নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এর মধ্যেই কুষ্টিয়ার মেহেরপুরের আম্রকাননে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়ে গিয়েছিল।স্বাধীনতা সংগ্রামের শুরুতেই বাংলাদেশের অবিসম্বাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার হয়ে পাকিস্তানের জেলখানায় অন্তরীন। ফলে জনাব তাজউদ্দীন আহমেদ বাংলাদেশের তৎকালীন অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন । হঠাৎ একদিন শুনলাম জনাব তাজউদ্দিন আহমেদ চাকুলিয়া আসছেন।
আমাদের পাস আউটের সময় হয়ে এসেছিল। তার পুর্বেই একদিন অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক হেলিকপ্টারে করে আমাদের মাঝে অবতরণ করলেন। আমরা সবাই সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে তাকে সালাম জানিয়েছিলাম। উনি ছোট একটা মঞ্চে দাঁড়িয়ে আমাদের উদ্দ্যেশ্যে সংক্ষিপ্ত একটা বক্তৃতা দিয়েছিলেন। তাঁর সেই অনুপ্রেরণাদায়ক ছোট্ট বক্তৃতা আমাদেরকে সেদিন এমনভাবে উজ্জিবীত করেছিল, মনে হয়েছিল যে আমরা সত্যি পারবো হানাদার মুক্ত করে দেশকে স্বাধীন করতে। তাছাড়াও মনে হয়েছিল আমাদের সত্যিকারের নেতৃত্ব দেয়ার মত কেউ কেউ আছেন।মনে আছে ওনার উপলক্ষে আমাদেরকে সেদিন উন্নত খাবার পরিবেশন করেছিল।
পরদিন আমাদের সবাইকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে প্রত্যেকের হাতে হাত খরচ বাবদ খুব সম্ভবতঃ একশ পঁচিশ ভারতীয় রুপি দেয়া হয়েছিল।এ ঘটনা আমাদের সুকঠিন সেই জীবনযাত্রায় এক আনন্দের জোয়ার বয়ে নিয়ে এসেছিল। সেই টাকা দিয়ে আমরা যখন প্রয়োজনীয় টুকটাক জিনিস কিনেছিলাম সেই আনন্দ উচ্ছাস আজ হয়তো লক্ষ টাকায়ও মিলবে কি না সন্দেহ।
আমাদের ট্রেনিং তখন প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে পৌছেছে। সন্ধ্যার দিকে তাবুতে বসে সবাই মিলে সামনের দিনগুলো নিয়ে আলাপ আলোচনা করছি। আমাদের তাবু থেকে কিছুটা দুরে ভারতীয় এক কর্নেল থাকতেন। হঠাৎ এক প্রশিক্ষক আমাদের তাবুর সামনে এসে আমার নাম ধরে হিন্দীতে জানালেন যে কর্নেল সাহেব আমাকে ডেকে পাঠিয়েছেন।এ কথা শুনে সবাই কেমন আড়ষ্ট হয়ে উঠলো। অবশ্য সকলেই বিশেষ করে বন্ধু বাকী আমাকে আশ্বস্ত করলো ‘যাও কোন অসুবিধা হবে না’ এই বলে।
আস্তে আস্তে আমি কর্নেলের তাবুর দিকে এগিয়ে গেলাম। গিয়ে দেখি একটি ইজি চেয়ারে সাদা হাফ প্যান্ট আর সাদা টিশার্ট পড়ে কর্নেল সাহেব বসে আছেন।আমি যথারীতি সোজা হয়ে তার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। তিনি চোস্ত ইংরাজীতে আমার নাম জিজ্ঞেস করলো, তারপর আমার বাবার নাম।তার হাতে ছিল একটি চিরকুট। উনি তার সাথে আমার পরিচয় মিলিয়ে দেখলেন। অজানা ভয়ে আমারতো অন্তরাত্মা শুকিয়ে গিয়েছিল,না জানি কি অপরাধ আমার।
তারপর মুখ তুলে ইংরাজীতে আরো কি একটা প্রশ্ন করেছিল। যেহেতু তখন ইংরাজীতে আমি তত দক্ষ ছিলামনা তাই বুঝতে না পেরে আমতা আমতা করছিলাম।তখন হঠাৎ করে উনি খাস বাংলায় আমাকে জিজ্ঞেস করলেন ‘তোমার গ্রামের বাড়ী কই?’
