![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমগো পুরান ঢাকার ছক্কু বেপারী লেনের নাম হুনছেন ! না হুনেন নাইক্কা ! মাগার চাংখার পুলের নাম তো হুনছেন না কি কন ? হেই চাংখার পুলের থেকা যে রাস্তা ছোজা হোছনী দালান বরাবর গেছে ঐডা দিয়া কিছু আওগাইলেই দেখবেন এক্ষান চিপা গলি পুব দিকে হান্দায় গেছে। ঐডা না, তয় ঐ গল্লির মইধ্যে ঢুইকা দুই কদম ছামনে গেলেই দেখবেন আরো চিপা এউগা গল্লি ডাইনে গেছে । দুই দিকে পুরান পুরান বিটিশ আমলের দলান। আস্তর খইসা পড়ছে, ইটের ফাকে বট গাছ ভী গজাইছে। মাগার অক্ষনও খাড়ায় আছে। দুই চাইরবার ভুমিকম্প হইলেও হিলাইতে পারবো না কয়া দিলাম।
এই গল্লিরই ছেছ মাথায় অইলো গিয়া আমার বাড়ি, লম্বর ছতরো। আমার বাপে বানায় রাইখা গেছিলো। লম্বর খুইজা না পাইলে আমার নাম কইলেই মাইনছে দেখায় দিবো। এই মহল্লার বেবাকতে আমারে বারেক ফকির নামেই চিনে।
আমার পরথম বিবি মারা যাওয়ার দুই বচ্ছর পর আরেকক্ষান শাদী করছিলাম। হের নাম অইলো গিয়া নুরজাহান। তয় তারে আমি ছোহাগ কইরা কমলা কয়া ডাকি। পাঁচ লম্বর ছাওয়ালডা হওয়ার পর থেইক্কা হেই যে খাটে হুইছে আর উঠবার পারেনা। এত মাইনছেরে তাবিজ - কবচ আর পানি পড়া দিয়া ভালো করবার লাগছি, মাগার হেরে কিচ্ছুই করবার পারলাম না।
বিছনায় পইড়া থাকলে কি অইবো, আমার কমলির চেহারাডা যেন আসমানের চাঁন্দের লাহান, না না ভুল কইতাছি এক্কেরে পাকা একখান কমলা। হের মুখের দিকে চাইলে খালি চায়া থাকবার মুন চায়।
বাড়ি ঘর পুলাপাইন ছব ভাইছা যাইবার লাগছে দেইখা কমলি আমারে ছেদিন ডাইকা কয় ,
'আপনারে এক্ষান কথা কইবার চাই হাছেমের আব্বা আপনি কইলাম চেতবার পারবেন না' ।
'কও কি! চেতুম কেলা !
'ঢোক গিলে কমলি বলে উঠে, 'কইছিলাম কি আপনি এক্ষান ছাদী করেন, বাসার ছব্বাইর বহুত পেরেসানী হইতাছে, লগে আপনেরও ভী'।
একটা ক্লিষ্ট হাসি দিয়ে কমলা চেয়ে রইলো বারেক ফকিরের দিকে।
'এইডা তুমি কি কইতাছো কমলা'!
'হাচাই কইতাছি, দেখবার পারতাছেন না বাড়ি ঘরের কি অবস্থা হইছে'।
আমি আর কিচ্ছু কইবার পারলাম না। কমলা হাচাই কইতাছে। আমার ছোনার ছংছার যেন ছাই হয়া যাইবার লাগছে, আমিও বুঝবার পারতাছি। আল্লার মাল দছ দছটা পোলাপান, কে যে কি করবার লাগছে হেইডা ভী কইবার পারুম না।
ছেদিন মহল্লার দু একজন মাইনছে আমারে ডাইকা কয়,
'হুজু..র এক্ষান কথা কই কিছু মনে লয়েন না, আপনেরে আমরা মহল্লার মানুছ বহুত ছন্মান করি, মাগার আপনার বড় পোলা দুইডা হাছেম আর কাছেম কিন্তক আপনের লাহান হয়নাইক্কা'।
'হ ঠিকই কইছো, তয় মা মরা ছাওয়াল, খেয়াল করবার পারিনা, কেঠা কুনহানে কি করবার লাগছে। আর আমার অন্দরমহলের কথাতো ছবই জানো তুমরা', বলতে বলতে মাথাটা নীচু হয়ে আসে বারেক ফকিরের।
না এক্ষান ছাদী করনই লাগবো দেখতাছি, নইলে বাকি পুলাপানটিও জাহান্নামে যাইবো।
ছোটো ছেলে জমিরেরর ডাকে চমকে তাকায়," আব্বা.., দুইন্নার মাইনছে আয়া বয়া আছে বৈঠকখানায় , আপনে করতাছেন কি উঠানে খারায়া? আইবার লাগছেন না কেলা? কহন থিক্কা চিক্কুইর পারতাছি'।
এই পুলাডা আমারে একটু কম ডরায়। ও কইনাইক্কা, আমি ফকিরি লাইনে আছি। পাড়ার মাইনছে আহে, কত্তরকম তাগো ছমছ্যা। কারো বিমার, কারো ছোয়ামী আরেকক্ষান বিয়া করছে , কারো পুলাপাইন নেছা করবার লাগছে ।আমি ঝাড় -ফুক, তাবিজ -কবচ দেই।
পানি পইড়াই থুইছি ডেরাম ভইরা, যার যিমুন দরকার। ছক্কাল বেলা মাইয়া মানুছ। বিকাল থিক্কা পুরুছ মানুছ।
আস্তে আস্তে বারেক ফকির তার বৈঠকখানায় এসে জায়নামাজ বিছানো একটু উচু চৌকির উপর এসে বসে, ডান হাতে একটা তেল চুকচুকে কাঠের তসবী।
'ছালাম হুজু..র', মহিলারা সমস্বরে বলে উঠে। কারো কোলে, কারো বা হাতে ধরা ছোটো ছোটো বাচ্চা। কেউ বা একা ।সবাই এগিয়ে এসে বসবার চেষ্টা করে, কে কার আগে তার সমস্যার কথা বলবে। এটা নিয়ে মৃদু একটা ধাক্কা ধাক্কি চলতে থাকে।
হুজুরের এ্যসিস্টেন্ট শহীদ ধম্কে উঠে,
'আব্বে ঐ তরা এমুন ঠেলা ঠেলি করতাছোস কেলা! চুপ কইরা ব, দুরে ছর, দুরে ছর, সিজিল কইরা ব, হুজুরের চক্কির লগে যেন ঠ্যাং না লাগে, ঐ ছেমরী তর পোলা ছামলা'।
হুজুর এবার প্যাকেট থেকে চারটে আগরবাতি জ্বালিয়ে চাল ভরা একটা পুরোনো কৌটার মধ্যে গুজে রেখে সামনের দিকে তাকায়। তার হাল্কা কাঁচা পাকা মেহেদী লাগানো দাড়িতে বা হাত বুলাতে বুলাতে সামনে বসা বাচ্চা আলা মেয়েটাকে জিজ্ঞেস করে ?
'কও কি অইছে'?
'হুজুর আমার পুলাডা তিন দিন ধইরা রাইতে ঘুমায় না, খালি চইমকা চইমকা উঠে আর চিক্কুর পাইরা কান্দে। আমার ছাছুড়ি কইলো 'জীনের বদ নজর লাগছে, জলদি হুজুরের কাছে লইয়া যা' ।
এট্টুসখানি ঝাইরা দেন হুজু..র'।
'আনো কাছে আনো, হ হ ঐখানেই থাড়াও আর আউগাইয়োনা, তুমার পুলার চেহারাডা একটু দেইখা লই', ভালো করে একবার বাচ্চাটার মুখের দিকে তাকিয়ে বল্লো,
' মুখটা এইদিক করো দেখি, হ তোমার ছাছুড়ি হাঁচাই কইছে, বদ নজরই লাগছে'।
হুজুর একটা ছোট্ট কাগজে লেখা তাবিজ মহিলার দিকে বাড়িয়ে ধরলো,
'ধরো এইডা, রুপার তাবিজে ভইরা কালা ছুতা দিয়া পুলার কোমোরে বাইন্ধা রাইখো আছরের নামাজ পইরা। ঠিক মত নামাজ কালাম পইরো আর যদ্দুর মনে অয় তুমি ছন্ধ্যার ছময় পুলা লয়া বাইর অইছিলা' !
দশটা টাকা হুজুরের হাতে দিয়ে মাথা নীচু করে মহিলার প্রস্থান। হুজুর কি যেন বিড় বিড় করতে থাকে।
এর পর এগিয়ে আসে এক তরুনী। চেহারায় ক্লান্তির ছাপ, চুলগুলো উস্কোখুস্কো। শীর্নদেহে মলিন শাড়িটা টেনে টুনে একটু সামনে এগিয়ে এসে ফিস ফিস করে কথা বলতে শুরু করে, ভাবটা যেন তার দীনতার কথা কেউ শুনে না ফেলে।
'আব্বে কি কইতাছো! একটু জোরে জোরে কও, ঠিক মত ছুনবার পারতাছিনা '!
