![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসলাম হেফাজতের নামে ‘হেফাজতে ইসলাম’ সম্প্রতি ১৩ দফা দাবী জানিয়েছেন। সুদীর্ঘ লংমার্চ করে ১৩ দফার দাবী নিয়ে শাপলা চত্বর-এর ‘শাপলা ভাস্কর্যকে’ সাক্ষী রেখে যে সকল দাবী তাঁরা উত্থাপন করেছেন সেসব শুধু সংবিধান সাংঘর্ষিক-ই নয় বরং ইসলাম পরিপন্থী। তাদের ১৩ দফার সাতটি দফাই হলো একদিকে যেমন সংবিধানের সাথে সামঞ্জস্যহীন, অন্যদিকে তেমনই ইসলামবিরোধী। এই প্রবন্ধে হেফাজতে ইসলামের সাতটি দফা কেন সংবিধান ও ইসলামবিরোধী তার যুক্তি উপস্থাপন করা হল।
১ম দফা : সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করতে হবে।
* সংবিধানের Preamble এবং অনুচ্ছেদ ১২ অনুযায়ী ধর্মনিরপেক্ষতা নীতি হলো আমাদের সংবিধান এবং রাষ্ট্রের অন্যতম মূলনীতি। এই মূলনীতির সাথে সাংঘর্ষিক ১ম দফাটি কখনই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
* সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭(২) অনুযায়ী সাংবিধানিক আইনের সাথে সাংঘর্ষিক কোন আইন বাতিল বলে গণ্য হবে। সংবিধান হলো বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন। আর তাই সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক আইন কুরআন ও সুন্নাহ্ সমর্থিত হলেও বাংলাদেশের আইন হতে পারবে না। ১ম দফাটি তাই অগ্রহণযোগ্য।
* ইসলাম এর নীতি অনুযায়ী সংবিধান কোন ধর্মগ্রন্থ নয়। আর তাই ‘মদিনা সনদ’-এর ইসলামীকরণ করা হয়নি। কিন্তু ইসলাম হেফাজতের নামে ইসলামের এই শিক্ষার বিপরীতে অবস্থান নিয়ে মুমিন মুসলমানদের বিভ্রান্ত করাটাই হলো একটি ইসলাম পরিপন্থী কাজ। ইসলামের দৃষ্টিতে ১ম দফাটি তাই মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।
২য় দফা : আল্লাহ, রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করতে হবে।
* বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৯(২) অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের চিন্তা, মত ও ভাবপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। তবে দণ্ডবিধির ২৯৫ক এবং ২৯৮ অনুযায়ী অন্যের ধর্মানুভূতিতে আঘাত হানা একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। সেক্ষেত্রে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, জরিমানা অথবা উভয়েই হতে পারে। এখন শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মের অবমাননাকারীদের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান করে বিশেষ আইন প্রণয়ন করা হলে তা হবে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২ক (রাষ্ট্রধর্ম বিষয়ক) এবং ২৮ (ধর্মভিত্তিক বৈষম্য পরিপন্থী নীতি বিষয়ক)-এর সাথে সাংঘর্ষিক। অতএব, ২য় দফা গ্রহণযোগ্য নয়।
* ইসলামে কোন জাগতিক আইনের (ব্লাসফেমী) মাধ্যমে ইসলাম অবমাননাকারীদের শাস্তির বিধান নেই। বরং সূরা মুযাম্মেল, আয়াত নম্বর ১০; সূরা হিজর, আয়াত নম্বর ৯৭, ৯৮ ও ৯৯; সূরা নিসা, আয়াত নম্বর ১৪০; সূরা আন’আম, আয়াত নম্বর ৬৮-৬৯ ও ১০৮; সূরা সাদ, আয়াত নম্বর ৪ ও ১৭; সূরা সাফ্ফাত, আয়াত নম্বর ৩৬; এবং সূরা বণী ঈসরাঈল, আয়াত নম্বর ৪৭ অনুযায়ী ইসলাম অবমাননাকারীদের শাস্তি মৃত্যুপরবর্তী সময়ে আল্লাহ্-তা-য়ালা নিজে দিবেন বলেছেন। সুতরাং ২য় দফাটি ইসলাম পরিপন্থী।
৩য় দফা : শাহবাগ আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয় নবী (সা.)-এর শানে কুৎসা রটনাকারী ব্লগার ও ইসলামবিদ্বেষীদের সব অপপ্রচার বন্ধ করে তাদের গ্রেফতারপূর্বক কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
* বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৯(১) অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের চিন্তা-চেতনা ও বিবেকের স্বাধীনতা রয়েছে। নাস্তিকতা একটি বিশ্বাস। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত বিশ্বাস-এর কারণে বাংলাদেশ রাষ্ট্র কোন ব্যক্তিকে সাজা প্রদান করতে পারে না। তাই ৩য় দফাটি সংবিধান সাংঘর্ষিক।
* ইসলামের দৃষ্টিতে নাস্তিকতার শাস্তি কোন মানবসৃষ্ট আইনের মাধ্যমে দেয়া সম্ভব নয়। সূরা আত-তওবার আয়াত নম্বর ৭৩-৭৪-এ উল্লেখ আছে যে নাস্তিকতার শাস্তি আল্লাহ-তায়ালা নিজেই দিবেন তা ইহজীবনেই হোক বা পরজীবনে। সুতরাং ৩য় দফাটি ইসলাম পরিপন্থী।