আমি বললাম “বিক্রমপুর”। কর্নেল সাহেব নড়ে চড়ে বসলেন, তারপর জানতে চাইলেন আমার গ্রামের নাম, বাবা কি করেন ইত্যাদি ইত্যাদি। পরে জেনেছিলাম ওনার দেশও বিক্রমপুর। কর্নেলের নামটা কি ছিল আজ আর মনে নেই।
প্রায় দশ পনের মিনিট আলাপের পর মনে হলো হয়তো আর ভয়ের কিছু নেই। তারপর উনি আসল কথাটি জানালেন। মাথার উপর যেন আকাশ ভেঙ্গে পরলো।যখন হাতের কাগজটি দেখিয়ে বললেন, ‘ উপরের নির্দেশ তোমাকে যত দ্রুত সম্ভব কলকাতার সিএনসি হেড কোয়ার্টারে ফেরত পাঠাতে বলা হয়েছে’। সেই কাগজে কোন কারন দর্শাণও হয়নি।তখন ভদ্রলোক আমারর সম্পুর্ন ঘটনা জানতে চাইলেন।কি ভাবে আমি ভারত এসেছি এবং কোথায় রিক্রুট হয়েছি, সেখানে কিছু ঘটেছিল কি না ইত্যাদি?
আমিও অভয় পেয়ে কোন কিছু গোপন না করে তাকে সব কিছু খুলে বললাম।সব শুনে উনি মন্তব্য করলেন ‘খুব সম্ভবত তোমার রাজনৈতিক দর্শনই এর মূল কারণ। তুমি এক কাজ করো, সেটা হচ্ছে আগামী দু এক দিনের মধ্যেই তো তোমাদের পাস আউট হয়ে যাবে এবং কলকাতায় রিপোর্ট করতে হবে।তোমাকে এখন আর আমি ফেরত পাঠাচ্ছি না, বলবো তথ্য পরে পেয়েছি। কিন্ত পরে তোমার নিজেই নিজেকে বাঁচাতে হবে’।
ওনার সহৃদয় আশ্বাসে দম চেপে রাখা নিঃশ্বাস টুকু ফেলার সুযোগ পেলাম আমি। এদিকে সবাই তাবুতে উদগ্রীব হয়ে বসেছিল ঘটনা জানার জন্য।কি ব্যাপার কেন একাকী তোমাকে ডেকে নিল তাবুতে? সবাইকে খুলে বলি নি শুধু বন্ধু বাকীকে বিস্তারিত জানিয়েছিলাম। বাকী পরামর্শ দিল এই ব্যাপারে কারো সাথে কোন কথা না বলতে।আমিও চুপ করে রইলাম।
পরদিন সন্ধ্যায় পাস আউট হলো এবং আমাদের কলকাতায় নিয়ে আসা হলো।ভাগ্য ভালো যে আসতে আসতে রাত হয়ে যাওয়ায় কলকাতা থেকে বেশ দুরে কল্যানপুর বলে এক জায়গায় একটি স্কুলে রাত্রি যাপন করতে হলো।সকালে বাকী বল্লো ‘তুমি এখানে অপেক্ষা করো, আমি ঘুরে খবর নিয়ে এসে তারপর যা হয় একটা ব্যবস্থা করবো’।
বাকী কলকাতা গিয়ে হেড কোয়ার্টারে রিপোর্ট করলো। ওখান থেকেই তারা আমরা যারা ঢাকা আসবো সেই বন্দোবস্ত করে দিল আর বাকি যারা ছিল তাদের কলকাতার লাগোয়া সেক্টরে অন্তর্ভুক্ত করা হলো। আমাদের সকলকে আগরতলা রওনা হবার জন্য বলা হলো এবং সেক্টর ২ এর মেলাঘর ক্যম্পে রিপোর্ট করার জন্য আদেশ দেয়া হলো।
আমরা সেই নির্দেশ অনুযায়ী প্রায় সবাই হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠলাম।আমার ব্যাপারটা নিয়ে আর কোন কথা হলোনা। বাকী অবশ্য এ ব্যাপারে অনেক সাহায্য করেছিল।
