নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পাথরের তৈরী যাঁতা
সাগর নিয়ে কত কবি সাহিত্যিক কত গল্প কবিতা লিখেছে তার শেষ নেই তারপরো যেন সাগরের সেই মহিমান্বিত রূপটি নিজ চোখে না দেখলে বর্ননা করা কষ্ট বৈকি । সেই আদিগন্ত বিস্তৃত সাগর তার স্বচ্ছ নীল বা পান্না সবুজ ফেনীল জলরাশি সাথে মাথায় শুভ্র সাদা মুকুট পরে সৈকতে এসে আছড়ে পরছে সে দৃশ্য দেখে সিন্ধু, সমুদ্র বা অর্নব, বারিধি যে নামেই সাগরকে ডাকি না কেন তার সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়নি এমন কেউ আছে কি না সন্দেহ।
আমাদের এই পৃথিবীর চার ভাগের তিন ভাগেই সাগর ছড়িয়ে আছে কিন্ত তার একটাই দুঃখ এত জল বুকে নিয়েও সে কারো তৃষ্ণা মেটাতে অক্ষম। কেন তা পরীক্ষা করতে মুখে দিয়ে দেখেছেন কি কখনো ? যদি দিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বলতে পারবেন কি ভীষন লবনাক্ত সেই সুনীল জলরাশি ? তবে এক সময় কিন্ত এই পানি সুপেয় ছিল। কি করে সেই পানি পানের অযোগ্য হয়ে পরলো তাই এবার শুনি কোরিয়ান এক উপকথা থেকে। এই কাহিনীটি কিন্ত অনেক দেশে অনেক ভাবে লেখা আছে, তবে এটাই আমার ভালোলেগেছে আর তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না ।
সেই অনেক অনেক বছর আগের কথা, মনে করো কয়েকশ বছরতো হবেই সেসময় এক দেশে এক রাজা ছিল। তাঁর হাতীশালে হাতী, ঘোড়াশালে ঘোড়া আর তার কোষাগারে কত যে হীরা, মুক্তা, জহরত ছিল তার কোন হিসেবই নেই। কিন্ত সবচেয়ে ব্যতিক্রমী যে জিনিসের মালিক ছিলেন তিনি তা হলো একটা পাথরের যাঁতা।যে কোন সাধারণ যাঁতার মত দেখতে হলেও তার ছিল এক আশ্চর্য্য ক্ষমতা। সেই যাদুই যাতার ক্ষমতাটি ছিল এমন যে, সেই যাঁতা ঘুরিয়ে যে যা চাইতো তাই বের হয়ে আসতো । সাধারনত গম বা শস্য চুর্ন করার জন্যই যাঁতা ব্যাবহার করা হয়। কিন্ত এই যাঁতা ঘুরিয়ে কেউ যদি বলতো ' আমি স্বর্ন চাই তাহলে যাঁতার দুই পাথরের ফাঁক থেকে স্বর্নরেনু বের হয়ে আসতো। তেমনি করে কেউ যদি গম বা চাল চাইতো যাতা তাই তৎক্ষনাৎ হাজির। মোদ্দা কথা হলো এই যাদুই যাঁতাটির কাছে যাই চাওয়া হতো মুহুর্তের মধ্যে তা হাজির হতো।
সেই দেশে ছিল এক মস্ত চোর। একদিন তার কানেও এই যাঁতার খবর পৌছালো। শোনার সাথে সাথেই চোর মনে মনে ভাবলো যে করেই হোক রাজবাড়ী থেকে এটা চুরি করতেই হবে। মন থেকে যাঁতা চুরির কথা সে মুছতেই পারে না। নানা রকম ফন্দী ফিকিরের কথা ভাবতে ভাবতে তার দিন যায়।
একদিন আর থাকতে না পেরে সেই চোর গ্রাম থেকে রাজধানীতে আসলো। তারপর এক জ্ঞ্যানী পন্ডিতের মত পোশাক পড়ে আর সাজগোজ করে এক রাজকর্মচারীর সাথে দেখা করলো। সেই কর্মচারীর রাজপ্রসাদে ছিল অবাধ যাতায়ত। চোর এই কথা সেই কথা নিয়ে রাজকর্মচারীর সাথে আলাপ করতে করতে সুযোগ পেয়ে এক সময় বলে উঠলো,
“ভাই আমি শুনেছি আমাদের রাজা মশাই নাকি তার সেই আশ্চর্য্য যাদুর যাঁতাটি মাটিতে পুঁতে রেখেছে। কারন সে নাকি তার উজির -নাজির, মন্ত্রী পারিষদ কাউকেই এই ব্যাপারে বিশ্বাস করে না, সত্যি নাকি ভাই ?”।
ছদ্ববেশী চোরের কথা শুনে রাজকর্মচারীরতো ভীষন রাগ হলো, বল্লো,
'কি বলছেন আপনি? রাজা তার পারিষদদের বিশ্বাস করে না ! কোথায় পেলেন এমন আজগুবী কথা!'