৭ম দফা : কাদিয়ানিদের সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সব অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
* সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪২ অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা রয়েছে। তাই বাংলাদেশে অবস্থানকারী আহমাদীয়াদেরও রয়েছে। আর তাছাড়া সংবিধানে মুসলমান অ-মুসলমান ঘোষণার কোন দায়িত্ব রাষ্ট্রকে দেয়া হয়নি। বরং দায়িত্ব দেয়া হয়েছে প্রত্যেক নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতাকে রক্ষা করবার। অতএব, ৭ম দফাটি সংবিধান সাংঘর্ষিক।
* ইসলামে Sectarianism নিয়ে খুব-ই সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। সূরা আন’আম, আয়াত নম্বর ১৫৯; সূরা আন’বীয়া, আয়াত নম্বর ৯২-৯৩; সূরা মু’মীনুন, আয়াত নম্বর ৫২-৫৪; সূরা আর-রুম, আয়াত নম্বর ৩১-৩২; এবং সূরা হুজুরাত, আয়াত নম্বর ১০-১১ তে ইসলামের সকল মতধারার বিশ্বাসীদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নির্দেশনা আল্লাহ তায়ালা দিয়েছেন। ‘তাকফির’ করা অর্থাৎ কাউকে কাফির ঘোষণা করা খুব কঠিন একটি ব্যাপার কারণ আল্লাহ তায়ালা ছাড়া কেউ সঠিক করে বলতে পারে না কে কাফির আর কে কাফির না। সুরা নিসা, আয়াত নম্বর ১১৫ তে উল্লেখিত হয়েছে যে কাফিরদেরকে দোযখে পর্যবাসিত করা হবে। সুতরাং রাষ্ট্র যদি এই পৃথিবীতে মুসলমান-অমুসলমান নিরূপণের দায়িত্ব নেয় তবে তা রাষ্ট্রকে আল্লাহ তায়ালার সমকক্ষ করার সমতুল্য হবে। অতএব, ৭ম দফাটি নিঃসন্দেহে ইসলাম পরিপন্থী।
৮ম দফা : ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বলনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
* সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২ অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের ব্যক্তি স্বাধীনতা রয়েছে। আবার সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৯(২) অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। নারী-পুরুষের প্রকাশ্যে বিচরণ অথবা মোমবাতি প্রজ্বলন-কে রোধ করা হলে তা নাগরিকের ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ভাবপ্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করবে। অতএব, ৮ম দফাটি সংবিধান সাংঘর্ষিক।
* নারী-পুরুষের প্রকাশ্য বিচরণ কখনই ইসলামে নিষিদ্ধ নয়। বিবি খাদিজা (রাঃ) মক্কা শহরের সফল একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। আমাদের মহানবী বিবি খাদিজা (রাঃ)-এর অধীনে কাজ করেছেন। ইসলামে নারীশিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর তাছাড়া সূরা আন্নিসা, আয়াত নম্বর ৩২-এ নারীদের নিজস্ব উপর্জনের ওপর তার অধিকার এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অতএব, নারী-পুরুষের প্রকাশ্য বিচরণ ইসলামে নিষিদ্ধ নয়। একইরকমভাবে ইসলামে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনও নিষিদ্ধ নয়। যে যুগে আমাদের মহানবী বেঁচে ছিলেন তখন নিশ্চয়ই ইলেকট্রিসিটি ছিল না। তাহলে রাতের অন্ধকারে মোমবাতি, কুপি, লণ্ঠন প্রজ্বলন করেই তো কাজ চালাতে হতো। অতএব, ৮ম দফাটি ইসলাম পরিপন্থী।
৯ম দফা : মসজিদের নগরী ঢাকাকে মূর্তির নগরীতে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করতে হবে।
* বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৪ অনুযায়ী বিশেষ শৈল্পিক কিংবা ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন বা তাৎপর্যমণ্ডিত স্মৃতিনিদর্শনসমূহকে রক্ষা করবার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্র যদি ঐতিহাসিক এবং গুরুত্বপূর্ণ ভাস্কর্যসমূহকে ধ্বংস করতে উদ্যত হয় তবে তা সংবিধান পরিপন্থী হবে। অতএব ৯ম দফাটি সংবিধান সাংঘর্ষিক।
* ইসলামে ভাস্কর্য নির্মাণ মোটেও নিষিদ্ধ নয়। সূরা সাবা, আয়াত নম্বর ১২-১৩ তে উল্লেখিত আছে যে নবী ও বাদশা সোলায়মানের (আঃ) সন্তুষ্টির জন্য তাঁর-ই নির্দেশে জীনরা তার গোটা রাজ্য জুড়ে নানা রকম ভাস্কর্য নির্মাণ করেছিল। অতএব, ৯ম দফাটি ইসলাম পরিপন্থী।
১০ম দফা : ইসলামবিরোধী নারীনীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলামি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।
* বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৭(ক) অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম মূলনীতি হলো একই পদ্ধতির গণমুখী ও সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করা। ইসলাম শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হলে তা সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৮ (ধর্মভিত্তিক বৈষম্য পরিপন্থী নীতি বিষয়ক)-এর পরিপন্থী হবে। উপরন্তু বিষয়টি অনুচ্ছেদ ৪১ (ধর্মীয় স্বাধীনতা) পরিপন্থী। এছাড়া সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭(২) অনুযায়ী নারীনীতি বা শিক্ষানীতি শুধুমাত্র সংবিধান পরিপন্থী হলেই রাষ্ট্র তা বাতিল করতে পারে। অতএব, ১০ম দফাটি সংবিধান সাংঘর্ষিক।
* ইসলামে ধর্ম শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হলেও তা প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে বাধ্যতামূলক করা হয়নি। বরং ইসলামে উল্লেখ করা আছে যে, জ্ঞান অর্জনের জন্য সুদূর চীন দেশে যেতে হলেও তা করতে হবে। এখন কথা হলো আরবের মুসলমানরা ইসলাম শিক্ষা অর্জনের জন্য নিশ্চয়ই চীন দেশে যাবে না। তাহলে কি অন্য ধর্মশিক্ষার জন্য সেখানে যাবেন? তাও নিশ্চয়ই না। আর তাছাড়া চীন দেশে সে যুগে মক্তব মাদ্রাসার হদীসও তেমন পাওয়া যায় না। সুতরাং ইসলাম প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কাঠামোতে ধর্মশিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করে নি। অতএব, ১০ম দফাটি ইসলাম পরিপন্থী।
পরিশেষে, এ সত্যটি পরিলক্ষিত হয় যে, ‘হেফাজতে ইসলাম’ ইসলাম রক্ষার নামে মূলতঃ ইসলামবিরোধী দাবি জানিয়েছে। ইসলামের বিকৃত ব্যাখ্যা দান করেছে। ইসলাম ধর্ম নিয়ে মিথ্যাচার করেছে। আমি বাংলাদেশের একজন মুসলমান নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪২ অনুযায়ী ধর্মীয় স্বাধীনতার দাবিদার। আমার ধর্মকে অবমাননা করবার কারণে আমার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এসেছে। সরকারের উচিৎ এই মুহূর্তে দণ্ডবিধির ২৯৫(ক) অনুযায়ী হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
একই সাথে এটাও লক্ষ্যণীয় যে, ‘হেফাজতে ইসলাম’ তাদের দাবি উত্থাপন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বেশ কয়েক মাস ধরে অবিরত শক্তি প্রদর্শন এবং শক্তি প্রয়োগ করে আসছে। দেশজুড়ে মিটিং মিছিল করে পুলিশ এবং সাধারণ জগণকে আক্রমণ করেছে। দেশজুড়ে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির মঞ্চ এবং নেতা-কর্মীদের আক্রমণ করেছে। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ আক্রমণ করেছে। অসৎ এবং অনৈতিক উদ্দেশ্যে সংবিধান বাতিল [ইসলামী শাসন কায়েমের মাধ্যমে]-এর ষড়যন্ত্র করেছে এবং এখনও করছে। সংবিধানের ওপর নাগরিকের আস্থা, বিশ্বাস এবং প্রত্যয়কে পরাহত করেছে [দেশজুড়ে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের] এবং করার জন্য উত্তেজনা বা ষড়যন্ত্র করেছে [অন্যান্য নাগরিকদের]। বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭ক(১) অনুযায়ী হেফাজতে ইসলামী রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ সংঘটন করেছে। সরকারের উচিৎ এই মুহূর্তে হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
একই সাথে হেফাজতে ইসলামের কর্মকাণ্ডকে যারা নানাভাবে সমর্থন করেছে, সহযোগিতা দিয়েছে বা উস্কানি প্রদান করেছে তাদের বিরুদ্ধে ও সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭ ক(২) অনুযায়ী রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে সরকারের উচিৎ যথার্থ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০০
রুবেল১৯৮৭ বলেছেন: দুখিত, ডঃ কামাল হোসেন প্রনিত বাংলাদেশ সংবিধানেও বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম , আল্লাহর উপর আস্থা ও
বিশ্বাস , সামাজিক রাস্ট সার্ব ভৌমত্ব বজায় ইসলামের স্বাধীনতা ও পবিত্রতা সংরক্ষণ সহ নীতি মালা ছিলনা।
২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৯
সত্য কথা বলি বলেছেন: আজকালতো দেখছি, নাস্তিক ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরাও মুফতি(!) সেজে ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে মারাত্নক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব করে কী আর মানুষকে ধোঁকা দেয়া যাবে !
৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩
তাজুল_ইসলাম বলেছেন: মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করতে হবে।
এটি সংবিধান থেকে উঠিয়ে সরকার শুধু সংবিধান লঙ্ঘন করেনি, ইসলামকেও অবমাননা করেছে।
সত্য কথা বলি বলেছেন: আজকালতো দেখছি, নাস্তিক ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরাও মুফতি(!) সেজে ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে মারাত্নক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব করে কী আর মানুষকে ধোঁকা দেয়া যাবে !
২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১৬
রুবেল১৯৮৭ বলেছেন: ভাই তাজুল_ইসলাম মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করতে হবে এই কি সংবিধানে রেখে বাধ্য করার মতো কিছু। আমার বিশ্বাস আমার কাছে। আমি কি বিশ্বাস করি সেটা আমি জানি আর আমার আল্লাহ জানে। এইটি সাংবিধানে রাখা না রাখার কোন বিষয় নহে।
মহানবী (স বলেছেন, যার যার ধর্ম তার তার কাছে, ধর্ম নিয়ে কোন বাড়া বাড়ি করিয়না। যে জাতী ধর্ম নিয়ে বাড়া বাড়ি করেছে তারা ধংশ হয়েছে।
আল্লাহ বলেছেন , তোমরা এক মুসলমান অন্য মুসলমানকে কফির বলিয়না।
৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪
তাজুল_ইসলাম বলেছেন: আল্লাহ ও তার রাসূলের পূনাংগ সংবিধান কোরআন, হাদিস। সেটা থেকে কি মানুষের বানানো সংবিধান বড়? দেখুন সংবিধান এ পর্যন্ত কতবার পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু আল কোরআন অপরিবর্তনশীল। এখানে কৃতিম সংবিধানে আল্লাহর কোন স্থান হতে পারবে না কেন।
৯ম নাম্বারে আপনি যে সুরা সাবা ১২,১৩ যে উদারন দিলেন, সেটা কোন মুর্তি নয় বরং ইসলামের সব চেয়ে পবিত্র স্থান কাবা শরীফের কথা বলা হয়েছে। আরে ভাই আপনি কাবার সাথে মুর্তির তুলনা দিচ্ছেন? আর ভাস্কর্য মানে অধঃ উলঙ্গ মুর্তি নয়। অবশ্য হেফাজত বলেছে শালীন ভাস্কর্যে তাদের কোন আপত্তি নেই।
**আল্লাহ যদি বেঈমান কাফেরদের শাস্তি দিতে না চাইতেন তাহলে নবীজি যুদ্ধ করলেন কেন? আল্লাহ চান ইমানদারদের হাতে তাদের পরাজয় হোক । অবশ্য আমার মতে তারা যদি অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ও দেশবাসির কাছে ক্ষমা চায়। তবে ক্ষমা করা যেতে পারে।
তবে তাদের প্রতি আপনার আন্তরিকতা দেখে রাসূলের প্রতি আপনার আন্তরিকতা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে।
**৮ম দফায় আপনি যা বললেন সেটা বিকৃত ব্যখ্যা। আচ্ছা আপনি আমার, আপনার বোনকে অধঃ উলঙ্গ অবস্থায় রাস্তায় বের হওয়াকে কতটুকু সমর্থন করেন? আমাদের সমাজে কি সেটা হচ্ছে না?
