নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা পড়িয়া রয় অবহেলায়, তাহা সমগ্রই আমার কী-প্যাডের, দূর্দান্ত গতি ছড়ায়। যদি কোন অন্ধ/বদ্ধ মনের দ্বার একবার খোলা যায়?\n

আসিফুজ্জামান জিকো

অাইন বিভাগ..

আসিফুজ্জামান জিকো › বিস্তারিত পোস্টঃ

What Is Ball Tampering?

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭

What is Ball Tampering?
বলের স্তর অবক্ষয় কি? ( স্মিথ যা করেছে )

- বল টেম্পারিং হচ্ছে বলের উপর গ্রীপ দেওয়া যে সুতো বা সীম থাকে তা টেনে খুলে ফেলা, অথবা তা অালগা করে দেওয়া, কেটে দেওয়া, বলে পানি বা ওই জাতীয় কোন পদার্থ লাগিয়ে অনেক ঘষে ঘষে কোন একটা পাশটাকে স্মুথ করে দেওয়া।

এসব করার সুবিধে হচ্ছে, ব্যাটমম্যানেরা যখন সেইট এবং রেগুলার বল পাচ্ছে ব্যাটে, বোলারদের কোন ডেলিভারীতেই তারা পরাস্ত হচ্ছে না ঠিক তখন দলের সর্বাপেক্ষা ইমাণদার ( :p) ব্যাক্তি দ্বারা বলের উপরোক্ত কোন ক্ষতি সাধন করা, যাতে বল মাটিতে ড্রপ পড়ার পরে স্বাভাবিকের চেয়ে উচু বা হঠাৎ নিচু হয়ে ব্যাটসম্যানকে পুরো ধান্ধায় ফেলে অাউট করে দেওয়া। অাবার চৌকস বোলার গুলো বলের সেসব প্বার্শকে কাজে লাগিয়ে একস্ট্রা টার্ণ, সুইং, কাটার অাদায় করে ব্যাট্যারুর দুঃস্বপ্ন হয়ে ওঠেন!

সংক্ষেপে যারা অাতীতে ধরা খেয়েছে উহা সম্পাদন কালে তা দেখি, তবে এরাই যে কালপ্রীট তা নয়, কারন জিনিসটি সবাই কম বেশি ট্রাই করেন, কেউ হয়তো ক্যামেরা বন্দী হয়ে যান কেউ চুরিতেই নাম ডাক পান- এই যা...

১৯৯২..

ইংল্যান্ডে অভিযুক্ত হয় পাকিস্তানের বোলারগুলো, সুত্র খেলার ভিডিও খেলা শেষে দেখতে দেখতে অাবিষ্কৃত হয় এই মহামান্যবর দ্বিগের চৌর্যবৃত্তির কৃত্তি!
কিন্তু কিছুই প্রমাণ করার অাগেই খেলা শেষ বলে কোন এ্যাকশন নেওয়া হয়নি।

১৯৯৪..

দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে হোম সিরিজের সময় বলের স্তর অবক্ষয়ের জন্যে (tamparing) অভিযুক্ত করা হয়। কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি এখানে ও প্রমাণের অভাবে!

এই সালেই- লর্ডসে সাউথ অাফ্রিকার সাথে প্রথম টেস্টের সময় ইংলিশ ক্রিকেটার মাইক অার্থার্টনকে ভিডিও তে হলদে টেপ দ্বারা বলের গ্রিপ নষ্ট করতে দেখা যায়। এতে ইংলিশ বোর্ড প্রধান ১০০০ £ জরিমাণা করেন। পরবর্তীতে অাম্পিয়ারদের সাথে মিথ্যা বলার জন্যে অারো ১০০০£ জরিমানা করা হয় তাকে।

১৯৯৬..

পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেট বোর্ড চেয়ারম্যান জাভেড বুর্কি এ্যালিগেশন তোলেন যে পাক-ইংলিশ টেস্টের সময় ইংলিশরা বলের স্তর অবক্ষয় করেছে। তবে প্রমাণের অভাবে তার কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

২০০০..

