![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যকে আলিঙ্গন করতে যদি মরণমরণও আসে,ফাঁসির দড়িতে যেন মুচকি হাসে!
দেশের মুক্তিযোদ্ধারা না খেয়ে মরে আর বিদেশী মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মান বাড়ে !
প্রথম আলো নিউজ করেছে- " বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া ভারতীয় নাগরিকদের সম্মাননা জানাবে সরকার। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারগুলোকে নগদ অর্থও দেওয়া হবে। এ অর্থ দেওয়া হবে মোট ১৭০০ পরিবারকে । মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ জন্য ১১৭ কোটি ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ চেয়ে ১৩ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
## টঙ্গির মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন ভুঁইয়া, ঝাল মুরি বিক্রি করে দুবেলা দু মুঠো ভাত জুটান ক্ষুদার জ্বালা মিটাবার জন্যে। দারিদ্রের টানাপড়েনে এখনো পর্যন্ত বিয়েও করেন নি এই মহান মুক্তিযোদ্ধা ।
## কুড়িগ্রামের রাজারহাটে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোবারক আলী ৬১ বছর বয়সেও রিক্সাচালক । রিক্সাই তার শেষ সম্বল। বয়সের ভারে নুয়ে পড়লেও আজও তাকে তিন চাকার উপর ভর করে সংসারের ঘানি টানতে হচ্ছে। খাবার জুটাতে হচ্ছে ২ ছেলে ও তিন মেয়ের জন্যে ।
## ১৯৭১-এর রণাঙ্গনে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন সূর্য সন্তান নবী হোসেন। বয়সের ভারে ন্যুব্জ এই বীর মুক্তিযোদ্ধার দিন আজও কাটে সকাল থেকে রাত্র পর্যন্ত রিক্সার পেডেল ঘুরিয়ে। সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম এই ব্যক্তির ক্লান্তিহীন দিন কাটে ১১ সন্তানের আহার যোগাতে।
## মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল হোসেন(৬৫) আজ জীবন যুদ্ধে পরাজিত হয়ে রাস্তায় মুড়ি বিক্রি করে পরিবার পরিজন নিয়ে কোন রকম বেচে আছে। তিন ছেলে এক মেয়ে স্ত্রীসহ ছয় জনের পরিবার চলে মনতলা রেলওয়ে ষ্টেশনের প্লেটফর্মে রোধ বৃষ্টিতে ভিজে ঝালমুড়ি বিক্রি করে অর্জিত আয় থেকে।
## শেরপুর শহরের নবীনগর এলাকার মুক্তিযুদ্ধের শহীদ তালেব আলীর ছেলে ইদ্রিস মিয়া (৫২) রিক্সাচালক । নবীনগর এলাকার আরেক শহীদ আকবর খাঁর ছেলে জলিল খাঁ (৪৩) রিক্সাচালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেছে।
## সন্তানকে জঙ্গি বানিয়ে দেবার ভয় দেখিয়ে ঘুষের ৫০ হাজার টাকা না দেওয়ায় জামালপুর রেল পুলিশের ওসি “গৌর চন্দ্র মজুমদারের” নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা “আবদুল বারীকে” নির্মম ভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এখানে শুধুমাত্র কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার ও তাদের সন্তানদের জীবন কাহিনী তুলে ধরলাম । বাংলাদেশে এখনও কয়েক হাজার মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার রয়েছেন যারা দু বেলা দু মুঠো ভাত ঠিকভাবে খেতে পারছেন না । অনেককে আবার মুক্তিযোদ্ধার লিস্টেও লিপিবদ্ধ করা হয়নি ।
এ দেশের মানুষ না খেয়ে মরে, ক্ষুদার জালায় কংকাল হয়ে দুনিয়া ত্যাগ করে, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার ক্ষুদার জালায় ভিক্ষা করে অথচ রাষ্ট্রের ১১৭ কোটি টাকা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে ভিন দেশীদের ত্যাগ স্বীকারে । ইতিহাস সাক্ষী দেয় ভারত যুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশে সীমাহীন লুটপাট চালায় এমনকি আজ ও এই দেশোকে দখলের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে । রাষ্ট্রের এমন নীতিকে ঘৃণা করি যে নীতিতে দেশের মুক্তিযোদ্ধারা না খেয়ে মরে আর ভিনদেশী মুক্তিযোদ্ধারা লাখপতির কাতারে ঠাই নেয় ।
যতদিন না দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ সন্মান না দেওয়া হবে ততদিনে দেশ সিঙ্গাপুর তো দুরের কথা আজিমপুরের গোরস্থানেই পতিত হবে ।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৮
জুনা্যেদ সিদ্দিক বলেছেন: খুব চমৎকার মন্তব্য উপস্থাপন করেছেন।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ- ------
২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩
