নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জুয়েল তাজিম

জুয়েল তাজিম

অলস হবেন, তো হতাশা পাবেন। শুরু করুন,শেষ হবেই। সামনে এগোতে থাকুন, পথ কমবেই।

জুয়েল তাজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মগের মুল্লুকের রানী অং সাং সুচি

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১২






বড় ভাইদের সমর্থন পেয়ে বাংলাদেশের ভেতরে টেকনাফের উলুবনিয়া সীমান্তে বেপরোয়া গুলিবর্ষণ করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। চীন, ভারত সবসময় বড় ভাই, আর রাশিয়া আমেরিকা কি বলে তাও চিন্তায় রাখতে হবে মিয়ানমারের দিকে গুলি ছুড়তে !!!

চীনের ভালবাসা সবসময় উদার মিয়ানমারের প্রতি। আর দাদু মোদী ভালভাসার ডালা নিয়ে দৌড় মারলেন মিয়ানমারে !! আর মোদী মশাই বললেন রোহিঙ্গারা জঙ্গী আর জঙ্গীর প্রতি মোদী সরকারের কোন ভাল্ভাসা নেই বরং জঙ্গী নিধনে মিয়ানমার সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে তারা। মারহাবা মারহাবা।!

একটা ব্যাপার লক্ষণীয় , যখন আমরা পত্রিকা ফেবুতে রোহিঙ্গাদের করুণ ছবি দেখে কষ্টে বুক ভাসাচ্ছি তখন বিদেশী পত্রিকায় রোহিঙ্গাদের অস্ত্র হাতে ছবি ছাপা হচ্ছে। মিয়ানমার সরকার আন্তর্জাতিক মিডিয়াকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছে রোহিঙ্গারা জঙ্গী। ওদের দমন করে মিয়ানমার বিশ্বকে জঙ্গীমুক্ত করনে বিরাট ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ সেভাবে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেনি। পারেনি সফল কূটনৈতিক কার্যক্রম চালাতে। এই বিষয় গুলো ভাবতে হবে ।

সবাই খালি মানবতার কথা বলে বর্ডার খুলে দেওয়ার কথা বলছেন বাংলাদেশকে, যেন সব দায় বাংলাদেশের !! কিন্তু মিয়ানমারকে কেউই থামতে বলছে না। বলবে কিভাবে, মিয়ানমারের সাথে ঐ বড় ভাইদের সমর্থন রয়েছে সবসময়। আর এরই মাঝে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে বাংলাদেশে এসেছেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিনে এরদোয়ান ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেগলুত কাভোসোলুর। আচ্ছা, তারা বাংলাদেশে না এসে মিয়ানমার গেলে কি বেশি ভাল হত না। এখন তারা রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা পরিদর্শনে গেছেন। এর মানে তুরস্কের ফার্স্ট লেডি বাংলাদেশে সহানুভূতির থলে নিয়ে এসেছেন তাই বাংলাদেশের দায়িত্ব সমস্থ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় পশ্রয় দেওয়া। এটা বাংলাদেশের প্রতি অবিচার।


বাংলাদেশকে সবাই চাপ দিচ্ছে আর মগের মুল্লুকের রানী অং সাং সুচির বর্বরতাকে কেউই থামাতে বলছে না। এই মগের মুল্লুকের রানী অং সাং সুচি আবার শান্তির নোবেল পাওয়া !! আন্তর্জাতিক মহল এই মগের রাজ্যকে থামাবে না কারন মিয়ানমারের পেশী শক্তিতে প্রতিদিন বল দিচ্ছে কথিত বড় ভাইয়েরা।