কলকাতা থেকে আগরতলা যে এত দূর পথ আমার ধারণার বাইরে ছিল।দুই দিন দুই রাত্রি চলার পর এক জায়গায় ট্রেন পালটিয়ে আরো একদিন এক রাত চলার পর আগরতলা থেকে ৬০/৭০ কিমি দূরে আমাদের নামানো হলো।সারা রাস্তায় খাবার জুটেছিল আম আর মুড়ি।
স্টেশনে নেমে এবার উঠলাম এক খোলা ট্রাকে। পাহাড়ী সেই ভয়ংকর রাস্তার কথা মনে হলে আজও গা শিউড়ে উঠে। কখনো মেঘের ভেতর দিয়ে চলতে গিয়ে ভিজে উঠেছি আবার সমতলে নেমে আসায় ভেজা কাপড় গায়েই শুকিয়েছি। এভাবে সারারাত সেই চড়াই উৎরাই পেরিয়ে সকাল নয়টার দিকে আগরতলা পৌছালাম।
ক্ষুধা আর পিপাসায় কাতর আমরা অনেক খুজে খুজে অবশেষে ছোট এক হোটেলের সন্ধান পেলাম।মনে আছে পরোটা আর খাসীর মাংসের অর্ডার দেয়া হয়েছিল।সকলেই প্রায় গোগ্রাসে খেতে শুরু করলাম। অর্ধেক খাবার পর কে যেন জিজ্ঞেস করলো কিসের মাংস? বেয়ারা জানালো এটা জলখাসী অর্থাৎ কচ্ছপের মাংস। অনেকে না খেয়েই উঠে পরলো। কিন্ত আমি বাকী আর কয়েকজন পুরো খাবার শেষ করেই উঠলাম।
খাবার পর আমরা সবাই এসে মেলাঘরে রিপোর্ট করেছিলাম।বাংলাদেশী ক্যাপ্টেন হায়দার তখন সেক্টর দুই এর সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন তবে মূল দায়িত্বে ছিলেন তখনকার মেজর খালেদ মোশাররফ।
সেখানে আমাদের তিনদিনের মত থাকতে হয়েছিল। তাবুতে থাকতাম।সকালে একটা পুরি আর এক মগ চা ছিল নাস্তা। দুপুরে ভাত- ডাল কখনো বা সব্জী, রাতে ভাতের সাথে ডালের মত করে রান্না করা হল্যান্ড থেকে আগত টিনিজাত শুটকি।সেই শুটকি ডালের না ছিল কোন গন্ধ, না কোন স্বাদ শুধু গিলে গিলে পেট ভরাতাম।
এসব নিয়ে তখন অবশ্য ভাবার আমাদের সময়ও ছিল না।কল্পনায় শুধু ভাসতো কবে দেখবো আমার দেশকে স্বাধীন। কবে আমার দুখিনী মা শৃংখলমুক্ত হবে।
যাই হোক এবার আমাদের সকলকে কয়েকটি দলে ভাগ করা হলো এবং প্রত্যেক দলে একজনকে নেতৃত্ব দেয়া হলো।আমাদের দলের নেতৃত্ব দেয়া হলো অসীম সাহসী বাকীকে। আর বাকীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তার সেকেন্ড ইন কমান্ড নিযুক্ত করার।আমাদের গ্রুপে প্রায় উনিশ জন ভারত থেকে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত মুক্তি যোদ্ধা ছিল।
আমাদেরকে বলা হয়েছিল স্থানীয়ভাবে আরো ছেলেদের রিক্রুট করার জন্য। আমাদের ইউনিটের জন্য অস্ত্র এবং গোলা বারুদ বরাদ্দ দেয়া হলো।আমরা পেয়েছিলাম তিনটি এল এম জি। সাতটা এস এল আর, সাতটা থ্রি নট থ্রি,প্রায় পনেরোটার মত সাব মেশিনগান এবং বেশ কিছু হ্যান্ড গ্রেনেড, এন্টি পার্সোনেল মাইন, ট্যাংক মাইন, বিস্ফোরক, গোলা বারুদসহ আরো অনেক কিছু যা কি না ঐ সমস্ত অস্ত্র শস্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় ছিল।
