নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছোট্ট রাজপুত্র

আ মা র আ মি

যীশূ

একজন সহজ মানুষ থাকার চেষ্টা। সহজ হয়ত সরল নয়। বোকাও নয়।

যীশূ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন বোকা মানুষের খাপছাড়া কথাবার্তা

১৪ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৩:৩৫

আমি সবসময় কেমন যেন উল্টা ভাবি। সবাই কি সুন্দর ইতিবাচক চিন্তা করে, আমার মনে কেন জানি তবু কু ডাক ডাকে। মনেহয় সবাই কি যেন বুঝছে, যা আমি বুঝিনাই, আর তাই এমন খারাপ খারাপ চিন্তা করি। আমার নিজেরে খুব বোকা বোকা লাগে।



আমার বন্ধু খুব সুখী মানুষ। মোটামুটি ভালো একটা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে, বেশ ভালো বেতন পায়। বিয়ে করেছে, প্রেমের বিয়ে। সুখেই আছে বলা যায়। আমিও সুখে আছি। তবু কেন যে আমি তার মত ভাবতে পারি না। সে অনেক ইতিবাচক মানুষ, ইতিবাচক ভাবনা। কাল সন্ধায় রিকশায় যেতে যেতে বর্তমান তত্বাবধায়ক সরকারের খুব প্রসংশা করছিলো। তত্বাবধায়ক সরকার আগামী দেড় বছরে অনেক কিছু করে ফেলবে, একেকজন মাহাথির হবেন। দেড় বছর পর আমারা ১০ জন মাহাথির পাচ্ছি, এমন আশাই তার। সে এই সরকারকে সাহায্যও করতে চায় তার সাধ্যমত। রাজনৈতিক দলগুলোর উপর থেকে তার আস্থা উঠে গেছে একেবারে। সে স্বপ্ন দেখে একবার জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়ে গেলে দেশের সব মানুষ সব ইস্যুতে ভোট দিয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করবে, আর কোন জনপ্রতিনিধির দরকার নেই।



আমি তার পাশে বসে চিন্তা করছিলাম তখন তত্বাবধায়ক সরকারের বর্তমান কাজগুলো। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দূর্নীতি বন্ধে তাদের নেয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের একটা পদক্ষেপ হলো এসব প্রতিষ্ঠানের স্বায়ত্বশাসন দিয়ে দেয়া। খুব ভালো পদক্ষেপ। পাবলিক খুশিও খুব। আমি বোকা মানুষ, ভাবি উল্টা কথা। আমিও খুব খুশি হয়েছিলাম যেদিন শুনেছিলাম বাধ্যতামুলকভাবে সব চ্যানেলকে আর বিটিভির সংবাদ প্রচার করতে হবে না। শুনেছিলাম বিটিভিকেও স্বায়ত্বশাসন দেয়া হবে। কিন্তু ইদানীং টিভি খুলে প্রায়ই দেখি আমাদের সামরিক বাহিনীর জয়জয়াকার। আমাদের বেশ ভালো কিছু শিল্পী দেখি খুব হাসি হাসি মুখে তাদের জয়গান গাচ্ছেন। যেকোন দিবস পালনে, সমস্যা সমাধানে প্রচার করা হচ্ছে সামরিক কারও বাণী। বিভিন্ন কিছু উদ্বোধনও করছেন তারাই। প্রথম প্রথম বলা হতো সরকার পরিচালনায় সামরিক বাহিনীর সাহায্য নেয়া হচ্ছে। কিন্তু এখন যখন দেখি সিদ্ধান্তে- পরিচালনায়ও তারা, তখন আমার মনে কু-ডাক তো দেয়ই। স্বায়ত্বশাসনের পরও সব চ্যানেলগুলো যখন সামরিক বাহিনীর স্তুতিমুলক 'অনির্বান' টাইপ অনুষ্ঠান নিয়মিত প্রচার করে, যখন আমি দেখি বড় বড় প্রতিষ্ঠানের প্রশাসক হিসাবে তারাই কাজ করছে, যখন দেখি দেশের সংস্কৃতিও তাদের তেল মারায় ব্যস্ত আর তারা তা খুব মজা করে উপভোগ করছে আমার নিজেরে খুব ছোট মনেহয়।



সেদিন টিভিতি তত্বাবধায়ক সরকার প্রধান ফকরুদ্দিন কে দেখাচ্ছিলো, চোখের নিচে কালি, অসুস্থ চেহারা। আশাবাদি মানুষ ভাবে, মানুষটা কাজ করতে করতে ক্লান্ত। আর আমি ভাবি, মানুষটা মারা গেছে। পেছনের ছায়ার কথায় চলতে চলতে মানুষটা অসুস্থ। সে শুধু একটা কলের পুতুল ছাড়া আর কিছুই না।



আমি ভাই বোকা মানুষ। আমি রাস্তায় হাটতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে যেতে পারি, কিন্তু তাই বলে আমি বন্দুকের নলের সামনে লেফট-রাইট করতে রাজি না।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৪:১৫

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: ভাই দ্যাখেন আমারো একই সমস্যা....হায়দার মিঞা যেভাবে দাড়ি দুলাইয়া গান শুরু করছে তাতে আমি ইসলামী সামরিক গন্ধ মাঝে মাঝে পাই। কি যে করি।

২| ১৪ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৪:১৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: নাকটা পইচ্চা গেছে!

ফরমালিন লাগবো?

৩| ১৪ ই জুন, ২০০৭ বিকাল ৪:৫৩

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: হ ভাই দেন তো।

৪| ১৪ ই জুন, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:২৯

ভোরের সূর্যদয় বলেছেন: দেন ভাই ফরমালিন দেন। যতটাকা লাগে আমি দিব।

৫| ১৮ ই জুন, ২০০৭ সকাল ৯:০৮

যীশূ বলেছেন: নাক পচছে, না সময়?
ফরমালিন কই দিবেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.