বাংলাদেশি বাঙালি বলেছেন: ভাই, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ!!! সুস্পষ্ট ভাষায় মহান একটি সত্যকে আমাদের মতো বোবা-কানাদের সামনে তুলে ধরার জন্য।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫০
জুনা্যেদ সিদ্দিক বলেছেন: ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫২
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধ ব্যাপারটাই আতংকের...মুক্তিযুদ্.. ১৯৭১ এসব শুনলেই আপনাদের উত্তরসূরী রাজাকারদের কৃতকর্মের কথা বের হয়ে আসে আর তাই যত পার ইস্যু এনে ১৯৭১ কে প্রশ্নবিদ্ধ কর।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮
জুনা্যেদ সিদ্দিক বলেছেন: সত্য প্রকাশ পাক।সত্য সবাই জানুক।তা আপনারা চান না।তাই তো সত্য প্রকাশ করতে গেলে আপনাদের গাঁয়ে জ্বালা ধরে যায়।
৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৩
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনাদের মত লোকেরাই আবার যখন মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলে মেয়েদের জন্য কোটা সিস্টেম চালু হল, তখন রাস্তায় নামনে এর প্রতিবাদে......আপনাদের কোথায় লাগে তা বুঝি .."হিন্দু ভারত" এর জন্য পেয়ারা পাকিস্হান আমাদের থেকে আলাদা হয়ে গেল।
৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮
ধ্রুবক আলো বলেছেন: লেখাটা খুবই ভালো প্রসঙ্গে লিখছেন অনেক ধন্যবাদ.,,,,
আর ভাই এই দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের মত দুর্ভাগা আর কোন দেশে হতে পারে না! দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও উনারা এখনও যুদ্ধ করে যাচ্ছেন, বিষয়টা মর্মান্তিক!! আর ভারতের মানুষের তো চান কপাল এইদেশের প্রতিবেশি তারা ফাউ ফাউ দেশ লুটবে, সরকারের কাছ থেকে মুক্তিযোদ্ধার সম্মননা পাবে, অর্থ পাবে!! বাহ বাহ্ এরকম সৌদুর্ভাগ্য কই রাখি?
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০২
জুনা্যেদ সিদ্দিক বলেছেন: বাঙালির কপাল আসলেই খারাপ। বাঙালিরা অনেক কষ্ট ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করলেন।কিন্তু দুর্ভাগা বাঙালির কপালে একটু সুখ জুটেনি।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ------
৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬
শ্রাবণধারা বলেছেন: খুব ভাল উদ্দোগ বাংলাদেশের জন্য যারা জীবন দিয়েছে তারা ভারতীয় হোক আর আফ্রিকান হোক সবাইকে বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে পুরস্কৃত করা উচিত । ১১৭ কোটি টাকা রাষ্ট্রের জন্য খুব বেশী নয়, এর চেয়ে অনেক বেশি টাকা অধিকাংশ রাজাকারদের একাউন্টে আছে । সরকারের উচিত রাজাকারদের একাউন্টগুলো জব্দ করে, এই টাকা মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারগুলোকে দিয়ে দেওয়া ।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১০
জুনা্যেদ সিদ্দিক বলেছেন: আপনার কথায় আমি সহমত।তবে যারা সত্যিকারের রাজাকার তাদের একাউন্টগগুলো জব্দ করা হোক।
৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯
আহা রুবন বলেছেন: খুব ভাল উদ্যোগ। জীবনের বিনিময়ে কোনও কিছুই দেয়া সম্ভব নয়। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। আমরা অনেকেই জানি না স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত কতভাবে অবদান রেখেছে। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন বন্ধুত্বের হান বাড়িয়ে দিয়েছিল। যুদ্ধ পরবর্তিতে মাইন অপসারণ করতে এসে সোভিয়েত বন্ধুদের অনেকে শহীদ হয়েছেন। বিদেশি বন্ধুদের প্রতি যথাযথ সম্মান জানানো আমাদের কর্তব্য।
আর লেখক সাহেব আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকারের পদক্ষেপে অসন্তুষ্ট(?)। তিনি আরও চান। আপনাদের পেয়ারের সরকার তো এতদিন ছিল, তারা কী করেছে? তারা আবার আসুক তত দিন দেখতে থাকুন।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৭
জুনা্যেদ সিদ্দিক বলেছেন: আহা রুবহ,আমিও চাই যারা আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন,তাদেরকে উপযুক্ত সম্মানে সম্মানিত করা। তবে বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাদের বঞ্চিত করে নয়।
৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনি বলেছেন সত্যিকার রাজাকারদের সম্পত্তি মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া হোক। সত্যিকার রাজাকার কারা, দুই একজনের নাম কি বলতে পারেন?
৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২
বন্দী কন্ঠস্বর। বলেছেন: একদিক দিয়ে ভালো হয়েছে,এতদিন শুনতাম ভাররতীয় সেনা দশ পনেরো হাজার মারা গেছে, এখন শুনি মাত্র ১৭০০।তবে এইটাও ভুয়া,যেখানে নয় মাসে আমাদের সেনাবাহিনীর সাড়ে তেরশ শহীদ হয়েছেন,সেখানে মাত্র তের দিনে তাদের ১৭০০ সেনা?তাও তারা সম্মুখ সমরে কয়টা যুদ্ধ করেছে?
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১১
জুনা্যেদ সিদ্দিক বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৭
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এমন উদ্যোগকে অবশ্যই সাধুবাদ জানাই, একটা মানুষ অন্য দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়াছে, তাদের মিনিমাম এইটুকু সম্মান অবশ্যই প্রাপ্য। তবে দেশের দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আরোও কিছু করা হোক এই প্রত্যাশা আমরা করতেই পারি।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১৪
জুনা্যেদ সিদ্দিক বলেছেন: সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগতম জানাই। তবে দেশের দুঃস্থ, অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের বঞ্চিত করে নয়।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ-----------
১১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩১
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: এদের পাশাপাশি আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থার উন্নিত্র জন্য কিছু করা উচিত।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১০
জুনা্যেদ সিদ্দিক বলেছেন: আপনার কথার সাথে আমি একমত।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
১২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সরকার যেটা করছে সেটাও ভালো, আবার আপনি যা লিখলেন তার সাথেও সহমত। তবে এসব ক্ষেত্রে দুই পরিবার দিয়ে আর হবে না...
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১৮
জুনা্যেদ সিদ্দিক বলেছেন: দুই পরিবার দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ভ্যাগের উন্নতি হবে না,এটা আমিও বিশ্বাস করি।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৮
রিফাত হোসেন বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমাদের দেশ কেমন যেন বিদঘুটে ভাব। অস্ত্র না নিলেও তখনকার সহযোগী সবাই ই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ধরা উচিত। যে যোদ্ধা কে খাবার দিয়েছে, থাকতে দিয়েছে, বার্তাবাহক, মৌন সম্মতি দিয়েছে তাকেও মুক্তিযোদ্ধা বলা উচিত। বাংলাদেশ একটা ফাইজলামী ট্রেন্ড করেছে শুধু অস্ত্রধারীদের ই এই খাতায় ফেলল। গায়ক মুক্তিযোদ্ধা যদিও আছে তবুও আলাদা করে অস্ত্রধারীকেই ধরা ঠিক নয়। সেই হিসাব করলে লক্ষ লক্ষ মুক্তিকামী মানুষ ই মুক্তিযোদ্ধা। যে মা তার বুকের মায়া খালি করে সন্তানকে যাওয়ার অনুমতি দিল তিনিও মা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা। সুতরাং আলাদা মুক্তিযোদ্ধা কোটা বে সেকটর এর প্রয়োজন নাই।
দেশের বিপদে আপনি আমি এগিয়ে আসবেন নাকি আরেক দেশের মানুষ এগিয়ে আসবে আগে! আমরাই লাস্ট লাইন অফ ডিফেন্স!