আমাদের কে এবার মেলাঘর থেকে নিমতলী ক্যাম্পে রিপোর্ট করার জন্য বলা হলো।যা কি না বর্ডারের নিকটবর্তী একটি ক্যাম্প। এখানকার প্রধান ছিলেন ক্যপ্টেন আইনউদ্দিন।সেখানে এক রাত কাটিয়ে আমরা পরদিন রাতে সেখানে অবস্থানরত কিছু বাঙ্গালী এবং ভারতীয় নন কমিশন অফিসারের নেতৃত্বে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করি।রাত দুটো পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্তের ৫ কিমি ভেতরে অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন সেই পোষ্টে আমরা অবস্থান নেই।
আমরা যেখানে অবস্থান নেই তার তিনটি দিক ঘিরে পাক-বাহীনি অবস্থান নিয়েছিল। যদিও তারা কিছুটা দুরেই ছিল তারপরো আমরা তাদের ৫ইঞ্চি মর্টার শেলের রেঞ্জের মধ্যেই ছিলাম। কিন্ত সেটা টের পেয়েছিলাম কিছুক্ষন পর। ওদেরকে উত্যক্ত করার জন্য আমাদের এক নন কমিশনড অফিসার উদ্দেশ্যহীন ভাবেই এল এম জি চার্জ করলো তারপর দুই তিন মিনিট বিরতির পর ৩ইঞ্চি মর্টার শেল ছুড়ে মারলো।আমাদেরকে বললো ট্রেঞ্চের মধ্যে বসে পরার জন্য ।
ট্রেঞ্চে ঢুকতে না ঢুকতেই আধা কিঃমিঃ দুরত্বে পাক বাহিনীর মর্টার শেল এসে পরতে লাগলো।চুপচাপ বসে আছি, মিনিট দশেক পরে যখন উঠতে যাবো তখন ভারতীয় প্রশিক্ষক ইশারায় নিষেধ করলেন ট্রেঞ্চ থেকে উঠতে এবং আবারো শেলিং হবে বলে জানালো। তার কথাই সত্যি হলো ঠিক আধা ঘন্টা পরে আবারো পাক বাহিনীর ছুড়ে দেয়া শেল আমাদের সামনে এসে পরতে লাগলো অবিরত ।
এদিকে ট্রেঞ্চের মাঝে থাকাটা যে কি কষ্টকর ছিল।আমরা সবাই খালি পায়ে ছিলাম ফলে মশা আর কীট পতঙ্গের আক্রমনে অতিষ্ট হয়ে উঠি।ট্রেনিং এর সময় আমাদের বলে দেয়া হয়েছিল এই আক্রমন ঠেকাতে আমরা যেন শরীরে কেরোসিন তেল মেখে নেই । তখন কোথায় কেরোসিন ? কোথায় কি? আমাদের মনে তখন বর্ডার অতিক্রমের চিন্তা।
কখন বাংলাদেশে প্রবেশ করে শত্রু নিধনে আমরা মুক্তি পাগল তরুন যুবকরা গেরিলা কার্যক্রম শুরু করবো সেই ভাবনায় মন আচ্ছন্ন। যাই হোক সেই দিন রাত সোয়া তিনটায় আমরা সবাই নিমতলী ক্যম্পে ফিরে এসেছিলাম। আমাদের বলা হলো কাল অন্য একটি জায়গা দিয়ে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করা হবে এবং সেখানে আক্রমন হবে অন্যরকম যা আগামীকাল বুঝিয়ে দেয়া হবে।
তখন বর্ষাকাল আর এমনিতেও ঐদিকে তুলনামুলকভাবে বৃষ্টিপাত বেশিই হয়। তাবুর ভেতরেও কাপড় চোপড় বিছানাপত্র সবই কেমন স্যতস্যতে হয়ে আছে।ক্লান্ত শরীর সেদিকে নজর দেয়ার অবকাশ দেয়নি । কোনরকমে বিছানায় শরীরটা লুটিয়ে দেয়ার সাথে সাথেই গভীর ঘুম । আগামীকাল কি ঘটবে তা ভাবারও কারো অবকাশ নেই।
চলবে...
