![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভীতি ও আতঙ্কের প্রাবল্য আমরা লক্ষ্য করছি। অনেক সময় অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিও এই প্রবণতাকে আরও স্পষ্ট করে তোলে। উদাহরণস্বরূপ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে আমরা ‘শিবির’ দেখছি বলে মনে করি; অথচ শিবির বা জামাত নিজেরাও সম্ভবত এই ‘শিবির’কে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখছে। বাস্তবে কি তা-ই?
ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের উপস্থিতি যতটা, ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ হলো তাদের রাজনীতিকে ‘স্থগিত’ রাখার কৌশল। কারণ, বিজয়ী প্যানেলের নাম ছিল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’—যা সরাসরি ‘শিবির’ নয়। ফলে তাদের ইশতেহার শিবিরের নিজস্ব রাজনীতি নয়; বরং এটি একটি বৃহত্তর মোর্চা, যা তৈরি হয়েছে শিবিরের রাজনীতিকে সাময়িকভাবে পিছনে রেখে। এই মোর্চা গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেই শিবির তাদের স্বতন্ত্র এজেন্ডা সাময়িকভাবে তুলে রেখেছে। কিন্তু অনেকের ভীতি ও আতঙ্ক এই মোর্চাকে সরাসরি ‘শিবির’ হিসেবে চিহ্নিত করছে, যার ফলে শিবিরের বাইরের অনেক ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর চিন্তা ও কার্যক্রমের ফলাফল শিবিরের ঘরে জমা হচ্ছে।
এখানে ‘ঐক্যবদ্ধ’ শব্দটির অর্থ হলো—একনায়িক হাসিনা, বাকশাল ও ভারতীয় জাতীয়তাবাদের অনুগত বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের ঐক্যের লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে前进 করা। এটি বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস ও বর্ণনা গঠনের একটি প্রক্রিয়া, এবং শিবির এই ঐতিহাসিক সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে। এই সুযোগ নিতে পারতো ছাত্রদল বা বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ (বাগছাশ); কিন্তু তারা তা নেয়নি। বরং তারা জনগণের রাজনৈতিক ইচ্ছাকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশকে বাকশালী বর্ণনায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে। ছাত্রদল বা বাগছাশ ছাড়াও বামপন্থীরাও এই সুযোগ নিতে পারতো—মোদি-বিরোধী আন্দোলনে ‘মেঘমল্লার’র হাত ভাঙার ইতিহাসও তো আমাদের স্মরণে আছে।
আমি বাংলাদেশের জনগণকে প্রাধান্য দিতে চাই। এই জনগণই তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ১৯৩৭ সালে শের-এ-বাংলাকে, ১৯৪৭ সালে জিন্নাহকে, ১৯৭০ সালে শেখ মুজিবকে, ১৯৯০ সালে খালেদা জিয়াকে এবং ২০২৪ সালে নাহিদ রিয়াদকে গড়ে তুলেছে। একইভাবে ডакসুতে সাদিক, কায়েম, জুমা ও সর্বমিত্র—এরা সবাই জনগণের সঙ্গে একমত হওয়ার কারণেই ইতিহাসের অংশ হয়ে উঠতে পেরেছেন। জনগণের শত্রুতা করলে, এই জনগণই তাদের বিদায় করবে—যেমনটি মুজিবের ক্ষেত্রেও হয়েছিল। এরা ইতিহাসের নির্মাতা নন; বরং জনগণই তাদের নির্মাতা।
অনেকে যেমন শেখ মুজিবকে পাকিস্তান ভাঙার দায় দিয়ে আসলে বাংলাদেশ সৃষ্টির কৃতিত্ব তাঁকে দেয়, তেমনি ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের বাইরে গিয়ে—নিজের নামে না থেকে, অন্যদের সঙ্গে মোর্চা বেঁধে একটি সম্মিলিত বর্ণনা তৈরি করে—জয়লাভকে কেবল ‘শিবিরের জয়’ হিসেবে দেখা হবে একটি ঐতিহাসিক ভুল; অতীতের অগণিত ভুলের মতোই আরেকটি ভুল।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১১
জুয়েল তাজিম বলেছেন: এ বিজয় হিজাবির, এ বিজয় নন-হিজাবির, বলেছেন বিপুল ভোটে জয়ী ফাতিমা জুমা।
২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩১
বিজন রয় বলেছেন: আপনি বিরাট গবেষক।
৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে। পড়লাম।
৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১২
জুয়েল তাজিম বলেছেন:
৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৮
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
এই বিজয় হামাসের, এই বিজয় লস্করে তৈয়বার।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭
জুয়েল তাজিম বলেছেন: ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথা বলে দিলে বেশি জুইত হত
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২৪
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
গার্বেজ