নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জুয়েল তাজিম

জুয়েল তাজিম

অলস হবেন, তো হতাশা পাবেন। শুরু করুন,শেষ হবেই। সামনে এগোতে থাকুন, পথ কমবেই।

জুয়েল তাজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

পোড়া কাবাবের বিনিময়ে কাঁচা কাবাব লুফে নেওয়া

১০ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯

আজকে অনেকদিন পর দারুল কাবাবে গিয়েছিলাম সাথে তিন জন গেস্ট ছিল। দোতলায় উঠেই দেখি কোন জায়গা খালি নেই , এদিক ওদিক দেখতে দেখতে একটা টেবিল খালি হলো ! আমরা বসে পড়লাম। বসার জায়গা থেকে পুরা এম এ আজিজ স্টেডিয়াম দেখা যাচ্ছে এবং আজকে ওখানে একটা ফুটবল খেলা হচ্ছিল।



আমাদের সামনের টেবিলে একটা যুগল আর পেছনের টেবিলে একটা যুগল বসে ছিলেন আগে থেকেই। আমার সাথের তিন জন গেস্টই আমার সিনিয়র যাদের মধ্যে একজন আমার বস এবং অন্য দু'জন বায়ার।



ঠিক আমার সামনের টেবিলের দুজনের কর্মকান্ড ছিল রীতিমত আপত্তিকর ! একজনের মাথার ভিতর অন্যজনের মাথা। পাবলিক প্লেইসে এই অবস্থা দেখে বেশ বিভ্রত হচ্ছিলাম আবার উপভোগ ও করছিলাম ! আসলে উপভোগ করছিলাম ফুটবল খেলা। আকাশে মেঘ থাকাতে মেঘ বেঙ্গে সূর্যের আলো মাঠে পড়েছে, যা দেখতে সত্যি দৃষ্টিনন্দন।







সামনের টেবিলের দৃশ্য দৃশ্যমান , মনে হয় তারা এক মাথা থেকে অন্য মাথায় উকুন বিনিময় করছিল ! যাই হউক, সেটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু তাই বলে পাবলিক প্লেসে , এভাবে ??



তা যাই হউক, আমরা অর্ডার দিয়ে অপেক্ষা করছিলাম। আর একটু দুরের টেবিলেই ৫ টা ছেলে আড্ডা দিচ্ছে। কথাবার্তা শুনে বুঝা গেল সবাই বিভিন্ন প্রাইভেট ভার্সিটির ছাত্র। এদের বয়স হবে ১৯/২০ বছর। বেশ দূর থেকেই আরেক তরুণের উত্তেজিত চিকৎার শুনা গেল, এ হলো ষষ্ট জনের আগমন !



“দোস্ত পটাইয়া ফালাইছি।”



ছেলেটি কাছে আসতেই দু’জন জিজ্ঞেস করলো, - কোনটা পটাইছস ?



- আরে, ওই যে সিটি কলেজের টা। মাত্র ডেটিং কইরা আসলাম।



- শালা, তুই এই পর্যন্ত কয়টা করলি ?

( বাহুতে ঘুষি মেরে এক বন্ধু জিজ্ঞেস করলো।)



- এইটা লইয়া ২৬ টা হইলো !



আরেক বন্ধু ব্যঙ্গ করে জিজ্ঞেস করলো,- তুই কি ২৬ টা গার্লফ্রেন্ডই এক সাথে সামলাছ?



- আরে গাধা, এখন রানিং আছে ৩ টা। বাকীগুলা তো ব্রেক আপ হইয়া গেছে। কিছু খাইয়া ছাইড়া দিছি, আর কিছু খাইতে দেয়া না দেইখা ব্রেক কইরা দিছি। তবে এইটার সাথে লং টাইম রিলেশান করুম। বেশ টাকা পয়সাওয়ালা নাকি শুনলাম।



এই কথাগুলো শোনার পর আমি ছেলেটির চেহারার দিকে তাকিয়ে দেখলাম এবং ভাবলাম,



* এই ছেলেটিকে হয়তো মা এখনও মুখে ভাত তুলে খাওয়ায় এই ভেবে যে ছেলে আমার এখনও খোকাই রয়ে গেছে।



* এই ছেলেটির সব আবদার বাবা হয়তো পুরা করেন কারণ তিনি মনে করেন ছেলেটি তার এখনও যে সেই ছোটটি রয়ে গেছে।



* এই ছেলেটির বোন হয়তো ভাইটিকে প্রচন্ড ভালবাসে কারণ ভাইটি তাহার কিছুই বুঝে না।



* এই ছেলেকে নিয়ে সমাজ সপ্ন দেখে এরাই তো আগামীর সম্ভাবনা।



কথাকোপথন গুলো আমার মনে অনেক গভীর দাগে কেটেছে। এই তারুণ্য্ই কি আমরা চেয়েছিলাম !!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.