ছবিঃ নেট
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সেক্টর ২ রনাঙ্গনে সক্রিয় অংশগ্রহনকারী এক বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বহস্তে লেখা দিনলিপি। (চতুর্থ পর্ব)
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৪৭
জুন বলেছেন: সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ঢাকাবাসী ভাই । জী সরল ভাষাতেই লিখেছেন উনি, যা পাঠকদের মনকে সত্যিকার ভাবে ছুয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস ।
২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: +++
ছবিটা অনেক সুন্দর।
সিরিজটা আমাদের জন্য নতুন প্রজন্মের জন্যে অনেক গুরুত্ববহন করবে।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৫১
জুন বলেছেন: আমিও তো তেমনটি ভাবি । ওনার সহজ সরল লেখায় ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছে সেদিনের চিত্র যাতে আমাদের এই প্রজন্ম জানতে পারবে সে সব ইতিহাস ।
অসংখ্য ধন্যবাদ দিশেহারা সেই বীর মুক্তিযোদ্ধার পক্ষ থেকে সাথে থাকার জন্য । আগামীতেও থাকবেন সেই আশায় রইলাম।
৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক শ্রদ্ধার্ঘ্য গুরুত্বপূর্ণ লেখাটিতে।
লেখায় ব্যবহৃত ছবির কম্পোজিশনের ভিন্নতায় ভালো লাগা অনেক।
শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।
অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৫৯
জুন বলেছেন: এমন একটি মন্তব্য করেছেন দীপংকর চন্দ সত্যি আমি অভিভুত । আপনার প্রতিও রইলো শুভকামনা । সাথে থাকবেন আগামীতে অন্তত এই সিরিজটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেই কামনাই করি ।
৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০২
মুরশীদ বলেছেন: খুবই ভালো একটা পোস্ট। অনেক কষ্ট আর শ্রম দিয়ে লেখা। তারচেয়ে বড় কথা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি তার কমিটমেন্ট। মূল লেখক মুক্তিযোদ্ধার প্রতি রইল অনেক অনেক অভিনন্দন এবং কৃতজ্ঞতা। আশা করি পোস্ট টি নবীনদের অনেক তথ্য দেবে যা তাদের দেশের ইতিহাস জানতে সহায়ক হবে। ৩য় পর্বে (লেখাটির) সাধিনতার প্রায় দ্বারপ্রান্তে, মুক্তিযোদ্ধারা প্রায় সবাই দেশের ভেতরে এবং, ক্রমাগত পাক বাহিনির উপর একের পর এক গেরিলা হামলা চালিয়ে তাদের মাথা খারাপ করে দিয়েছিলো। প্রশিক্ষণ খুবই সামান্য কিন্তু সংকল্প ছিল অনেক বড়। এই পটভুমির চিত্রটা মনেহয় পোষ্টে ফুটে উঠেছে। পোষ্টের জন্য অভিনন্দন।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২৬
জুন বলেছেন: অসাধারণ মন্তব্যটি যথাযথ ব্যাক্তির দৃষ্টিগোচর হোক সেই কামনা করি ।
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে পড়া ও লেখার ব্যাপারে সহায়তা করার জন্য
৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:১২
কলমের কালি শেষ বলেছেন: মুক্তিবাহিনীদের কষ্টের প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠেছে । যুদ্ধ এগিয়ে চলুক ...
