![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১—এবারও 'ভালো নির্বাচন' হলো। ৩০০ এমপি, ৪০ মহিলা এমপি নির্বাচিত হয়ে গাড়ি, প্লট, কোটি কোটি টাকার থোক বরাদ্দ, লাল পাসপোর্টের মালিক বনে গেলেন। ভোটারদের গরিবি ঠিকই রইল, কিন্তু এমপি সাহেবদের "আখের" গুছিয়ে নেওয়ার পালা শুরু হয়ে গেল।
আমলাদের চেয়ার শুধু বদলালো, থানার ওসি থেকে ডিসি—নতুন মুখ, পুরোনো খেলা। বিচারালয়ে দলীয় নিয়োগ, উচ্চ কক্ষে নতুন লুটেরা দলের আবির্ভাব। প্রশ্ন হলো: "ভোটের পর এই বৈষম্য-লুটপাটের গ্যারান্টি বন্ধ হবে? নাকি শুধু লুটেরা বদল হবে?"
চাকরিতে মেধা না ঘুষ? ফাইল ঘুরবে না টেবিলে আটকে? ভোট দিলেই কি নিশ্চয়তা মিলবে? ৫৪ বছর ধরে একই গল্প—১৯৭৩ থেকে আজ পর্যন্ত ভোটের নামে শাসকগোষ্ঠীর ভাগ্য বদলেছে, জনগণের নয়।
সমাধান? শুধু নির্বাচন নয়, দরকার রাষ্ট্রের গোড়ার পরিবর্তন:
দুর্নীতিমুক্ত, জবাবদিহিমূলক প্রশাসন।
আমলাতন্ত্রের উচ্ছেদ, জনমুখী ব্যবস্থা।
মেধা ও ন্যায়ের ভিত্তিতে চাকরি-বণ্টন।
নইলে ভোট শুধু "নতুন লুটেরা" তৈরি করবে, গরীবের ভাগ্য নয়।
রাষ্ট্র পদ্ধতির আমূল সংস্কার ছাড়া ভোট মানে—শাসক বদল, শোষণ একই!
#ভোট_নয়_গণতন্ত্র_চাই
২০ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:২৬
জুয়েল তাজিম বলেছেন: সংস্কারের সুযোগ আসছে, এই সুযোগ সবসময় থাকবে না, বুদ্ধি বয়েস থেকে দেখে আসছি একই সিস্টেম । রাষ্ট্র পদ্ধতির আমূল সংস্কার ছাড়া ভোট মানে—শাসক বদল, শোষণ একই! ভোট দিলাম -৩০০ জন এমপি নির্বাচিত হলেন। সঙ্গে ৪০ জন মহিলা এমপিও নির্বাচিত হলেন। নির্বাচিত হওয়ার পরপরই এরশাদের তৈরি করা আইন অনুযায়ী তাঁরা রাষ্ট্রের টেক্স না দিয়ে একটা দামী গাড়ি আনার সুযোগ পেলেন। নিম্নে হলেও এক কোটি টাকার মুনাফা সঙ্গে সঙ্গে পেয়ে গেলেন। দ্রুতই একটা প্লটের জন্য আবেদন করলেন। অগ্রাধিকারে পেয়ে গেলেন। তাদের ব্যক্তিগত আখের গোচানো শুরু হয়ে গেল। ৬ মাসের মধ্যে থোক বরাদ্দ আসলো আরো কয়েক কোটি টাকা। যে টাকার কোন হিসাব কাউকে দিতে হবে না। সঙ্গে একটা করে লাল পাসপোর্ট পেয়ে গেলেন। শুরু হলো তার লাভের পালা। গরীব, দিনমজুর, ভূমিহীন যাদের ভোটে এমপি সাহেব উপরের সুযোগ ও সুবিধা গুলো তাৎক্ষণিক পেলেন, এতে ভোটারদের ভাগ্যের কি কোন পরিবর্তনের লক্ষণ তৈরি আছে? নাকি এম পি সাহেবের ভাগ্যে পরিবর্তনের লক্ষণ শুরু হলো?
২| ২০ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:২০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আগে আমাদের নাগরিক হয়ে উঠতে হবে। ট্রাইবাল-সমাজের চিন্তাভাবনা বাদ দিতে হবে। তবেই আমাদের রাজনৈতিক কালচার চেঞ্জ হবে।
৩| ২১ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: একথাটাই আমি সব সময় বলি। নির্বাচন হলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে না।
৪| ২১ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভোট দিলে ভাগ্য বদল হবে না। ৫ বছর করে ধান্ধা করা হবে; এরপর বিদেশ পার। আবার ভোট না দিলে ব্যক্তিকে বিদেশে পালাতে হবে না। তবে টাকা পাচার ঠিকই হবে। দিন তো সবসময় একরকম থাকে না।
দেশটাকে সবাই দুধেল গাভি মনে করে। ভালোবাসে না কেউ।
৫| ২১ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৩
কাঁউটাল বলেছেন: পভুপাদ মুদির দেশ "ভঁড়ত" এবং উহার দালালদেরকে পোংগা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে বাংলাদেশ ভাল থাকবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:১৯
অপু তানভীর বলেছেন: না ভোট দিলে ভাগ্য বদলাবে না। আমরা যতদিন না নিজেরা বদলাবো ততদিন আমাদের ভাগ্য বদলাবে না।
তবে ভোট দিলে আওয়ামীলীগের মত স্বৈরাচার তৈরি হবে না। জনগনের হাতে ভোটের ক্ষমতা থাকলে চোরেরা জানবে যে ৫ বছর পরে তাদের খবর আছে। আওয়ামীলীগ কেন এতো ভয়ংকর হয়ে উঠেছিল? কারণ তারা ভেবে নিয়েছিল তাদেরকে কেউ ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবে না। বাঙালির হাতে এই '''কেউ সরাতে পারবে না'' ধরণের ক্ষমতা খুবই ভয়ংকর। এই জন্য ভোট দানের ক্ষমতা জনগনের হাতে থাকা দরকার সব সময়।