অাবারো পাকিস্তানের ওয়াকার ইউনিসের ৫০ পার্সেন্ট ম্যাচ ফি ফাইন এবং একটি একদিনের অান্তর্জাতিক থেকে বহিস্কার করা হয় এই বলের স্তর অবক্ষয় করে বাড়তি সুবিধা পাইবার প্রাক্কালে ধরা খেয়ে ম্যা ম্যা করার সময়। সেই বছরই পাকিন্তানের অারেক মারখোড় অাজাহার মাহমুদকে বলের সীম তুলে ফেলার দায়ে ৩০ শতাংশ ম্যাচ ফি কাটা হয়।

২০০১..

শচীন টেণ্ডুলকারের ম্যাচের ৭৫ শতাংশ ফি এবং অান্তর্জাতিক এক ম্যাচ ব্যান করা হয় পোর্ট এলিজাবেথে টেস্ট চলাকালীন বলের স্তর অবক্ষয় করার জন্যে।

পরবর্তীতে নাকি শচীন রমেশ টেন্ডুলকারের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে তাকে এই ক্লেইম থেকে নিষ্কৃতি দেয়া হয়।

২০০২ এবং ২০০৩..

পাকিস্তানের শোয়েব অাখতার ( চুরামী থাইকলে পাইক্বা তার শীর্ষে :) ) হারারেতে জিম্বুজদের সাথে প্রথম টেস্টে এবং ০৩ এ বলের এক তৃতীয়াংশ সীম ছিড়ে ফেলার জন্যে ম্যাচ ফি ৭৫ শতাংশ এবং ২ ম্যাচ ব্যান খায় নিউজিল্যাণ্ডের বিপক্ষে!

২০০৪..

ভারতের রাহুল দ্রাবিড়ের ৫০ শতাংশ ম্যাচ ফি কাটা হয় জিম্বুজদের সাথে ব্রিসবেনে অনডে চলকালীন অপরাধ বলের ছাল বাকল ছিড়ে টাকলা করার প্রয়াস।

২০০৬..

অতিরিক্ত পাচ রান যোগ করা হয় ইংলিশদের স্কোরে বাই দি অাম্পায়ার ড্যারেল হেয়াল এন্ড বিলি ডকট্রোভ দ্বারা যখন পাকিস্তান ( অাবারো ফাইক্কা চোরা :p ) বলের ক্ষতি সাধন করার প্রাক্কালে ধরা খেলে অাইনের ২১.৩'ধারায় এই সাজা হয়।

অতএব স্টিভেন স্মীথ বা তার সাহায্যকারী সতির্থের খুব একটা কিছু হবার কথা নয়, হলে তা অনুচিৎ ঘোরতর অবিচার হবে। বেচার অসম্ভব ভদ্র, সবার হাক ডাক দেখে ভোরের দিকে স্মিথের ধরারা খাইবার পরের সংবাদ সম্মেলনে একবারেরে পাংশু হওয়া মুখমণ্ডল দেখে অামার কষ্টই লাগলো।

তবে শিক্ষণীয় হচ্ছে নাদুস নুদুস বলদ সলদ চেহারার সবাই যে অামার মত সহজ সরল হবে এমন প্রত্যাশা করে ধোকা খাইবেন্না অাপু ও ভায়া সমাজেরা :)
ওই ছেলের পেটে পেটে এত্ত গপ - ভাবা যায়..

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০১

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ওরে বাবা!! পাকিরা তো দেখি সব আকাম/কুকামের শীর্ষে।

স্মিথের সত্য বলা ও দায় স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়াকে সাধুবাদ জানাই। সেই সাথে এমন অপকর্ম ভবিষ্যতে যাতে না হয় সেই ব্যাপারে আইসিসি কঠোর পদক্ষেপ নিক।

২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১০

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: সভ্যতার লীলাভূমি (!) ইংল্যান্ডের কেউ এমন করতে পারে এটা তো অবিশ্বাস্য!! তারপর আবার অস্ট্রেলিয়া!!! সত্যিই অবাক করার মত!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.