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩০
জুন বলেছেন: যুদ্ধ জয়ী হয়ে ফিরে আসুক আমাদের বীর সন্তানেরা ককাশে আগামী পর্বে সেই কামনাই করি । অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য আর সাথে থেকে উৎসাহ যুগিয়ে যাবার জন্য ।
৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:১০
তুষার কাব্য বলেছেন: এক টানে পড়ে ফেললাম ।মহান মুক্তিযুদ্ধের এমন হাজারও গর্বের ইতিহাস আমরা জানিনা ।মুক্তিযোদ্ধাদের তখন এমন কঠিন গেরিলা ট্রেইনিং এর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছিল ওপার বাংলার বেশ কিছু প্রশিক্ষণ শিবিরে ।
জাতির শ্রেষ্ট সন্তানদের বিজয়গাথা শোনার অপেক্ষায় থাকলাম ।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩৪
জুন বলেছেন: মহান মুক্তিযুদ্ধের এমন হাজারও গর্বের ইতিহাস আমরা জানিনা ।
এটাই বাস্তব তুষার । এখন থেকে আমাদের জানা দরকার সত্যিকারের ইতিহাস এসব টুকরো টুকরো লেখনী থেকে ।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:১৬
ব্লগার আয়নাল ভাই ইতি বলেছেন: User Entered তোমি আমার
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:২০
জুন বলেছেন:
৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: এই সিরিজ পোস্টটা ভাল্লাগতেছে।
কিন্তু সময়ের ব্যাপারে সেইভাবে স্পস্ট করে কিছু বলা নাই। কোন মাস অথবা তারিখ টাইপের যদি কিছু মনে থাকতো তবে আরো ভালো হইতো।
কিছু ব্যাপার নতুন শুনলাম, যেমন ১২৫ টাকা দেবার ব্যাপারটা। এটা কিন্তু ওই সময়ের জন্য অনেক টাকা। অথবা অতিরিক্ত অস্ত্র দেবার ব্যাপারটা। ঠিক এক প্লাটুন হিসেব করে অস্ত্র দেয়া হয়েছিলো। ৩৩ জনে এক প্লাটুন, ১১ জনে সেকশন। ৩ সেকশনের জন্য তিনটি এলএমজি, আর বাকী অস্ত্রের হিসেবও খাপে খাপ মিলে যায়।
আবার বামপন্থী হবার কারনে ঝামেলার স্বীকার হওয়ার ব্যাপারটা। এগুলা আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসে একটু কলংকই লেপে দেয়। যুদ্ধটা তো কোন দলের একার ছিলনা, দেশের সবাই মিলেই ছিলো। প্রতিটা দলই দেশের ভালোর জন্যই গঠিত হয়, কিন্তু আদর্শ যখন দেশ আর মানুষের বিপক্ষে যায়, তখনই সমস্যা। নাহলে আওয়ামী, ন্যাপ আর জামাত সবই একই কথা।
আমার বাবাও ন্যাপ মোজাফফর করতেন, বামপন্থী। কিন্তু উনি এমন কিছু ফেস করছিলেন নাকি জানা নাই। আমি অনেক ছোট থাকতেই মারা যান। নাহলে এখন শুনতে পারতাম।
তাজউদ্দীন আহমেদকে আমার ব্যক্তিগতভাবে অনেক পছন্দ। স্বাধীনতার যুদ্ধে উনার অবদান অন্য উচ্চতার।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইলো।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:২৭
জুন বলেছেন: শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: এই সিরিজ পোস্টটা ভাল্লাগতেছে। কি বলেন ভাই ! আমিতো ভাবছি এটা লেখা শুরু করে আমি সবার বিরক্তি উৎপাদন করে চলেছি ।
অনেক দিন আগের কথা, দিন তারিখ হয়তো তার মনেও নেই । উনি এসব লিখেও রাখেন নি । আমাদের বিশেষ করে তার স্ত্রীর পিড়াপিড়ীতে এটুকু লিখেছেন । তার একটাই কথা 'আমি কোন ফায়দা নেয়ার জন্য যুদ্ধে যাই নি , গিয়েছি আমার দেশ মা কে মুক্ত করতে পাক হানাদারদের হাত থেকে'।
এরপর আর কথা চলে না ।
আপনার জন্যও রইলো শুভকামনা । আগামী কয়টি পর্বে সাথে থাকবেন এই আশায় থাকলুম।
