগ্রহ নিয়ে গল্প শুনতে লাগলাম। একেকটা গল্পের পর মনে জমে থাকা হাজার প্রশ্ন করতে থা্কলাম সবাই।



ঠিকমত কথা বলতে পারেন না এখন, শরীরে বারধ্যকের ছাপ। তবুও দু চোখে নেই কোন ক্লান্তি।

তবুও বলতে শুরু করলেন, চোখে মুখে যেন এক তৃপ্তির ছাপ। মনে হচ্ছে আবার যুদ্ধ করতে যাবেন। অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি সবাই.............



মুই তখন অনেক ছোট, বয়স ১৩ কি ১৪ হইব। একদিন হামার এলাকার ক্যাম্পের মুহিব স্যার কইল তুং কি ক্যাম্পে কাজ করবু। হামি কইলাম কি কাজ, স্যার কইল রান্নাবান্নার কাজ। মুই কনু হ করমু স্যার। মোর অনেক সাহস ছিল, যোদ্ধারা যে বন্দুক দিয়া যুদ্ধ করত মুই ওইগুলা দেইখ্যা দেইখ্যা শিখছি, স্যার মোরে শিখাইছে।



অনেক গল্প শোনাল আমাদের। এতটাই মগ্ন হয়েছি যে ঘড়ির কাটায় কখন তিন ঘন্টা পার হয়েছে তা টেরই পাইনি কেউ। গল্প শেষে আমাদেরকে খাওয়ার জন্য বসতে বলে উনি রান্নাঘরে ঢুকলেন। আমরা খাব না বলেই ভাবছিলাম কারন এই বয়সে উনি আমাদের জন্য কষ্ট করবেন তা আমরা চাচ্ছিলাম না। এমনেতেই মুক্তিযোদ্ধাদের ঋণ আমরা কোনদিন শোধ করতে পারব না তারউপর...

তারপর উনি আমাদের জন্য পিঠা নিয়ে আসলেন সাথে খেজুরের রস। কি যে সুমিষ্ট লাগল খেতে। বন্ধুরা মিলে ঠিক করছিলাম উনাকে উপহার সরূপ কিছু দেওয়ার।



উনি তো নিবেই না শেষমেশ জোর করে দিলাম। বিদায় নেওয়ার প্রাক্বালে দোয়া নিতে গেলে বলল দেশটা তোমাদের কাছে রেখে যাছি। যত্ন করে আগলে রেখো।



মাঝে মাঝে বাবাও তার একটা গল্প প্রায় শোনাত আমাদের। ১৯৭১ সালের মার্চে পাকবাহিনীরা সারা বাংলাদেশের মত আমাদের গ্রামেও ঝাঁপিয়ে পরেছিল নিরস্ত্র বাঙ্গালাদির উপর। আমাদের গ্রামে পাকবাহিনীদের কোন ক্যাম্প ছিল না। জেলা শহরে যে ক্যাম্প ছিল সেখান থেকেই ওরা অপারেশন চালাতো। আমাদের এখানেও কিছু রাজাকার ছিল যারা গোপনে পাক বাহিনীদের কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য দিত।



এপ্রিলের মাঝামাঝি এক দিনে ওরা হামলা চাললো আমাদের গ্রামে। সবাই যে যার মত পালাল বাড়ি থেকে। অনেকেই সে সময় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাড়ি জমিয়েছিল।

কেউবা তার ভিটা বাড়ি, সম্পদ আর গরু ছাগলের মায়ায় যেতে পারেনি। এদের বেশির ভাগ দিনের বেলা পালিয়ে থাকত। আমাদের গ্রামে যেদিন ওরা আক্রমণ করতে আসল সেদিন মুক্তিযোদ্ধারা আগে থেকেই টের পেয়ে সেভাবেই প্রুস্তুতি নিল।



ওরা এসে সবার বাড়িতে হামলা করে কাউকে না পেয়ে শেষমেশ দেশী মুরগী ২০-৩০ টার মত ধরল। মুরগী যেটা ধরতে না পারত সেটাকে সোজা গুলি.........