আমরাও বা কম কিসে?? আজকে যখন টেকনাফের উলুবনিয়া সীমান্তে বেপরোয়া গুলিবর্ষণ করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, এর প্রতিউত্তরে তাদের শান্ত করবার জন্য বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রী চাল আমদানি করার জন্য পাঁচ সদস্যের দল নিয়ে রওনা হয়েছেন মিয়ানমারে্র উদ্দেশ্যে। এর চেয়ে বড় কৌশল আর কি হতে পারে?? অতি শিগ্রই হয়ত মগের মুল্লুকের মুল্লুকের চাল আমাদের দেশে প্রবেশ করবে, বাজারে ভরে যাবে মগের মুল্লুকের চালে। এই প্রসঙ্গে একটা স্বপ্ন কৌতুক মনে পড়ল যা আমার এক বন্ধু হাস্য ছলে বলেছিল, কিন্তু এর বাস্তবতা যথার্ত।





-----এক বুজুর্গ ব্যাক্তির কেয়ামতের পরে হিসাব নিকাশ চলছে। ওনার নেকির পাল্লা ভারিই ছিল। আমলের হিসাব নিকাশে মনে হচ্ছিল বেহেশতেই যাবেন। এমন হয় সামনে এক পিচ্চি এসে বলল "আমাকে মেরেছেন কেন? হিসাব দিয়ে যান?"

বুজুর্গ ব্যাক্তি আকাশ থেকে পড়লেন। আমি জীবনে কাউকে টোকা পর্যন্ত দেই নাই আবার তোমাকে কীভাবে মারলাম?

শিশুটি বলল "আপনাদের দেয়া ট্যাক্সের টাকা দিয়ে আপনাদের সরকার বার্মা থেকে চাল কিনেছে। সেই চাল বেচা টাকা দিয়ে তারা গুলি কিনেছে। আর সেই বুলেটের আঘাতে আমি নিহত হয়েছিলাম। এই গুলির টাকা যেহেতু আপনি দিয়েছেন সেহেতু আপনাকে খুনী হিসেবে চিহ্নিত করা হলো। আমি পরকালের আদালতে বিচার দিলাম।"

বুজুর্গ ব্যাক্তি বললেন "আমিতো ইচ্ছা করে গুলি কেনার টাকা দেই নি। সরকার বিভিন্ন উপায়ে আমাদের কাছ থেকে ট্যাক্স নেয়, সেই টাকায় কখন কী করেন তা তো জানিনা। সেটা আমার এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না। সেক্ষেত্রে আমার কী করার আছে?"

শিশুটি জবাব দিল "আপনি প্রতিবাদ করতে পারতেন। আপনার প্রতিবাদ সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য হোক না হোক আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হলে পরকালের চার্জশীটে আপনার নাম উঠত না।"

এই অবস্থায় বুজুর্গ ব্যাক্তির ঘুম ভেঙে গেল।

কিন্তু আমাদের বা রাষ্ট্র যন্ত্রের ঘুম ভাঙবে কখন?

ঘুম যখন ভাঙবেই না তখন আরেকটা গল্প বোলে শেষ করছি !! এই গল্পটাও আমার এক বন্ধুর কাছে শোনা !!

...........।একজন সাবেক আর্মী অফিসারের সাথে দেখা হয়েছিল আজ এক অনুষ্ঠানে।
উনার সাথে দেখা হওয়ার সুযোগ হয়েছে আমার আরেক আত্মীয়ের মেয়ের বিয়ের আকদে। বাসার বাইরের লনে ফ্রি কফি সার্ভিস দেয়ার জন্য একটি কফির গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। ফ্রি কফি পেয়ে আমি আর আমার এক কাজিন দাঁড়িয়ে গেলাম কফি খেতে। ঐ গাড়ির পাশে ১০-১২ টি চেয়ার নিয়ে আড্ডায় বসেছেন সেই আর্মী অফিসার সহ আরো কয়েকজন। আমি যখন গিয়ে উনাদের পাশে দাড়িয়েছি তখন আলোচনার টপিক হচ্ছে বার্মা এবং রোহিঙ্গা ইস্যু। সাবেক আর্মী অফিসার রাগতস্বরে বললেন।