এখানে উল্লেখ্য যে আমরা ব্লগাররা যে আস্তিক নাস্তিক হাল্কা রম্য রাজনীতি ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে লিখে থাকি এটাও যারা ব্লগার নয় তারা জানতে পারবে। কারন তার পরিবার পরিজন ও বন্ধুরা এই লেখাটি পড়ছে শতদ্রু নদী। তারা এর আগে কখনো ব্লগে ঢুকে নি ।
৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
পোষ্টের শেষ লাইনটি এই - আগামীকাল কি ঘটবে তা ভাবারও কারো অবকাশ নেই।
স্বাধীনতা যুদ্ধের এ এক ঐতিহাসিক সত্য । বর্তমান প্রজন্ম, লোকচক্ষুর আড়ালে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের এই সব টুকরো টুকরো সত্যের যতো কাছাকাছি আসবে, একটি জাতির জন্ম যন্ত্রনার ইতিহাস, ততই তাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে উঠবে । যে কালি দিয়ে এইসব ইতিহাস মুছে দেবার অনর্থক চেষ্টা করা হয়েছে , সে কালিও ধুঁয়ে যাবে একদিন ।
তবে অবাক লাগলো লেখাটি "নির্বাচিত" পাতায় না দেখে ।
তবুও সাথেই আছি ........
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৩২
জুন বলেছেন: আহমেদ জি এস নির্বাচিত পাতায় আসার মত এটা কোন লেখা নয় । তারপরো যেদিন সকালে পোষ্ট দিয়েছিলাম তার পরদিন মনে হয় বিকেল কি সন্ধ্যায় যে নির্বাচিততে দিয়েছিল এটাই তো সেই মুক্তিযোদ্ধার অসীম ভাগ্য ।
দোয়া করবেন তাড়াতাড়ি যেন লেখাটা শেষ করতে পারি । মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । শুভেচ্ছান্তে ।
১০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২৪
গোল্ডেন গ্লাইডার বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের সতিকার ইতিহাস পড়লাম আপু
ভাল লাগা অনেক +++++
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৩৪
জুন বলেছেন: হায় হায় গোল্ডেন গ্লাইডার মুক্তিযুদ্ধের সতিকার ইতিহাস আজ কে জানতে চায় বলুন ? তারপর ও আপনারা এসেছেন পড়েছেন তার জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।
শুভকামনা ।
১১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার শেয়ার ।+
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৩৪
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার
১২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:১৩
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ব্লগের পোস্টের ৫০ ভাগই তো কবিতা, এরপর কিছু গল্প, রাজনৈতিক ক্যাচাল, আর আস্তিক নাস্তিক পোস্ট কিন্তু অল্পই।
কিন্তু ব্লগে পড়তে মজা ওই আস্তিক নাস্তিক আর রাজনীতি নিয়া পোস্টগুলাই। কারন আমাদের স্বভাবই হয়ে গেছে ক্যাচালে মজা খোজায়। আমিও ঠিক তাই, অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করি একটা ক্যাচাল হোক, একটু বিনোদন পাই।
যাইহোক, পরের পর্বগুলোর অপেক্ষায় থাকলাম। ইতিহাসের যেকোন ব্যাপারে আমার অকারন আগ্রহ কাজ করে।
শুভকামনা আপা।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:০৪
জুন বলেছেন: আমিও একটু আধটু ক্যচাল ভালোবাসি শতদ্রু নাহলে ব্লগটা কেমন যানি পানসে লাগে
পরের পর্বগুলো শীঘ্রই দেয়ার ইচ্ছে রাখি ।
আরেকবার এসে মন্তব্য দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
শুভকামনা আপনার জন্যও
১৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:১৬
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: আরে ৩ টি পর্ব হয়ে গেছে, কমেন্টের পরিমাণ ও খারাপ নয়, তারপরও কিভাবে আমার চোখ এড়িয়ে গেল এই পোস্ট ! ! !