এই দৃশ্য গ্রামের পিচ্চিরা খুব আগ্রহ নিয়ে দেখতেছিল। সেই গ্রুপে আমার বাবাও ছিল। মুরগী ধরার পর ওরা আমার বাবা ও বাবার এক বন্ধুর কাঁধে তুলে দিল সেগুলা। তারপর কুড়িগ্রাম ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে রওনা দিল।



এদিকে বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে গিয়েছে, কারন সবার ধারনা ছিল পাকিস্তানিরা হয়তো ওদের দু জনকে মেরেই ফেলবে। পরে বাবা যখন বাড়ি ফিরল তখন সবাই আনন্দে আত্মহারা। বাবা বাড়ি ফেরার পর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধারা বাবার কাছে ওদের ক্যাম্পের বর্ণনা জানতে চাইল, বাবা যা দেখছেন তাই বলল। পরে নাকি মুক্তিযোদ্ধারা প্লান করে রাতের অন্ধকারে ওই ক্যম্পে হামলা করেছিল এবং তাদেরকে উৎখাত করেছিল।



৪৩ বছর পর এসে খুব কষ্ট লাগে, যখন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়েও দলাদলি দেখি। আমার সেই ভাগ্য হয়নি মহান মুক্তিযুদ্ধ দেখার, দেখবোই বা কি করে ৭১ এ যেখানে আমার মায়ের জন্ম আর বাবার বয়স তখন নয় কি দশ বছর হবে।



আমাদের দেশে এখন দুই দল সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় বেশির ভাগ পরিবারই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে এই দুই দলকে সমর্থন করে। আর খুব কম পরিবারই আছে যারা মাঝখানের নিরপেক্ষ অবস্থান নেয়। সুশীল সমাজ না জানি কি বলে !!!!

আজ যে শিশুটি সমাজের একটি পরিবারে বড় হচ্ছে হয়তো কাল সে নেতৃত্ত দিবে। সভাবসুলত সে তার পরিবেরারের সদস্যদেরকে অনুসরন করার চেষ্টা করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় সে তার পরিবারতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করছে।

সমস্যা হইল স্বাধীনতার পর আমরা এত দ্বিধাবিভক্ত হয়েছি যে, আমাদের সবকিছুই এখন দুইটা। আমাদের ইতিহাস দুইটা, সাধীনতার গান দুইটা, স্লোগান দুইটা, মাঠ দুইটা এই রকম আরও সব কছুই দুইটা করে। কিন্তু তা তো ছিল না। ৭১ এ তো আমরা ৭ কোটি ছিলাম ১ ।

খুব অবাক লাগে যখন একটা দেশের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের নামগুলা পর্যন্ত প্রতি পাঁচ বছর পর পর পরিবর্তন হয়।



আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করতে আগ্রহী তারা খুব বিভ্রান্তীতে পরে যাই। দিন যত গড়াচ্ছে আসল ইতিহাস তত পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ইতিহাস তো মুছে যাবার নয়। লাখো লোকের রক্ত দিয়ে কেনা নাম বাংলাদেশ তো মুছে যাওয়ার জন্য নয়। আমরা বীরের জাতি, পরাজয়ে মাথা নোয়াবার মত নই আমরা, তাহলে কেন আজ আমাদের মধ্যে এত বিভেদ???



রেডিও, টেলিভিশন, পত্রিকা সবকিছুতেই আমাদের দলাদলি। অথচ মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা হাতে হাত রেখে কাধে কাঁধ মিলিয়ে তো যুদ্ধ করেছিলাম। বিজয়ও ছিনিয়ে এনেছিলাম যদিও শক্তির বিচারে পাকিস্তান অনেক শক্তিশালী ছিল। কিন্তু সাত কোটি বাঙ্গালীর মন যখন এক হয়েছিল তার শক্তির কাছে হার মানতে বাধ্য হয়েছিল পাক হানাদার বাহিনী।

এখন আমাদের বিভেদের কারনে একসাথে আমরা দুই বিপদে পড়ছি। একে আমাদের নিজেদের শক্তি কমে যাচ্ছে, দুই আমাদের এই দুর্বলতাকে শত্রু পক্ষরা কাজে লাগাচ্ছে।

আমাদের দক্ষ জনশক্তি সারাবিশ্বে কাজ করে সুনাম কুড়াচ্ছে, জাতিসংঘ মিশনে আমাদের অনেক অর্জন।

