নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The best and most beautiful things in the world cannot be seen or even touched - they must be felt with the heart---Helen Keller

জুন

ইবনে বতুতার ব্লগ

জুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

লেক ইনলে (ছবি আর কথকতা ) বার্মা নিয়ে শেষ পর্ব

১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭


লেক ইনলেতে জেলেদের বিখ্যাত মাছ ধরা স্টাইল

মায়ানমারের প্রাক্তন রাজধানী রেঙ্গুন থেকে সড়ক পথে ৬৬৬ কিঃমিঃ দূরে সমুদ্রের বুক থেকে ২৯০০ ফিট উপরে পাহাড়ের মাঝখানে রয়েছে মিঠা পানির এক বিশাল জলাশয়, নাম তার ইনলে । ঋতুভেদে ৫ থেকে ১৩ ফিট পানির গভীরতা নিয়ে বার্মার ২য় বৃহত্তম এই লেক তাদের সবচেয়ে বড় যে প্রদেশ শান, সে শানের নোয়াংশু নামের শহরের এক পাশ ঘেষে ১১৬ কিঃমিঃ জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে।


পাহাড়ের পাশে লেক ইনলে

এর আগে আমি আমাদের দেশের বিখ্যাত টাংঙ্গুয়ার হাওড়ে ঘুরে এসেছিলাম । সেই নীরব নিঃস্তব্দ সুবিশাল টাঙ্গুয়ার হাওড় তার রূপে আমাদের মন জয় করে নিয়েছিল । তবে ইনলে লেকের সাথে টাঙ্গুয়ার যেন আকাশ পাতাল পার্থক্য। সাংঘাতিক রকম কর্মচঞ্চল এক জলাশয় এই ইনলে।


পাহাড়ী পথে ইনলের দিকে এগিয়ে চলা

সকাল নটায় বাগান শহর থেকে রওনা দিয়ে কিছুটা সমতল ভুমি পেরিয়ে প্রায় বিকেলে চলে আসলাম পাহাড়ের রাজ্যে। একের পর এক পাহাড় তারপরই দেখা মিলছে উপত্যকার যেখানে রয়েছে কোন এক নিরিবিলি সুনসান জনপদ। চালকের কাছে জানতে চাচ্ছি এটাই কি ইনলে? প্রশ্ন শুনে চালক কোন মন্তব্য না করে হেসে ফেলে। পরে শুনেছি বার্মায় এক অদ্ভুত ট্যাবু আছে, তা হলো কাউকে গন্তব্যের কথা জিজ্ঞেস না করা । প্রায় আট ঘন্টা চলার পর অবসান হলো আমার কৌতুহলের। যখন আমরা নোয়াংশু নগরীর বাস স্ট্যন্ডে এসে নামলাম।

নোয়াংশু শহরে প্রবেশের তোরণ, বার্মিজ ভাষায় হয়তো লেখা আছে স্বাগতম

বাগানের মতই নোয়াংশু নগরীতে প্রবেশ ফি মাথা পিছু ২০ ডলার । গেটের পাশেই সেদেশীয় ঐতিহ্যগত এক নান্দনিক নকশার সাইনবোর্ড আমন্ত্রন জানাচ্ছে আমাদের ।


ঐতিহ্যবাহী নকশায় করা স্বাগতম বানী

গাইড মিঃ বো বো তার নিজস্ব গাড়ীতে করে আমাদের বাস স্ট্যান্ড থেকে নিয়ে গেল নির্ধারিত হোটেল ইনলে লোটাসে।
শহরের কোলাহলের বাইরে হোটেলটির সামনে সার দেয়া সবুজ পাহাড় যেন আকাশের গায়ে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে।


হোটেল ইনলে লোটাস

সেই মনোরম পরিবেশে সাজানো বাহারী বাগানের মাঝে ইট, কাঠ আর বেতের ছোট ছোট আর জোড়া জোড়া কুটিরের আদলে তৈরী ইনলে লোটাসে রয়েছে সব রকম আধুনিক সুযোগ সুবিধা । বো বো বলে গেছে রাত আটটায় ডিনারের জন্য তৈরী থাকতে । নিয়ে যাবে ১ কিঃমিঃ দূরে শহরতলীর এক রেস্তোরায় যা আগেই সে ঠিক করে রেখেছিল।


সকালে নাস্তার সাথে থাকতো কয়েক টুকরো ফল

হোটেলে কমপ্লিমেন্টারি নাস্তার ব্যবস্থা থাকলেও অফ সিজন থাকায় লাঞ্চ বা ডিনার এর বন্দোবস্ত ছিল না। খেলাম স্থানীয় খাবার অর্থাৎ মাছ, মাংস ছাড়াও বিভিন্ন সবজী আর ভাত । হোটেলে ফিরিয়ে এনে বো বো বলে গেল কাল ঠিক নয়টায় সে আসবে আর আমাদের নিয়ে যাবে সারাদিনের জন্য ইনলে লেক ভ্রমনে।


গাইড বো বো আর তার গাড়ী যা ছিল আমাদের সর্বক্ষনের সঙ্গী

তখন সকাল আটটা , নাস্তা খেয়ে এসে আমি বিছানায় বসে বই পড়ছি আর আমার সহ পর্যটক বারান্দায় বসে একটি সিগারেট ধরিয়েছে। আমরা বো বো র অপেক্ষায় । হঠাৎ হুড়মুড় করে যেন পৃথিবী ভেঙ্গে পড়লো এমন আওয়াজ । মনে হলো কাঠের সেই কুটিরটি কে যেন দু হাতে ধরে শুন্যের উপর তুলে নিয়ে প্রচন্ড জোরে ঝাকিয়ে আবার জায়গা মত বসিয়ে দিল । আমি দৌড়ে বারান্দায় গেলাম।
হোটেলের বাচ্চা বাচ্চা ২/৩ জন কর্মচারীও বের হয়ে এসেছে । তাদের একজন ভীতসন্ত্রস্ত চেহারায় কোন রকমে ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংরেজীতে জানালো এমন প্রচন্ড ভুমিকম্প তাদের এই ক্ষুদ্র জীবনে কখনো দেখে নি।


কটেজের বারান্দা

তারপর দিনই নেপালে আঘাত হেনেছিল সেদেশের স্মরণাতীত কালের সবচেয়ে প্রলয়ংকরী ভুমিকম্প। কিন্ত স্থানীয় কোন প্রচার মাধ্যামে তার কোন খবরই জানতে পারি নি আমরা। যা আমরা পরদিন জেনেছি ফেসবুকে । এখানে উল্লেখ্য যে আমাদের ক্যামেরার তারিখটি এডজাষ্ট না করার দরুন ছবিতে দিনটি একদিন এগিয়ে রয়েছে ।


জেটিতে বাধা নৌকার সারি

যাই হোক বো বো আসলো আমরা রওনা দিলাম লেকের উদ্দেশ্যে । জেটিতে পৌছে আমাদের জন্য আগেই ঠিক করা ইঞ্জিন চালিত নৌকায় বসলাম। এখানকার নৌকাগুলো আকারে ভীষন লম্বা আর এমনই সরু যে সেখানে পাশা পাশি বসার কোন উপায় নেই । আমরা একজনের পিছে একজন এমন করে তিন জন তিনটি চেয়ারে বসলাম। সবার চেয়ারে একটি করে লাইফ জ্যাকেট। মনে হচ্ছিল একটু কাত হলেই বুঝি উলটে পড়বো ।


আমাদের জন্য নির্ধারিত নৌকা

শুরু হলো আমাদের যাত্রা । এক বিদেশিনী একাই এক নৌকা করে আসছে লেকের দিক থেকে । নৌকার সাথে যুক্ত করা সিঙ্গেল সিলিন্ডারের সেই ডিজেল ইঞ্জিনের প্রচন্ড গতি থেকে পানি যেন আকাশ পর্যন্ত ছিটকে উঠছে সেই ছিটকে ওঠা পানি ভিজিয়ে দিয়ে গেল আমাদেরও। আস্তে আস্তে লেকের গভীরে এগিয়ে চলেছি ।


লেকের পাশের সাইনবোর্ডে স্বাগতম জানিয়েছে ইনলেবাসী।

লেকের এক পাশে বাশের জাফরী কাটা সুন্দর নকশা করা একটি ঘর। বো বো বল্লো মৌসুমের সময় রাতের বেলা এটা হয়ে ঊঠে আলো ঝলমলে এক রেস্তোরা।

মৌসুমী রেস্তোরা

এখানে রয়েছে বিভিন্ন বন্য প্রানীর অভয়ারন্য । তাদেরও একটা সাইনবোর্ড লাগানো আছে লেকের পাশে । তবে তেমন ভয়ংকর কোন প্রানী আছে বলে মনে হলো না । হয়তো সাপ টাপ , বন্য শুকর এসব হয়তো থাকতে পারে ।