এই ব্যাপারে রাজকর্মচারীর প্রতিক্রিয়া দেখে চোরটি মনে মনে খুশি হলো, কিন্ত মুখটি করুন করে বল্লো,
"ভাই আপনি রাগ করবেন না , আমি শুনেছি দেশের বিভিন্ন গ্রামে গঞ্জে। লোকে বলে রাজা নাকি এক গভীর গর্ত করে যাঁতাটি লুকিয়ে রেখেছে যাতে কেউ চুরি করতে না পারে”।
‘এ সব বাজে কথা, আমাদের রাজামশাই প্রাসাদের অন্দরমহলের পদ্ম পুকুরের পাশেই যাঁতাটা ফেলে রেখেছে'। রাজকর্মচারী বলে উঠলো ক্ষুদ্ধ গলায়।
উত্তেজনা চেপে চোরটি কোনোরকমে বলে উঠলো “আচ্ছা তাই নাকি!” 'অবশ্যই' রাগতঃ গলায় বলে উঠলো রাজকর্মচারী।
‘রাজার যাঁতা চুরি করবে এমন সাহস কার আছে এই দেশে শুনি ? কত লোকই তো এর পাশ দিয়ে আসছে যাচ্ছে কিন্ত এটা চুরি করবে এমন চিন্তা করার কেউ আছে কি?’
চোরটি কোনরকমে “আচ্ছা” বলে সেখান থেকে বের হয়ে আসলো।
সব কিছু জেনে শুনে চোর বাবাজী দিনের পর দিন বসে বসে ভাবতে লাগলো ব্যাপারটি নিয়ে।এক অমাবষ্যার রাতে যখন চারিদিক নিকষ কালো অন্ধকারে ঢেকে গেল সেই ফাকে চোর মশাই প্রাসাদের দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে পদ্ম পুকুরের পাশ থেকে আস্তে করে যাঁতাটি তুলে নিলো।
যাঁতা নিয়ে দেয়াল পর্যন্ত আসতে আসতে গর্বে আর আত্নবিশ্বাসে চোরের তখন ব্যাঙ্গের মত ফুলে উঠার দশা। কিন্ত দেয়াল পেরুতেই তার বুক কেঁপে উঠলো। সর্বনাশ এখন যদি সে ধরা পরে তবে আর রক্ষা নাই।রাজা তার গর্দান নিতে এক মুহুর্ত দেরী করবে না। রাস্তায় যাকে দেখে তাকেই মনে করে এই বুঝি তাকে ধরতে আসছে। চোর বুঝলো এত ভয় নিয়ে এখানে থাকা চলবে না যত তাড়াতাড়ি পারা যায় নিজ গ্রামে ফিরে যেতে হবে। কিন্ত সাগর পাড়ি দিয়ে তাকে গ্রামে যেতে হবে আর তার জন্য দরকার একটি নৌকা। চোরের মন স্বাভাবিক ভাবেই প্রথমেই তার মাথায় আসলো
একটি নৌকা চুরির কথা।
এই নৌকা করে সে নিজ গ্রামে ফিরে গিয়ে যাঁতাটি লুকিয়ে রাখবে।কারন রাজা মশাই যখন টের পাবে এই চুরির কথা তখন এই শহরের বাসা বাড়ী আর রাস্তাঘাটের সব লোককে তল্লাশী করে ছাড়বে।আর ধরা পরলে যে কি হবে সে তো চোর আগেই জানতো।
যেই ভাবা সেই কাজ। তাড়াতাড়ি সমুদ্রের পাড়ে গিয়ে চোর এক নৌকা চুরি করে তাতে যাঁতা নিয়ে বসলো। দড়ি ছেড়ে বৈঠা বেয়ে সমুদ্রের তীর থেকে কিছুটা পথ আসতেই চোরের মনটা খুশী খুশী হয়ে উঠলো। খুশীর চোটে হাসতে হাসতে মাথাটি এলিয়ে দিল নৌকার গলুইয়ে। খানিক পরে সে উঠে গান গাইতে লাগলো আর সেই সাথে শুরু হলো নাচ। চোর মনে মনে চিন্তা করতে লাগলো,
"হে খোদা এখনতো আমি বিশাল ধন দৌলতের মালিক হয়ে যাবো।কি চাইতে পারি আমি যাঁতার কাছে, কি চাইবো? তবে এটা ঠিক আমি এক ব্যাতিক্রমী জিনিস চাইবো কোন সাধারণ জিনিস নয়। কিন্ত কি সেটা "?