আর সেখানে আমরা এখনো সংগ্রাম করছি দু বেলা ঠিকমত খাওয়ার জন্য।



সোনার মাটি থাকা সত্তেও তা আজ কাজে লাগাতে পারছি না। এত গ্যাসের খনি, সামুদ্রিক সম্পদ সবদিক থেকে আমরা অনেক ভাগ্যবান।

কিন্তু দুর্নীতি আর অনিয়মের কারনে আমারা আজ বার বার পিছনেই পড়ে থাকছি।

কোন জাতি যখন তার অতীতকে ভুলে যায় তখন কোন ভাবেই উন্নতি সম্ভব না। ইতিহাসের প্রেরনা শক্তি বড় শক্তি।

আজ পর্যন্ত এমন কোন বই নাই যেখানে পরিপূর্ণ ভাবে আমাদের ইতিহাসকে তুলে ধরে হয়েছে। কোন বই এ কোন পক্ষের বিরুদ্ধে লিখলে সেই বই আবার নিষিদ্ধ করা হয়।



ওভারব্রীজ থাকা সত্তেও নিচ দিক দিয়ে রাস্তা পারাপার হওয়ার সময় কোন গাড়ি সামনে এসে না থামলে সব দোষ ড্রাইভারের উপর চাপাই, ঠিক যখন আবার সেই গাড়ির যাত্রী বেসে বাসের ভিতর থাকছি তখন আবার সব দোষ ওইসব মানুষের উপর চাপাই যারা নিচ দিক দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছে। সারকথা হচ্ছে, মানুষ এক কিন্তু চরিত্র দুই রকম। সুবিধা যেদিকে মতামত সেদিকে। মজার ব্যাপার হচ্ছে সুবিধা সবসময় নিজের দিকে।

ঠিক আমাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো অনেকটা এই রকম, সবাই সুবিধবাদী।



বয়স ত্রিশ হতে ঢের দেরি তবুও শিল্পী হায়দার হোসেনের আক্ষেপ নিয়ে গাওয়া ত্রিশ বছর গানটি খুব ইচ্ছা করে শুনতে, গাইতে........



কি দেখার কথা কি দেখছি

কি শুনার কথা কি শুনছি

কি ভাবার কথা কি ভাবছি

কি বলার ছিল কি বলছি

ত্রিশ বছর পরেও আমি সাধীনতাকে খুজছি



সাধীনতা কি বৈশাখী মেলা পান্তা ইলিশ খাওয়া

সাধীনতা কি বটমুলে বসে বৈশাখী গান গাওয়া

সাধীনতা কি বুদ্ধিজীবির বকত্রিতা সেমিনার

সাধীনতা কি শহীদ বেদীতে পুষ্পের সমাহার

সাধীনতা কি গল্প নাটক উপন্যাস আর কবিতা

সাধীনতা কি আজ বন্দি আনুষ্ঠানিকতায়

কি দেখার..............................................................

...............................................................................

সাধীনতা কি ঢাকা শহরের আকাশ চুম্বিবাড়ি

সাধীনতা কি ফুটপাতে শোয়া গৃহহীন নর নারী

সাধীনতা কি হোটেলে হোটেলে গ্রেন্ড ফ্যাশন শো

সাধীনতা কি দুঃখিনী নারীর জরা জীর্ণ বস্ত্র

সাধীনতা কি গজিয়ে উঠা অভিযাত পথসালা

সাধীনতা কি অন্নের খোঁজে কিশরি প্রমোদ বালা

কি দেখার..............................................................

...............................................................................

সাধীনতা কি নিরীহ লোকের অকারনে প্রান দন্ড

সাধীনতা কি পানির টেঙ্কে গলিত লাশের গন্ধ

সাধীনতা কি হরতাল ডেকে জীবন করা স্তবদ্ধ

সাধীনতা কি ক্ষমতা হরন চলে বন্দুক যুদ্ধ

সাধীনতা কি সনত্রাসি হাতে মরনাস্ত্রের গর্যন

সাধীনতা কি অর্থের লোভে বিবেক বিসর্যন

কি দেখার..............................................................

...............................................................................

আজ নেই বর্গি নেই ইংরেজ নেই পাকিস্তানি হানাদার

আজ তবু কেন আমার মনে শুন্যতা আর হাহাকার

আজ তবু কি লাখো শহীদের রক্ত যাবে বৃথা

আজ তবু কি ভুলতে বসেছি সাধীনতার ইতিকথা

কি দেখার.......................