বন্যপ্রানীর অভয়াশ্রম

আরেকটু এগুতেই চোখে পড়লো লম্বা লম্বা কাঠের খুটির উপর জলাশয় বাসীর কাঠ আর বাশের তৈরী সাদামাটা তবে অত্যন্ত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন বাড়ীঘর। স্বল্পভাষী বো বো জানালো এই লেকের চারিদিকে চারটি শহর ছাড়াও লেকের মাঝে প্রধানত চার পাঁচটি নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠীর বসবাস। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইনথা, সংখ্যায় এরা প্রায় সত্তর হাজার । এছাড়াও পাও, বামার, ডানু নামেও রয়েছে উপজাতি গোষ্ঠী।


জলাশয়বাসী ইনথাদের সাদামাটা বাসাবাড়ীর সারি

এখানে আরেকটি উল্লেখযোগ্য জাতি মৌসুমের সময় এসে থাকে তারা হলো লম্বা গলার কায়ান জনগোষ্ঠী। এরা ট্যুরিষ্ট মৌসুমের সময় তাদের আবাসভুমি থেকে এখানে আসে । বিভিন্ন স্যুভেনীরের দোকানের এক দিকে বসে তারা তাঁত বুনে থাকে। পাশাপাশি তাদের দেখিয়ে দোকানীরা পর্যটকদের কাছ থেকে যে আয় করে তা ভাগ করে নেয়।


এভাবে স্থানীয় দোকানীরা সাইনবোর্ড লাগিয়ে কায়ান নারীদের নিয়ে বানিজ্য করছে।

এদের সাথে দেখা করার ব্যাপারে আমি খুব উৎসুক ছিলাম। কায়ান মেয়েদের গলা লম্বা করার ব্যাপারে যে ইতিহাস পড়েছিলাম/ দেখেছিলাম অন্তর্জ্বালে/টিভিতে তা অত্যন্ত ভয়ংকর। এই ৫ কেজি ওজনের গলার হার যা টেবিলে সাজানো ছিল সেটা আমি দুহাতেও তুলতে পারিনি। কায়ান নারীরা নিজেদের আকর্ষনীয় করে তোলার জন্য এ গহনা পড়ে আছে গলায়, হাতে আর পায়ে। দোকানী জানালো সব মিলিয়ে এই অলংকারের ওজন ৮কেজি।


লম্বা গলার বিখ্যাত কায়ান নারী

এই হার গলা লম্বা না করে তাদের কাঁধের হাড়কে নীচু করে দেয় ধীরে ধীরে। যা তাদের অল্প বয়সে মৃত্যুর একটি কারন। জিজ্ঞেস করে জানলাম এটা তারা স্বইচ্ছায় পড়ে থাকে, কারো আদেশে নির্দেশে নয়। তবে শুনলাম বর্তমানে বিভিন্ন সংগঠন এদের এই নির্মম সাজসজ্জা বন্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। তার মধ্যে একটা হলো বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে তাদের প্রদর্শন করে টাকা রোজগার বন্ধ করা এবং ট্যুরিষ্টদের নিরুৎসাহিত করা।


নৌকা বানানো চলছে

এই জলাশয়বাসীর যাতায়তের প্রধান অবলম্বন হলো কাঠের নৌকা।দৈনন্দিন প্রতিটি কাজেই রয়েছে এর ব্যাবহার। সুতরাং নৌকা বানানো তাদের অন্যতম একটি প্রধান জীবিকা। এছাড়াও কাঠ খোদাই করে বানিয়ে চলেছে ঘর ঘেরস্থালীর জিনিস থেকে ঘর সাজানোর উপকরন। তামা, পিতল, লোহার জিনিসপত্র ছাড়াও তৈরী করে বিভিন্ন স্যুভেনীর ও গহনা ।


তামা, পিতল, রুপা , পুঁতি, পাথর আর কাঠের স্যুভেনীর সাজিয়ে রেখেছে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য

আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি মেয়েদের মত এখানকার মেয়েরাও দারুন পরিশ্রমী। ঘর সংসারের কাজ ছাড়াও প্রত্যেকেই কিছু না কিছু আয় রোজগারের কাজে ব্যাস্ত। তার মধ্যে প্রধান হলো হাতে চালানো তাঁতে কাপড় বোনা।, সবচেয়ে অবাক হোলাম একটি জিনিস দেখে তা হলো তারা পদ্ম ডাঁটা থেকে সুতো বের করে মাকুতে লাগিয়ে শাল স্কার্ফ বুনছে।


পদ্ম ডাঁটি থেকে সুতো বের করে মাকুতে পেঁচিয়ে নিচ্ছে মেয়েরা

ছোট একটা স্কার্ফ ধরে বিক্রেতাকন্যার কাছে জিজ্ঞেস করতেই শুনলাম অসম্ভব তার দাম, দেখতেও খুব একটা আকর্ষনীয় নয়। আঙ্গুর ফল টক প্রবাদটি মনে পড়লো । বৌদ্ধদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র পদ্ম আর তারই সুতো দিয়ে বুদ্ধের কাপড় প্রস্তত করা হয় বলে বো বো জানালো।
,
তাঁতে বোনা হচ্ছে পদ্ম ডাঁটি থেকে সুতো নিয়ে চাদর

কোন কোন বাসায় মেয়েরা হাতে চুরুট/সিগারেট বানাচ্ছে। স্বাদ পরীক্ষার জন্য তারা পর্যটকদের বিনে পয়সায় এই বিড়ি/চুরুট অফার করছে। তবে সেগুলো নাকি বাংলাদেশের সিগারেটের মত তেমন কড়া নয় বলে শুনলাম।


হাতে চুরুট/সিগারেট বানানো চলছে

এসব ছাড়াও এখানকার বাসিন্দাদের একটি প্রধান জীবিকা হলো কৃষিকাজ আর মাছ ধরা। এরা প্রত্যেকে অর্থনীতির দিক দিয়ে অত্যন্ত স্বাবলম্বী। আপনারা কি অবাক হচ্ছেন শুনে যে এই বিশাল জলাশয়ে কৃষি কি করে প্রধান জীবিকা হয় মানুষের ! আমিও অবাক হয়েছিলুম শুনে কিন্ত নিজের চোখে দেখে বিশ্বাস করতে বাধ্য হোলাম ।


ভাসমান সবজী আর ফলের বাগান

তা হলো ইনলে লেকের বিশাল এলাকা জুড়ে তৈরী ভাসমান সব্জী বাগান। সেখানকার কৃষকরা লেকের নীচ থেকে জলজ উদ্ভিদ সংগ্রহ করে থাকে। তারপর নৌকায় করে সেগুলো নিদৃষ্ট জায়গায় নিয়ে স্তরে স্তরে জমা করে। বাঁশের খুটি দিয়ে দিয়ে সেগুলোকে দিনের পর দিন আটকে রেখে ফসল উৎপাদনের উপযোগী জমি তৈরী হলে সেখানে চাষ করা হয় বিভিন্ন সব্জী এবং ফল।অসম্ভব কায়িক পরিশ্রমের ফলে তৈরী এসব ভাসমান জমিকে খন্ড খন্ড করে আবার বিক্রীও করে চাষীরা। বো বো জানালো পানির স্তর বাড়া কমার সাথে সাথে এই ভাসমান বাগানও ওঠানামা করে।


খন্ড খন্ড বাগান যা ভাসিয়ে নিয়ে যায় ক্রেতারা

আমরা দেখেছিলাম এই ভাসমান জমিতে ফলে আছে অজস্র টমেটো, লাউ আর শসা । শানের ৮০% টমেটো যা তাদের দৈনন্দিনের খাদ্য তালিকায় আছে তা ইনলের ভাসমান বাগান থেকে সরবরাহ করা হয়।কোন রকম রাসায়নিক সার এবং সংরক্ষন ছাড়াই উৎপাদিত অত্যন্ত সুস্বাদু এই টমেটোর সালাদ খেয়েছিলাম দুপুরে।


টমেটো ফলে আছে

এখানকার নৌকার মাঝিদের নৌকা চালানোর ভঙ্গীমাতেও রয়েছে ব্যাতিক্রম। তারা নৌকার গলুই এর উপর দাঁড়িয়ে বৈঠার উপরের দিকটা এক হাতে ধরে আর নীচের দিকটা এক পা এ পেচিয়ে নৌকা চালায় যা বিশ্বের আর কোথাও দেখা যায়না। ধারনা করা হয়ে থাকে ইনলে লেকে প্রচুর গাছপালা থাকায় বসে বসে বৈঠা বাইলে সামনের কিছু দেখা যায়না তাই ব্যবস্থা। তবে মেয়েরা গতানুগতিক পদ্ধতিতে বসে বসেই নৌকা বেয়ে থাকে।


নৌকা ভর্তি জলজ উদ্ভিদ নিয়ে পা দিয়ে বৈঠা বেয়ে যাচ্ছে ভাসমান এক বাগান কর্মী

আমাদের মতই বার্মিজরাও মাছে ভাতে বার্মিজ। আর তাদের মাছের যেন এক বিশাল ভান্ডার এই ইনলে লেক, এখানে বিশ রকম শামুক আর নয় প্রজাতির মাছ রয়েছে যা বিশ্বের আর কোথাও নেই বলে জানালো মিঃ বো বো ।এই লেকে এরা শুধু মাছই ধরে না মাছের বংশ বৃদ্ধির জন্য অবিরাম চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে প্রচুর মাছ চাষ করা হয়ে থাকে।