ভাবতে ভাবতে চোরের মাথা খারাপ হওয়ার অবস্থা। হটাৎ চোরের মনে হলো অন্য কিছু নয়, লবন, আমি যাঁতার কাছে লবন চাইবো, কারন লবন এমন একটা জিনিস যা সবার প্রয়োজন। এই লবন বেচেই আমি বড়লোক হবো’।
তাড়াতাড়ি হাটু গেড়ে বসে চোর যাঁতার হাতলটা চেপে ধরলো, তারপর ঘুরাতে শুরু করলো। হাতল ঘুরায় আর বলে, " যাঁতা, যাঁতা তুমি আমার জন্য কিছু লবন তৈরী করো’।
বলার সাথে সাথেই চোর অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখে যাঁতা থেকে সাদা ধব্ধবে লবন বেরিয়ে আসছে। খুশীতে তো চোর আত্নহারা। কি করবে না করবে ভেবে পায়না। দেশের সবচেয়ে ধনী হওয়া থেকে আর কেউ ঠেকাতে পারবে না তাকে।
আবার গলুইয়ে মাথা দিয়ে চোর গান গাইতে লাগলো।এদিকে যাঁতা নিজের মনে ঘুরছে তো ঘুরছেই আর সেই সাথে বের হয়ে আসছে রাশি রাশি লবন। নৌকা যে প্রায় ভরে আসছে সেদিকে চোরের খেয়াল নেই, সে শুধু হাসছে, গান গাইছে, আর উন্মত্তের মত নেচেই চলেছে। চোর ভাবছে ধনী হলে সে বিশাল এক বাড়ী বানাবে, কত দাসদাসী থাকবে যারা তাকে মুহুর্তের মধ্যে হাজার রকম মজার মজার খাবার সামনে এনে হাজির করবে।
চোর যখন এসব ভেবে চলছে তারই ফাকে পুরো নৌকা লবনে বোঝাই হয়ে পড়লো, একসময় ভার সামলাতে না পেরে নৌকাটি মাঝ দরিয়ায় জন্মের মত চোর আর যাঁতাসহ সেই যে ডুব দিল আর তার কেউ কোনদিন খোঁজ পেলো না।
এদিকে যাঁতাটিকে তো আর কেউ বন্ধ হতে বলেনি, তাই আজও সে সমুদ্রের নীচে বসে ঘুর ঘুর করেই চলছে আর সেখান থেকে রাশি রাশি লবন বেরিয়ে সমুদ্রের পানির সাথে মিশেই যাচ্ছে অনবরত। এরই ফলে সমুদ্রের পানি এত নোনা, যা কিনা একেবারে পানের অযোগ্য। তাই তো ইংরেজ কবি স্যামুয়েল কোলরিজ তার বিখ্যাত এনসিয়েন্ট মেরিনার কবিতায় লিখেছিলেনঃ
Water, water, every where,
Nor any drop to drink.
আমার কথাটি ফুরালো, নটে গাছটি মুড়ালো।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮
জুন বলেছেন: এত দুঃখের গল্প পড়ে মজা পেলেন দিশেহারা
চিন্তা করেন চোর বেটা যদি এই কান্ড না করতো তাহলে কি সুপেয় পানির জন্য দেশে দেশে এত ঝগ্রা ঝাটি মারা মারি হতো !
মন্তব্য আর সাথে থাকছেন বলে অনেক অনেক ধন্যবাদ
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩৬
বিদগ্ধ বলেছেন:
//আমার কথাটি ফুরালো, নটে গাছটি মুড়ালো।// -হাহাহা
অনেক ভালো লেগেছে।
এই উপকথার প্রতি আমার একটি আলাদা দুর্বলতা আছে, কারণ উপকথা থেকে অনেক পুরাতন সত্য নতুন করে তুলনা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়। উপকথা মানে কখনও মিথ্যা কথা নয় - আমি মনে করি সত্যের যৌক্তিতা সৃষ্টি করা হলো উপকথার কাজ।
উপকথার প্রতি আপনার আগ্রহকে স্বাগত জানাই। সঙ্গে পাবেন সবসময়।
অভিনন্দন জানাই সেই সহব্লগারকে, যার সন্তানদের জন্য আপনি এই উপকথাকে উৎসর্গ করেছেন। যদিও বুঝতে পারি নি কেন আপনি কোরিয়ান উপকথা বাঙালির নামে উৎসর্গ করেছেন।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩
জুন বলেছেন: আপনার মনযোগী পাঠ আর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বিদগ্ধ । সেই সাথে স্বাগতম আমার ব্লগে । আশাকরি সামনের দিনগুলোতেও সাথে থাকবেন ।
সেই সহ ব্লগার আমাদের মাইনুদ্দিন মইনুল ভাইয়ের স্ত্রী অর্থাৎ আমাদের ভাবী একজন কোরিইয়ান নাগরিক। স্বভাবতই এই গল্পটি তাদের দুই কন্যার জন্য সঠিক হবে বলেই উৎসর্গ করেছি তাদের
শুভেচ্ছা সন্ধ্যার ।
৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫০
কলমের কালি শেষ বলেছেন:
মজার রুপকথা । অনুবাদ যে ভাল হয়েছে সেটা আর বলবো না কারণ এমন মজার মজার গল্প যদি পরে আর অনুবাদ করে আমাদের সাথে শেয়ার না করেন ! তাই আনুবাদ পচা হয়েছে আরও ভালভাবে ট্রাই করেন !
শুভ কামনা রইল ।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭
জুন বলেছেন: আনুবাদ পচা হয়েছে আরও ভালভাবে ট্রাই করেন !
দোয়া করবেন যেন আরো এত্তগুলি পচা লিখতে পারি ককাশে
মন্তব্য আর সাথে আছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫০
সোহানী বলেছেন: ও আচ্ছা... এ গল্পতো আমি অন্যভাবে পড়েছিলাম। যেমন নৈাকায় কিভাবে লবন বন্ধ করতে হবে তা আর সে জানে না.... তাই লবন বাড়তেই থাকলো।
নাহ্ এবার হলো না, এটা আগেই বলেছি মেয়েকে...... তারপর ও অসাধারন গল্পটা মনে করিয়ে দেবার জন্য ++++++++
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫
জুন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন সোহানী আমিও দেখেছি এই গল্পটি আরো দু একটা দেশে ভিন্ন আঙ্গিকে লেখা । তবে এটাই আমার মজা লেগেছে পড়ে।
আগে বললে আর শুনতে চায় না ভাগ্নী আমার ঠিক আছে তার জন্য দেখি না জানা কোন গল্প পাই কিনা ?