হুজুর বিরক্ত হয়ে উঠে।
মেয়েটা দ্বীর্ঘশ্বাস ফেলে দম নিয়ে গলাটা একটু উচুস্বরে তুলে বলে, 'হুজু.র কি আর কমু , আমার ছোয়ামীতো আমগো বস্তিরই এক মাগীর লগে কয়দিন ধইরা আছনাই করবার লাগছে'।
'বুঝলা কেমতে'!
হুজুরের কথায় তরুনীটি আবার বলতে শুরু করে।
'হুজু..র আমি তো পয়লা পরথম কিচ্ছুই বুঝবার পারি নাইক্কা, আমগো ঘরের লগে থাকে যে আমার ছই বুলবুলি, উই ছেদিন আমারে ডাইকা কয়,
"কিরে, তর মুন্নীর বাপ যে ঐ ঘরের আদুরীর লগে পিরীত করতাছে তুই কি কিছুই বুঝবার পারোছ না!'
বুলবুলির কথা ছুইনা আমার বুকটা ধ্বক্ কইরা উঠলো হুজু..র। আমি কইলাম 'কইতাছোছ কি তুই' ?
'হ হাচা কইতাছি, মিছা কমু কেলা! তুই আইজ রাইতে জাইগা দেখিছ হাচা কই না মিছা কই' ! জোর গলায় বলে উঠে বুলবুলি।
'হুজুর এই কথা ছুইনা আমি তিন রাইত জাইগা রইছি, দেখি মাঝরাইতে উইঠা আমার খসম ঘর থিকা বাইর অইতাছে, হাতে একখান ঠোংগা। আমি কি কমু বুঝবার পারলাম না। আস্তে কইরা পিছন পিছন যায়া দেখি মুন্নীর বাপ গুসোল খানার কোনায় খাড়ায়া আদুরীর লগে হাছাহাছি করতাছে, আর ঠোংগা থিকা কি জানি বাইর কইরা ওরে খিলায় দিতাছে'।
'হুজুর এর পর থেইক্কা আমি খিয়াল কইরা দেখছি, পরায় রাইতেই হ্যায় ভি বাইরে যাইবার লাইগ্গা উঠে, উই ছেমরী ভি বাইরে যাইবার লাইগ্গা উঠে। আপনি একটা কিছু করেন হুজুর, আমার পিচ্চি দুইখান মাইয়া'।
'যাও যাও চিন্তা কইরো না ছব ঠিক হয়া যাইবো। তুমার সোয়ামীরে পানি পড়া খিলাইতে পারবা নি হেইডা কও'?
'হ তা পারুম ' বিষন্ন করুন কন্ঠে তরুনীর উত্তর।
'ঐ ছহীদ কই গেলি'?
'এই যে হুজুর আমি তো এহানেই খাড়ায় আছি'।
"ওই ঐ যে নীল ডেরামে ছামী বছ করনের লেগা পানি ফু দিয়া রাখছি ঐ খান থিক্কা এক বোতল পানি দিয়া দে, বোতল আনছো নি ? না আনলে আলাদা দশটাক্কা দেওন লাগবো' মেয়েটিকে উদ্দেশ্য করে বল্লো বারেক ফকির।
না না হুজুর আনছি', শহীদ পানি এনে দেয়।
'এই লও, নিয়ম কইরা তিন বেলা খাওয়াইবা কয়া দিলাম। এক ছপ্তাহ পর আবার আইছো'।
মেয়েটা দশ টাকা দিয়ে পানির বোতল নিয়ে যায়।
কিছুক্ষন পর পকেট হাতড়ে কতগুলো খুচরা টাকা বের করে গুনে দরজা দাড়ানো শহীদের দিকে বাড়িয়ে ধরে বারেক ফকির।
'আব্বে ঐ ছহীদ , এই ল একছ টাকা, আমার বড় পোলারে দিয়া ক হেরে বাজারে যাইতে, নইলে আইজ খাওন নাইক্কা'।
কিছুক্ষন পর হুজুর তাকিয়ে দেখলো পেছনে একটা ১৮ /২০ বছরের ছেলে পেটে হাত দিয়ে বসা। পাড়ার ছেলে মুখ চেনা ।
'কি অইছে তুমি অখন আইছো কেলা ? তুমি জানোনা অখন মাইয়া মাইনছের টাইম। বিকালে আহো তখন ছুনমুনে '।
'হুজুর আমি জানি , মাগার বহুৎ বিপদে পইরা আইছি এই টাইমে'।
'হ বিপদে পড়লেই তো আমার কাছে মাইনছে আহে, হুদাইতো আর আহেনা, তাড়াতাড়ি কও দেহি কি হইছে' ?
মহিলারা বিরক্তির নয়নে ছেলেটার দিকে তাকিয়ে রইলো ।
'হুজুর আপনি তো কাল্লু মাতব্বররে চিনেন' ?
হুজুর মাথাটা নাড়তেই ছেলেটি বল্লো,
'হুজুর হের পুলা ছপন আমার ন্যাংটা কালের দোস্ত। ছেদিন মোড়ের মাথায় খারায় রইছি, উই জানি কইথিক্কা লৌড় পাইরা আইলো কইবার পারুম না। আমারে কয়, 'দোস্ত এই জিনিসটা একটু রাখবার পাড়বি'? কইয়া আমার হাতে কাগজে পেচাইনা কি এক্ষান পেকিট ধরায়া দিয়াই আবার লৌড়।
আমি চুপি দিয়া চায়া দেখি হেইডার মধ্যে এক খান পিস্তল! দেইখাতো আমি ফিট হয়া যাইবার লাগছিলাম হুজু..র! যাউক্গ্গা তাড়াতাড়ি বাইত আয়া চক্কির নিচে আমার টেরাংকের মইধ্যে হান্দায় থুইলাম। ছক্কাল বেলা হ্যায় আয়া কইলো 'কাইলকার জিনিছটা দে',
আমি ডরে ডরে বাইর কইরা দিলাম। কইলো, 'ছন্ধ্যা বেলায় আমগো বাইত আহিছ , তরে হাজীর বিরানী খিলামু'।
'হুজু..র ইমানে কইতাছি হাজীর বিরানীর কথা ছুইনা লোভ ছামলাইতে পারিনাইক্কা, গেলাম। আরো বহুৎ কিছু আছিলো মাগার আমি আর কিচ্ছু খাই নাইক্কা, ইমানে কইতাছি। কিন্ত রাইতে থিকা হুজু..র আমার এমুন পেট ছুটলো যে কয়া পারুমনা। ছক্কাল বেলা আমারে বদনা লয়া আমারে বাইর বাড়ীতে লৌড় পারতে দেইখা আমার মায়ে জিগাইলো 'কি অইছে তর '?
মায়েরে ছব ঘটনা খুইলা কইলাম। হুইনা হ্যায়তো চিল্লায়া বাড়ি মাথায় তুইলা ফালাইলো,
কইলো, "হেই হারামীর পুত নিশ্চয় তরে বান মারছে, নইলে হাজীর বিরানী খায়া তর এমুন অইবো কেলা। অক্ষন হুজুরের কাছে যা"।
এর লেগাই এই টাইমে আইছি হুজুর'।
হুজুর একটা তাবিজ আর তার ড্রামে ভরা যাদু টোনা দুর করার ফু দেয়া পড়া পানি এক বোতল দিয়ে তিন বেলা নিয়ম করে খেতে বল্লো।
'হ তর মায়ে ঠিকই কইছে। তর বাপ এক পাট্টি করে, ছপনের বাপ কাল্লু মাতবর আরেক পাট্টি । হেগো বাড়িত যাইয়া তর খাওন ঠিক হয় নাইক্কা।বানই মারছে তরে'।
হুজুরের কথায় ছেলেটি চিৎকার করে কেঁদে উঠে,
" হুজুর আমারে বাঁচান, এমুন কাম আমি আর জীন্দেগীতেও করুম না, কছম কইবার লাগছি'।
'আইচ্ছা অহন যা পানি পড়া দিছি লগে তাবিজ ভী দিছি কুনো ডর নাইক্কা। ছব বাণ টান কাইটা যাইবো, আমার তাবিজের কথা কি তুই জানোছনা'!
'হ হুজুর তাতো জানি, হের লেগায় মায় আপনার কাছে আইবার কইলো জলদি কইরা'।
'ঐ ছহীদ টাইম কয়টা'? মুখ না তুলেই বারেক ফকির প্রশ্ন করে।
'হুজু..র পরায় একটা বাজ বার লাগছে' শহীদের উত্তর ।
'হায় হায় নামাজের ছময় হয়া আসলো দেখতাছি, এই তোমরা উঠো উঠো কাইল আইছো'।
বিমর্ষ বদনে বাকী মহিলারা উঠে দাড়ায়, একজন জানতে চায়,
'হুজু..র কাইল বইবেনতো না কি'?
হ হ বহুম না কেলা ! এইডা আবার কেমুন কথা কইতাছো'!