এমন লম্বা পলো দিয়ে মাছ চাপা দিয়ে তারপর সেটাকে হাত দিয়ে ধরে আনে ।

শীতের সময় অসংখ্য পরিযায়ী পাখীর অভয়ারন্য এই লেকে জনগন ব্যাক্তিগত ভাবে প্রচুর হাঁস পেলে থাকে । জীব বৈচিত্রের এক উজ্জ্বল নিদর্শন যেন এই ইনলে লেক ।


মাংস লোভে বংশ হাতে কংস তেড়ে যায় , হংসগুলো ভয় পেয়ে সব ঢেঊ কেটে পালায়

এই লেক জুড়ে আছে সাধারন থেকে উন্নত প্রায় ৫০টির মত হোটেল যার মধ্যে রয়েছে ৫টি আবার ৫ তাঁরকা বিশিষ্ট হোটেল । এ হোটেলগুলোতে সাধারনত পরিব্রাজক এবং তীর্থ যাত্রীরাই থাকে। এছাড়াও আছে অত্যাধুনিক থেকে মাঝারী মানের রেস্তোরা যেখানে পরিবেশিত হয় পশ্চিমা থেকে দেশীয় খাবার ।


একটি মাঝারী মানের হোটেল নাম ইনলে হেরিটেজ

লেকের মধ্যে বিশাল আঙ্গিনা জুড়ে আছে অপুর্ব স্থাপত্যকলায় তৈরী এক বৌদ্ধ মন্দির, যেখানে শত শত পুন্যার্থী আর পর্যটকের ভীড়। এই প্যাগোডার প্রধান আকর্ষন পাঁচটি ব্যাতিক্রমী বৌদ্ধমুর্তি ।


লেকের বুকে বৌদ্ধ বিহার

কারন হলো ভক্তরা পুন্য লাভের আকাঙ্ক্ষায় স্বর্ন পাত দিয়ে দিনের পর দিন পাঁচ বুদ্ধ মুর্তিকে মুড়িয়ে চলেছে। ফলে বুদ্ধের নাক মুখ ঢেকে গোলাকার হয়ে গিয়েছে সেই স্বর্ন পাতের নীচে । এই মুর্তিগুলো নিয়ে প্রতিবছর এক নৌকাবাইচের আয়োজন করে থাকে ইনথা জনগোষ্ঠী ।


ব্যাতিক্রমী সেই পাঁচ বুদ্ধ মুর্তি

এই লেকের মাঝে আরো আছে ১৮৫০ সালে তৈরী তিব্বতি ঘরানার কাঠের অপরূপ মনেষ্ট্রি যাতে রয়েছে সারা মায়ানমার থেকে খুজে পেতে আনা বিভিন্ন আকার/আঙ্গিকের বুদ্ধের মুর্তি। এটা বিশেষ করে জাপানী এবং চৈনিকদের এক প্রধান তীর্থস্থান। দলে দলে হাজির সেই তীর্থযাত্রীদের সাথে সাক্ষাৎ হলো সেখানে।


মনেস্ট্রীর ভেতরে

সব কিছু ঘুরে ফিরে দেখা শেষেএবার খেতে গেলাম সাধারন এক রেস্তোরায় । ডিমের তরকারী দিয়ে ভাত , আর বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী সব্জীর তরকারী সাথে অবশ্যই ইনলে লেকে উৎপাদিত টমেটো আর শসার সালাদ।


আমরা যে ভাসমান রেস্তোরায় খেয়েছিলাম

খাবার আগে অবশ্যই থাকতো বিনে পয়সার এপিটাইজার । খাবারের অর্ডার দিয়ে খালি মুখে যেন বসে থাকতে না হয় । বার্মার আরেকটি ঐতিহ্য আমি বিভিন্ন শহরে দেখেছি তা হলো পথের পাশের যে কোন দোকান বা রেস্তোরায় বিনে পয়সায় চা । দোকানের সামনে টেবিলে্র উপর ট্রেতে সাজানোই থাকে কেটলী আর কাপ। আপনি ইচ্ছে করলেই বসে কেটলী থেকে ঢেলে গরম চা পান করতে পারবেন বিনে পয়সায় যত খুশী। অবশ্য সেটা লিকার আর তারা সেটাই প্রেফার করে থাকে।


খাবার আগের খাবার

এই লেকের যে কয়টি বাসা- বাড়ী, কারখানা, রেস্তোরায় আমি ঘুরেছি সব জায়গায় রয়েছে ঝক ঝকে তক তকে কমোড, পানি এবং টিস্যু পেপার সহ আধুনিক টয়লেট ফ্যাসিলিটিজ যা আপনি চাইলেই বিনা পয়সায় ব্যবহার করতে পারবেন। আর আমাদের রাজধানী শহর যাকে আমরা তথাকথিত উন্নত দেশের সমকক্ষ বলে জাহির করে থাকি সেখানকার বিভিন্ন দরকারী, সরকারী অফিস আদালত, শপিং মল এবং বিনোদনকেন্দ্র এমন সব জায়গা থেকে এ কারনে আপনাকে বাসায় ফিরে আসতে হবে।


জায়গায় জায়গায় অতিরিক্ত ব্যবহারে দুষন

এই লেক স্থানীয় জনগন আর পর্যটকদের অতিরিক্ত ব্যবহারে কিছু কিছু জায়গায় বেশ দূষন লক্ষ্য করা গেল। এছাড়া ক্রমাগত ভাসমান সব্জী বাগান তৈরীর ফলে লেকের আয়তনও ছোট হয়ে আসছে। গরমের অর্থাৎ অফ সিজনে যাওয়ায় পানির স্তর জায়গায় জায়গায় বেশ নীচু এবং ঘোলাটে ছিল। তবে এই লেকের সবচেয়ে বড় অংশটি সংরক্ষিত রয়েছে যেখানে দুরত্বের কারনে আমরা যেতে পারিনি । সারাদিন ধরে বো বোর সাথে বোবো করে ঘুরে দেখা হলো ইনলে কে । আপনারাও আমার চোখে দেখে নিন এক অজানা লেককে ।


পানিতে ঝড় তুলে এগিয়ে চলেছে ইঞ্জিন বোট ।



সমাপ্ত ।
সব ছবি আমাদের ক্যামেরায় তোলা

মন্তব্য ১৬৩ টি রেটিং +২৯/-০

মন্তব্য (১৬৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬

জেন রসি বলেছেন: চমৎকার সব ছবি।

বর্ণনাও উপভোগ করেছি।

তবে মাছ ধরার স্টাইলটা অভিনব মনে হয়েছে।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:০২

জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জেন রসি ।
মাছ ধরার স্টাইলটা অভিনবই বটে ।

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:২৬

ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: মাছ ধরার কায়দা টা দেখে ভয় লাগলো ৷ পোস্টটি চমৎকার হয়েছে ৷

১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:০২

জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে ঘুড়তে থাকা চিল । মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৪

শ।মসীর বলেছেন: :) দেখে নিলাম ছবি....।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৩৭

জুন বলেছেন: অনেকদিন পর দেখলাম মনে হলো । অসংখ্য ধন্যবাদ শামসীর ।

৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৫

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর বর্ণনার জন্য। এই পর্বের (লম্বা গলার কায়ান) জনগোষ্ঠী সর্ম্পকে ডিসকভারি একটি সচিত্র প্রতিবেদন দেখেছিলাম।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৫৪

জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত)। জী আমিও দেখেছি সেই প্রোগ্রামটি আর তার জন্যই তাদের দেখার, তাদের সম্পর্কে জানার খুব ইচ্ছে ছিল । আমার ধারনা ছিল তারা হয়তো তাদের স্বামী /বাবার নির্দেশে এই পাহাড়সম কন্ঠহার ধারন করে। কিন্ত দোভাষীর সাহায্যে জানলাম এটা তাদের স্বইচ্ছায়। কিন্ত কে জানে সত্যি কি মিথ্যা । তাদের ভাষা বুঝলে হয়তো আসল সত্যটা জানা যেত ।
শুভেচ্ছা জানবেন ।

৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫

যাযাবরমন বলেছেন: চমৎকার ছবি ও বর্ণনা।
বরই আফসোসের বিষয় যে- "আমাদের রাজধানী শহর যাকে আমরা তথাকথিত উন্নত দেশের সম কক্ষ বলে জাহির করে থাকি সেখানকার বিভিন্ন দরকারী, সরকারী শপিং মল থেকে এবং বিনোদন সব জায়গা থেকে এ কারনে আপনাকে বাসায় ফিরে আসতে হবে।"

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৫৬

জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ যাযাবর মন।
আমি প্রকৃত সত্য কথাই তুলে ধরেছি ভাই ।

৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ঘুরে এলাম আপু , আপনার সাথে করে !