মন্তব্য আর সাথে থাকার জন্য অশেষ ধন্যবাদ সাথে শুভকামনা
৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: এতদিন পর বুঝলাম সাগরের জল নোনা কেন, সব দোষ সেই চুর ব্যাটার
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৪৭
জুন বলেছেন: হা হা হা ঠিকই বলেছেন মাসুম১৪ সব দোষ ঐ কেষ্টা ব্যাটার
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা সকালের
৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৪
আমি স্বর্নলতা বলেছেন: মজার কাহিনি পড়লাম।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৫২
জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে আমি স্বর্নলতা
পড়েছেন, উপভোগ করেছেন আর মন্তব্য করেছেন তার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা সকালের ।
৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫
সুমন কর বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অবশেষে জানলাম, সাগরের জল নোনা কেন ??
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০০
জুন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সুমন কর
৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ছোটবেলায় এই গল্পটা আম্মু প্রায়ই বলত যখন আমাকে ভাত খাইয়ে দিতেন। গল্পটা মনেই ছিল না। ধন্যবাদ মনে করিয়ে দেয়ার জন্য।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২৫
জুন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোষ্টটি পড়া আর মন্তব্যের জন্য আরন্যক রাখাল
শুভেচ্ছান্তে .।।
৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এদিকে যাঁতাটিকে তো আর কেউ বন্ধ হতে বলেনি, তাই আজও সে সমুদ্রের নীচে বসে ঘুর ঘুর করেই চলছে আর সেখান থেকে রাশি রাশি লবন বেরিয়ে সমুদ্রের পানির সাথে মিশেই যাচ্ছে অনবরত।
কি অকাট্য যুক্তি । এজন্য বুঝি সাগরের পানি নোনা ?
তবে এটি সত্য কথা সাগরের পানির লবনাক্ততা বাড়ছে প্রতিনিয়ত ।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২৭
জুন বলেছেন: জী সেলিম আনোয়ার এখনো লবন তৈরী হয়েই চলেছে । ছোটবেলায় এই গল্পটি পড়ে মনের মাঝে দারুন এক ভয় সৃষ্টি হয়েছিল :-&
শুধু লবনাক্তই নয়, দূষন বাড়ছে ভয়াবহ আকারে যা দৃশ্যমান কক্সবাজার সৈকতে ।
সুন্দর মন্তব্যে প্লাস
১০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: অনেক, অনেক ভাল সাথে ভালবাসা ও দোয়া ছোট্ট দুই পরীরর জন্য।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩০
জুন বলেছেন: ভালবাসা ও দোয়া ছোট্ট দুই পরীরর জন্য।
ঠিক ঠিক তাই ইমতিয়াজ ১৩
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।
১১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: জুনাপা.... একি মহাকাণ্ড লাগিয়ে দিলেন মহাসাগরের পানি নিয়ে!
সাগরের পানি নোনতা হবার কারণ জানতে পারলাম।
দু’পরীর জন্য উৎসর্গ করেছেন খুবই ভালো কথা। ধন্যবাদ। শুকরিয়া।
কিন্তু মাইনুদ্দিন মাইনুলনামে সামুতে বাটিচালান দিয়েও কাউকে পেলাম না
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩১
জুন বলেছেন: আমার এই ক্ষুদ্র উপহার আপনার ও আপনার পরিবারের সবার ভালোলেগেছে জেনে অনেক ভালোলাগলো মাইনুদ্দিন মইনুল
হ আমিও পাইলাম্না এই নামে কাউরে
১২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৪
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আচ্ছা এই হল তাহলে আসল কাহিনী। তাইতো বলি সাগরের জল লবণাক্ত কেন! চোর বেটাই তাহলে এই সর্বনাশটি করেছিল!
যাঁতাকে যাঁতা মেরে বন্ধ করতে পারলে সাগরের লবণাক্ত বন্ধ হয়ে যাবে মনে হয়।
আপনার গল্প বলার ঢং নস্টালজিক করে দিয়েছে। মনে হচ্ছে ছোট বেলার দাদু বা নানীর কাছে গল্প শুনছি। অনুবাদ হয়েছে চমৎকার। অনেক ভালো লাগলো।
উৎসর্গিত দুই মামুনির জন্য অনেক অনেক আদর আর ভালোবাসা রইলো।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩৪
জুন বলেছেন: মনে হচ্ছে ছোট বেলার দাদু বা নানীর কাছে গল্প শুনছি।
তবে নীচের লাইনটা ভালো বলছেন
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বিদ্রোহী সাথে থাকার জন্যতো বটেই ।
শুভকামনা সকালের
১৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪০
ঢাকাবাসী বলেছেন: দারুন ভাল লাগল, জানলুম কেন সাগরের পানি লবনাক্ত। আর ওইটা না ঘটলে তো সুপেয় পানির জন্য এত মারামারি হতোইনা।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮
জুন বলেছেন: হু আমিও তাই মনে করি । সারা পৃথিবীর জল স্থল সব জয় করে মহাশুন্য পর্যন্ত দৌড়াচ্ছে আর যাঁতাটা কেউ বন্ধ করতে পারছে না সাগর তলে ডুব দিয়ে ! সত্যি দুঃখজনক ঢাকাবাসী
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা জানবেন
১৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৪৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
পৃথিবীর চার ভাগের তিন ভাগই সাগর ছড়িয়ে আছে কিন্ত একটাই দুঃখ এত জল বুকে নিয়েও সে কারো তৃষ্ণা মেটাতে অক্ষম।
গল্পটি ( উপকথা ) রূপকথা পড়া বয়েসীদের জন্যে । আমাদের জন্যে উপরের লাইনটিই যথেষ্ট ওজনদার ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:২৫
জুন বলেছেন: আপনার কোট করা লাইনটা যথার্থই বটে, সেই সাথে তিক্ততায় পুর্ন লবনও কিন্ত কম ওজনদার নয় । তাইতো সেই নৌকা ডুবি হয়েছিল আর এখনো মিষ্টি পানিকে নোনা বানিয়ে চলেছে প্রতিনিয়ত ।
লবনাক্ত পোষ্টে সুমিষ্ট মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আহমেদ জীএস ।
১৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২৯
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: জুনাপু,
আমরা এখন কি করছি? - পানি দূষিত করছি।
আর সমুদ্রের পানি লবনাক্ত না হলে আমারা কি করতাম? - ঐ পানিও দূষিত করতাম। যেহেতু নষ্ট করাই মানব ধর্ম।
সেহ্মেত্রে আফসোস বাড়ত। তাই না?