আপনি বলেছেন 'নারী-পুরুষের প্রকাশ্য বিচরণ ইসলামে নিষিদ্ধ নয়'
এটা কি হেফযত বলেছে? 'প্রকাশ্য' এর স্থলে যদি অবাধ, যৌন, অর্ধ উলঙ্গ বলা হয়, এখানে 'অবাধ' হচ্ছে সব চেয়ে বলার মতো উত্তম শব্দ। সেটা কোন ধর্মে সাপর্ট করবে?
**১০ম, সংবিধানে এ ইসলাম শিক্ষা বইতে দেবতার নামে জবাই করা পশুর মাংস খাওয়া হালাল হতে পারে, কিন্তু ইমানদার মুসলমানদের পক্ষে নয়।
পরিশেষ কথা, কোন দলের জন্য নিজের ঈমানকে খাটো করবেন না।
আর জেনেও আল্লাহর কাছে ঘৃণিত ব্যক্তির পক্ষ নেবেন না। তবে আল্লাহ আপনাকেও তার সামিল করবেন।
৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০
স্বাধীন শোয়েব বলেছেন: আমি জানতাম আমাদের সংবিধান ধর্ম নিরপেক্ষ। তাহলে ১৩ দফা একই সাথে সংবিধান আর ইসলাম বিরোধী হয় কি করে?
৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১১
Avey hvixd বলেছেন: অপ্রিয় হলেও সত্য যে, কাগজে কলমে বাংলাদেশ এখন একটি সেক্যুলার দেশ (গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, বাঙালী জাতীয়তাবাদ এই রাষ্ট্রের মৌলনীতি)। আবার এ কথাও বলা হয়ে থাকে যে এটি প্রায় ৯০% মুসলমানের দেশ, এ দেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। এই সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী দুই উপাধির মাঝে সমন্বয় সাধন করতে গেলে যে চিত্রটি ফুটে উঠে, তাই আসলে আমাদের দেশের বাস্তব অবস্থা। নামধারী ৯০% মুসলমানের দেশকে সেক্যুলার করা সম্ভব হয়েছে সুদীর্ঘ সময় ধরে শুদ্ধ ইসলামিক জ্ঞানের চর্চা থেকে দেশের মানুষকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছিন্ন রাখার সুচিন্তিত পরিকল্পনা সফল হওয়ায়। অন্যদিকে, একইসাথে দেশের মানুষ তথাকথিত ধর্মভীরু হওয়ায় যে কোন ব্যবসা বা মতবাদ, তা ইসলামের সাথে যতটা সাংঘর্ষিকই হোক না কেন ইসলামিকভাবে প্যাকেট করে বাজারজাত করা হলে তাতে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া যায় নিশ্চিতভাবে। ফলশ্র“তিতে এখন শূন্য (ক্ষেত্রবিশেষে মাইনাস) জ্ঞান নিয়েও যে টপিক নিয়ে উদ্দাম আলোচনায় মত্ত হওয়া যায় তা হল ইসলাম।
চালিয়ে যান ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী মুফতি!!!
৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪
বাকরুদ্ধ আমি বলেছেন: ভাই আপনি কি প্রজনন চত্বর থেকে পোষ্ট দিয়েছেন নাকি ?
২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০৩
রুবেল১৯৮৭ বলেছেন: ভাই প্রজনন চত্বর নহে, প্রজন্ম চত্বর বানান শিখুন।
৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০২
তাজুল_ইসলাম বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর পাইনি
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: একদল প্রস্তাব দেবে সেটা তার গণতান্ত্রিক অধিকার
ইসলাম সমগ্র জাতী ও মানুষের অনেক উদ্ধের দিক নির্দেশ প্রদান করে । ইউনিয়ন থেকে জাতীয় সংঘ , এবং আইন ও মানবাধিকার সংঘটন
যত সব ক্ষেত্রে ইসলামের আল্লাহ ও রাছুল প্রদত্ত বানি কিছু না কিছু
সংযোজিত ।
আমাদের রাস্ট নীতি বা ডঃ কামাল হোসেন প্রনিত বাংলাদেশ সংবিধানেও বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম , আল্লাহর উপর আস্থা ও
বিশ্বাস , সামাজিক রাস্ট সার্ব ভৌমত্ব বজায় ইসলামের স্বাধীনতা ও পবিত্রতা সংরক্ষণ সহ নীতি মালা সংরক্ষিত আছে ।
যদি আইন পাশ করে আরও কিছু ভাল দিক বিবেচনায় আনা যায়
তাহলে তো তা রাস্ট ও মানবের কল্যান হবে কিন্তু সব প্রস্তাব যে
বিবেচিত হবে সেটা অযুক্তিক ।