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭

জুন বলেছেন: অনেক দিন পর স্বপ্নবাজ অভি । মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ

৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: তাদের নৌকায় চড়াতো দেখছি বিপদ জনক , প্রায় ডুবু ডুবু ।
জলাশয়বাসীর সাদামাটা বাসাবাড়ী টা আমার কাছে অসাধারণ মনে হয়েছে ।

ছবি বর্ণনায় দারুন এক ভ্রমন পোস্ট ।
মুজতবা আলির ''নাতনী''র জন্য শুভ কামনা । :P

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:০৩

জুন বলেছেন: জী আমিও প্রথম প্রথম খুব ভয় পেয়েছিলাম । তবে দুদিন আগে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেষ্ট যেতে এমনি এক নৌকায় চড়ার সৌভাগ্য হয়েছিল তাতে এক বছর সাত আটের মাঝি।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ গিয়াসলিটন ।
নাত্নী নই নানী বলতে পারেন :)

৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০

সুমন কর বলেছেন: পোস্টটি তৈরি করতে প্রচুর কষ্ট করেছেন। বিভিন্ন তথ্য সংযুক্ত করাতে ভালো হয়েছে। আপনার এ পোস্টের মাধ্যমে আমরাও ভার্চুয়াল ঘুরে আসলাম।

বার্মায় এক অদ্ভুত ট্যাবু আছে, তা হলো কাউকে গন্তব্যের কথা জিজ্ঞেস না করা । -- তাহলে যাবো কিভাবে ?
ভুমিকম্পে কোন ক্ষতি হয়নি জেনে স্বস্তি পেলাম।

পোস্টে ভালো লাগা রইলো।


১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:১২

জুন বলেছেন: লিখতে তো কষ্ট না সুমন কর যা দেখি শুনি তাই লিখি । কিন্ত ছবি দেয়াই খুব কষ্টের। আগে জায়গামত কার্সার রেখে ক্লিক করলে ছবি ইন্সার্ট হতো । এখন সব ছবি নীচে লোড হয়। তারপর সেগুলো কাট এন্ড পেষ্ট করতে হয় ।
আমিও জেনে খুব অবাক হয়েছি , ওরা মনে করে চলার পথে কত কিছুই তো হতে পারে । এই ট্যাবুটা আমাদের দেশের জন্য প্রযোজ্য । কারন কোথায় কখন পৌছাতে পারবে কেউ বলতে পারে না ।
পুরো বার্মা ভ্রমনে সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:০৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার তথ্যবহুল পোস্ট ছিল এবারেরটা। অনেক বেশী গোছানোও মনে হয়েছে। শেষ পর্ব বলেই কি? আহারে মায়ানমার ভ্রমণটা শেষ হয়ে গেল :(

পোস্টে লাইক উইথ +++++++

পা দিয়ে নৌকা চালাতে দেখে মজা পেলাম। :) আর ফ্রি চা এর কথা শুনে অবাক হলাম।

ভালো থাকুন প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ, অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৪৮

জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ উৎসাহিত করার জন্য বোকামানুষ ।
চা এর কেটলি যতবার খালি হচ্ছে ততবার ভরেে এনে রাখছে ।
আপনার জন্যও রইলো শুভকামনা ।

১০| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:১৭

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: দারন সব ছবি। পড়তেও ভাল্লাগছিলো। ++

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৫০

জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ শতদ্রু :)

১১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৪২

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: দারুন লিখেছেন ।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৫২

জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ shahdath HOSSAIN

১২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৫৬

প্রামানিক বলেছেন: এত উঁচুতে লেক দেখে অভিভুত হলাম। নৌকা বাওয়া আর মাছ ধরার কায়দা দেখে মজাই পেলাম। ধন্যবাদ জুন আপা। সামনে এরকম আরো পোষ্ট চাই।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬

জুন বলেছেন: সাথে থাকার জন্য আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই । কায়দাটা সত্যি চমকপ্রদ।

১৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:০২

রাজীব বলেছেন: ছবি ভালো লেগেছে।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮

জুন বলেছেন: ভালোলাগার জন্য অশেষ ধন্যবাদ

১৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:২৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ছবি ও বর্ণনা দুটোই ভাল হয়েছে ।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯

জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার ।

১৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৩৫

মোঃমোজাম হক বলেছেন: চমৎকার, ভাল লাগলো, লাগতেই হবে।আপনার লেখা না ? ;)

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:০২

জুন বলেছেন: মোজাম ভাই অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

১৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

কলমের কালি শেষ বলেছেন: ভ্রমণের লেখনীরূপ যেন ভ্রমণের মতই । পড়ে মনে হলো খুব মজা করে এই ভ্রমণ কাহিনীটি লিখেছেন । অনেক অনেক মজা এবং সাচ্ছন্দ পেলাম । আর আপনার ছবির হাতও বরাবরের মতই অসাধারণের সাক্ষ্য রেখে যাচ্ছে ।

ভাল থাকুন সবসময় জুন আপু । :)

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৩৮

জুন বলেছেন: প্রশংসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ককাশে । ছবিগুলো দুজনারই তোলা দুটি ক্যামেরায় ।
শুভকামনা রইলো

১৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ছবি ও বর্ণনা দুটোই চমৎকার, ভাল লেগেছে আপু।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৩৯

জুন বলেছেন: অসুস্থ অবস্থায় ও এসে পোষ্ট পড়া আর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ মহান অতন্দ্র ।

১৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৬:২২

রাবার বলেছেন: মাছ ধরার কায়দাটা সেইরাম আপা B-) । এই লেক নিয়া কিছুই জানতামনা । শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ।
++++্

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৪১

জুন বলেছেন: জী মাছ ধরা আর নৌকা চালানোর স্টাইল দুটোই ব্যতিক্রমী ।
অনেকেই জানে না এই লেক কেন ? এই দেশ সম্পর্কেও । কারন এটা ছিল এতদিন সামরিক জান্তার কঠোর নিয়ম কানুনে আবদ্ধ ।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ রাবার ।

১৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:০৫

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: চমৎকার তথ্যবহুল পোষ্ট, বর্ণনায়ও সমৃদ্ধ!!
পা দিয়ে নৌকা চালাতে দেখে মজা পেলাম।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপু,ভাল থাকবেন!

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৪৩

জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ কামরুন নাহার বীথি । আমাদেরও মজা লাগছিল দেখতে ।

২০| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:১৭

লাবনী আক্তার বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা।

৮ কেজি ওজনের গহনা মহিলারা কিভাবে পড়ে থাকে? |-)

ভাসমান সব্জির বাগান দেখে ভালো লাগল অনেক। সবগুলো ছবিই সুন্দর কিন্তু পরিযায়ী পাখী আর পলো হাতে নৌকায় লোকটার ছবি এক কথায় দারুন!

পোস্টে একরাশ মুগ্ধতা রেখে গেলাম আপা।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:০১

জুন বলেছেন: আমি তো সেটাই লিখেছি যখন টেবিলের উপর সাজানো সেই হারটা আমি দু হাতে তুলতে পারি নি । তবে গাইড বল্লো এই হারের ওজনটা নাকি বয়সের সাথে সাথে আস্তে আস্তে বাড়াতে থাকে । এর জন্যই তারা খুবই স্বল্প আয়ু ।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ লাবনী । তোমার গল্পটা দারুন হয়েছে কিন্ত ।

২১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:২৩

রিকি বলেছেন: কায়ান নারীরা নিজেদের আকর্ষনীয় করে তোলার জন্য এ গহনা পড়ে আছে গলায়, হাতে আর পায়ে। দোকানী জানালো সব মিলিয়ে এই অলংকারের ওজন ৮কেজি।

কিভাবে এত ভার নিয়ে চলে ওরা আপি??? আমি একটা Documentary তে দেখেছিলাম---ওদের ঐ গলায় প্যাঁচানো জিনিস নাকি শুধু পরিষ্কার করার জন্য খুলে, তাছাড়া বাচ্চাকাল থেকে শুরু করে বুড়ো বয়স পর্যন্ত এভাবেই পরে থাকতে হয়-- এটা তাদের সৌন্দর্যের অলঙ্করণ !!! :-0 পরিষ্কার করাটা যখন দেখিয়েছিল, তখন দেখেছিলাম, কায়ান মহিলাদের গলার দৈর্ঘ্য এই কারণে আমাদের স্বাভাবিক মানুষের থেকে অনেক বেশি লম্বা হয়!!! এই Painful জিনিস পরে মানুষ থাকে কিভাবে আর ঘুমাতে যায় বা কি করে??? /:)

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:১২

জুন বলেছেন: আস্তে আস্তে নাকি সয়ে যায় রিকি । তবে যতটুকু দেখলাম তাদের ম্যুভমেন্ট খুব স্লো । কোথায় যেন পড়েছি এর ফলে তাদের গলা লম্বা হয়না , কাধের হাড় নেমে যায় দুদিক দিয়ে । তাতেই নাকি তাদের লম্বা গলা মনে হয় । গাইড বো বো বল্লো অনেকেই নাকি এখন রাতে ঘুমানোর সময় খুলে রাখে । কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা সেটাই হলো বিষয় ।
মন্তব্য আর পুরো বার্মা সফরে সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো ।

২২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৩১

ভিটামিন সি বলেছেন: অত্যন্ত মজাদার, সাবলীল আর তথ্যবহুল একটি পোষ্ট পড়লুম জুন দাদীমার কল্যাণে।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:১৩

জুন বলেছেন: পোষ্টটি পড়া আর সরস একটি মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ নাতী ভিটামিন সি :)

২৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯

হাসান রাজু বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন । এক নিশ্বাসে পড়ে নিলাম । অবশ্য, আপনার সবগুলো পোস্টই এভাবেই পড়া হয়েছে । ছবি আর সুন্দর বর্ণনার কারনে শেষ না করে অন্য দিকে মন যায় না । কায়ান নারীদের একটা প্রামাণ্য চিত্র দেখেছিলাম টিভিতে, আর আজ আপনার পোস্টে পড়লাম ।
শুনেছি মিয়ানমারে ভিসা পাওয়া যায় না । সত্যি কি তাই ? আপনি কি করে কিভাবে গিয়েছিলেন?