তাই মজা পাইছিলাম।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৫
জুন বলেছেন: কক্সবাজারের সৈকতে এখন আমার পা চুবাতেও ইচ্ছে করে না এত নোংরা পানি ।
যাক তাহলে ভালোই হয়েছে বলতে চাচ্ছেন যাঁতা টা সমুদ্রে ডুবে
আবার আসার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
১৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১২
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: জানা ছিলনা
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৭
জুন বলেছেন: অনেকের জানা আবার অনেকের অজানা কাহিনী তাই ভাবলাম শেয়ার করি
মন্তব্য আর পাঠের জন্য অশেষ ধন্যবাদ নাজমুল হাসান মজুমদার
১৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: একদম ছোট বেলার মত মজা পেলাম ।।
চমৎকার লিখনী আপু
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৫৫
জুন বলেছেন: আমিও ছোটবেলায় রাশিয়ান ছাড়াও অনেক দেশের উপকথা পড়ে আনন্দ পেয়েছিলাম। তাই এই বুড়ো বয়সে এসে ব্লগে যাদের বাচ্চা রয়েছে তাদের জন্য অনুবাদ করতে পারি কিনা চেষ্টা করছি মনিরা সুলতানা
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:০৫
জাফরুল মবীন বলেছেন: রূপকথা/উপকথার গল্পগুলো চির সবুজ।যতবারই পড়ি আর যত ভিন্নতায়ই পড়ি প্রতিবারই বিমোহিত হই।
ধন্যবাদ বোন চমৎকার গল্পটি শেয়ার করার জন্য।
‘ব্লগ রত্ন’র পরী দু’টোর জন্য রইলো অনেক অনেক আদর আর দোয়া।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৫৭
জুন বলেছেন: ঠিকই বলেছেন এসব উপকথাগুলো শিশুদের জন্য রচিত হলেও আমার এই প্রাপ্ত বয়স্ক মনকেও আলোড়িত করে তোলে ঠিক শিশুদের মতই। মজা লাগে এখনো পড়তে।
মন্তব্য আর সবসময় উৎসাহ দিয়ে যাবার জন্য অজস্র শুভকামনা জাফরুল মবীন ভাই
ব্লগ রত্ন’র পরী দু’টোর জন্য রইলো অনেক অনেক আদর আর দোয়া।
১৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৩৮
গোল্ডেন গ্লাইডার বলেছেন: ওহ এই চোর ব্যাটাই সর্বনাশের মুল তাইলে +++++++্
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:০০
জুন বলেছেন: তাতো বটেই এই অপকর্মটা যদি সে না করতো তবে কি আজ পানির জন্য এত মারামারি হতো
মন্তব্যের জন্য অন্নেক অনেক ধন্যবাদ গোল্ডেন গ্লাইডার
২০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩৭
আরজু পনি বলেছেন:
অনুবাদ কর্ম দারুন লাগলো প্রিয় ব্লগার ।
আহারে তাইতো বলি সমুদ্রের জল এতো লবণাক্ত কেন
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন : কিন্তু মাইনুদ্দিন মাইনুলনামে সামুতে বাটিচালান দিয়েও কাউকে পেলাম না ...
তবে মাঈনউদ্দিন মইনুল নামে পেয়েছি
উৎসর্গ একেবারেই সঠিক হয়েছে...
প্লাসের ডজন পুরা করলাম
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:০৪
জুন বলেছেন: পনি তোমার প্লাস আর বেশ বড়সড় এক মন্তব্য পেয়ে অনেক খুশী হোলাম ।
উৎসর্গ এর চাইতে আর কার যথার্থ প্রাপ্য হতো বলো ?
অনেক অনেক ধন্যবাদ নিরন্তর উৎসাহ দিয়ে যাওয়ার জন্য
২১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:০৩
দীপান্বিতা বলেছেন: খুব ভাল লাগল... বিভিন্ন দেশে কত লোকগাঁথা থাকে......সে সব জানলে খুব ভাল লাগে...
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:২৫
জুন বলেছেন: ভালোলাগলো জেনে আমারো ভালোলাগলো দীপান্বিতা
অসংখ্য ধন্যবাদ ।
২২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৪
দীপংকর চন্দ বলেছেন: হায়রে!!!
এতো সহজ একটা ঘটনা সাগরের জল লোনা হওয়ার পিছনে লুকাইয়া ছিলো!!!
আর আমি কিনা জীবনেও এই বিষয় নিয়া চিন্তা করার সাহস পাই নাই!!!