'না এমনি জিগাইলাম'।
সবাই চলে যাওয়ার পর ঘরে ঢুকে বারেক ফকির দেখলো ছোটো ছোটো বাচ্চাগুলো ভাতের জন্য মাটিতে বসে কান্নাকাটি করছে আর কমলা বিছানায় শুয়ে অসহায় দৃস্টিতে তাকিয়ে আছে।
লগে লগে চৌক্ষের মধ্যে মুন্নীর মার চেহারাডা একবার চিল্লিক দিয়া উঠলো, যার খছম কিনা আদুরীর লগে আছনাই করবার লাগছে। না আরেকটা বিয়ে করনই লাগবো দেখতাছি। কমলির কথা আর ফালান যাইবো না।
কিন্ত ছারাদিনে মাইনছের দেওয়া এই দছ বিছ টাকা দিয়া এত্ত বড় ছংসারটা চলবো কেমতে এইডা ভাইবা মাথাডা কেমুন জানি চক্কর দিয়া উঠলো আর খাড়ায় থাকবার পারতাছিনা ।
বলে ধ্বপ করে বসে পড়লো বারেক ফকির কমলির পায়ের কাছে।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৮
জুন বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ সীমানা।
২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:১১
সীমানা পেরিয়ে বলেছেন: ছক্কাল বেলা আমার মায়ে জিগাইলো পড়ে ছব খুইলা কইলাম। হ্যায়তো চিল্লায়া বাড়ি মাথায় তুইলা ফালাইলো, কইলো হেই হারামীর পুত নিশ্চয় তরে বান মারছে নইলে হাজীর বিরানী খাইয়া তর এমুন অইবো কেলা। অখখন হুজুরের কাছে যা'।
হা হা হা হা...... এতো কিছু কই পাইলেন....
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৯
জুন বলেছেন: অনেকদিন পর সীমানাকে দেখলাম.. তারপর আবার দুবার
জীবন থেকে নেয়া তবে বাস্তব কোনো অভিজ্ঞতা নেই
৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:১৫
রিফাত হোসেন বলেছেন: +
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২০
জুন বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ রিফাত হোসেন
৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:২২
ফিরোজ-২ বলেছেন: হা হা হা
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৭
জুন বলেছেন:
৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৩৬
বৈকুন্ঠ বলেছেন: তারপরে?
ঐ আফা এইডা কি করলেন? পরের কাহিনি লেখবো কেডায়?
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫২
জুন বলেছেন:
আবার পরের কাহীনি কি
এখানেই তো শেষ
৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৫০
পুরাতন বলেছেন: হুমমমম
৩+
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:০৬
জুন বলেছেন:
হুমমমমম কি পুরাতন
কিছু বল্লেনা
৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৫৫
নষ্ট কবি বলেছেন: ভালাই তো লেখতাছিলেন- থামায়া দিলেন ক্যালা?
এর পরে কিন্তু আরেক পারট না লেখলে মাইন্ড খামু কইয়া দিলাম
পরের পর্বের অপেক্ষায়
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:০৮
জুন বলেছেন:
পরের পার্টটা তুমি লিখো নষ্ট কবি
আমার তো এটা লিখতে গিয়েই অবস্থা কাহিল
৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৫৭
নষ্ট কবি বলেছেন: সেঞ্চুরি পোষ্টে সেঞ্চুরির অভিবাদন
আমি নিজের টা গুনে দেখি ৪২০ তম পোষ্ট দিলাম
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:১৩
জুন বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ
বলো কি নষ্ট কবি এত্তগুলো
৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০১
দূর্যোধন বলেছেন: short story..... Good one
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:১৪
জুন বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ দুর্যোধন
১০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩১
ইকরাম উল্যাহ বলেছেন: মজা পাইলাম
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২৫
জুন বলেছেন:
আমিও লিখে মজা পেয়েছি
১১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪১
দিশেহারা আমি বলেছেন: জব্বর হইসে।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৩২
জুন বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ দিশেহারা
১২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৫
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: দারূণ !!! +++++++++
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৪৪
জুন বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ চয়ন ভালোলাগা আর + এর জন্য
১৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৯
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: +++++++++++
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২৭
জুন বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ ফেরদৌস
১৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫২
সুরঞ্জনা বলেছেন: ছাব্বাছ জুন!!! তুমি ভী হালায় জব্বর দেখাইলা!!! এক্কেরে ফাটাফাটি!!!!
পাঁচ লম্বর ছাওয়ালডা হওয়ার এখানে পুলা লিখলে পড়তে ভালো লাগবে মনে হয়। সত্যি জুন, অসাধারন সুন্দর লিখেছ!!!
অভিনন্দন!!!!
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪১
জুন বলেছেন:
ওহ সুরন্জনা তুমি ও তো দেখি জব্বর কমেন্ট করছো।
মাগার আমি তো জানিনা পাঁচ নং ছাওয়ালডা পুলা না মাইয়া তার লিগা হাচা কইরা কিছু কইবার পারতাছি না
অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমাকে
১৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:০১
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: আসলেই অসাধারণ !! আমি একটানে পড়লাম !!
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৫৩
জুন বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ ভালোলাগার জন্য। আমার লেখা স্বার্থক হবে যদি সবার ভালোলাগে। তবে আমি কিন্ত কাউকে কষ্ট দেয়ার জন্য লিখিনি।
১৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:১০
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: শততম পোষ্টে একশতে একশ !!
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৬
জুন বলেছেন:
ওহ চয়ন তোমার লেখার ধারে কাছেও না
তারপরও অনেক ধন্যবাদ
১৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:১৬
ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:
অনুবাদ করে দেন।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৯
জুন বলেছেন:
বলেন কি হেলাল ভাই আবার অনুবাদ
আমার মনে হয় আপনার প্রিয় বন্ধু বুঝতে পেরেছে
সেই বলে দেবে
১৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২৭
রাইসুল জুহালা বলেছেন: ওয়াও দারুন তো! আপনি পুরান ঢাকার লোক নাকি?
ভাল লাগল।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১২
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রাইসুল।
না না আমি ঢাকা জেলা মাগার ঢাকাইয়া না :!>
আমি অনেক এলাকার ভাষায় কথা বলতে পারি একটু
১৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৪৯
রাইসুল জুহালা বলেছেন: শততম পোস্টের অভিনন্দন সহব্লগার জুনকে।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:৩৪
জুন বলেছেন:
হু এটা কিন্ত জ্যোতিষীর কথা মিথুন রাশির মানুষ সম্পর্কে রাইসুল
আমার না
২০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৫৫
হিবিজিবি বলেছেন: পড়তে পড়তে হঠাৎ শেষ হয়ে গেল, ভাবছিলাম কাহনী আরো দূর যাবে!!
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৭
জুন বলেছেন:
কই হঠাৎ শেষ হলো হিবিজিবি
কত কিছুই তো লিখলাম। বেশী বড় করলে কি পরবে।
২১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৫৯
মুরশীদ বলেছেন:
ভালোলাগলো। একটি নতুন ধরনের জীবন যাত্রা সম্পর্কে জানা হলো।
শততম পোষ্টে অভিনন্দন।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০০
জুন বলেছেন: ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
২২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:০৮
রামন বলেছেন:
ঢাকাইয়া ভাষাও দেখছি আপনার দখলে যাহোক লেখাটা কিন্তু চরম হইছে ।
অভিনন্দন।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৪
জুন বলেছেন:
বাব্বাহ্ রামন অনেক দিন পর আপনাকে দেখে অনেক খুশী হোলাম
অভিনন্দন আর ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১৪
ফাইরুজ বলেছেন: ভাল লাগলো লেখাটা। শততম পোস্টের অভিনন্দন।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩৬
জুন বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ ফাইরুজ।
আপনাকে অনেক দিন পর দেখে খুব ভালোলাগলো
২৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪৩
ফয়সাল তূর্য বলেছেন: শততম পোস্টের অভিনন্দন।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩৭
জুন বলেছেন:
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ফয়সাল ।
২৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪৯
ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:
সত্যি সত্যি না খাওয়ালে শুভেচ্ছা জানামু না।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩৯
জুন বলেছেন:
ওহ আচ্ছা কি খাবেন হেলাল ভাই বলেন চপ না সিংগাড়া
২৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৫৫
শিপু ভাই বলেছেন: ইয়াহু!!!
শততম পোস্টে জুনাপ্পিকে শ্রদ্ধা সহ অভিনন্দন-শুভকামনা।
আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করছি।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৪২
জুন বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ শিপু ভাই আপনাকে।
আপনার জন্যও রইলো একই কামনা
২৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৫৭
জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
ভালো লাগলো ।
ভাষার ব্যবহারটা চমৎকার হয়েছে ।
শুভকামনা............
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৫০
জুন বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ জিসান সবসময় পাশে থাকার জন্য ...
মুই ভাবতেয়াছি এর পর মোগো বরিশাইল্যা ভাষায় একখান পোষ্ট লেখুম।
২৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৫৭
সুরঞ্জনা বলেছেন: ওহ!!! শততম পোস্টের জন্য অভিনন্দন!!!!
শুভেচ্ছা!!!!!
