নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার দেশ

রুবেল১৯৮৭

আমি বিশ্বস করি ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ কিন্তু ধর্মহীনতায় নয়।

রুবেল১৯৮৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জোর করে সম্মান আদায়-ভাবতেও অবাক লাগে!

০২ রা মে, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

আজকাল হঠাৎ করেই একটি বিশেষ মহল থেকে ধর্ম অবমাননা ও রসূল অবমাননার শাস্তির দাবী জোর করে তুলে ধরা হচ্ছে। আড়াই-তিন বছর আগে প্রকাশিত কে বা কাদের আজে বাজে লেখা নিজেরা জনসাধারণের মাঝে ছড়িয়ে ও ছাপিয়ে দিয়ে এরা যে নিজেরাই ধর্ম ও রসূল-অবমাননার অপরাধ করেছেন সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। একই সাথে, এ দাবীর যথার্থতা সাব্যস্ত করার লক্ষ্যে কেউ কেউ আবার তাদের লেখায় কা’ব বিন আশরাফকে মৃত্যুদন্ড প্রদানের ঘটনা উল্লেখ করছেন। অর্থাৎ এ চক্রটি অতি সূক্ষভাবে পরিকল্পিত একটি নকশা বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে সমন্বিতভাবে এগোচ্ছে। ব্লগে একজন লিখেছেন, কা’ব বিন আশরাফকে নাকি শুধুমাত্র রসূল-আবমাননার কারণে হত্যা করা হয়েছে। স্বয়ং মহানবী হযরত মোহাম্মদ রসূলুল্লাহ (দ.) নাকি কেবল তাঁকে অপমান করার দায়ে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছেন। লেখক তার এই বক্তব্যের সমর্থনে কোরআন ও সুন্নতের বরাত না দিয়ে মধ্যযুগীয় আলেম ইবনে তাইমিয়্যার আশ্রয় নিয়ে সাধারণ পাঠকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়েছেন, বলেছেন এটি নাকি হুজ্জত। হয় তার এসব অপলাপ উদ্দেশ্য প্রণোদিত, না হয় জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার ফসল। ঐতিহাসিক তথ্য-প্রমাণের সাথে উপস্থাপিত বক্তব্যের কোন মিল নেই। কয়েক মিনিট ধৈর্য ধরে এ লেখাটি পড়লেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।

মহানবী হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (দ.) শুধুমাত্র তাঁকে অবমাননা করার দায়ে ইহুদীদের গোত্রীয় নেতা ও কবি কা’ব বিন আশরাফকে কেন, কাউকেই হত্যা করেন নি বা করান নি। মুশরিক ও ইহুদীদের মাঝে আরও এমন অনেক কবি ছিল যারা তাদের কবিতায় ও বক্তব্যে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (দ.) ও ইসলামের নিন্দা ও অবমাননা করত। তাদের মধ্যে কবি কা’ব বিন যুহায়র, ইবনে যাবআরী, হুবায়রা বিন ওয়াহাবসহ অন্যান্যরাও ছিল। রাহমাতুল্লিল আলামীন (দ.) বিভিন্ন পর্যায়ে তাদেরকেও ক্ষমা করে দিয়েছেন (সিরাত বিশ্বকোষ, ১৪শ খন্ড, পৃষ্ঠা ২৭৩, ইসলামী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, ২০০৮)।

বদরের যুদ্ধবন্দীদের মধ্যে সুহায়ল বিন আম্র নামক এক ব্যক্তি মুসলমানদের করায়ত্বে আসে। সে ছিল কুরাইশদের একজন সুবক্তা। তার জ্বালাময়ী বক্তৃতা-বক্তব্যের মাধ্যমে সে মুসলমানদের কষ্ট দিত। উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে অনুমতি দিন, আমি সুহায়লের সামনের দাঁত উপড়ে ফেলি, যাতে সে তার জাতির মাঝে আর বক্তৃতা করতে না পারে। রাসূলুল্লাহ (দ.) বললেন: না, এ কাজ করো না। আমি যদি এটা করি তাহলে আল্লাহও আমার সাথে এ ধরনের ব্যবহার করবেন। যদিও আমি নবী। (নুরুল ইয়াকীন, পৃষ্ঠা ১২৫; সীরাত বিশ্বকোষ, ১৪শ খন্ড, পৃষ্ঠা ২৫০, ইসলামী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, প্রকাশ সন ২০০৮ দ্রষ্টব্য।)