যাক, তাও ভালো জটিল একটা বিষয়ের সহজ সমাধান তো পাওয়া গেল!!!
রহস্যময় পৃথিবীর অন্তত একটা রহস্যের কূল কিনারা খুঁজে পাওয়ার আনন্দে শুভকামনা করছি আপনার!!!
ভালো থাকবেন। অনেক।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:২৮
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ দীপংকর চন্দ । কিন্ত রহস্যের কূলতো আবিস্কার করলেন কিন্ত এর সমাধানটা আবিস্কার করলে পানি নিয়ে এই হাহাকারের অবসান ঘটতো কি বলেন ?
আপনিও ভালো থাকবেন আর সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করবেন এই আশাই করি । শুভেচ্ছা প্রতিদিন ।
২৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৮
আবু শাকিল বলেছেন: উপকথা সিরিজ হবে নাকি আপু !
ভাল ই লাগছে।
লাইক বাটন চেপে গেলাম।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৩১
জুন বলেছেন: কি যে হয় আর না হয় আল্লাহই ভালো জানে আবু শাকিল । আমার মত অধৈর্য্য এক জন পাঁচ পাঁচটি বছর ধরে ব্লগিং করছে তাতেই তো আমি অবাক হই
ভালোলাগা আর লাইক চাপার জন্য অশেষ ধন্যবাদ
২৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৪০
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অনুবাদ চমৎকার লাগলো।
ছোটবেলায় আমার খুব বেশিবার পড়া একটা বইয়ের নাম ছিলো "জাপানী শিশু কাহিনী ও ছড়া"। এই বইয়ে একটা গল্প ছিলো যেটাতে বলা হয়েছিলো কিভাবে সমুদ্রের পানি লোনা হলো। ঘটনা ঐ যাঁতাই ঘটিয়েছিলো তবে এই গল্পে ভিলেন হলো যাঁতা মালিকের বড়ভাই। "ওসিয়ো (জাপানি ভাষায় লবণ) দেরো দেরো দেরো" এভাবেই লবণ চেয়ছিলো নৌকায় বসে কিন্তু বন্ধ করার মন্ত্র জানা ছিলো না। অতঃপর ...................
ভালো থাকুন আপু। শুভেচ্ছা রইল
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৩৫
জুন বলেছেন: ঠিকই বলেছো মহামহোপাধ্যায় । এই উপকথাটি অনেক দেশেই বিভিন্ন ভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, যা আমি আমি পড়েছি আর পোষ্ট্রেও উল্লেখ করেছি।
তুমিও অনেক ভালো থেকো সাথে রইলো শুভকামনা
২৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:০৩
শায়মা বলেছেন: ইশ ঐ যাতায় যদি চকলেট বের হতো! কিংবা হাওয়াই মেঠাই!শনপাপড়ি!
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৩৮
জুন বলেছেন: তাইতো তাইতো এমন কেন হলো না শায়মা ! ইশ সাগর ভরা চকলেট, হাওয়াই মিঠাই নাহ এত সহজলভ্য হলে এসবের বোধ হয় আর কদর থাকতো না ।
মজার একটি মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
২৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৩৯
বিদগ্ধ বলেছেন: //শায়মা বলেছেন: ইশ ঐ যাতায় যদি চকলেট বের হতো! কিংবা হাওয়াই মেঠাই!শনপাপড়ি!//
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৩৮
জুন বলেছেন: ইশ সাগর ভরা চকলেট, হাওয়াই মিঠাই নাহ এত সহজলভ্য হলে এসবের বোধ হয় আর কদর থাকতো না বিদগ্ধ
২৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২০
মুরশীদ বলেছেন: এত দিনে জানা হলো সাগরের জল কেন নোনা ।
++++++
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৩৯
জুন বলেছেন: ইশ এতদিনে জানলেন এই গুরুত্বপুর্ন কাহিনীটি
হা হা হা যাক তবে ধন্যবাদ রইলো পোষ্টটি পড়ার জন্য ।
২৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২৫
এহসান সাবির বলেছেন: মাইনুদ্দিন মাইনুল ভাইয়ের ছোট্ট পরী দুটোর জন্য স্নেহ।
শুভ কামনা আপু।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:২২
জুন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য এহসান সাবির ।
মাইনুল ভাইয়ের ছোট্ট পরী দুটোর জন্য স্নেহ।
২৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯
সায়েম মুন বলেছেন: তাইতো বলি সমুদ্রের জল এত নোনতা কেন।
ঐ যাঁতাটায় ঘুরিয়ে দেশটা যদি শান্তিপুরিতে পরিণত করা যেত।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:২৫
জুন বলেছেন: সত্যি মুন ঐ যাতাটা ঘুরিয়ে কেউ যদি বলতো শান্তি চাই শান্তি । তাহলে হয়তো ভরপুর শান্তিতে থাকতাম ।
অবশ্য তখন শান্তির মর্যাদা বুঝতামনা
ইতিহাসে পড়েছিলাম মুঘলরা বাংলার নাম দিয়েছিল বল্গাকপুর অর্থাৎ বিদ্রোহীর নগরী। কারন কিছুদিন পর পরই শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ খুব কমন ছিল। যাক অনেক বক বক করলাম ভালো আছো আশাকরি ।
৩০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সুন্দর গল্প। চোরটা না হয় শাস্তি পেল আমরাও যে পেয়ে চলেছি