আরও অনেক অনেক শততম পোস্ট উপহার দিবে এই কামনা করছি।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:০১
জুন বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ সুরন্জনা ।
সব সময় সাথে থেকে উৎসাহ দিয়ে আসছো তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।
দোয়া কোরো
২৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৫৯
ভূকণ্যা বলেছেন: শত তম পোস্টে অভিনন্দন আপুনি--
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:০২
জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভূকন্যা
৩০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৫
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: হেলাল ভাইএর সাথে চরমভাবে সহমত
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:২০
জুন বলেছেন: কি কইছে হেলাল ভাই
চয়ন আমি তো কিছুই কইবার পারুম না
৩১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৫
জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
শততম পোষ্টের জন্য অভিনন্দন .........
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:২১
জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ জিসান
৩২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৬
বড় বিলাই বলেছেন: congrats apu for century.
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৫৪
জুন বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ বড় বিলাই
৩৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩০
রমাকান্তকামার১১০১১৪৫ বলেছেন: Khaiche! Poira keday koibo apner gyati-gusti puran dhakar na? Jure jure poira moja paici, magar Khotash koira shesh hoia jaoate ektu hotash... R Century koroner liga to mubarakbad thaktacei...
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০৫
জুন বলেছেন:
কি খাইছে, হাজীর বিরানী নি
হ ভাই ঠিকই কইছেন। চৌদ্দ গুষ্টি ধইরা পুরান ঢাকার বাছিন্দা, মাগার ভাছা ছুইনা কেউ কইবার পারবোনা আমরা ঢাকাইয়া
৩৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৫
নীরব 009 বলেছেন: ১৪ তম ভাল লাগা। আর শত পোস্টের জন্য শুভেচ্ছা, শুভেচ্ছা, শুভেচ্ছা
গল্প অনেক ভাল লাগসে। পুরান ঢাকার ভাষায় গল্পটা অনন্য সাধারন। এই ধরনের গল্প আগে মনে হয় পরিনি।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০৯
জুন বলেছেন: গল্প ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ নীরব ।
হ এইটা ছামুতে আমার ছততম পোষ্ট... আপনের লেগাও সুভেচ্ছা
৩৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৮
শশী হিমু বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন আপু।
পরে আরও কাহিনী নাই?
১০০ তম পোস্টে অভিনন্দন!
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৮
জুন বলেছেন:
আর কি কাহীনি শশী
অসংখ্য ধন্যবাদ অভিনন্দনের জন্য
৩৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৭
মুকুট বিহীন সম্রাট বলেছেন: কছম আপু, পইড়া কিছু কইবার পারতাছিনা, তোমারে হালায় এই ভাচা শিখাইলো কেঠা ?
হুম! এই হলো জুন আপু, সব সময় সেরা কিছু,ভিন্ন কিছু ও জীবন ধর্মী লেখা নিয়ে হাজির।
ভালো থাকা হোক আপু
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫০
জুন বলেছেন:
কি যে বলো তুমি সম্রাট ।
অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
৩৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১১
মুকুট বিহীন সম্রাট বলেছেন: ওহ!! শত তম পোস্ট বুঝি।
অভিনন্দন আপু,
চোখ বন্ধ করে লিখে যাও আপু,আর কোন কিছুর দিকে মন দিওনা,মনে রেখ তুমি শুধু পৃথিবীতে লিখতে এসেছো।
একটা ছোটদেশ (উপদেশ ) দিলাম আপু
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩০
জুন বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ সম্রাট তোমাকে।
সেই প্রথম পোষ্টের প্রথম মন্তব্য করে আজো উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছো... আমি কৃতজ্ঞ।
৩৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২১
ছোটমির্জা বলেছেন: ভাল লাগা ধার দিয়ে গেলুম
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:০৯
জুন বলেছেন:
কেনো ছোটো মির্জা ধার কেনো আবার কি ফেরৎ চাইবেন
৩৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫৯
পাগলাঘোড়াসিটিজি বলেছেন: মজার পোষ্ট, তাও আবার সেঞ্চুরী হা হা হা
++++++++++++++
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:২০
জুন বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ পাগলাঘোড়া ভালোলাগার জন্য
৪০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:০৩
পাহাড়ের কান্না বলেছেন: আপিজি পর্থমে সেঞ্চুরি পোস্টের লেগা সুভেচ্ছা। আর একখান হাচা কতা কই এইছব ফকির মিছকিন আমি বিসসাস করিনা।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:২৩
জুন বলেছেন:
ছুকরিয়া ভাইয়াজী ...আমি তো তোমার লেগা এরেই খুইজা বাইর করছি।
হুনছি উই বলে বিয়ার তদবীরও করে... ডেরাম ভইরা পানি ফু দিয়া রাখছে
৪১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১১
পাগলা দাশু০০৭ বলেছেন: অভিনন্দন!!!অভিনন্দন!!! অভিনন্দন!!!
শততম পোস্টের জন্য অভিনন্দন!!!
অসাধারণ !!
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫২
জুন বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ পাগলা দাশু
তা তোমাকে আর লিখতে দেখি না কেনো ?
৪২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১২
পাগলা দাশু০০৭ বলেছেন: অভিনন্দন!!!অভিনন্দন!!! অভিনন্দন!!!
শততম পোস্টের জন্য অভিনন্দন!!!
অসাধারণ !!
০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:২৫
জুন বলেছেন:
৪৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:৩৯
মিরাজ is বলেছেন: পুরান ঢাকার শব্দে পুরো গল্পটা খুব সুন্দর হয়েছে।
অভিনন্দন শততম পোষ্টে। আশা করি সহস্রতম পোষ্টেও অভিনন্দন জানাতে পারবো।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৪
জুন বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ মিরাজ ভালোলাগার জন্য ।
আপনাকেও শুভেচ্ছা
৪৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:৩২
রেজোওয়ানা বলেছেন: সেঞ্চুরীর সুবেচ্ছা লন জুনাপু
গল্পখান জব্বর হইছে কইলাম
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৬
জুন বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ রেজোওয়ানা
হ আমারো তাই মনে অইতাছে
৪৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:২৩
পাগলমন২০১১ বলেছেন: অনেক ভাল লাগা রইল।
১০০তম লেখায় অভিনন্দন!
শুভকামনা রইল।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৯
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ পাগলমন২০১১
আপনার জন্যও রইলো শুভকামনা
৪৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:১৩
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
অভিনন্দন
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১১
জুন বলেছেন:
তোমাকও অভিনন্দন সকাল সুসংবাদটির জন্য
৪৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১৬
আরুশা বলেছেন:
আপু অনেক অনেক ভালোলাগলো গল্প
অভিনন্দন শততম পোষ্টের
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১৩
জুন বলেছেন:
তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আরুশা
৪৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩৯
সায়েম মুন বলেছেন: শততম পোষ্টের শুভেচ্ছা আপু!
গল্প পড়ে মনে হলো অন্য কেউ লিখে দিছে। জুনাপু এভাবে কথা বলতে পারেনা
গপভি জব্বর হৈছে
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১৮
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মুন
তোমাদের সহযোগীতা সব সময় সাহস যুগিয়েছে লেখার জন্য আমাকে। যা আজীবন মনে থাকবে ।
ইশ কেউ লিখে দেয়নি... আমি নিজে লিখছি
৪৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:০১
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: চমৎকার লেখা, ভাষাটাতো দারুন হা হা হা।
+++++++
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২১
জুন বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ বৃষ্টি ভালোলাগার জন্য
তোমার পোষ্ট পড়েও আজ আমি অনেক হেসেছি
৫০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:০৫
পাহাড়ের কান্না বলেছেন: হাচাই?? তাইলেতো মিছামিছি কইরা অইলেও একবার টেরাই কইরা দেখবার ইচ্ছা করতাছে।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩৫
জুন বলেছেন:
হাচা না তো মিছা কইলাম নাকি
ঠিকানাতো লেইখা দিছি... ছতরো লম্বর বাড়ি
৫১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার কাছে কিন্তু গল্পটা অসম্পূর্ণ লাগেনাই। ভালো একটা ছোটগল্প হয়েছে। আর পুরান ঢাকার ভাষায় আপনার পারদর্শীতা দেইখা টাস্কি খাইলাম! কেম্নে শিখলেন?
শততম পোস্টের জন্যে অভিনন্দন!
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩৭
জুন বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ হাসান ভালোলাগা আর অভিনন্দনের জন্য।
আমি অনেক জায়গার ভাষায় ই একটু একটু বলতে পারি
৫২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৩৭
নস্টালজিক বলেছেন: আরে বাহ!
দারুন লিখসেন, জুন!
ফ্যান্টাস্টিক!
শততম পোস্টের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন!