কেবল কবিদের ক্ষেত্রেই নয়, মহানবী (দ.) শুধুমাত্র তাঁকে অবমাননার কারণে কখনো কাউকে হত্যা করেন নি, করতেও বলেন নি। ‘সীরাত বিশ্বকোষে’ মহানবী (দ.)-এর জীবনচরিতের এ দিকটির সারসংক্ষেপ এভাবে তুলে ধরা হয়েছে:

“এইভাবে বহুজন রসূলুল্লাহ্ (সা.)-কে গালমন্দ করিয়াছে, নির্যাতন করিয়াছে, হত্যা করিতে চাহিয়াছে, কিন্তু রসূলুল্লাহ্ (সা.) সহ্য করিয়া যাওয়া ছাড়া আর কিছুই করেন নাই। এমনকি শাস্তি দেওয়ার পূর্ণ সুযোগ পাইয়াও কোন ক্ষেত্রেই সেই সুযোগ ব্যবহার করেন নাই। আর তিনি তো রহমাতুললিল আলামীন।” (সিরাত বিশ্বকোষ, ১৪শ খন্ড, পৃষ্ঠা ২৬১, ইসলামী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ,প্রকাশ সন-২০০৮)।

যেক্ষেত্রে মহানবী (দ.)-তাঁকে অবমাননার করার দায়ে কাউকেই হত্যা করেন নি সেখানে হঠাৎ কা’ব বিন আশরাফের মৃত্যুদন্ড রসূল-অবমাননার কারণে প্রদান করা হয়েছে বলে চালিয়ে দেয়াÑঘটনার অপব্যাখ্যা ও ইতিহাস বিকৃতি ছাড়া আর কিছুই নয়।

তবে হ্যাঁ, কা’ব বিন আশরাফকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছেÑ এ কথা শতভাগ ঠিক। কিন্তু এটা রসূল (দ.)-কে অবমাননার কারণে নয়। এর প্রেক্ষাপট ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। কা’ব একাধিক হত্যাযোগ্য অপরাধের জন্য দায়ী ছিল।

কা’ব বিন আশরাফ মদিনার ইহুদীদের ‘বনু নাযির’ গোত্রের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। মহানবী (দ.) মদিনায় হিজরতের পর তাঁর (দ.) এবং মক্কার মুহাজিরদের সাথে মদিনাবাসী আনসার, ইহুদী ও অন্যান্যদের যে চুক্তি হয় সেটা ‘মদিনার সনদ’ নামে সুপরিচিত। এ চুক্তির সময় বনু নাযির গোত্রের প্রতিনিধিদের মধ্যে ইহুদী সর্দার হিসেবে কা’ব বিন আশরাফও উপস্থিত ছিল। মদিনা সনদে স্পষ্ট বলা হয়েছিল, চুক্তিবদ্ধ কেউ মদিনার বাইরের বা ভেতরের কারো সাথে মদিনা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবে না (যুুরকানী, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৯)। কা’ব বিন আশরাফ এ শর্ত স্পষ্টভাবে বার বার লঙ্ঘন করেছিল। সে রাষ্ট্রের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রে মদিনা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় রাষ্ট্রদ্রোহী সাব্যস্ত হয়েছিল।

কা’ব বিন আশরাফ বদরের যুদ্ধে মুসলমানদের জয়কে কোনভাবেই মেনে নিতে পারে নি। সে প্রথমত সংবাদটি শুনে বিশ্বাসই করতে পারছিল নাÑ মুসলমানরা জয়লাভ করেছে আর কুরায়ইশরা পরাজিত হয়েছে। এ কারণে সে বলেছিল, এ সংবাদ যদি সত্য হয় তাহলে এর চেয়ে আমার মরে যাওয়াটাই ভাল (ইবনে হিশাম ও ইবনে সা’দ)। সংবাদের যথার্থতা যাচাই করে সংবাদটি সঠিক জানতে পেয়েই সে মদিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পৌঁছাল। মক্কায় সে নিজের বাগ্মিতাপূর্ণ কবিতার মাধ্যমে প্রপাগান্ডা চালিয়ে কুরাইশদের জিঘাংসার স্তিমিত আগুনকে পুনরায় জ্বালিয়ে দিয়েছিল (আবু দাউদ, কিতাবুল খারাজ, ইবনে হিশাম, ইবনে সা’দ এবং ইসলামী বিশ্বকোষ, ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ৬২৮)। বাংলাদেশের ইতিহাসেও একজনের ঠিক এমন ধরনেরই একটি ভূমিকার কথা জানতে পারা যায়। সেই ন্যাক্কারজনক ভূমিকাটি পালন করেছিল একজন ‘মীর জাফর’, যে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান না করতে স্বাধীনতার কয়েক বছর পর পর্যন্ত সউদী সরকার ও অন্যান্য দেশকে অনবরত উস্কানীমূলক পরামর্শ দিয়েই যাচ্ছিল।