পরীদ্বয়ের জন্য এক আকাশ ভালোবাসা আর আদর। ভালো থাকবেন আপু।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:২৯
জুন বলেছেন: সেটাই রেজওয়ানা আলী তনিমা একজনের দোষে সবার কষ্ট। পোষ্ট পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । আর
আপনিও ভালো থাকবেন অনেক অনেক
৩১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৭
আলোরিকা বলেছেন: হায় !হায়! সবাই এত কথা বলছে কিন্ত্ত যাঁতাটা বন্ধ করার কথা কেউ ভাবছে না ......লবণতো বেড়েই চলেছে..... ছোট্টবেলায় এরকম কত প্রশ্নে মন ভারাক্রান্ত হয়ে থাকত ... কি মায়ায় ভরা সেসব দিন!!!....বয়স বেড়েছে মায়াপুরীর রহস্যও ঘুচেছে কিন্ত্ত মুগ্ধতা একই আছে....অনেক ভাললাগা....ভাল থাকবেন
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৯
জুন বলেছেন: আমিওতো তাই বলি কত্ত কথা হচ্ছে কিন্ত যাঁতাটি বন্ধ করার চেষ্টা করছে না কেউ একজন ডুবুরী পাঠিয়ে
স্বাগতম আমার ব্লগে আলোরিকা আলো জ্বালবেন ব্লগে সেই শুভকামনা করি।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
৩২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সাগরের পানি নোনা হওয়ার আসল কাহীনি । সাগর শুরুতে স্বাদু পানির ছিল ।
তবে জেমস হাটনের প্রেজেন্ট ইজ কী টু দা পাস্ট ফর্মূলায় এখন সেসব প্রাকৃতিক কর্মকান্ড আছে অতীতেও ঠিক তেমন কর্মকান্ডই হত । যেমন বৃষ্টি আলো ঝড় নদী প্রবাহ ক্ষয় সঞ্চয় । বৃষ্টির ফলে পাহাড়সমূহ থেকে যে সমস্ত ঢল নেমে আসতো সেগুলো স্থলবাগের লবণ দ্রবীভূত করে সমুদ্রে ফেলে দিত ।এভাবে সমুদ্রে প্রতিদিন লবণের পরিমান বাড়তে থাকে ।কোটি কোটি বছর ধরে এমন ঘটনা ঘটতে থাকলে সমুদ্রের লবণাক্ততা বর্তমান পর্যায়ে আসে ।সমুদ্রের পানির লবণাক্ততা নির্দিষ্ট হারে বাড়ছে ।সমুদ্রে নদী লবণ বাড়িয়ে দিলেও সমুদ্র থেকে জরীয় বাস্প হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায় সেগুলো কিন্তু মিষ্টি পানি । তাই নদীর পানির লবণাক্ততা বাড়েনা। মজার ব্যাপার হলো এই লবণাক্ততা বাড়ার হার দিয়ে কিন্তু পৃথিবীর বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ।
০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭
জুন বলেছেন: সমুদ্রের পানি লবনাক্ত হওয়ার আসল বৈজ্ঞানিক কারণটি ব্যাখ্যা করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার ,
কিন্ত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার বাইরে এর অজানা ইতিহাসটিও যে কত সুন্দর, কত রহস্যময় কত মজার সেটারই অনুবাদ করলাম আর কি । জানিনা কি হয়েছে তবে এটুকু বলতে পারি যে আমার সীমিত জ্ঞ্যানে চেষ্টার ত্রুটি করিনি
আবার এসেছেন বলে কৃতজ্ঞ প্রিয় ব্লগার ।
৩৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০
মোঃমোজাম হক বলেছেন: ভাল লাগল। আমাদের দেশেও অনেক লোক গাথা আছে
০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৪৮
জুন বলেছেন: ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মোজাম ভাই। ঠিক বলেছেন আমাদের দেশেও হাজার হাজার এমন উপকথা রয়েছে
৩৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮
কাব্য বলেছেন:
০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩
জুন বলেছেন: কি ব্যাপার এত্তদিন পর
অনেক ধন্যবাদ পদধুলি দেয়ার জন্য
৩৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫১
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ছোটবেলায় গল্পটা শুনেছিলাম তবে জানতামনা এটা কোরিয়ান রূপকথা। জুনাপুর কল্যানে বিদেশী রূপকথার বাংলা অনুবাদ আরো সমৃদ্ধ হোক এই প্রত্যাশা করি এবং একই সাথে প্রত্যাশা করি আগামী বইমেলায় রূপকথার একটি বই জুনাপুর নামে বেরুবে।
বরাবরের মতোই আরেকটি সুন্দর অনুবার এবং বরাবরের মতোই প্লাস
০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৩৪
জুন বলেছেন: এটা শুধু কোরিয়া নয় অনেক দেশের উপকথাতেই আছে কুনো । তবে এক একটার ধরণ ভিন্ন। কোরিয়ানটা বেশি ভালোলাগায় এটাই শেয়ার করলাম।
আগামী বই মেলা পর্যন্ত বেচে থাকি যেন সেই দোয়া কোরো ।
আর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
৩৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৪২
তুষার কাব্য বলেছেন: আমারও একটি যাঁতা চাই,চাইই চাই
০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৩৫
জুন বলেছেন: ক্যারে লবন তৈরী করবা নাকি ?