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:২০

জুন বলেছেন: উৎসামুলক এক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ইহা রাজু ।
আগে ভিসা নিয়ে সমস্যা ছিল অর্থাৎ দেরী হতো , এখন ভিসা পদ্ধতি খুবই সহজ , দুদিনে ভিসা দিয়ে দেয় । ওরা পর্যটনকে ভীষন ভাবে উৎসাহিত করছে। পর্যটন মৌসুমে উন্নত দেশের লক্ষ লক্ষ পর্যটক মায়ানমার ভ্রমনে আসে যা আমি আগের পোষ্ট উল্লেখ করেছি। শুধু একটাই সমস্যা তা হলো বাংলাদেশ বিমান ছাড়া ঢাকা থেকে রেঙ্গুনের আর কোন কানেক্টিং ফ্লাইট নেই । ফলে বিমান আপনার গলা কাটছে । আমরা ঢাকা থেকে বিমানে সরাসরি ইয়াঙ্গন গিয়েছিলাম ।

২৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:০২

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
বরাবরই আপনার ভ্রমন পোস্টগুলো অসাধারণ হয়।

আমিও অপেক্ষায় থাকি আপনার ভ্রমন পোস্টগুলোর জন্য।

শুভেচ্ছা আপু।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:১২

জুন বলেছেন: আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় ।
আপনাদের উৎসাহেই ১০ পর্বে লেখা হলো ঐতিহাসিক বার্মা ভ্রমন কাহিনী ।

২৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
এক কথায় অসাধারণ !
খুব ভাল লাগলো ভার্চুয়াল ভ্রমনে। +++

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:১৩

জুন বলেছেন: অনেকদিন পর আমার ব্লগে আপনাকে দেখে খুশী হোলাম স্বপ্নচারী গ্রানমা ।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ।

২৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৩২

লেখোয়াড়. বলেছেন:
জুনাপা.........
মেগা পোস্ট।

এত ভ্রমণ আমার কপালে নেই!!
++++++++++++++++++++++++++++++++++

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:১৫

জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য লেখোয়াড় ।
হয়তো আছে খুব শীঘ্রই ।

২৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৪০

ছাসা ডোনার বলেছেন: আপনার ভ্রমন পোস্ট টা খুব ভাল লেগেছে তাই কাজের মধ্যেও ধৈর্য সহকারে পড়েছি। আপনাকে অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভল থাকুন সুস্থ্য থাকুন।++++++

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:১৬

জুন বলেছেন: কাজের মাঝেও আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ছাসা ডোনার ।আপনিও ভালো আর সুস্থ থাকুন .।.।।

২৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯

আমি বন্য বলেছেন: ছবি ও গল্প একসাথে ভালো লেগেছে.। ;)

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:১৭

জুন বলেছেন: আমি বন্য স্বাগতম আমার ব্লগে । পোষ্টটি ভালোলেগেছে জেনে অনেক ভালোলাগলো ।

২৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬

টয়ম্যান বলেছেন: এরপর আর কোথায় যাইবেন বইলা ঠিক করলেন ? আপনে পারেনো আপা ঘুরতে B-)
ছবি ভালোলাগলো +++++++++

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:১৮

জুন বলেছেন: এরপর পশ্চিম দিকে যাবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ভাই টয়ম্যান । মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

৩০| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৯

এস কাজী বলেছেন: আপু, ছবি দেখে আর বর্ণনা পড়ে মনে হল নিজেই ঘুরে এলাম। ভাল লাগলো :)

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:১৯

জুন বলেছেন: ভালোলাগলো জেনে কষ্ট স্বার্থক হলো এস কাজী । অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য ।

৩১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৫

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: ইস! কি সুন্দর!!
থাইল্যান্ডের সীমান্তের থাটন গ্রামে গিয়েছিলাম যেখানে বেশ কিছু কায়ান নারীর বাস। আপু! আপনার ছবিতে এই নারীরা কি মায়ানমার সীমান্তের?

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:২৩

জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ পলক শাহরিয়ার ।
আমি যতটুকু শুনেছি কায়ানরা মুলত তিব্বত আর বার্মিজদের মিলিত সংকর জাতিগোষ্ঠী । এরা থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী অঞ্চলেই বাস। এরাও পরিযায়ী, মৌসুমের সময় এই লেকে আসে পর্যটনের একটি উপকরন হয়ে । খুবই খারাপ লাগলো এদের প্রদর্শনের মাধ্যমে টাকা রোজগার দেখে ।

৩২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দারুন একটা ভ্রমন হল আপু !!

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:২৫

জুন বলেছেন: হ্যা ১৫ দিনের একটি লম্বা সফর ছিল জহির । বার্মা ট্যুরে সাথে থেকে মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

৩৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:১৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চমৎকার লেখা।
কখনো সুযোগ হলে দেখার ইচ্ছে আছে।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:২৬

জুন বলেছেন: শুধু ইনলেই নয় সেদেশে আরো বিস্ময়কর জিনিস ও আছে দেখার জন্য পাগলা জগাই । মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

৩৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:০২

মুরশীদ বলেছেন: সুন্দর ভ্রমনকাহিনী +++

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:২৬

জুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

৩৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৫৮

মানস চোখ বলেছেন: আপনার সাথে সাথে বার্মামুলুক ভালোই দেখা হল...... :) :) :)
'লেক ইনলে' নিয়ে এই পোষ্টাও অসাধারণ খুবই ভালো লাগলো তথ্যবহুল আর অসাধারণ ছবি :) :) :)
আপা ছোট একটা সংশোধণ "সমুদ্রের বুক থেকে ২৯০০০ ফিট উপরে পাহাড়ের মাঝখানে মিঠা পানির এক বিশাল জলাশয়ে, নাম তার ইনলে ।" প্রকৃতপক্ষে সমুদ্র সমতল থেকে উচ্চতা ২৯০০ ফিট (৯০০ মিটার) হবে।
https://en.wikipedia.org/wiki/Inle_Lake
http://inlelake-myanmar.com/about-inle-lake.html
ভালো থাকবেন আরও সুন্দর জায়গার সুন্দর সুন্দর পোষ্ট দেখার অপেক্ষায় থাকলাম !!!!!!!!

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৫৭

জুন বলেছেন: সাথে থাকার জন্য অশেষ ধন্যবাদ মানস চোখ।
কত ঝামেলা নিয়ে যে লিখি তা আর বলার নয়। একটা শুন্য বেশি পড়েছিল, ঠিক করে দিয়েছি ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

৩৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩

আবু শাকিল বলেছেন: পোষ্ট অনেক ভাল লাগল । ভ্রমণ পোষ্ট পড়তে ভাল ।ফ্রী তে ঘুরে আসা যায় ,জানা যায় ।
ধন্যবাদ আপু ।
আর হ্যা
আপনার হজ্জে যাওয়ার কথা ছিল।আমার জন্য দোয়া করবেন প্লিজ।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:০১

জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আবু শাকিল মন্তব্যের জন্য।
আপনিও দোয়া করবেন আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন যেন আমাকে সেই তৌফিক দান করেন।

৩৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,



ছবি ও বর্ণনার রঙে বরাবরের মতোই নান্দনিক ।

২০ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:০৫

জুন বলেছেন: আহমেদ জীএস
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

৩৮| ২০ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৫৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বরাবরের মতই ছবি,মন্তব্য এবং উত্তরের সাথে দেখা হোল আপনার ভ্রমন।। যা প্রান দিয়েছে অনেকখানিই।(সেই সমস্যা,কমেন্ট রতে যেয়ে ম্যাসেজ আপনাকে লগইন করতে হবে। অথচ আমি লগইনই)।।ভাগ্য ভাল যে কপি করে রেখেছিলাম।।

২০ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:০৭

জুন বলেছেন: বার্মা ভ্রমনে সাথে থেকে উৎসাহ দিয়ে গেছেন তার জন্য অশেষ ধন্যবাদ সচেতনহ্যাপী ।
এই লগ ইন প্রবটা আগে আমারো হতো এখন আর হয় না ।

৩৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:৫৬

উইশ বলেছেন: মায়ানমার সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা ছিলো, যেগুলো আপ্নার লেখা পড়ে ভেংগে গেলো। অসম্ভব সুন্দর বর্ণনা আপনার আপু যা পুনরায় বলার দরকার হয়না।
তবে, খরচের বিষয়টা জান্তে ইচ্ছা করতেছিলো খুব........