ইতিহাস নিয়ে কয়েকদিন আগে গবেষক ও ব্রাক বিশবিদ্যালয়ের অধ্যপক শ্রদ্ধেয় আফসান চৌধুরী স্যারের সাথে কথা হল। উনার কাছে পরামর্শ চাইলাম। উত্তরের সার কথা হল বই পড়তে থাক, ডকুমেন্টারি দেখ বুঝতে পারবা। সত্য কখনো মুছে যাবে না বরংঞ্চ সত্যের জয় হবেই হবে। উনি খুব আশাবাদী মানুষ, আমাকেও অনেক আশার কথা শোনালেন ।



বেশিদিন আগের কথা না এইতো সেদিন এশিয়া কাপে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শেরে বাংলা মাঠে যখন নেমেছিলাম, এক হয়েছিল গোটা জাতি। সবার একটাই চাওয়া জয় আর জয়।

খেলার মত বৃহৎ সব কাজে আমাদের এক হওয়া খুব প্রয়োজন। দুর্ভিক্ষ আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে আবার যুদ্ধ করতে হবে, আবার এক হতে হবে। স্বপ্ন দেখতে হবে সুন্দর উজ্জল বাংলাদেশের। আগামী প্রজন্মের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ রেখে যেতে এর বিকল্প আর কিছু নেই। আমাদের জন্য মহান মুক্তিযোদ্ধারা যেমন আমাদেরকে একটি স্বপ্নের দেশ উপহার দিয়েছেন ঠিক তদ্রুপ সেই উপহারকে সজত্ন্রে রাখা আমাদের দায়িত্ত। দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে আমাদের সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে ভেদাভেদ ভুলে। হয়তো আমি আপনি একদিন থাকব না কিন্তু থাকবে আমাদের মহৎ কর্ম।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। সাথে সাথে আহত যোদ্ধাদের জন্য রইল প্রার্থনা।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৯

আহলান বলেছেন: এতো বছর পরেও মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক নামের তালিকা পাওয়া যায় না ....

চমৎকার লিখেছেন

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪২

জাহিদ জুয়েল বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪

খেলাঘর বলেছেন:


মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আছে; আওয়ামী লীগ ও বিএনপি'র তালিকা মিথ্যায় ভরা।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৪

জাহিদ জুয়েল বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আছে !!!

ভাল বলেছেন। .

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১২

মামুন রশিদ বলেছেন: বিজয়ের শুভেচ্ছা ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৫

জাহিদ জুয়েল বলেছেন: আপ্নাকেও বিজয়ের শুভেচ্ছা ।

৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: জাহিদ জুয়েল ,



ইতিহাস মুছে যাবার নয় । আজ না হোক কাল, একদিন সে তাজা হয়ে ফুঁটে উঠবেই । কে কি বললো, তাতে কি আসে যায় !

বীরাঙ্গনা তারামন বিবির মতোই বলি - দেশটা আপনাদের মতো তরুনদের কাছে রেখে গেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। যত্ন করে আগলে রাখবেন । কারন আপনাদের প্রতিটি শ্বাস তাদের ঘাম, চোখের জল আর রক্তের বিনিময়ে পেয়েছেন আপনারা ।

শুভেচ্ছান্তে ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৬

জাহিদ জুয়েল বলেছেন: ইতিহাস মুছে যাবার নয় । আজ না হোক কাল, একদিন সে তাজা হয়ে ফুঁটে উঠব.

সে আশায় রইলাম। ধন্যবাদ মতামত দেওয়ার জন্য।

৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: দেখুন দুনিয়ার আরো অনেক জাতি বা দেশ মুক্তিযুদ্ধ করেছে স্বাধীন হয়েছে। এরপর ৪৩ বছর ধরে ওরা এই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত প‌্যানপানানী করেনি। যোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে মারামারি করেনি, মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা প্রতি বছরই বাড়ায়নি। আমরাই এক ও অদ্বিতীয়!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৮

জাহিদ জুয়েল বলেছেন: কিছু বলার নেই্‌

আমরাই এক ও অদ্বিতীয়!!!!!!!!!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.