নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জুয়েল তাজিম

জুয়েল তাজিম

অলস হবেন, তো হতাশা পাবেন। শুরু করুন,শেষ হবেই। সামনে এগোতে থাকুন, পথ কমবেই।

জুয়েল তাজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক: বাংলাদেশের রফতানির জন্য চ্যালেঞ্জ নাকি নতুন সুযোগ?

০২ রা আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:৫৯



যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ৩৫% শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে, যার মধ্যে ২০% হলো নতুন "পারস্পরিক শুল্ক" (Reciprocal Tariff) এবং ১৫% আগে থেকেই প্রযোজ্য গড় শুল্ক। এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রফতানি খাত, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। তবে শুধু সংকটই নয়, এটি নতুন বাজার কৌশল ও প্রতিযোগিতার সুযোগও তৈরি করেছে।

পারস্পরিক শুল্ক কী?
গড় শুল্ক: যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে বাংলাদেশি পণ্যে গড়ে ১৫% শুল্ক ধার্য করে।

পারস্পরিক শুল্ক: ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নীতি অনুযায়ী, কোনো দেশ যদি মার্কিন পণ্যে শুল্ক বাড়ায়, যুক্তরাষ্ট্রও সেই দেশের পণ্যে সমান বা বেশি শুল্ক দেবে। এপ্রিল ২০২৪ থেকে এই নীতি কার্যকর হয়েছে, যার লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমানো।

কে শুল্ক দেবে?
মার্কিন আমদানিকারকরা এই শুল্ক দেবে, কিন্তু তারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে তা ভোক্তাদের ওপর চাপাতে পারে। ফলে বাংলাদেশি পণ্যের দাম বেড়ে গেলে মার্কিন ক্রেতাদের আগ্রহ কমতে পারে।

বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে কী প্রভাব পড়বে?
১. দামের প্রতিযোগিতা কমবে:

বাংলাদেশি পণ্যের দাম বেড়ে যাবে (যেমন: আগে ১০ ডলারের শার্ট এখন ১৩ ডলারে বিক্রি হবে)।

ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়ার মতো দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা দুর্বল হতে পারে।

২. অর্ডার ও রফতানি আয়ে চাপ:

কিছু ব্র্যান্ড অর্ডার কমাতে পারে বা অন্য দেশে সরিয়ে নিতে পারে।

শ্রমিক ছাঁটাই এবং উৎপাদন হ্রাসের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

৩. চীন-ভারতের তুলনায় সুবিধা:

চীনের পণ্যে ইতিমধ্যে ২৫% শুল্ক থাকায় বাংলাদেশ বিকল্প হিসেবে টিকে থাকতে পারে।

ভারতের ওপরও ২৫% শুল্ক প্রযোজ্য, যা বাংলাদেশের জন্য কিছুটা সমতাভিত্তিক সুযোগ তৈরি করেছে।

৪. বাজার বৈচিত্র্যের তাগিদ:

ইউরোপ, কানাডা, জাপানের মতো বাজারে রফতানি বাড়ানোর কৌশল নেওয়া জরুরি।

উচ্চমূল্যের ও পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদনে জোর দেওয়া যেতে পারে।

সুযোগ ও করণীয়
✅ স্থিতিশীলতা: শুল্ক হার স্থির থাকায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা সহজ হবে।
✅ দক্ষতা বাড়ানো: উৎপাদন খরচ কমানো এবং গুণগত মান উন্নয়নের মাধ্যমে শুল্কের প্রভাব কমানো সম্ভব।
✅ সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা: রফতানি প্রক্রিয়া সহজিকরণ, টেকসই শিল্পায়ন এবং বাজার সম্প্রসারণে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।

"মার্কিন আমদানিকারক ও ভোক্তারা শুল্ক বহন করলেও, এর প্রভাব বাংলাদেশি সরবরাহকারীদের ওপরও পড়বে। তবে এটি চীনের বাজার হারানোর সময় বাংলাদেশের জন্য নতুন দরজা খুলে দিতে পারে।"


যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ, কিন্তু সঠিক কৌশল ও প্রস্তুতির মাধ্যমে এটিকে সুযোগে পরিণত করা সম্ভব। শিল্পখাতকে দ্রুত অভিযোজিত হতে হবে, পাশাপাশি সরকারকেও সহায়ক নীতি প্রণয়ন করতে হবে।

#বাংলাদেশ #রফতানি #শুল্ক #পোশাকশিল্প #যুক্তরাষ্ট্র #বাণিজ্য

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.