২০ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:২১

জুন বলেছেন: জী জনাব উইশ আমারো অনেক ভুল ধারনা ছিল দেশটি সম্পর্কে । মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
আমরা তো প্যাকেজ ট্যুরে গিয়েছিলাম তার উপর ছিল অফ সিজন তাই মৌসুমের তুলনায় একটু খরচ কমই ছিল । ঢাকা টু ইয়াঙ্গন -ইয়াঙ্গন ঢাকা আমাদের খরচ । এয়ারপোর্ট থেকে পিক আপ ড্রপ চারটি জায়গায় ১৫দিন ঘুর ঘুর , গাইড খরচ, দুটো আভ্যন্তরীন বিমান ফ্লাইট , চারটি তারকা হোটেলে থাকা মিলিয়ে টোটাল প্যাকেজ ২০০০/২২০০ ডলার এর মত হবে । খাবার কখনো আমাদের কখনো ট্যুর কোঃ প্রভাইড করেছে।

৪০| ২০ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:২৭

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: দারুণ। মায়ানমার পর্ব শেষ হল এবার পরবর্তী কোন স্থানের ভ্রমণ কাহিনীর অপেক্ষায় রইলাম।

২০ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:০৪

জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ প্রবাসী পাঠক দীর্ঘ ভ্রমনে সহায়তা করার জন্য ।
দোয়া করবেন আমাদের জন্য ।

৪১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:০১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রিয় জুনাপা! এমন ভ্রমনপোস্ট আপনার কাছ থেকেই পাওয়া সম্ভব! এত চমৎকার করে বর্ণনা করেছেন, আমার মনে হচ্ছে আমি নিজেই যেন ঘুরে আসলাম। ভ্রমন পোস্ট তো এমনই হওয়া চাই।

২০ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:০৬

জুন বলেছেন: প্রথম থেকেই সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ কাল্পনিক ভালোবাসা । আপনাদের উৎসাহেই শেষ হলো এই দীর্ঘ ভ্রমন গল্প ।

৪২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪

নীল_পরী বলেছেন: দীর্ঘ দুই বছর পর ব্লগে এসেই আপনার পেজে ঢুঁ মারলাম, শুধু ভ্রমনের গল্প শোনার জন্য, কেমন আছেন?

২১ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:১২

জুন বলেছেন: তাইতো দেখছি নীল-পরী । আমি ভালো আছি , তুমি ?

৪৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৪

এহসান সাবির বলেছেন: এত লম্বা পলো দিয়ে মাছ ধরা দেখতে ইচ্ছা করছে।


চমৎকার পোস্ট আপু।

২১ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:১৫

জুন বলেছেন: তা দেখার সৌভাগ্য আমাদের ও হয়নি এহসান সাবির :(
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

৪৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:২০

শায়মা বলেছেন: মাছ ধরা স্টাইল দেখে তো আমি অবাক!!!!!!!!! হাহাহাহা

যাইহোক গয়না গাটি, কাপড়চোপড় আর সম্পূর্ন পোস্ট দেখে আমার বার্মা যাবার শখ হচ্ছে কিন্তু ভূমিকম্প হয় যদি!:(

২১ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:২৫

জুন বলেছেন: সে আশংকা থেকেতো এ দেশকেও বাদ দেয়া যায়না শায়মা । আর নেপাল বেড়ানো ও বাদ দিতে হবে :(
পোষ্ট পড়া আর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

৪৫| ২১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:১১

সোহানী বলেছেন: আহ্ কতদিন পর ব্লগে ফিরে এসে আপনার চমতকার লিখাটা পড়ে ভালোলাগছে...... বাকিগুলো পড়বো সময় নিয়ে...+++++++(আমার নতুন ল্যাপটপের কিবোর্ডের মাথা ঠিক নাই, কিছু লেটার কাজ করে না, তাই বাংলা লিখতে ধৈর্য্য থাকে না))

২২ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:০৩

জুন বলেছেন: এত প্রতিবন্ধকতার মাঝেও আমার পোষ্টটি পড়েছেন মন্তব্য করেছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সোহানী ।
বাকিগুলি সময় নিয়ে পড়বেন শুনে ভালোলাগলো ।
শুভেচ্ছা নিরন্তর

৪৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৩৬

প্রামানিক বলেছেন: আপনার তোলা তালা বাবার ছবি দিয়ে আরেকটি পোষ্ট দিয়েছি।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৩০

জুন বলেছেন: পড়ে আসলাম ভাই । আপনার হাতে পরে তালাবাবা অসাধারন হয়ে উঠলো ।

৪৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫

দীপান্বিতা বলেছেন: বরাবরের মত অসাধারণ :)

২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৩২

জুন বলেছেন: সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ দীপান্বিতা :)

৪৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:৫৭

বড় বিলাই বলেছেন: apnar lekha porle etto je berate ichha kore!

২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩

জুন বলেছেন: অনেক দিন পর পর আসেন, তারপর ও আমাকে ভুলে জান নি দেখে ভালোলাগে ।
সিংহ মামা খুব ব্যস্ত রাখছে মনে হয়। ওর জন্য রইলো অনেক আদর ।

ঘুরে আসুন, ভালোলাগবে :)

৪৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪

bond007 বলেছেন: আপা, ভ্রমনের তারিখটা লিখেন না কেন্? টাইমিং এর বিষয়টা তাহলে বুঝা যায়। আর বরাবরের মতোই আপনার ব্লগগুলো এক্সক্লুসিভ। এততো ভালো লাগে....++++++++++++++++++

২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:২৬

জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য প্রথমেই জানাই অশেষ ধন্যবাদ bond007 ।
আসলে শিরোনাম ভিন্ন হলেও মোটামুটি ১০ পর্বে লেখা হয়েছে আমার মায়ানমার ভ্রমন আর তাতেই লেখা আছে দিন তারিখ ।
আপনার জন্য আবার জানাই আমাদের পুরো ভ্রমনটা ছিল ১৫ দিনের । এপ্রিল ১৮ থেকে ২রা মে পর্যন্ত ।
এত্তগুলো প্লাসের জন্য আরেকদফা ধন্যবাদ ।

৫০| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৩১

বেকার সব ০০৭ বলেছেন: নৌকা চালানো বিষয়টা বেশ অসাধারন।

আপনার পোস্ট বরাবরের মত চমৎকার

২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৩৭

জুন বলেছেন: সত্যি বিরলই বলা যায় । মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
জেড, রুবি, ইয়েলো সিট্রিন এমন আরো বিভিন্ন রঙ এর রত্ন পাথরের চুর্ন দিয়ে তৈরী নীচের এই ছবিটি এনেছি শুধু নৌকা চালানোর স্টাইলটার স্মৃতি ধরে রাখার জন্য ।
দেখুন

৫১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৬:৩৮

রাসেলহাসান বলেছেন: দেখলাম, জানলাম অনেক কিছুই!!
খুব ভালো লেগেছে।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৪৯

জুন বলেছেন: পোষ্ট পড়া আর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ রাসেলহাসান

৫২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:২৭

আহসানের ব্লগ বলেছেন: অনেক শুভ কামনা ।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৬

জুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

৫৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৭

কালীদাস বলেছেন: বার্মারে দেখলে হিংসা লাগে। এরা ট্যুরিজমের নতুন নতুন প্ল্যান করে সারা দুনিয়ায় নিজেদের চেহার ভাল করার চেষ্টা করছে। আর আমরা দারূন সব স্পট বেহুদা ফেলে রেখেছি আর নাহয় দুর্দান্তভাবে পল্যুউট করছি :(
বাদ দেন। আছেন কেমন? :) আমি এবছর মুটামুটি আপনার সাথে পাল্লা দেয়ার মতই ঘুরছি ;) পোস্ট করবনা যদিও :P

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১০

জুন বলেছেন: বহুদিন পর কবি কালীদাসের আগমন ? ভাললাগলো পুরোনো লোকজন দেখে।
বার্মা দেখে আমি নিজেও অবাক হয়েছি ।
আপনার অভিগ্গতা শোনার অপেক্ষায় । মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ :)

৫৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০১

কালীদাস বলেছেন: সাহস নাই :P আপনার এইখানে একটা স্ট্যাচুর ফটু রাইখা গেলাম, মেডিটেরিয়ানের তীরে তুলছিলাম ২মাস আগে (কোনপাশের তীরে সেইটা আর বললাম না ;))

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩

জুন বলেছেন: খেজুর গাছ দেখে এক বার মনে হয় আফ্রিকার দিকে আবার স্ট্যাচু দেখে মনে হচ্ছে ঐপাড়, বড়ই কনফিউসড #:-S
যাক ছবি আর জায়গাটি ভারী সুন্দর কালীদাস । আবার এসেছেন তার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

৫৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৩৫

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: পাশের দেশ অথচ দেখিনি। দেখলাম কিছুটা আপনার হাত ধরে আপু। শুভ কামনা।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৩

জুন বলেছেন: অনেকদিন পর বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর । আমিও সুযোগ পেয়ে একটু দেখে আসলাম বহুবার শোনা সেই দেশকে ।
পোষ্ট পড়া আর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ :)

৫৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৪

এহসান সাবির বলেছেন: নতুন পোস্ট কই আপু?

