![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাহিত্যকর্মী, সংবাদকর্মী এবং শ্রমজীবী
আত্মহত্যার আগে তোমার ঠোঁটে চুমো খেতে চাই
❑
আলমারির খোপে অচ্ছুৎ সায়ানাইড
আমার হৃদপিণ্ড ক্রমশ সেখানে এগিয়ে যায়
তোমার মেহগনি ঠোঁট, যেখানে চুমো খেয়ে
মৃত্যুরা কিছুক্ষণ দেরি করে।
এই শহরে আত্মহত্যা মানে কেবল
একটি মিথ্যা ব্যাখ্যার দিকে পা বাড়ানো নয়
বরং, তোমার ঠোঁটের এক ফোঁটা রক্তচন্দনের ছোঁয়ায়
আমি চেয়েছি পুনর্জন্মের আগে একটু অন্ধকারে ঘুমাতে।
আত্মহত্যার আগে তোমার ঠোঁটে চুমো খেতে চাই
কামনায় নয়, এটা এক নির্বাক বিদায়ের প্রস্তাব
যেখানে চুম্বনের অন্তরিক্ষে হারিয়ে যাবে
আমাদের যাবতীয় অধিকার আর দায়।
একটি চুমো কি একটি মৃত্যুকে আটকাতে পারে না?
আত্মহত্যার প্রস্তুতি নিচ্ছি
❑
দুপুরের রোদে গলছে স্মৃতি
আয়নায় তাকিয়ে ভাবি-
শেষবার দেখতে কেমন হবে মুখটা?
যে মুখ তুমি আর কখনও ছুঁবে না।
চুল আঁচড়াতে গিয়ে দেখি
মৃত্যুও আজ ধৈর্য ধরে বসে আছে
তবুও, ঠোঁটের খাঁজে জমা আছে
তোমার নামে লেখা একটি অনুনয়-
‘চুমোটা দাও, এরপর তুমি আত্মহত্যা করো’।
অতঃপর একটি সরল চুমোর আবেদন
❑
তুমি বললে,
আত্মহত্যার আগে এমন আবদার কেউ করে?
আমি বললাম,
আমি মানুষ নই আর, আমি বিদায়ের অপেক্ষায়
দাঁড়িয়ে থাকা একটি সরল কৃষ্ণচূড়ার গাছ।
তুমি নীরব ছিলে।
তবুও, তোমার চোখে ছিল একফোঁটা বৃষ্টি
যেটা আমার ঠোঁট ছুঁয়ে ঝরে পড়লে
আমি বাঁচতেও পারতাম।প
মৃত্যুর আগে অদ্ভুত চুম্বনগন্ধ
❑
তোমার ঠোঁটে অদ্ভুত এক গন্ধ ছিলো অন্ধকারের মতো
রাতের যেমন পোড়া বাদামী গন্ধ থাকে
যে গন্ধে আমার আত্মহত্যা ক্ষণকাল থেমে গিয়েছিল।
আমার হাত কাঁপছিল,
যদিও তোমার ঠোঁটে আমার ঠোঁট ছিল স্পাতস্থির
যেন একটি চুমোতেই জীবনের সমস্ত
অনুচ্চারিত কবিতা ইথারে লেখা হয়ে গেছে।
আমি চেয়েছিলাম, চুমো দিয়েই জন্মাই নতুন করে
বিদায় পর্ব
❑
চুমোর পরে মৃত্যু এত নিঃশব্দ হয়ে উঠবে, ভাবিনি
কোনো চিৎকার নেই, কোনো প্রতিরোধ নেই
কোনো প্রতিষেধকও নেই।
শুধু, তোমার মুখটা দূরে সরে যাচ্ছিল
একটি পুরনো আন্তঃনগর ট্রেনের মতো
যে ট্রেনের জানালায় আমি শেষবার হাত নেড়েছিলাম
আমার মৃতদেহকে।
২| ২৭ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:২৫
কাঁউটাল বলেছেন: @ফারমার চাঘল ওরফে ছাগল খাইয়াম
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জুন, ২০২৫ রাত ৮:২৭
ওমর খাইয়াম বলেছেন:
শেখ হাসিনা নেই, দিন ফিরেছে?