- "এখনকার জেনারেশান না বুঝে যুদ্ধের স্টাটিস্টিকস, না বুঝে জিও পলিটিক্যাল অবস্থা। হাতে ফেসবুক আছে, আর তাতে লিখে বসে থাকে "বাংলাদেশ কেন বার্মাকে আক্রমন করছে না" ? আরে বার্মার সাথে চায়নার এমনিতেই ভালো কানেকশান। ওরা ভারত থেকে কামান-গোলা-রাইফেল-গানবোট-মিজাইল কিনছে। পাকিস্তানের কাছ থেকে ফাইটার বিমান কিনছে। রাশিয়ার কাছ থেকে যুদ্ধ বিমান কিনছে। আমেরিকার অনেক বিনিয়োগ আছে বার্মায়। ভারত বার্মার উত্তর-পূর্ব অংশের সাথে হিউজ ইনভেস্ট করে রাস্তা বানিয়েছে। চায়না ডিপ সি পোর্ট বানিয়েছে। এই বার্মার সাথে বাংলাদেশ সরাসরি যুদ্ধ করতে যাবে কাকে সাথে নিয়ে? বার্মার সাথে বাংলাদেশ যুদ্ধে গেলে এসব দেশকে পাশে পাবে না। বুঝলা শুধু ফেসবুকে লিখলে হয় না, ফেসবুক দিয়ে যুদ্ধ হয় না"

উনার কথা শুনে আড্ডায় উপস্থিত সবাই মাথা নেড়ে হ্যা সুচক সম্মতি জানাচ্ছে। আমি যেখানে কফি খেতে দাড়িয়েছি, তার ঠিক পাশেই হচ্ছে পানের স্টান্ড। ওখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পান সাজাচ্ছিলেন এলাকার মসজিদের ইমাম সাহেব। উনি আর্মী অফিসারের কথা শেষে এগিয়ে গেলেন একটু সামনে। আর্মী অফিসার কে বললেন, স্যার অনুমতি দিলে একটি কথা বলতে চাই?

-স্যার ফেসবুকে একটি জিনিস দেখলাম, বর্তমান সরকার ভারত কে রামপাল দিয়েছে, ভারত থেকে অস্ত্র ক্রয় করতে কিছুদিন আগে প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে, ফ্রি ট্রানজিট দিয়েছে। রাশিয়া থেকে মিগ 29 কিনেছে, রাশিয়ার সাথে মিলে রুপপুর পারমানবিক বিদুত কেন্দ্র বানাচ্ছে।চীন থেকে সাবমেরিন কিনেছে, আবার চীনের সাথে তাপ বিদুতের জন্য চুক্তি হতে যাচ্ছে। আমেরিকা'কে কি দিয়েছি তার হিসাব এত বেশী যে এখন আর মনে পড়ছে না। আপনি বললেন বার্মার সাথে যুদ্ধ লাগলে ঐ সব দেশকে আমরা পাশে পাবো না, কারন বার্মা ওসব দেশকে অনেক কিছু দিয়েছে। দরকারের সময় যদি এসব দেশকে পাশে না পাই, তাহলে আমরা কেন ভারত, চীন, রাশিয়া , আমেরিকার সাথে এত কিছুর চুক্তি করলাম?

হুজুরের কথা শুনে আমার হার্ট বিট বেড়ে গেছে, শরীর উত্তেজনায় কাপতেছে। চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছি হুজুরের ফিনিশিং শুনতে। আড্ডার সবাই চাতক পাখির মত তাকিয়ে আছে হুজুরের দিকে। আমি ভাবছিলাম আমাদের হয়ত ঘুম ভাঙার সময় হয়েছে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০০

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: আহা কি আনন্দ কি আনন্দ এসে গেছে কোকাকোলা, গেছে সব দেনার দায়ে বাকী আছে কাপড় খোলা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.