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৫

জুন বলেছেন: আমি কি আর তেমন হাই প্রোফাইল লেখিকা সাবির !
ভ্রমন করি আর তাই সরাসরি লিখে যাই এইটা দেখলাম , ঐটা দেখলাম । তাতে না থাকে সাহিত্য , না থাকে কোন ম্যসেজ । তারপর ও আপনাদের মত হাতেগোনা দু একজন যখন নতুন পোষ্টের কথা জানতে চায় তখন মনের অজান্তেই হাতটা কি বোর্ডের উপর চলে যায় , আর বের হয়ে আসে পাতে তোলার, মন্তব্যের অযোগ্য সব লেখা ।
তারপর ও অসংখ্য ধন্যবাদ সাবির খোজ নেয়ার জন্য :)

৫৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৩

এহসান সাবির বলেছেন: আমার কাছে তো ঐ ভালো লাগে.... আচ্ছা কে বল্ল ওখানে সাহিত্য, ম্যসেজ থাকে না? এক একটা সুন্দর ছবিতো এক একটা সাহিত্য। একটা সিনেমার পোস্টার বা বইয়ের প্রচ্ছদ বা কাভার পিকচা্‌র যাকে বলে তাতে কি থাকে... আমার মনে হয় তাতে একটা বইয়ের বা সিনেমার পুরো বিষয় বস্তুর সারমর্ম থাকে। গ্যালারীতে ছবি দেখতে যেয়ে ছবির বর্ণনা শুনে মনে হয় ঐ ছবি দিয়েই ১০ টা উপন্যাস লিখে ফেলা যাবে.....

যাই হোক.... আপনার পোস্ট আমার ভালো লাগে... সোজা কথা.....।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৬

জুন বলেছেন: ভালোলাগে জেনেই আবার লিখতে বসি , নয়তো লেখা ঠিক না কি বলেন 8-|
এত উৎসাহ পেয়ে মনটা ভরে গেল সাবির । অসংখ্য ধন্যবাদ :)

৫৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২২

কাবিল বলেছেন: শেষ পর্বটা সেই-----ই রকম হয়েছে।
যেমন ছবি তেমন বর্ণনা। সব মিলিয়ে এক কথায় চমৎকার।
সামু ব্লগে ভ্রমন পোস্ট মানেই জুনাপা।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫১

জুন বলেছেন: সেই অগাষ্টের লেখা সেপ্টেম্বরে দেখলেন :-*
আপনাকে জরিমানা #:-S
আরো ৪টা কমেন্ট করটে হপে । =p~

এসেছেন বলে অশেষ ধন্যবাদ।

অট: আপনার বাঘা যতীনের মন্তব্যের no ans :(

৫৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২

মধু নদীর জোলা বলেছেন: অগ্নি সারথীর পোস্টে আপনেরে দেইখা আইসা দেখি আপনেও মাছ ধরতাছেন :`>
অনেক সুন্দর লিখছেন

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩২

জুন বলেছেন: হা হা হা তা আপনি কি জোলা না জেলে ? দুটো কিন্ত একেবারেই ভিন্ন পেশা ।
হ্য ইনথাদের মতো পলো দিয়ে এবার থেকে মাছ ধরা শুরু করেন :)
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৬০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৫

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগলো আপু। কেমন আছেন? ভালো আশা করি।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৪

জুন বলেছেন: ভালোলাগলো জেনে অনেক ভালোলাগলো হানিফ রাশেদিন । আমার দিন চলে যাচ্ছে একরকম । অনেকদিন পর দেখলাম । আপনি ভালোতো ?

৬১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫২

কাবিল বলেছেন: আপু নতুন পোস্ট পাব কবে?

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৫

জুন বলেছেন: দেখা যাক কবে সম্ভব হয় কাবিল ।
খোজ নেয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ :)

৬২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৩

দীপান্বিতা বলেছেন: নতুন পোস্ট কবে পাব!

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

জুন বলেছেন: মনে করে খোজ নাও দেখে খুব ভালোলাগে দীপান্বিতা ।
দেখি কবে দিতে পারি । তেমন উচুদরের কোন লিখিয়ে তো নই , তাই সময় লাগে আরকি :)

৬৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২২

কাবিল বলেছেন: অগ্রিম ঈদ মোবারক।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৫

জুন বলেছেন: আপনার জন্যও রইলো ঈদ শুভেচ্ছা।

৬৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৬

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: চমৎকার একটি ভ্রমন পোষ্ট। কষ্ট করে ভ্রমন পোষ্ট লিখে আমাদেরকে মজা দেয়া ও বিচিত্র অভিজ্ঞাত শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।



ভালো থাকবেন নিরন্তর।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪১

জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে সৈয়দ মশিউর রহমান । মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৬৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০০

কাবিল বলেছেন: এই টা সহ আমার ৪টা কমেন্ট পূর্ণ হইল :)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৭

জুন বলেছেন: কনকি কাবিল , চার নম্বর :-*
আমার কপালে এত সুখ ! এমুন সৌভাগ্য !
অনেক অনেক ধন্যবাদ চতুর্থবারের মত আসার জন্য :)

৬৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৩

মশিকুর বলেছেন:

ছবি, বর্ণনা, তথ্য সব মিলিয়ে আসাধারন...
ভ্রমন + পোস্ট চলুক অনন্তকাল ব্যপিয়া :)

ভাল থাকুন :)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২২

জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মশিকুর পোস্ট পড়া আর মন্তব্যের জন্য :)

৬৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ছবিগুলো চমৎকার । আর বর্ণনা বরাবরের মতই অসাম । আপু স্বর্ণমন্দির গেছেন কখনো ??

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৭

জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ

কোন স্বর্নমন্দিরে সেলিম আনোয়ার ?

৬৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বান্দরবান স্বর্ণমন্দির । +

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩২

জুন বলেছেন: Yes off course Selim anwar :)

৬৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

হাই... জুনাপা! :)

পানির ওপর মানুষের আবাস দেখে ভালো লেগেছে।
আর ভালো লেগেছে লম্বা গলার নারী ;)

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৩

জুন বলেছেন:
অনেকদিন পর অনেক পরিচিত এক ব্লগারকে আমার পোষ্টে দেখে অনেক ভালোলাগলো ।

পানির উপর বাড়ী
আর লম্বা গলার নারী

ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মাঈনউদ্দিন মইনুল :)

৭০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপু কিসে জানি পড়ছিলাম যে, মানুষ তার জীবনের এক তৃতীয়াংশ ঘুমিয়ে কাটায়। তবে তাই যদি হয় তাহলে আপনার সমিকরন টা দাঁড়ায়, জীবনকে তিন ভাগে ভাগ করে এক ভাগ ঘুমিয়ে কাটান, বাকি একভাগ বেড়িয়ে আর বাকি একভাগ কাজ কাম! আচ্ছা আপু তাইলে আপনি সাজুগুজু করার কি সময় পান? সমিকরনের ভিতরে কিন্তু সেটা আসছে না? :P

আপু ভ্রমন পোস্ট দারুনস হয়েছে! মন্তব্যটা একটু দেরিতে হওয়ায় দুঃখিত! সাধারনত এই ধরনের পোস্টেতো আমার মন্তব্য মিস হওয়ার কথা না? খাড়ান বিষয়টা একটু গবেষনা করে বের করি!! আপু 'দারুনস' বলেছি কেন জানেন? কারন আমার কাছে কোন কিছু অসম্ভব ভাল লাগলে তার শেষে সাধারনত s/es যোগ করি তাই!

সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ!!

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৬

জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০১

জুন বলেছেন: সাহসী সেদিন আমার অনেক মন খারাপ ছিল তাই একটা দায়সারা উত্তর দিয়েছিলাম। যা এখন দেখে আমি লজ্জিত। না ভাই তোমার এই আপুটার সাজগোজ করার শখও নেই, বয়সও নেই। যতটুকু না করলেই না :) সমীকরণ টা একদম পার্ফেক্ট হয়েছে :)
দেরীতে মন্তব্যের জন্য দু:খ প্রকাশ করেছেন আর আমি আজ তার উত্তর দিলাম অনেক অনেক দেরীতে। শোধবোধ হয়ে গেল :)

৭১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৯

অন্ধবিন্দু বলেছেন: ভ্রমনে আপনার ভার্চুয়াল ভ্রমনসঙ্গী করে বার্মার পথ-প্রান্তর-জলে সজীব করলেন নাগরিক জীবন। জলবায়ুর পরিবর্তন যেভাবে বদলে দিচ্ছে প্রকৃতির অভ্যন্তর, জানিনে এই মায়াময়ী রূপসৌর্ন্দয যেনও ছবিই না হয়ে যায় ...

