নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার দেশ

রুবেল১৯৮৭

আমি বিশ্বস করি ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ কিন্তু ধর্মহীনতায় নয়।

রুবেল১৯৮৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কীভাবে জামায়াত বিভ্রান্ত ও প্রতারণা করে

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৫৯

১৯৭১ সালে জামায়াত পাকিস্তানী বাহিনীর সহায়তায় কোরান পুড়িয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় মসজিদে জায়নামাজ পুড়িয়েছে। এদের যদি ধর্মপ্রাণ বলতে হয় এবং এদের যদি ধর্মের ঠিকাদারি দেয়া হয় তাহলে দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। খালেদা জিয়াও এখন ইসলামী মূল্যবোধের ধারক! জামায়াতী ‘মৌলানারা’ তাই মনে করে। তাহলে বুঝুন, এই যদি ইসলামের বোধ বলে প্রচারিত হয় ও কিছু মানুষ তা সমর্থন করে সেখানে তো যুক্তির কোন প্রশ্ন আসে না। আমি কয়েকটি উদাহরণ দিই।

মসজিদ কী? খোদার কাছে আত্মসমর্পণের স্থান। বিভিন্ন হাদিস অনুসারে আমাদের প্রিয় নবী (স) যা বলতেন তাহলো ‘তোমরা কোন উপাসনালয় ভাঙবে না, কোন পুরোহিত, উপাসক, বৃদ্ধ, নারী ও শিশুকে বধ করবে না।’ গত দু’মাসে বিএনপি-জামায়াত মহানবীর (স) বাণীকে উপেক্ষা করে মন্দির ভেঙ্গেছে, বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, হিন্দু মেয়েদের ধর্ষণ করতে গেছে।

আ. ত. ময়মনী লিখেছেন, কারও নাম বিকৃত করা বা মন্দ নামে ডাকা অনুচিত। এখন মওদুদীর শিষ্য পেশাদার বক্তা সাঈদী প্রতিটি মানুষের নাম বিকৃত করে কোরানকে উপেক্ষা করেছেন। আপনারা কীভাবে ভুলে গেলেনÑ এই সাঈদী জাহানারা ইমামকে বলত জাহান্নামের ইমাম, আহমদ শরীফকে বলতেন আহম্মক শরীফ। আহমদ আমাদের প্রিয় নবীর (স) দ্বিতীয় নাম। সি. আর. দত্তকে বলতেন শিয়াল দত্ত। এ রকম একটি নোংরা মনের লোককে এখন ‘আল্লামা’ বলা হয়, ‘মৌলানা’ বলা হয় তখন মনে হয় ইসলামের আর কত অবমাননা আমরা করব!

মওদুদীর কট্টর সমর্থক জামায়াতীরা যে দেশটিকে ধর্মের নামে অর্ধমের পথে নিয়ে যাচ্ছে তা তথাকথিত শিক্ষিতরাও কি বোঝেন না, নাকি বুঝে না বোঝার ভান করেন? তারা ধর্মের বিপরীতে অধর্মকে সমর্থন করে কি মনে করেন ধর্ম করছেন? আমাদের পুরনো কিছু পুস্তিকা থেকে প্রকৃত ইসলাম ও জামায়াতী ইসলামের পার্থক্য তুলে ধরছি (বন্ধনীতে যেসব বইয়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলোর রচয়িতা মওদুদী)

* ইসলাম বলেছে, আল্লাহতায়ালা নির্যাতনমূলক কোন বিধান দেননি। জামায়াতীরা বলেছে, ব্যভিচারের শাস্তি রজম বা পাথর মারা, যা কি না নিঃসন্দেহে নির্যাতন। (তাফহিমাত, ২য় খ-, ২৮১ পৃষ্ঠা)

* ইসলাম বলেছে, ফেরেশতারা নূরের তৈরি আল্লাহর মখলুক। জামায়াতীরা বলেছে, ফেরেশতা প্রায় একই বস্তু যাকে ভারত, গ্রিক প্রতৃতি দেশের পৌত্তলিকরা দেবদেবী স্থির করেছে। (তাজদীদ ও এহইয়ায়ে দ্বীন, ১০ পৃষ্ঠা)

* ইসলাম বলেছে, নবী-রাসূলগণ নিষ্পাপ। তাঁরা কোন গুনাহ করেননি। জামায়াতীরা বলেছে, নবী রাসূলগণ নিষ্পাপ নন। প্রত্যেক নবীই গুনাহ করেছেন (তাফহিমাত, ২য় খ-, ৪৩ পৃষ্ঠা)

* জামায়াতীরা বলেছে, হযরত ইউনুস (আ) নবুয়াতের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেননি। (তাফহিমুল কোরান, ২য় খ-, ৯৯ পৃষ্ঠা)

* হযরত ইব্রাহিম (আ) ক্ষণিকের জন্য শিরক গুনাহে নিমজ্জিত ছিলেন। (তাফহিমুল কোরান, ১ম খ-, ৫৫ পৃষ্ঠা)।

* ইসলাম বলেছে, মহানবী (সা) মানবিক দুর্বলতামুক্ত ছিলেন। জামায়াতীরা বলেছে, মহানবী (সা) মানবিক দুর্বলতামুক্ত ছিলেন না। (তরজমানুল কোরান, ৮৫শ সংখ্যা, ২৩০ পৃষ্ঠা)।