খুব চমৎকার এগোচ্ছে জুনাপু। যদিও অনেকে হয়ত বলবেন ছোট ছোট কলেবরে দিতে, তবে ৩ পর্ব এক নিশ্বাসে শেষ করার পর আমার মনে হচ্ছে পোস্টের দৈর্ঘ্য আর একটু বাড়ালে হয়ত আমার মত পাঠকদের জন্য ভাল হত।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:১৩
জুন বলেছেন: দুঃখ করবেন না মুদ্রা, এখনতো চোখে পড়লো্এরপর থেকে নিয়মিত সাথে পাবো আশা রাখি । সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য আমার পোষ্টের নায়কের পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
জী এর পরের পর্বগুলোর দৈর্ঘ্য একটু বাড়িয়ে দেবো বলে আমিও ভাবছি । আপনাদের ধৈর্য্যের উপর নিপীড়ন করতে চাই না ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫
আরজু পনি বলেছেন:
প্রথম পর্ব থেকেই দেখছিলাম কিন্তু সবটুকু পড়া শেষ করতে পাচ্ছিনা বলে মন্তব্য করা হয়ে উঠছিল না।
আশা করি একটু সময় নিয়ে সবগুলো পোস্টই যাব।
হাতে লেখা মানে কাগজে কলমে লেখা কিছু ইমেজ হিসেবে দিলে তা ব্লগপোস্ট হিসেবে আরো আকর্ষনীয় হয়ে উঠতো।
এমন পোস্ট নতুনদের জানার দুোর খুলে দিবে ।
অনেক শ্রদ্ধা রইল।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:০২
জুন বলেছেন: আমিও আশা করছি পনি আপনি সবগুলো পর্ব পড়ে একটি সুচিন্তিত মন্তব্য করবেন। এরাতো আমাদের সুর্য্য সন্তান আমাদের দেশের গর্ব। আমরা যদি তাদের অবদান তুলে না ধরি তবে হয়তো প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা একদিন আমাদের চোখের সামনে থেকে হারিয়েই যাবে।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
১৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখা খুবই প্রানবন্ত সহজ...
বার বার মনে হয়, লেখার সময় দুই লাইনে উনি বিবরন দিলেন আগরতলা থেকে কলকাতার পথ এর ট্রাক এ পথ পারি দেয়ার। কিন্তু ব্যাপার টা কি অততাই সহজ ছিল।
সূর্য সন্তানদের স্যালুট।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:২৪
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মনিরা সুলতানা সাথে থাকার জন্য আর মনযোগী পাঠের জন্যতো বটেই ।
সালাম পৌছে দিলাম ।
১৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:২৭
সুমন কর বলেছেন: পড়তে চমৎকার লাগছে। বাকিগুলো পরে পড়বো।
ভালো থাকুন।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩
জুন বলেছেন: আপনিও অনেক ভালো থাকুন সুমন কর । পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:২১
ঢাকাবাসী বলেছেন: সহজ প্রান্জল ভাষায় লেখাটিতে আন্তরিকতা আছে, ভাল লাগছে।