একজন হাত পা হারিয়েছে। একজন জীবন বাজী রেখে ফিরতে পেরেছে গাজী হয়ে,কেউ ছেলে, মেয়ে পরিবার হারিয়েছে তারা সবাই ই মুক্তিযোদ্ধা। সেই হিসাব করলে তো আমরা সবাই মুক্তিযোদ্ধার পরিবার!!!!!
পাকিস্তানপন্থী ছাড়া।
এখন সবাই ই ভাতা, কোটার ব্যবস্থা করলে হবে নাকি?
আহত মুক্তিযোদ্ধাকে দেওয়া যায় ভাতা কিন্তু এর বেশি দেখছি না।
(দেশী, বিদেশী, লিঙ্গ নির্বিশেষে সবার জন্য একই কথা প্রযোজ্য)
১৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:২৭
মোঃ মাজহারুল ইসলাম মিরাজ বলেছেন: সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।
১৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৪১
মোঃ মাজহারুল ইসলাম মিরাজ বলেছেন: বিদেশী মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বড় মায়াকান্না! এই কথার ভিতর দিয়েই আপনার চরিত্রের পাকি দিকটা উন্মোচিত হইছে। আরে মিয়া কেউ আপনের জীবন বাচাইলে, কেউ আমনের মা বাপ কে খাওয়া পড়া দিয়ে বাচিয়ে রাখলে কি আপনি তারে কৃতজ্ঞতা জানাইবেন না? নাকি কইবেন আমনে আমারে আর আমার মা বাপ কে খাওয়া পড়া দিয়ে জীবন বাচাইয়া আমার বদনা নিয়া গেছেন? বেঁচেই যদি না থাকেন তাইলে বদনা দিয়া করবেন ডা কি? আরে পাকিকুত্তা ভারত যা হেল্প করছে সেটার প্রতিদান দেয়া সম্ভব না। আপনি যদি পাকিপ্রমী না হইতেন তাইলে বলতেন যে বাংলাদেশে যে সকল অসহায় মুক্তিযোদ্ধা তাদের কেও সাহায্য করা হোক। হয়তো এখনো সবাইকে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা দিতে পারেনি। তবে বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ভালোর জন্য অনেক কিছু করেছে, এবং করবে। ঝামেলাডা হইলো দেশ স্বাধীন না হইলে তুমি তোমার ফাকিস্তানী আব্বাগো কাছে মাঝে মাঝে তোমার বউরে দিয়া সুযোগ সুবিধা নিতে পারতা। এই্তো?
১৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৫১
মোঃ মাজহারুল ইসলাম মিরাজ বলেছেন: নেন পাকি প্রেতাত্না্রা এইডা পড়েন..
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা দের করুন অবস্থা দেখে মাথার ভিতর একটা ব্যাপার ঘুরপাক খাচ্ছে..
এই প্রজন্মের অনেকেই তো পৃথিবীর আলো দেখতাম না যদি মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত বাংলাদেশের ১ কোটি শরনার্থী কে আশ্রয় না দিতো। মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নি:সন্দেহে আরো কয়েক লক্ষ বৃদ্ধি পেত।
কতোবড় বুকের পাটা থাকলে একটা উন্নয়নশীল রাষ্ট্র ১ কোটি শরনার্থী কে লালন পালন তথা আশ্রয় দেয়ার মতো এত্তোবড় চ্যালেঞ্জ নিতে পারে?
