নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জুয়েল তাজিম

জুয়েল তাজিম

অলস হবেন, তো হতাশা পাবেন। শুরু করুন,শেষ হবেই। সামনে এগোতে থাকুন, পথ কমবেই।

জুয়েল তাজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাসূল (সাঃ) এর প্রতি ভালবাসা

১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৯

দিল্লির জামে মসজিদের সামনে কোন এক পঙ্গু ভিক্ষা করছিলো। একজন ইংরেজ মসজিদ দেখার জন্য সেখানে আসলো। সেই ইংরেজ দর্শনার্থী কোন উচ্চ পদস্থ ব্যাক্তি ছিলেন। ইংরেজ ভদ্রলোক ভিক্ষুকের পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় ভিক্ষুক তাকে স্যালুট জানালো, যাতে কিছু পাওয়া যায়। ইংরেজ ভদ্রলোক তাকে কিছু পয়সা দান করলেন।

ইংরেজরা সাধারণত মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করতো না। বাইরে দাঁড়িয়ে মসজিদের কারুকার্য দেখতো। মসজিদের নকশা, সৌন্দর্য ও আধ্যাত্মিক প্রভাবের কারণে দর্শনার্থীর মন প্রশান্তিতে ভরে যেতো।

ইংরেজ সাহেব বাসায় ফিরে গেলেন। পকেটে হাত দিয়ে দেখলেন মানিব্যাগ নেই। অনেক টাকা ছিলো তাতে। কোথায় হারিয়েছে অনেক ভেবে চিন্তে তাও আন্দাজ করতে পারলেন না।

এক সাপ্তাহ পর ইংরেজ অফিসারের স্ত্রী বললো, তুমি দিল্লির জামে মসজিদ দেখে এসেছো, আমাকে এ সাপ্তাহে নিয়ে চলো।

ইংরেজ তার স্ত্রীকে নিয়ে দিল্লির মসজিদে এলেন। যখন তারা সেই পঙ্গু ভিক্ষুকের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন ভিক্ষুক তাদের দেখে বলতে লাগলো, আপনি গত সাপ্তাহে এখানে এসেছিলেন। আমাকে কিছু পয়সাও দান করেছেন। কিন্তু মানিব্যাগ পকেটে রাখার সময় তা পড়ে গিয়েছিলো। আমি তা উঠিয় নিজের কাছে রেখে দিয়েছি। এই নিন আপনার মানিব্যাগ বলে ভিক্ষুক তা ফেরত দিলো।

ইংরেজ ভদ্রলোক মানিব্যাগ খুলে দেখলেন সব টাকা- পয়সা ঠিক-ঠাকই আছে। সে বিস্মিত হয়ে ভাবতে লাগলো, কী তাজ্জব ব্যাপার! সে ইচ্ছে করলে তো কিছু টাকা মেরে দিতে পারতো। অথচ তা না করে পুরো পয়সা সহ মানিব্যাগটা ফেরত দিলো! ভিক্ষুককে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কোন পয়সা রাখলে না যে?

ভিক্ষুক বললো, হ্যাঁ মানিব্যাগ ওঠানোর পর মন চেয়েছিলো কিছু টাকা রেখে দিই। কিন্তু পরক্ষনেই মনে হলো, কিয়ামত দিবসে সব উম্মত তাদের নিজ নিজ নবীর পিছনে দাঁড়াবে। দলবদ্ধ হয়ে চলতে থাকবে নবীগনের পিছনে পিছনে।
আজকে আপনার টাকা রেখে দেয়ার পর কাল হাশরের মাঠে যখন আমি রাসূল (সাঃ) এর পিছনে দাঁড়াবো আর আপনি হযরত ঈসা (আঃ) এর পিছনে দাঁড়াবেন, তখন যেনো আপনার নবী আমার নবীকে এই বলে লজ্জা না দিতে পারেন যে, আপনার উম্মত আমার উম্মতের পয়সা মেরে দিয়েছে ! এই ভেবে আমি তাতে কোন খেয়ানত করিনি। আপনার পয়সা আপনার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছি।

বন্ধুরা ! একজন সাধারণ ভিক্ষুক যদি সামান্য খেয়ানতের ব্যাপারে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর অপমান আর লজ্জার কথা চিন্তা করে অপরের হক নষ্ট করা থেকে বিরত থাকতে পারে তাহলে আমরা কি করছি আল্লাহর রাসূল (সাঃ) কে ভালবেসে ?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.