যাই হোক, কা’বের উস্কানীর ফলে মক্কার সর্দার আবু সুফিয়ান উত্তেজিত হয়ে কা’বার গিলাফ ধরে শপথ করে বলেছিল, যতক্ষন পর্যন্ত সে ইসলাম ও এর প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ মোস্তফা (দ.)-কে জগৎ থেকে চিরতরে মুছে না দিবে ততক্ষণ পর্যন্ত সে স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলবে না (তারিখুল খামিস, পৃষ্ঠা ৫১৭; ফাতহুল বারী, ৭ম খন্ড, পৃষ্ঠা ২৫৯; ইসলামী বিশ্বকোষ, ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ৬২৮)। এরপর কা’ব আরবের অন্যান্য গোত্রের নিকটও যায় এবং তাদেরকেও মুসলমানদের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করে (যুরকানী, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা-৯)। পরবর্তীতে মদিনায় ফেরৎ এসেও তার এসব কুকর্ম থেমে থাকে নি। কুৎসা রটনা করে সে জনগণকেও উত্তেজিত করতে থাকে (আবু দাউদ, কিতাবুল খারাজ; ইসলামী বিশ্বকোষ, ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ৬২৮)। ঘটনা এখানেই শেষ নয়। সে মদিনা রাষ্ট্রের কর্র্ণধার মহানবী (দ.)-কে হত্যা করার ষড়যন্ত্রেও লিপ্ত হয়েছিল। রসূল (দ.) আল্লাহ্ তায়ালার অপার কৃপায় সেটা পূর্বেই জেনে ফেলেন। ফলে কোন ক্ষতি সাধিত হয় নি (ইবনে হাজর, ফাতহুল বারী, ৭ম খন্ড, পৃষ্ঠা ২৫৯; ইসলামী বিশ্বকোষ, ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ৬২৮)।

উপরোক্ত তথ্য ও ঘটনাবলী থেকে এ কথা স্পষ্টভাবে জানা গেল, কা’ব বিন আশরাফ শুধুমাত্র রসূল (দ.)-এর অবমাননার কাজে লিপ্ত ছিল না। বরং সে রাষ্ট্রদ্রোহ, চুক্তিভঙ্গ, রাষ্ট্রের ভেতরে ও বাইরে যুদ্ধের উস্কানী প্রদান, রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে বিশৃংখলা সৃষ্টি, অশ্লীল কথাবার্তা প্রচার, মিথ্যা প্রচারণা, এমনকি রাষ্ট্রের কর্ণধারকে হত্যা করার মত গর্হিত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। এর প্রত্যেকটি অপরাধই যে কোন সভ্য রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনে গুরুতর এবং অনেক ক্ষেত্রে হত্যাযোগ্য অপরাধ। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এতসব হত্যাযোগ্য অপরাধ করার কারণে রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সে হত্যাযোগ্য অপরাধী সাব্যস্ত হয়েছিল। এরই ফলশ্রুতিতে, মহানবী (দ.) রাষ্ট্রের কর্ণধার হিসেবে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখতে এবং রাষ্ট্রে শান্তি ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে সেই রাষ্ট্রদ্রোহী কা’ব বিন আশরাফকে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এ কারণেই কা’ব বিন আশরাফের মৃত্যুর পর তার গোত্রের লোকেরা যখন তার হত্যার বিচার চাইতে রসূল (দ.)-এর দরবারে উপস্থিত হয়, তখন রসূল (দ.) তার উপরোক্ত অপকর্মের কথা উল্লেখ করতেই তারা সবাই চুপ হয়ে যায়। অর্থাৎ তারা সবাই জানত এই ব্যক্তি কী কী জঘন্য অপরাধে লিপ্ত ছিল। তাদের নীরবতা এবং মৌনতা একথারই স্বীকারোক্তি ছিল, কা’ব বিন আশরাফ রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে অপরাধী। তা না হলে তারা বলতো, এ কেমন বিচার, আপনাকে কটাক্ষ করার অপরাধ আরও অনেকে করেছে এবং করছে, তাদেরকে আপনি কিছু বলছেন না অথচ কা’বকে হত্যা করলেন! ইহুদীরা আর যাই হোক্ এত সহজে ছাড়ার পাত্র কখনই ছিল না। কিন্তু তারা যেহেতু পুরো বিষয়টি জানত তাই তারা আর কোন উচ্চবাচ্য করে নি, এ বিষয়ে পরবর্তীতে কোন কথাও বলে নি (আবু দাউদ ঐ, ফাতহুল বারী, ৭ম খন্ড, পৃষ্ঠা ২৬২, ফুরকানী, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ১৪)।