বিশ্বের বড় বড় শক্তির তোয়াক্কা না করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল ভারত।
ঐ সময়ে ভারতের মত একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের পক্ষে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করা অর্থনৈতিকভাবে মোটেই সহজ ছিল না।
২৬শে মার্চ থেকে ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন অন্তত ২ হাজার থেকে ৪৫ হাজার অসহায় বাঙালী সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মধ্যে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সব ধর্মের অনুসারীই ছিল। এক কোটি শরণার্থীর লালন-পালনের জন্য ভারত সরকারকে ব্যয় করতে হয়েছে বিপুল পরিমান অর্থ। এ ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ এবং তাদের অস্ত্রশস্ত্র ও অন্যান্য রসদ সরবরাহসহ সামরিক খাতে ব্যয় করতে হয়েছে আরো বহু টাকা।
'৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে ভারতের প্রায় দেড় হাজার অফিসার ও জওয়ান শহীদ হয়েছে। এর মধ্যে ৬৮ জন অফিসার,৬০ জন জুনিয়র কমিশন অফিসার এবং ১২৯৩ জন অন্যান্য স্তরের। আহত হয় ৪০৬১ জন এবং নিখোঁজ হয় ৫৬ জন । মুক্তিযুদ্ধে একটি সহযোগী দেশ হিসেবে ভারতীয় সৈন্যদের এ আত্মত্যাগ অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। ওই মুহূর্ত তাদের সহযোগিতা না পেলে স্বাধীনতা পেতে আরো অনেক বিলম্ব হতে পারত।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও এটি সত্য যে, আজও বাংলাদেশের কিছু বেজন্মা বিভিন্ন ইস্যুতে পাকিস্তানের সাথে ভারতের তুলনা করে ইনিয়ে বিনিয়ে পাকিস্তানের পক্ষ নেয়ার চেষ্টা করে!!
১৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৬
কাউয়ার জাত বলেছেন: বাংলাদেশের সরকারি এবং বেসরকারি চাকরিতে ভারতীয় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য কোটা চাই। দিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, বিদেশী শ্রমিকের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়েছে। যারা বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেতন ভাতা গ্রহণ করছে। আর ২০১৫ সালের হিসাবে বাংলাদেশে রেমিটেন্স আসছে ১৫.৩১ বিলিয়ন ডলার। এসব শ্রমিকদের অধিকাংশই ভারতীয়।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ২০১৫ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় পাঁচ লাখ ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে কাজ করেন। তারা তাদের দেশে এক বছরে ৩ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার সমান। বাংলাদেশ ভারতে পঞ্চম রেমিট্যান্স প্রদানকারী দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়।
এরা অবৈধ বসবাসকারী। শুধু তাই নয়, তারা আমাদের চাকরির বাজারে বাড়াচ্ছে বেকারত্ব। সেই সাথে জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধে। এটিএম মেশিন থেকে কার্ড জালিয়াতি, প্রতারণা, মাদক ব্যবসার মতো কাজেও জড়িয়ে পড়ছে তারা। এসব বিদেশী কোথায় অবস্থান করছে তারও কোন ডাটা নেই সরকারের কাছে। Click This Link
সাধারণ ভারতীয়দের জন্য এত মওকা থাকলে ভারতীয় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা কি দোষ করেছে? অবিলম্বে অবশিষ্ট ৪৪% (১০০-৫৬) মেধা কোটা থেকে ২৪% ওদের জন্য বরাদ্দ দেয়ার দাবী রইল বন্ধুপ্রতীম বাংলাদেশ সরকারের কাছে।
১৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ওরা কোন দুঃখে যে আরেক দেশের স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্য ত্যাগ করলো? চলুন ওদের ত্যাগকে অস্বীকার করে মীর জাফরের পরিচয় দেই!
১৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভাই সাহেব, আপনি তো আমার মন্তব্যের জবাবটা দিলেন না।
২০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৬
ডার্ক ম্যান বলেছেন: কয়েকজন আসল রাজাকারের নাম বলেন। জেনে ধন্য হয়।
সরকারের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়
২১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০২
কলাবাগান১ বলেছেন: "আপনি বলেছেন সত্যিকার রাজাকারদের সম্পত্তি মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া হোক। সত্যিকার রাজাকার কারা, দুই একজনের নাম কি বলতে পারেন?"
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: ওদের টাকা দেয়ার নাম করে নিজেদের পকেট ভারি করার মতলব আর কি। এর আগে স্বর্ণ পদক দেয়ার নাম করে পিতলের পদক দিয়ে জনৈক মন্ত্রী ভাল টাকা কামাই করেছেন! এছাড়া ভারতকে খুশি করার ব্যাপারটা তো আছেই।