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:২১
জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ নস্টালজিক ভালোলাগা আর শুভেচ্ছার জন্য
৫৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২৫
দূর্যোধন বলেছেন: মোবাইলে থাকায় খেয়ালও করা হয়নি এটা জুনাপার শততম পোস্ট।
অধিকন্তু পোস্টের ব্যাপারেও তেমন কিছু বলতে পারিনি।
ব্লগার জুন আমার খুব প্রিয় ব্লগারদের একজন,তা আমার কোনো একটা পোস্টে উল্লেখ করেছি।তখন মূলতঃ তার ভ্রমন বিষয়ল পোস্টগুলোর ভক্ত ছিলাম,তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে উনি আজকাল ব্লগসাহিত্যের আরো অন্যান্য শাখায়ও কৃতিত্বের সাথে যুক্ত হয়েছেন। পুরান ঢাকাইয়া ভাষায় লেখা এই ছোট গল্প ব্লগার জুন আপার সামর্থ্যকে আরো একবার প্রমান করলো। সত্যি অসাধারন !! (প্রায় সাবলীল ভাষায় পুরান ঢাকার কথোপকথন আমার সন্দেহের সৃষ্টি করলো,আপনি পুরান ঢাকার স্থানীয় কেউ না তো ?? )
মোটামুটি প্রায় সময়ই আপনার নিক লগড ইন অবস্থায় আমার নিকের পাশেই দেখি,সুতরাং প্রতিবেশী ব্লগারের শততম পোস্টে অভিবাদন জানাই অন্তর থেকে,আশা করি আপনার পাশাপাশি থেকে নিদেনপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করবো !!
শততম পোস্টের শুভেচ্ছা আবার ,জুনাপা
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:২৬
জুন বলেছেন: তোমার এত সুন্দর একটি মন্তব্যের জবাবে শুধু এটুকুই বলবো দুর্যোধন, তুমি ও আমার অনেক প্রিয় ব্লগারদের একজন।
অসংখ্য ধন্যবাদ তোমাকে সবসময় উৎসাহ দিয়ে আসার জন্য।
হাফ সেন্চুরী না, পুরো সেন্চুরীর আশায় রইলাম।
স্যাটায়ার করে সুন্দর সাবলীল সমালোচনা এবং সামাজিক অসংগতিগুলো চোখে আংগুল দিয়ে দেখানোর ক্ষমতা খুব কম মানুষেরই আছে। সে ব্যাপারে তোমার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার ধৃষ্টতা আমার নেই। আমি শুধু তোমার সাফল্য কামনা করি মনে প্রানে।
৫৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১৭
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: এক্কেরে জাস্তি এক্ষান জিনিস লিখছেন বইন
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩৮
জুন বলেছেন:
কি কও ভাইয়াজি হাচা কইতাছো নাকি
৫৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১৮
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: বইনা সেঞ্চুরি কইরালাইছেন দেহি!
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৪০
জুন বলেছেন:
হ করলাম আর কি .. সব আবজাব লেইখা
৫৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩৬
শাহরিয়ার রিয়াদ বলেছেন:
গল্প ভাল হয়েছে।
শুভকামনা।
একটা জায়গায় একটু খটকা লাগল।
গল্পের শুরুতে গল্পের এক চরিত্র গল্প বিবৃত করে, কিন্ত মাঝখানে কয়েকজায়গায় গল্পকথক হিসেবে পরোক্ষ বক্তার আবির্ভাব হয়।
দুঃসাহস ক্ষমাযোগ্য।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৪৫
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ শাহরিয়ার ভালোলাগার জন্য।
খটকা আছে বলেইতো ব্লগে লিখছি, না হলেতো লেখিকা ই হোতাম
ওটা আমি ইচ্ছে করেই লিখেছি, না হলে দেখেছি কেমন যেন একঘেয়ে লাগে পড়তে গিয়ে ।
কিসের দুঃসাহস বলেন তো !!
৫৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩৭
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
অনেক সুন্দর একটা গল্প পড়লাম... ছোট গল্প তো এমনই হওয়ার কথা...
পুরান ঢাকার ভাষায় লেখা গল্পটায় আমি বারেক ফকিরের চেহাটা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি যেন...
সব মানুষের সমস্যার সমাধান করে বাট নিজেরটা নিয়ে ভীষন দ্বিধাগ্রস্ত...
খুব ভাল লাগল... ধন্যবাদ...
ওহ! আর পোস্টের শতকপূর্তিতে প্রাণঢালা অভিনন্দন...
আসুক আগামী আরো সুখময়...
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৪২
জুন বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ সুপান্থ ভালোলাগার জন্য।
হু আপনি ঠিকই ধরেছেন বারেক ফকিরের চরিত্র।
আবার ও ধন্যবাদ অভিনন্দনের জন্য।
৫৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:২৯
শত রুপা বলেছেন:
সত্যি বলছি । বেশ লাগছে আমার।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৪২
জুন বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ শতরুপা
৫৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩৪
অনিক বলেছেন: ঈমানে কই, বহুত ভালা লিখছো। তয় ইট্টুছি ছংছোধন করলে আরবি বহুত ভালা হইবো।
আমাগো পুরান ঢাকায় এউগা গলি আছে। ছক্কু বেপারী লেন। নাম হুনছেন নিহি? না হুনলে নাই! মাগার চানখার পুলের নামতো হুনছেন, না কি কন! হেই চানখার পুলের ভিত্রে দিয়া যেই রাস্তা ছোজা হোছনী দালান গেছে হেইডা দিয়া ইট্টুছি আউগাইলেই দেখবেন একখান চিপা গলি। সোজা পুব দিকে হান্দায়া গেছে। আরে মিয়া অত অস্থির হইবার লাগছেন কেলি? আগে কইবার দেন। ঐ গল্লির ভিত্রে ঢুইকা দুই কদম আউগাইলেই দেখবেন আরো এউগা চিপা গল্লি। এইবার ডাইন দিকে মোড় লন। দুই দিকে বহুত পুরানা বিটিশ আমলের দালান নজরে আইবো। বিল্ডিংয়ের আস্তর খইসা পড়ছে, ইটের ফাকে বটগাছ ভী গজাইছে। মাগার অহনতরি খাড়ায়া আছে। ভুমিকম্প আইলে ভি হিলাইবার পারবো না।
এই গল্লির সেছ মাথায় অইলো গিয়া আমাগো বাড়ি। ছতের লম্বর দালান। বাপে বানায়া রাইখা গেছিলো। আর যদি হালায় লম্বর চোখে না দেহেন তাইলে আমার নাম কইলেই মাইনছে চিনায়া দিবো। এই মহল্লার বেবাক মাইনছে আমারে বারেক ফকির নামে চিনে।
আমার পরথম বিবি মইরা যাওনের পর আমি আর এউগা শাদী করছিলাম। হেই বউয়ের নাম অইলো গিয়া নুরজাহান। হেরে আমি আদর কইরা কমলা কইয়া ডাকি। আমার পাঁচ লম্বর পোলাডা হওনের পর থাইক্কা হেই যে খাটে হুইছে আর উঠবার পারে নাইক্কা। আমি নিজে এতো মাইনছেরে তাবিজ-কবচ আর পানি পড়া দিয়া ভালা করছি, মাগার হের কিচ্ছু করবার পারলাম না।
বিবি আমার বিছনায় পইড়া থাকলে কি অইবো, কমলির চেহারাডা মাছাল্লাহ এক্কেরে আসমানের চাঁন্দের লাহান। না না ভুল কইতাছি এক্কেরে পাকা কমলার লাহান। হের মুখের দিকে চাইলে খালি চায়া থাকবার মুন চায়।
বাড়ি-ঘর, পোলাপান ছব ছারখার হয়া যাইবার লাগছে দেইখা কমলি হেইদিন আমারে ডাইকা কয়,
'আপনারে এউগা কথা কইবার চাই হাছেমের আব্বাজান, আপনে কইলাম গোস্সা করবার পারবেন না' ।
"কও কি! চেতুম কেলা'!
ঢোক গিলে কমলি বলে, 'কইছিলাম আপনে আর এউগা ছাদী করেন, বাড়ির হগলতের বহুত পেরেসানী হইতাছে, লগে আপনে ভি'।
একটা ক্লিষ্ট হাসি দিয়ে কমলা চেয়ে রইলো বারেক ফকিরের দিকে।
'এইডা তুমি কি কইতাছো কমলা'!