ভালো থাকুন। অনিন্দ্য থাকুন।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪২

জুন বলেছেন: আপনিও ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার আনন্দে থাকুন :)
এত দিন পরে এসে পোষ্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আর আমিও এত দিন পরে এসে উত্তর দেয়ার জন্য আন্তরিক দুঃখিত ।

৭২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৩

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অসম্ভব সাজানো গোছানো কাজ আপনার!!!

ভালো লাগা বরাবরেরর মতো পরিশ্রমী কাজে।

বিশেষ ভালো লাগা থাকছে জলাশয়বাসী ইনথাদের সাদামাটা বাসাবাড়ীর সারি-এর প্রতি।

শুভকামনা জানবেন জুন। অনিঃশেষ।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫২

জুন বলেছেন: দীপংকর চন্দ সব সময় এত মন খুলে আমার লেখার প্রশংসা করে যান যা আমাকে দারুনভাবে আবার কিছু একটা লিখতে উতসাহিত করে তোলে। অনেক সময় ভাবি অনেকতো হলো এবার ক্ষান্ত হোক পালা। আবার আপনাদের মন্তব্যে ফিরে আসি। অসংখ্য ধন্যবাদ পোষ্টটি পড়ার জন্য :)

৭৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:১৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এসব দেখলে ইচ্ছে করে এখুনি সংসার ছেড়ে পালিয়ে যাই.......গাইডের নাম বো বো, বেশ মজা পাইলাম :)

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৫

জুন বলেছেন: কেন কেন সাদা মনের মানুষ ঘর সংসার ছেড়ে পালিয়ে যাবার কি হলো! আমরা তো সব কিছু বজায় রেখেই ঘুরে আসলাম :) বো বো ছাড়াও এক গাইডের নাম ছিল ওয়া ওয়া, আরেক জনের পে পে। এমন জোড়া জোড়া নাম।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

৭৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০১

রাতুল_শাহ বলেছেন: অবশেষে বার্মা সফর শেষ।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬

জুন বলেছেন: হু শেষ এরপর হয়তো অন্য কোথা অন্য কোনখানে রাতুল :)

৭৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: নান্দনিক ভ্রমণবৃত্তান্ত। খুব সুন্দর সাজানো। মন ছুয়ে যায়। ছবি গুলো অনেক সুন্দর সাথে অসাধারণ লেখনশৈলী।
+

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:১৬

জুন বলেছেন: অসাধারণ নান্দনিক এক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ভ্রমরের ডানা :)

৭৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এই পোস্টে আমার মন্তব্য কই ???????
ব্লক করে দিছেন নাকি ????????? :P

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৭

জুন বলেছেন: পুর্বের ৫০ টি মন্তব্যে ক্লিক করুন লিটন তারপর দেখুন এক আশ্চর্য ম্যাজিক :P

৭৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫২

সাহসী সন্তান বলেছেন: জুনাপু, আপনার মন্তব্যটা দেখে অনেক ভাল লাগছে! দেরিতে হলেও মন্তব্যের যে বিস্তারিত উত্তর দিয়েছেন তাতেই আমি খুশি! আর কখনো আমার কাছে দুঃখ প্রকাশ করবেন না! কারণ আপনাদের মত বড় মনের মানুষেরা দুঃখ প্রকাশ করলে নিজের কাছেই ভীষণ খারাপ লাগে!

আরে আপু আমিতো ঐ সমীকরণ টা মজা করেই করেছিলাম! ঠিক কি বেঠিক তা কি আমি জানি?

আপু, আজ কেমন আছেন? নিশ্চই অনেক ভাল?
শুভ কামনা জানবেন!

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৯

জুন বলেছেন: মজা করে করেছিলেন তা আমি বুঝেছিলাম । আপনার এই আপুটা অত বোকা নয় বলে দিলাম সাহসী । আচ্ছা আর কখনো করবো না ।
হ্যা আজ আমি অনেক অনেক ভালো আছি ।
আপনিও অনেক ভালো থাকুন আর আপনার চমকপ্রদ লেখা দিয়ে আমাদের চমকৃত করে তুলুন :)

৭৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ট আপনার ব্লগে আর ঢুকুম না। একবার কোন পোষ্টে ক্লিক করলে ব্লাক হোলের মধ্যে ঢুইকা পড়ি বাহির হইবার কোন উপায় নাই :((

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৬

জুন বলেছেন: উখে পরীক্ষা চলতে থাকুক মোস্তফা কামাল পলাশ । আমার ব্লগতো রইলোই আপনাদের জন্য B:-/
পরীক্ষা শেষে আর কোন অজুহাত চলবে না /:)
মজার একটি মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ :)

৭৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: নৌকা বাওয়া আর মাছ ধরার কৌশলটা সত্যিই খুব অভিনব। ছবি আর তথ্য মিলে একটা চমৎক্কার পোস্ট লিখেছেন। লম্বা গলার নারীদের বাণিজ্যিক ব্যবহার দেখে তাদের উপর মায়া হলো।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৪

জুন বলেছেন: মুল্যবান মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ খায়রুল আহসান। সুন্দর ভারভার্তিক মন্তব্যের মাঝেও লেখকের লেখার প্রতি আপনার আন্তরিকতা পরিস্ফুট। আপনার লেখায় রয়েছে যেমন সহজ সরলতা তেমনি আপনার লেখনী থেকে ফুটে উঠে আপনার নিরহংকারতা।
আর মাছ ধরার এই অভিনব স্টাইলটি শুধু যে দেখানোর জন্য তা কিন্ত নয় যা আমি পোষ্টেও উল্লেখ করেছি। আশাকরি আপনি তা পড়েছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ পুরনো লেখাগুলোতে আপনার মুল্যবান মতামতের জন্য।

৮০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: পাহাড়ের পাশে লেক ইনলে, পাহাড়ী পথে ইনলের দিকে এগিয়ে চলা, মৌসুমী রেস্তোরাঁ আর ভাসমান বাগানে টমেটোর ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে। আমাদের দেশের চা খোরেরা সে দেশের ফ্রী চায়ের খবর পেলে হয়তো সেখানে গিয়ে লাইন ধরবে।
পে পে নামটা ভারী সুন্দর (৭৩ নং প্রতিমন্তব্য)।
আপনি কি সৈয়দ মুজতবা আলির নাতনী (৭ নং মন্তব্য দ্রষ্টব্য)?

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩২

জুন বলেছেন: হা হা হা ঠিকই বলেছেন। আমাদের দেশের অনেক লোক শুনি ফ্রি পেলে আলকাতরা খেতেও নাকি রাজী। যদিও আমি তা বিশ্বাস করি না। হ্যা ছোট্ট একটি শহর ইনলে তাকেই কি সুন্দর পর্যটক বান্ধব করে তুলেছে সদ্য দরজা খুলে দেয়া মিয়ানমার যা চোখে না দেখলে বিশ্বাসই হয় না। সেই সাথে রয়েছে সারল্য যা এখনো পর্যটন এর সাথে জড়িত ভারতীয় বা ইতালিয়ানদের মত ঠকবাজ করে তোলে নি।
তা ভাবীকে নিয়ে আপনার মায়ানমার ভ্রমনের কি হলো যার জন্য তথ্য চেয়েছিলেন? আমিতো ভাবলাম ঈদের মাঝেই হয়তো চলে যাবেন। আর আমাদের মত বেকারদের জন্য ছুটিছাটার তো আর দরকার হয় না তাই না? ভালো থাকুন আর সহজ সারল্য নিয়ে লিখে চলুন। শুভকামনা রইলো সকালের।

৮১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনারও লেখা পোস্ট, মন্তব্য, ছবি- সবকিছুতেই একটা পরিচ্ছন্নতা থাকে, সৌজন্য থাকে, সরলতা থাকে জুন, যা আমার খুব ভালো লাগে। আপনি নিঃসন্দেহে সামুর একজন অন্যতম জনপ্রিয় এবং সম্মানিত ব্লগার। আপনার লেখনী এ ব্লগ জগতটাকে সমৃদ্ধ করেছে। আপনি যেমনটি বলেছেন, আমার সরলতার কথা- তেমন ভাবেই কথাগুলো মনের থেকেই বললাম, সহজ সরল ভাবেই।
ভালো থাকুন। ঈদ কেমন এবং কোথায় কাটালেন (মানে দেশে না বিদেশে)?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৯

জুন বলেছেন: আপনি সহজ সরল বলে আপনার মতই সবাইকে সহজ সরল ভাবেন। এটা মানুষের একটি বিশাল গুন বলে আমি মনে করি। তবে সবাই নয়। দুনিয়ায় এমন অনেক মানুষ আছে যারা যেমন নেচারের তারা সবাইকে নিজের মতই তেমনি ভাবে।
আমি আছি বাইরে তবে বলার মত আহামরি কোন দেশে নয়। ভালো থাকুন , সৎ থাকুন আর নিরহংকারী থাকুন এই কামনা করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.