* ইসলাম বলেছে, মহানবী (স) মনগড়া কোন কথা বলেননি। জামায়াতীরা বলেছে, মহানবী (স) মনগড়া কথা বলেছেন। নিজের কথায় তিনি নিজেই সন্দেহ করেছেন। (তরজমানুল কোরান, রবিউল আউয়াল, ১৩৫৬ হিজরী)

* ইসলাম বলেছে, সাহাবা কেরাম অনুসরণযোগ্য। জামায়াতীরা বলেছে, সাহাবাদের অনুসরণ করবে না। (দস্তরে জামায়াতে ইসলামী ৭ পৃষ্ঠা)

* জামায়াতীদের মতে হযরত আবুবকর (রা) দুর্বলমনা ও খেলাফতের দায়িত্ব বহনে অযোগ্য ছিলেন। (তাজদীদ ও এহইয়ায়ে দ্বীন, ২২ পৃষ্ঠা)।

* হযরত আলী (রা) খেলাফত আমলে এরূপ কিছু কাজ করেছেন, যা অন্যায় বলা ছাড়া উপায় নেই (খেলাফত ও মুলকিয়াত, ১৭৩ পৃষ্ঠা)।

* ইসলাম বলেছে, পবিত্র কোরানের মনগড়া ব্যাখ্যা করা হারাম। জামায়াতীরা বলেছে, কোরান মজিদের মনগড়া ব্যাখ্যা করা জায়েজ। (তরজমানুল কোরান, জমাদিউস সানি, ১৩৫৫ হি.)

* ইসলাম বলেছে, রোজাদারের জন্য সুবহে সাদেকের পর পানাহার করা নাজায়েজ। কেউ করলে রোজা হবে না। জামায়াতীরা বলেছে, রোজাদারের জন্য সুবহে সাদেকের পর আজান শুনলেও পানাহার করা বিলকুল জায়েজ। (তাফহিমুল কোরান, ১ম খ-, ১৪৬ পৃষ্ঠা)।

পবিত্র কোরান ও হাদিসের খেলাফ ও ধরনের আরও বহু কথা জামায়াতীরা তাদের বিভিন্ন পুস্তকে বলেছে। সুতরাং পবিত্র ইসলামের মুখোশধারী এই বাতিল ফেরকা থেকে নিজেকে এবং সন্তান-সন্ততিকে দূরে রাখুন। আল্লাহর ইবাদতের স্থান মসজিদকে জামায়াতীদের রাজনৈতিক আখড়ায় পরিণত করতে বারণ করুন এবং এই দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণার জন্য সরকারের কাছে দাবি তুলুন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৩০

গেস্টাপো বলেছেন: প্রথম কথা
জামাতি ইসলাম একটা শেয়াল কুকুরের দল।আমি মনে করি এই দল যে করে সে কোন মানুষের পর্যায়েই পড়ে না
দ্বিতীয় কথা
আহমেদ শরীফের বই কখনও পড়ছেন?সে কি ছিলো যানা আছে তো?এত যে ইসলাম,ইসলাম নিয়ে লেখলেন এই আহমেদ শরীফের ইসলাম সম্পর্কে কি লিখছেন জানেন তো নাকি?এত ইসলাম প্রিয় দাড়ি-টুপি এই হাসিনার আমলে কেন মানুষ রাখতে ভয় পায়?ইহুদি ইসরাইলও যা করে নাই এই ইসলাম প্রিয় সরকার মসজিদের ভেতরে গুলি চালিয়ে মুসল্লি হত্যা করছে কেন তাহলে?কেন এখন মানুষে মসজিদে নামাজ পড়তে ভয় পায়?কেন কলেজের ছাত্ররা ভয়ে নামাজ পড়ে না যে তাদের শিবির ট্যাগ দেওয়ার জন্য?সমস্ত নেস্টিক কেন ইসলাম প্রিয় আওয়ামী লীগে ভোট দেয়।তারাই আবার ফেসবুক এ দাঁড়িয়ে গর্জন করে বলে মুয়াজ্জিনদের আজান তাদের ভাল্লাগে না।এগুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ?শহিদ মিনার ভাংলে যুবলীগ নেতাকে পাগল বলে ছেড়ে দেয় কেন?

আপ্নারা কি ইসলাম প্রিয় দেখা আছে।প্রধানমন্ত্রী বিরুদ্ধে কিচু কইলেই সাথে সাথে গ্রেপ্তার।নবী হজরত মুহাম্মাদ (সঃ) কে ২০০৯ সালের পর থেকে জঘন্য ভাষায় আক্রমন করা হয়েছে তখন কই ছিলো ইসলাম প্রিয় আম্লিগ

বিম্পি-আম্লিগ দুইটাই বদ দল।পার্থক্য হইলো নেস্টিকরা সব আওয়ামী লীগ করে।সো মুনে রাখবেন দেশের ৯০% মুসলিম।আগামীবার ভোট কত পান খেয়ালে রাইখেন ;)

২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৫১

সাদা পাখি বলেছেন: গেস্টাপো বলেছেন: প্রথম কথা
জামাতি ইসলাম একটা শেয়াল কুকুরের দল।আমি মনে করি এই দল যে করে সে কোন মানুষের পর্যায়েই পড়ে না

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.