'হাচাই কইতাছি, দেখবার পারেননা বাড়ি ঘরের কি অবস্থা হইছে'।
আমি আর কিচ্ছু কইবার পারলাম না। কমলা হাচাই কইতাছে। আমার ছোনার ছংছার ছাই হয়া যাইবার লাগছে, আমি ভি বুঝবার পারতাছি। আল্লায় দছ দছটা পোলাপান দিছে, কে যে কোহান দিয়া কি করবার লাগছে হেইডা কইবার পারুম না। তয় হেইদিন মহল্লার এক মুরুব্বি কইল,
'হুজু..র এক খান কথা কই, কিছু মনে কইরেন না, আপনেরে মহল্লার মানুছ বইলা বহুত ছন্মান করি, মাগার আপনার বড় পোলা দুইডা হাছেম আর কাছেম কিন্ত আপনের লাহান হয়নাইক্কা'।
'ঠিকই কইছো, তয় মা মরা ছাওয়াল, খেয়াল করবার পারিনা কেঠা কুনহানে কি করবার লাগছে। আর আমার অন্দরমহলের খবরতো হগলতেই জানে'। বলতে বলতে মাথাটা নীচু হয়ে আসে বারেক ফকিরের।
নাহ্ হাচ্চারি এউগা ছাদী করন লাগবো দেখতাছি, নাইলে বাকি পোলাডি জাহান্নামে যাইবো।
ছোটো ছেলে জমিরেরর ডাকে চমকে তাকায় বারেক ফকির, "আব্বা মহল্লার মানুছ আয়া বয়া রইছে বৈঠকখানায়, আপনে ভিত্রে যান, উঠানে খারায়া কি করবার লাগছেন? যান না কেলা? কহন থিক্কা চিল্লাইতাছি'।
এই পুলাডা আমারে একটু কম ডরায়। ও কয়নাইক্কা, আমি ফকিরি লাইনে আছি। পাড়ার মাইনছে আহে, কত্তরকম ছমছ্যা লয়া। কারো বিমার, কারো মরদ আর এউগা বিয়া করছে, কারো পুলাপান নেছা করবার লাগছে। আমি ঝাড় ফুক তাবিজ কবচ দেই।
পানি পইড়াই রাখছি ডেরাম ভইরা, যার লাগে লয়া যায়। বিহানবেলা মাইয়া মানুছ আর সামবেলায় পুরুছ মানুছ।
আস্তে আস্তে বারেক ফকির তার বৈঠকখানায় ঢোকে। এসে চৌকির উপর বিছানো জায়নামাজে বসে।
'ছালাম হুজুর', মহিলারা সমস্বরে বলে উঠে। কারো কোলে, কারো হাতে ধরা ছোটো ছোটো বাচ্চা। কেউ একা। সবাই এগিয়ে এসে বসে আর কে কার আগে তার কথা বলবে সেই চেষ্টা। এটা নিয়ে মৃদু একটা ধাক্কা ধাক্কিও চলতে থাকে।
হুজুরের এ্যসিস্টেন্ট শহীদ ধমক দিয়ে উঠে বলে, 'আব্বে ঐ তরা এমুন ঠেলা ঠেলি করবার লাগছোস কেলা! সিজিলে ব, আর ইট্টু দুরে ছইরা ব, হুজুরেরর চক্কির লগে ঠ্যাং লাগাইছ না। ঐ ছেমরী তর পোলারে ছামলা'।
হুজুর এবার প্যাকেট থেকে চারটে আগরবাতি জ্বালিয়ে চাল ভরা কৌটার মধ্যে গুজে রেখে সামনে তাকায়। তার হাল্কা কাচা পাকা মেহেদী লাগানো দাড়িতে হাত বুলাতে বুলাতে সামনে বসা বাচ্চা আলা মেয়েটাকে জিগগেস করে?
'কও কি অইছে'?
'হুজুর আমার পুলাডা তিন দিন ধইরা রাইতে ঘুমায় না, খালি চইমকা চইমকা উঠে আর চিক্কুর পাইরা কান্দে। আমার ছাছুড়ি কইলো জীনের বদ নজর লাগছে ।
'সামনে আহো, তুমার পুলার চেহারাডা একটু দেইখা লই'। ভালো করে একবার বাচ্চাটার মুখের দিকে তাকিয়ে বল্লো 'হ মুখটা ঐদিক করো দেহি, হ তোমার ছাছুড়ী ঠিকই কইছে, জ্বীনের বদ নজর লাগছে'।
হুজুর একটা ছোট্ট কাগজে লেখা তাবিজ মহিলার দিকে বাড়িয়ে ধরলো ' ধরো এইডা রুপার তাবিজে ভইরা কালা ছুতা দিয়া পুলার কোমোরে বাইন্ধা রাখবা আছরের নামাজ পইরা। আর ঠিক মত নামাজ কালাম পইরো। যদ্দুর মনে লয় ছন্ধ্যার ছময় পুলা লইয়া বাইরে আছিলা' !
দশ টাকা হুজুরের হাতে দিয়ে মহিলার প্রস্থান। হুজুর কি যেন বিড় বিড় করতে থাকে।
এর পর এগিয়ে আসে এক তরুনী। চেহারায় ক্লান্তির ছাপ, চুলগুলো উস্কোখুস্কো। শীর্নদেহে মলিন শাড়িটা টেনে টুনে একটু সামনে এগিয়ে এসে ফিস ফিস করে কথা বলতে শুরু করে ভাবটা যেন তার দীনতার কথা কেউ শুনে না ফেলে।
'ঐ মাইয়া কি বিরবির করতাছো! যা কইবার জোরে জোরে কও, ঠিক মত ছুনবার পারতাছিনা'! হুজুর বিরক্ত হয়ে উঠে।
মেয়েটা দ্বীর্ঘশ্বাস ফেলে দম নিয়ে গলাটা একটু উচুস্বরে তুলে বলে, 'হুজুর কি আর কমু, মুন্নীর বাপে আমাগো বস্তির এক মাইয়ার লগে মুহাব্বাত করবার লাগছে'।
'বুঝলা কেমতে' !
হুজুরের কথায় তরুনীটি আবার বলতে শুরু করে । 'হুজুর আমি তো পয়লা কিচ্ছুই বুঝবার পারি নাইক্কা'।
আমাগো ঘরের লগের বুলবুলি হেইদিন আমারে ডাইক্কা কয়, "কিরে তর মুন্নীর বাপ যে ঐ ঘরের আদুরীর লগে পিরীতই করতাছে তুই কি বুঝবার পারোছ না!'
বুলবুলির কথা হুইন্না আমার বুকটা ছ্যাৎ কইরা উঠলো হুজুর। আমি কইলাম, 'কি! হাচা কইতাছোছ নাকি' ?
'হ হাচা কইতাছি, মিছা কমু কেলা! তুই আইজ রাইতে জাইগা দেখিছ হাচা কই না মিছা কই' ! জোর গলায় কইছিল বুলবুলি।
'হুজুর এই কথা হুইনা আমি তিন রাইত জাইগা রইছি, দেখি মাঝরাইতে উইঠা মুন্নীর বাপ ঘর থিকা বাইর অইতাছে, হাতে একখান ঠোংগা। আমি কি কমু বুঝবার পারলাম না। আস্তে আস্তে পিছনে যায়া দেহি মুন্নীর বাপ গোছলখানার কোনায় খাড়ায়া আদুরীর লগে হাছাহাছি করতাছে, আর ঠোংগা থিকা কি জানি বাইর কইরা ওরে খিলাইতাছে'।
'হুজুর এর পর থিককা আমি নজর রাখছি, পরায় রাইতেই হ্যায় বাইরে যাওনের লাইগ্গা উঠে, আমি ভি বাইরে যায়া হেগো তামশা দেহি। আপনি একটা কিছু করেন হুজুর, আমার পিচ্চি দুইখান মাইয়া'।
আপাতত এইটুকু। বাকিটা পরে।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:৪৮
জুন বলেছেন: হা হা হা কালপুরুষ ভাই অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার এই মন্তব্য আমার পোষ্টের একটি অলংকার হয়ে থাকুক । এটা দেখে ছংছোধন করলে আমাকে আবার ছবাইকে অনুবাদ করে বলে দিতে হবে
আমারটাই অনেকে বুঝতে পারছে না :!>
আপনি এমন একটা পোষ্ট লিখেন, আপনি অনেক মজা করে লিখতে পারবেন
আপনার মন্তব্য পড়ে আমি কাল রাত থেকে হাসছি
আবারও ধন্যবাদ
৬০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:২১
হানিফ রাশেদীন বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো আপা। আমি তো ভেবে পাই না এমন করে আপনি কীভাবে লিখলেন?
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩৫
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ হানিফ ভালোলাগার জন্য
কি করে লিখলাম তাই তো
তুমিই বলো শুনি
৬১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:০৫
জামিনদার বলেছেন: অনেক কিছু শিখা হল। মাঝে মাঝে পাবলিকরে গালি দিয়া পুরান ঢাকার ভাষা বলে চালিয়ে দেয়া যাবে।
পুরান ঢাকার ভাষায় অনুবাদ করে দেন।
শাহ জাহানের সাজানো বাগান শুকিয়ে গেছে।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫৬
জুন বলেছেন: হা হা হা জামিনদার মানুষ এত বোকা না যে আপনার গালি বুঝবে না
'ছাহজাহানের ছাজাইনা বাগান কেমতে ছুখায় গেছে '
মনে লয় অয়নাইক্কা
৬২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৩৪
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন, জুন। আঞ্চলিক ভাষায় লেখা সোজা কাজ না।
শততম পোস্টের জন্য প্রাণঢালা অভিনন্দন
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৪৬
জুন বলেছেন:
ঠিকই বলেছো স্বদেশ বিশেষ করে ঐ ভাষায় স আ ছ এর মাঝখানে একটা শব্দ আছে ওটা ধরাই খুব কঠিন। পারিনি লিখতে গিয়ে তবে চেষ্টা করেছি।
একটু ও ভালোলাগলেও খুশী হবো হাসনাইন।
ধন্যবাদ ।
৬৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৫
জসিম বলেছেন:
ইয়ো . সেঞ্চুরি!