না কাউকে যাতা দিয়ে ভর্তা করবে
শুভেচ্ছা রাত্রির
৩৭| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৩৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপু মজার রূপকথার সঙ্গে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাটাও দিয়ে দিলাম । সেটিও কেমন রূপকথা রূপকথা মনে হচ্ছে । ওটা একেবারে ব্যাসিক জিওলজি। সম্মান ১ম বর্ষে পড়া ।
০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৩৯
জুন বলেছেন: হ্যা আমি জানি সেলিম আনোয়ার আপনি একজন স্বনামধন্য জিওলজিষ্ট ।
আপনার ব্যাখ্যাটি কিন্ত দারুন হয়েছে । আর আমার পোষ্টকে করেছে সমৃদ্ধ ।
শুভেচ্ছা জানবেন
৩৮| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৪১
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
আপনার ব্যতিক্রমী পোস্টে যথারীতি মজা পেলুম!
এমন কাহিনী আরও চাই প্রিয় জুন আপু।
পরী দুটোর জন্যও ভালোবাসা, কেমন আছেন ?
আমার ওদিকে আসবেন সময় হলে ! ++
০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৪৭
জুন বলেছেন: কেন আপনি নতুন কিছু লিখেছেন কি গ্রানমা ? অনেক বার ঘুরে এসেছি কিন্ত আপনার ব্লগে
আমার পোষ্টে মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ও শুভকামনা রাত্রির ।
৩৯| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:২০
মহান অতন্দ্র বলেছেন: কিন্ত এই যাঁতা ঘুরিয়ে কেউ যদি বলতো ' আমি স্বর্ন চাই তাহলে যাঁতার দুই পাথরের ফাঁক থেকে স্বর্নরেনু বের হয়ে আসতো। খুবই মজা পেলাম গল্পটা পড়ে। ছোট বেলার রুপকথার মতই মজা।
০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৪৩
জুন বলেছেন: পোষ্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ মহান অতন্দ্র
সত্যি এমন যদি হবে .. রান্না বাড়ার ঝামেলাটা ছেড়েই দিতুম তবে
শুভেচ্ছা রাত্রির
৪০| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮
রাতুল_শাহ বলেছেন: একদিন এসে একটু পড়ি আবার আরেক দিন একটু পড়ি। কিন্তু পড়া শেষ করতে পারছি না।
দেখি আজকে প্রিন্ট করে পড়বো।
০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৪৪
জুন বলেছেন: কিতার লাগি একটু একটু কইরা পড়েন ভাইডি
টাইম নাই
যাক তবুও কোন একদিন শেষ হবে এই বিশাল উপন্যাস পড়া তার প্রতীক্ষায় রাতুল
৪১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৭
পুলহ বলেছেন: আপনার অনুবাদের বৈশিষ্ট্য হলো- আপনি বাঙ্গালির মন-মেজাজের সাথে সঙ্গতি রেখে অনুবাদ করেন, এ কারণেই গল্পগুলো পড়তে এতো ভালো লাগে। তাছাড়া জায়গায় জায়গায় হাসির এলিমেন্ট তো আছেই, যেমন ছিলো এ গল্পে।
উটের উপকথাটাও পড়লাম।
আমার একটা ইচ্ছা ছিলো- প্রতিটা মহাদেশের একটা করে দেশের রূপকথা/উপকথা নিয়ে একটা সিরিজ লিখবো, কিন্তু আপনার ব্লগপাতা পড়ে মনে হলো- সে ক্ষেত্রটাকে অলরেডি আপনি যথেষ্ট সমৃদ্ধ করেছেন।
অবশ্য করবেন ই বা না কেন, আফটার অল- ইউ আর আওয়ার গ্রেট মাহজাবীন জুন আপু !
শুভকামনা শ্রদ্ধেয়!
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৫২
জুন বলেছেন: আমি অত্যন্ত দুঃখিত আপনার মন্তব্যটির উত্তর দিতে দেরী হওয়ার জন্য পুলহ । প্রশংসা কার না ভালো লাগে তাই আপনার প্রশংসা মাথা পেতে নিলুম । আপনার আন্তরিক মন্তব্যটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
৪২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮
পথহারা মানব বলেছেন: মনে হচ্ছিল মায়ের কোলে শুয়ে এক সুন্দর গল্প শুনছি!!!!!!
অনেক সুন্দর রুপকথা!!!! বেশ মজা পেলুম
পরবর্তী গল্পের অপেক্ষায় রইলাম.....
আপু কানেমুখে একটা কথা বলি...ইয়ে মানে, এক দেশের এক রাজা ছিল তার একটি অনিন্দসুন্দরী রাজকণ্যা ছিল, এই টাইপের কোন গল্প নাই
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০১
জুন বলেছেন: আমার অনুবাদকৃত উপকথা পড়ে মায়ের কোলে শুয়ে গল্প শোনার কথা মনে হলো এরপর আমার আর কিছু বলার নেই পথহারা । অনেক অনেকদিন পর পর এসে দারুন এক মন্তব্যে দীর্ঘ অনুপস্থিতিকে ভুলিয়ে দেন
হ্যা আপনার চাহিদামত গল্প তো এখন সিএনএন আর ফক্স টিভি খুললেই দেখতে পাবেন । একদেশে এক ট্রাম্প ছিল আর তার এক সুন্দরী মেয়ে ছিল । নাম তার ইভা .....
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: মজা পেলুম।
মাইনুদ্দিন মাইনুল ভাইয়ের ছোট্ট পরী দুটোর জন্য শুভ কামনা।