যারা মধ্যযুগীয় এই কট্বর মতবাদকে প্রতিষ্ঠিত করতে বদ্ধপরিকর তারা কোরআনের অমোঘ ঘোষণার দিকে না গিয়ে, রসূল (দ.)-এর সহীহ হাদীসের দিকে না গিয়ে ইবনে তাইমিয়্যার মতবাদকে সামনে নিয়ে আসেন। তাই এই লেখাটি শেষ করার আগে হাফেজ ইবনে তাইমিয়্যা সম্পর্কে দু’টি কথা জানানো প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়। হাফেজ ইবনে তাইমিয়্যা নিঃসন্দেহে একজন আলেম ছিলেন কিন্তু তিনি মহানবী (সা.)-এর যুগের ছয়শত বছর পরে জন্ম নিয়েছিলেন। এককথায় তিনি একজন মধ্যযুগীয় আলেম ছিলেন। তিনি সাহাবীও ছিলেন না, তাবেঈও ছিলেন না, তাবা’-তাবেঈও ছিলেন না। হাফেজ ইবনে তাইমিয়্যাকে সুন্নিরা কি দৃষ্টিতে দেখে থাকেন তার একটি ঝলক ‘শায়খুল ইসলাম’ আল্লামা হোসাইন আহমদ মাদানী (রহ.)-এর মতামত থেকে পরিস্কার হয়ে যাবে:

মুফতি তাকী উসমানী সাহেব বর্ণনা করেন, “দারুল উলুম দেওবন্দে শাইখুল ইসলাম হোসাইন আহমদ মাদানী (রহ.) বুখারী এবং তিরমিযীর দরস প্রদানকালে হাফেজ ইবনে তাইমিয়্যার একান্ত নিজস্ব আকিদাগত (বা বিশ্বাসগত) অবস্থান ও মাসায়েল (অর্থাৎ বিধি-বিধানের পর্যালোচনা)-এর ঘোর সমালোচনা করতেন। আল্লামা হোসাইন আহমদ মাদানী (রহ.) আরো বলেছেন, ‘আমি মদিনা থাকাকালে তার সমস্ত পুস্তকাদী ও রচনাবলী পড়েছি যার অনেকগুলোই ভারতে কিনতেও পাওয়া যাবে না। আমি গভীর অভিনিবেশ ও মা’রেফাতের দৃষ্টিতে পর্যালোচনা করে দেখেছি তার লেখা ও রচনাবলীতে অনেক ক্ষেত্রে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’তের ধ্যান-ধারণা বিরোধী অনেক বিষয়াবলী স্থান পেয়েছে’।” (মুফতী তাকী উসমানী প্রণিত বুখারী শরীফের ব্যাখ্যা, জামেয়’া আশরাফিয়া মুলতান, পাকিস্তান কর্তৃক প্রকাশিত ‘এনামুল বারী’, ৪৬৩/১৩ দ্রষ্টব্য)

শুধু তাই নয় ভারতীয় উপমহাদেশের বিশিষ্ট আলেম মাওলানা আনওয়ার শাহ কাশ্মিরীও একই প্রসঙ্গে বলেছেন, “শাইখুল ইসলাম আল্লামা হোসাইন আহমদ মাদানী (রহ.) হাফেজ ইবনে তাইমিয়্যা পরিবেশিত মতবাদের এত বিরোধী ছিলেন যার কারণে তিনি হাফেজ ইবনে তাইমিয়্যাকে ‘শাইখুল ইসলাম’ নামে অভিহিত করতেও নারাজ ছিলেন।”

অনলাইন সূত্র Click This Link |

এবং

Click This Link



অতএব যার সম্পর্কে উম্মতের বড় বড় আলেম ও মাশায়েখ এ ধরনের ধারণা রাখতেন সেই হাফেজ ইবনে তাইমিয়্যার বিতর্কিত মতামতকে কি হুজ্জত হিসাবে দাঁড় করানো যায়?

সবশেষে, যারা আইন করে মহানবী (দ.)-এর সম্মান প্রতিষ্ঠা বা রক্ষা করার দাবী তুলছেন তাদেরকেও নিবেদন করবো, আইনের জোরে তথা গায়ের জোরে মানুষের অন্তরে কারও সম্মান প্রতিষ্ঠা করা যায় না। আর এটার কোন প্রয়োজনও নেই। কেননা মহান আল্লাহ্ সমস্ত সম্মানের অধিকারী। তিনি যাঁকে সম্মান দেন কেউ তা ছিনিয়ে নিতে পারে না।



মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬

বর্ণান্ধ বলেছেন: চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.