শুভেচ্ছা
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:০৫
জুন বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ জসিম
৬৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫১
আরিশ ময়ুখ বলেছেন: নিজের কমফোর্ট জোনের বাইরে গিয়ে গল্প লেখার জন্য আপনাকে হাজারটা প্লাস
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:২৪
জুন বলেছেন:
ঠিকই বলেছো আরিশ বিশেষ করে অনেক উচ্চারনের বাংলা এ্যলফাবেট নেই। যেমন ছ আর স।
অসংখ্য ধন্যবাদ
৬৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪৫
মুকুট বিহীন সম্রাট বলেছেন: আমাদের দেশে বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে তাবিজ কবজ নিয়ে এখনো মানুষ মেতে থাকে,এর মধ্যে ৮০ ভাগ নারী,আমাদের সমাজ দারুন ভাবে আপডেট হচ্ছে কিন্তু কিছু কিছু বিষয় থেকে অনেক পড়ালেখা জানা শোনা মানুষ গুলো বের হতে পারেনি এখনো।
আশ্চর্য্য ভাবে অনেক শিক্ষিত মানুষ এখনো এমন বিষয় নিয়ে খুব আস্থার সাথে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করে।
আমার ছোট কাল থেকেই এই সব বিষয়ের উপর খুব কৌতুহল ছিলো, আমি এই নিয়ে অনেক সময় দিয়েছি।
ফকির দরবেশ মাজার এবং তাবিজ ও ঝারফুক করে জীবন চালায় এমন অনক নামি মানুষের সাথে আমার কথা হয়েছে।
তেমনি একজন মানুষ আছেন নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত ছাতার পাইয়া নামক স্থানে বাসিন্দা। মগ সম্প্রদায়ের এই কালো কুচকুচে মানুষটির কাজ যেটাই হোকনা কেন তার দক্ষতা অনেক বেশি।মানুষের চেহারা পড়ার চমৎকার দক্ষতাই ওদের একমাত্র পুঁজি।
সকালে রওয়না দিয়ে প্রায় দুপুর বেলায় আমি তার বাড়ির দরজায় পৌঁছে অবাক হয়ে হয়ে মানুষের বিশাল লাইন দেখে।
রিতিমত স্বেচ্ছা সেবক দল করে মানুষের বিড় সামাল দিতে হয় তাকে।
যাই হোক, বিশেষ কারনে মানুষটি আমাকে শুরু থেকেই সময় দিতে শুরু করলো।অনেক কথা হয় তার সাথে, আমাকে তার বিদ্যা সম্পর্কে অনেক যুক্তি ও প্রমান দিতে শুরু করে,তবুও তার কাছে আমার শেষ প্রশ্ন ছিলো -আমি আপনার এই কাজ গুলোকে বিশ্বাস তো করিনা কখনো , এবং আপনি চরম ভাবে মানুষ ঠকাচ্ছেন।
তিনি এই কথা মনে হয় জীবনে প্রথম হজম করে আমার কানের কাছে মুখ এনে বল্লো - সম্রাট তুমি তোমার বিশ্বাসে অটুট থাকো, আমি কেনো ,ই পৃথিবীর কোনো কবিরাজ বলো আর কাবিরাজ বলো কেউ তোমার কিছু করতে পারবেনা এবং তোমার জীবনেও আমাদের মত মানুষের প্রয়োজন হবেনা।যারা আমাকে বিশ্বাস করে তারাই আসে, আর তোমার ভাষায় তারাই ঠকে।
লোকটার কাজকে আমি ঘৃণা করলেও তার ভাষা গত দক্ষতা আমাকে অবাক করেছে।
আমরা যেন এমন অযুক্তিক অবাস্তব বিষয়কে সবাই চিন্তে পারি সেই কামনা থাকলো।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৪৩
জুন বলেছেন: কি বলো শুধু গ্রামের মানুষের দোষ দিচ্ছ কেনো !!
আমি তো খোদ ঢাকায় থাকা এক উচ্চ পদস্থ অফিসারকে পীরের মুরিদ হয়ে সব ছেড়ে দিয়ে বসতে। ঘর সংসার বাচ্চাদের পড়াশোনা কোনো দিকেই খেয়াল করলো না। পীরের কথায় বাড়ি গাড়ি সব বিক্রি করে দিল।
গোরানে এক লেডি পীর আছে সে টিভি থেকে কার্পেট সব চাইছে আর বলছে আমি চাইনা আমার স্বামী চায়। বোঝো অবস্থা সম্রাট।
কিছুদিন আগে আমার দেবরের গায়ে হলুদে একটা নোহা মাইক্রোবাসও নেয়া হলো। অনেকক্ষন পরে আবিস্কার করলাম সেই গাড়ীর চালক সেই অফিসারের ছেলে। কিন্ত তার বাবার ই পাকিস্তান আমল থেকে টয়োটা গাড়ি ছিল বলে শুনেছি।
তবে আর গ্রামের প্রাতিস্ঠানিক শিক্ষা বন্চিত মহিলাদের কথা কি বা আর বলার আছে।
৬৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০১
শ।মসীর বলেছেন: লেখাটা পড়ে মনে হচ্ছে আপনি হয় পুরান ঢাকার আদি বাসিন্দা না হয় কয়েক যুগ ঐ খানে বসবাস করছেন পুরান ঢাকা নিয়ে যেসব টিভি নাটক হয়েছে ভাষার গাঁথুনি সেগুলোর চেয়ে অনেক ভালো ........লেখায় ভাষা গত নতুনত্ব তো আছেই- সাহসী লেখা অবশ্যই...........সেই সাথে অশিক্ষিত সমাজের চিত্র আবারও নতুন করে তুলে ধরা.......
নতুন প্রয়াসে অবশ্যই ভাল লাগা.........
লেখার মত করে বলতে পারলে আপনারে পুরান ঢাকার টিভি নাটকে পার্ট দেয়া যাইটে পারে
শুভেচ্ছা শততম পোস্টে.........চলতে থাকুক পথ চলা.........শুভকামনা আপু।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩১
জুন বলেছেন:
না না শামসীর কি বলো!!
একবার লালবাগের কেল্লা আর কয়েকবার সদর ঘাট যাওয়া ছাড়া পুরোনো ঢাকা আমার যাওয়াই হয়নি
অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন একটি উৎসাহ ব্যান্জক মন্তব্য এবং অভিনন্দনের জন্য
৬৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৪৫
উদাসীপথিক বলেছেন: ভাল লাগলো। লালসালুর কথা মনে পড়ে গেলো!!
তবে লেখায় আপনার আন্তরিকতার ছোঁয়া আছে। ধন্যবাদ।।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৬
জুন বলেছেন:
আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম উদাসী পথিক।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভালোলাগার জন্য।
লালসালু বলেন কি কার সাথে কিসের তুলনা
৬৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৫২
চাটিকিয়াং রুমান বলেছেন: সেঞ্চুরী পোষ্টের শুভেচ্ছা আপনাকে।
+++++
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১৭
জুন বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ রুমান
৬৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪৭
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আজ সময় নিয়ে গল্পটা পড়লাম, সত্যিই অনেক ভাল লাগল। ঢাকাইয়া ভাষায় খুব ভাল লিখেছেন, আপনি আসলেই জিনিয়াস !!
শততম পোস্টের শুভেচ্ছা রইল... এক্কেরে ফাডায়া দিছেন !!
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩৪
জুন বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ জহির
ভালোলাগলো বলে আমারও অনেক ভালোলাগলো
জিনিয়াস নই খুব সাধারণ ।
৭০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৫১
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: শাহ জাহানের সাজানো বাগান শুকিয়ে গেছে।
ঢাকাইয়া ভাষায় অনুবাদঃ ছাজাহানের ছাজাইন্যা বাগান হুগায়া গেছে গা !!
একটা ঈদের নাটকের ডায়লগ ছিল এটা...
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:২৬
জুন বলেছেন:
তাই নাকি জহির !! আমি জানতাম না তো
যাই বলো তারপরও আমারটা খারাপ হয়নি
৭১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:১৫
অনিক বলেছেন: Click This Link
ফুলবানু
(ঢাকাইয়া প্রেম কিস্সা)
ইমানে কই ফুলবানু তুই,
এক্কেরে আমার জানের জান;
হাচ্চারি কই, খোদার কছম,
তুইযে আমার জিন্দা পরাণ।
তরে লয়া বাইস্কোপ দেহুম,
চিড়িয়াখানায় ঘুরুম ফিরুম;
একবার খালি কইয়া ফালা
আছুলিয়ায় নাও ভাড়া করুম।
ফুলবানু তর বাপের কাছে,
আমি কইলাম পয়গাম দিমু;
জেবের জুবর যা’ই লাগুক
তরে আমি সাজায়া লমু।
আমি কইলাম ঢাকাইয়া পোলা
ইমানে কই দিলডা খোলা,
বাজায়া তুই দেখবার পারোছ
পোলা আমি দারুন ছরস।
ছোনা-দানা হাতের ময়লা,
লাগলে খালি আওয়াজ দিবি;
ধোলাইখালে কারবার আমার
ওজন মাপে বুইজা লবি।
একবার হালায় কছনা খালি,
বিয়ায় রাজি আছোস কিনা;
গোস্সা হইলে ইমানে কই,
জিন্দেগীতে তরে ডাকুমনা।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:২২
জুন বলেছেন:
ওহ কালপুরুষ ভাই অশেষ ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা কবিতার জন্য
৭২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৩:৩১
শোশমিতা বলেছেন: আঞ্চলিক ভাষায় লেখা পড়তে মজাই লাগলো আপু
শততম পোস্টের অভিনন্দন আপু
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৮
জুন বলেছেন:
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ শোশমিতা, ঠিকই বলেছেন
৭৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:০২
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: ভাল লাগল, মজা লাগল । এর পর কোন আঞ্চলিক ভাষায় লিখবেন ?
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩২
জুন বলেছেন:
অশেষ ধন্যবাদ ভালোলাগলো বলে
ভালো করে না জেনে অন্য ভাষা লেখা কিন্ত অনেক কষ্টের।
তবে নোয়াখালীর ভাষায় "রিয়েল লাইফ জোকস' নামে আমার ১টি পোষ্ট আছে
৭৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৩০
গানচিল বলেছেন: বেছ ক"দিন বলগ থাইকা পালাইয়া গেচিলাম।(কারন মানুছ ত পলায়নছিল) এর লাগি আপনার পোছ্টটা চোকে পড়ে নাইক্কা।তয় দেরী অইলেও ইস্টরীটা পড়লাম। ইমানে কই ! জব্বর লেকচেন আপা। মাগার আৎকা যেনু ছেছ অইয়া গেল গা। অছুবিদা নাইক্কা ! ম্যালা মজা পাইছি, হ ।
আর ছততম পোছটের ছুভেচ্চাটা ও জাইনা নিয়েন আপা।
০১ লা অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:০১
জুন বলেছেন:
হা হা হা গানচিল আপনি তো অনেক সুন্দর করে বলেছেন ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
৭৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:০১
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: শততম পোস্টের জন্য অভিনন্দন। ( বিলম্বিত। কারণ আমি এখন পোস্টে অতি অনিয়মিত। )
গল্পটি দারুন লেগেছে। ঢাকাইয়া ভাষাটি খুব মজার। দারুন রসিকতায় ভরা। আমি একবার নোয়াখালীর (আমার নিজ জেলা) ভাষায় ছড়া পোস্ট করেছিলাম তরজমাসহ -
Click This Link
০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ৯:৩২
জুন বলেছেন:
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভালোলাগার জন্য
আমিও নোয়াখালীর ভাষায় রিয়েল লাইফ জোকস নামে একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম :!> :!>
৭৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:৪২
নীল ভোমরা বলেছেন:
ভাল লাগলো।
শততম পোস্টের অভিনন্দন!
০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ৯:৫৪
জুন বলেছেন:
আপনার ভালোলাগা আর অভিনন্দনের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
প্রথম দিক থেকেই আপনার উৎসাহ আর উপদেশ আমাকে শততম পোষ্ট পর্যন্ত লিখতে সাহায্য করেছে এটা না বল্লে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হবে নীলভোমরা।
৭৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:১৯
মুখোশে ঢাকা আমি মুকিত বলেছেন: বর্ষপূর্তির অভিনন্দন আপা
০২ রা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:৫৫
জুন বলেছেন:
অশেষ ধন্যবাদ মুকিত
কিন্ত সামু রচনা র পর আর কিছু লেখা দেখলাম না যে !!
৭৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:২২
মুখোশে ঢাকা আমি মুকিত বলেছেন: সরি আপা শততম পোস্ট লিখতে গিয়া বর্ষপূর্তি লেইখা ফালাইছি। ভুলত্রুটি নিজ গুণে ক্ষমা করবেন।
০২ রা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:৫৬
জুন বলেছেন:
হু তাতো বটেই মানুষ ই তো ভুল করে তাই না !!
৭৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:৪১
সাগর রহমান বলেছেন: অদ্ভুত সুন্দর হয়েছে জুনাপু। জমজমাট গদ্য কথন।।
আপনি পুরান ঢাকার?
০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:২২
জুন বলেছেন: না না না না না আমি পুরোনো ঢাকার না সাগর :#>
ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
৮০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:০৯
anisa বলেছেন:
জুন
শুভদুপুর
শততম পোস্ট এ শুভেচ্ছা অনেক অনেক ।
আর এই লেখাটা খুব সুন্দর ।
আঞ্চলিক ভাসায় লিখতে সবাই পারেনা
ভালো লাগলো অভনন্দন আবারও.।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:১৩
জুন বলেছেন:
তোমাকেও অজস্র ধন্যবাদ আনিসা
৮১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:৫৩
শায়মা বলেছেন: এত কঠিন!!!!!!!!!!!!!!
আমি তো মরে সাতবার জনম নিলেও পারতাম না।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:২৮
জুন বলেছেন: তাই নাকি শায়মা !!
হু আসলেই কঠিন বিশেষ করে কিছু কিছু উচ্চারন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ
৮২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:৩৯
অচেনা রাজ্যের রাজা বলেছেন: শততম পোষ্টের শুভেচ্ছা জানাইয়া গেলাম। পোষ্ট মার্ক করে রাখলাম। বিশাল পোষ্টের জন্য বিশাল সময়ের দরকার। লেট নাইটে পড়বো...
০৮ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:৫৫
জুন বলেছেন: লেট নাইটে কি পড়েছিলে অচেনা রাজ্যের রাজা মশাই!!
নাকি মার্কিং করেই সারা
৮৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:০৭
ত্রাতুল বলেছেন:
শততম পোস্ট ছিল নাকি! অভিনন্দন আপু।
আপনার গল্পগুলো ধীরে ধীরে বাড়াবাড়ি রকম সুন্দর হয়ে যাচ্ছে।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:৫৯
জুন বলেছেন:
বলো কি !! বাড়াবাড়ি মানে কি ভালো ত্রাতুল
অনেক অনেক ধন্যবাদ
৮৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১১:৪৭
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: সত্যি জটিল আন্টি । এত ভাল আপনার কোন লেখা আগে লাগেনি ।
তাই প্রিয়তে গেল ।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:০০
জুন বলেছেন:
আচ্ছা তানিম, অসংখ্য ধন্যবাদ অনেক খুশী হোলাম ।
৮৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:৫০
অতন্দ্র তওসিফ বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো আপনার গল্পটা পড়ে। কে বলবে আপনি পুরান ঢাকার স্থানীয় না! আর আপনার শততম পোস্টে শতশত শুভকামনা, আশা করি আপনি যেন পোস্টে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করতে পারেন।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:২৫
জুন বলেছেন:
না না না আমি পুরানো ঢাকার না
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আর শুভকামনা জানাই পোষ্টটি পড়ার জন্য তওসিফ
৮৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:০৭
শিরীষ বলেছেন:
একদম ভিন্নধর্মী একটি লেখার সাথে পরিচয় ঘটল আপনার। গল্পটা একটানে পড়লাম। লেখার মুন্সীয়ানায় মুগ্ধ !!
২৫ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:৩০
জুন বলেছেন:
অনেক দিন পর প্রিয় শিরীষ গাছের ছায়া!
ভালোলাগলো বলে অনেক ভালোলাগলো।।
৮৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৫
শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: Osadharon hoyese apa! Onek valo laglo. Congrats!
০৩ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪৮
জুন বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ আমিনুল ভালোলাগার জন্য।
অনেক দিন পর দেখলাম তোমাকে
ভালো আছোতো ?
৮৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:১৯
নীল_পরী বলেছেন: ঢাকাইয়া ভাষায় এত্ত বড় লেখা? অসাধারন!! খুব ভালো লাগলো জুনাপু।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:০৭
জুন বলেছেন:
হু অনেক কষ্ট হয়েছে, তারপর ও লিখতে মজা লেগেছে নীল পরি।
৮৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২১
প্রামানিক বলেছেন: জব্বর একখান গল্প জুন আপা। পুরান ঢাকার ভাষায় যা লিখছেন তুলনা হয় না। অসাধারন।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫
জুন বলেছেন: এই মন্তব্যকি সামুর সার্ভার বন্ধের সময় দিয়েছিলেন কি প্রামানিক ভাই ?
অনেক অনেক ধন্যবাদ পুরনো একটি লেখা পড়ার জন্য ।
৯০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১০
সাহসী সন্তান বলেছেন: প্রামানিক ভাইয়ের পোস্টে লিংকটা দেখে পড়ার লোভ জাগলো। কিন্তু পইড়া যে এত মজা লাগছে......!! আপু দারুন একখান পোস্ট!
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭
জুন বলেছেন: সাহসী তুমি হয়তো জানো পুরনো লেখার মন্তব্যগুলো দেখা যায়না সহজে । তাই তোমার মন্তব্যটিও চোখের আড়ালেই থেকে গিয়েছিল বা যেত যদি না প্রামানিক ভাই শিখিয়ে দিতেন কি ভাবে সহজে তা দেখা যায় ।
মজা পেয়েছো জেনে খুশী হোলাম অনেক ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:০৭
সীমানা পেরিয়ে বলেছেন: #১